04/11/2021
#বাচ্চাকে ঘুমের মধ্যে খাওয়ানো ও তার ইফেক্টঃ-
( Nursing Bottle Caries )
“বাচ্চা খেতে চায় না” এই অভিযোগ করেন না এমন মা খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। আর এই সমস্যার সহজ সমাধান বের করে নেন অনেকে। আর তা হল বাচ্চাকে ঘুমের মধ্যে খাওয়ানো। 😊
আর এই ঘুমের মধ্যে খাইয়ে মায়েরা কিছুদিনের জন্য ঝামেলার হাত থেকে তো বেচে যান, কিন্তু নিজেদের এবং বাচ্চাদেরকে ঠেলে দেন আরো বড় ভোগান্তির দিকে। 😕🙃
সেই ভোগান্তির নাম #নার্সিং_বটল_ক্যারিজ।
যখন বাচ্চাদের ঘুমের মধ্যে খাওয়ানো হয় কিন্তু খাবার পর মুখ পরিষ্কার করে দেয়া হয় না তখন খাবার দাঁতে লেগে থাকে এবং সারারাত ঐ অবস্থায় থাকে।
আমরা জানি যে দুধ দাঁত এমনিতেই স্থায়ী দাঁতের চেয়ে দুর্বল এবং ক্ষয় প্রতিরোধে কম কার্যকরী। ক্যারিজ বা দাঁত ক্ষয় হবার জন্য যতগুলো ফ্যাক্টর লাগে তার সবই একসাথে কাজ করতে থাকে যদি রাতে ব্রাশ না করে (বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মুখ ভেজা তুলা বা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে না দিয়ে) ঘুমানো হয়।
এরকম দীর্ঘদিন চলতে থাকলে বাচ্চাদের খুব অল্প বয়সে সামনের ও পিছনের দুধ দাঁতগুলো ডেন্টাল ক্যারিজ বা ক্ষয় দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং নষ্ট হয়ে যায়।🙃
নারসিং বটল ক্যারিজ হয় খুব কম বয়সে হয়। সাধারনত ২-৪ বছর বয়সের মধ্যেই দেখা যায়। এই ধরনের ক্যারিজে খুব দ্রুত অনেকগুলো দাঁত নষ্ট হয় এবং যতদিনে অভিভাবক বাচ্চাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসেন ততদিনে অনেকগুলো দাঁতে পাল্প থেরাপি (রুট ক্যানাল/পাল্পেক্টোমি) প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
কিন্তু বাচ্চারা এত ছোট থাকে যে তারা যথেষ্ট বুঝতে ও সহযোগীতা করতে পারেনা যা চিকিৎসাকে আরো ঝামেলাপূর্ণ ও ব্যয়বহুল করে তোলে। আবার বাচ্চার বয়স এত কম থাকে যে দাঁত ফেলে দেয়াও ভবিষ্যতে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
ফলে দেখা যায় হয় বাচ্চা ও অভিভাবক অনেক ভোগান্তির মধ্য দিয়ে চিকিৎসা করান অথবা বাচ্চাকে ওষুধ খাইয়ে রাখেন যার নিজস্ব কুফল তো আছেই।
অতএব, দেখা যাচ্ছে যে শুধুমাত্র রাতে ঘুমানো অবস্থায় বাচ্চাকে খাওয়ানোর দরুন কি পরিমান জটিল ও ঝামেলার হয়ে যাচ্ছে দাঁতের চিকিৎসা। 🙂🙃
#এইজন্য কিছু সতর্কতা সবসময় অবলম্বন করতে হবেঃ-
👉(১) বাচ্চাকে ঘুমের মধ্যে না খাওয়ানো।
👉(২) কোন কারনে যদি একান্তই ঘুমন্ত বাচ্চাকে খাওয়াতেই হয় তবে খাওয়ানোর পর ভেজা তুলা বা কাপড় দিয়ে ভালো করে দাঁত ও মুখ পরিষ্কার করে দেয়া।
আর মনে রাখবেন বাচ্চাদের দাত ওঠার পর থেকেই যত্ন নেয়া শুরু