Ruqyah & cupping fair

Ruqyah & cupping fair Ruqyah & cupping fair

01/12/2025

গর্ভপাতের যাদু’-কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা।

بسم الله الرحمن الرحيم
﴿ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِن كُنتُمْ فِي رَيْبٍ مِّنَ الْبَعْثِ ... ﴾ الحج 5

প্রিয় পাঠক, বিশেষ করে যারা বারবার গর্ভপাতের শিকার হচ্ছেন-এ পোস্টটি আপনাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আজকে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:-
যাদুর গর্ভপাত কী?
কেন করা হয়?
এর কৌশল কী?
লক্ষণ কী?
এবং চিকিৎসা কীভাবে হবে?

গর্ভপাত-মূল চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী ধারণা।

গর্ভপাত বলতে বোঝায়-
গর্ভের সন্তান সম্পূর্ণ তৈরি হওয়ার আগেই বের হয়ে যাওয়া, সাধারণত পাঁচ মাসের আগেই।

গর্ভপাত দুই ধরনের:

1, স্বাভাবিক / অনাকাঙ্ক্ষিত (তালুকি)
কারণ হতে পারে:

শারীরিক দুর্বলতা।
মানসিক/স্নায়বিক সমস্যা।
হরমোন দুর্বলতা।।
ভ্রূণের ক্রোমোজোম সমস্যা (সবচেয়ে বেশি দেখা যায়)।
দুর্ঘটনা বা আঘাত।
জরায়ুর গঠনগত সমস্যা।

2, ইচ্ছাকৃত গর্ভপাত

চিকিৎসাজনিত (হুমকির সময়)।
শাইত্বানি গর্ভপাত (সিহর/জাদু/নজর)।
সামাজিক কারণে (যা ইসলামে হারাম)।

যাদুর মাধ্যমে গর্ভপাত কী?

এটি এমন এক ধরনের জাদু, যার মাধ্যমে জাদুর খেদমতকারী (খাদেম)
গর্ভের সন্তানকে হত্যা করে, অর্থাৎ গর্ভপাত ঘটায়।

সবচেয়ে বড় লক্ষণ:-

নির্দিষ্ট একটি সময়েই বারবার গর্ভপাত হওয়া।
কোনো চিকিৎসাগত কারণ না পাওয়া।

কেন এই সিহর করা হয়?

স্বামী - স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লাগাতে।
হিংসা বা ঈর্ষা।
প্রতিশোধ।
সম্পদের লোভ।
নারীকে ক্ষতি করতে ও পরিবার নষ্ট করতে।

কীভাবে সিহরে গর্ভপাত ঘটানো হয়? (স্ট্র্যাটেজি)

এ ধরনের সিহরে খাদেমের কাজ হলো-
ভ্রূণের বৃদ্ধি থামিয়ে দেওয়া।
অক্সিজেন ও খাদ্য রসায়ন বন্ধ করে দেওয়া।
পরে ভ্রূণ মারা যায় এবং গর্ভপাত হয়ে যায়।

এটা সাধারণত ৩য় মাসের প্রথম ২০ দিনের মধ্যে হয়।

কারণ-
এই সময়েই

প্লাসেন্টা সম্পূর্ণ কাজ শুরু করে।
শিশুর প্রধান অঙ্গগুলো তৈরি হয়।
রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা সক্রিয় হয়।

এই সময় শরীর দুর্বল হলে খাদেম শাইত্বান সহজে আক্রমণ করতে পারে।

খাদেম জিনে কীভাবে গর্ভপাত ঘটায়?

1, ডিম্বাশয়ের হরমোনে গোলযোগ
এতে জরায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে।
গর্ভ টিকে থাকতে পারে না।

2, পিটুইটারি গ্রন্থির হরমোনে গোলযোগ।
তীব্র মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা।

3, থাইরয়েড হরমোনে সমস্যা।
রক্তচাপ সমস্যা।
বিষণ্নতা, ভয়, উদ্বেগ।
জরায়ুর মুখ নরম হয়ে যাওয়া।
প্লাসেন্টা দুর্বল হওয়া।

4, প্লাসেন্টা ও নাভিনালীর কার্যক্রমে বাঁধা।
শিশুর খাবার ও অক্সিজেন কমে যায়।
ভ্রূণের হার্টবিট কমে যায়।
শেষ পর্যন্ত মৃত্যু ও গর্ভপাত।

সিহরে গর্ভপাতের লক্ষণসমূহ-

ঘুমের মধ্যে লক্ষণ,-

দুঃস্বপ্ন।
কেউ পেটে আঘাত করছে এমন দৃশ্য স্বপ্নে দেখা।
সাপ পেটের চারপাশে প্যাঁচানো দেখা।

স্নায়বিক লক্ষণ,-

অতিরিক্ত রাগ।
হঠাৎ চিৎকার।
অকারণ জেদ।

মানসিক লক্ষণ,-

ভয়।
দুশ্চিন্তা।
মন খারাপ।
খাওয়া বন্ধ।

শারীরিক লক্ষণ

বারবার গর্ভপাত।
পেটের নিচে ব্যথা।
বমি/ডায়রিয়া।
রক্তাল্পতা।
অস্বাভাবিক রক্তপাত।
কোমরের ব্যথা।
দুর্বলতা।
জরায়ুর মধ্যে পিনচিং, চিমটি অনুভব।
ভ্রূণের নড়াচড়া কমে যাওয়া।
হার্টবিট কমে যাওয়া।

রুকইয়ার সময় লক্ষণ

মাথা ঘোরা।
হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া।
জরায়ুতে ব্যথা।
শরীর কাঁপা।
ভয় পাওয়া।

যাদুর গর্ভপাতের চিকিৎসা

চিকিৎসা ৫ টি মূল ধাপে হয়-

1,তাওবা ও ইস্তেগফার দিয়ে শুরু।
দুই রাকাআত সালাতুল তাওবা।

2, বিশেষ দোয়াসহ সালাতুল হাজত।
যাদু নষ্ট হওয়ার নিয়তে।

3, যাদুর খাদেমকে বের করে দেওয়া
(এটি রাক্বির কাজ)।

4, শরীর ও মনের দুর্বলতা ঠিক করা।
বিশেষ রুকইয়া ও আমল।

5, ভবিষ্যৎ সুরক্ষা ও পুনরায় যাদু বন্ধ রাখা।
হিজব, দোয়া, সুরা বাকারাহ, পানি-তেল রুকইয়া।

পুরো চিকিৎসাকালের সময় মা'কে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা জরুরি।

খুলাসা কথা

الحمد لله
ব্যাপারগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরলাম।
ভুলত্রুটি আল্লাহ ক্ষমা করুন।

🖊️ Raqi M***i Anisur Rahman
Consultant -Ruqyah and cupping fair
​সুস্থতার পথে সবাইকে সহায়তা করতে পোস্টটি শেয়ার করুন।
Raqi M***i Anisur Rahman

30/11/2025

যাদুকর কীভাবে জিনকে কাজে লাগায়⁉️

▪️যাদুকর নির্দিষ্ট কিছু গোপন পদ্ধতির মাধ্যমে জিনকে নির্দেশ দিয়ে থাকে।
▪️এই প্রক্রিয়ার প্রকৃত রহস্য সাধারণত যাদুকর নিজেই জানে—বাইরে প্রকাশ পায় না।
▪️যাদু করতে যেসব জিনিস বেশি ব্যবহার করা হয়—
▪️মানুষের মাথার চুল
▪️হাত বা পায়ের নখ
▪️ব্যবহৃত পোশাক
▪️চিরুনি বা ব্যক্তিগত সামগ্রী
▪️পায়ের নিচের মাটি
▪️ছবি
▪️নারীদের মাসিককালীন ব্যবহৃত সামগ্রী
▪️নাম ও বাবার নাম

আরও নানা ব্যক্তিগত ব্যবহার্য বস্তু

👉 যখন এসব ব্যক্তিগত জিনিস যাদুকরের হাতে পৌঁছে যায়, তখন তার জন্য যাদু করা অনেক সহজ হয়ে যায়।

যাদুর প্রভাবে কী ধরনের সমস্যা দেখা দেয়⁉️

📍সাধারণত যাদুর মূল কারণ হলো হিংসা ও বিদ্বেষ—ভালোবাসা থেকে কখনোই যাদু করা হয় না।

এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে দেখা যেতে পারে—

▪️বদনজর
▪️হাসাদের প্রভাব
▪️জ্বিন সংক্রান্ত সমস্যা
▪️বিভিন্ন ধরনের যাদুর লক্ষণ

✅যাদুকর তার উদ্দেশ্য অনুযায়ী যাদুর ধরন নির্ধারণ করে, যেমন-

▪️দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতার যাদু
▪️বিয়ে বিলম্ব বা বন্ধ করার যাদু
▪️সন্তান লাভে বাধার যাদু
▪️মানসিক অস্থিরতা বা পাগলামির যাদু
▪️দাম্পত্য কলহ ও বিচ্ছেদের যাদু
▪️অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার যাদু
▪️যিনার দিকে টেনে নেওয়ার যাদু
▪️বশীকরণ বা নিয়ন্ত্রণের যাদু

এছাড়াও আরও বহু ধরনের যাদু রয়েছে

✅পেটের যাদু: সবচেয়ে ভয়ংকর স্তর

অধিকাংশ যাদু সক্রিয় করতে যাদুকর পেটের যাদু ব্যবহার করে।
অর্থাৎ খাবার বা পানীয়ের মাধ্যমে যাদুর উপকরণ শরীরের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়।

✅যখন যাদুর বস্তু পেটে পৌঁছে যায়—

▪️খাদেম জিন উত্তেজিত হয়
▪️শরীরে প্রবেশের পথ তৈরি হয়
▪️এর মাধ্যমে বাইরে বা মাটিতে লুকিয়ে রাখা যাদুও সক্রিয় হতে শুরু করে
▪️এ কারণেই অনেক যাদুগ্রস্ত মানুষ স্বপ্নে খাবার খাওয়ার দৃশ্য দেখে—
▪️এটি যাদু পুনরায় সক্রিয় করার একটি মাধ্যম হতে পারে।

✅সময় অনুযায়ী যাদুর প্রভাব

▪️সূর্য ওঠার সময় যাদু করা হলে → সারাদিন অস্বস্তি অনুভূত হয়
▪️সূর্যাস্তের সময় যাদু করা হলে → সারা রাত অশান্তি থাকে

আর যদি—

শনিবার বা মঙ্গলবার সমস্যা বেশি অনুভূত হয়,
তাহলে বুঝতে হবে যাদুকর ঐ দিনগুলোতে শয়তানকে সন্তুষ্ট করার কাজ করেছে।

✅আকিদার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

👉 যাদুর কোনো নিজস্ব শক্তি নেই
👉 যাদু নিজে থেকে কিছুই করতে পারে না
👉 একে স্বাধীন শক্তি মনে করা কুফরি

সব কিছুই ঘটে আল্লাহর ইচ্ছায়।

📖 আল-কুরআনের প্রমাণ:

সূরা বাকারা: ১০২
সূরা আশ-শুআরা: ৮০

মুক্তির পথ

✅ নিয়মিত রুকইয়াহ করা
✅ সকাল ও সন্ধ্যার যিকির-আমল ঠিক রাখা
✅ ঘুমের আগে শরয়ি আমল আদায় করা
✅ ধৈর্য ও আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখা

⚠️আমাদের অভিজ্ঞ রাক্বি দ্বারা রুকাইয়া করাতে সরাসরি যোগাযোগ করুন: 01722922261

30/11/2025

🌙 স্বপ্নে অপরিষ্কার বাথরুম দেখা এবং নিম্নস্তরের জাদুর (সিফলি জাদু) সাথে এর সম্পর্ক‼️

বাথরুম দেখা এবং নিম্নস্তরের জাদুর সাথে এর সম্পর্কঃ

📍নিম্নস্তরের জাদু (আস-সিহর আস-সুফলি) সবচেয়ে বিপজ্জনক ধরনের জাদু। এটি সর্বদা নেতিবাচক শক্তি এবং অপরিষ্কার স্থান, যেমন বাথরুম এবং টয়লেটের সাথে কাজ করে। এটি কোনো কাকতালীয় ব্যাপার নয়, এর একটি স্পষ্ট এবং উদ্দেশ্যমূলক কারণ রয়েছে:

(১) বাথরুম নেতিবাচক শক্তির স্থান: বাথরুম স্বভাবতই অপরিষ্কারতা এবং জমাট বাঁধা জলের কারণে নেতিবাচক শক্তি ধারণ করে। এটি নিম্নস্তরের জিনদের (জিন আস-সুফলি) সেখানে অবস্থান করা সহজ করে তোলে। জাদুকররা তাদের আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদনের জন্য এই স্থানটি বেছে নেয় কারণ এটি তাদের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অপরিষ্কার শক্তি সংগ্রহের জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ।

(২) স্বপ্ন একটি সতর্কতামূলক ইঙ্গিত: যখন কোনো ব্যক্তি বাথরুম বা টয়লেট নিয়ে বারবার স্বপ্ন দেখে, তখন এটি তার অচেতন মন থেকে নিম্নস্তরের জিন নিজেই একটি সতর্কতা হতে পারে যে তার উপর জাদু কাজ করছে। এই স্বপ্নগুলি সাধারণত অদ্ভুত এবং বিরক্তিকর হয়, যেমন ভাঙা বাথরুম, নোংরা জল, বা কোনো কারণ ছাড়াই ভয় অনুভব করা।

(৩) নিম্নস্তরের জিন এবং নোংরা জলের সম্পর্ক: নিম্নস্তরের জিনেরা জাদুকৃত ব্যক্তির উপর প্রভাব ফেলার মাধ্যম হিসেবে নোংরা জল ব্যবহার করে। তাই, যদি কেউ স্বপ্নে জমাট বাঁধা বা দূষিত জল দেখে, তবে এটি তার উপর করা জাদু বা তার চারপাশে নেতিবাচক শক্তি ঘোরার ইঙ্গিত হতে পারে।

(৪) নিম্নস্তরের জাদুর আচার-অনুষ্ঠান: কিছু নির্দিষ্ট আচারে, জাদুকররা বাথরুমের ভিতরে তাদের কাজ সম্পন্ন করে কারণ নিম্নস্তরের জিনেরা সেখানে সহজে প্রকাশিত হয় এবং এটি জাদুকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। এই আচারগুলি অপরিষ্কার উপাদান, যেমন নোংরা জল বা মৃত প্রাণীর অবশিষ্টাংশের উপর নির্ভর করে, যা অপবিত্র এবং আধ্যাত্মিক দূষণকে প্রতীকী করে।

(৫) জাদুর প্রবেশদ্বার হিসেবে বাথরুম: বাথরুমগুলি নেতিবাচক শক্তির প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এর মাধ্যমে নিম্নস্তরের জিন মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং তাদের মানসিক বা আধ্যাত্মিক উদ্বেগ বা ক্ষতি করতে পারে। কিছু লোক বাথরুমে প্রবেশ করার সাথে সাথে অস্বস্তি, কাঁপুনি বা ভয় অনুভব করে এবং এটি সেই স্থানের শক্তির সরাসরি প্রভাব হতে পারে।

(৬) নিম্নস্তরের জাদুর আধ্যাত্মিক প্রভাব: নিম্নস্তরের জাদু শরীরের আগে আত্মাকে লক্ষ্য করে। যেহেতু বাথরুম শারীরিক পবিত্রতার স্থান, নিম্নস্তরের জাদুতে এটিকে আত্মার দূষণ এবং মানুষের মনে ভয় ও অস্থিরতা সৃষ্টির স্থানে রূপান্তরিত করা হয়।

⛔এজন্য, স্বপ্নে বাথরুম বা টয়লেট বারবার দেখা একটি সতর্কবার্তা হতে পারে যে আপনার মধ্যে নেতিবাচক শক্তি বা নিম্নস্তরের জাদুর প্রভাব রয়েছে, যার চিকিৎসার প্রয়োজন। আল্লাহ আপনাদেরকে সকল অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুন।

⚠️ আমাদের অভিজ্ঞ রাক্বি দ্বারা রুকাইয়া করাতে সরাসরি যোগাযোগ করুন: 01722922261

29/11/2025

আপনি কি প্রায়ই স্বপ্নে খেতে দেখেন⁉️

📍অদ্ভুত খাবার, অচেনা লোকের খাওয়ানো, কিংবা জোর করে খাবার মুখে ঢুকিয়ে দেওয়া? এই স্বপ্নগুলো শুধু স্বপ্ন নয়—এগুলো হতে পারে জাদুর মারাত্মক ফাঁদ।

✅স্বপ্নে খাওয়ানো মানে আপনার পেটকে জাদুর কারাগার বানানো হয়েছে। যতদিন এই জাদু থাকবে, ততদিন আপনি ক্লান্ত, অসুস্থ, এবং বাধাবিয়ে বা জাদুর নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সম্পন্ন সমস্যায় জর্জরিত থাকবেন।

⚠️এই ভয়াবহতা থেকে মুক্তির জন্য দীর্ঘ গবেষণায় পরীক্ষিত একটি রুকইয়াহ পদ্ধতি এখানে তুলে ধরা হলো— যা আলহামদুলিল্লাহ বহু মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনেছে।
"শুরু করুন আজই, ইনশা'আল্লাহ আপনি পরিবর্তন টের পাবেন প্রথম থেকেই।"

✅ধাপে ধাপে করণীয়:

১. কুরআনীয় আয়াতসমূহ পাঠ ও ফুঁক দেওয়া:
নিচের আয়াতগুলো ৩/৫/৭ বার করে পড়ুন এবং এরপর পানি, অলিভ অয়েল ও কালোজিরার উপর তিনবার করে ফুঁ দিন।

▪️প্রধান আয়াতসমূহ:
▪️সূরা আন'আম: ১৫৭-১২১
▪️সূরা মায়িদা: ৩ ও ৫৪
▪️সূরা দুখান: ৪৩-৫০
▪️সূরা ইব্রাহিম: ১৫-১৭
▪️সূরা ওয়াকিয়াহ: ৪১-৫৪
▪️সূরা বনী ইসরাইল: ৪৫
▪️সূরা ইয়াসিন: ৯
▪️অতিরিক্তভাবে পড়তে পারেন (ঐচ্ছিক):
▪️সূরা বাকারা: ১০২
▪️সূরা আরাফ: ১১৯-১২২
▪️সূরা ইউনূস: ৮১-৮২
▪️সূরা ফুরকান: ২৩
▪️সূরা যুখরুফ: ৭৯

আযাব ও শাস্তির আয়াতসমূহ...

২. ব্যবহারের নিয়ম (রাতে ও সকালে):

✅রাতের বেলায়:
এক গ্লাস রুকইয়াহ পড়া পানি পান করুন।
ঠোঁটে সামান্য অলিভ অয়েল লাগান (লিপজেল/ভ্যাসলিনের মতো)।
সামান্য কালোজিরা মুখে নিয়ে চিবোতে চিবোতে ঘুমিয়ে পড়ুন।
(পানি দিয়ে ফেলে দেবেন না—মুখে রেখে ঘুমান)

✅সকালে ঘুম থেকে উঠে:

এক গ্লাস রুকইয়াহ পানি পান করুন।
সারাদিনে অল্প অল্প কালোজিরা মুখে নিয়ে চিবোতে থাকুন।
(যতটা সম্ভব মুখে কালোজিরা রাখার চেষ্টা করুন)

৩. পেটের জাদু নষ্ট করাও অপরিহার্য:
স্বপ্নে খাওয়া বন্ধ করতে হলে পেটে থাকা জাদু সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করতে হবে। পেটের জাদু নষ্টের জন্য অভিজ্ঞ রাক্বি দ্বারা রুকাইয়া করুন।

⚠️আমাদের অভিজ্ঞ রাক্বি দ্বারা রুকাইয়া করাতে সরাসরি যোগাযোগ করুন: 01722922261

29/11/2025

কাজের বাধা বা অচলতা সৃষ্টিকারী জাদুর লক্ষণসমূহ

(ঘুম ও জাগ্রত অবস্থায়)

এই ধরনের জাদু সাধারণত বিয়ে, কাজ বা জীবনের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করে।
স্বপ্নে দেখা লক্ষণসমূহ:

স্বপ্নে দেখেন যে তিনি কোনো পরীক্ষা বা ইমতিহানে বসেছেন, কিন্তু উত্তর দিতে পারছেন না।

স্বপ্নে দেখেন যে তিনি খালি পায়ে হাঁটছেন বা এক পায়ে জুতো আছে আরেক পায়ে নেই।

স্বপ্নে দেখেন যে তিনি অনেক কষ্টে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছেন।

স্বপ্নে দেখেন যে তিনি বাস/গাড়ি ধরতে পারলেন না, হোক সেটা পড়াশোনার জন্য বা অন্য কোনো কিছুর জন্য।

স্বপ্নে দেখেন যে তিনি কাদা বা মরুভূমিতে হাঁটছেন।

স্বপ্নে দেখেন যে তিনি কিবলার উল্টো দিকে মুখ করে সালাত (নামাজ) আদায় করছেন।

স্বপ্নে দেখেন যে তিনি একটি মোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন এবং কোন পথে যাবেন তা জানেন না।

স্বপ্নে দেখেন যে তিনি সর্বদা পথহারা এবং যে অবস্থায় আছেন তা থেকে মুক্তির কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছেন না।

জাগ্রত অবস্থার লক্ষণসমূহ:-
মাঝে-মধ্যে মাথাব্যথা হয় যা ঔষধ খেলেও দূর হয় না বা কমে না।
২,বুকে তীব্র চাপ অনুভব করা, বিশেষ করে আসরের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত।
৩,প্রস্তাবিত (পাত্রক-পাত্রীকে) দেখতে খুব কুৎসিত বা খারাপ মনে হওয়া।
৪,অতিরিক্ত চিন্তা করা এবং মন সব সময় বিক্ষিপ্ত থাকা (অন্যমনস্কতা)।
৫,ঘুমের আগে এবং ঘুমের মধ্যেও প্রচণ্ড অস্থিরতা (উদ্বেগ)।
৬,মাঝে-মধ্যে পেটে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা থাকা।
৭,পিঠের মেরুদণ্ডে, বিশেষ করে কোমরের অংশে ব্যথা অনুভব করা। তবে এটা অন্য কারণেও হতে পারে।
৮,অবিবাহিত মেয়ের ক্ষেত্রে, যিনি তাকে বিয়ে করতে চান তাকে কুৎসিত দেখা, আর যদি জাদুর তীব্রতা বেশি হয় তবে সে সকল পুরুষকেই ঘৃণা করে।
৯,যখনই বিয়ের কথা শোনা যায় বা বাড়িতে পাত্র আসার খবর জানতে পারে, তখন মেয়েটি প্রচণ্ড রেগে যায় বা তীব্রভাবে কাঁদে।
১০,পারিবারিক অনুষ্ঠান ও লোকজনের সাথে মেলামেশা অপছন্দ করা।
১১, নিজের চেহারার প্রতি উদাসীন থাকা; তাকে সর্বদা ময়লা বা জীর্ণ পোশাকে এবং বিষণ্ণ চেহারায় দেখা যায়।

প্রতিকার:-
১. শক্তিশালী গৃহ সুরক্ষা (তাহসীন): ঘরের জন্য ভালো ও কার্যকর সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
২. সূরা বাক্বারাহ, সূরা আস-সাফফাত ও সূরা ইয়া-সীন নিয়মিত পাঠ করা।
৩. নিয়মিত চিকিৎসা কর্মসূচি: এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে - ইস্তেফরাগ অর্থাৎ বমি করিয়ে পেট পরিষ্কার করা, ৪,রুকইয়ার পানি দিয়ে গোসল করা।
হিজামা (Cupping) নেওয়া, এবং পড়া রুকইয়ার তেল মালিশ করা।
৫. লম্বার সময় দোয়ায়, আন্তরিকতা, ও সত্যবাদিতা অর্জন করা।
৬. ভালো মানুষের সঙ্গ দেওয়া।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সুস্থতা দান করুন।

​সুস্থতার পথে একে অন্যকে সাহায্য করার জন্য, পোস্টটি শেয়ার করে অন্যকে জানিয়ে দিন।

---🖊️Raqi M***i Anisur Rahman Consultant Ruqyah and cupping fair

Raqi M***i Anisur Rahman

শুক্রবার দরুদ শরীফ পাঠের জন্য দরূদ ইব্রাহিম একটি উত্তম আমল। এছাড়া, শুক্রবার আসরের নামাজের পর ৮০ বার নির্দিষ্ট দরুদ শরীফ ...
28/11/2025

শুক্রবার দরুদ শরীফ পাঠের জন্য দরূদ ইব্রাহিম একটি উত্তম আমল। এছাড়া, শুক্রবার আসরের নামাজের পর ৮০ বার নির্দিষ্ট দরুদ শরীফ পাঠ করলে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও, সহজ ও ছোট দরুদ যেমন "সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদ" পড়া যেতে পারে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ দরুদ শরীফ:
দরূদ ইব্রাহিম:
উচ্চারণ: "আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ।"
অনুবাদ: "হে আল্লাহ, মুহাম্মদ এবং মুহাম্মদের পরিবারের উপর বরকত বর্ষণ করুন, যেমন আপনি ইব্রাহিম এবং ইব্রাহিমের পরিবারের উপর বরকত বর্ষণ করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত এবং মহিমান্বিত।"
ছোট দরুদ:
উচ্চারণ: "সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদ।"
শুক্রবার দরুদ পাঠের গুরুত্ব:
শুক্রবারকে সপ্তাহের সেরা দিন বা সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এই দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠের অনেক ফজিলত রয়েছে।
হাদিস অনুযায়ী, শুক্রবার আসরের নামাজের পর দরুদ পাঠ করলে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হতে পারে।
জুমার দিনের দরুদ পাঠ করলে আল্লাহর রহমত, গুনাহ মাফ এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
শুক্রবার আসরের নামাজ পড়ে ওই স্থানে বসে থেকে কোন ব্যক্তি যদি আসিবার দুরুদ শরীফ পড়ে তাহলে আল্লাহ তাআলা তার আশি বছরের গুনাহগুলোকেও ক্ষমা করে দিবেন।

28/11/2025

জরায়ুতে যাদুর গিঁট বাঁধলে কী কী সমস্যা দেখা দেয়?

মহিলা যখন যাদুর আক্রমণের শিকার হন, তখন শয়তান মানুষের শরীরে রক্তের মতো প্রবাহিত হয়ে যে স্থানে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়-সেই স্থানেই অবস্থান করে গিঁট তৈরি করে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই লক্ষ্যবস্তু হয় মহিলার জরায়ু।

বিশেষ করে সিল করে দেওয়া যাদু (তালা লাগানোর যাদু), বিয়ে নষ্ট করার যাদু, এবং দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ ঘটানোর যাদু-সবক্ষেত্রেই জরায়ু সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়।

কেন জরায়ুই বেশি টার্গেট হয়?

কারণ-
জরায়ু একজন নারীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
এখানেই গঠিত হয় সন্তান।
এখান থেকেই নির্গত হয় মাসিক রক্ত।
এর স্বাভাবিকতা নষ্ট হলে পুরো শরীরের হরমোন ভারসাম্য ভেঙে যায়।

আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকেও জরায়ু অত্যন্ত স্পর্শকাতর স্থান।
এখান থেকে অশুভ শক্তি-
নারীকে,
গর্ভস্থ সন্তানকে,
এমনকি স্বামীকেও
প্রভাবিত করতে পারে। অনেক সময় দাম্পত্য সম্পর্কেও বাধা সৃষ্টি হয়।
অর্থাৎ, একটি অঙ্গকে আঘাত করেই পুরো পরিবারে অশান্তি তৈরি করা সম্ভব।

জরায়ুতে যাদুর গিঁট হলে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে:-

এসব লক্ষণ অনেক সময় চিকিৎসা করেও ঠিক হয় না-
ডিম্বাশয়ে পিণ্ড বা কিস্ট হওয়া, ডিম্বাণুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হওয়া।
মাসিকের সময় গণ্ডগোল-সময় বদলে যাওয়া, অতিরিক্ত রক্তপাত, রক্ত বন্ধ হয়ে যাওয়া, অসহনীয় ব্যথা।

চুল পড়ে যাওয়া, মুখে ব্রণ, চিবুকে অনাকাঙ্ক্ষিত লোমহরমোনের বিশৃঙ্খলা।
জরায়ুর ভেতরের টিস্যু অন্য জায়গায় বেড়ে যাওয়া।
দাম্পত্য মিলনে ব্যথা, জ্বালা, ভয় বা অস্বস্তি।
জরায়ুর আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, অস্বাভাবিক রক্তপাত।
দুর্গন্ধযুক্ত সাদা স্রাব, যা চিকিৎসায়ও ভালো না হওয়া।
জাগরণ ও ঘুমের মধ্যবর্তী সময়ে খারাপ স্পর্শ বা শারীরিক উত্তেজনা অনুভব।
জরায়ুতে গুটি বা টিউমার হওয়া-কখনো ভালো, কখনো বিপজ্জনক।
বিয়ে বা প্রস্তাব এলে অকারণে ভয়, অস্বস্তি বা এড়িয়ে যাওয়া।
কোনো যুক্তি ছাড়াই সন্তান না হওয়া বা দেরি হওয়া।

যাদুর প্রভাব গর্ভস্থ সন্তানের ওপরও পড়ে!

দীর্ঘদিন যাদুর প্রভাবে থাকা নারীর সন্তানও আক্রান্ত হতে পারে-
মানসিক বিকাশে দেরি।
ভয়, অস্থিরতা ও ফোবিয়া।
স্নায়বিক দুর্বলতা।
আচরণগত সমস্যা।
এবং প্রথম সন্তান বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

-সমাধান কী?

এ ধরনের সমস্যা শুধু চিকিৎসা দিয়ে পুরোপুরি ভালো হয় না, কারণ মূল আঘাতটি থাকে যাদুর গিঁটে।

অতএব-
এই সমস্যা গুলো থাকলে উত্তম হলো সরাসরি ডায়গনসিস রুকইয়াহ করিয়ে চিকিৎসা নেওয়া।
সেটা সম্ভব নাহলে,-
জরায়ুর গিঁট খোলার আমল ও দোয়া পড়া।
রুকইয়াহ করা পানি ব্যবহার করা।
সুরা বাকারা, আয়াতুল কুরসি, তিন কুল, মাসনুন দোয়া নিয়মিত পাঠ।

আল্লাহর রহমতে এগুলোর মাধ্যমে গিঁট খুলে যায়, শরীর-মন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

----🖊️ Raqi M***i Anisur Rahman
Consultant -Rukyah and cupping fair
​সুস্থতার পথে সবাইকে সহায়তা করতে পোস্টটি শেয়ার করুন।
Raqi M***i Anisur Rahman

28/11/2025

কালো জাদু বা এই ধরনের বিশ্বাস-ভিত্তিক আক্রমণের সংখ্যা বাড়ার পেছনের কারণগুলো বেশ জটিল এবং এর কোনো একক উত্তর নেই।
​এই ধরনের আক্রমণের সংখ্যা "বাড়ছে" এই ধারণার পেছনের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিচে আলোচনা করা হলো:
​🌐 তথ্যের সহজলভ্যতা ও প্রচার
​সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেট: এখন মানুষ খুব সহজে যেকোনো কিছু নিয়ে আলোচনা করতে পারে বা জানতে পারে। ফলস্বরূপ, কালো জাদু সংক্রান্ত গল্প, অভিজ্ঞতা, বা প্রতিকারের দাবিগুলো দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে, যা মানুষের মধ্যে এই বিষয়ে আলোচনা ও বিশ্বাসকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
​মিডিয়া ও বিনোদন: চলচ্চিত্র, সিরিয়াল বা ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো প্রায়শই এই ধরনের বিষয়বস্তু ব্যবহার করে, যা মানুষের মনে এই ধারণাগুলো আরও গভীরভাবে গেথে
দেয়।
যদি আপনার সাথে এরকম কোন সমস্যা হয় তাহলে আমাদের রাকির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।
মোবাইল:01722922261




27/11/2025

⚠️আল্লাহর ইচ্ছায় জাদু প্রকাশের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি⁉️

✅অনেকেই অনুভব করেন-শরীর, মন বা পরিবারে হঠাৎ অজানা সংকট নেমে আসে...

✅চিকিৎসা করেও সমাধান হয় না...
✅শুধু সন্দেহ-“হয়তো কোথাও জাদু করা হয়েছে?”

প্রিয়জনেরা,

✅সঠিক পদ্ধতিতে রুকইয়াহ করলে আল্লাহর ইচ্ছায় জাদু প্রকাশ পায়, এমনকি স্বপ্নেও স্পষ্ট হয়ে ওঠে জাদুর ধরন ও উৎস।

📍নিচে দেওয়া হলো সেই সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
জাদু প্রকাশ ও ফাঁস করার প্রমাণিত রুকইয়াহ পদ্ধতি

১. রুকইয়াহ পানি প্রস্তুত করুন।
একটি পাত্রে সামান্য পানি নিন।
এর মধ্যে-
পিং সল্ট (খাবার উপযোগী মোটা দানাযুক্ত লবণ)
বড়ই পাতার গুঁড়া বা আস্ত বড়ই পাতা
যোগ করুন।

২. পানি মিশ্রণে আয়াত পড়ুন ও ফুঁ দিন
এই আয়াতগুলো পাঠ করুন এবং (ফুঁ) দিনঃ-
সূরা ফাতিহা (সম্পূর্ণ)
জাদুর আয়াতসমূহ (আয়াতুস সিহর)
বিশেষভাবে এই আয়াতগুলো বারবার পড়ুনঃ-
{يَوْمَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ} - আল-কালাম
{وَكَشَفْتُ عَنْ سَاقَيْهَا} - আন-নামল
{رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ} - আদ-দুখান
{وَيَكْشِفُ السُّوءَ} - আন-নামল

এগুলো ‘কাশফ’ (উন্মোচন / প্রকাশ) নির্দেশ করে- এবং আল্লাহর হুকুমে গোপন জাদু প্রকাশে অত্যন্ত কার্যকর।

৩. ঘরের চারপাশে ছিটিয়ে দিন
এই পানি দিয়ে-
ঘরের চার কোণা।
দরজা।
জানালা।
দেয়ালের নিচের অংশ।
চৌকাঠ।
সব জায়গায় ছিটিয়ে দিন।
আপনি যদি মনে করেন জাদু ঘরের বাইরে কোথাও লুকানো-মাটি, কবর, আঙিনা- সেখানেও ছিটাতে পারেন।

৪. ঘুমানোর আগে বিশেষ দোয়া
রাতে ঘুমানোর আগে এই দোয়া পড়ুন:
"আল্লাহুম্মা ইয়া মুক্তাদিরু, ইয়া কাশাফাল-গাম্মি ওয়াল-হাম্ম; ইকশিফ হায়াস-সিহরা, ওয়াজ‘আলহু লানা রাহমাহ, ইয়া রহমান, ইয়া রহীম।"
(অর্থ: হে সর্বশক্তিমান আল্লাহ! হে দুঃখ ও কষ্ট দূরকারী! এই জাদুটি আমাদের জন্য প্রকাশ করে দাও এবং রহমত বানিয়ে দাও।)

📍ফলাফল কী হবে‼️
ইনশাআল্লাহ-
এই আমলের বরকতে স্বপ্নে জাদু প্রকাশ পেতে শুরু করবে।
কোথায় রাখা হয়েছে
কে বা কী দ্বারা হয়েছে
কোন ধরন
কোন কারণে
সবই পরিষ্কার হয়ে উঠবে।

⛔মরক্কোর রাক্বী মুহাম্মাদ আল-গানাইয়ী এর পরামর্শ এটি আমল করে দেখতে পারেন আশাকরি উপকৃত হবেন।

⚠️আমাদের অভিজ্ঞ রাক্বি দ্বারা রুকাইয়া করাতে সরাসরি যোগাযোগ করুন: 01722922261

27/11/2025

⚠️আমাদের অভিজ্ঞ রাক্বি দ্বারা রুকাইয়া করাতে সরাসরি যোগাযোগ করুন: 01722922261

27/11/2025
27/11/2025

ভুডু যাদু কী?

ভুডু যাদু হলো এক ধরনের ভয়ংকর শয়তানি জাদু, যেখানে যাদুকর একটি পুতুল তৈরি করে এবং-

ছবি।
চুল।
পোশাকের টুকরা।
ব্যবহার করে সেই ব্যক্তির উপর জিন/শয়তানকে নিয়োগ করে।

এরপর পুতুলের ওপর করা হয় নানা শাইত্বানি কাজ:-
সুচ/পিন ফুটানো।
পুতুল পুড়িয়ে ফেলা।
পুতুল বেঁধে ফেলা।
মাটিতে চাপা দেওয়া।
যাদুর তেল/পানি ছিটানো।

উদ্দেশ্য: রোগ, ভালোবাসা, বিচ্ছেদ, অগ্রগতিতে বাঁধা, মানসিক কষ্ট, ভয়।নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভিক্টিমকে জড়পদার্থের মত বানিয়ে ফেলা।

ভুডু যাদু কীভাবে কাজ করে?

পুতুল নিজে কিছু করতে পারে না।
আসল ক্ষতি করে জিন ও শাইত্বান।
যাদুকর তাদের পাঠায় নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে আঘাত করতে।
আর যাদুর খাদেম জিন, সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে, ভিক্টিমের নাম, এবং তার মায়ের নাম দিয়ে।
অথবা তার ব্যবহৃত জিনিস, যেমন,চুল, নখ,কাপড় এগুলো দিয়ে।

ভুডু যাদুর লক্ষণসমূহ-

হঠাৎ সুচ ফোটানোর মতো ব্যথা।
শরীরে অস্বাভাবিক গরম/ঠান্ডা।
কাঁধ-পিঠে ভারী চাপ।
ভয়, আতঙ্ক, দুশ্চিন্তা।
কারণ ছাড়া দুর্বলতা।
বারবার কাজ নষ্ট হওয়া।
দুর্ঘটনা।
স্বপ্নে-পুতুল, ছুরি, অন্ধকার, তাড়া করা।

শরীয়াহ অনুযায়ী ভুডু যাদুর চিকিৎসা

১) দৈনিক রুকইয়াহ পাঠ।
সূরা ফাতিহা - ৭ বার।
আয়াতুল কুরসি।
সূরা বাকারা (শেষ ৩ আয়াত)
সূরা সফফাত।
সূরা দুখান।
সূরা জ্বিন।
সূরা ইখলাস ৭ বার।
সূরা ফালাক ৭ বার।
সূরা নাস ৭ বার।

২) ঘরে প্রতিদিন সূরা বাকারা চালানো।
৩) রুকইয়াহ পানি।
৩) ৪১ দিন টানা সেই পানিতে গোসল।
কিছুটা পান করা।

৪) রুকইয়াহ তেল

অলিভ অয়েল তেলের উপর
আয়াতুল কুরসি + তিন কুল পড়ে ফু দিয়ে
ঘুমানোর আগে শরীরে লাগানো।

ভুডু যাদু নষ্ট করার শক্তিশালী দোয়া-

اَللّٰهُمَّ أَبْطِلْ كُلَّ سِحْرٍ مُؤْذٍ، وَسِحْرِ فُودُو، وَسِحْرِ الدُّمْيَةِ، وَسِحْرِ الصُّوَرِ، وَكُلَّ رَبْطٍ أَوْ تَعْطِيلٍ، اَللّٰهُمَّ أَرْسِلْ عَلَى السِّحْرِ نَارًا تُحَرِّقُهُ، وَمَلَائِكَةً تُبْطِلُهُ.

বাংলা অর্থ:

“হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষতি করে এমন সব যাদু-ভুডু যাদু, পুতুলের যাদু, ছবির যাদু এবং সব রকমের বাঁধা ও অগ্রগতির যাদু-সবগুলো বাতিল করে দিন। হে আল্লাহ! এই যাদুর ওপর আগুন পাঠিয়ে তা পুড়িয়ে দিন, এবং ফেরেশতারা পাঠিয়ে তা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিন।”

----🖊️Raqi M***i Anisur Rahman
​সুস্থতার পথে একে অন্যকে সাহায্য করার জন্য, পোস্টটি শেয়ার করে অন্যকে জানিয়ে দিন।
Raqi M***i Anisur Rahman

Address

Gazipur
712

Telephone

+8801722922261

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ruqyah & cupping fair posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram