14/09/2025
এক বছরের শিশুকে যত্ন নেওয়ার সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হয়, কারণ এ বয়সে ওদের শরীর, মস্তিষ্ক ও সামাজিক আচরণ দ্রুত গড়ে উঠছে। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:
🍼 ১. সঠিক খাবার ও পুষ্টি
মায়ের দুধ বা ফর্মুলা: এক বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়ানো উপকারী। ধীরে ধীরে সাধারণ খাবার বাড়ানো যেতে পারে।
পরিপূর্ণ খাবার: ভাত, ডাল, সবজি, ডিম, মাছ, মাংস, দই, ফল, নরম রুটি ইত্যাদি নরমভাবে রান্না করে দিন।
গরুর দুধ: ১ বছর পার হওয়ার পর দিনে সর্বোচ্চ ২–৩ কাপ গরুর দুধ দিতে পারেন।
চিনিযুক্ত বা অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
🧠 ২. শারীরিক ও মানসিক বিকাশ
শিশুকে হাঁটাচলা, হামাগুড়ি, দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে উৎসাহ দিন।
খেলনার মাধ্যমে রঙ, আকার, শব্দ শেখাতে সাহায্য করুন।
ওর সাথে কথা বলুন, গান গেয়ে শোনান—ভাষা বিকাশে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত ঘুম (প্রায় ১১–১৪ ঘন্টা/দিন) নিশ্চিত করুন।
🧴 ৩. পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য
প্রতিদিন গোসল করান বা ভিজে কাপড়ে মুছে দিন।
ডায়াপার নিয়মিত পরিবর্তন করুন, ত্বক শুকনো রাখুন।
দাঁত ওঠা শুরু হলে নরম ব্রাশ বা গজ দিয়ে দাঁত/মাড়ি পরিষ্কার করুন।
শিশুর নখ ছোট রাখুন।
💉 ৪. টিকাদান
জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির (Expanded Programme on Immunization – EPI) সব টিকা সময়মতো দিন।
নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী টিকা দেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পরামর্শ নিন।
🏃♂️ ৫. নিরাপত্তা
ধারালো জিনিস, ছোট বস্তু (যা গিলে ফেলতে পারে) ও গরম পানি/খাবার শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন।
সিঁড়ি, বারান্দা বা বিছানার ধার নিরাপদ রাখুন।
শিশুকে একা পানির টব, বাথরুম, বা বিছানায় ফেলে যাবেন না।
🧸 ৬. খেলাধুলা ও সামাজিক মেলামেশা
বয়স উপযোগী খেলনা (বড় ব্লক, বল, মিউজিকাল টয়) দিন।
পরিবারের অন্যদের সাথে মেলামেশার সুযোগ দিন—এটি আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
🩺 ৭. নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা
ওজন, উচ্চতা, মাথার পরিধি নিয়মিত মাপুন এবং বৃদ্ধির চার্টে নজর রাখুন।
খাওয়ার পরও যদি ওজন না বাড়ে, বা শিশু দুর্বল লাগে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
🚩 যেসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন
জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বারবার বমি বা পাতলা পায়খানা।
খাওয়ার আগ্রহ না থাকা বা অস্বাভাবিক কান্না।
আচরণে হঠাৎ পরিবর্তন (অতিরিক্ত নিস্তেজ বা বিরক্ত হওয়া)।
#ফাতেমা_ওয়ার্ল্ড