29/11/2025
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরোনো ভবনগুলোর ঝুঁকি নতুন করে সামনে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও ভবনটি শুরুতেই ভূমিকম্প সহনীয়ভাবে নির্মাণ করা হয়নি, তবুও কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি মজবুত করা সম্ভব।
বুয়েটের অধ্যাপক ড. মেহেদি আহমেদ আনসারী জানিয়েছেন, পুরোনো ভবনকে ভূমিকম্পের জন্য রেট্রোফিটিং করার প্রচলিত চারটি উপায় রয়েছে:
কলাম জ্যাকেটিং – কলাম বা পিলারকে অতিরিক্ত শক্তিশালী করে তৈরি করা, মাঝে মাঝে বিশেষ উপকরণ ব্যবহার করা হয়।
শিয়ার ওয়াল – পিলারের পাশে অতিরিক্ত রড দিয়ে দেওয়ালের মতো তৈরি করা হয়, আংশিক বা সম্পূর্ণ করা যায়।
স্টিল ব্রেসিং – দুটি পিলারের মাঝে ধাতব ফ্রেম বসানো হয়, যা ঝাঁকুনি শোষণ করতে সাহায্য করে।
ওয়াল থিকেনিং – পিলারের মাঝের দেয়াল মোটা করা হয় ওজন বাড়িয়ে স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করা হয়।
উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তি, যা সাধারণত বড় ভবনের জন্য ব্যবহৃত হয়:
টিউন মাস ড্যাম্পার (TMD) – ছাদের উপর স্থাপিত বড় সিস্টেম, যা তেল বা পানির মতো তরল দিয়ে ঝাঁকুনি শোষণ করে।
বেজ আইসোলেটর – ভবনের নিচের অংশকে ভিত্তি থেকে আলাদা করে, যাতে ভূমিকম্পের প্রভাব উপরের অংশে পৌঁছায় না।
বিআরবি (বাকলিং রিস্ট্রেইন্ড ব্রেইস) – স্টিল ও স্প্রিংয়ের মতো কাঠামো, যা সংকোচন-প্রসারণের মাধ্যমে কাঁপুনি শোষণ করে।
তবে এসব প্রযুক্তি ব্যয়বহুল হওয়ায় ভবন নির্মাণের সময়ই ভূমিকম্প সহনীয় ডিজাইন গ্রহণ করাই সবচেয়ে যৌক্তিক।
সূত্র: news10বাংলা