PAGLA পাগলা Doctors

PAGLA পাগলা Doctors if you mad we always gentle.

.নদীর পানিতে গোসল করেছিল ৭ দিন।ঘুরেছিল সাজেকের পাহাড়ে।যখন আমাদের হসপিটালে আসে তখন এরকম চোখ , জিহ্বার নীচে,হাত-পায়ের তালু...
26/10/2025

.নদীর পানিতে গোসল করেছিল ৭ দিন।ঘুরেছিল সাজেকের পাহাড়ে।
যখন আমাদের হসপিটালে আসে তখন এরকম চোখ , জিহ্বার নীচে,হাত-পায়ের তালুতে হুলুদ হয়ে আসে,যাকে বলে জন্ডিস।
প্রস্রাবের পরিমান কমে গিয়েছিল। কারন কিডনি বিকল হচ্ছিল দ্রুত।
ম্যালেরিয়া,ভাইরাল হেপাটাইটিস প্রথমে চিন্তা করেছিলাম সাথে লেপ্টোস্পাইরোসিস ও মাথায় ছিল।
কারন রোগী যখন আসে তখন তার হিস্ট্রি ও সাইন সিম্পটম এনালাইসিস করে কয়েকটা রোগ মাথা আসে ডাক্তারদের,যাকে আমরা বলি ডিফারেনসিয়াল ডায়াগনোনিস।
পরবর্তীতে দেখা গেল আসলেই এটা লেপ্টোস্পাইরোসিস(লেপ্টোস্পাইরা এন্টিবডি পজিটিভ), বাকি সব রিপোর্ট নেগেটিভ রেজাল্ট আসল।
কারন নদী বা পুকুরের পানিতে এই জীবানু থাকে। সিঙ্গেল একটা ক্যাপসুলই এটা থেকে মুক্তি দিতে পারে।যাহোক ছেলেটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে। collected

22/10/2025
এগুলো শুধু শিরা নয়  এগুলো এক ব্যর্থ লিভারের ভয়াবহ বার্তা।এই অবস্থার নাম Caput Medusae গ্রিক পুরাণের সাপচুলকেশী “Medusa”-...
17/10/2025

এগুলো শুধু শিরা নয় এগুলো এক ব্যর্থ লিভারের ভয়াবহ বার্তা।

এই অবস্থার নাম Caput Medusae
গ্রিক পুরাণের সাপচুলকেশী “Medusa”-র নামানুসারে রাখা হয়েছে।

যখন Portal vein (যে শিরা অন্ত্র থেকে লিভারে রক্ত বহন করে) ব্লক হয়ে যায়
সাধারণত Cirrhosis বা লিভার ক্ষত হয়ে গেলে
রক্ত আর লিভারের ভেতর দিয়ে যেতে পারে না।
তখন শরীর বিকল্প পথ তৈরি করে
পেটের সামনের ছোট ছোট শিরাগুলোর মাধ্যমে উল্টো পথে রক্ত চলাচল শুরু হয়,
আর তাই শিরাগুলো ফুলে উঠে, মোচড়ানো সাপের মতো দেখা যায়।

Portal Hypertension (পোর্টাল প্রেসার বেড়ে যাওয়া)-আরও যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে:
• Ascites — পেটে পানি জমে যাওয়া
• Splenomegaly — প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া
• Esophageal varices — খাদ্যনালীতে ফুলে ওঠা শিরা, যা ফেটে মারাত্মক রক্তক্ষরণ ঘটাতে পারে

চিকিৎসা:
মূল রোগ অর্থাৎ লিভারের ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সাথে portal pressure কমানো,
variceal bleeding প্রতিরোধ করা হয় ও প্রয়োজনে TIPS (transjugular intrahepatic portosystemic shunt)
বা liver transplantation করতে হতে পারে।

এই ছবিটা ভয় দেখানোর জন্য নয়
এটা মনে করিয়ে দেয়,
যখন লিভার রক্তের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তখন শরীর এমনই চিৎকার করে ওঠে!

শেয়ার করুন, সচেতন হোন
Dr-Abdur Rahman

'ফ্যাটি লিভার' এই সহজ শব্দযুগল বাংলাদেশে একটি বিশাল ইন্ডাস্ট্রি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পেটে কোনো সমস্যার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম কর...
17/10/2025

'ফ্যাটি লিভার' এই সহজ শব্দযুগল বাংলাদেশে একটি বিশাল ইন্ডাস্ট্রি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পেটে কোনো সমস্যার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে যেয়ে যদি কোনোভাবে ধরা পড়ে যায় ফ্যাটি লিভার, তাহলেই সর্বনাশ! আর আল্ট্রাসনোগ্রাফী বিশেষজ্ঞ স্যারেরা কিছু না পেলে ফাটি লিভার পেতে কখনো কার্পণ্য করেন না।
এরপর মানুষকে বুঝানোই মুশকিল হয়ে যায় - এটার কারণে ব্যাথাও করছেনা, সমস্যাও করছেনা। এটা জাস্ট একটা ইন্সিডেন্টাল ফাইন্ডিং।

আল্ট্রাতে এই জিনিস আসার পর - রোগী নিজেই ধরে নেন - তার শরীরে যত সমস্যা - মাথা ঘুরানো, শরীর ব্যাথা, পায়ে ব্যাথা, অনিদ্রা, মাথা গরম - সব কিছুর নাটের গুরু হচ্ছে এই 'লিভারে চর্বি'।
হয়তো উনার ডায়াবেটিস ১৭, প্রেশার ১৮০ - কিন্তু ওসব নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই। ইহজগতে উনার সমস্যা তখন একটাই - লিভারে চর্বি।
আত্মিয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব সবাই জেনে যায় - উনার ফ্যাটি লিভার।

এসব ক্ষেত্রে আত্মিয় স্বজনরা সাধারণত হতাশ করেন না। তারা নানারকম সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসেন। সমাধানের তালিকায় নিম্নোক্ত জিনিসগুলো উপরের দিকে থাকে।
১. মেথিমিক্স পাউডার
২. টক দই
৩. তেতুলের রস
৪. রোদে বসে চর্বি গলানো
৫. সকালে খালি পেটে গরম পানি।

রোগী বারবার চিকিৎসক বদলান - এলাকার ফার্মেসি থেকে শুরু করে গ্যাস্ট্রোলিভারের বড় অধ্যাপক। তারপর ওষুধ দেখেই রোগী জাজ করে ফেলেন কে বড় ডাক্তার। যে সবচেয়ে বেশি ডোজের 'চর্বির ওষুধ' দেন রোগীর কাছে উনিই সবচেয়ে জ্ঞানী।

যারা একটু সামর্থবান তারা স্কয়ার, এভারকেয়ার ঘুরে আসেন। যারা আরো ধনি ও সচেতন তারা চলে যান বিদেশ। এতে ফ্যাটি লিভারের উন্নতি না হলেও সামাজিক অবস্থান উন্নত হয়। পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে মাংস থেকে চর্বি ফেলে দেয়ার সময় তিনি একটু জোর গলায় বলেন - আমার ফ্যাটি লিভার, চেন্নাই-এর ডাক্তার বলেছেন, চর্বি না খেতে।
পাশে বসে থাকা অতিথিরা একবার হলেও উনার দিকে ভাল করে তাকান এবং মনে মনে বলেন - বাহ! লোকটার স্ট্যাটাস তো অন্যরকম!

যাই হোক, বাঙালি এত কিছু করবে কিন্তু 'ফ্যাটি লিভার'এর সবচেয়ে সহজ যে সমাধান - ৫ থেকে ৭ কেজি ওজন কমানো - ঐটাই করবেনা। এটাই বাস্তব। হাহাহাহা।

(..সংগৃহীত )।।
ডাঃ জি এম আব্দুস সালাম
০১৭১৫-০৯০৮০৭,০১৯৭৫-০৯০৮০৭

কিছুদিন আগে একজন ফার্মাসিস্ট আমাকে কল দিলেন। ছবিটা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে বললেন উনার মেয়ের শরীরে এরকম সমস্যা। বললাম impetig...
04/09/2025

কিছুদিন আগে একজন ফার্মাসিস্ট আমাকে কল দিলেন। ছবিটা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে বললেন উনার মেয়ের শরীরে এরকম সমস্যা। বললাম impetigo হতে পারে। এটা এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ, যা বাচ্চাদের কমনলি হয়।
একটা ক্রিম দিলাম ব্যবহার করার জন্য। ভালো না হলে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে বললাম।
আজকে নিয়ে আসলো। ভালো হয়নি, ঔষধ ব্যবহারের পর আগের মতোই আছে।
একটা প্রশ্ন করলাম-আপনার বাসায় বিড়াল আছে, আপনার মেয়ে বিড়াল পোষে? বললো হ্যা।
ডায়াগনোসিস হয়ে গেলো। রোগটা Cat Scratch Disease. বিড়ালের আচরে/সংস্পর্শে হয়। এজন্যই impetigo'র চিকিৎসায় ভালো হয়নি। আশা করি এখন ঠিক হয়ে যাবে। মূলকথা-যেকোন সমস্যায় সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডা. মোঃ ফারুক প্রধান
এমবিবিএস, বিসিএস, এফসিপিএস(কোর্স)
Collected

বি:দ্র: বিড়ালের কারণে এই রোগ হয় না অনেকের বাসায় বিড়াল নেই তবুও এই রোগটি হয়েছে!!

 #লাইফস্টাইলস্ট্রোকের ২ মাস আগে শরীরে দেখা দেয় ৬টি সতর্ক সংকেত।স্ট্রোককে বলা হয় নীরব ঘাতক। হঠাৎ করেই এটি প্রাণঘাতী হয়ে উ...
04/09/2025

#লাইফস্টাইল
স্ট্রোকের ২ মাস আগে শরীরে দেখা দেয় ৬টি সতর্ক সংকেত।
স্ট্রোককে বলা হয় নীরব ঘাতক। হঠাৎ করেই এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রোক হওয়ার দুই মাস আগেই শরীর কিছু সতর্কবার্তা দিয়ে থাকে। যদি সময়মতো সেই সংকেতগুলো চিহ্নিত করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যায়, তবে বড় ধরনের বিপদ এড়ানো সম্ভব।
স্ট্রোকের আগাম ৬টি ইঙ্গিত হলো:

#বারবার_মাথা_ঘোরা_ও_ভারসাম্য_হারানো:
হঠাৎ মাথা ঘোরা, চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়া বা হাঁটার সময় ভারসাম্য হারানো মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
#হাত_পা_অসাড়_হয়ে_যাওয়া:
শরীরের এক পাশের হাত বা পা হঠাৎ অসাড় হয়ে যাওয়া বা দুর্বল লাগা স্ট্রোকের সম্ভাব্য সংকেত।
#কথায়_জড়তা_ও_অস্পষ্ট_উচ্চারণ:
হঠাৎ কথা আটকে যাওয়া বা অস্পষ্ট উচ্চারণ মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে।
#দৃষ্টি_ঝাপসা_বা_দ্বিগুণ_দেখা:
এক চোখ বা দুই চোখেই হঠাৎ দৃষ্টি সমস্যা দেখা দিলে সেটি অবহেলা করা বিপজ্জনক।
#তীব্র_মাথাব্যথা:
কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা শুরু হলে সেটি স্ট্রোকের আগাম সতর্কবার্তা হতে পারে।
#ক্লান্তি_ও_বিভ্রান্তি:
শরীর অকারণে দুর্বল হয়ে পড়া, অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা হঠাৎ স্মৃতিভ্রংশের মতো উপসর্গও স্ট্রোকের পূর্বাভাস হতে পারে।

#করণীয়: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান ও স্থূলতা স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বাড়ায়।
তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা
নিয়মিত ব্যায়াম করা
ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি।

মনে রাখবেন, শরীরের ছোট ছোট সংকেত বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে। তাই এসব উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

নিরাপদ যৌন অভ্যাস না করলে আপনার অনেক ধরণের রোগ পারে। আজকে, হার্পিস নামক একটি রোগ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। হারপিস কি? জে...
26/08/2025

নিরাপদ যৌন অভ্যাস না করলে আপনার অনেক ধরণের রোগ পারে। আজকে, হার্পিস নামক একটি রোগ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

হারপিস কি?
জেনিটাল হারপিস হল একটি এস টি ডি যা দুই ধরনের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট - হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ 1 (HSV-1) এবং হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ 2 (HSV-2)।
রোগ সংক্রমণ আছে এমন কারো সাথে যেকোনো ধরণের যৌন মিলন যেমন: যোনি, পায়ুপথ বা ওরাল সেক্স করার মাধ্যমে আপনি হারপিস দ্বারা সংক্রমিত হতে পারেন।
এছাড়াও নিম্নে বর্ণিতদের সাথে শারিরীক সম্পর্ক থাকলেও আপনি হারপিস হতে:

১. একটি হারপিস কালশিটে আছে এমন কেউ;
২. মুখে হারপিসের সংক্রমণ আছে এমন কারো সাথে লালার বিনিময় ঘটলে;
৩. যৌনাঙ্গে হারপিস সংক্রমণ আছে এমন কারো সঙ্গে যৌনাঙ্গের তরলের আদব প্রদান ঘটলে;
৪. মুখে হারপিস আছে এমন কারোর সংক্রমিত অংশের চামড়া থেকে বা
হারপিস সংক্রমিত যৌনাঙ্গ ত্বক থেকেও।

এছাড়া এমন একজন যৌন সঙ্গীর দ্বারাও যৌনাঙ্গে হারপিসের সংক্রমণ হতে পারে যার দৃশ্যমান কোন ঘা নেই বা নিজের সংক্রমণ সম্পর্কে তিনি জানেন পর্যন্ত না। আপনি যদি ওরাল হার্পিসে সংক্রমিত সঙ্গীর সাথে ওরাল সেক্স করেন তাহলেও যৌনাঙ্গ হারপিস সংক্রমিত হতে পারে। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার হারপিস আছে, তাহলে অনুগ্রহ করে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

শিক্ষনীয় হচ্ছে- যে কোন ব্যথার ঔষধ খাবার আগে কমপক্ষে একটা CBC (platelet count নরমাল কিনা দেখার জন্য), S. bilirubin & SGPT...
23/08/2025

শিক্ষনীয় হচ্ছে- যে কোন ব্যথার ঔষধ খাবার আগে কমপক্ষে একটা CBC (platelet count নরমাল কিনা দেখার জন্য), S. bilirubin & SGPT (লিভার ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য), S. creatinine (কিডনি ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য) ECG (হার্টে কোন সমস্যা আছে কিনা দেখার জন্য) করা উচিত। রোগী গরীব কিংবা ধনী এসব দেখার সুযোগ নেই।

ডাক্তাররা কেন টেস্ট করেন? কারনে না অকারনে? নাকি কমিশনের জন্য?। প্রথমে 2 টি ঘটনা বলি...
১। একবার 2 দিনের জ্বর নিয়ে ৩০ বছর বয়সী একজন রোগী আমাকে দেখালেন। আমি দেখার পর মনে হল ভাইরাল ফেভার। রোগীর প্রেসার কম আর খেতে পারছে না তাই রুটিন টেস্ট দিয়ে ভর্তি করলাম। ভর্তি হবার 2 ঘন্টা পর (তখনও রিপোর্ট আসে নাই) রোগী হঠাত খারাপ হয়ে গেল। রোগী খুবই ছটপট শুরু করল, প্রেসার 200/120, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, রোগীকে আইসিইউতে নেয়া হল, কিছুক্ষণ পর (৩০ মিনিট এর মধ্যে) রোগী মারা গেল। ওই সময় আমি আর আমার একজন সিনিয়র স্যার সেখানে উপস্থিত ছিলাম। রোগী মারা যাবার পর রিপোর্ট আসল, আমরা দেখলাম platelet count 30000.

রোগীর লোকের কাছে আবারো ইতিহাস নেয়া হল। রোগীর লোক বলল গতকাল অনেক জ্বর ও গায়ে ব্যথা ছিল, গ্রামের ফার্মেসীতে গিয়ে ঔষধ চেয়েছি, diclofen ট্যাবলেট দিয়েছিল। শরীরে platelet count কম থাকলে যে কোন সময় রক্তক্ষরন শুরু হতে পারে। আবার ব্যথার ঔষধগুলো শরীরে রক্তক্ষরনের ঝুঁকি বাড়ায়। এই রোগীর platelet count কম ছিল, তার উপর diclofen খেয়ে ব্রেনে রক্তক্ষরন হয়ে রোগী মারা গেছে।

২। ৩/৪ দিন আগে একজন ডায়াবেটিসের রোগী জ্বর নিয়ে আমাকে দেখালেন, আমার মনে হল তার প্রসাবে ইনফেকশন, আমি প্রসাবের পরীক্ষা দিলাম, কিডনীর টেস্ট আগে করা ছিল, নরমাল ছিল তাই আর করালাম না। রোগী বাসা গেলো। ২ দিন পর রোগী হাস্পাতালে ভর্তি হল, রোগীর তেমন কোন উন্নতি নেই, C/S দেখার পর এ্যান্টবায়োটিক পরিবর্তন করবো, ভাবলাম কিডনী কেমন আছে দেখি (আগের রিপোর্ট খুজে পেলাম না, তাই কিডনীর পরীক্ষাটা করতে দিলাম)। রিপোর্ট আসার পর আমার কোনভাবেই সঠিক মনে হয় নাই, কারন S. creatinine 12 mg/dl ছিল, ল্যাবে বললাম রিপিট কর, রিপোর্ট একই আসল। S. electrolyes করে দেখলাম hyperkalaemia আছে। রোগীর গতকাল ডায়ালাইসিস করা হয়েছে।

তাহলে এসব টেস্ট কি অকারনে করা হয়েছিল???শিক্ষনীয় হচ্ছে-ডায়াবেটিস/হাইপ্রেসারের রোগীর মাঝে মাঝে (অন্তত ৬ মাসে ১ বার) এবং যে কোন acute illness এ ভাইটাল অর্গানগুলো চেক করা উচিত। (এই রোগীকে প্রথমেই কিডনীর পরীক্ষা দিলে, রোগী বলত সামান্য জর নিয়ে এলাম আর ডাক্তার এত গুলো পরিক্ষা অকারনে দিল, আর রোগী যখন খারাপ হয়ে গেল তখন রোগির লোকের ভাষ্য-আপনি আগে কেন কিডনী টেস্ট করালেন না)।

এবার আসি পরীক্ষা-নীরিক্ষায়। কোন পরীক্ষা কেন করা হয়??
CBC করে আমরা অনেকগুলো তথ্য পাই, যেমন-শরীরে রক্তের পরিমান কেমন, শরীরে কোন ইনফেকশন আছে কিনা, ব্লাড ক্যন্সার আছে কিনা এবং platelet count কেমন, যা কমে গেলে শরীর থেকে রক্ত ক্ষরন হতে পারে। যে কোন রোগির এই টেস্ট না করে তার শরীরের সার্বিক অবস্থা বুঝা সম্ভব না।

RBS এই পরীক্ষা দিয়ে কারো ডায়াবেটিস আছে কিনা তা স্ক্রেনিং করি। ১৮ বছর পর এই পরীক্ষা বছরে অন্তত একবার করা উচিত, তবে যাদের বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস আছে আর যাদের ওজন বেশি তাদের বছরে অন্তত ২ বার (৬ মাস পর পর) করা উচিত। কারো যদি ডায়াবেটিস untreated or uncontrolled থাকে তবে তার কিডনী নষ্ট হয়ে যেতে পারে, হারট এ্যাটাক, ষ্ট্রোক, অন্ধত্ত সহ আরো অনেক জটিল রোগ হতে পারে।

S. creatinine এই টেস্ট দিয়ে আমাদের কিডনী ঠিক আছে কিনা দেখা হয়। কিডনী রোগ যত তারাতারি ধরা পরবে তত ভালো হবার সম্ভবনা বেশি। যাদের ডায়াবেটিস/হাইপ্রেসার আছে তাদের কিডনী নষ্ট হবার সম্ভবনা অনেক বেশি। তাছাড়া যে কোন ধরনের ব্যথার ঔষধ , কিছু প্রেসারের ঔষধ, কিছু ডায়াবেটিসের ঔষধ, বাত রোগের ঔষধ, ক্যান্সারের ঔষধ দেয়া না দেয়া, কি ডোজে দিতে হবে তা নির্ভর করে S. creatinine এর উপর। বছরে অন্তত একবার S. creatinine করা উচিত।

Urine R/E এটি খুবই সাধারন একটি পরীক্ষা কিন্তু খুবই ইনফরমেটিভ, এটি দিয়ে প্রসাবে ইনফেকশন আছে কিনা, কিডনীতে কোন সমস্যা আছে কি না, কিডনীতে কোন পাথর আছে কিনা, ডায়াবেটিস আছে কিনা ইত্যাদি জানা যায়। এছাড়াও কারো কিডনীতে সমস্যা কেবল শুরু হয়েছে কিনা (যা চিকিতসায় ভালো করা সম্ভব) তাও বোঝা যায় (প্রসাব দিয়ে যদি protein যায় তবে বুঝতে হবে কিডনীতে সমস্যা শুরু হয়েছে)।

ECG গত সপ্তাহে একজন ডায়াবেটিস রোগী দেখেছিলাম, যিনি ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন, ভেবেছিলেন ঔষধ খাবার আর দরকার নেই, তার ডায়াবেটিসের পরীক্ষা, কিডনীর পরীক্ষা আর ECG করতে দিলাম, ECG তে Recent anterior MI আসল, ইকো করার পর Ischaemic cardiomyopathy আসল। ডায়াবেটিস ও হাইপ্রেসারের রোগীর বছরে অন্তত একবার এবং বুকে যে কোন সমস্যা হলে ECG করা উচিত। কারন Heart attack বয়স্ক এবং ডায়াবেটিসের রোগীর বুকে কোন ব্যাথা ছাড়াই হতে পারে।

আমার নন-মেডিকেল বন্ধুদের বলছি কেউ যদি এসব টেস্ট (CBC, RBS, S. creatinine, Urine R/E, ECG) করেন, তাহলে ভাববেন না আর জীবনেও এসব করা লাগবে না, আপনি যদি আজ সব টেস্ট করেন আর কালকেই যদি আপনার বুকে ব্যাথা হয় তবে আবারো ECG করতে হবে। দয়া করে ভুল বুঝবেন না। ডাক্তার যে টেস্ট করতে দেন তা আপনার জন্যই, আপনার চিকিতসার জন্যই।

আমি আমার ছাত্র-ছাত্রীদের বলছি, তোমরা কোন রোগীকে চিকিতসা দেবার আগে সবসময় চেষ্টা করবে রুটিন পরীক্ষাগুলো করাতে, কারন একটা জিনিস মনে রাখবে, মেডিকেল সাইন্সে হিরো কখনই তুমি হতে পারবেনা, কিন্তু তোমার এক ভুলে তুমি জিরো হয়ে যাবে। রোগী গরীব বা ধনী সবাইকে আইডিয়াল এপ্রোচ করবে, যে টেস্ট লাগবে তা রোগীকে করতে বলবে, রোগি যদি করতে না চায় তবে নোট লিখে রাখবে এবং চিকিতসা দিবে; রোগী ভালো না হলে তোমাকে বেশি চার্জ করবে না, কারন চিকিতসার জন্য দরকা্রি পরিক্ষাতো তারা করান নাই। কিন্তু তুমি যদি পরীক্ষা না করাতে দাও আর রোগীর উন্নতি না হয় বা ঔষধের কোন সাইড ইফেক্ট হয় তবে তোমার ঘাড় ধরে বলবে আপনি কেন পরীক্ষা না করিয়ে চিকিতসা দিলেন??

সবার জন্য বলছি আপনি আপনার টিভি, ফ্রিজ, বাইক, গাড়ি মাঝে মাঝে চেক করেন, সার্ভিসিং করেন, নিজের শরীরটার বছরে ১ বার সার্ভিসিং করেন, বছরে ১ বার CBC, RBS, S. creatinine, Urine R/E, ECG, Fasting lipid profiles করে একজন ফিজ়িশিয়ানকে দেখান। এসবের জন্য ২০০০-২৫০০ টাকার বেশি খরচ হবে না। নিজের জন্য বছরে অন্তত এই টাকাটা খরচ করুন, তাহলে ভবিষ্যতে অনেক ভালো থাকবেন।.............................................
ডাঃ রতীন্দ্র নাথ মণ্ডল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
রংপুর স্পেশালাইজড হাসপাতাল।
প্রতিষ্ঠাতা- ডাক্তারখানা।
Collected
pic for attention

11/08/2025

Celebrating my 6th year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

**আপনার পায়ের পেশি আপনার দ্বিতীয় হার্ট? জানতেন কি?**বিশেষ করে *soleus muscle*, যা পায়ের পাতার একটু ওপরে, পায়ের পেছনের গভ...
11/08/2025

**আপনার পায়ের পেশি আপনার দ্বিতীয় হার্ট? জানতেন কি?**
বিশেষ করে *soleus muscle*, যা পায়ের পাতার একটু ওপরে, পায়ের পেছনের গভীরে থাকে—এটা শুধু হাঁটা বা দৌড়ানোর জন্য নয়, বরং আপনার বেঁচে থাকার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

যখনই আপনি হাঁটেন, পা ভাঁজ করেন বা সামান্য নড়াচড়া করেন, এই পেশিটি সংকোচনের মাধ্যমে রক্তকে উপরের দিকে ঠেলে দেয়, যা মাধ্যাকর্ষণকে প্রতিহত করে। এর ফলে রক্ত পায়ের নিচে জমে না থেকে আবার উপরের দিকে, হৃদয়ের দিকে ফিরে যায়। এভাবে সার্কুলেশন ঠিক থাকে, এবং ফোলাভাব, ভেরিকোজ ভেইন এমনকি ব্লাড ক্লট হওয়ার ঝুঁকি কমে।

যারা দীর্ঘ সময় বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করেন, তাদের জন্য এই পেশির কাজ আরও গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পা নড়াচড়া করা শুধু ব্যায়াম নয়—এটা এক ধরনের লাইফ সাপোর্ট।

**মজার তথ্য:** দাঁড়িয়ে বা হাঁটার সময়, Soleus muscle প্রতি বার সংকোচনে *হৃদপিন্ডের চেয়েও বেশি রক্ত পাম্প করতে পারে*।

📌 তাই যখন হাঁটবেন বা পা স্ট্রেচ করবেন, মনে রাখবেন—আপনার 'দ্বিতীয় হৃদয়' তখনও আপনার জন্য কাজ করছে।

Dirección

Mad Street
Havana
YVJNNN

Notificaciones

Sé el primero en enterarse y déjanos enviarle un correo electrónico cuando PAGLA পাগলা Doctors publique noticias y promociones. Su dirección de correo electrónico no se utilizará para ningún otro fin, y puede darse de baja en cualquier momento.

Contacto El Consultorio

Enviar un mensaje a PAGLA পাগলা Doctors:

Compartir

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Categoría