Nusrat Jahan - Registered Nutritionist UK and Clinical Dietitian BD

Nusrat Jahan - Registered Nutritionist UK and Clinical Dietitian BD Clinical Dietitian | Health & Nutrition Educator | Diabetes Care Expert
✨ 11 Years of Experience in Nutrition & Wellness
(4)

I am an experienced Health and Nutrition Educator, Clinical Dietitian, and Diabetes Care Specialist with over 11 years of expertise in patient counseling, nutrition education, and promoting overall health and well-being. I hold an MSc in Diabetes Care from the University of Salford (UK) and an MSc in Food and Nutrition from the University of Dhaka (Bangladesh), providing a strong academic foundation for my professional work. Throughout my career, I have created more than 7,000 personalized dietary plans designed for a wide range of medical conditions. My work is rooted in evidence-based practices, and I specialize in developing structured education programs for disease management and prevention. As a dedicated educator, I have mentored and guided over 1,000 students in food and nutrition, using interactive teaching methods such as group discussions, role-playing, and real-life case studies. I am passionate about helping future healthcare professionals gain the knowledge and skills they need for meaningful careers. My goal is to continuously advance knowledge in nutrition and to inspire others through education, personalized care, and professional leadership in the field.

04/11/2025

ডায়াবেটিস বা ব্লাড সুগার আজকের দিনে একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এটি একটি মেটাবলিক ডিসঅর্ডার যেখানে কিছু হরমোনের কর্মহীনতার (ডিসফাংশন) কারণে রক্তে সুগার বা গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। ডায়াবেটিসের কোনো নির্দিষ্ট বয়স থাকছে না এবং অল্প বয়সেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

ডায়াবেটিস কী ও কারণ
ডায়াবেটিস মানে শুধু সুগার বেশি হওয়া নয়। বিশেষ করে সবচেয়ে সাধারণ প্রকার, টাইপ টু ডায়াবেটিস (যা প্রায় ৯০% রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায়), তার সঙ্গে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ (ব্লাড প্রেসার), লিপিড প্রোফাইলের সমস্যা এবং রক্ত ক্লট করার প্রবণতাও যুক্ত থাকে।

এর কারণ হলো পরিবেশগত এবং জেনেটিক্স বা বংশগত কারণের একটি সংমিশ্রণ। যেহেতু জিন পরিবর্তন করা যায় না, তাই পরিবেশগত উপাদানগুলির উপরই বেশি জোর দেওয়া হয়।

ডায়াবেটিসের সঙ্গে জড়িত মূল হরমোনটি হল ইনসুলিন, যা রক্তে সুগারের মাত্রা কম রাখতে কাজ করে। ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো, মাত্র একটি হরমোন সুগার কম রাখার চেষ্টা করে, কিন্তু অন্তত চারটি হরমোন সুগার বাড়ানোর চেষ্টা করে।

▪️টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস: এতে ইনসুলিন তৈরি হয় না। এটি তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়।
▪️টাইপ টু ডায়াবেটিস: এতে ইনসুলিন তৈরি হলেও তা ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, যা ইনসুলিন রেজিস্টেন্স নামে পরিচিত।

জেনেটিক্স বাদে প্রধান সংশোধনযোগ্য কারণগুলি হলো:
1. স্থূলতা বা অতিরিক্ত চর্বি (বডি ফ্যাট): বিশেষ করে পেটের মধ্যে চর্বি জমা হওয়া (ইন্ট্রা অ্যাবডোমিনাল ফ্যাট) টাইপ টু ডায়াবেটিসের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর।
2. শারীরিক ব্যায়ামের অভাব।
3. স্ট্রেস ও ঘুমের অভাব: পর্যাপ্ত ঘুম (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা সাউন্ড স্লিপ) স্বাস্থ্যের জন্য এবং ডায়াবেটিসের মতো মেটাবলিক রোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়াও, বর্তমানে ডায়াবেটিস বেশি ধরা পড়ার কারণগুলির মধ্যে রয়েছে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি (এটি বয়স বাড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি রোগ) এবং রোগ নির্ণয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।

লক্ষণ এবং পরীক্ষা
টাইপ টু ডায়াবেটিস ধীরে ধীরে বিকশিত হয় বলে অনেক ক্ষেত্রেই সুগার বেশি থাকা সত্ত্বেও রোগীর কোনো তাৎক্ষণিক লক্ষণ নাও থাকতে পারে। তাই শুধু লক্ষণের ওপর নির্ভর করলে সকল ডায়াবেটিস রোগীকে সনাক্ত করা সম্ভব হয় না।

ক্লাসিক্যাল লক্ষণগুলি সুগার মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ফলে দেখা যায়, যা মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে।এগুলো হলো
1. অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া (বহুমূত্র)।
2. অতিরিক্ত জল পিপাসা (পলিডিপসিয়া): শরীর থেকে জল বেরিয়ে যাওয়ার কারণে জল খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
3. খিদে বেশি পাওয়া: গ্লুকোজ বেশি থাকা সত্ত্বেও কোষগুলো তা ব্যবহার করতে পারে না, ফলে মস্তিষ্ক খাবারের অভাব অনুভব করে।

অন্যান্য সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে দুর্বলতা, ঘন ঘন সংক্রমণ বা ফোঁড়া হওয়া, কেটে গেলে শুকোতে দেরি হওয়া এবং দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া বা চশমার পাওয়ার ঘন ঘন পরিবর্তন।

ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য প্রধানত তিনটি পরীক্ষা করা হয়:
1. খালি পেটে সুগার টেস্ট: অন্তত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা না খেয়ে এই পরীক্ষা করতে হয় (জল পান করা যেতে পারে)।
2. খাওয়ার পরের পরীক্ষা (পোস্ট-প্র্যান্ডিয়াল): সাধারণত ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরে এটি করা হয়।
3. গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন (HbA1c): এই পরীক্ষাটি খাবার খাওয়া বা না খাওয়ার ওপর নির্ভর করে না এবং এটি গত দুই-তিন মাসের গড় সুগার নিয়ন্ত্রণের একটি ধারণা দেয়।

চিকিৎসা পদ্ধতি
চিকিৎসার শুরুতে রোগীর সঙ্গে এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রোগটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়, যাতে তারা চিকিৎসার গুরুত্ব ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকৃতি বুঝতে পারে।

প্রাথমিকভাবে কিছু লক্ষ্যমাত্রা (টার্গেট) সেট করা হয়—যেমন শরীরের ওজন, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং নির্দিষ্ট সুগারের মাত্রা (খালি পেটে, খাওয়ার পর এবং HbA1c) কত রাখতে হবে।

যদি সুগারের মাত্রা খুব বেশি না থাকে বা গুরুতর লক্ষণ প্রকাশ না পায়, তবে প্রাথমিকভাবে জীবনযাত্রার পরিবর্তন, যেমন খাদ্যভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ওষুধ এবং ইনসুলিন
লাইফস্টাইল পরিবর্তন সত্ত্বেও সুগার নিয়ন্ত্রণে না এলে বা শুরুতেই সুগারের মাত্রা অত্যন্ত বেশি থাকলে (যেমন খালি পেটে ২৫০-এর বেশি, খাওয়ার দু’ঘণ্টা পর ৩৫০-৪০০ বা HbA1c ৯ বা ৯.৫-এর বেশি) ওষুধ বা ইনসুলিন শুরু করা হয়।

অত্যন্ত বেশি সুগার থাকলে প্রথমে ইনসুলিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে পরে ট্যাবলেটে ফেরত যাওয়া যেতে পারে। তবে, ডায়াবেটিসের মূল সমস্যাটি থেকে যায় বলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওষুধ একবার শুরু করলে তা বন্ধ করা যায় না, বরং চালিয়ে যেতে হয়, যদিও ডোজ কমানো যেতে পারে।

শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও যাদের হাঁটুর ব্যথা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হয়, তাদের জন্য নন-ওয়েট বিয়ারিং এক্সারসাইজ (যেমন হাত ঘোরানো বা সাঁতার) করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই ধরনের ব্যায়াম হাঁটার তুলনায় কম কার্যকরী হতে পারে, তাই এর সময়কাল বাড়াতে হতে পারে ।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া এবং খাদ্যাভ্যাস
সুগারের কিছু ওষুধ বা ইনসুলিন ব্যবহারের ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা অত্যধিক কমে যেতে পারে (হাইপোগ্লাইসেমিয়া)। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক, কারণ গ্লুকোজ সরবরাহ কমে গেলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়, যার ফলে ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, খিঁচুনি হতে পারে এবং এমনকি ১৫ মিনিটের মধ্যে মৃত্যুও ঘটতে পারে। তাই সুগার কমানোর ওষুধ বা ইনসুলিন নিলে সময়মতো খাওয়া খুব দরকার। কর্মব্যস্ত জীবনে খাবার খেতে দেরি হলে সামান্য বিস্কিট বা কিছু একটা সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

✍️নিলুফার ইয়াসমিন দিপা
ফুড এন্ড নিউট্রিশন

খোসাসহ নাকি খোসা ছাড়া বাদাম? কিভাবে খাবেন?চলুন জেনে নেয়া যাক বাদামের লাল খোসার উপকারিতা। কমবেশি আমাদের সকলেরই প্রিয় চিনা...
03/11/2025

খোসাসহ নাকি খোসা ছাড়া বাদাম? কিভাবে খাবেন?

চলুন জেনে নেয়া যাক বাদামের লাল খোসার উপকারিতা। কমবেশি আমাদের সকলেরই প্রিয় চিনাবাদাম যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ একটি খাবার। কিন্তু মজার বিষয় হলো চিনাবাদামে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তার বেশির ভাগই পাওয়া যায় এই লালচে আবরণে। লালচে এই আবরণে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী ডায়েটারী ফাইবার এবং আরো রয়েছে প্রোসিয়ানিডিন, ক্যাটেকিন এর মতো ফ্ল্যাভিনয়েড যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও বাদামের খোসায় ভিটামিন বি৩ (নায়াসিন) থাকে যা শুধু শরীরের জন্যই নয় ত্বক আর চুলের জন্যও বেশ উপকারী। তাই চলুন এখন থেকে আর পুষ্টি উপাদান ফু দিয়ে উড়িয়ে না দিয়ে খোসাসহ বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করা যাক।

জান্নাতুল স্বর্ণা
ফুড এন্ড নিউট্রিশন

সকালের নাস্তা কি আমাদের সারাদিনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ খাবার?সকালের নাস্তা বা ব্রেকফাস্ট সারাদিনের জন্য শরীরকে প্রস্তুত ...
03/11/2025

সকালের নাস্তা কি আমাদের সারাদিনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ খাবার?

সকালের নাস্তা বা ব্রেকফাস্ট সারাদিনের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে। তাই নিঃসন্দেহে এটি দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা হতে পারে ক্যালসিয়াম এবং আঁশ জাতীয় খাবারের ভালো উৎস। খেতে পারেন প্রোটিন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগানোর জন্য সকালের নাস্তা খাওয়াটা বেশ জরুরী। এটি শক্তি জোগায়। সকালে ভরপেট নাস্তা করলে দুপুরের আগে খুব বেশি খিদে লাগে না, কারণে-অকরণে এটা-সেটা খাওয়ারও দরকার হয়না।

একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ২৬০ ক্যালরির বেশি খেয়ে থাকেন, তাদের ওজন যারা সকালে নাস্তা করেন না, তাদের তুলনায় অন্তত এক পাউন্ড বেশি হয়। আর শিশুদের ক্ষেত্রে সকালের ভালো নাস্তা মনোযোগ ও একাগ্রতা বাড়াতে ভীষণ সাহায্য করে। তাই দেরি না করে সকালের নাস্তা সময়মতো খাওয়া উচিত।

অনেকেই আছেন রাতে অনেকেটা সময় জেগে থাকেন। তারা দেরি করে খাবার খান। সেজন্য সকালে খিদেও লাগে না। তারা ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চ একসঙ্গে অর্থাৎ ‘ব্রাঞ্চ’করেন। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও ভালো নয়।

সকালের নাস্তা না রাতের খাবার না খাওয়া কোনটি ভালো?

পিটারসন বলেছেন " ভোজন কমানোর জন্য সকালের নাস্তা বাদ দেওয়ার চেয়ে রাতের খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভাল হতে পারে।

# আসুন জেনে নেই সকালের নাস্তা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

নাস্তা বিপাক প্রক্রিয়া বাড়ায়: নাস্তায় আরামদায়ক খাবার বিপাক বাড়ায় এবং শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হজমের জৈবিক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। সারাদিনের জন্য পুষ্টি সঞ্চয় করে।

ক্যালরি খরচ শরীরকে সচল রাখে: আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, হজম শক্তি জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। আর সেটা হজম ও বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। শরীরের জ্বালানির যোগান দিতেও সকালে ভরপুর নাস্তা করা উচিত।

নাস্তা খাবারের চাহিদা কমায়: বাড়তি ক্যালরি এড়ানোর জন্য সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সকালের নাস্তায় আঁশ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া সারাদিনের খাবারের চাহিদা কমায়। এতে সারাদিন অন্যান্য খাবারের প্রতি কম আকর্ষণ বোধ হয় এবং শরীর সুস্থ ও সুন্দর থাকে।

সকালের নাস্তা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: সকালের নাস্তার রয়েছে নানামুখি উপকারিতা। এর মধ্যে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো অন্যতম। সকালের নাস্তার কার্বোহাইড্রেট মস্তিষের স্বাস্থ্যভালো রাখার জন্য জরুরি। ভালো নাস্তা করা হলে তা মস্তিষ্কের উপর ইতিবাচক প্রভাব রাখে। মানসিক চাপ কমায় এবং মন মেজাজ ভালো রাখে।

স্থূলতা ঝুঁকি কমায়: গবেষণা করে দেখা গেছে, সকালে নাস্তা করলে স্থূলতাসহ নানান স্বাস্থ্য সমস্যা দূর হয়।

--

শিশুদের ক্ষেত্রে :
সারা দিনের কিলোক্যালরির ৪ ভাগের ১ ভাগ অথবা কিছু বেশি সকালের নাশতায় অবশ্যই পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ, এক বছর বয়সী শিশুর জন্য সকালের নাশতায় থাকা উচিত ২৫০-৩০০ কিলোক্যালরি। এই চাহিদা মেটাতে নাশতার মেন্যুতে থাকতে পারে ১টি ডিম, ১টি হাতে বানানো রুটি দিয়ে সবজির রোল, ২৫০ মিলিলিটার দুধ ও ১টি ছোট কলা।

একবারে খেতে না চাইলে এই খাবার শিশুকে দুই ভাগে দিন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং মিড মর্নিং অর্থাৎ সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আরেকবার দেওয়া যেতে পারে।

প্রতিদিন একই খাবার না দিয়ে নাশতায় বৈচিত্র্য রাখলে শিশুরা আগ্রহ নিয়ে খাবে। সে ক্ষেত্রে রুটি-সবজি রোলের পরিবর্তে একদিন সিরিয়াল, ডিম, দুধ, কলা, একদিন ডিম, আটা, চিনি ও দুধ দিয়ে বানানো প্যানকেক এবং কলা দেওয়া যেতে পারে।

প্রতিদিন সিদ্ধ ডিম না দিয়ে একদিন ডিম তেলে ভেজে দিতে পারেন। ডিম ভাজার সময় ওপরে একটু চিনি ছিটিয়ে দিলে সুন্দর বাদামি রং হবে আর খানিকটা গ্লুকোজও যোগ হবে। আবার হয়তো একদিন ডিম ও দুধ দিয়ে পুডিং হতে পারে।

#আপনার শিশুর বয়স যদি হয় ৬মাস থেকে ১ বছর তাহলে তার জন্য উপযুক্ত কয়েকটি খাবার হলো-

খিচুড়ি- নরম করে রান্না করা খিচুড়ি শিশু অনায়াসেই খেতে পারে সকালের নাস্তায়। খিচুড়ি এমন একটি খাবার যার মধ্যে প্রায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদানই থাকে। সকালে ভরপেট খিচুড়ি খেলে শিশুরা সারাদিন প্রচুর এনার্জি পাবে সেই সাথে খাবার সঠিকভাবে হজম হওয়ারও সময় পাবে। এতে করে শরীর সুস্থ এবং কর্মচঞ্চল থাকে।
ওটস- ওটস দিয়ে কলা কিংবা ডিম দিতে পারেন। ওটস দুধের মধ্যে ২/৩ মিনিট জাল করে নরম হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে। ছোট বাচ্চাদের জন্য চিনি ব্যবহার করার পরিবর্তে মধু কিংবা খেজুরের গুঁড়া দিয়ে রান্না করতে পারেন।

দুধ-রুটি- দুধের মধ্যে রুটি ভিজিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ানো যায়। এটি সহজে হজম হয় এবং বাচ্চারা পছন্দ করে খায়।

সুজির হালুয়া- ঘরে তৈরি সুজির হালুয়া ছোট বাচ্চাদের জন্য একটি উত্তম খাবার।

ফলের পিউরি- বিভিন্ন ফলের পিউরি বাচ্চাদের জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার। তবে সকাল বেলা সরাসরি কিংবা খালি পেটে ফলের কিছু না দিয়ে অন্যান্য খাবারের সাথে এটি দিতে পারেন

এগুলো তো গেল ৬মাস থেকে এক বছরের বাচ্চার খাবারের ধারনা।

--

এখন আসি ১ বছর থেকে ৩ বছরের শিশুদের খাবার কেমন হওয়া উচিত।

খিচুড়ি- এই বয়সের বাচ্চাদের জন্যও খিচুড়ি একটি আদর্শ খাবার।

পাস্তা অথবা নুডুলস- সকালের নাস্তায় আপনার সন্তানকে দিতে পারেন পাস্তা অথবা নুডুলস। তবে কখনই এগুলোর প্যাকেটে থাকা এক্সট্রা মশলা বা টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করবেন না। নুডুলসের মধ্যে ডিম গুলে দিতে পারেন সাথে কিছু সবজি। এতে শিশুর ডিমের চাহিদা পূরণ হবে সেই সাথে সবজিতে থাকা খনিজ লবণ ও ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ হবে।

রুটি-সবজি- এই বয়সী বাচ্চাদের প্রায় সবারই দাঁত উঠে যায়। তাই এখন আপনি তাকে সবজি, ডিম কিংবা হালুয়া দিয়ে রুটি দিতে পারেন।

খেজুর,বাদাম ও অন্যান্য- শিশুদের জন্য খেজুর, বাদাম এবং অন্যান্য শুকনো ফলের উপকারিতা অত্যধিক। তাই চেষ্টা করুন নিয়মিত সন্তানকে এসব খাবার খাওয়াতে।

ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট খাবার

ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর নাস্তার ধারণাগুলির মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:

ওটমিল ফ্যাট-দুধ দিয়ে রান্না করা হয় এবং কলা বা অন্যান্য ফল দিয়ে সাজানো হয়: উচ্চ ফাইবারযুক্ত সিরিয়াল (প্রতি পরিবেশনে প্রায় তিন থেকে চার গ্রাম), কম চিনি ও চর্বি, চর্বিমুক্ত প্রাকৃতিক দই এবং দুধ এবং এক টুকরো ফল

দুই টুকরো পুরো-শস্যের রুটি, দুই টুকরো চর্বিহীন বেকন বা টার্কি বেকন, টমেটো, লেটুস এবং কম চর্বিযুক্ত মায়ো একটি স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট

স্যান্ডউইচ তৈরি করে
দুই-ডিমের অমলেটের উপরে মাশরুম, ক্যাপসিকাম এবং ভেষজ পুরো-শস্য টোস্টের সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে।

এক টুকরো ফল, পুরো শস্যের রুটিতে পিনাট বাটার মাখিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

চর্বি-মুক্ত দুধ, তাজা বা হিমায়িত ফল এবং চর্বি-মুক্ত দই ব্যবহার করে তৈরি স্মুদি বানাতে পারেন। অতিরিক্ত ফাইবারের জন্য, এক টেবিল চামচ মুয়েসলি (muesli)যোগ করুন।

কম ফ্যাটযুক্ত দই, তাজা ফলের সালাদ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

সকালের নাস্তা কখন খাওয়া উচিত?
ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘণ্টার মধ্যে নাস্তা করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম থেকে ওঠার পরপরই সকালের নাস্তা খাওয়া আপনার মেটাবলিজমের জন্য উপকারী।

আপনি যদি জিমে যান এবং সকালে ব্যায়াম করতে পছন্দ করেন তবে ওয়ার্কআউট করার অন্তত আধা ঘন্টা আগে হালকা কিছু খান, যেমন কলা বা অ্যাভোকাডো টোস্ট।

যাইহোক, যদি আপনি মনে করেন যে আপনার ওয়ার্কআউট ব্যাহত হচ্ছে এবং আপনি খালি পেটে আরও ভাল করতে পারেন, আপনি ওয়ার্কআউট করার পরে ব্রেকফাস্ট খেতে পারেন।এখন আসি ১ বছর থেকে ৩ বছরের শিশুদের খাবার কেমন হওয়া উচিত।

খিচুড়ি- এই বয়সের বাচ্চাদের জন্যও খিচুড়ি একটি আদর্শ খাবার।

পাস্তা অথবা নুডুলস
সকালের নাস্তায় আপনার সন্তানকে দিতে পারেন পাস্তা অথবা নুডুলস। তবে কখনই এগুলোর প্যাকেটে থাকা এক্সট্রা মশলা বা টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করবেন না। নুডুলসের মধ্যে ডিম গুলে দিতে পারেন সাথে কিছু সবজি। এতে শিশুর ডিমের চাহিদা পূরণ হবে সেই সাথে সবজিতে থাকা খনিজ লবণ ও ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ হবে।

রুটি-সবজি- এই বয়সী বাচ্চাদের প্রায় সবারই দাঁত উঠে যায়। তাই এখন আপনি তাকে সবজি, ডিম কিংবা হালুয়া দিয়ে রুটি দিতে পারেন।

খেজুর,বাদাম ও অন্যান্য- শিশুদের জন্য খেজুর, বাদাম এবং অন্যান্য শুকনো ফলের উপকারিতা অত্যধিক। তাই চেষ্টা করুন নিয়মিত সন্তানকে এসব খাবার খাওয়াতে।

ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট খাবার:

ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর নাস্তার ধারণাগুলির মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:

ওটমিল ফ্যাট-মুক্ত দুধ দিয়ে রান্না এবং কলা বা অন্যান্য ফল দিয়ে: হাই ফাইবারযুক্ত সিরিয়াল (প্রতি পরিবেশনে প্রায় তিন থেকে চার গ্রাম), কম চিনি ও চর্বি, চর্বিমুক্ত প্রাকৃতিক দই এবং দুধ এবং এক টুকরো ফল।

দুই টুকরো পুরো-শস্যের রুটি, দুই টুকরো চর্বিহীন বেকন বা টার্কি বেকন, টমেটো, লেটুস এবং কম চর্বিযুক্ত মায়ো একটি স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট হতে পারে।

দুই-ডিমের অমলেটের উপরে মাশরুম, ক্যাপসিকাম দিয়ে টোস্টের সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে।

এক টুকরো ফল, পুরো শস্যের রুটিতে পিনাট বাটার মাখানো।

চর্বি-মুক্ত দুধ, তাজা বা হিমায়িত ফল এবং চর্বি-মুক্ত দই ব্যবহার করে তৈরি স্মুদি; অতিরিক্ত ফাইবারের জন্য, এক টেবিল চামচ মুয়েসলিও যোগ করতে পারেন।

কম ফ্যাটযুক্ত দই, তাজা ফলের সালাদ ইত্যাদি।

সকালের নাস্তা কখন খাওয়া উচিত?
ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘণ্টার মধ্যে নাস্তা করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম থেকে ওঠার পরপরই সকালের নাস্তা খাওয়া আপনার মেটাবলিজমের জন্য উপকারী।

আপনি যদি জিমে যান এবং সকালে ব্যায়াম করতে পছন্দ করেন তবে ওয়ার্কআউট করার অন্তত আধা ঘন্টা আগে হালকা কিছু খান, যেমন কলা বা অ্যাভোকাডো টোস্ট।

যাইহোক, যদি আপনি মনে করেন যে আপনার ওয়ার্কআউট ব্যাহত হচ্ছে এবং আপনি খালি পেটে আরও ভাল করতে পারেন, আপনি ওয়ার্কআউট করার পরেও ব্রেকফাস্ট খেতে পারেন।

-

সকালের নাস্তায় কিছু ভুল:

1. ব্যালেন্স না থাকা:
পুষ্টির দৃষ্টিকোণ থেকে একটি ভাল স্বাস্থ্যকর সুষম ব্রেকফাস্ট তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ।

2. নাস্তা না করা:
সকালের নাস্তা এড়িয়ে যাওয়া মানুষের সবচেয়ে বড় ভুলগুলির মধ্যে একটি; সকালের নাস্তা এড়িয়ে যাওয়া অবশ্যই একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প নয় কারণ এটি শরীরের বিপাককে কমিয়ে দেয়, যা ওজন কমানোর চাবিকাঠি।

3. তরল জাতীয় খাবার রাখা:
মুখ থেকে হজম শুরু হওয়ার সাথে সাথে আমরা যে খাবার খাই তা থেকে সর্বাধিক সুবিধা পাওয়ার জন্য চিবানোর সংখ্যা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

"ফলের আপনাকে অল্প সময়ের জন্য পরিপূর্ণ করে তুলবে, সারা দিন ক্যালোরির জন্য আকাঙ্খা করবে এবং ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের মতো পুষ্টির ঘাটতি ঘটায়।

4. নাস্তার জন্য শুধু প্রোটিন খাওয়া: ওজন কমানোর জন্য প্রোটিন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। যেহেতু এটি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করতে এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে সহায়তা করে। তাই বলে নাস্তায় শুধু প্রোটিন না রেখে অন্যান্য উপাদানও রাখুন।

5. ভুল কার্বোহাইড্রেট নির্বাচন করা: কার্বোহাইড্রেটগুলি তাত্ক্ষণিকভাবে শরীরকে জ্বালানী দেওয়ার জন্য এবং বিপাকীয় চক্র বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্যানকেক, পাউরুটি এবং মাফিনের মতো দ্রুত নাস্তায় ফাইবার উপাদানের অভাব রয়েছে এবং এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা আপনার ওজন বাড়াতে পারে।

তাই, সকালের নাস্তার ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াই, সুস্থ দেহ গড়ি।

আজ ২০২৫ সালের পহেলা নভেম্বর অর্থাৎ, এ বছরের আর মাত্র ৬০ দিন বাকি। বছরের শুরুতে আমরা অনেকেই নিজের জীবনে পরিবর্তন আনার প্র...
01/11/2025

আজ ২০২৫ সালের পহেলা নভেম্বর অর্থাৎ, এ বছরের আর মাত্র ৬০ দিন বাকি। বছরের শুরুতে আমরা অনেকেই নিজের জীবনে পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিই -কেউ বলেন ওজন কমাবেন, কেউ ফিটনেসে মনোযোগ দেবেন, কেউ মানসিক শান্তি খুঁজবেন। কিন্তু বছরের মাঝামাঝি এসে ব্যস্ততা, ক্লান্তি কিংবা অনুপ্রেরণার অভাবে বেশিরভাগ মানুষই সেই লক্ষ্য থেকে সরে আসেন।

তবু সুসংবাদ হলো এখনও দেরি হয়নি। বছরের শেষ প্রান্তেও নিজেকে পুনর্গঠন করার এটা এক সুবর্ণ সুযোগ।

যারা বছরের শুরুতে ওজন কমানোর পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদের কেউ কেউ হয়তো সফল হয়েছেন, কিন্তু অনেকে মাঝপথে হাল ছেড়েছেন। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন “ফ্যাড ডায়েট” যেমন কার্বোহাইড্রেট একদম বাদ দেওয়া, শুধু ফল খাওয়া, বা ইন্টারনেটের অজানা পরামর্শ অনুসরণ করে শরীরে নানা সমস্যা ডেকে এনেছেন।মনে রাখবেন, ওজন কমানো বা বাড়ানো কোনো তাড়াহুড়োর বিষয় নয়। এটি একটি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া, যা নির্ভর করে শরীরের হরমোন, বিপাকক্রিয়া (metabolism), জীবনযাত্রা ও মানসিক অবস্থার ওপর। তাই নিজে নিজে এক্সপেরিমেন্ট না করে একজন পুষ্টিবিদ, ফিটনেস ট্রেইনার বা চিকিৎসক–এর পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর উপায়।

যারা ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন, বা থাইরয়েড, পিসিওএস, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কিংবা ইনফার্টিলিটি (বন্ধ্যাত্ব) সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি।যেমন :
▪️Thyroid Profile (TSH, T3, T4) যা থাইরয়েডজনিত ওজন ও হরমোন ভারসাম্য যাচাইয়ে
▪️ Fasting Blood Sugar & Insulin Level, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা প্রিডায়াবেটিস শনাক্তে
▪️Lipid Profile, রক্তে ফ্যাট বা কোলেস্টেরল পরিমাপে
▪️LH, FSH, Prolactin, Estradiol, Testosterone পরীক্ষাগুলো পিসিওএস বা হরমোন ভারসাম্য বুঝতে
▪️Vitamin D ও Vitamin B12 এর মাত্রা শক্তি ও মুড রেগুলেশনে প্রয়োজনীয়
▪️HbA1c টেস্ট দীর্ঘমেয়াদি রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয়

এই রিপোর্টগুলো বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, শরীরে কোথায় ভারসাম্য হারাচ্ছে, আর সেই অনুযায়ী সঠিক ডায়েট ও ওষুধ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়।

🏃নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ শুধু ওজন কমানোর জন্য নয়, বরং পুরো শরীরের হরমোন ভারসাম্য রক্ষা, রক্ত চলাচল উন্নত করা ও মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। বিভিন্ন কাজ ও ব্যায়ামে ক্যালরি পোড়ানোর আনুমানিক হিসাব (প্রতি ঘণ্টায়):
▪️হালকা হাঁটা (৪–৫ কিমি/ঘণ্টা) → ২০০–২৫০ ক্যালরি
▪️দ্রুত হাঁটা বা জগিং → ৩০০–৪০০ ক্যালরি
▪️সাইকেল চালানো → ৪০০–৫০০ ক্যালরি
▪️দড়ি লাফ → ৫০০–৬০০ ক্যালরি
▪️নাচ বা ফিটনেস জুম্বা → ৪০০–৫৫০ ক্যালরি
▪️হালকা ঘরোয়া কাজ (ঝাড়ু, বাসন মাজা ইত্যাদি) → ১৫০–২০০ ক্যালরি

প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মিনিট হাঁটা বা মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম করলে এক সপ্তাহে প্রায় ১৫০০–২০০০ ক্যালরি পর্যন্ত ব্যয় করা সম্ভব, যা ধীরে ধীরে ওজন কমানো ও বিপাকক্রিয়া সক্রিয় রাখায় সাহায্য করে।

🧠 দুশ্চিন্তা, হতাশা ও মানসিক চাপ (stress) শরীরের হরমোনগুলোর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
▪️Cortisol নামের স্ট্রেস হরমোন বেড়ে গেলে শরীরে ফ্যাট জমে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয় এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
▪️আবার Serotonin ও Dopamine কমে গেলে মুড খারাপ হয়, খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়,বিশেষ করে মিষ্টি ও তেলযুক্ত খাবারের প্রতি।

তাই প্রতিদিন কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখুন- ধ্যান, হালকা ব্যায়াম, প্রার্থনা, গান শোনা বা প্রকৃতির মাঝে হাঁটাচলা করুন।ভালো ঘুম (প্রতি রাতে ৭–৮ ঘণ্টা), পর্যাপ্ত পানি পান ও সুষম খাবার মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক।

🍲সুস্থ শরীর ও মন পেতে হলে খাবারে সুষমতা আনা জরুরি।একটি সুষম খাবারের মধ্যে থাকতে হবে -জটিল কার্বোহাইড্রেট (ভাত, রুটি, ওটস),প্রোটিন (মাছ, ডিম, ডাল, দুধ, মাংস),ভালো ফ্যাট (বাদাম, অলিভ অয়েল, ডাবের পানি),শাকসবজি ও ফল (ভিটামিন ও মিনারেলের উৎস)
খাবারের সময় নির্দিষ্ট রাখা, পর্যাপ্ত পানি পান করা, ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়া, এবং রাতে খুব দেরিতে না খাওয়া এগুলোই শৃঙ্খল খাদ্যাভ্যাসের মূল দিক।
আমাদের দৈনন্দিন খাবারের মধ্যে কিছু “ছোট নাস্তা” আছে যেগুলো আসলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।কারণ এতে পুষ্টি কম, কিন্তু ক্যালরি অনেক বেশি।
যেমন :
▪️সিঙ্গারা (১টা) এক সার্ভিংয়ে আনুমানিক প্রায় ৮০-৯০ক্যালরি
▪️সমুচা (১টা) এক সার্ভিংয়ে আনুমানিক প্রায় ৮০-৯০ ক্যালরি
▪️চিপস (১ প্যাকেট) এক সার্ভিংয়ে আনুমানিক প্রায় ৩০০–৪০০ ক্যালরি
▪️চানাচুর (১ কাপ) এক সার্ভিংয়ে আনুমানিক প্রায় ২৫০–৩৫০ ক্যালরি
▪️ফুচকা (১০টি) এক সার্ভিংয়ে আনুমানিক প্রায় ১৪০-২০০ ক্যালরি
▪️ভেলপুরি (৪টা) এক সার্ভিংয়ে আনুমানিক প্রায় ১৮৫ ক্যালরি
▪️বিস্কুট (৪টা) এক সার্ভিংয়ে আনুমানিক প্রায় ১০০+ ক্যালরি

👉 দিনে শুধু এ ধরনের দুটি খাবার খেলেই অতিরিক্ত ৫০০–৬০০ ক্যালরি যোগ হয়, যা এক সপ্তাহে প্রায় ½ কেজি ওজন বাড়াতে পারে।তাই নাস্তার পরিবর্তে ফল(টক জাতীয়), বাদাম, সেদ্ধ ডিম, মিক্স সীড,দই বা ভাজা ছোলা বেছে নেওয়াই শ্রেয়।এ ধরনের পুষ্টিকর নাস্তায় এক সার্ভিংয়ে আনুমানিক প্রায় ৬০-৯০ ক্যালরি ও অসংখ্য পুষ্টিগুণ উপলব্ধ হয়।

বছরের শেষ দুই মাসের এই সময়টুকু হতে পারে আপনার জীবনের নতুন শুরু।নিজের শরীরকে বোঝার চেষ্টা করুন, তাকে ভালোবাসুন, সময় দিন।সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক প্রশান্তি ও নিয়মিত ব্যায়াম এই চারটি বিষয় মেনে চললে শরীর ও মন দুটোই ফিরে পাবে ভারসাম্য, শক্তি ও সৌন্দর্য।

✍️নিলুফার ইয়াসমিন দিপা
ফুড এন্ড নিউট্রিশন

আপনি কি রোজ রোজ পাউরুটি খান??
31/10/2025

আপনি কি রোজ রোজ পাউরুটি খান??

ওজন নিয়ন্ত্রণ বা ওজন কমানোর আসল বিষয়টি খুব সহজ- আপনি দিনে যত ক্যালরি খান, তার চেয়ে যদি বেশি ক্যালরি খরচ করেন, তাহলে আপনা...
30/10/2025

ওজন নিয়ন্ত্রণ বা ওজন কমানোর আসল বিষয়টি খুব সহজ- আপনি দিনে যত ক্যালরি খান, তার চেয়ে যদি বেশি ক্যালরি খরচ করেন, তাহলে আপনার ওজন কমবে। আর যদি খরচের তুলনায় বেশি খান, তাহলে ওজন বাড়বে। আজকাল অনেক রকম ফ্যাড ডায়েট বা জনপ্রিয় খাদ্যাভ্যাস প্রচলিত আছে যেমন শুধুই ফল খাওয়া, কার্বোহাইড্রেট বাদ দেওয়া ইত্যাদি। কিন্তু এসবের মূল কথা একই - শরীরে যত ক্যালরি যায় এবং যতটা ক্যালরি খরচ হয়, সেই ভারসাম্যই নির্ধারণ করে আপনি ওজন বাড়াবেন নাকি কমাবেন।

ক্যালরি কী এবং কেন দরকার
ক্যালরি হলো খাবার থেকে পাওয়া শক্তি। শরীরের প্রতিটি কাজের জন্য যেমন হাঁটা, কথা বলা, পড়া, ঘুমানো এমনকি শ্বাস নেওয়ার জন্যও ক্যালরি প্রয়োজন। আমরা ক্যালরি পাই মূলত তিন ধরনের খাদ্য উপাদান থেকে - কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট (চর্বি) এবং প্রোটিন।

যখন আমরা শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্যালরি খাই, তখন বাড়তি ক্যালরি শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হয়। আবার যখন আমরা কম খাই বা বেশি পরিশ্রম করি, তখন শরীর জমা চর্বিকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে, ফলে ওজন কমে। এই কারণেই খাবারের পরিমাণ ও শারীরিক কাজের মধ্যে ভারসাম্য রাখা সবচেয়ে জরুরি।

ওজনের বিষয়টি একেবারেই ভারসাম্যের ওপর নির্ভরশীল। যদি আপনি বেশি ক্যালরি খান এবং কম নড়াচড়া করেন, তাহলে ওজন বাড়বে। আবার, যদি আপনি কম খান এবং বেশি নড়াচড়া করেন, তাহলে ওজন কমবে।

গবেষণা অনুযায়ী, প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ক্যালরি কম খেলে বা খরচ করলে প্রতি সপ্তাহে প্রায় আধা থেকে এক পাউন্ড (০.২৫–০.৫ কেজি) ওজন কমানো সম্ভব। তবে এটা সবার জন্য একরকম নয়-বয়স, লিঙ্গ, শরীরের গঠন ও দৈনন্দিন কাজের পরিমাণ অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।

ক্যালরি গ্রহণ কমানোর সহজ উপায়
ক্যালরি কমানো মানে একেবারে না খাওয়া নয়, বরং খাবারে সচেতন পরিবর্তন আনা। কয়েকটি ছোট পরিবর্তনও বড় ফল দিতে পারে।

প্রথমত, এমন খাবার বাদ দিন যেগুলোতে ক্যালরি বেশি কিন্তু পুষ্টি খুব কম। যেমন: সফট ড্রিংক, চিনিযুক্ত চা, কোলা, চিপস, চানাচুর বা আইসক্রিম। এগুলোর বদলে লেবু পানি, টক দই, ব্ল্যাক কফি বা ফল খেতে পারেন।

দ্বিতীয়ত, খাবার বাছাইয়ে বুদ্ধিমত্তা দেখান। উদাহরণস্বরূপ: ভাজাপোড়া খাবারের বদলে সিদ্ধ বা গ্রিল করা খাবার খান। ফুল ক্রিম দুধের বদলে টোনড বা স্কিমড দুধ পান করুন। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে ডাল ও সবজি বেশি খান। এমনকি চিপস বা চানাচুরের বদলে ভুট্টা, মুড়ি বা এয়ার-পপড পপকর্ন খেলে অনেক ক্যালরি বাঁচে।

খাবারের পরিমাণে সচেতনতা
আমরা অনেক সময় মনে করি আমরা কম খাই, কিন্তু আসলে তা হয় না। খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা তাই খুব জরুরি। একে বলা হয় portion control। ছোট থালা বা বাটি ব্যবহার করলে স্বাভাবিকভাবেই খাবারের পরিমাণ কমে যায়। প্যাকেটজাত খাবার থেকে সরাসরি না খেয়ে প্লেটে ঢেলে খান, যাতে বোঝা যায় কতটা খাচ্ছেন।

খাবারের লেবেল বা পুষ্টিগুণের তথ্য দেখে জেনে নিন প্রতি সার্ভিংয়ে কত ক্যালরি আছে। যেমন - ছোট এক প্যাকেট চিপস আসলে দুই সার্ভিং হতে পারে, অর্থাৎ আপনার ধারণার দ্বিগুণ ক্যালরি আপনি খেয়ে ফেলছেন। প্রয়োজনে ক্যালরি হিসাব রাখার জন্য মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।

খাবার ও ব্যায়াম একসাথে
ওজন নিয়ন্ত্রণে শুধু খাবার কমানোই যথেষ্ট নয়, তার সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক কাজ বা ব্যায়ামও জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সিঁড়ি ওঠা বা হালকা ব্যায়াম শরীরের বাড়তি ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে।

খাবারে সচেতনতা এবং নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম এই দুইয়ের সমন্বয়ই আপনাকে সুস্থভাবে ও স্থায়ীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। এতে শরীর ফিট থাকবে, মনও ভালো থাকবে, এবং ভবিষ্যতে অনেক রোগের ঝুঁকি কমে যাবে।

ওজন কমানোর মূল কথা খুব সহজ:যতটা খাচ্ছেন, তার চেয়ে সামান্য কম খান আর যতটা নড়াচড়া করেন, তার চেয়ে সামান্য বেশি করুন।অপ্রয়োজনীয় ক্যালরি বাদ দিন, খাবারের পরিমাণে সচেতন থাকুন, আর নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এভাবেই ধীরে ধীরে, কিন্তু স্থায়ীভাবে আপনি সুস্থ ও সঠিক ওজনে পৌঁছাতে পারবেন।

✍️নিলুফার ইয়াসমিন দিপা
ফুড এন্ড নিউট্রিশন

পুষ্টি শিক্ষার গুরুত্বটা কোথায়? ভেবেছেন কখনো? যে মা থেকে শিশুর জন্ম হয় সে মা নিজেই যদি অপুষ্টির শিকার হন তবে সুস্থ শিশু ...
29/10/2025

পুষ্টি শিক্ষার গুরুত্বটা কোথায়? ভেবেছেন কখনো?

যে মা থেকে শিশুর জন্ম হয় সে মা নিজেই যদি অপুষ্টির শিকার হন তবে সুস্থ শিশু কিভাবে হবে?

এর কয়টা উদাহরণ দিই, মালয়ী মহিলারা গর্ভকালীন সময়ে প্রাণিজ খাদ্য যেমন মুরগী, দুধ, ডিম ইত্যাদি গ্রহণ করে না। কারন তারা ভাবে গর্ভস্থ শিশু সেই সব প্রাণীর স্বভাব পাবে। এছাড়া আর একটি জরিপে দেখা গিয়েছে, সেখানকার গর্ভবতী মহিলারা শিশুর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে ও শিশু উগ্র মেজাজের অধিকারী হবে ভেবে দুধ, ডিম , মাছ, মাংস, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি গরম খাবার খান না।

দক্ষিণ থাইল্যান্ডের মায়েরা শিশুর চর্মরোগ হবে এ আশংকায় গরুর মাংস এ সময় গ্রহণ করে না এবং তারা বিশ্বাস করেন অধিক মাংস ও ডিম গ্রহণ করলে গর্ভস্থ শিশু অতিরিক্ত বড় হয়ে যাবে এবং প্রসবে কষ্ট হবে।

১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারোলিনার গর্ভবতী মহিলাদের ওপর এক জরিপে দেখা গেছে সেখানে প্রসবের সময় শারীরিক অবস্থা খারাপ হবে ভেবে কিছু সংখ্যক মহিলারা পনির গ্রহণ করেন না। মা ও শিশুর ক্যান্সার হবে এই ভয়ে এ সময় তারা দুধও পান করেন না।

আবার পাকিস্তানে দেখা গেছে শিশুর পেট খারাপ হবে ভেবে সেখানে তারা ফুলকপি, শালগম ও আলু খান না।

দক্ষিণ প্রশান্ত সাগরের দ্বীপগুলোতে গর্ভবতী মায়েরা বাচ্চার মাথা আঁশযুক্ত হবে ভেবে আঁশযুক্ত মাছ খান না।

ইথিওপিয়াতেও অনেক মায়েরা গর্ভপাতের আশংকায় ভাজা মাছ খান না।

আমাদের দেশেও এমন উদাহরণ আছে। যেমন হাঁসের মাংস খেলে বাচ্চার গলার স্বর ফ্যাকাসে হবে। জোড়া কলা খেলে জমজ বাচ্চা হবে। বোয়াল মাছ খেলে বাচ্চার গলার কাঁটা বড় হবে। ফলে এই খাবার গুলো এড়িয়ে চলেন।

এতসব কুসংস্কারের ফলে দিন শেষে মায়েরা পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপুষ্ট মা অপুষ্ট শিশুর জন্ম দেয়। ফলে আমরা পাচ্ছি অপুষ্ট জাতি।

শিক্ষার জন্য নেপোলিয়ন যেমন বলেছিলেন "আমাকে শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি দিব।"
কথাটি পুষ্টির ক্ষেত্রে ও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
"আমাকে পরিপুষ্ট শক্ত সামর্থ মা দাও, আমি তোমাদের শক্তিশালী জাতি দিব"

 Rahman Akhi
27/10/2025

Rahman Akhi

স্থূলতা, গর্ভধারণ ও গর্ভপাতগর্ভধারণের জন্য একজন নারীর আদর্শ ওজন ও ফিটনেস ধরে রাখা জরুরি। এ জন্য বডিমাস ইনডেক্স বা বিএমআই...
26/10/2025

স্থূলতা, গর্ভধারণ ও গর্ভপাত

গর্ভধারণের জন্য একজন নারীর আদর্শ ওজন ও ফিটনেস ধরে রাখা জরুরি। এ জন্য বডিমাস ইনডেক্স বা বিএমআই হতে হবে ১৮.৫-২৪.৯ কেজি/মিটার স্কয়ারের মধ্যে। এর বেশি হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমতে থাকে। অতিরিক্ত ওজনের কারণে হরমোনাল ইমব্যালান্স হতে পারে এবং ওভ্যুলেশনের (ডিম্বাণু পরিপক্ব হয়ে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হওয়া) সমস্যা হয়, যা পিরিয়ডকে অনিয়মিত করে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এ তো গেলো কনসিভ না হওয়ার কারণ। অনেক সময় বাচ্চা Miscarriage হওয়ার পেছনে ওবেসিটি সরাসরিভাবে যুক্ত না থাকলেও কারণ হিসেবে প্রভাবিত করে। জানতে চান কীভাবে? চলুন জেনে আসি।

পিসিওএস (PCOS) মূলত একটি জীবনধারাজনিত সমস্যা, তাই এর চিকিৎসা বা নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো নিজের দৈনন্দিন অভ্যা...
25/10/2025

পিসিওএস (PCOS) মূলত একটি জীবনধারাজনিত সমস্যা, তাই এর চিকিৎসা বা নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো নিজের দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিবর্তন আনা। নিয়মিত ও সচেতন জীবনযাপনই এ সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

প্রথমেই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। রিফাইন কার্বোহাইড্রেট যেমন চিনি, সাদা চাল, সাদা ময়দা, ফাস্টফুড ও চিনিযুক্ত পানীয় বাদ দিতে হবে। সকালের নাস্তা হওয়া উচিত আমিষভিত্তিক-যেমন ডিম, মাছ বা ডাল। খাবারে পূর্ণ শস্যদানা, সবুজ শাকসবজি, গ্রিন জুস এবং ফাইবারসমৃদ্ধ উপাদান রাখলে অন্ত্র ও হরমোনের ভারসাম্য ভালো থাকে। মিষ্টি খেতে চাইলে তা খাবারের পর খাওয়াই ভালো, খালি পেটে নয়।

গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের শুরুতে এক প্লেট সবজি খাওয়া ভালো অভ্যাস হতে পারে। এতে রক্তে গ্লুকোজের স্পাইক কমে যায়। চাইলে আপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করা যেতে পারে,এটি খাবারের পর গ্লুকোজের মাত্রা ৩০% পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করে। ম্যালবেরি পাতার নির্যাস বা লেবুতে থাকা অ্যারোসিট্রিনজাত সাপ্লিমেন্টও গ্লুকোজ ও ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক।

প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা ঘাম ঝরানো ব্যায়াম করা উচিত। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়। পাশাপাশি মানসিক চাপ কমানোও জরুরি। মেডিটেশন, yoga, প্রার্থনা মন শান্ত রাখে এবং হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ছয় থেকে আট ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করা শরীরের পুনরুদ্ধারের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

জীবনধারার পরিবর্তনের পাশাপাশি গাট বা অন্ত্রের যত্নও গুরুত্বপূর্ণ। প্রোবায়োটিক, প্রিবায়োটিক, সিনবায়োটিক বা গাঁজানো খাবার অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। এগুলো হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে, প্রদাহ কমায় এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিছু ক্ষেত্রে ফেকাল মাইক্রোবায়োটা ট্রান্সপ্লান্টেশন (FMT) বা মেটফর্মিনের মতো ওষুধও অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, পিসিওএসের চিকিৎসায় শুধু ওষুধ নয়, বরং সঠিক খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম, মানসিক স্বস্তি এবং অন্ত্রের যত্নই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

✍️নিলুফার ইয়াসমিন দিপা
ফুড এন্ড নিউট্রিশন

অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খাবার ও জীবনযাত্রার কিছু সহজ পরিবর্তন অনেক বড় পার্থক্য আনতে পারে। সঠিক খাবার বেছে নে...
24/10/2025

অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খাবার ও জীবনযাত্রার কিছু সহজ পরিবর্তন অনেক বড় পার্থক্য আনতে পারে। সঠিক খাবার বেছে নেওয়া, কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন আনা এবং শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে কাজ করতে দেওয়াই অন্ত্রের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার মূল চাবিকাঠি।

▪️গ্লুটেন অনেকের জন্য সমস্যা তৈরি করে, কারণ এটি অন্ত্রে ছোট ছোট ছিদ্র তৈরি করতে পারে, যাকে বলে লিকি গাট। এতে প্রদাহ বেড়ে যায়, তাই গম, রাই বা গ্লুটেনযুক্ত শস্য এড়িয়ে চলা ভালো।
▪️দুগ্ধজাত খাবার যেমন দুধ, দই বা চিজ অনেক সময় প্রদাহ বাড়িয়ে দেয় এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়। যাদের ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা আছে, তারা এই খাবারগুলো সীমিত করলে উপকার পেতে পারেন।
▪️প্রতিদিনের খাবারে বেশি করে ফল ও সবজি রাখুন। এগুলো অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার খাবার হিসেবে কাজ করে এবং হজমে সাহায্য করে। ফাইবারসমৃদ্ধ ফল ও সবজি নিয়মিত মলত্যাগেও সহায়তা করে।
▪️অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খেলে ইনসুলিনের মাত্রা ও প্রদাহ বেড়ে যায়। তাই ভাত, রুটি বা মিষ্টি খাবার একটু কমিয়ে ভারসাম্য রেখে খাওয়া উচিত। তবে একদম কার্বোহাইড্রেট বাদ দিলে শরীরে চাপ পড়তে পারে।
▪️দিনের শুরুটা যেন হয় প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার দিয়ে, যেমন ডিম, ওমলেট বা ছোলার ভর্তা। এতে রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করা যায় এবং সারাদিন শক্তি বজায় থাকে।
▪️মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে খাবারের পর খান, খালি পেটে নয়। এতে রক্তে গ্লুকোজের ওঠানামা কমে যায় এবং শরীরেও চাপ পড়ে না।
▪️খাবারের শুরুতে এক প্লেট সবজি খেলে অন্ত্রে এক ধরনের সুরক্ষা স্তর তৈরি হয়, যা কার্বোহাইড্রেট থেকে গ্লুকোজ দ্রুত রক্তে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
▪️প্রতিদিনের খাবারে ডাল, সবুজ চা, লেবু, বেরি বা জাম্বুরার মতো পলিফেনলসমৃদ্ধ খাবার রাখলে প্রদাহ, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মানসিক চাপও কমে।
▪️এক টেবিল চামচ ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে বা সালাদের ড্রেসিং হিসেবে খাওয়া রক্তে শর্করার স্পাইক কমাতে সাহায্য করে। এটি হরমোন ভারসাম্য ও PCOS নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
▪️গাঁজানো খাবার যেমন কিমচি, আচার, কম্বুচা বা সাওয়ারক্রাউট হজমে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়।
▪️পেপারমিন্ট বা স্পিয়ারমিন্ট চা পেটের অস্বস্তি কমায়, ক্যামোমাইল চা প্রদাহ রোধ করে, আদা ও হলুদের চা হজমে সাহায্য করে, আর সবুজ চা শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সহায়ক।
▪️ভিটামিন এ অন্ত্রের প্রাচীর মজবুত রাখে এবং প্রদাহ কমায়, তাই গাজর, কলিজা, ডিমের কুসুমের মতো খাবার খাওয়া উপকারী।
▪️মুখের স্বাস্থ্যও অন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত, তাই প্রতিদিন ব্রাশ, ফ্লস ও মাউথওয়াশ ব্যবহার করা উচিত যাতে মুখের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রে না পৌঁছায়।
▪️মাসে একবার হালকা ডিটক্স করা বা সপ্তাহে এক-দুদিন রোজা রাখলে শরীরের কোষগুলো নিজে থেকে পুনর্গঠিত হয় (অটোফ্যাজি), যা প্রদাহ কমায় ও হরমোনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে।

অন্ত্রের যত্ন নেওয়া মানে শুধু হজম ভালো রাখা নয়, বরং এটি শরীর, মস্তিষ্ক ও হরমোনের সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখার অন্যতম সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়।

✍️নিলুফার ইয়াসমিন দিপা
ফুড এন্ড নিউট্রিশন

আজকাল অনেক নারীই PCOS (Polycystic O***y Syndrome) নামের হরমোনজনিত এক সাধারণ, তবে জটিল সমস্যায় ভুগছেন। পলিসিস্টিক ওভারি স...
23/10/2025

আজকাল অনেক নারীই PCOS (Polycystic O***y Syndrome) নামের হরমোনজনিত এক সাধারণ, তবে জটিল সমস্যায় ভুগছেন।

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) হলো প্রজননক্ষম নারীদের মধ্যে একটি অত্যন্ত প্রচলিত এন্ডোক্রাইন বা হরমোনজনিত ব্যাধি। বিশ্বব্যাপী প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে একজন PCOS-এ আক্রান্ত হতে পারে। বাংলাদেশে গাইনি ও বন্ধ্যাত্ব রোগীদের মধ্যে এর প্রকোপ উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি দেখা যায়।

এর লক্ষণ হিসেবে মাসিকের অনিয়ম, ব্রণ, অতিরিক্ত ওজন, মানসিক চাপ কিংবা বন্ধ্যাত্বের মতো বিষয়গুলো প্রায়ই দেখা যায়। অনেকেই ভাবেন এসব কেবল হরমোনের সমস্যা; কিন্তু বাস্তবে এর পেছনে আরও গভীর একটি কারণ লুকিয়ে আছে, আর তা হলো আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য (Gut Health)। শরীরের ভেতরকার এই সূক্ষ্ম ভারসাম্য যখন নষ্ট হয়ে যায়, তখনই হরমোনের অস্থিরতা, প্রদাহ ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের মতো জটিলতা তৈরি হয়, যা শেষ পর্যন্ত PCOS-কে আরও বাড়িয়ে তোলে।

আমাদের অন্ত্র বা গাট আসলে শরীরের “দ্বিতীয় মস্তিষ্ক” যেখানে ট্রিলিয়ন সংখ্যক ভালো ও খারাপ ব্যাকটেরিয়া একসঙ্গে কাজ করে শরীরের হজম, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হরমোন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলোর সুষম উপস্থিতি শরীরকে সুস্থ রাখে, কিন্তু যখন এই ভারসাম্য নষ্ট হয় অর্থাৎ ডিসবায়োসিস (Dysbiosis) ঘটে, তখন শরীরের হরমোনের ভারসাম্যও বিঘ্নিত হতে শুরু করে।

এই ভারসাম্যহীনতা শরীরের ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতায় সরাসরি প্রভাব ফেলে। ইনসুলিন প্রতিরোধ বেড়ে গেলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়, ফলে ডিম্বাশয় অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করতে শুরু করে। এর ফলেই দেখা দেয় PCOS-এর প্রধান উপসর্গগুলো যেমন: মাসিকের অনিয়ম, ওজন বৃদ্ধি, ব্রণ বা হরমোনজনিত ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি।

ডিসবায়োসিসের আরেকটি বড় প্রভাব পড়ে অন্ত্রের প্রাচীরে। যখন অন্ত্রের প্রাচীর দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন সেটিকে বলা হয় “লিকি গাট” (Leaky Gut)। এতে অন্ত্রের ভেতরের ক্ষতিকর পদার্থ রক্তে প্রবেশ করে এবং সারা শরীরে প্রদাহ (Inflammation) তৈরি করে। এই প্রদাহ আবার শরীরের হরমোন ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটায়, যার ফলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও PCOS-এর উপসর্গ আরও বেড়ে যায়।

এভাবে শরীরে এক জটিল চক্র তৈরি হয় যেখানে খাবারের ধরন, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, মানসিক চাপ ও অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতা থেকে প্রদাহ শুরু হয়; এই প্রদাহ অ্যাডরিনাল সিস্টেমকে অতিরিক্ত কাজ করায়, ফলে কর্টিসল ও ইনসুলিন হরমোনের মাত্রা আরও বাড়ে। এর ফলেই গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হয় এবং PCOS-এর উপসর্গ তীব্র আকার ধারণ করে। এই অবস্থায় মাথাব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি, হজমের সমস্যা, খাবারে সংবেদনশীলতা এবং ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, PCOS আক্রান্ত নারীদের অন্ত্রে কিছু নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায় আবার কিছু ব্যাকটেরিয়া তুলনামূলকভাবে কমে যায়। বিশেষ করে স্থূল নারীদের ক্ষেত্রে এই ভারসাম্যহীনতা আরও তীব্রভাবে প্রকাশ পায়।

অতএব বলা যায়, অন্ত্রের স্বাস্থ্য (Gut Health) ও PCOS একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। সুস্থ অন্ত্র মানেই হরমোনের স্থিতিশীলতা, আর সেই স্থিতিশীলতাই PCOS নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি। তাই শুধু হরমোন নয়, অন্ত্রের যত্ন ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই PCOS ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

এক্ষেত্রে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা খুবই কার্যকর। প্রোবায়োটিক হলো এমন এক ধরনের সজীব অণুজীব, যা পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এগুলো আমাদের অন্ত্রে ভালো ও খারাপ ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে সুস্থ রাখে।

প্রোবায়োটিকস শুধু হজমশক্তি বৃদ্ধি করে না, বরং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, প্রদাহজনিত পেটের রোগ, ত্বকের সমস্যা ও ডায়রিয়ার মতো বিভিন্ন উপসর্গ উপশমেও সাহায্য করে। এগুলো রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে।

বিশেষ করে PCOS আক্রান্ত নারীদের ক্ষেত্রে, প্রোবায়োটিকস বেশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এটি হরমোন এবং মেটাবলিক উভয় দিক থেকেই উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।
👉প্রোবায়োটিক সম্পূরক, যেমন Lactobacillus ও Bifidobacterium স্ট্রেন গ্রহণ করলে শরীরের ওজন, BMI, রক্তে গ্লুকোজ ও ইনসুলিনের মাত্রা কমে আসে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ে।
👉এটি রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড ও খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে।
👉এমনকি কিছু ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক সেবনে শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ্রাস পায়, SHBG বৃদ্ধি পায়, অপ্রয়োজনীয় লোম বা হিরসুটিজম কমে এবং প্রদাহজনিত উপসর্গেরও উন্নতি ঘটে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, প্রোবায়োটিকস অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ফিরিয়ে এনে হরমোনের স্থিতি বজায় রাখে এবং PCOS নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

কিন্তু অন্ত্রের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের সময়সীমা একেক জনের জন্য ভিন্ন হতে পারে। কারও ক্ষেত্রে অল্প কিছু পরিবর্তনেই দ্রুত উন্নতি দেখা যায়, আবার কারও ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগতে পারে।খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় ছোটখাটো পরিবর্তন আনলে মাত্র এক দিনের মধ্যেই অন্ত্রের কার্যকারিতায় ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য পুরোপুরি ফিরিয়ে আনতে সাধারণত কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখা প্রয়োজন।

✍️নিলুফার ইয়াসমিন দিপা
ফুড এন্ড নিউট্রিশন

Address

Manchester

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nusrat Jahan - Registered Nutritionist UK and Clinical Dietitian BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Nusrat Jahan - Registered Nutritionist UK and Clinical Dietitian BD:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category