Padmabhushan Dr.Hrishikesh Majumder

Padmabhushan Dr.Hrishikesh Majumder online consultation(24x7). fees Payable through Gpay. IF U WANT TO RECOVER WITHOUT SURGERY. FRCS. AUTHOR

PhD
INDIA INTERNATIONAL ACHIEVERS &
RAJIV GANDHI AWARD
Asian meritorious achievement award
Indo-Balinese Meritorious Health excellence award etc.

 # অনলাইন-নির্ভরতার সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণকেন বর্তমান সমাজব্যবস্থাই মানুষকে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভরশীল করছে**ভূমিকাআ...
26/08/2025

# অনলাইন-নির্ভরতার সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
কেন বর্তমান সমাজব্যবস্থাই মানুষকে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভরশীল করছে**
ভূমিকা

আমরা শুধু “ইন্টারনেট ব্যবহার” করছি না; বরং কাজ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাজার, বিনোদন, খবর, রাজনীতি—সবকিছুর দরজা এখন এক স্ক্রিনে খোলা। তাই অনলাইন-নির্ভরতা আজ ব্যক্তিগত পছন্দের ফল নয়, বরং সমাজব্যবস্থার নকশাগত (structural) চাপে তৈরি এক বাস্তবতা। নিচে এর কারণ, প্রক্রিয়া, প্রভাব ও সম্ভাব্য সমাধান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করা হল।
১) কাঠামোগত কারণ: সমাজব্যবস্থার “ডিফল্ট” এখন অনলাইন

1. **অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান**

* গিগ ইকোনমি, রিমোট-ওয়ার্ক, অনলাইন আউটসোর্সিং—এগুলোতে প্রবেশ, নজরদারি, মূল্যায়ন সবই ডিজিটাল।
* চাকরি খোঁজা, সিভি যাচাই, নেটওয়ার্কিং—সবকিছুর কেন্দ্র হয়ে গেছে লিংকডইন/পোর্টাল/ইমেইল। অফলাইনে থাকলেই সুযোগ কমে।

2. **রাষ্ট্র ও পরিষেবা**

* ট্যাক্স, ভর্তুকি, নথিভুক্তি, টিকিটিং, ডিজিটাল পাস—সরকারি পরিষেবার এক বড় অংশ এখন “ডিজিটাল-ফার্স্ট”। ফলে অনলাইন থেকে বাদ পড়া মানে পরিষেবা থেকে বাদ পড়ার ঝুঁকি।

3. **শিক্ষা ও দক্ষতা**

* ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম, অনলাইন পরীক্ষানিয়ন্ত্রণ, এডটেক কনটেন্ট—পড়াশোনার নিয়মিত উপকরণ। নোটিস–ফর্ম–রেজাল্ট—সব ডিজিটাল।

4. **বাজার ও ভোক্তাব্যবহার**

* ই-কমার্স, কুপন, ক্যাশব্যাক, অ্যাপ-লয়্যালটি—অনলাইনেই সেরা দাম ও দ্রুত ডেলিভারি। অফলাইন ক্রেতা মূল্য-অসুবিধায় পড়ে।

5. **স্বাস্থ্য ও জরুরি সেবা**

* টেলিমেডিসিন, ই-প্রেসক্রিপশন, অনলাইন রিপোর্ট। দ্রুততা ও ট্র্যাকিংয়ের সুবিধা রোগীকে অনলাইনে টেনে রাখে।

২) প্রযুক্তির নকশা কেন “আসক্তি-সহায়ক”

1. **অ্যালগরিদমিক ব্যক্তিকরণ**—আপনার আগ্রহ ধরে কনটেন্ট সাজায়; স্ক্রল করা থামানো কঠিন হয়।
2. **ইন্টারমিটেন্ট রিওয়ার্ড**—কখনও অনেক লাইক, কখনও কম—ডোপামিন-চক্র আপনাকে বারবার অ্যাপে ফেরায়।
3. **সোশ্যাল ভ্যালিডেশন**—কমেন্ট/শেয়ার/রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে স্বীকৃতি পাওয়া এক সামাজিক প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়।
4. **ফ্রিকশনলেস ডিজাইন**—অটো-প্লে, ইনফিনিট স্ক্রল, নোটিফিকেশন; থামানোর বাধা নেই, চালিয়ে যাওয়ার লোভ আছে।
5. **ডাটা-চালিত বিজ্ঞাপন**—আপনার সময়ই পণ্য; যতক্ষণ স্ক্রিনে থাকবেন, তত বেশি আয়—এটাই প্ল্যাটফর্মের ব্যবসা।

৩) অনলাইন-নির্ভরতার দৃশ্যমান সামাজিক প্রভাব

1. **মনোস্বাস্থ্য**: তথ্য-অতিরেক, তুলনামূলক উদ্বেগ (FOMO), মনোযোগ বিচ্যুতি, ঘুমের ব্যাঘাত।
2. **রাজনীতি ও জনমত**: মাইক্রো-টার্গেটিং, ইকো-চেম্বার, মেরুকরণ; সত্য-মিথ্যার সীমানা ঝাপসা।
3. **সম্পর্কের গুণগত বদল**: “কানেক্টেড” থাকলেও অন্তরঙ্গতা কমে; উপস্থিতির বদলে “পারফর্মেটিভ” যোগাযোগ বাড়ে।
4. **শিক্ষাগত প্রভাব**: দ্রুত-কনটেন্টের অভ্যাসে গভীর পাঠ হ্রাস; তবে অ্যাক্সেসিবিলিটি ও আপডেটেড রিসোর্স বৃদ্ধি—দুই বিপরীত স্রোত একসঙ্গে।
5. **অর্থনৈতিক বৈষম্য**: ডিভাইস/ডাটা/ডিজিটাল-লিটারেসির ফাঁকে “ডিজিটাল ডিভাইড”—যারা কম সংযুক্ত, তারা কম সুযোগ পায়।
6. **সাংস্কৃতিক স্মৃতি**: স্বল্পদৈর্ঘ্য কনটেন্টে মনোযোগের জানালা ছোটে; অথচ আর্কাইভিং ও দ্রুত প্রচারে ইতিবাচক শক্তিও আছে।

৪) ব্যক্তির দায় নয় শুধু; এটি “সিস্টেমিক”

* অনেকে ভাবেন—“ইচ্ছাশক্তি বাড়াও, অ্যাপ কমাও।” কিন্তু যখন চাকরি, শিক্ষা, পরিষেবা, সামাজিকতা—সবই অনলাইন-কেন্দ্রিক, তখন ব্যক্তির ‘ডিটক্স’ সীমিত ফল দেয়।
* সমাধান তাই কাঠামোগত: নীতিমালা, প্ল্যাটফর্ম-ডিজাইন, শিক্ষা ও কর্মসংস্কৃতির পরিবর্তন—সব একসঙ্গে দরকার।

৫) কোন “মেকানিজম” দিয়ে সমাজ অনলাইনে ঠেলে দেয়

1. **ডিজিটাল-অপরিহার্যতা**: অফলাইনে বিকল্প রাখে না—ধীরে ধীরে “পেপারলেস/ক্যাশলেস-ওনলি” হয়ে যায়।
2. **সামাজিক মানদণ্ড**: খবর, আমন্ত্রণ, কমিউনিটি—সব ঘোষণাই সোশ্যাল মিডিয়ায়; না থাকলে “আউট অফ লুপ”।
3. **অর্থনৈতিক প্রণোদনা**: অনলাইন দাম কম, রিওয়ার্ড বেশি, সময়ও বাঁচে—ভোক্তাকে টানে।
4. **গতি বনাম গভীরতা**: দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হওয়া কর্মসংস্কৃতি—ইমেইল–চ্যাট–ড্যাশবোর্ড ছাড়া চলেই না।
5. **ডিজিটাল আইডেন্টিটি**: কেওয়াইসি–স্কোর–রেপুটেশন—আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা অনলাইন ডেটায় বাঁধা।

৬) ঝুঁকির মানচিত্র: কারা বেশি বিপন্ন

* **কিশোর-কিশোরী**: পরিচয়-গঠন পর্যায়ে ভ্যালিডেশন-চাপ, বডি-ইমেজ, সাইবারবুলিং।
* **ফ্রিল্যান্সার/গিগ-ওয়ার্কার**: কাজ পেতে ২৪/৭ অনলাইন উপস্থিতি দরকার।
* **বয়স্ক/গ্রামীণ নাগরিক**: ডিজিটাল-লিটারেসি কম; পরিষেবা পেতে নির্ভরতা বেশি।
* **অ্যাক্টিভিস্ট/সংখ্যালঘু গোষ্ঠী**: নজরদারি, ডক্সিং, প্ল্যাটফর্মের অনিয়মিত নীতির শিকার।

৭) কীভাবে “স্বাস্থ্যকর অনলাইন-বাস” সম্ভব: তিন স্তরের সমাধান

ক) নীতিনির্ধারণ ও প্রতিষ্ঠান

* **ডার্ক প্যাটার্ন নিষেধ**: ইনফিনিট স্ক্রল/বাধ্যতামূলক নোটিফিকেশন–জাতীয় ডিজাইন সীমিতকরণ।
* **ডেটা সুরক্ষা ও স্বচ্ছতা**: কী ডেটা নেওয়া হচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে—স্পষ্ট সম্মতি ও সহজ অপ্ট-আউট।
* **অ্যালগরিদমিক এক্সপ্লেইনেবিলিটি**: রিকমেন্ডেশন কেন দেখাল—সাধারণ ভাষায় বোঝার সুবিধা।
* **অফলাইন-অ্যাক্সেস গ্যারান্টি**: সরকারি/ব্যাঙ্কিং/জনসেবা—অফলাইন বিকল্প বাধ্যতামূলক।
* **ডিজিটাল-লিটারেসি শিক্ষাক্রম**: স্কুল–কলেজে তথ্য যাচাই, মনোস্বাস্থ্য, স্ক্রিন-হাইজিন পড়ানো।

খ) কর্মসংস্থান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

* **“অ্যাসিঙ্ক-ফার্স্ট” সংস্কৃতি**: ২৪/৭ অনলাইনে থাকার চাপ না দিয়ে কাজ/ক্লাসে নির্দিষ্ট “অফলাইন ব্লক”।
* **নোটিফিকেশন নীতি**: অফিসিয়াল মেসেজিং-উইন্ডো, জরুরি-ছাড়া রাতের মেসেজ নিষেধ।
* **ডিপ ওয়ার্ক সাপোর্ট**: মিটিং-মিনিমাইজ, গভীর পড়াশোনা/গবেষণার নির্দিষ্ট সময়।

গ) ব্যক্তিগত কৌশল (বাস্তবসম্মত, শাস্তিমূলক নয়)

* **স্ক্রিনকে রুটিনে বাঁধুন**: কাজ/বিনোদনের পৃথক “উইন্ডো”—যখন শেষ, অ্যাপ লগআউট।
* **নোটিফিকেশন ডায়েট**: কেবল “মানব-উৎস” (ক্যালেন্ডার, পরিবারের কল, ব্যাংক-অ্যালার্ট); বাকিগুলো সাইলেন্ট।
* **হোম-স্ক্রিন মিনিমালিজম**: প্রথম পাতায় শুধু টুল (ম্যাপ, ক্যামেরা, পেমেন্ট); সোশ্যাল অ্যাপ দ্বিতীয় পাতায়।
* **সাপ্তাহিক “ডিপ-রিডিং” রিচুয়াল**: লংফর্ম পড়া/লিখা—মনোযোগের পেশী বাড়ায়।
* **সামাজিকতা অফলাইনে অনুশীলন**: প্রতিবেশী/বন্ধু/কমিউনিটি—মাসে অন্তত কয়েকটি “ডিভাইস-ফ্রি” আড্ডা।
* **শারীরিক রুটিন**: ঘুম–খাদ্য–হাঁটা—স্ক্রিন ব্যবহারের রাশ টানার ন্যূরোবায়োলজিক বেসলাইন।
৮) “ডিজিটাল সুস্থতা”—নতুন জনস্বাস্থ্য এজেন্ডা

যেমনভাবে জনস্বাস্থ্য পরিষ্কার জল, টিকাকরণ, তামাক নিয়ন্ত্রণকে এজেন্ডা করেছে, তেমনি **ডিজিটাল সুস্থতা** এখন নীতিনির্ধারণের কেন্দ্রে আসা উচিত—কারণ অনলাইন আজ অবকাঠামো। লক্ষ্য হবে **প্রবেশের সমতা**, **ব্যবহারের নিরাপত্তা**, এবং **সময়ের সদ্ব্যবহার**।

উপসংহার

অনলাইন-নির্ভরতা কোনো ব্যক্তিগত দুর্বলতার গল্প নয়; এটি আমাদের অর্থনীতি, শিক্ষা, রাষ্ট্রপরিচালনা, প্রযুক্তি-নকশা—সব মিলিয়ে তৈরি এক কাঠামোগত বাস্তবতা। তাই সমাধানও বহুস্তরীয়—নীতিতে স্বচ্ছতা, ডিজাইনে মানবিকতা, প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব, আর ব্যক্তিগত জীবনে সচেতন রুটিন। অনলাইনকে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়; তবে অনলাইনের **নিয়ন্ত্রণ** আমাদের হাতেই থাকতে হবে—এই বোধই হবে সুস্থ ডিজিটাল নাগরিকত্বের প্রথম পাঠ।

ধাপ্পাবাজির চূড়ান্ত: ব্যবহারকারীর প্রাণান্ত:🍎 আপেল সিডার ভিনেগার: একটি পোস্টমর্টেম রিপোর্ট🔬 ১. কী আছে এতে?মূল উপাদান অ্...
21/08/2025

ধাপ্পাবাজির চূড়ান্ত: ব্যবহারকারীর প্রাণান্ত:
🍎 আপেল সিডার ভিনেগার: একটি পোস্টমর্টেম রিপোর্ট

🔬 ১. কী আছে এতে?

মূল উপাদান অ্যাসিটিক অ্যাসিড (~৫–৬%)

সামান্য ভিটামিন, মিনারেল, পলিফেনল

যদি “mother” অংশ থাকে, কিছু প্রোবায়োটিক

👉 পুষ্টিগত দিক থেকে ACV খুবই পুওর—মানে এতে কোনো শক্তিশালী ভিটামিন-মিনারেল নেই যা শরীরকে আলাদা কিছু দেবে।

📑 ২. কোথায় কী প্রমাণ পাওয়া গেছে?

(ক) ওজন কমানো
Meta-analysis (২০২২): গড়ে ১.৭ কেজি কমে ৮–১২ সপ্তাহে। অর্থাৎ খুবই অল্প ([Eureka Health Review])।

Lebanon RCT (2024): ১২০ জন যুবকের মধ্যে ৬–৮ কেজি কমেছে ১২ সপ্তাহে—কিন্তু এটা small trial, দীর্ঘমেয়াদে টেকসই কিনা অজানা ([BMJ Group, News-Medical])।
👉 বাস্তবতা: সামান্য উপকার হয়, কিন্তু জিম+ডায়েটের মতো শক্তিশালী নয়।

(খ) ডায়াবেটিস / রক্তে শর্করা

RCT (2023, Type 2 Diabetes রোগী): HbA1C, FBS, LDL, cholesterol কিছুটা কমেছে ([Frontiers in Clinical Diabetes])।

Systematic Review (2021): “কিছু উন্নতি হয়েছে, কিন্তু interpret with caution”—কারণ trial ছোট, bias ছিল, ফলাফল inconsistent ([EatRightPro, Hadi et al. PMC])।
👉 বাস্তবতা: সামান্য সাহায্য করতে পারে, কিন্তু ওষুধের বিকল্প নয়

(গ) লিপিড প্রোফাইল / হার্ট হেলথ

কিছু trial-এ triglycerides, total cholesterol কমেছে, আবার অনেক trial-এ কোনো প্রভাবই নেই।
👉 প্রমাণ দুর্বল ও বিরোধপূর্ণ।

(ঘ) ডিটক্স, ক্যান্সার, রোগ সারানো
Guardian, Harvard Health, Mayo Clinic সব জায়গায় একই কথা: প্রমাণ নেই।

Wikipedia: “There is no high-quality evidence that ACV helps with cancer, detox, or hypertension.”

👉 এই সব দাবি মিথ ও মার্কেটিং।

⚠️ ৩. ঝুঁকি ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

দাঁতের এনামেল ক্ষয় (acid erosion)

Hypokalemia (পটাশিয়াম কমে যাওয়া)

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, বমি ভাব

Gastroparesis বাড়ানো (বিশেষ করে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে)

গলা বা চামড়ায় বার্ন (undiluted নিলে)

Drug interaction: ইনসুলিন, ডাইউরেটিক, ডিজোক্সিনের সাথে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

👉 অতিরিক্ত খাওয়া বিপজ্জনক।

📊 ৪. সারসংক্ষেপ টেবিল

দাবি বাস্তব বৈজ্ঞানিক তথ্য রায়

ওজন কমানো ছোট trial-এ সামান্য প্রভাব, গড়ে ১–২ কেজি সীমিত উপকার
রক্তে শর্করা কিছু trial-এ HbA1C, glucose কমেছে, কিন্তু দুর্বল প্রমাণ সীমিত উপকার
কোলেস্টেরল কিছু প্রভাব দেখা যায়, কিন্তু inconsistent সন্দেহজনক
ক্যান্সার / ডিটক্স / রোগ সারানো কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই ভুয়া দাবি
সুরক্ষার দিক দাঁতের ক্ষয়, পটাশিয়াম কমা, ওষুধ ইন্টারঅ্যাকশন ঝুঁকিপূর্ণ

🧾 ৫. সবচেয়ে নিরপেক্ষ উপসংহার

ACV কোনো ম্যাজিক মেডিসিন নয়।

কিছু ছোট-মাপের প্রমাণ আছে—হালকা ওজন কমানো, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সামান্য সাহায্য।

কিন্তু এগুলো এত ছোট ফল যে ডাক্তারি চিকিৎসা বা স্বাস্থ্যনীতি পাল্টাবে না।

ভালো জীবনযাপন (ডায়েট, ব্যায়াম, ঘুম) এর পাশে এটা শুধু একধরনের “সহায়ক টনিক”—তাও ঝুঁকি মাথায় রেখে।

অতএব, ACV useful ≠ powerful medicine.

👉 তাই, প্রমাণের আলোকে ACV বলা যায়—
“একটু কাজে আসে, কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা নয়।”

তিথি বিষয়ক খাদ্যাভ্যাস ও খাদ্য সংযম: শুধুই ধর্মীয় নয় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান পূর্ব প্রকা...
07/08/2025

তিথি বিষয়ক খাদ্যাভ্যাস ও খাদ্য সংযম: শুধুই ধর্মীয় নয় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান
পূর্ব প্রকাশিতের পর:
চতুর্দশ পর্ব::

🌕 চতুর্দশী তিথি: পূর্ণতার আগের সংযম ও শুদ্ধতার দিন
(চতুর্দশী অর্থ “চৌদ্দতম তিথি”—পূর্ণিমা বা অমাবস্যার ঠিক পূর্বের দিন)
🔱 পন্ডিতের দৃষ্টিভঙ্গি (ধর্মীয় ও শাস্ত্রীয় গুরুত্ব):
চতুর্দশী হিন্দু পঞ্জিকায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—বিশেষত:
নরক চতুর্দশী (কালী চতুর্দশী): দীপাবলির আগে পালিত হয়।
মাসিক চতুর্দশী: ব্রত উপবাসের দিন, যা অমাবস্যার আগে মন-শরীর শুদ্ধ করতে সহায়ক।
শিবরাত্রি চতুর্দশী: ফাল্গুন মাসে, উপবাস ও রাত্রিজাগরণের দিন।
📜 ধর্মীয় ব্যাখ্যা: শাস্ত্র মতে চতুর্দশী তিথি হল “তামসিক ও রজসিক প্রকৃতির হ্রাস” করার সময়। যেহেতু অমাবস্যা বা পূর্ণিমা মানসিকতার শীর্ষবিন্দু, চতুর্দশী তিথি সংযম ও নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি।
✦ মনস্কামনা পূরণ ও অন্তরের পরিশুদ্ধির জন্য চতুর্দশীতে মৃদু উপবাস বা অতি-হালকা আহার প্রথা।
🏛️ ইতিহাসবিদের দৃষ্টিভঙ্গি:
🔹 প্রাচীন ভারতীয় সমাজে এই তিথিকে “নিবৃত্তির দিন” বলা হতো।
🔹 কৃষিজীবী পরিবারে শস্য প্রক্রিয়াকরণে সংযম ও একান্ত বিশ্রামের দিন ছিল।
🔹 মহাভারতে ও পুরাণে চতুর্দশীকে “অশুভ শক্তি প্রশমনের দিন” হিসেবে গণ্য করা হয়েছে—যেমন কালরাত্রির উপসর্গ প্রতিহত করার ব্রত।
🔹 আয়ুর্বেদের প্রাচীন নথিতে চতুর্দশীর দিন তেল, মশলা ও মাংস বর্জন করার বিধান উল্লিখিত।
🧪 বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি:
চন্দ্রের পরিবর্তন মানসিক ও শারীরিক প্রভাব ফেলে—চন্দ্রচক্র ভিত্তিক বায়োলজিক্যাল রিদম।
পূর্ণিমা ও অমাবস্যার দিনে মস্তিষ্কের সেরোটোনিন, মেলাটোনিন ও কর্টিসলের মাত্রা ওঠানামা করে।
চতুর্দশী তিথিতে শারীরিকভাবে হজম ক্ষমতা তুলনায় দুর্বল।
এই কারণে সহজপাচ্য খাবার বা ক্ষুধানিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
🔹 Intermittent fasting (মধ্যবর্তী উপবাস) সেলুলার রিপেয়ার প্রক্রিয়া (Autophagy) সক্রিয় রাখে। 🔹 অতিরিক্ত প্রোটিন বা চিনি এই সময়ে কোষে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়াতে পারে।
🍲 কি খাওয়া উচিত:
✅ হালকা ও সহজপাচ্য খাবার:
সিদ্ধ ভাত অল্প ঘি দিয়ে
মুগডাল
সবুজ শাকসবজি (লাউ, পটল)
তাজা ফল
দুধ, ছানা
ভেজানো বাদাম
হালকা সুপ
✅ উপবাস করলে ফলাহার:
কলা, পেয়ারা, আঙুর
নারকেল পানি
❌ বর্জনীয় খাবার:
🚫 তামসিক ও ভারী খাদ্য:
মাংস, ডিম, মাছ
মিষ্টি (রসগোল্লা, সন্দেশ)
তেল-মশলা
মদ্যপান
গেঁজানো খাবার (Pickle)
ডালজাত খাদ্য বেশি পরিমাণে
🌿 স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১️⃣ হজমতন্ত্র বিশ্রাম পায়।
২️⃣ রক্তে শর্করা স্থিতিশীল থাকে।
৩️⃣ লিভার ডিটক্সিফিকেশন সক্রিয় হয়।
৪️⃣ মানসিক স্থিরতা ও শারীরিক হালকা ভাব তৈরি হয়।
৫️⃣ নিদ্রা এবং হরমোনের ভারসাম্য ভালো থাকে।
☀️ উপসংহার:
চতুর্দশী তিথি মানেই পূর্ণতার প্রাক্কালে সংযম ও পরিশুদ্ধির সাধনা।
ধর্ম, ইতিহাস এবং বিজ্ঞান—তিনটিই এই দিনে হালকা আহার ও অন্তর সংযমের ওপর জোর দেয়।
প্রাচীন শাস্ত্রের মূল কথাই—মিতাহারেই পরম শান্তি।

Remember !You are not eating. You are just hacked...(গতকাল আমার যে বিষয়ের উপরে সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হলো তার বাংলা অনুবাদ...
28/07/2025

Remember !You are not eating.
You are just hacked...

(গতকাল আমার যে বিষয়ের উপরে সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হলো তার বাংলা অনুবাদ আপনাদের জন্য | সাক্ষাৎকারের বিষয়বস্তু অত্যন্ত গভীর ষড়যন্ত্র সহকারে আমাদের লাইফস্টাইলে ঢুকে যাওয়া, একটি বিষয় নিয়ে যার নাম আল্ট্রা প্রসেসড ফুড। ম্যাকডোনাল্ড, কেএফসি ইত্যাদি যার উদাহরণ। পড়লে বুঝতে পারবেন বিভিন্ন দেশের সরকার এই বিষয় নিয়ে কত উদ্বিগ্ন। আর আমাদের দেশে 😃😀😀😀)

আধুনিক খাবার নয়, কারখানার পণ্য
— অতিপ্রক্রিয়াজাত (Ultra-Processed) খাবার কী?
“সব খাবার আর খাবার নেই।”
আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি, যেখানে আমাদের বেশিরভাগ খাবার গাছ, খেত বা রান্নাঘর থেকে নয় — আসে একটি কারখানা থেকে।
☕ সকালের সেরিয়াল,
🥪 শিশুর লাঞ্চবক্সের তথাকথিত “হেলদি” স্ন্যাকবার,
🧃 রঙিন ভিটামিনযুক্ত পানীয়,
🍲 মাইক্রোওয়েভে গরম করা প্যাকেট খাবার —
এসব আসলে প্রচলিত খাবার নয়। এরা হলো অতিপ্রক্রিয়াজাত খাদ্য — এমন সব শিল্পজাত পণ্য যা দীর্ঘদিন টিকতে পারে, মুখরোচক লাগে এবং বড় পরিসরে বিক্রির জন্য তৈরি।
🔍 অতিপ্রক্রিয়াজাত খাদ্য কী?
এই শব্দটি এসেছে NOVA শ্রেণিবিন্যাস থেকে — যেখানে খাবারকে তার প্রক্রিয়াকরণের মাত্রা অনুযায়ী ভাগ করা হয়েছে। NOVA অনুযায়ী, Ultra-Processed Food (UPF) হচ্ছে:
“শিল্প পর্যায়ে তৈরি এমন খাবার, যেখানে সাধারণত পাঁচটির বেশি উপাদান থাকে — অনেক উপাদান আবার আমাদের রান্নাঘরে ব্যবহৃত হয় না, যেমন কৃত্রিম রং, স্বাদবর্ধক, সংরক্ষণকারী, ইমালসিফায়ার ও অন্যান্য রাসায়নিক।”
সহজ কথায়:
যদি উপাদানগুলো আপনার দিদিমার রান্নাঘরে না থাকে — বুঝে নিন, সেটা অতিপ্রক্রিয়াজাত।
🧪 লুকানো উপাদানগুলো — যেগুলো আপনি কখনো চাইতেন না
এখানে এমন কিছু সাধারণ উপাদান রয়েছে, যা এইসব খাবারে গোপনে ঢুকে পড়ে বিজ্ঞাপন ও লেবেলের আড়ালে:
• Monosodium Glutamate (MSG): স্বাদ বাড়ায়, কিন্তু মস্তিষ্ককে অতিরিক্ত উদ্দীপিত করে
• High Fructose Corn Syrup: আসক্তিকর মিষ্টি বিকল্প, ওজন ও ইনসুলিন বাড়ায়
• Artificial Colors (E133, E102): শিশুদের অতিসক্রিয় করে তুলতে পারে
• Emulsifiers (যেমন polysorbate 80, soy lecithin): অন্ত্রের স্বাভাবিক আবরণ ভেঙে দেয়
• Preservatives (যেমন sodium benzoate, BHA, BHT): খাবারকে মাসের পর মাস ‘তাজা’ রাখে
এগুলো আসলে খাবার নয়।
এগুলো হলো রাসায়নিক কৌশল — যেগুলো আপনার মস্তিষ্ককে ভুলিয়ে দেয় যে আপনি "সুস্বাদু" কিছু খাচ্ছেন, অথচ শরীর পাচ্ছে না কোনও প্রকৃত পুষ্টি।
🍩 সমস্যা শুধু জাঙ্ক ফুড নয়
“জাঙ্ক ফুড” বললেই মাথায় আসে চিপস, কোল্ড ড্রিংক, ক্যান্ডি বা ফাস্টফুড। কিন্তু আজকের দিনে অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো অনেক ধূর্ত হয়েছে।
এগুলো এখন “হেলদি” সেজে সুপারমার্কেটের স্বাস্থ্য বিভাগেও ঢুকে পড়েছে।
যেমন:
✔️ “লো-ফ্যাট”
✔️ “গ্লুটেন-ফ্রি”
✔️ “প্ল্যান্ট-বেইজড”
✔️ “প্রোটিন-রিচ”
— এসব ট্যাগ লাগানো খাবারও প্রায়ই অতিপ্রক্রিয়াজাত।
যদি সেটা প্যাকেটজাত হয়, উপাদানের তালিকা বড় হয়, আর দীর্ঘদিন নষ্ট না হয় — তাহলে সেটা UPF.
🚨 কেন এটা এত গুরুত্বপূর্ণ?
Ultra-Processed Food শুধু অপুষ্টিকর নয় — এটা সক্রিয়ভাবে ক্ষতিকর।
WHO এবং The Lancet এর মতো গবেষণা সংস্থা দেখিয়েছে:
📌 ৩০–৪০% বেশি আগাম মৃত্যুর ঝুঁকি
📌 স্থূলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের প্রবণতা বৃদ্ধি
📌 বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, ADHD বৃদ্ধি
📌 অন্ত্রের প্রদাহ ও অটোইমিউন রোগ
📌 এবং সবচেয়ে বিপজ্জনক — এগুলো আসক্তিকর।
এগুলো মস্তিষ্কের পুরস্কার ব্যবস্থাকে বিকৃত করে — বারবার খেতে ইচ্ছা করে, জানলেও থামতে পারেন না।
🌱 আসল খাবার বনাম নকল খাবার — একটা সহজ পরীক্ষা
আপনার খাবারটা কি পচতে পারে?
👉 যদি উত্তর হয় “না” — যদি সেটাকে একবছর আলমারিতে রেখে দিলেও কিছু না হয় — তবে সেটা অতিপ্রক্রিয়াজাত।
আসল খাবার পচে।
ওটা জীবন্ত।
ওটা ঋতুভিত্তিক।
ওটা জন্মায় — তৈরি হয় না।
🧠 খাবার যখন আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করে
Ultra-Processed Food আমাদের প্রাকৃতিক ক্ষুধা ও তৃপ্তির সংকেতগুলোকে নষ্ট করে দেয়।
এগুলো তৈরি হয়েছে খাওয়ানোর জন্য, বিক্রির জন্য — পুষ্টির জন্য নয়।
আপনার মস্তিষ্কের আনন্দকেন্দ্রে আঘাত করে, দ্রুত ডোপামিন ক্ষরণ ঘটায় — তারপরে আসে ক্লান্তি, খালি লাগা, আর আবার খাওয়ার ইচ্ছে।
এটা শুধু স্বাস্থ্যগত সমস্যা নয় —
এটা আপনার শরীর ও মনের ওপর জোরপূর্বক হস্তক্ষেপ।
🌿 সামনে কী আসছে
এখন আপনি জানলেন Ultra-Processed Food কী —
পরবর্তী অধ্যায়ে আমরা দেখব:
🍟 এগুলো কীভাবে আমাদের জীবনে প্রাধান্য পেয়ে গেছে
🥫 কীভাবে এগুলো আমাদের চোখের সামনেই লুকিয়ে থাকে
🧠 আর কীভাবে এগুলো শরীর, মন ও আত্মার উপর প্রভাব ফেলে
কারণ সচেতনতা মানেই মুক্তির প্রথম ধাপ।
→ আর তাই জেনে রাখুন: সব খাবার আর খাবার নেই।
(চলবে)

বিজ্ঞাপন দেখে খুব করে করলার জুস  খালি পেটে, তারপর খাবার পাতে তেতো খাচ্ছেন তো খুব করে? নিজেকে কোন দিকে ঠেলে দিচ্ছেন সেটা ...
25/07/2025

বিজ্ঞাপন দেখে খুব করে করলার জুস খালি পেটে, তারপর খাবার পাতে তেতো খাচ্ছেন তো খুব করে? নিজেকে কোন দিকে ঠেলে দিচ্ছেন সেটা কিন্তু জানেন না। তাই ওসব বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে খাওয়ার আগে একটু ভেবে দেখবেন কি ঘটাতে যাচ্ছেন নিজের সঙ্গে।

ভূমিকা:
বর্তমানে বিজ্ঞাপন আর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবে “তিতা খাও — রোগ পালাও”, “করলার জুসে ডায়াবেটিস গায়েব” — এমন বহু বিভ্রান্তিকর দাবি ছড়িয়ে পড়ছে। এইসব প্রচারের ফাঁদে পড়ে অনেকেই প্রতিদিন করলার রস, নিমপাতা বা নানা ধরনের তিতা-জুস খাওয়া শুরু করছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই। অথচ বাস্তবতা হলো — এই অভ্যাস সাময়িক নয়, স্থায়ী ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। করলা বা তিতা রক্তে শর্করা কমাতে সামান্য ভূমিকা রাখতে পারে ঠিকই, কিন্তু একে নিয়মিত ওষুধের বিকল্প ভাবলে বিপদ অনিবার্য। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীরা যদি চিকিৎসা ছেড়ে শুধুমাত্র তিতা খাওয়ার উপর নির্ভর করেন, তাহলে ঘটতে পারে হাইপোগ্লাইসেমিয়া, লিভার বা কিডনি জটিলতা, এমনকি স্নায়বিক সমস্যা।
তাই আজ জরুরি — তথ্যনির্ভর ভাবনা, বিজ্ঞাপনমুক্ত সিদ্ধান্ত, আর নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতনতা। এই প্রবন্ধে তুলে ধরা হবে, কেন রেগুলার তিতা খাওয়া বিপজ্জনক, এবং কেন ‘প্রাকৃতিক মানেই নিরাপদ’ — এই বিশ্বাস ভুল ও ক্ষতিকর।
বাঙালি খাদ্যসংস্কৃতিতে তিতার একটি প্রাচীন স্থান রয়েছে — যেমন উচ্ছে, নিমপাতা, করলা, বেগুনতিতা ইত্যাদি। লোকমুখে প্রচলিত আছে, “তিতা খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়, রোগ পালায়” কিংবা “করলা ডায়াবেটিস কমায়”। এইসব বিশ্বাসকে পুঁজি করে আজকাল বাজারে চলছে তিতা-নির্ভর প্রোডাক্টের ছড়াছড়ি — করলা ট্যাবলেট, নিম-রস, তিতা-চা, এমনকি তিতার সিরাপ! কিন্তু বিজ্ঞানের নিরিখে রোজ তিতা খাওয়া আসলে কতটা নিরাপদ?
বাঙালি খাদ্যসংস্কৃতিতে তিতার একটি প্রাচীন স্থান রয়েছে — যেমন উচ্ছে, নিমপাতা, করলা, বেগুনতিতা ইত্যাদি। লোকমুখে প্রচলিত আছে, “তিতা খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়, রোগ পালায়” কিংবা “করলা ডায়াবেটিস কমায়”। এইসব বিশ্বাসকে পুঁজি করে আজকাল বাজারে চলছে তিতা-নির্ভর প্রোডাক্টের ছড়াছড়ি — করলা ট্যাবলেট, নিম-রস, তিতা-চা, এমনকি তিতার সিরাপ! কিন্তু বিজ্ঞানের নিরিখে রোজ তিতা খাওয়া আসলে কতটা নিরাপদ?
এই প্রবন্ধে তথ্য-নির্ভর যুক্তির মাধ্যমে বোঝানো হবে, কেন প্রতিদিন তিতা খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর, এবং কেন এটি ডায়াবেটিস কমানোর কোনও জাদুকাঠি নয়, বরং ভ্রান্ত প্রচারের এক বিপজ্জনক ফাঁদ।
এখানে ব্যক্তিগতভাবে বলে রাখছি, এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রস্তাবনা গুলো খুব সম্ভবত কোন ফার্মাসিউটিক্যাল কলকাঠি নাড়াচাড়া করার ফল বলে আমার মনে হয়। কারণ এতে করে পূর্বে উল্লেখ করা রোগগুলো আরো বেশি পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছে এবং মানুষ দৌড়ে যাচ্ছে ডাক্তারের কাছে জান বাঁচানোর জন্য। আপনারাও ভেবে দেখতে পারেন বিষয়টা।

১. তিতার সীমিত উপকারিতা — এবং তার বাস্তবতা:

তিতাতে কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন charantin, momordicin, vicine, এবং কিছুটা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকে। এই উপাদানগুলো মাঝে মাঝে গ্রহণ করলে পাচনতন্ত্রে সাময়িকভাবে সহায়ক হতে পারে। কিন্তু এই গুণগুলোকে প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করা হলে শরীরে দীর্ঘমেয়াদে বিপরীত প্রভাব পড়ে।
২. বিজ্ঞানের আলোকে তিতা খাওয়ার স্বাস্থ্যঝুঁকি:

ক. পাচনতন্ত্র ও হজমের ক্ষতি:

করলা ও নিমে থাকে তীব্র গ্লাইকোসাইড ও অ্যালকালয়েড, যা রোজ খেলে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড নিঃসরণে ভারসাম্যহীনতা ঘটায়।

Journal of Ethnopharmacology (2009) অনুযায়ী, করলার অতিরিক্ত গ্রহণে gastropathy বা পেটের প্রদাহ, অম্বল এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়।

দীর্ঘমেয়াদে তিতা খেলে পাচনতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে দেহে সুষম পুষ্টির শোষণ ব্যাহত হয়।
খ. লিভার ও কিডনির উপর বিষক্রিয়া:

Toxicology Reports (2016) প্রকাশ করে, করলা ও নিমে থাকা তিতাবিষ দীর্ঘদিন গ্রহণ করলে hepatotoxicity (লিভার কোষে বিষক্রিয়া) ও nephrotoxicity (বৃক্কের ক্ষতি) ঘটাতে পারে।

বিশেষত যারা আগে থেকেই লিভার বা কিডনি সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এটি বড় বিপদ।
গ. রক্তচাপ, হৃদপিণ্ড ও ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য:

করলা ও নিম কিছু ক্ষেত্রে hypokalemia ঘটাতে পারে, অর্থাৎ রক্তে পটাসিয়ামের ঘাটতি — যা হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ ও স্নায়ুর স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়।

American Journal of Hypertension (2013) বলছে, প্রাকৃতিক ডিটক্স উপাদান হিসেবে তিতা ব্যবহার করলে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

ঘ. ডায়াবেটিসে হঠাৎ রক্তে চিনি কমে যাওয়া (Hypoglycemia):

করলা সাময়িকভাবে ইনসুলিন-সদৃশ আচরণ করে (insulin mimetic effect)।

কিন্তু ২০১১ সালে Journal of Medicinal Food-এ প্রকাশিত গবেষণায় জানা যায়, নিয়মিত করলা গ্রহণে অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা যায় — বিশেষত যারা ডায়াবেটিক ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এটা জীবনঘাতী হতে পারে।
ঙ. শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী নারীদের জন্য ক্ষতিকর:

Toxicology Letters (2010)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, করলার নির্যাসে থাকা কিছু যৌগ গর্ভস্থ ভ্রূণের বিকাশে বাধা দেয় এবং গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়ায়।

শিশুদের হজমক্ষমতা দুর্বল হওয়ায় তিতার তীব্রতা থেকে ডায়রিয়া বা বমি হতে পারে।

বয়স্কদের ক্ষেত্রে স্নায়ুর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তিতার অতিরিক্ত রাসায়নিক।

---

৩. ডায়াবেটিসের বিজ্ঞাপনভিত্তিক প্রতারণা:

বাজারে করলার জুস, তিতা-চা, বা ‘রক্ত পরিষ্কার করে’ — এমন দাবির প্রচারে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন। কিন্তু…

করলা বা তিতা কোনোদিনই ইনসুলিন বা মেটফর্মিনের বিকল্প নয়।

এগুলোর গ্লুকোজ-নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা স্বল্পমাত্রা ও ক্ষণস্থায়ী — তাও নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও পরিস্থিতিতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এখনো করলা বা নিমকে ডায়াবেটিস চিকিৎসার জন্য স্বীকৃত চিকিৎসা নয় বলে চিহ্নিত করেছে।

👉 Clinical Diabetes Journal (2018) স্পষ্টভাবে বলেছে:

"There is insufficient evidence to recommend bitter melon as a treatment for diabetes. Any benefit is modest, inconsistent, and potentially dangerous if used alongside glucose-lowering medications."

৫. উপসংহার:

তিতা খাওয়ার অভ্যাস পুরোনো, কিন্তু প্রতিদিন খাওয়ার বিজ্ঞাপন-নির্ভর প্রবণতা বিপজ্জনক। ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় স্বনির্ভরতা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও প্রাকৃতিক উপাদানই নিয়মিত, ডোজবিহীনভাবে গ্রহণ করা উচিত নয়।

তাই বলাই যায় —
"রেগুলার তিতা খাওয়া নয়, জ্ঞানে খাওয়া — সেটাই আসল।

🔎 উল্লেখযোগ্য রেফারেন্স:

1. Joseph B, Jini D. Antidiabetic effects of Momordica charantia (bitter melon) and its medicinal potency. Asian Pacific Journal of Tropical Disease, 2013.

2. Bashir S, et al. Toxicological evaluation of Neem leaf extract. Toxicology Reports, 2016.

3. John M. Bitter Melon and Hypoglycemia Risk: A Cautionary Review. Journal of Medicinal Food, 2011.

4. World Health Organization. WHO Traditional Medicine Strategy 2014–2023.

5. American Diabetes Association. Natural Products and Supplements in Diabetes, Clinical Diabetes Journal, 2018.

বিশেষ অনুরোধ:
এই প্রবন্ধটি সামাজিক মাধ্যমে বা সচেতনতা প্রচারে ব্যবহার করলে বিজ্ঞাপন-ভিত্তিক বিভ্রান্তি প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিছু লোকের ব্যবসা করে মানুষকে ভুল ভ্রান্তির মাধ্যমে পয়সা রোজগার করার পর টা তাহলেই বন্ধ করা সম্ভব।।

তিথি ভিত্তিক খাদ্যের অভ্যাস: পূর্ব প্রকাশিতের পর আজকের বিষয় 🌼 দ্বাদশী তিথি: পুনঃসংযম ও বিশ্রামের বার্তা🚫 নিষেধ: মিষ্টিজ...
22/07/2025

তিথি ভিত্তিক খাদ্যের অভ্যাস: পূর্ব প্রকাশিতের পর
আজকের বিষয়
🌼 দ্বাদশী তিথি: পুনঃসংযম ও বিশ্রামের বার্তা

🚫 নিষেধ: মিষ্টিজাত খাবার ও ভারী আহার

🔱 ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ:

দ্বাদশী হল একাদশীর পরদিন — উপবাসের পারণ করার পবিত্র সময়। একাদশীর উপবাস ভাঙা হয় এই তিথিতে।
পুরাণ অনুযায়ী, এইদিন ভগবান বিষ্ণুকে দুধ, ফল ও হালকা আহার নিবেদন করে উপবাস ভঙ্গ করলে পুণ্য লাভ হয়।
তবে বলা হয়েছে—এই দিনে মিষ্টি ও ভারী খাদ্য না খাওয়াই শ্রেয়। কারণ শরীর তখনো একাদশীর সংযম থেকে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি।

👼 ব্রত পালনকারীকে সেদিন সহজপাচ্য খাবার খেয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক খাওয়ার দিকে ফিরে যেতে বলা হয়। অতিরিক্ত মিষ্টি বা ভাজা খাবার শরীরকে ধাক্কা দিতে পারে।

🧪 বিজ্ঞানসম্মত ও চিকিৎসা-ভিত্তিক বিশ্লেষণ:

🔹 একাদশীর উপবাসে শরীর এক ধরণের metabolic slowdown অবস্থায় থাকে।
🔹 হঠাৎ করে অত্যধিক মিষ্টি বা উচ্চ-ক্যালোরি খাবার খেলে রক্তে গ্লুকোজের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে — যা শরীরের ইনসুলিন রেসপন্সে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
🔹 বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
🔹 হজমযন্ত্র এখনো সংবেদনশীল থাকায় ভারী বা তেল-মশলা যুক্ত খাবার গ্রহণে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, পেট ফাঁপা বা আলস্য দেখা দিতে পারে।

🍽️ কি খাওয়া উচিত?

✅ হালকা, সহজপাচ্য খাবার যেমন:

ভাত বা লাউ-ঝোল

মুগডাল

সিদ্ধ সবজি

নারকেল-জল

তাজা ফলমূল

সামান্য মিষ্টতা সম্পন্ন খাবার (যেমন গুড়-ভেজানো পাতলা দুধ)

❌ এড়ানো উচিত:

রসগোল্লা, সন্দেশ, কেক জাতীয় ডেজার্ট

বিরিয়ানি, পোস্ত, দুধের মোহনভোগ

অতিরিক্ত লবণ বা চিনি

ডিম বা মাছ-মাংস

তেল-মশলা যুক্ত খাবার

☀️ আত্মিক উপকারিতা:

একাদশীর সংযমের পরে দ্বাদশী আমাদের শেখায়—কীভাবে ধীরে ধীরে জীবনে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা যায়।

এটি সংযমের গুরুত্ব, শরীরের ছন্দ বোঝা ও আহারের প্রজ্ঞা রক্ষা করার শিক্ষা দেয়।

🔚 উপসংহার:

দ্বাদশী তিথি উপবাস ভঙ্গের দিন হলেও, তা যেন উদ্দাম খাওয়া-দাওয়ার দিন না হয়। এটি হল শরীরকে ধীরে ধীরে পুনরুজ্জীবিত করার এক সূক্ষ্ম ও সংযত সময়। তাই শরীর ও আত্মার ভারসাম্য রক্ষার্থে মিষ্টিজাত ও ভারী খাবার এড়িয়ে সহজ ও পবিত্র আহার করা সর্বোত্তম।

21/07/2025

I request everyone to listen to the poadcast with attention.
কারণ এখানে আমাদের অতি পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত গর্বের এবং সম্মানের একটি বস্তু নিয়ে কথা বলা হয়েছে যার নাম রুদ্রাক্ষ।
রুদ্রাক্ষ শুধু ধর্মীয় মান্যতা ই নয় চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যগত দিক থেকে কতখানি উপকারী এ বিষয়ে আমাদের দেশের কেউ তেমন মাথা না ঘামালেও সারা বিশ্ব কতখানি গবেষণা করছে এই নিয়ে এই ভিডিও পডকাস্টটি শুনলে বুঝতে পারবেন।
বুঝতে পারবেন রুদ্রাক্ষ নিজেই কত বড় একটা চিকিৎসক। এই ভিডিও পডকাস্ট এ এ আমার সমস্ত সাক্ষাৎকার যিনি নিচ্ছেন তিনি ওই দেশের একজন বিশাল বড় সংবাদ ব্যক্তিত্ব জুলিয়ান রুবার্তো।
সম্পূর্ণ ভিডিওটি শুনলে বুঝতে পারবেন আমার এচিভমেন্ট কোন জায়গাটায়। আমি তাদের মুখে দিয়ে বের করাতে পেরেছি যে সেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অকাজের এবং সেই দেশে যারা বা বিদেশে যারা বড় বড় পশ্চিমা পন্ডিত হিসেবে নিজেদেরকে দাবি করে তারা যে আসলেই গন্ডমূর্খ সেখানে জুলিয়ান রবার্তোর মতো বিশ্ববন্দিত ব্যক্তিত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন। আর এখানেই আমার সার্থকতা।
দয়া করে সবাই আগাগোড়া শুনবেন। সম্পূর্ণ ইংরেজি ভাষায় বলে হয়তো পুরোপুরি ভালো নাও লাগতে পারে তবুও শুনবেন।

প্রকাশিত হলো দ্বিতীয় খন্ড ও:  যারা প্রয়োজন মনে করবেন amazon থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। নিচের লিংকে ক্লিক করলেই amazon থ...
21/07/2025

প্রকাশিত হলো দ্বিতীয় খন্ড ও: যারা প্রয়োজন মনে করবেন amazon থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। নিচের লিংকে ক্লিক করলেই amazon থেকে ডাউনলোড করার লিঙ্ক পেয়ে যাবেন।

The 30 Tithis of Krishna Paksha and Shukla Paksha in Hindu Lunar Calendar : The Health Importance Their Dietary Disciplines: Part-2

Some promotions may be combined; others are not eligible to be combined with other offers. For details, please see the Terms & Conditions associated with these promotions.

তিথি অনুসারে খাদ্যাভ্যাস: শুধুই ধর্মীয় বাধা নিষেধ নয় রয়েছে অভাবনীয় বৈজ্ঞানিক চিন্তা ধারা এবং স্বাস্থ্য চিন্তা 🍧🍧🍧🍧🍧🍧...
13/07/2025

তিথি অনুসারে খাদ্যাভ্যাস: শুধুই ধর্মীয় বাধা নিষেধ নয়
রয়েছে অভাবনীয় বৈজ্ঞানিক চিন্তা ধারা এবং স্বাস্থ্য চিন্তা
🍧🍧🍧🍧🍧🍧🍧🍧🍧🍧🍧🍧🍧🍧🍧🍧🍧
::::::::একাদশী তিথি::::::

🌿 **একাদশী তিথি: উপবাস, পরিশুদ্ধি ও পুনর্জন্মের বার্তা**

# # # 🚫 নিষেধ: **শস্যদানা ও দানা জাতীয় খাদ্য (grains and cereals)**

🔱 **ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি:**

হিন্দু ধর্মে একাদশী হল বিষ্ণু ভগবানের উপাসনার একটি বিশেষ দিন। এই তিথিতে উপবাস পালন করে ভক্তেরা শরীর ও মনকে পবিত্র করার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির পথে অগ্রসর হন। পুরাণ মতে, একাদশী দেবী হচ্ছেন বিষ্ণুর শক্তির রূপ, যিনি দুষ্ট প্রবৃত্তিগুলিকে দমন করেন।
এই তিথিতে শস্য খাওয়া নিষিদ্ধ কারণ এতে রজ-তমোগুণ বৃদ্ধি পায় — যা ভক্তির পরিশুদ্ধি ও মানসিক শুদ্ধতাকে বাধা দেয়।

🧪 **বিজ্ঞান ও চিকিৎসা-ভিত্তিক বিশ্লেষণ:**

🔹 **Intermittent Fasting** এর ধারণা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হচ্ছে। একাদশীর উপবাস তারই একটি প্রাচীন সংস্করণ।
🔹 দানা জাতীয় খাবারে কার্বোহাইড্রেট ও শর্করা বেশি থাকে, যা হজমে চাপ ফেলে।
🔹 এই তিথিতে হজমশক্তি অপেক্ষাকৃত দুর্বল থাকে — যা প্রাচীন আয়ুর্বেদের বক্তব্য। তাই সহজপাচ্য খাবার বা নিরাহার থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
🔹 উপবাসে শরীরে অটোফ্যাগি (cellular detoxification) শুরু হয় — যা শরীরের কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে।

🍲 **কি খাওয়া উচিত?**

✅ ফল, দুধ, উপবাসের খাবার (যেমন: সাবুদানা, শাক-সবজি, সিঙ্গাড়া জাতীয় নয় এমন হালকা পাকার খাবার), আটা ছাড়া বানানো রেসিপি ইত্যাদি।
❌ চাল, গম, ডাল, ছোলা, করাই খাবার, পেঁয়াজ, রসুন, মাংস, ডিম, ও মসুর/অড়হর জাতীয় শস্যদানা।

🧘‍♂️ **আত্মিক উপকারিতা:**

* মন শান্ত হয়
* স্মৃতিশক্তি বাড়ে
* সংযম ও ব্রতচর্চার অভ্যাস গড়ে ওঠে
* জীবনে শুদ্ধতা ও লক্ষ্যস্থিরতা আসে

🔚 উপসংহার:

একাদশী শুধু খাবারের নিয়ম নয়, এটি এক ধরণের জীবনের চর্চা। আত্মনিয়ন্ত্রণ, শুদ্ধতা ও ঈশ্বরের প্রতি আস্থা এই তিথির মূল শিক্ষা। শরীর ও মন উভয়ের ভারসাম্য রক্ষা করে এমন খাদ্যাভ্যাস এই তিথির উপলব্ধি।

11/07/2025

বিবিসি পডকাস্টে আবার স্থান করে নিল আমার তিথিভিত্তিক খাদ্যাভ্যাসের বিষয়টি। সবাই শুনবেন।

Address

Delhi

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Padmabhushan Dr.Hrishikesh Majumder posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Padmabhushan Dr.Hrishikesh Majumder:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram