AsadHealth Academy

AsadHealth Academy AsadHealth Academy is a health-related self-learning page, focusing on home remedy of each

11/10/2025

প্রিয় দর্শক,
আসসালামু আলাইকুম।

আমি নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতেই বাংলাদেশে আসছি ইনশাআল্লাহ। অন্তত মাসখানেক ঢাকায় থাকবো। আপনারা অনেকেই বিভিন্ন সময় আপনাদের বিভিন্ন রোগ নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলে থাকেন। আমি আপনাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশে কথা বলি সুদূর আমেরিকা থেকে ফোনে, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি।

অনেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কথা বলেন, অনেকে পেপটিক আলসার, পাইলস, লিভার সিরোসিস এর মতো বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন, অনেকে ডায়াবেটিস সমস্যায় ভুগছেন; এগুলোর ভালো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
IBS, IBD constipation ইত্যাদির সমাধান করা হচ্ছে চিকিৎসার মাধ্যমে।
চুলকানি বা এলার্জি নিয়ে অনেকে সমস্যায় থাকেন, পিত্তথলির সমস্যা, লিভারের সমস্যা, সব কিছুরই খুব ভালো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে আল্লাহর রহমতে।
অনেকে হার্টের সমস্যা নিয়ে আছেন, সেই হার্টেরও যেকোনো ধরনের সমস্যার ভালো চিকিৎসা দিচ্ছি।
দাম্পত্য জীবন সুন্দর করে তোলার জন্য অন্যতম বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় যে সমস্যা, সেটা যৌন সমস্যা। এটাও একটি প্রকট সমস্যা এবং স্বামী স্ত্রী উভয়েই এই সমস্যার মধ্যে থাকতে পারেন। এটাও সচেতনতার প্রয়োজন এবং এই যৌন সমস্যারও অনেক ভালো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যার ইতিবাচক রিপোর্ট পাই।
যাঁরা নিঃসন্তান, তাঁদের চিকিৎসাও চলছে এবং আল্লার রহমতে সেখানেও ভালো ফলাফল এসেছে।

ডক্টর অব ন্যাচারাল মেডিসিন-এর একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে এবং আমার দীর্ঘদিনের গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে বলবো, আল্লাহর উপর ভরসা রেখে আমার কাছ থেকে প্রাকৃতিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন, ইনশাআল্লাহ ভালো ফলাফল আসবে। কারণ ইতিমধ্যে গত কয়েক বছরে শত শত রোগী আমার কাছ থেকে ওষুধ নিয়েছেন এবং ভালো হয়েছেন।

এখনো যাঁরা সবসময় আমার সঙ্গে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রাখছেন, বিশেষ করে যাঁরা বাংলাদেশে আছেন, তাঁরা মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত সরাসরি আমার সঙ্গে ঢাকায় 'আসাদ হলিস্টিক হেলথ সেন্টার'-এ দেখা করে আপনাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন।

👉 নিচের দেওয়া অফিসের ঠিকানা এবং ফোন নাম্বারে এপয়েন্টমেন্ট-এর জন্য যোগাযোগ করুন :

🌿 আসাদ হলিস্টিক হেলথ সেন্টার 🌿
বাড়ি-৫, রোড-৭, ব্লক -এ
মিরপুর-১০, ঢাকা।
মোবাইল : 01830-100100,
+1 215 397 9652

11/10/2025
11/09/2025

👉 কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ কী?

কোষ্ঠকাঠিন্য হলো মল শক্ত এবং শুকনো হওয়ার কারণে মলত্যাগের সময় কষ্ট হওয়া। যদি কারো এক সপ্তাহে তিনবার এর চাইতে কম মলত্যাগের অনুভূতি জাগে তবে নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, তার কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে। এই কোষ্ঠকাঠিন্য যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে তাকে ক্রনিক কনস্টিপেশন বলা হয়। আমেরিকাতেও প্রায় ৬.৩ কোটি মানুষ এই রোগে ভুগছে। এই রোগের প্রধান কারণ হলো খাবারের মেনুতে ফাইবার জাতীয় খাবার না থাকা বা কম থাকা। এই রোগের প্রধান উপসর্গ হলো মলত্যাগের উদ্রেক হয় না এবং সহজে মল পাস হয় না।

👉 কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা :
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে, প্রচুর পানি এবং তরল জাতীয় খাবার খেলে এবং ব্যায়াম করলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তাছাড়া এলোভেরা জেল, লিকোরাইস রুট, ইসপগুলের ভুষি, মিথাইল সেলুলোজ, ভিটামিন ( ভিটামিন C, B-1, B-5, B-12, ফলিক অ্যাসিড) গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

⭐ কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে এই ভিডিয়োতে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের ভিডিয়োগুলো নিয়মিত দেখুন, প্রয়োজনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন :

🌿 আসাদ হলিস্টিক হেলথ সেন্টার 🌿
বাড়ি-৫, রোড-৭, ব্লক -এ
মিরপুর-১০, ঢাকা।

ফোন নাম্বার :
অফিস : ০৯৬১১ ৯০০ ১৯০,
০১৭১৫ ১৬৩ ৭১৫,
০১৮৩০ ১০০ ১০০
০১৮৭৫ ১৬২ ৬১৪,
+১ ২১৫ ৩৯৭ ৯৬৫২

Episode-7:  দৈনন্দিন স্বাস্থ্যকথা-ASAD HOLISTIC HEALTH CENTER 🔴 IBS কি সত্যিই ভালো হয় না ???? ডাক্তার এবং রোগীরাও বলে  ...
11/08/2025

Episode-7: দৈনন্দিন স্বাস্থ্যকথা-ASAD HOLISTIC HEALTH CENTER

🔴 IBS কি সত্যিই ভালো হয় না ????

ডাক্তার এবং রোগীরাও বলে IBS (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রম) এবং IBD (ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ) নাকি ভালো হয় না বা ওষুধ নেই। তা ছাড়া অনেক ডাক্তার বলে এটা নাকি মানসিক রোগ থেকে হয়। আপনি কি একমত ?

🤘🏻 আমি একমত নই এবং আসুন দেখি কোথায় দ্বিমত !

👌 IBS এবং IBD হলো দুটি সাধারণ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অর্থাৎ পরিপাক তন্ত্রের রোগ যা পেটে ব্যথা, খিঁচুনি, কামড় এবং অন্ত্রের অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটায়। যদিও এই দুটি রোগের মধ্যে কিছু মিল রয়েছে, তবে লক্ষণ এবং চিকিৎসার ধরণ কিছুটা আলাদা।

IBS :
সংজ্ঞা : পেটে ব্যথা, ফোলাভাব, গ্যাস এবং অন্ত্রের অভ্যাসের পরিবর্তন যেমন ডায়রিয়া, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, অথবা উভয়ই থাকে তবে কোনো প্রদাহ বা ক্ষত থাকে না।

🦠 কারণ : আধুনিক মেডিকেল সাইন্স বলে IBS এর সঠিক কারণ অজানা, তবে এটি জেনেটিক্স, অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া এবং স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে একটি জটিল মিথস্ক্রিয়া তৈরি করে ।

🩼 🩺🩻 🩸 লক্ষণ : পেটে ব্যথা, ফোলাভাব, গ্যাস, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মলে শ্লেষ্মা, ক্লান্তি ইত্যাদি ।

💊 🩹 চিকিৎসা : প্রচলিত বা আধুনিক চিকিৎসায় জীবনধারা পরিবর্তনের কথা বলা হয় যেমন-খাদ্য, ব্যায়াম, চাপ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। আবার কিছু ওষুধ (অ্যান্টিসপাসমডিক্স, অ্যান্টি-ডায়রিয়া, ল্যাক্সেটিভস) দেওয়া হয় এবং কখনও কখনও সাইকোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।

IBD :
সংজ্ঞা: ক্রোন'স ডিজিজ এবং আলসারেটিভ কোলাইটিসসহ পাচনতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এমন দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ।

🦠 কারণ : IBD হলো একটি অটোইমিউন ডিজিজ যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুল করে পাচনতন্ত্রের সুস্থ কোষগুলোকে আক্রমণ করে, যার ফলে কোষগুলো ভেঙে যায় এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে ।

🩼 🩺🩻 লক্ষণ : পেটে ব্যথা, খিঁচুনি, ডায়রিয়া, মলদ্বারে রক্তপাত, ওজন হ্রাস, জ্বর এবং ক্লান্তি।

💊 🩹 চিকিৎসা : ওষুধ (প্রদাহ রোধী ), সার্জারি এবং পুষ্টি থেরাপি। গুরুতর ক্ষেত্রে, হাসপাতালে ভর্তি এবং নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হতে পারে।

🔴দুর্ভাগ্য ও হতাশা 🔵

IBS এবং IBD রোগের ক্ষেত্রে প্রচলিত চিকিৎসা কোনো কাজে আসে না। রোগী বছরের পর বছর ধরে ওষুধ খান, একটার পর একটা ডাক্তার চেঞ্জ করেন, দেশে হয় না বিদেশে যান কিন্তু ফলাফল একই থাকে। শেষে হতাশ হয়ে ডাক্তারের পরামর্শে মানসিক ডাক্তারের কাছে যায়। সেখানে একের পর এক ঘুমের ওষুধ দিতে থাকে। শেষে শরীরের বাকি শক্তিটুকু শেষ করে বিছানাগত হয় এবং রোগ তৈরির শেষ ধাপ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।

🔴 IBS এবং IBD শুরু হয় কীভাবে? 🔵

👉 IBS এবং IBD এর কোনও একক কারণ নেই, তবে এটি অন্ত্র ও মস্তিষ্কের মধ্যে বিভিন্নভাবে সংযোগ ব্যাহত করে, ফলে Gut - Brain এর মধ্যে সিগন্যাল আদান প্রদান ব্যাহত হয় ।
👉 যে সমস্ত কারণে পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তার মধ্যে পরিপাক তন্ত্রের সংক্রমণ, অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার পরিবর্তন এবং অন্ত্রের সংবেদনশীলতা অন্যতম ।
👉 আধুনিক চিকিৎসামতে মানসিক চাপ, খাদ্য সংবেদনশীলতা এবং কিছু ওষুধও IBS-এর বিকাশে অবদান রাখে। তবে প্রাকৃতিক চিকিৎসামতে মানসিক চাপ IBS এর কারণ নয় বা কোনো রোগেরই কারণ নয়।
👉 কারণ বনের পশুরা জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকিতে সবচাইতে বেশি টেনশনে থাকে কিন্তু তাদের রোগ হয় না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি হরিণ সব সময় বাঘ বা সিংহের আক্রমণের ভয়ে থাকে। আবার বাঘ বা সিংহ হরিণ বা অন্যান্য পশু শিকার করতে না পারলে তারা খাদ্যের অভাবে মারা যায়। শত্রুর আক্রমণ আর খাদ্যের অভাবেই প্রাণিকুল সবচাইতে বেশি টেনশনে থাকে। তাহলে পশুদের কোনো অসুখ হয় না, মানুষের হবে কেন।

🔴আমার নিজস্ব মতামত 🔵
IBS - IBD এর প্রধান কারণ পাকস্থলীতে H Pylori ইনফেকশন, যার ফলে পাকস্থলীতে আলসার বা গ্যাস্ট্রাইটিস হয়। এগুলো হলে, খাদ্যের সাথে আসা ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীতে মরে না , ফলে কোলনে চলে যায়। এদের মধ্যে রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া যেমন শিগেলা ব্যাকটেরিয়া, স্যালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া এবং E Coli ব্যাকটেরিয়া। অন্যদিকে পাকস্থলীতে আলসার হলে খাদ্য হজম হয় না ফলে অতিরিক্ত খাবার কোলনে চলে যায়, যা ব্যাড ব্যাকটেরিয়া খেয়ে ওভার গ্রোথ হয়। এই অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যাড ব্যাক্টেরিয়ার কারণেই কোলন ডিসফাংকশন করে, যার নাম IBS আর যদি ইনফেকশন বা ক্ষত তৈরি করে ফেলে তবে তাকে IBD বলে।

তথ্য সংকলন এবং গবেষণায়
প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ
• Dr. of Natural Medicine
• Certified Health Coach
• Certified Nutritionist
• Certified Herbalist
• Certified Spiritual Guide
• Certified Holistic Health Practitioner
Asad Holistic Health Center
05, Road 07, Mirpur-10, Dhaka
WhatsApp: +1 215 397 9652
Date: 07-Nov, 2025

Episode-7: ডায়বেটিসের গাণিতিক সমাধান Professor Dr. Mohammad Asadullah, Asad Holistic Health Center, House-05, Road-07, ...
11/05/2025

Episode-7: ডায়বেটিসের গাণিতিক সমাধান
Professor Dr. Mohammad Asadullah, Asad Holistic Health Center, House-05, Road-07, Block-A, Mirpur-10, Dhaka, WhatsApp: +1 215 397 9652

লেখাটি প্রথম পাবলিশ হয়েছিল Episode 17: Mathematical Fact for Diabetes, First Posted Wednesday, July 25, 2018 at 5:35 PM

• রক্তে চিনির সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা অতিক্রম করলে আমরা ডায়াবেটিস রোগ বলি ৷ রক্তে চিনির মাত্রা হলো ফাস্টিং অবস্থায় তার ঘনত্ব ৷ সুস্থ শরীরে গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ ঘনত্ব হলো ১০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার রক্ত ৷ ১০০ - ১২৫ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার পর্যন্ত বলা হয় প্রিডায়াবেটিস, এবং ১২৫ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার এর উপরে হলে ডায়াবেটিস বলা হয় ৷

• ডায়াবেটিস ফ্যাক্ট জানার জন্য যে সংখ্যাগুলো জানার দরকার তা নিম্নরূপ -
১. মানুষের শরীরে স্বাভাবিক রক্তের পরিমান ৫ লিটার
২. ১ লিটার = ১০ ডেসিলিটার
৩. ৫ লিটার = ৫০ ডেসিলিটার
৪. রক্তে গ্রহণযোগ্য সর্ব্বোচ্চ চিনির মাত্রা, ১০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার
৫. প্রিডায়াবেটিস লিমিট, ১০০ – ১২৫ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার
৬. ১ চা চামচ চিনি = ৫ গ্রাম চিনি
৭. ১ গ্রাম = ১০০০ মিলিগ্রাম
৮. ১ গ্রাম চিনি = ৪ কিলোক্যালোরি শক্তি
৯. শুধু খাবারের ক্ষেত্রে কিলোক্যালরিকে ক্যালোরি বলা হয়।

• সুস্থ্য অবস্থায় শরীর তার অটোমেটিক কন্ট্রোলের মাধ্যমে ইন্সুলিন নিঃসরণ করে চিনিকে শক্তিতে রূপান্তরিত করার জন্য সেলে প্রবেশ করতে সহায়ওতা করে। ফাস্টিং অবস্থায় চিনির মাত্রা সর্বোচ্চ লিমিট অতিক্রম করলে শরীর তার ইন্সুলিন নিয়ন্ত্রণ হারিয় ফেলে ৷ ফলে চিনির মাত্রা দ্বিগুন বা তিনগুন পর্যন্ত চলে যেতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে হয় ইন্সুলিন নিঃসরণ হয় না বা হলেও তা কাজ করে না বা কাজ করতে বাধাগ্রস্ত হয় ৷

• ফাস্টিং অবস্থায় মানুষের শরীরে স্বাভাবিক চিনির লিমিট = ১০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটের x ৫০ ডেসিলিটের = ৫০০০ মিলিগ্রাম = ৫০০০ / ১০০০ = ৫ গ্রাম = ১ চা চামচ ৷

• অর্থাৎ আমাদের শরীরের রক্তে ফাস্টিং অবস্থায় সর্বোচ্চ মাত্র ১ চা চামচ চিনি থাকতে পারে ৷ এখন মনে করি স্বাভাবিক সুস্থ শরীরে ৮০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার চিনি আছে, অর্থাৎ টোটাল ৮০ x ৫০ = ৪০০০ মিলিগ্রাম = ৪ গ্রাম চিনি আছে ৷ অন্যদিকে ডায়াবেটিস অবস্থায় ১৩০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার, অর্থাৎ ১৩০ x ৫০ = ৬৫০০ মিলিগ্রাম = ৬.৫ গ্রাম চিনি আছে ৷ এ দুইয়ের পার্থক্য = ৬.৫ গ্রাম – ৪ গ্রাম = ১.৫ গ্রাম ৷ অর্থাৎ মানুষের শরীরে যদি মাত্র ১.৫ গ্রাম অতিরিক্ত চিনি থাকে তাহলেই ডায়াবেটিস রুগীতে পরিণত হয় ৷

• আমরা যে ভাত বা রুটি খায় তার সবটুকুই পাকস্থলীতে চিনিতে রূপান্তরিত হয়ে রক্তে পরিশোষিত হয়, যা ইনসুলিনের মাধ্যমে কোষে গিয়ে শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ৷ রক্তে যদি চিনির মাত্রা শূন্য হয়ে যায় তবে শক্তির অভাবে মানুষ সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবে, অন্যদিকে ৫ গ্রামের বেশি হলে ডায়াবেটিস রোগ হবে ৷

• ১ কাপ রান্না ভাতে ৪৫ গ্রাম চিনি তৈরি হয় ৷ আমরা গড়ে নাস্তাতে ১ কাপ এবং লাঞ্চ বা ডিনারে দুই কাপ ভাত খেয়ে থাকি অর্থাৎ নাস্তা, লাঞ্চ এবং ডিনার মিলে গড়ে ২২৫ গ্রাম চিনি রক্তে সাপ্লাই দিই ৷ এখন সুস্থ শরীরে এই ২২৫ গ্রাম চিনিই শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে থাকে, অর্থাৎ আমাদের শরীর প্রতি দিন শুধুমাত্র ভাত থেকে ২২৫ x ৪ = ৯০০ কিলোক্যালোরি শক্তি উৎপন্ন করে থাকে যা আমাদের শরীরকে পূর্ণোদ্যমে পরিচালনা করতে কাজে লাগে ৷

• এখন উপরের হিসাব অনুযায়ী যদি মাত্র ১.৫ গ্রাম চিনি শরীরের রক্তে বেশি থেকে যায় তাহলে ডায়বেটিস রোগ হয় ৷ অর্থাৎ এই ১.৫ গ্রাম চিনিকে শক্তিতে রূপান্তরিত করলে মাত্র ১.৫ x ৪ = ৬ কিলোক্যালোরি শক্তি উৎপন্ন হয় ৷

• আমাদের শরীর তার স্বাভাবিক মেটাবলিজমের মাধ্যমেই সমস্ত চিনিকে (২২৫ গ্রাম) শক্তিতে রূপান্তরিত করে ৷ আর এই স্বাভাবিক মেটাবলিজমের জন্য যে অক্সিজেন লাগে শরীর তা নিশ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করে থেকে ৷ মেটাবলিজম রেট অক্সিজেন সাপ্লাই রেটের সাথে বাড়তে থেকে ৷ আমাদের স্বাভাবিক নিশ্বাস-প্রশ্বাসের রেট প্রতি মিনিটে 12-20, জোরে হাঁটলে তা 20-25 হয়, জগিং করলে হয় 25-30, এবং দৌড় দিলে তা হয় 30-40৷ অর্থাৎ দৌড় দিলে আমাদের মেটাবলিজম রেট ডাবল বা তার চেইয়েও বেশি হয়ে যায় ৷

• সিম্পল সমীকরণ, মাত্র ১০ মিনিট জোরে দৌড় দিন, বা ২০ মিনিট আস্তে দৌড় দিন বা ৪০-৪৫ মিনিট জোরে হাঁটুন, আপনার শরীরের অতিরিক্ত চিনি পুড়ে ছার-খার হয়ে যাবে, কোনো অতিরিক্ত চিনি থাকবে না, ডায়বেটিস হবে কেমন করে !

• তথ্য অনুযায়ী ১৪০ পাউন্ড ওজনের কোনো ব্যক্তি জোরে দৌড় দিলে ১০ মিনিটে প্রায় ১০০ কিলোক্যালোরি শক্তি উৎপন্ন হয় ৷ তাহলে ভাবছেন অতিরিক্ত ৬ কিলোক্যালোরি শক্তি তৈরি করতে মাত্র দুই-এক মিনিট দৌড় দিলেই তো হয় ৷ তা নয়, কারণ অল্প দৌড় দিলে আপনার ক্ষুধা বেড়ে যাবে, বেশি খেয়ে আবার সেটাকে পূরণ করে ফেলবেন ৷ তাই মনে রাখতে হবে কতটুকু নেট বার্নিং করছেন ৷ তাই সন্দেহ দূর করার জন্য একটু বেশি দৌড় বা হাঁটা দিতে হবে, তা হলেই আপনি আপনার চিনি কন্ট্রোল রাখতে পারবেন ৷ প্রয়োজনের তুলনায় একটু কম খাবার খান, বিশেষ করে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ৷ প্রোটিনের পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিন ৷ ভিটামিন যুক্ত করুন যা মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে দেয় ৷

• উপরের তত্ত্বে ভুল নাই বললেই চলে, তাই জানুন এবং মেনে চলুন ডায়বেটিস আপনাকে স্যালুট দিয়ে পালাবে ৷

লেখাটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন ৷

লেখক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ
তথ্য সংকলন এবং গবেষণায়
প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ
• Dr. of Natural Medicine
• Certified Health Coach
• Certified Nutritionist
• Certified Herbalist
• Certified Spiritual Guide
• Certified Holistic Health Practitioner
Asad Holistic Health Center
05, Road 07, Mirpur-10, Dhaka
WhatsApp: +8801715-163715
+1 215 397 9652
Date: 03-Nov, 2025

11/04/2025

ASAD HOLISTIC HEALTH-দৈনন্দিন স্বাস্থ্য কথা- Episode-6
উচ্চ রক্ত চাপ, স্ট্রোক এবং হার্ট এটাক বলতে কী বোঝায়?
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ

এই এপিসোড প্রথম পাবলিকেশনের তারিখ : Episode 16- Tuesday, June 12, 2018 at 11:33 PM

 যেকোনো জিনিসের ত্রুটিবিহীন ডিজাইন করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়, কিন্তু সৃষ্টিকর্তার ডিজাইনে কোনো ত্রুটি নেই৷ তাই আমাদের দেহের প্রতিটা পার্টস নির্ভুল ডিজাইনে তৈরি। এমনই একটি অর্গান হার্ট এবং তার প্রেসার সম্পর্কে আজ লিখব ৷
 হার্ট এবং পানি তোলা পাম্পের ফাংকশনাল ডিজাইন একই, আর শিরা হলো হার্টের সাকশন হেড এবং ধমনী হলো ডিসচার্জ হেড ৷ হার্ট রক্ত পাম্প করে ডিসচার্জ হেড অর্থাৎ ধমনীতে ছেড়ে দেয় আর শিরার মাধ্যমে সাকশন করে হার্টে ফিরিয়ে নেই ৷
 সংক্ষেপে প্রেসার বলতে বুঝায় গ্যাস বা তরলের অণু যে পাত্রে থাকে তার ওয়ালে যে ধাক্কা দেয়, সেটাই প্রেসার ৷ এই ধাক্কার পরিমাপ হলো প্রতি বর্গ ইঞ্চি জায়গায় গ্যাস বা তরলের অণু কতৃর্ক প্রয়োগ কৃত বল ৷ গ্যাসের সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে, তার চাপ কম বা বেশি তা নির্ভর করে তাতে অণুর সংখ্যা কম বা বেশির উপরে ৷ অণুর সংখ্যা বেশি মানে, প্রতি বর্গ ইঞ্চি জায়গায় ধাক্কার সংখ্যা বেশি ফলে প্রেসার বেশি ৷ তরলের ক্ষেত্রে, মনে করি একটি ড্রামের মধ্যে পানির উচ্চতা ৬ ইঞ্চি, তাহলে ওই ড্রামের ওয়ালের উপরে পানির একটা নির্দিষ্ট চাপ পড়বে ৷ কিন্তু যদি পানির উচ্চতা ৩ ফুট হয় তবে তার প্রেসার অনেকগুন বেশি হবে ৷ অর্থাৎ তরল বা গ্যাসের চাপ হলো তার পাত্রের গায়ে প্রয়োগকৃত বল ৷
 কৃষকের ধান ক্ষেতের ইরিগেশন সিস্টেমের দিকে তাকালে আমরা কী দেখি ? ডিপ টিউবঅয়েল বা শ্যালো মেশিনে মাটির নিচ থেকে পানি তুলে ক্যানেলের মধ্যে ছেড়ে দেয় ৷ পানি ক্যানেলের মধ্যে দিয়ে ধান খেতে পোঁছায় ৷ ওই পানি ক্যানেলের ওয়ালে বল প্রয়োগ করে বা ধাক্কা দেয় যা ওয়ালের উপরে প্রেসার সৃষ্টি করে ৷ যদি ওয়াল শক্ত না হয়, তাহলে তা ভেঙে পানি বের হয়ে যাবে ৷ অথবা সোজা ক্যানেলের মধ্যে যদি হঠাৎ চিকন হয়ে যায় তাহলে পানি প্রবাহে বাধা বেড়ে যাবে ফলে ক্যানেলের ওয়ালে ধাক্কা বা বল বা প্রেসার বেড়ে যাবে, ফলে ক্যানেল ভেঙে পানি বেরিয়ে যাবে ৷ আরেকটি উদাহরণ, ফুল বাগানে বা যেকোনো গাছে আমরা প্লাস্টিক টিউব লাইনের মাধ্যমে পানি দিয়ে থাকি। পানির টিউবের ব্যাসার্ধ ঠিক থাকায় একটা নির্দিষ্ট প্রেসারে টিউবের মধ্যে দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে গাছ পর্যন্ত পোঁছায় ৷ পানি একটু দূরে পাঠানোর জন্য আমরা টিউবের মুখে চেপে ধরি, ফলে টিউবের পানির প্রেসার বেড়ে যায় এবং অতিরিক্ত প্রেসারের কারণে পানি দূরে যায় ৷ সাপ্লায়ের চাইতে ডিসচার্জ কমে গেলে প্রেসার বেড়ে যায়, তাই সাপ্লাইয়ের চাইতে ডিসচার্জ কোনোমতেই কমানো যাবে না ৷ যদি তা হয় তবে টিউব একসময় ফেটে যাবে ৷ এই ঘটনাগুলো বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই জানে, কিন্তু হার্টের প্রেসার সম্পর্কে খুব কম লোকই জানে ৷ কিন্তু বিষয়গুলো হুবহু একই ৷
 বলেছি সৃষ্টিকর্তার ডিজাইনে ভুল নেই ৷ অর্থাৎ আমাদের হার্ট কতটুকু রক্ত পাম্প করবে আর তার জন্য কত ব্যাসার্ধের টিউব লাগবে, ধমনী, তা নির্ভুলভাবে ডিজাইন করা ৷ ধমনীর ওয়াল, ক্যানেল বা টিউবের মতো শক্ত নয়, বরং নমনীয় ৷
 হার্ট সংকোচন এবং রিলাক্সেশনের মাধ্যমে রক্ত পাম্প করে ৷ যখন সংকুচিত হয় তখন রক্ত হার্ট থেকে ধমনীতে যায়, আর যখন রিলাক্স স্টেটে ফিরে আসে তখন শিরা থেকে রক্ত হার্টে প্রবেশ করে ৷ হার্ট সংকোচনের ফলে রক্তের উপরে যে প্রেসার পড়ে সেটাকে সিস্টোলিক প্রেসার বলে আর এই প্রেসার ধমনীর ওয়ালে পড়ে ৷ আবার হার্ট যখন রিলাক্সে আসে তখন তার আরেকটি প্রেসার তৈরি হয় সেটাকে ডায়াস্টোলিক প্রেসার বলে ৷ অর্থাৎ হার্ট রিলাক্সে আসলে ধমনী ও রিলাক্সে আসে ৷
 ডাক্তাররা প্রেসার মাপে হার্টে না হাতে ৷ কারণ হার্ট সংকুচিত হলে ধমনীতে হাই প্রেসার পড়ে আবার হার্ট রিলাক্সে আসলে ধমনীতে লো প্রেসার পড়ে ৷ এজন্য সিস্টোলিক প্রেসার হাই এবং সর্বোচ্চ মাত্রা ১৪০ মিলিমিটার মার্কারি আর ডায়াস্টোলিক প্রেসার লো এবং সর্বোচ্চ লিমিট ৯০ মিলিমিটার মার্কারি ৷
এখন হাই প্রেসার রোগ বলতে কী বুঝায় ?
 যদি কোনো কারণে ধমনীর ব্যাসার্ধ কমে যায় তাহলে রক্ত প্রবাহের বাধা বা ধাক্কা বেড়ে যায়, অর্থাৎ প্রেসার বেড়ে যায় ৷ ১৪০ এর উপরে সিস্টোলিক প্রেসার গেলে অথবা ৯০ এর উপরে ডায়াস্টোলিক প্রেসার গেলে হাই প্রেসার রোগ বলা হয়। নিচেরটা ৯০ এর উপরে গেলে বেশি ক্ষতিকর ৷ হার্ট যদি কমপ্লিট রিলাক্সে ফিরে আসে তবে তার প্রেসার হবে ৯০ এর নিচে ৷ কিন্তু এই প্রেসার যদি ৯০ এর নিচে না আসে তবে বুঝতে হবে যে হার্ট কখনই রিলাক্স পাচ্ছে না ৷
 মানুষ যদি দিনে এবং রাতে রিলাক্স না করে সমানে কাজ করে, তবে এক সপ্তাহও বাঁচবে না ৷ তাই হার্ট যদি তার প্রক্রিয়ায় রিলাক্স স্টেটে না আসতে পারে তা হলে খুব তাড়াতাড়ি ড্যামেজ হয়ে যাবে ৷ স্লিপিং মুডে রক্ত সঞ্চালন কম হয়, ফলে পুরা ব্লাড সার্কুলেশন সিস্টেম একটু রিলাক্স পাই ৷ এ কারণে অমরা হার্টের রুগীদেরকে বা সবাইকে নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে বলি ৷
 এখন ধমনীর ব্যাসার্ধই বা কমবে কেন আর রক্তের প্রেসারই বা বাড়বে কেন ৷ আমাদের ভুলের কারণেই তা হয় ৷ প্রাপ্ত বয়সে আমরা যে খাবার খায় তা সম্পূর্ণরূপে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যাওয়ার কথা ৷ কিছু অংশ অবশ্য প্রোটিনে রূপান্তরিত হয়ে শরীরের ক্ষয় পূরণ করে ৷
 খাবার সম্পূর্ণরূপে শক্তিতে রূপান্তরিত হতে সমানুবিক পরিমান অক্সিজেন সাপ্লাই দিতে হয় ৷ আপনার শরীরে যদি মেদ জমে তাহলে জানতে হবে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সাপ্লাই দিচ্ছেন না ৷ ফলে খাদ্যের একটি অংশ ফ্যাট আকারে, ট্রাই-গ্লিসারাইড, শরীরে জমে যাচ্ছে ৷ কোলেস্টেরলও এক প্রকার ফ্যাট যা দুই প্রকার, LDL এবং HDL ৷ ডাক্তার এবং আমরাও বলি LDL হলো খারাপ কলেস্টেরল, আর HDL ভালো কোলেস্টেরল ৷ ফ্যাট এবং তেল একই জিনিস, পার্থক্য শুধু ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে তাপমাত্রাই ফ্যাট কঠিন আর তেল তরল অবস্থায় থাকে ৷ LDL এবং HDL এর পার্থক্য এক্সাক্টলি ফ্যাট এবং তেলের মতো ৷ LDL শরীরের তাপমাত্রায় জমে কঠিন হয়ে যায় আর HDL তরল অবস্থায় থাকে ৷ HDL ভালো এজন্যই যে, LDL কে জমতে দেয় না, বরং LDL কে HDL এর মধ্যে দ্রবীভূত করে লিভারে নিয়ে যায় যেখানে LDL ভেঙে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় ৷
 এখন ক্লিয়ার বুঝা যাচ্ছে যে, যদি রক্তে LDL বেশি হয়, তবে তা রক্ত নালীর ওয়ালে জমে যাবে ৷ এই অবস্থাকে আমরা বলি হাই কোলেস্টেরল ৷ এই সময় ট্রাই গ্লিসারাইডও কোলেস্টেরলের সাথে মিশে জমতে থাকে ৷ যেহেতু দুটাই তৈলাক্ত ফলে শরীরে তৈরি ইনঅর্গানিক বা অর্গানিক আরও অপদ্রব্য কলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের সাথে জমা হতে থাকে ৷ এই জমাকৃত বস্তুকে প্লাক বলে ৷ প্লাক জমার বিষয়টি ঠিক যেন মৌচাকের মতো, একটি রানী মৌমাছি কোথাও বসলে তাকে ঘিরে হাজারো মৌমাছি সেখানে বসে যায়, ফলে বিশালাকার মৌচাক তৈরি হয়ে যায় ৷ রক্ত নালিতে কোথাও একটু কোলেস্টেরল জমলেই তাকে ঘিরে অন্য সকল অপদ্রব্য জমে রক্তনালীকে সরু থেকে সরুতর এবং শেষে একেবারে বন্ধ করে দেয় ৷ এটাকেই বলা হয় হার্ট ব্লক |
 এখন আর বুঝতে বাকি নেই যে রক্তের ওয়ালে কোনো এক জায়গায় মৌচাকের মতো কলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, ইনঅর্গানিক সল্টস, অর্গানিক অপদ্রব্য জমে রক্তনালীর ব্যাসার্ধকে কমিয়ে দিতে পারে ৷ তখন রক্ত প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে রক্তনালীর ওয়ালে রক্তের ধাক্কা বা প্রেসার বেড়ে যায় ৷ ব্যাসার্ধ খুব বেশি কমে গেলে, প্রেসার খুব বেশি বেড়ে যাবে ৷ এভাবে চলতে থাকলে এক সময় রক্তনালী পুরাটাই ব্লক হয়ে যাবে ৷ তখন রক্ত একেবারেই প্রবাহিত হতে পারে না। কিন্তু হার্টতো বসে নেয়, সে রক্ত পাম্প করেই যাচ্ছে ৷ ফলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই রক্তনালী বেলুনের মতো সম্প্রসারিত হতে হতে ফেটে যাবে ৷ এটাকেই বলে স্ট্রোক। স্ট্রোক সাধারণত ব্রেইনে সংঘটিত হয় ৷
স্ট্রোক আর হার্ট এটাক এর মধ্যে পার্থক্য কী?
 স্ট্রোক : এটা সাধারণত ব্রেইনে সংঘটিত হয় ৷ কারণ ব্রেইনের ধমনীর ওয়াল খুব পাতলা এবং সেখানে প্লাক জমলে রক্ত নালীর ওয়াল ফেটে গিয়ে ব্রেইনে রক্ত ক্ষরণ হয় ফলে ব্রেইনের সেল সঙ্গে সঙ্গে নিউট্রিয়েন্ট এবং অক্সিজেনের অভাবে মারা যায় এবং ব্রেইন ফাংকশন বন্ধ হয়ে যায় ফলে মানুষ মারা যায় ৷
 হার্ট এটাক : হার্টের নিজস্ব মাসলে রক্ত সরবরাহ করার জন্য কিছু ধমনী থাক ৷ যদি সেই ধমনীতে প্লাক জমে বন্ধ হয়ে যায় তবে হার্টের নিজস্ব মাসলে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় ফলে সেখানে নিউট্রিয়েন্ট অবং অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং হার্টের সেল মারা যায় ফলে হার্ট সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায় এবং মানুষ মারা যায় ৷ এই ঘটনাকেই হার্ট এটাক বলা হয় ৷
প্রতিকারের উপায় কী?
 খুব সিম্পল ৷ যতটুকু খাবেন তার সমানুপাতিক হরে অক্সিজেন সাপ্লাই দিবেন ৷ সেটা একমাত্র সম্ভব উপযুক্ত পরিমাণ রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে, আর সেটা সম্ভব উপযুক্ত পরিমাণ ব্যায়াম, ইয়োগা, জগিং বা হাঁটার মাধ্যমে ৷ এগুলো করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে অক্সিজেন সাপ্লাই বাড়ে এবং সেলের মধ্যে combustion বিক্রিয়ার রেট বাড়ে, তাতে যেমন সমস্ত খাদ্য শেষ হয়ে যায় তেমনি বাড়তি শক্তিও উৎপন্ন হয় ৷ খাবার কম খেলে অক্সিজেন কম লাগবে, কম ব্যায়াম করলেও চলবে ৷ কিন্তু খাবার কম খেলে শক্তির অভাবে শরীর দুর্বল হতে পারে, ফলে নিউট্রিশনাল ফুড বা শক্তিশালী খাবার, বা সুপার ফুড খেতে হবে ৷
 সাবান যেমন কাপড়ের বা শরীরের ময়লা দূর করে, সেইরকম প্লাক দূর করার জন্য হারবাল/ভেষজ জাতীয় সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে |

আমার একটা নিজস্ব কোটেশন : ইকুয়েশন সিম্পল, প্রাকটিস করি না তাই সবই ভুল ৷

লেখক: প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ

পেটের যেকোনো সমস্যার সহজ এবং দ্রুত সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুন|
11/03/2025

পেটের যেকোনো সমস্যার সহজ এবং দ্রুত সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুন|

ASAD HOLISTIC HEALTH-দৈনন্দিন স্বাস্থ্য কথা -Episode-5: প্রশ্ন : আলসার এবং গ্যাস্ট্রাইটিস কীভাবে হয়? কী তার সিম্পটম? তা...
11/03/2025

ASAD HOLISTIC HEALTH-দৈনন্দিন স্বাস্থ্য কথা -Episode-5:
প্রশ্ন : আলসার এবং গ্যাস্ট্রাইটিস কীভাবে হয়? কী তার সিম্পটম? তার প্রতিকারের উপাই বা কী?

উত্তর : ৯০% ক্ষেত্রে H-Pylori এর ইনফেকশনের জন্য হয় আর ১০% ক্ষেত্রে ধূমপান, মদ পান, ড্রাগ নেওয়া, অতিরিক্ত ব্যথার ওষুধ খাওয়া, দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা, অতিরিক্ত পরিমাণ তেল এবং ভাজা পোড় খাওয়া।

 বিভিন্ন স্টাডি থেকে জানা যায় যে, বিশ্বের প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ মানুষ এই ব্যাকটেরিয়া বহন করে, কিন্তু সবার ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দেয় না।
 সুস্থ শরীরে মানুষের স্টমাকে যে ঘনত্বের অ্যাসিড থাকে তার মধ্যে H-Pylori ছাড়া আর কোনো ব্যাকটেরিয়া বাঁচতে পারে না।
 এই ব্যাকটেরিয়ার মুখে থাকে পাঁচটি সূচের মতো শুড় এবং বডির স্ট্রাকচার স্ক্রুর মতো স্পাইরাল ফলে তারা খুব সহজেই মিউকাস লেয়ার ছিদ্র করে তার মধ্যে প্রবেশ করতে পারে|
 মিউকাস লেয়ার ক্ষার ধর্মী তাই তারা সেখানে নিরাপদে বেঁচে থাকতে পারে। তা ছাড়া তাদের শরীরে ইউরিজ নামক এক প্রকার এনজাইম থাকে যা দ্বারা তারা পেট থেকে ইউরিয়া গ্রহণ করে তাকে ভেঙে অ্যামোনিয়া গ্যাস তৈরি করে যা ব্যাকটেরিয়ার বডি থেকে বেরিয়ে পানির সাথে বিক্রিয়া করে তার বডির চারিপাশে অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড নামক ক্ষারের একটা ফিল্ম তৈরি করে। এই ক্ষার তখন পেটের অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে তার ঘনমাত্রা কমিয়ে দেয়। অর্থাৎ পেটের সাভাবিক pH (অ্যাসিড ঘনমাত্রা মাপার স্কেল) এক-থেকে তিন থাকার কথা কিন্তু তা বেড়ে হয় চারের উপরে | pH যত বাড়বে অ্যাসিড ঘনমাত্রা তত কমবে।
 চারের উপরে pH থাকলে সেখানে ওই ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশ বিস্তার করতে পারে এবং ইনফেকশন বা ঘা তৈরি করে।
 এই ঘা কেই বলে আলসার বা গ্যাস্ট্রাইটিস বা ইরোসিভ গ্যাস্ট্রাইটিস।


 স্টমাকের দেওয়ালের সেল ড্যামেজ হওয়ার কারণে পরিমাণ মতো অ্যাসিড এবং এনজাইম তৈরি হয় না ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না অর্থাৎ বধ হজম হয়।
 প্রচুর ঢেকুর উঠতে পারে।
 পেট ফোলা, বমিভাব বা বমি হয়।
 ক্ষুধা মন্দা, খেতে বসলে অল্পতেই মনে হয় পেট ভোরে গেল।
 খালি পেটে বেশি জ্বালা-পোড়া করে।
 গলার ভেতরে কিছু আটকে আছে মনে হয়।
 পেট, বুক এবং গলা জ্বলতে পারে।
 টক বা তিতো বা লবণাক্ত ঢেকুর উঠতে পারে।
 মুখে ঘা, হাইটাস হর্নিয়া এবং GERD (গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ) হতে পারে।
 টয়লেট কষা হয় বা ডাইরিয়া বা আমাশয় হতে পারে।
 টয়লেট কালো বা আলকাতরার মতো হতে পারে।
 ওজন কমে যায়।
 পেটে পলিপস বা টিউমার হতে পারে।
 মলদ্বারে পাইলস, হেমোরয়েডস, এনাল ফিসার এবং ফিস্টুলা হতে পারে।
 স্টমাক, ডিউডেনাম বা রেক্টাল ক্যান্সার হতে পারে।


 খালি পেটে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না।
 পেটে অ্যাসিড কমানোর ওষুধ অর্থাৎ অ্যান্টাসিড বা PP। জাতিয় ওষুধ খাওয়া যাবে না।
 অ্যাসিড কমে গেলে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়, ফলে অ্যাসিড কমানোর ওষুধ খাওয়া যাবে না।
 টক বা অ্যাসিডিক খাবার খাওয়া যাবে না ।
 তেল এবং ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
 রেড মিট না খাওয়া ভালো।
 লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলবেন, লবণে আলসার বাড়িয়ে দেয়।
 মদপান, ড্রাগ, ব্যথার ওষুধ ইত্যাদিতে আসক্তি থাকলে সেগুলো ছেড়ে দিবেন।


 এলাপথি চিকিৎসায় H. Pylori দূর হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
এক কোর্স এলাপথি ওষুধ খেয়ে যদি ভালো না হয় আর না খাওয়াই ভালো।
 হোমিওপ্যাথিতে H. Pylori দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
 হারবাল ওষুধ যাকে বলা হয় প্রাকৃতিক ওষুধ, আমরা যা দিয়ে চিকিৎসা করি তাতে ২-৩ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যায়।
 ঘন-ঘন, অল্প-অল্প, করে ঠান্ডা পানি পান করবেন।
বাহিরের প্রসেস-ফুড না খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কাঁচা শাক-সবজি অর্থাৎ সালাদ খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
 আলোভেরার জুস খাবেন।
প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার যেমন টক দই, কেফির, ফারমেন্টেড ভেজিটেবল ইত্যাদি খাবেন।
 মধু ও ঠান্ডা দুধ খাবেন।


• আমার, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ-এর, গভীর গবেষণালব্ধ প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে পেটের যেকোনো সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধান হচ্ছে।
• আমার তত্ত্বাবধানে মিরপুর ১০ নম্বরে (ঠিকানা- বাড়ি- 05, রোড-07, ব্লক-A, মিরপুর-10, ঢাকা)“আসাদ হলিস্টিক হেলথ সেন্টার” প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে প্রাকৃতিক চিকিৎসা ও আধুনিক বিজ্ঞানকে এক ছাতার নিচে আনা হয়েছে।
• আমার দীর্ঘ গবেষণায় উদ্ভাবিত প্রাকৃতিক ওষুধগুলো খুব সহজেই H.
Pylori-র মূল কারণকে লক্ষ্য করে কাজ করে, যা রোগীদের খুব দ্রুত সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করছে।
• আপনি যদি এই রোগে আক্রান্ত থাকেন তবে দেরি না করে আমাদের হলিস্টিক ও সমন্বিত চিকিৎসা পদ্ধতি একবার গ্রহণ করে সারাজীবন সুস্থ থাকুন
• মনে রাখবেন, আলসার যদি হয় তবে তার পরের ধাপ ক্যান্সার। তাই আলসারকে দীর্ঘায়িত করে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াবেন না।

তথ্য সংকলন এবং গবেষণায়
প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ
• Dr. of Natural Medicine
• Certified Health Coach
• Certified Nutritionist
• Certified Herbalist
• Certified Spiritual Guide
• Certified Holistic Health Practitioner
Asad Holistic Health Center
05, Road 07, Mirpur-10, Dhaka
WhatsApp: +8801715-163715
+1 215 397 9652
Date: 03-Nov, 2025

ASAD HOLISTIC HEALTH-দৈনন্দিন স্বাস্থ্য কথা -Episode-4: প্রাকৃতিক চিকিৎসায় সকল রোগ ভালো হয়।
11/02/2025

ASAD HOLISTIC HEALTH-দৈনন্দিন স্বাস্থ্য কথা -Episode-4: প্রাকৃতিক চিকিৎসায় সকল রোগ ভালো হয়।

ASAD HOLISTIC HEALTH-দৈনন্দিন স্বাস্থ্য কথা -Episode-3: ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিক চিকিৎসায় হার্ট সম্পূর্ণরূপে সুস্থ থাকে।
11/02/2025

ASAD HOLISTIC HEALTH-দৈনন্দিন স্বাস্থ্য কথা -Episode-3: ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিক চিকিৎসায় হার্ট সম্পূর্ণরূপে সুস্থ থাকে।

ASAD HOLISTIC HEALTH-দৈনন্দিন স্বাস্থ্য কথা -Episode-2: সর্দি অ্যালার্জি এবং শ্বাসকষ্টের স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রাকৃতিক...
11/01/2025

ASAD HOLISTIC HEALTH-দৈনন্দিন স্বাস্থ্য কথা -Episode-2: সর্দি অ্যালার্জি এবং শ্বাসকষ্টের স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রাকৃতিক/হারবাল ওষুধ অত্যন্ত কার্যকরী।

প্রাকৃতিক চিকিৎসায় সকল রোগ ভালো হয়।
10/31/2025

প্রাকৃতিক চিকিৎসায় সকল রোগ ভালো হয়।

Address

Philadelphia, PA

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when AsadHealth Academy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to AsadHealth Academy:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram