23/03/2015
টার্মিনাল ইলনেসে বা জীবনবিনাশী
অসুখে আক্রান্ত মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের
অনেক মর্মস্পর্শী কাহিনি আছে। এই সত্য
ঘটণাটি শুনেছি অধ্যাপক নিজামের মুখে।
তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যালিয়েটিভ
কেয়ারের প্রধান।
একজন গ্রামবাসী নারীর বুকে টিউমার।
ছড়িয়ে পড়েছে অন্যত্রও। তার চিকিৎসার
অংশ হিসেবে টিউমার অপসারন করা
হলো, কেমোথেরাপী শুরু হবে। অর্থ ঔষধ
সবই জোগাড় করে দিয়েছেন
চিকিৎসকরাই।
অপারেশনের দুদিন পর রিকভারীর সময়
তাকে জানতে চাওয়া হলো, পছন্দের কিছু
খেতে তার ইচ্ছে করে কিনা্?
সে প্রথমে বলে তার কোন কিছু দরকার
নাই।
তারপর কয়েকবার জানতে চাইলে সে
বলে
”মুরগীর সালুন দিয়া দুগা ভাত খাইবার মন
চায়। বাপের বাড়ীত্থন আইবার পরে আর
মুরগীর সালুন দিয়া ভাত খাই নাই”
বিয়ের পরে তার কপালে আর মুরগীর
মাংস জোটে নাই। বাপের বাড়ীর আদর
সে আর শ্বশুরবাড়ীতে পায় নাই।
এটাই বাংলাদেশ।
এখানে এই নারীটির কথা কেউ মনে
রাখে না।
নারীকে ফর্সা হতে বলে, চুল সোজা
করতে বলে, ত্বক সুন্দর করতে বলে, লোম
তুলে ফেলতে বলে, শীতে কেবল ঠোঁট
বাচাতে বলে, সাবান ঘষে নায়িকার
সাথে দেখা করতে বলে.....
যে চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি
এভাবে নিজেদের চেষ্টায় রোগীকে
মুরগীর সালুন এনে দেন , তাদের কথাও
কেউ বলে না, লেখে না।
যে দেশে ভালো কাজের প্রশংসা নাই,
জ্ঞানীর মূল্য নাই, সে দেশে ভালো এবং
জ্ঞান দুটোই পরবাসী হয়।
courtesy: Abdur Nur Tushar sir