24/08/2022
#অর্গাননকে বুঝতে হবে #(০০১)
HOMOEOPATHY (Homoeo+pathy)ল্যাটিন শব্দ Homos সমজ(সমঃ সমঃ)Similia Similibus Currentar.সদৃশ বিধান (পদ্ধতি)আমরা জানি Ho-mo-
gene-ous/ho-mo-gene-ity সবকিছুর মূল অর্থ হলো
সমজাতীয়/সমরূপ।মহাত্মা হানেমান শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত কি নিয়ে চিন্তা ভাবনা/গবেষণা করেছেন।উহার
মূল প্রতিপাদ্য বিষয়গুলো যথার্থ ভাবে জেনে নিতে হবে। প্রথম সংস্করণের মুখবন্ধে প্রথম লাইনটিতে বলেন
সর্বকালের একটি কথা স্বীকৃত সর্বাধিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনুমানের প্রধান্য পেয়েছে।ইহা মোটেই ঠিক
নয়,ইহার সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা নিরীক্ষা
হয়ে নির্ধারণ হতে হবে। এবং একাই অনুসন্ধান করে
সত্য উদঘাটন করেছি,যাহা সাধারণ রাজ পথ অনেক
দুরে(বিছিন্ন)আমি সত্যের দিকে অগ্রসর হয়েছি,এবং
উহা ওই পর্যন্ত অভিজ্ঞতার দ্বারা সমর্থিত না হয়েছে;
ততক্ষণে গ্রহণ করিনি।আমি আশাবাদি বিবেকবান
(চিকিৎসকরা)বুঝতে চেষ্টা করবেন।আমি পাঠকদের
সাবধান করে দিতে চাই, আলস্য,আরামপ্রিয়তা এবং
একগুঁয়েমি(মিথ্যুক/প্রতারক)কখনওই সত্যের সেবক
হতে পারে না। কেবলমাত্র কুসংস্কারমুক্ত অক্লান্তপরি-
শ্রমি এবং পবিত্রমনভাব যাদের থাকে, তাঁরাই স্রষ্টার
বিশেষ প্রতিনিধি,তাঁর করুণা তাঁদের উপর বর্ষিত হয়।
স্যামুয়েল হানেমান, লিপজিগ ১৮১০
দ্বিতীয় সংস্করণের মূলকথা রাষ্ট্রীয় পিষ্টপোষকতা পেয়ে
গেলে(উহা ভ্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও)সত্য বলে মেনে নেওয়া
যায় না। পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে অভিজ্ঞতালব্ধ পর্য-
বেক্ষণের দ্বারা প্রমাণিত হলেই গ্রহণযোগ্য।রেওয়াজ /
প্রচলিত অনুমান যতো(হাজার হাজার বছরের)পুরনো
হোক উহা বর্জনীয়। ওই বিজ্ঞান যদি রসায়ন পদার্থ
বিজ্ঞানে বরাদ দিয়েও লেখা হয়;যদি না উহা প্রকৃতির
সাথে সম্পর্কযুক্ত না হয়।মহাত্মা হানেমান বলেন আমরা
বিশ্বাস করি একজন চিকিৎসক নিরপেক্ষভাবে(সংস্কার
মুক্ত)রোগী পর্যবেক্ষণ করতে শিক্ষা নিবেন;ওষুধ কাকে
বলে,সে সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করবেন।রোগী যে রোগ লক্ষ্মণ(দেহ মন মস্তিষ্কের পরিবর্তীত অভিপ্রায়)নিয়ে
উপস্থিত, পরীক্ষিত ওষুধসমূহ থেকে তৎসদৃশ ওষুধটি
নির্বাচন করার জ্ঞান লাভ করেছেন।অন্য কোনো প্রকার
অনুমান,স্বেচ্ছাচারীতা, মিথ্যাচার বর্জন করতঃ শুধুমাত্র
মূল্যবান মানবজীবন বিবেচ্য বিষয় গ্রহণীয়।
স্যামুয়েল হানেমান,লিপজিগ,বর্ষশেষ ১৮১৮
৫ম সংস্করণে তখনকার প্রচলিত চিকিৎসা(বর্তমানেও
অনেক গুলো চলছে)বড়মাত্রার এবং বিসদৃশContraria
Contrariisবিপরীত ক্রিয়া চিকিৎসা দেওয়া হতো।শক্তি
শালী ওষুধজাত পদার্থকে পুনঃ পুনঃ বড়মাত্রায় এবং
দীর্ঘকাল প্রয়োগের ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভীতিজনক
বিরূপ ক্রিয়া প্রকাশ পেতে থাকতো।অর্থাৎ দেহাভ্যন্তরে
নতুন নতুন ওষুধজাত ব্যাধি Drug re-action/medic-
inal disease. এভাবে তাঁরা একের পর এক রোগ লক্ষ্মণ দেখে দেখে। উহা দুর করার লক্ষ্যে অসংখ্য ওষুধ
পদার্থ প্রয়োগ করে যায়।যখন অপারগ হয়ে পড়ে, তখন
তাঁরা জীবনধ্বংসী প্যারা/পারদ Mercury/Clamin etc.তিনি বলেন মানুষ যখন অন্যায় করতে থাকে, তখন
আর তাদের বিবেকের দংশন অনুভব করে না। এভাবে
দিনের পর দিন তাঁরা নানাভাবে রুগ্ন মানুষকে ঠকিয়ে
যাচ্ছে। তাঁদের ক্ষতিকর চিকিৎসার ফলে যখন রোগীরা
শক্তিহীন/নীরক্ত হয়ে পড়ে তখন ;তাঁরা শক্তিবর্দ্ধক,লৌহ
ইত্যাদিযুক্ত ভিটামিন/সিরাপ স্বস্তি দিতে চেষ্টা করেন।
এভাবেই ওই অনারোগ্যদায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি সহস্রাধিক বছরের সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক-
তায়(আধুনিক কালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা)তাঁদের ইচ্ছে ও
খুশি মতো রুগ্ন মানবতার উপর পূর্ণ ক্ষমতাধর হিসেবে
কর্তৃত্ব করে, যেকোনো পারমাণবিক ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ অপেক্ষা; দশগুণ মানুষের (চিকিৎসার নামে)মৃত্যু ঘটাচ্ছে। এবং প্রতিনিয়তো লক্ষ লক্ষ মানুষকে কঠিন
রোগের রোগীতে পরনত করছে।
#অর্গাননকে বুঝতে হবে #(০০২)
প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক বিপরীত নবাষ্কৃত প্রকৃত
আরোগ্যকলা (সঠিক আরোগ্যে কৌশল) সবিস্তারে শিক্ষা দিবার পূর্বে,আরও কিছু বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে
ব্যাখ্যা করতে চাই।
হোমিওপ্যাথি একটি স্বতন্ত্র পদ্ধতি। প্রতিটি জ্ঞানী/চিন্তা-
শীল ব্যক্তি সহজে বুঝতে পারবেন,(যুক্তি মানলে)মানুষ
কোনো বস্তু/পদার্থ দ্বারা রোগ উৎপন্ন/ রোগাক্রান্ত হয়না।যেহেতু মানব দেহ যন্ত্রটি সচল থাকার দু'টি পূর্ব
শর্তঃ (১)জীবন (ধর্মীয় পরিভাষায় রুহ্)(২)গতিশীল এক অশরীরী শক্তি (জীবনীশক্তি)এই দুই অদৃশ্য শক্তির
সমন্বয় জীবনচক্র।(দুই/চারটি ব্যতিক্রম ছাড়া)মহান
সৃষ্টিকর্তা নিখুঁত ভাবে সৃষ্টি করে দিয়েছেন।মানুষের কর্ম
দোষে/কোনো কিছুর প্রভাব ছাড়া ব্যত্যয় ঘটে না ;সুশৃ-
ঙ্খল ভাবে কার্যপ্রবাহ পরিচালিত হতে থাকে।এক অতীন্দ্রিয় শক্তির এই পরিচালক, কোনো অশুভ অশরীরী অতীন্দ্রিয় শক্তির প্রভাবে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি
হয়।উহাকে আমরা রোগ (লক্ষ্মণ)নামে অবহিত করে
থাকি।অতএব রোগ লক্ষ্মণ সদৃশ হোমিওপ্যাথিক সঠিক ওষুধ নির্বাচন করা হলে, এবং প্রয়োগ পদ্ধতি
যথার্থ হলে আরোগ্য লাভ সম্ভব। তবে জীবনীশক্তি যে
স্তরে থাকবে, আরোগ্যের গতি তদনুরূপ ঘটবে। অর্থাৎ
যথেষ্ট সবল হলে,আরোগ্য দ্রুত, অন্যথায় ধীরে ঘটবে।
সেজন্য হোমিওপ্যাথিতে হীনবল/জোলাপ/রক্তপাত
ঘটিয়ে কোনো চিকিৎসা অনুমোদন করে না।কেবল
মাত্র ওই সকল ওষুধ প্রয়োগ করা হয়,যে ওষুধ রোগীর
কষ্টসমূহের অনুরূপ রোগ লক্ষ্মণ সৃষ্টি করার প্রমাণ
রয়েছে।
অতএব বিশেষ ভাবে মনে রাখতে হবে, হোমিওপ্যাথি
একটি সম্পূর্ণ সরল চিকিৎসা পদ্ধতি --- যাহা সর্বদা
নীতিতে অটল,ব্যবহারেও তদনুরূপ। প্রাচীনপন্থীদের
ক্ষতিকর পদ্ধতির ঠিক বিপরীত।কাজেই পরিষ্কার বুঝে
নিতে হবে, কিছু হোমিওপ্যাথিক রীতি নীতি অনুযায়ী,
কিছু মিশ্রপ্যাথি/বিসদৃশ পদ্ধতি অনুযায়ী করবেন; তা
করার সুযোগ নেই। এভাবে যাহারা করেন, তাহাদের
দায়ভার হানেমানীয় হোমিওপ্যাথি নিবে না।তাহার যত
রোগীর ক্ষতি করবেন, ধোঁকা (হোমিওপ্যাথি নামে) সেই
জন্য তারাই দায়ী। স্যামুয়েল হানেমান, প্যারিস ১৮৪৩
অর্গাননকে বুঝতে হবে ( ০০৩)
ভূমিকায় বলেন আমি প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যাদি নিয়ে আলোচনা/সমালোচনা
করতে চাই। আমারা বিশ্বাস করি মানুষের দেহধারণের
পর থেকে ব্যক্তি/সমস্টিগত ভৌতিক/নৈতিক কারণে রোগর অধিন হয়েছে। প্রকৃতি ততদিন স্বরূপে/স্বাভাবিক গতিতে চলমান ছিল ততদিন মানুষের মাঝে
এতো রোগ/ব্যাধি ছিলো না। অর্থাৎ মানব সভ্যতার নামে প্রকৃতিকে ব্যবহার করতে শুরু করলো,তখনি নানা ধরনের ব্যাধির প্রাদুর্ভাব ও চিকিৎসার প্রয়োজন
পরলো।( হয়তো আদি মানব জাতির মধ্যেও চিকিৎসা
নামক কিছু ছিল।) যতোদুর জানা যায় খৃষ্টোপূর্ব ৪৫০/
৫০০বছর অর্থাৎ মহামতি হিপোক্রেটিস থেকে নানাবিধ
রোগের ক্রমবর্ধমান জটিলতা ও উহার চিকিৎসা নিয়ে
ব্যস্থ থাকতে হয়েছে। এবং ওইসময় থেকেই আমিত্বে
বিভ্রান্ত হয়ে মুক্তি পাওয়ার আশায়, অনুমানবাদিদের
প্রতারণার শিকার হয়েছে। নানা ধরনের চিন্তা ভাবনা
প্রসূতি ধারণা বিশ্বাস তত্ত্বসম্বন্ধীয় মতামত/পদ্ধতি নিয়ে
মানুষের জীবনের উপর প্রয়োগ হতে লাগলো।অথচ
একটির অন্যটির কোনো মিল ছিল না। এবং ওই সকল
মতো বাদ এমনভাবে উপস্থাপন করা হতো, উহার প্রতি
মানুষ আকৃষ্ট হয়ে যেতো। তাহারা তাদের মতোবাদের
যথার্থ না হওয়া সত্ত্বেও অস্বাভাবিক যুক্তির প্রতিধ্বনি
করতে থাকতো, অথচ মানুষের কোনো বয়ে আনতো না। আবার আর দল নতুন কোনো মতো বাদ নিয়ে ক্ষণ-
স্থায়ী ভাবে খ্যাতি লাভ করতো। যেহেতু প্রকৃতির সাথে
সম্পর্কহীন বিধায়, রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে কোনোই
ভূমিকা রাখতে পারতো না।
এক ই সময় আরও একটি স্বতন্ত্র মতো বাদ, ইচ্ছে মতো
কোনো নির্ধারিত রোগের নামে অনেকগুলো অপরিচিত
ভেষজের মিশ্রণসম্বলিত চিকিৎসা পদ্ধতির উদ্ভব ঘটে।
উহাতে অভিজ্ঞতার কোনো প্রতিফলন ছিল না। সুতরাং
উহার কোনো সুফল পাওয়া গেলো না।ইহার নাম হলো
এলোপ্যাথি।
চিকিৎসাশাস্ত্রের কিছু সহায়ক আনুষঙ্গিক বিজ্ঞানগ্রন্থ
প্রাকৃতিক দর্শন এবং রসায়ন,ইহা ছাড়াও প্রাকৃতিক
ইতিহাস নরতত্ত্ব, শরীরবৃত্ত,শব ব্যবচ্ছেদ/শরীর তত্ত্ব এই
সকল বিষয়ের প্রতি অবজ্ঞা নয়, বরং শ্রদ্ধা রেখেই
চিকিৎসাশাস্ত্রের ব্যবহারিক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা
করবো। উহার মাধ্যমে জানা যাবে ব্যাধিসমূহ এযাবৎ
কতো ত্রুটি/ক্ষতিকর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।উহা ছিল কিতাবি/বাঁধাধরা ব্যবস্থাপত্র।ইহা কোনো সঠিক
মানবজাতির চিকিৎসা পদ্ধতি হতে পারে না।কাজেই
আমি জেনে শুনে উহা সমর্থন করতে পারি না।এযাবৎ
মতো চিকিৎসা পদ্ধতির উদ্ভব ঘটেছে সবগুলো প্রাচীন-
তরফের পালক পড়ে, কল্পনা করেন তারা বৈজ্ঞানিক/
বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
ওই প্রাচীনপন্থি চিকিৎসকগণ আত্মপ্রশঙসায় বিভোর,
তাদের দাবি তারা রোগের কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা
দিচ্ছেন। তাদের একটি দাবি এবং প্রচার (যদিও ওই
কারণ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয়) মৃত্যু ব্যক্তির (লাশ)কাছ থেকে
নেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে; জোর করে এবং কল্প-
নাপ্রসুত তথ্যাদি কে পূঁজি করে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। তাহার অধিকাংশ থাকে
অনুমান।(অর্থাৎ স্রস্টাই একজন থেকে অন্যজনকে
স্বতন্ত্র করে সৃষ্টি করেছেন, অথচ তাদের মতোবাদে সবার দেহের উপাদান এক হতে হবে (?))তাই মহাত্মা
হানেমান (১নম্বর পাদটীকায় বলেন তাদের দাবি যুক্তি-
সঙ্গত হতো,যদি রোগ আরোগ্যের জন্য ওই উৎপত্তির
কারণ কে পীড়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করতো।যুক্তি
সঙ্গত শিক্ষা হচ্ছে, অর্থাৎ পরিবর্তিত কারণকে পীড়া/
রোগ বলে ধারণা করা সঠিক নয়। যেহেতু আমারা যুক্তি
সঙ্গত শিক্ষার দ্বারা (অভ্যন্তরীণ জীবনী শক্তির বিশৃঙ্খলার ফলে ওই পরিবর্তিত রূপ) তাদের ওই পরি-
বর্ণিত অবস্থার ভিত্তি করে অপরিচিত একত্রে অনেক
গুলোকে মিশ্রিত করে প্রয়োগ করা হয়।ওই সকল বন্ধুরা মতোই কারণ অনুসন্ধানী চিকিৎসক বলে নিজ
দিকে দাবি করেন, মূলতঃ তারা উপস্থিত কষ্টসমূহকে
রোগ অনুমান করে চিকিৎসা দিচ্ছেন। ইহা কখনোই
যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসা পদ্ধতি হতে পারে না। তদের ওই
সকল তেমন অনুসন্ধান করেন যেকোনো রোগের নামে
রক্তের রসের অবস্থা ।অবরোধ/আধিক্যতা, অক্সিজেন
কার্বন,হাইড্রোজেন/নাইট্রোজেনের আধিক্যতা;শিরা/
কৈশিক,ধমনী ইত্যাদি হ্রাস/বৃদ্ধি এইগুলো অনুসন্ধানের
গৌরব করেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে যৌক্তিকতা বলে প্রমাণ
করেন।অথচ ওইগুলো শুধু ধারণাপ্রসূত, কুযুক্তিপূর্ণ
এবং অনিশ্চিত ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কোনো কাজে আসে
না। ওই সকল দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হলেও, রোগী
চিকিৎসায় ক্ষেত্রে সঠিক ওষুধ প্রদানে আক্ষম, বরং
চিকিৎসাক্ষেত্রে ভুল নির্দেশনা দেয়। আরোগ্যের নির্দে-
শকের অনুসন্ধানে চেয়ে আড়ম্বরের পরিচয় প্রধান্য পায় ।ইহা সত্ত্বেও রোগের ওষুধ কোথায় পাওয়া যাবে?উহা
পাওয়ার একমাত্র পথ সদৃশ বিধান। ৪ নম্বর পাদটীকায়
মহাত্মা হানেমান বলেন অভিজ্ঞতার দ্বারা হোমিওপ্যাথি
মতে ক্রিয়াশীল ওষুধ সমূহের আরোগ্যকারী ক্ষমতা দেখা গিয়েছে।
তাদের ধারণা রোগের তীব্রতায় বড়মত্রায় উগ্র ওষুধ
প্রয়োগ করতে হবে। তারা স্বপ্নেও চিন্তা করতে পারেন
না ,ক্ষূদ্রমাত্রায় রোগ নিরাময় করতে পারে। দ্বিতীয়ত
সদৃশ রীতি নিয়ে তাঁদের কোনো চিন্তা ভাবনাই ছিল না।
তৃতীয়ত অধিকাংশ ওষুধের করিয়া তাঁদের কাছে অপ-
রিজ্ঞাত ছিল। যেহেতু গার্হস্থ্য চিকিৎসা পদ্ধতিকে তারা
মূল্যায়িত করতেন না।
যাহাহোক (সত্য সঠিক পথের সন্ধান পেতে কষ্টসাধ্য)
তারা সবসময় সহজ পথে হাঁটছেন। আমি যথার্থ সত্য
উদ্ঘাটনে স্থুল ও সূক্ষ্ম দেহের প্রকৃতিকে এক বিশেষ
সম্ভাবনাময় সত্তারূপে গণ্য করেছি, তাদের জন্য তা খুব
কঠিন বলে মনে হয়েছে। ইহার অনুভূতি ও ক্রিয়ামূলক
জৈব পরিবর্তনসমূহ যাহা সূক্ষ্ম/অতীন্দ্রিয় প্রভাবসমূহ
দ্বারা সংঘটিত হয়,অন্য কোন উপায় নহে। মূলতঃ ব্যাধি
দ্বারা দেহাভ্যন্তরে যেসকল পরিবর্তন সাধন হয়, প্রাচীন
পন্থীরা , উহাকে কল্পিত রোগ/পরিপোষ বলে গণ্য করেন,আজোও করছেন।তাই তারা ওইসব দেহ থেকে
বের করতে চেষ্টা করেন। পাদটীকা নম্বর ৫ পাকস্থলীর
গোলোযোগ মুক্ত করতে জোলাপ,বমি ইত্যাদি করানো
হয়। শিশুদের নানা সমস্যার জন্য কৃমিকে দায়ী করা
হয়, উহা বের করার নানা কৌশল অবলম্বন করা হয়।
উৎকণ্ঠা অস্থিরতা high pressure( ওইসময় শিরাকর্তন
করে রক্তমোক্ষণ করা হতো) বর্তমানে রক্তের প্রবাহ
হ্রাস করানো হয়।তারা এমন এক চুম্বকীয় চিকিৎসা
পদ্ধতি যেমন মেষের কশাই জবাই করার জন্য একটি
নিয়ে যায়, পিছনে পিছনে অন্যগুলো চলতে থাকে। ঠিক
অনুরূপ কশাইয়ের ন্যায় বলি দেওয়ার চিকিৎসা চলছে। যন্ত্রগতো পরিবর্তন হলেই, উহা দুর করার ব্যবস্থা করা হয়।এমনকি তাযদি কোনো অঙ্গের পচন-
শীলা অবস্থা হলে, কেটে বাদ দিতে হবে । এবং ক্ষত-
সমূহে সালফার,লেড-অক্সাইড,পারদ বা দস্তার মলম।
চোখের প্রদাহে সীসা কিংবা দস্তার দ্রবক solution/
drop প্রয়োগ করা হয়। ফলে তখন ওই সকল পদার্থের
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া side effects অন্য রোগ দেখা দেয়;
তখন আরও খারাপ অবস্থার তাদের কোনো দায়ভার
থাকে না। অথচ গভীর ভাবে চিন্তা করে অতীন্দ্রিয় সত্ত্বা
সূক্ষ্ম ভাবে সদৃশ রীতিতে চিকিৎসা দিতে পারলে ওই
সকল সমস্যার উদ্ভব হতো না।
অর্গাননের ভূমিকা (০০৪)
আর এক ধরনের চিকিৎসার উদ্ভব ঘটিয়েছিলো, অর্থাৎ
দেহের কোনো স্থানে ছিদ্রো করে কাঠের গুটি বসিয়ে সে
খান থেকে রস ক্ষরণ ঘটানোর ব্যবস্থা করা হতো। মনে
করা হতো ওখান থেকে দুষিত রস বের হয়ে দেহকে রোগ মুক্ত করবে। উহা অবৈজ্ঞানিক ও ক্ষতিকর, আমি
এই সকল অযুক্তিক অনুমান ভিত্তিক চিকিৎসা ষ
মেনে নিতে পারেনি। এইগুলো অলীক, ভিত্তিহীন,এক
শ্রেণীর স্বার্থান্বেশী লোকের অর্থ আত্মসাতের জন্য।
এই সকল ভিত্তিহীন কল্পনা করে স্বীকৃতি দেওয়া যায় না, যেহেতু রোগ অতীন্দ্রিয় এবং জীবনী শক্তির বিশৃঙ্খলা আর কিছুই নহে। তিনি বলেন, পীড়া কোনো
জড়ীয় পদার্থ হতে পারে না; শিরা পথে ,তরল পদার্থ/বায়ূ ইত্যাদি লুকানো হলে মানুষের মৃত্যু হয়। পাদটীকা
৯, অথচ ওই শিরা/ধমনী নিজ শক্তি বলে,দেহ থেকে
বের করে দিতে পারলে, কিছুই হয় না। কাজেই ইহা দ্বারা প্রমাণিত হয়, জীবনী শক্তি কোনো অনুপ্রবেশ কে
সহ্য করতে পারে না। অর্থাৎ শরীর অভ্যন্তরে ততক্ষণ
পর্যন্ত কোনো foreign body তা যেকোনো ধরণের হোক, ততক্ষণ বিদ্ধমান থাকবে, জীবনী শক্তির বিশৃঙ্খলবোধ করতে থাকবে। বসন্ত রোগের রোগীর
দেহাস্ত বাষ্প অন্য লোককে বিশেষ করে শিশুকে অসুস্থ
করে তোলে। স্থুলত্ব/রসসমূহ জীবনের শেষ দিনগুলোতে অন্যকে সংক্রমিত করে।এমনকি রোগীর
চিঠিপত্রের মাধ্যমে রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে। এখানে কিভাবে রোগ দেহে প্রবেশ করে?ইহা ছাড়া আরও আশ্চার্য জনক ঘটনা উগ্রবাক্য দুঃস্বপ্ন দুঃসংবাদ
ভবিষ্যৎবানী বিশ্বাস করে রোগাক্রান্ত হয়ে যাওয়া, মৃত্যু কি ঘটে যাওয়া কি ঘটেনি? এখানে কি প্রবেশ করেছে?
আমি বলবো তাহারা রোগকে বস্তুভাবেন/মতো বাদে
অকাট্য বিশ্বাসী/সমর্থক তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।
হটকারী মতোবাদ অর্থাৎ পথের ময়লা পরিষ্কারকারি/
দুর্গন্ধ (পায়খানা,প্রস্রাবের) পরীক্ষা নিরীক্ষার আর অতীন্দ্রিয় অনুভুতিতে সাথে কোনো সম্পর্ক আছে কি?
তাই হানেমান ১২ নম্বর পাদটীকায় বলেন সযত্নে নাক
পরিষ্কার করার দ্বারা সর্দি স্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।
তাকি আজ পর্যন্ত এক বারও হয়েছে কি?
এভাবে মূলপ্রকৃতি ও তার উৎপত্তি সম্বন্ধে কাল্পনিক ও
মিথ্যা ভুল ধারণা বিদ্যমান,খ্যাতিমান/খ্যাতিহীন/চিকিৎসা/ব্যবসায়ী কি সুমহান চিকিৎসা পদ্ধতির/
বিজ্ঞানের আবিষ্কারকদের । এভাবে সর্বকালে চলতেছে
ইহাতে আশ্চার্য বোধ করার কিছু নেই।লালা,প্রস্রাব মূত্র
ইত্যাদি দেহ থেকে বের করে দেওয়ার নাম রোগের
চিকিৎসা।ওই অবস্থায় প্রাকৃতির কাছ থেকে সাহায্য
নেওয়া যেতো।ওই গুল বসানো বিষয়টিও অনুরূপ।
অত এবং তাহারা করতেন সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে,প্রকৃ-
তিকে অনুকরণ করা। জীবনী শক্তি তেমন আছে তেমন
থাকুক। অর্থাৎ হোমিওপ্যাথির ন্যায় বলহানী না ঘটিয়ে
স্পষ্টতার দিকে,রুগ্ন অংশে ক্রিয়া করে পাদটীকা ১৪ ।
আর এক ধরণের পদ্ধতি উৎপত্তিনির্ণয় প্রাচীনপন্থিদের
অন্যতম প্রধান চিকিৎসা পদ্ধতি।আত্মসাহায্যকারী
শরীরের যে অংশে কমরুগ্ন ওষুধের বীরূপক্রিয়া সহ্য
করতে পারবে; শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন রোগ
লক্ষ্মণ সৃষ্টি করে, আক্রান্ত স্থানের রোগকে আকর্ষণ
করে নিয়ে আসবে। পাদটীকা ১৫।হানেমান ১৬ নম্বর
পাদটীকায় বলেন ভোগকাল শেষ হলে,যেধরণের ওষুধ
প্রয়োগ হোক বা না হোক, জীবনী শক্তি নতুন করে তার
নিজস্ব ক্ষমতা লাভ করতঃ অসুস্থতার পরিবর্তে স্বাভাবিক প্রতি স্থাপন করে। কিন্তু ওই পদ্ধতিতে চির/
অচির যেসকল রোগ আরোগ্য ঘটে না স্থূলমাত্রার কারণে।অধিকন্ত ওই আত্মসাহায্যকারী পদ্ধতি দ্বারা
উপশমো আসে না।অল্প বিরতি পরে পচন্ড ভাবে আক্র-
মতো ঘটে। বমির পরে জোলাপের সাহায্যে রোগ যন্ত্রণা
দুছর করা।
আর এক ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি উৎপত্তিনির্ণয় করে,
খোলা শরীরে পশমী বস্ত্রাদি, গরম পানিতে পা ভিজানো
বামন করানো/ক্ষুধার সৃষ্টি করা। অর্থাৎ নানা পদার্থ
তেমন হর্সর্্যাডিস, সরিষার প্রলেপ,ক্যান্থারাইডস,
বেলেস্তারা,মেজেরিয়াম,গুলবসানো কার্টার এমিটিক
মলম,দেখা দেওয়া, পোড়ানো,ছিদ্রকরণ প্রভৃতি স্থূল
অসহায় প্রকৃতির দৃষ্টান্তকে তাহা সূক্ষ্ম কারণ জাত রোগ
থেকে মুক্তি আশায় শরীরের দূরবর্তী স্থানে ব্যথা সৃষ্টি করা,স্থান পরিবর্তন করা,ক্ষত সৃষ্টি করা ইত্যাদি।
ইহা দ্বারা প্রমাণিত হয় ,ইহা কোনো যুক্তিসংগত নীতি হতে পারে না।ইহা যথার্থ চিকিৎসা পদ্ধতি হতে
পারে না, যেহেতু উহা দ্বারা সাময়িক উপশম দিলেও
স্থায়ী কোনো ফল নেই। এইগুলো হলো ওইসকল জ্ঞানি
দের কাজ যাচাই-বাছাই না করে, অন্ধভাবে অনুকরণ
করে যাওয়া।তেমন বুদ্ধিমান সার্জন ক্ষতের দুই পাশে
একত্র করে সেলাই করে দেওয়া।স্থানচুতির সমালোচনা
হানেমান করেছেন, ওইগুলো এখন সুন্দরভাবে প্রতিস্থাপন করে থাকেন। অনেক অযৌক্তিক অস্ত্রপ্রয়োগ করে মানবজাতিকে অসঙখ্্য রোগের
রোগীত পরিনত করেন।অধিকন্তূ চির রোগ সৃষ্টি করে
দেওয়া হয়। স্ফুলিঙ্গরূপে অসঙখ্্য রোগ বীজ প্রজ্ব-
দিতে করা হয়।উহার প্রভাবে মানবজাতি সহস্র বছর
ধরে রোগ যন্ত্রণায় আর্তনাদ করছে। অর্থাৎ পোলা,সাইকোসি ও সিফিলিস মায়াজম, তাহারা কোনোভাবেই ধুর করার ক্ষমতা রাখে না। একমাত্র
আরোগ্যের পথ হচ্ছে মৃত্যু।ইহা কোনো জ্ঞানবান ব্যক্তির
যুক্তিতো নয়ই ।অপর পক্ষে,দু্ঃখময় সুদীর্ঘ জীবনযাপন
করার পর মৃত্যু এসে তার অবসান না ঘটানো পর্যন্ত,
ইহা তাহাদিগকে যন্ত্রণা দিতে থাকে।১৯ নম্বর পাদটীকায় হানেমান বলেন চির রোগের বিষাদময় পরি-
ণতি সর্বদা দেখা যায়। যতো ধরণের প্রচেষ্টা চালানো হয়, উহার ফল খারাপই হয়।অথচ উহা জনপ্রিয় চিকি-
মহা পদ্ধতি বলে খ্যাত।অচির রোগ অনেক সময় বিনা
চিকিৎসাও ভালো হয়ে যায়।তাই আমি চির রোগ নিয়ে
কথা বলতে চাই।ওই সকল মানুষকে শক্তিহীন করা
চিকিৎসা পদ্ধতি সামান্যতম উপকার করে না। বরং উহাতে জীবনী শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। তাহারা এই প্রথা
প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় যন্ত্রকে পক্ষে নিয়ে নিলো(আজ
ও সারা দুনিয়ার ওষুধ ব্যবসায়ীদের কবলে চিকিৎসা
বিজ্ঞানের বাতিল/অনুমোদন)। তাঁহাদের চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা সাময়িক উপশম পাওয়ার কারণে আজও
টিকে আছেন। অথচ মূলরোগের সামান্যতম কোনো
হ্রাস করতে পারে না। সেখানে যদি হোমিওপ্যাথিক রীতিতে চিকিৎসা নিতো অবশ্যই আরোগ্য ঘটতো নিশ্চিত।
কিন্তু জৈবশক্তি যুক্তি,জ্ঞান ও চিন্তা দ্বারা পরিচালিত
হয় না। আমাদের দেহযন্ত্রকে ওইভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে
সহজভাবে পরিচালিত করা যায়।রুগ্ন হলে আপনার/
নিজ থেকে ভালো হয়ে যাবে,তাও তেমন নয়; আবার
চিকিৎসার নামে কৃতদাসের ন্যায় অমানুষিক নির্যাতন
করার অনুমোদনও দেওয়া হয়নি। যুক্তিহীন অনুপযোগি
মারাত্মক ক্ষতিকর বিষয়গুলোকে , বিচার বুদ্ধিকে বিস-
র্জন দেওয়া জঘন্য অপরাধ। যেহেতু মানবিক দিক থেকে সৃষ্ট শিল্প সমূহের মধ্যে যেআরোগ্যকলা মহৎতম শিল্প। সঠিক এবং যথার্থ জ্ঞান অন্বেষণ করা একান্ত
প্রয়োজন। কিন্তু প্রাচীনপন্থিরা সবসময় উপশমদায়ক
শিল্পকে যুক্তিসংগত বলে উপস্থিত করেন। (কোনো বুদ্ধি
মান ব্যক্তি যদি বলা হয় এই বাড়িটি তোমাকে দেওয়া
হলো,এর সবকিছুই করবে; কিন্তু যেকোনো মূহুর্তে তো-
মাকে বের করে দেওয়া হবে, তিনি কি নিতে রাজি হবেন? )অথচ ইহাকে বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিসঙ্গত বলে
প্রচার করে থাকে।
না! তাহা কিছুতেই হতে পারে না, কারণ মানবদেহযন্ত্রকে সুচারুরূপে ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচা-
লিত করার শক্তিটির নাম "জীবনীশক্তি " যাহা শরীর-
যন্ত্রের সর্বত্র সমানভাবে বিরাজমান।ইহাই মানবদেহের
বৈশিষ্ট্য। ইহাকে মানুষ খেয়াল খুশি মতো কাজে লাগা-
নোর জন্য সৃষ্টি করা হয়নি। যেহেতু যথার্থ আরোগ্যকলা
গভীর চিন্তা প্রসূতি কাজ।ইহা মানববুদ্ধিসঞ্জাত উচ্চতর
শক্তির অবদান।প্রমুক্ত() বিচার ও যুক্তির উপর ইহা নির্ভরশীল! (সুনির্দিষ্ট) নীতি উপর ইহা প্রতিষ্ঠিত।উদ্যম-
শীলা,স্বয়ঙক্রিয় হলেও জৈবশক্তি স্বতঃপ্রবৃত্ত, বিচার বুদ্ধিহীন । রুগ্ন অবস্থায় অস্বাভাবিক পথে পরিচালিত
হয়ে ইহা পরিবর্তিত অবস্থা প্রাপ্ত হয়। সদৃশ-বিধানমতে
নির্বাচিত ওষুধের সদৃশধর্মী কার্যকারিতা জৈবশক্তিতে
একটি রোগশক্তি অপেক্ষা বলত্তর ওষুধজ রোগের সৃষ্টি
হয়। কাজেই রুগ্ন অবস্থা আর থাকতে পারে না। এভাবে
জৈবশক্তি রোগ মুক্ত হয়। অর্থাৎ হোমিওপ্যাথি মতে
ওষুধ প্রয়োগ করা হলে, ওষুধদ্বারা সদৃশ লক্ষ্মণ উৎপন্ন
হলে, উহার সাহায্যে জীবনী শক্তি, শক্তিশালী হয়ে রোগ
শক্তিকে পরাভূত করে।ফলে দেহযন্ত্রে ওষুধ সৃষ্ট লক্ষ্মণ
অবশিষ্ট থাকে, জীবনী সর্বশক্তি দিয়ে উহাকে দুরকরে।
এবং উহার ফলে জৈবশক্তি রোগমুক্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ জীবনী শক্তি স্বাভাবিক সুস্থতা ফিরে পায়, এবং
মানব জীবনকে নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিয়ে নেয়। উহার
ফলে দৈহিক কোনো সমস্যা দেখা দেয় না।ইহা হোমিও
প্যাথি।তাহা অত্যন্ত প্রত্যক্ষভাবে দলক্রিয়া করে থাকে।
তাঁহাদের চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যে চির/অচির সকল
রোগ যন্ত্রণার সাময়িক উপশম লাভ ছাড়া আর কিছুই
পাওয়া যাবে না। এমনকি ওই অসম্পূর্ণতাসহ রূপান্তরিত হয়ে অনেক নতুন নতুন কঠিন রোগের সৃষ্টি
হয়। ওইগুলোকে মতো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করে চিকিৎসা
দেওয়া হয়, কোনো কল্যাণ পৌঁছাতে পারে না।প্রকৃতির
মাথাধরাগ্রস্ত রোগী নাক হতে স্বাভাবিকভাবে রক্তস্রাবে
মাথাধরা কমে যায়। আবার অযৈক্তিক ভাবে ওই নাকের স্রাব বন্ধ করা হলে, রোগীর দুর্বল হয়ে যায় , অথচ জৈবশক্তি স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে আরোগ্য ঘটাতে পারতো।
প্রাচীনপন্থিদের অনুসৃত বিসদৃশ/এলোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা অধিক ব্যয়ের, সাথে সাথে মানু-
শের ভুল/ভ্রান্ত ধারণা বদ্ধমূল করে দেওয়া হয়। তাদের ধারণা এভাবে চিকিৎসা চালিয়ে গেলে চির রোগ
ভালো হয়ে যাবে।উহা তাদের অলীক কল্পনা/স্বপ্ন ছাড়া
আর কিছুই নয়।যেমন চর্মসক্রান্ত রোগের জন্য তাদের
ধারণা বিশ্বাস বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ ওষুধ প্রয়োগে
ভালো হয়ে যাবে। বাস্তবতা তাই হোক। পরবর্তীতে অন্য
যেকোনো অবস্থা অন্য রোগ বলে আশ্বস্ত করানো তাদের কৌশল রয়েছে।২২ নম্বর পাদটীকায় হানেমান
বলেন স্থানীয়/স্থানান্তরিত অস্বাভাবিক অবস্থাকে তারা
সম্পূর্ণ ভিন্নজাতীয় নতুন রোগ বলে পরিগণিত করেন।
তেমন পাকস্থলীর খিঁচুনি, মৃগীজনিত আক্ষেপ, হাঁপানি,
সন্ন্যাস অথবা মানসিক সমস্যা/সাঙ্ঘাতিক অন্যকোনো
সমস্যা শুরু হয় । ইহা ছাড়াও অনেক সময় মলদ্বারে রক্তসঞ্চয়ণ/যন্ত্রণা ইত্যাদির জন্য জোঁক লাগানো হয়
(বর্তমান সার্জারি/অন্য কোনো বিসদৃশ পদ্ধতি) একটি
কষ্টদায়ক অবস্থা দুর করে , অন্য কঠিন কোনো রোগের
সৃষ্টি করে দেওয়া হয়।ফলে জৈবশক্তিকে অবসাদগ্রস্ত
করে দেওয়া। প্রাচীনপন্থিরা সব সময়সই প্রকৃতির বিরু-
দ্ধাচরণ করা যেন রেওয়াজ। জীবনীশক্তির স্বভাবজাত
বৈশিষ্ট্য হলো ক্ষতিকর পদার্থকে কফ/কাশির সর্দি/বমি
সাহায্যে প্রচন্ডতা দমন করা। তাঁরা উহাকে অবদমিত
করে রাখে। আগেকার দিনে জোঁক লাগানো শিরাকর্তন
করে, রক্তমোক্ষণ করা হতো;(আধুনিককরণ অভ্যন্তরীণ ওষুধ প্রয়োগ করা)মল নিঃসরণ ইত্যাদির
সাহায্যে রোগীকে প্রচন্ডভাবে ক্ষতিদিকে নিয়ে, দুর্বল
করা।
স্রষ্টা মানব দেহকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন,ওই দেহের
পরিচালক (জীবনী) শক্তি স্বয়ঙক্রিয় ভাবে অভ্যন্তরীণ
কল্যাণার্থে বাহ্যিক কোনো যন্ত্রের (গ্রন্থি,পেশীতে ফোড়া
/প্রদাহ ইত্যাদি) সৃষ্টি করে থাকে। তখন সার্জনরা উহা
অপসারণ করে থাকেন।উহা প্রকৃতি বিরুধী হওয়ায়
উহা স্বাস্থ্যহানীকর। এমনিভাবে শরীর থেকে ঘাম,মল,
লালা ইত্যাদি মতো নিঃস্রাব বের করা হয়, সবকিছুই
স্বাস্থ্যহানীকর। এভাবে পূর্বকল্পিত ভাবে উক্ত প্রক্রিয়ার
মাধ্যমে সাময়িক কিছু উপশম হলেও, আরোগ্য কোনো
দিনই ঘটে না ।তাই হানেমান পাদটীকা ২৩এ বলেন, তাদের ইহা স্বভাবজাত স্বভাব;উল্টোপথে হাঁটা। অর্থাৎ যেখানে জীবনী শক্তি মানকল্যাণে নিঃস্রাব,তা বন্ধ করর চিকিৎসা দিবে।যেখানে নিঃস্রাব জীবনী শক্তিকে দুর্বল করবে নানাবিধ স্রাব প্রবাহিত করার চিকিৎসা।আজ্ঞাবহ (বুদ্ধিহীন) জীবনী শক্তি নিজ
সামর্থ্যের উপর নির্ভর করে লক্ষ্মণসমষ্টি সৃষ্টি করে থাকে।উহার উপর ভিত্তি করে সদৃশ রীতিতে চিকিৎসা
দিলে আরোগ্য ঘটে।
অর্থাৎ প্রকৃতি সর্বদা চির/অচির রোগে,প্রকাশমান
অবস্থাটির মূলে থাকে, যথার্থ আরোগ্যে দিক নির্দেশনা।
কাজেই উড়াকে উল্টো পথে প্রবাহিত করা হলে,সহজ
পথটি জটিল হয়ে যাবে;ইহা স্বাভাবিক। মানসিক ভাবে
উত্তেজিত হয়ে অস্থিরতা উৎকণ্ঠাHigh pressure.
Anxiety.ভয় ভীতি আঘাতাদি ইত্যাদিতে উপশমদায়ক
তথাকথিত সঙ্কটময় অবস্থায় ঘাম/উদরাময় সাময়িক
ভাবে উপশম দেওয়া যুক্তিযুক্ত। কিন্তু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে
এবং অভিজ্ঞতায় দেখা যায় উহা অত্যন্ত ক্ষতিকর। কিন্তু জৈবশক্তি কোনো যুক্তি,জ্ঞান বুদ্ধিতে পরিচালিত
হয় না।উহা স্বয়ঙক্রিয়, প্রাকৃতিক ভাবে কাজ করে থাকে। আবার পুলিশি শক্তিও তাকে দেওয়া হয়নি।ইহাও ঠিক নহে আমরা ইচ্ছে মতো অস্বাভাবিক প্রচেষ্টা
সমূহকে রোগমুক্তি নামে গোলামের ন্যায় প্রয়োগ করার
প্রবনতা আরও জঘন্য খারাপ। যেহেতু মানব স্বাস্থ্য রক্ষা
মহৎতম শিল্প,তাহা হতে হবে যুক্তিসংগত বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে।স্বাস্থ্য রক্ষা করা মূল উদ্দেশ্য হতে
হবে। প্রকৃতিকে অচির রোগসমূহকে চালানো ছাড়াও
জীবনসঙরক্ষণী শক্তিকে অযথা চিকিৎসার নামে মতো
ওষুধ প্রতিক্রিয়ার সাথে যুদ্ধ করতে হয়। এইরূপে সহজ
সাধ্য রোগব্যাধিসমূহকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে অনেক
শক্তি ব্যয় করেও;যেহযন্ত্রকে স্বাভাবিক ক্রিয়াশীল রাখে। প্রশ্ন আসতে পারে জীবনী শক্তি তার নিজস্ব শক্তি দ্বারা চির রোগ তারাবে কি না।ইহা কঠিন, স্বাস্থ্য-
সানী ঘটবে।
প্রাচীনপন্থিরা তাঁরা রোগীদের stimulating, vitamin.
ইত্যাদি শক্তি/বলবর্দ্ধক ওষুধ দ্বারা সজীব করার কথা
বলেন।ইহা আরেক ধরণের প্রতারণা বৈ আন্য কিছু নয়।
বরং ওইসকল ওষুধজাত পদার্থসমূহ তেমন সিঙ্কোনা
আমারা,আরন/লৌহ কে দুর্বলতা,অবসাদ ,নীরক্ততার
জন্য প্রয়োগ করা হলো।(উহার হয়তো কিছুটা পরিবর্তন
হবে; কিন্তু উহাদের গৌণক্রিয়ার ফলে ,মে অবস্থার সৃষ্টি
হবে,তার কি হবে?)
হানেমান অর্গাননের ভূমিকায় প্রশ্ন রাখেন পদদ্বয়ের পক্ষঘাতে আনগুয়েন্টা নার্ভিনা,ব্যালসাম মালিশ/তরিৎ
বা থেরাপি আদৌ কোনো উপকার হয় কি,না আরো
ক্ষতি হয়? তেমনিভাবে অনেক বিখ্যাত উপাদান তেমন
একসাইট্যানসিয়া,আফ্রোডিসিয়াকা,এম্বারগ্রিস,Lacerta scincus,cantharides tincture, truffles, cardamoms, cinnamon and vanilla.প্রয়োগের পর
কি চির যৌনঅক্ষম হয়ে যায় কি-না? তাহলে ইহা কি
করে চিকিৎসা পদ্ধতি হয়?(ইহা মাত্র ক্ষণিকের জন্য,
যেমন মাদক দ্রব্য/ঘুমের ওষুধে কিছু সময়ের কার্য-
ক্ষমতা দেখা যায়।)ইহা কি কোনো কৃতিত্বের জিনিস হলো? শুধু তাই নয়,এক্সাইট্যানিয়া ও রোবোরনসিয়া
Roborantia প্রভৃতি ওষুধ নামক ভেষজ দ্রব্য সামান্য
কোনো কার্যক্ষমতা দেখালেও, হাজার গুণ কুফল ফলে,
অতএব ইহা কোনো বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি হতে
পারে না।
এমনিভাবে ওই প্রাচীনপন্থিগণ যখন আর কোনো আরোগ্যের পথ খুঁজে পায় না, তখন তারা পরিবর্তন কারী Alterantia করে থাকে। উহার মধ্যে পারদ ঘটিত
মলমাদি সর্বপ্রধান,ইহার ফলে অগনিত ধ্বঙসাত্মক স্বাস্থ্যহানি ঘটে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রের সাহায্যে রোগ যন্ত্রণাক অবদমিত করা(বর্তমানে মতো রকমের
ফিজিওথেরাপি আছে)।ইহাও কোনো যুক্তিসংগত চিকিৎসা পদ্ধতি হতে পারে না।
একসময় ছিল ধরাবাঁধা নিয়মে জ্বরের (ম্যালিরিয়া)
নামে সিঙ্কোনা (কুইনাইন) প্রয়োগ হতো। হোমিওপ্যাথিক
চিকিৎসায় ব্যক্তি বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে ওষুধ
প্রয়োগ করা হলে, যথার্থ আরোগ্য ঘটে। অথচ তাদের
ওই বাঁধাধরা নিয়মের চিকিৎসায় একই ওষুধ (রোগের
নামে) নির্বিচারে প্রয়োগ হাতুড়ে পদ্ধতি নয় কি?
তাদের ধারণা/বিশ্বাস এরূপ ভাবে যেকোনো জ্বরেই
বাঁধাধরা নিয়মের চিকিৎসায় নিরাময় করতে সমর্থ।
বাস্তবতা ভিন্ন,হয়তো ওইরূপ বাঁধাধরা নিয়মের ওষুধ
দিয়ে,(পুলিশের ন্যায় জোর করে স্বীকারোক্তি)জ্বর জোর করে কমানো হলে; রোগী অন্যান্য অসুস্থতা নিয়ে
হুইলচেয়ারে/অন্যের কাঁধে ভর করে বাড়ি ফিরেও খুশি।
ইহার নাম আধুনিক উন্নত চিকিৎসা।
তারপর দেওয়া হয় শরীরের দুর্বলতা/নীরক্ততা দূরীকরণের ব্যবস্থা। রোগীরা (টাকা খরচা হয়েছে)ভাল
চিকিৎসার বড় পরিচয়, তারা পেয়েছে; বিধায় খুশি।
চিকিৎসকদের বড় খুশি পঙ্গপালের ন্যায় রোগীদের,
দলে দলে চিকিৎসা দিতে পারছেন । এভাবে অপচিকিৎসায় প্রতিনিয়ত অসঙখ্্য মানুষের জীবন
অবসান ঘটিয়ে থাকে,কেউ খোঁজ রাখে না; বা কোনো
পরিসংখ্যান করতে কেহ যায় না, বিধায় রক্ষা।
অর্গাননের ভূমিকা অধ্যয় (০০৫)
বহুপূর্ব থেকে নানা ভয়ঙ্কর চিকিৎসা পদ্ধতি চলে আসছে।তার মধ্যে অধিকতর ভয়ঙ্কর চিকিৎসা হলো
হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতাকে হ্রাস করার লক্ষ্যে ডিজিটে-
লিসা পারপুরিয়া, তাদের ধারণা দ্রুত নাড়িকে ধীরগতি
করবে। তাদের ধারণা প্রথম ২/১মাত্রায় অনুরূপ ফল
দেখালেও,তারপর শুরু হয়, শুরু হয় উহার গৌণক্রিয়া। অর্থাৎ নাড়ির গতি,অধিক দ্রুত গতিতে,ফলে
রোগীর শেষ পরিণতি ভয়াবহ হয়ে থাকে।২৬-২৭নম্বর পাদটীকায় হিউফল্যান্ড নয় কি?
তাদের ধারণা/বিশ্বাস এরূপ ভাবে যেকোনো জ্বরেই
বাঁধাধরা নিয়মের চিকিৎসায় নিরাময় করতে সমর্থ।
বাস্তবতা ভিন্ন,হয়তো ওইরূপ বাঁধাধরা নিয়মের ওষুধ
দিয়ে,(পুলিশের ন্যায় জোর করে স্বীকারোক্তি)জ্বর জোর করে কমানো হলে; রোগী অন্যান্য অসুস্থতা নিয়ে
হুইলচেয়ারে/অন্যের কাঁধে ভর করে বাড়ি ফিরেও খুশি।
ইহার নাম আধুনিক উন্নত চিকিৎসা।
তারপর দেওয়া হয় শরীরের দুর্বলতা/নীরক্ততা দূরীকরণের ব্যবস্থা। রোগীরা (টাকা খরচা হয়েছে)ভাল
চিকিৎসার বড় পরিচয়, তারা পেয়েছে; বিধায় খুশি।
চিকিৎসকদের বড় খুশি পঙ্গপালের ন্যায় রোগীদের,
দলে দলে চিকিৎসা দিতে পারছেন। (রোগীরা মারা গেলে ও কষ্ট পায়নি উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।)
আরও একধরণের অপচিকিৎসা হলো,হৃৎযন্ত্রের গোল-
যোগে অধিকতর ভয়ঙ্কর আর একটি উপশমদায়ক
ওষুধ ডিজিটেলিস পারপুরিয়া। দ্রুতগতির নাড়ির
Send a message to learn more