Dr. Mohammad Ali Rumee

Dr. Mohammad Ali Rumee Kidney & Medicine Specialist

কিডনি রোগী কতটুকু লবন খাবে?কিডনি রোগীদের শোনা সবচেয়ে বেশি কথা হলো "লবন কম খাবেন।" কিন্তু কম মানে কতটা পরিমাণ তো জানতে হব...
03/11/2025

কিডনি রোগী কতটুকু লবন খাবে?

কিডনি রোগীদের শোনা সবচেয়ে বেশি কথা হলো "লবন কম খাবেন।" কিন্তু কম মানে কতটা পরিমাণ তো জানতে হবে।

লবনের মূল উপাদানই হলো সোডিয়াম। কিডনি সোডিয়ামের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের তরল ও রক্তচাপ ঠিক রাখে। কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে তখন শরীরে সোডিয়াম জমে যায় এবং নানান জটিলতা তৈরি করে যেমনঃ-

▪️ রক্তচাপ বেড়ে যায়
▪️ হার্ট ও ফুসফুসে চাপ পড়া
▪️ শরীরে পানি জমে গিয়ে পা বা মুখ ফুলে যায়

এই কারনে লবন নিয়ন্ত্রণ কিডনি রোগীদের জন্য জীবনরক্ষকারী একটি স্টেপ। এজন্য অনেক রোগীই ভয় পেয়ে লবন খাওয়া একদম বাদ দিয়ে দেন। তবে পুরোপুরি লবন বাদ দেওয়া কি নিরাপদ?আর তাছাড়া সম্পূর্ণ লবন ছাড়া খাদ্য আসলেই কতটা খাবার উপযোগী? খাদ্যতালিকা থেকে লবন বাদ দেওয়া অনেক সময় হিতে বিপরীত হতে পারে। শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কমে গেলে শরীরে ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে যায়। পাশাপাশি মাংসপেশিতে ক্র‍্যাম্প, মাথাঘোরা, রক্তচাপ হঠাৎ খুব কমে যাওয়া, ক্ষুধামান্দ্যর মতো সমস্য দেখা দেয়।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে করবোটা কি? সাধারণত কিডনি রোগীদের জন্য দিনে ২০০০ মি.গ্রা. (প্রায় ১ চা চামচ) লবন পর্যন্ত নিরাপদ ধরা হয়। তবে এটা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে।

ডা. মোঃ আলী রুমি
মেডিসিন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগ
বিশেষজ্ঞ।

সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান
(নেফ্রোলজি বিভাগ)
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

"ভালো থাকা" বলতে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সমন্বয়কেই বোঝানো হয়। তবে ভালো বা সুস্থ থাকতে শুধু ওষুধ নয়, দরকার  নিয়মিত ক...
02/11/2025

"ভালো থাকা" বলতে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সমন্বয়কেই বোঝানো হয়। তবে ভালো বা সুস্থ থাকতে শুধু ওষুধ নয়, দরকার নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। ৫টি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস সম্পর্কে বলবো আজ যা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে কর্মক্ষম, সুস্থ ও মানসিক স্বস্তিতে রাখবে।

☑️ প্রতিদিন অন্তত ৩০মিনিট ব্যায়াম করুনঃ- ব্যায়াম কিন্তু শুধু আমাদের ওজন কমানোর জন্য নয়। ফুসফুস, হার্ট, পেশি ও হাড়কে সক্রিয় রাখতেও প্রয়োজন। হাঁটা, সাইক্লিং, ইয়োগা, সাতার, প্রতিদিনের জন্য এরকম হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়ামই যথেষ্ট। নিয়মিত ব্যায়াম কোলেস্টেরল, মানসিক চাপ, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

☑️ পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ- আমাদের শরীরের ৬০-৭০% পানি। তাই পানিশূন্যতা প্রত্যেকটা অঙ্গের কার্যক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন। কাজের ধরন, পরিবেশ, আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে প্রয়োজনে পানির মাত্রা বাড়ান।

☑️ সুষম ও পরিমিত খাবার খানঃ- শরীরের প্রতিটি অঙ্গের স্বাভাবিক কাজের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি প্রয়োজন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় হেলদি ফ্যাট, প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল, প্রোটিন রাখুন। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, প্রসেসড ফুড, কার্বোনেটেড ড্রিংকস ও অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলুন।

☑️ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুনঃ- বছরে অন্তত একবার লিপিড প্রোফাইল, ব্লাড সুগার, রক্তচাপ, কিডনি ও লিভার ফাংশন টেস্ট করানো হলে অনেক জটিল রোগ আগেভাগেই শনাক্ত করা যায়। যার ফলে এর চিকিৎসা অনেক সহজ এবং সাশ্রয়ী হয়।

☑️ নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুনঃ- ঘুম আমাদের জন্য প্রাকৃতিক রিসেট বাটন। ঘুমের অভাবে কর্টিসল হরমোন বেড়ে গিয়ে ওজন, মুড ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।

ডা. মোঃ আলী রুমি
মেডিসিন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগ
বিশেষজ্ঞ।

সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান
(নেফ্রোলজি বিভাগ)
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

দিনের বেলায় তেমন কোনো সমস্যা হয়না কিন্তু রাত হলেই শুরু হয় অসহ্যকর চুলকানি। ত্বকে লালচে ফুসকুড়ি দেখা যায়, চুলকাতে চুলকাতে...
01/11/2025

দিনের বেলায় তেমন কোনো সমস্যা হয়না কিন্তু রাত হলেই শুরু হয় অসহ্যকর চুলকানি। ত্বকে লালচে ফুসকুড়ি দেখা যায়, চুলকাতে চুলকাতে জায়গাটা ফুলে যায়, ঘুম আসেনা। অনেকেরই ধারণা এটা হয়তো সাধারণ এলার্জি। তবে এই সাধারণ মনে হওয়া এলার্জির পেছনে থাকতে পারে স্ক্যাবিস মাইট নামক ক্ষুদ্র জীব। এটা এতই ছোট যে খালি চোখে দেখা যায়না। এটি একধরনের ছোয়াচে রোগ, সহজেই এক জনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পরে। এজন্য পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে দেখা যায় কয়েকদিনের মধ্যে বাকিরাও আক্রান্ত হয়ে যায়। স্ক্যাবিস এমন এক রোগ যা অবহেলা করলে শুধু চুলকানি নয় বরং সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন পর্যন্ত হতে পারে।

স্ক্যাবিসের উপসর্গঃ-

🔹 তীব্র চুলকানি, রাতে ঘুমের সময় বেড়ে যাওয়া

🔹 লালচে ছোট ছোট ফুসকুড়ি, কখনো বা সাদা রেখার মতো দাগ। এগুলো সাধারণত কবজি/কনুইয়ের পাশে, আঙুলের ফাঁকে, স্তনের নিচে, যৌনাঙ্গে, নাভির চারপাশে, বগলে দেখা যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে হাতুর তালু, পায়ের তলা, মুখ ও মাথার ত্বকেও দেখা যেতে পারে।

স্ক্যাবিস প্রতিরোধে করণীয়ঃ-

🔹 প্রতিদিন বিছানার চাদর, বালিশের কভার বদলাতে হবে

🔹 নখ ছোট ও পরিষ্কার রাখতে হবে

🔹 প্রতিদিনের ব্যবহৃত তোয়ালে, জামা কাপড় গরম পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে

ডা. মোঃ আলী রুমি
মেডিসিন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগ
বিশেষজ্ঞ।

সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান
(নেফ্রোলজি বিভাগ)
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

আমাদের অনেকেরই অভ্যাস গরম খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই ঠান্ডা পানি খাওয়া। কেউ আবার গরম ভাতের সাথে ঠান্ডা দই খেতে পছন্দ করেন। ...
30/10/2025

আমাদের অনেকেরই অভ্যাস গরম খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই ঠান্ডা পানি খাওয়া। কেউ আবার গরম ভাতের সাথে ঠান্ডা দই খেতে পছন্দ করেন। কেউবা আবার গরম গরম চিকেন ফ্রাই খেতে খেতে কোল্ড ড্রিংকসে চুমুক দেন। কিছু সময়ের জন্য ভালো লাগলেও এই ঠান্ডা-গরম শরীরের ভেতরে থার্মাল শক তৈরি করে। এই শক দাঁতের এনামেল, গলার নরম টিস্যু ও আমাদের পরিপাকতন্ত্রে খারাপ প্রভাব ফেলে। টনসিল, সর্দিকাশির মতো সমস্যাও কিন্তু এই ছোট অভ্যাস থেকেই শুরু হয়।

ঠান্ডা ও গরম খাবার একসাথে খাওয়ার আগে কিছু সতর্কতা জেনে নিনঃ-

☑️ ঠান্ডা কিছু খাওয়ার পরে গরম খাবার খেতে অন্তত ১০-১৫ মিনিট সময় নিন।

☑️ গরম ব্রাউনি বা কেকের সাথে আইসক্রিম খাওয়ার অভ্যাস একদম বাদ দিয়ে দিন।

☑️ ফ্রিজ থেকে পানি বের করেই সরাসরি খেয়ে ফেলবেন না। কিছুক্ষন বাইরে রেখে নরমাল করে নিন।

☑️ যেকোনো গরম খাবার খেতে খেতে কোল্ড ড্রিংকস খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করুন।

☑️ ঠান্ডা বা গরম যেটাই হোক খুব দ্রুত খাওয়া যাবেনা।

ডা. মোঃ আলী রুমি
মেডিসিন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগ
বিশেষজ্ঞ।

সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান
(নেফ্রোলজি বিভাগ)
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

চেম্বার:
পপুলার ডায়াগনস্টিক লিমিটেড,
দক্ষিণ আলেকান্দা বাংলাবাজার বরিশাল।
বিকাল ৪টা ৩০ হইতে ৬:৩০ পর্যন্ত এবং রাত্র ৯:০০ হইতে ১০:০০ পর্যন্ত।
(শুক্রবার বন্ধ)
মোবাইল:
09666-787819

২. ল্যাবএইড লিঃ ( ডায়াগনস্টিক)
বাড়ি ১০৬, সদর রোড, বরিশাল।
দুপুর ২:৩০ থেকে ৪:৩০ পর্যন্ত
সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে ৯:০০ টা পর্যন্ত।
(শুক্রবার বন্ধ)
01766-661110,
01766-663305

জরুরি প্রয়োজনে:
01314-486260,
01314-537079

কিডনি যখন দুর্বল হয়ে যায় বা দীর্ঘদিন ধরে কাজ ঠিকভাবে কাজ করেনা তখন শরীরে পটাশিয়াম ও ফসফরাসের ভারসাম্য নষ্ট হতে শুরু করে।...
29/10/2025

কিডনি যখন দুর্বল হয়ে যায় বা দীর্ঘদিন ধরে কাজ ঠিকভাবে কাজ করেনা তখন শরীরে পটাশিয়াম ও ফসফরাসের ভারসাম্য নষ্ট হতে শুরু করে। এই ভারসাম্যহীনতা কিডনির পাশাপাশি হার্ট, হাড় ও পেশির জন্যও সমানভাবে বিপজ্জনক। এই কারনে কিডনি রোগীদের খাবার বাছাইয়ের সময় পটাশিয়াম ও ফসফরাস নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ফসফরাস হাড় ও দাঁতের গঠন রক্ষা করে। তবে যখন কিডনি দুর্বল হয়ে পরে এটি তখন জমে গিয়ে রক্তে ক্যালসিয়াম কমিয়ে দেয়। যা হাড়কে দুর্বল করে, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, শরীরে এলার্জি বাড়ায়। ঝুঁকি এড়াতে ফসফরাস কম এমন খাবার বেছে নিন এবং ফসফরাস বেশি এমন খাবার এড়িয়ে চলুন।

☑️ ফসফরাস কমযুক্ত খাবারঃ
▪️ চাল, ময়দা, চিড়া
▪️ অলিভ ওয়েল
▪️ আপেল আঙ্গুর, কলা
▪️ ডিমের সাদা অংশ
▪️ সিদ্ধ সবজি

☑️ বেশি ফসফরাস যুক্ত খাবারঃ
▪️ দুধ, দই, পনির
▪️ প্রসেসড ফুড
▪️ বাদাম ও বীজ
▪️ রেড মিট
▪️ ফাস্ট ফুড ও বেকারি

অন্যদিকে পটাশিয়াম হার্ট, নার্ভ ও পেশীর স্বাভাবিক কার্যক্রমে সাহায্য করে। কিডনি যখন দুর্বল হয়ে যায় এটি শরীর থেকে বের হতে পারেনা এবং রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। এরফলে অনিয়মিত হার্টবিট, পেশি অবশভাব, বমি, মাথাঘোরা, এমনকি হার্ট এট্যাক পর্যন্ত হতে পারে। ঝুঁকি এড়াতে পটাশিয়াম কম এমন খাবার বেছে নিন এবং পটাশিয়াম বেশি এমন খাবার এড়িয়ে চলুন।

☑️ কম পটাশিয়াম যুক্ত খাবারঃ
▪️ চাল, পাউরুটি
▪️ সিদ্ধ গাজর
▪️ বেগুন, ফুলকপি, শসা
▪️ আনারস, আপেল, পেয়ারা, আঙ্গুর
▪️ ডিমের সাদা অংশ

☑️ বেশি পটাশিয়াম যুক্ত খাবারঃ
▪️ শুকনা ফল
▪️ দুধ ও দই
▪️ কমলা, কলা, কাঁঠাল, আম
▪️ নারিকেলের পানি
▪️ পালংশাক
▪️ আলু, টমেটো

ডা. মোঃ আলী রুমি
মেডিসিন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগ
বিশেষজ্ঞ।

সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান
(নেফ্রোলজি বিভাগ)
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

ধূমপান হৃদরোগের অন্যতম একটি বড় কারন এটা আমাদের সবার জানা। কিন্তু যেটা জানিনা সেটা হলো যারা ধূমপান করেন না কিন্তু ধোয়ার প...
28/10/2025

ধূমপান হৃদরোগের অন্যতম একটি বড় কারন এটা আমাদের সবার জানা। কিন্তু যেটা জানিনা সেটা হলো যারা ধূমপান করেন না কিন্তু ধোয়ার পরিবেশে থাকেন অর্থাৎ প্যাসিভ স্মোকাররাও সমানভাবে হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকেন।

নিকোটিন ও কার্বোন মনোএক্সাইড সহ প্রায় ৭০০০ এর বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান থাকে সিগারেটের ধোয়ায়। এগুলো:

▪️ হৃদপিণ্ডে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয় যারফলে হার্ট এট্যাকের ঝুঁকি অনেকগুন বেড়ে যায়।

▪️ ভালো কোলেস্টেরল কমিয়ে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়।

▪️ রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যারফলে সহজেই রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার প্রবনতা তৈরি হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে যারা ধূমপান করেন না কিন্তু নিয়মিত ধূমপায়ীদের সাথে থাকেন বা সিগারেটের ধোয়ার কাছাকাছি থাকেন তাদের মধ্যে এমন পরিবেশে না থাকাদের তূলনায় হার্ট এট্যাকের ঝুঁকি ২-৪ গুন বেশি। WHO এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ১.৩ মিলিয়ন মানুষ প্যাসিভ স্মোকিংয়ের কারনে মারা যান। যাদের মধ্যে অনেকেই নিজেরা কোনোদিন ধূমপান করেননি।

ডা. মোঃ আলী রুমি
মেডিসিন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগ
বিশেষজ্ঞ।

সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান
(নেফ্রোলজি বিভাগ)
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

চোখের নিচের কালো দাগ মানেই আমরা ভেবে নেইই ঘুমের অভাব। কিন্তু চিকিৎসা  বিজ্ঞানের চোখে বিষয়টি এতো সহজ নয়। অনেক সময় এই দ...
27/10/2025

চোখের নিচের কালো দাগ মানেই আমরা ভেবে নেইই ঘুমের অভাব। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের চোখে বিষয়টি এতো সহজ নয়। অনেক সময় এই দাগ শরীরের ভিতরে কোন সমস্যা বা জীবনযাপনের কিছু বদ অভ্যাসকেও ইঙ্গিত করতে পারে।

চোখের নিচের কালো দাগের (ডার্ক সার্কেল) সসম্ভাব্য কিছু কারনঃ

▪️ এলার্জি/সাইনাসের সমস্যা:
বারবার এলার্জি এট্যাক বা সাইনাস ইনফেকশন চোখের চারপাশে ফোলা ভাব এবং রক্তনালির জটলা তৈরি করতে পারে। যার ফলে ঐ অংশে রক্ত ঠিকভাবে চলাচল করতে না পেরে ত্বক কালচে হয়ে যায়

▪️ বংশগত কারন:
জন্মগত ভাবেই কিছু মানুষের চোখের নিচের ত্বক পাতলা হয়ে থাকে। এতে করে রক্তনালি স্পষ্ট দেখা যায় যা চোখের নিচে কালচে ভাব তৈরি করে।

▪️পুষ্টিহীনতা:
ভিটামিন-কে, ভিটামিন-বি১২, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রনের ঘাটতি ত্বকের কোষে প্রভাব ফেলে যা চোখের নিচের অংশে কালচে ভাব ফেলে।

▪️ অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম:
দীর্ঘসময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের চারপাশের রক্তনালি ফুলে যায়। ত্বকে একধরনের শ্যাডো তৈরি হয়, যা দেখতে কালো দাগের মতো দেখায়।

ডা. মোঃ আলী রুমি
মেডিসিন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগ
বিশেষজ্ঞ।

সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান
(নেফ্রোলজি বিভাগ)
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

আমাদের শরীরের ভেতরে এমন কিছু অঙ্গ থাকে যা নিয়ে আমরা তেমন একটা ভাবিনা কারন আমাদের মনে হয় এগুলো অপ্রয়োজনীয়, যার মধ্যে অন্য...
26/10/2025

আমাদের শরীরের ভেতরে এমন কিছু অঙ্গ থাকে যা নিয়ে আমরা তেমন একটা ভাবিনা কারন আমাদের মনে হয় এগুলো অপ্রয়োজনীয়, যার মধ্যে অন্যতম হলো Appendix (এপেন্ডিক্স)। পেটের ডানদিকের নিচের অংশে থাকা ছোট আঙ্গুলের মতো একটি অঙ্গ, দেখতে যতই ছোট হোক এতে ইনফ্লামেশন বা ইনফেকশন হয়ে উঠতে পারে তীব্র জটিলতার কারন যেটিকে আমরা এপেন্ডিসাইটিস নামেই চিনি।

এপেন্ডিসাইটিস যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। তবে তরুণ ও যুবক বয়সে এটি সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। সমস্যা হলো অনেকেই এটি সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ভেবে দিনের পর দিন অবহেলা করে অবস্থা আরো খারাপের দিকে নিয়ে যায়। অথচ সঠিক সময় চিকিৎসা করানো হলে এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য।

এপেন্ডিসাইটিসের প্রধান লক্ষন হলো পেটের ডানপাশ নিচের দিকে তীব্র ব্যথা যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। অন্যান্য আরো কিছু লক্ষনের মধ্যে রয়েছে:

✅ পেট ফাঁপা

✅ বমি বমি ভাব বা বমি

✅ কোষ্ঠকাঠিন্য বা হালকা ডায়রিয়া

✅ হালকা থেকে মাঝারি মাত্রায় জ্বর

✅ ক্ষুধামান্দ্য

এপেন্ডিসাইটিসের সময়মতো অস্ত্রোপচার না করানো হলে এপেন্ডিক্স ফেটে গিয়ে পেটের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে, যা জীবননাশের ঝুঁকি তৈরি করে। তাই পেটেব্যথা মানেই গ্যাস্ট্রিক এই ধারণা থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে নিজে নিজে ব্যথার বা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ না খেয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

ডা. মোঃ আলী রুমি
মেডিসিন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগ
বিশেষজ্ঞ।

সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান
(নেফ্রোলজি বিভাগ)
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরের প্রাণকেন্দ্র। একবার ভাবুন, একটা শিশু জন্ম নিলো যার হৃদপিণ্ড পুরোপুরিভাবে গঠিতই হয়নি তার জীবনটা আস...
25/10/2025

হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরের প্রাণকেন্দ্র। একবার ভাবুন, একটা শিশু জন্ম নিলো যার হৃদপিণ্ড পুরোপুরিভাবে গঠিতই হয়নি তার জীবনটা আসলে কোন পর্যায়ে আছে। এটাই হলো Congenital Heart Disease

এটি শিশুর জন্মের সময়েই থাকে এবং এর তীব্রতা একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হতে পারে। কারো ক্ষেত্রে খুবই সামান্য ত্রুটি, আবার কারো ক্ষেত্রে জীবননাশের ঝুঁকিও থাকে। অনেক সময় জন্মের পরপরই লক্ষন প্রকাশ পায়, আবার কিছু ক্ষেত্রে লক্ষন প্রকাশ পেতে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস লাগে। সাধারণ কিছু লক্ষন হলোঃ-

✔️ ঘন ঘন কাশি হওয়া

✔️ দ্রুত শ্বাস ফেলা বা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া

✔️ ঠোঁট, ত্বক, নখ নীলচে হয়ে যাওয়া

✔️ বুকের মধ্যে শব্দ হওয়া বা হৃদস্পন্দন খুব বেড়ে যাওয়া

✔️ শারীরিক বৃদ্ধি ধীর হওয়া

✔️ খেতে না চাওয়া বা ব্রেস্ট ফিড করার সময় অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া

যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যার সুনির্দিষ্ট কারন জানা যায় না। তবে গর্ভাবস্থায় মায়ের ভাইরাস ইনফেকশন, ডায়াবেটিস, জিনগত কারন, ডাউন সিনড্রোম, মাদকের ব্যবহার শিশুর জন্মগত হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

🔺 শিশুর খাওয়ার সময় বা খাওয়ার পরে শ্বাসকষ্ট বা মাত্রাতিরিক্ত ঘাম দেখলে, অল্প খেয়েই বাচ্চা ক্লান্ত হয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডা. মোঃ আলী রুমি
মেডিসিন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগ
বিশেষজ্ঞ।

সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান
(নেফ্রোলজি বিভাগ)
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে যাওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুকে ব্যথা এগুলোকে আমরা "একটু রেস্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে" ভেবে অবহেলা কর...
23/10/2025

হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে যাওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুকে ব্যথা এগুলোকে আমরা "একটু রেস্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে" ভেবে অবহেলা করে থাকি। কিন্তু এধরণের উপসর্গ কখনো কখনো হার্ট বা ফুসফুসজনিত কোনো জটিল সমস্যার পূর্বাভাস হতে পারে। বিশেষ করে যখন লো-ব্লাড প্রেশার আর বুকে ব্যথা একসাথে হয় তখন এটিকে একদম হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। এটিকে এই অবস্থা খুব দ্রুতই খারাপের দিকে যায়। এই সময়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্ক সংকেত হলোঃ-

✅ রক্তচাপ হঠাৎ করে খুব কমে যায় এবং মাথা ঝিমঝিম বা ঘোর লাগার মতো অনুভূতি হওয়া

✅ দূর্বল লাগা, শরীর ঠান্ডা হয়ে ঘাম হওয়া ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া

✅ বুকের মাঝামাঝি ভারী চাপ বা ব্যথা অনুভব যা আস্তে আস্তে পিঠ, ঘাড় বা হাতে ছড়িয়ে পরা

✅ শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হওয়া, বুক ধড়ফড় করা

এই ধরনের লক্ষন দেখা দিলে বুঝে নিতে হবে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বা রক্ত প্রবাহে বড় কোনো সমস্যা হচ্ছে। এগুলো সাধারণত হার্ট এট্যাক, কার্ডিওজেনিক শক, রক্তক্ষরণ, পালমোনারি ডিজিজের পূর্ব লক্ষন হতে পারে। এধরণের লক্ষন কখনো ঘরোয়া উপায়ে ঠিক করার চেষ্টা করবেন না, কোনো ধরনের পানি বা খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা না করে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

ডা. মোঃ আলী রুমি
মেডিসিন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগ
বিশেষজ্ঞ।

সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান
(নেফ্রোলজি বিভাগ)
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

চেম্বার:
পপুলার ডায়াগনস্টিক লিমিটেড,
দক্ষিণ আলেকান্দা বাংলাবাজার বরিশাল।
বিকাল ৪টা ৩০ হইতে ৬:৩০ পর্যন্ত এবং রাত্র ৯:০০ হইতে ১০:০০ পর্যন্ত।
(শুক্রবার বন্ধ)
মোবাইল:
09666-787819

২. ল্যাবএইড লিঃ ( ডায়াগনস্টিক)
বাড়ি ১০৬, সদর রোড, বরিশাল।
দুপুর ২:৩০ থেকে ৪:৩০ পর্যন্ত
সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে ৯:০০ টা পর্যন্ত।
(শুক্রবার বন্ধ)
01766-661110,
01766-663305

জরুরি প্রয়োজনে:
01314-486260,
01314-537079

গর্ভাবস্থায় নারীর শরীরে ব্লাডের পরিমান বৃদ্ধি, হরমোনের পরিবর্তন এবং বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় বড় রকমের পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্ত...
22/10/2025

গর্ভাবস্থায় নারীর শরীরে ব্লাডের পরিমান বৃদ্ধি, হরমোনের পরিবর্তন এবং বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় বড় রকমের পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তন কিডনির উপর বাড়তি চাপ ফেলে, যা অনেক সময় জটিলতার জন্ম দিতে পারে।

তাই প্রেগন্যান্সির সময় কিডনি সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা করা উচিত নয়। এসময়ে কিডনি জটিলতায় বেশকিছু লক্ষন দেখা দিতে পারে। যেমনঃ-

🔹 প্রস্রাবের মাত্রা কমে যাওয়া বা রঙ পাল্টে যাওয়া

🔹 মুখ, হাত বা পায়ে অতিরিক্ত ফোলাভাব দেখা দেওয়া

🔹 রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া

🔹 প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া অনুভব হওয়া

🔹 অতিরিক্ত ক্লান্তি ও মাথাব্যথা দেখা দেওয়া

🔹 দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা

এসময়ে কিডনি জটিলতা এড়াতে নিয়মিত ইউরিন টেস্ট করাবেন, প্রচুর পানি পান করবেন তবে আগে থেকে কোনো কিডনি ডিজিজ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে পানির মাত্রা নির্ধারণ করবেন, অ্যান্টিবায়োটিক এবং কোনো পেইনকিলার নিজে থেকে খাবেন না। শরীরে যেকোনো ফোলাভাব এবং প্রস্রাবে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখলে সাথে সাথে বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন।

ডা. মোঃ আলী রুমি
মেডিসিন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগ
বিশেষজ্ঞ।

সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান
(নেফ্রোলজি বিভাগ)
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

ওজন কমানো হোক কিংবা হেলদি লাইফস্টাইলের জন্যই হোক বর্তমানে অনেকের মধ্যেই গ্লুটেন ফ্রি ডায়েট ফলো করার একটা টেন্ডেন্সি দেখা...
21/10/2025

ওজন কমানো হোক কিংবা হেলদি লাইফস্টাইলের জন্যই হোক বর্তমানে অনেকের মধ্যেই গ্লুটেন ফ্রি ডায়েট ফলো করার একটা টেন্ডেন্সি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আসলেই কি সবার গ্লুটেন ফ্রি খাবারের প্রয়োজন আছে?

যাদের জন্য অবশ্যই গ্লুটেন ফ্রি খাবার প্রয়োজনঃ-

🔹 সিলিয়াক ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তি গ্লুটেন খেলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম ক্ষুদ্রান্ত্রের ক্ষতি করে। এই রোগীর ওজন কমে যাওয়া, পেট ব্যথা বা গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যানিমিয়ার মতো উপসর্গ থাকে। এই অবস্থায় গ্লুটেন খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কার্যকর কোনো চিকিৎসা নেই।

🔹 অনেকের ক্ষেত্রে সিলিয়াক ডিজিজ না থাকলেও গ্লুটেন খাওয়ার পরে মাথাব্যথা, ক্লান্তি, গ্যাস, ব্রেইন ফগের মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। এসব ব্যক্তিদের জন্য গ্লুটেন ফ্রি ডায়েট অনেক সময় উপকারী হয়ে থাকে।

🔹 অনেকের গ্লুটেনযুক্ত খাবারে মারাত্মক এলার্জি এট্যাক হয়। এক্ষেত্রে চুলকানি, স্কিনে র‍্যাশ, শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষন দেখা দেয়। তাদের ক্ষেত্রে গ্লুটেন ফ্রি ডায়েট মেনে চলা উচিত।

গ্লুটেন ফ্রি খাবার খেলেই ওজন কমবে এই ধারণা সবসময় সঠিক নয়। গ্লুটেন সেনসিটিভিটি বা সিলিয়াক ডিজিজ না থাকলে নিজে থেকে গ্লুটেন ফ্রি ডায়েট শুরু করার কোনো প্রয়োজন নেই।

ডা. মোঃ আলী রুমি
মেডিসিন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগ
বিশেষজ্ঞ।

সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান
(নেফ্রোলজি বিভাগ)
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল।

Address

Barishal

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Mohammad Ali Rumee posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category