Masnoon Ruqyah & Hijama Center, Barishal

Masnoon Ruqyah & Hijama Center, Barishal প্রচলিত কুফরি শিরকি তদবিরের বিপরীতে শরীয়ত সম্মত উপায়ে বদনজর জিন যাদু ও ওয়াসওয়াসার চিকিৎসা

13/11/2025
জিন আক্রান্ত হওয়ার কিছু লক্ষন:(১) হঠাৎ আমল বা ইবাদতে অনিহা/অলসতা চলে আসা।(২) ঘুমের মধ্যে বোবায় ধরা।(৩) ঘুমের মধ্যে শরীর...
22/10/2025

জিন আক্রান্ত হওয়ার কিছু লক্ষন:

(১) হঠাৎ আমল বা ইবাদতে অনিহা/অলসতা চলে আসা।
(২) ঘুমের মধ্যে বোবায় ধরা।
(৩) ঘুমের মধ্যে শরীরে ঝাকি লেগে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া।
(৪) স্বপ্নে উঁচু কোন জায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা।
(৫) ঘুমের মধ্যে হাটাচলা করা।
(৬) প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করা।
(৭) মেজাজ খিটখিটে হওয়া।
(৮) মনোযোগ স্থীর না থাকা।
(৯) মৃগীরোগ থাকা।
(১০) শরীরের নির্দিষ্ট অংশ হঠাৎ কাজ না করা এবং মেডিকেল রিপোর্টে সমস্যা ধরা না পরা।
(১১) আবোলতাবোল কথা বলা।
(১২) কারণ ছাড়া কান্না আসা বা হাসা।
(১৩) আজান এবং কুরআন তিলাওয়াত শুনলে অস্থীর হওয়া।
ইত্যাদি...

আপনি জিন বা জাদু আক্রান্ত কিনা মিলিয়ে দেখুন।

তবে ভয়ের কিছু নেই, আল্লাহর কালামের বারাকাহ এই সব কিছুর উর্ধ্বে। নিয়ম অনুযায়ী রুকইয়াহ করলে জ্বীন, জাদু ,বদ - নজর প্রভৃতি সমস্যা নির্মূল হয়ে যায়।

16/10/2025

অবুঝ শিশু ভয়ের কিছু দেখলে, দৌড়ে সে মায়ের কোলে মাথা গোঁজে। সে মায়ের কোলে নিরাপদ বোধ করে। হৃদয়স্পর্শী এ দৃশ্যে তখন লুকিয়ে থাকে আশ্রয়ের অনুভূতির দুনিয়ার দৃষ্টান্ত। শিশুটি মাকে নিজের রক্ষাকারী হিসেবে ভাবে। মা স্নেহময়ী, মা কোমলতার আধার, মা খেলার সাথি—সবকিছু ছাপিয়ে শিশুটির মনে তখন মায়ের যে বৈশিষ্ট্য প্রাধান্য পায়, তা হলো—মা আশ্রয়দাত্রী, সুরক্ষাদানকারী। তাই নিশ্চিন্তে সে মায়ের কোলে থেকে ওই ভীতিকর বস্তুর প্রতি তাকিয়ে খিলখিল করে হাসে। ভাবটা এমন, এখন পারলে আসো!

সুরা নাসে আল্লাহ রব্বুল আলামিন নিজের সিফাত উল্লেখের ব্যাপারে এই হিকমত অবলম্বন করেছেন। বান্দাকে তিনি সে অবুঝ শিশুটির চেয়েও নিশ্চিন্ত আর নিরাপত্তার অনুভূতি দিয়েছেন। তিনি রহমান, তিনি রহিম, তিনি রাজ্জাক, তিনি আযিয ইত্যাদি সব সিফাত তাঁর মাঝে পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও তিনি ‘রব’, ‘মালিক’, ‘ইলাহ’ সিফাতগুলোকে উল্লেখ করেছেন। কেন? কারণ, তাঁর এ নামগুলোতে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষমতা প্রকাশ পায়।

তিনি রব—প্রতিপালক, লালনপালনকারী। যিনি লালন করেন, তিনি যদি সুরক্ষা না দেন, তবে আর কে আছে সুরক্ষা দেওয়ার মতো?

তিনি মালিক—অধিপতি, বাদশাহ। যিনি বাদশাহ, তিনি যদি তাঁর আবদকে আশ্রয় না দেন, তবে আর কে আছে আশ্রয় দেওয়ার মতো?

তিনি ইলাহ—একমাত্র উপাস্য। যিনি মাবুদ, তিনি যদি বান্দাকে নিরাপদ না রাখেন, তবে আর কে আছে নিরাপত্তা দেওয়ার মতো?

আমরা অন্তরে গেঁথে নেব, আল্লাহর প্রতি আস্থা, ভরসায় অন্তরকে সুদৃঢ় করব; তবেই অনুভব করব কাঙ্ক্ষিত সুরক্ষা আর নিরাপত্তার অনুভব; যে অনুভবে একজন শিশু তার জন্য ভীতিকর বস্তুকেও ভ্রু নাচাতে পারে! একজন বান্দা এ বলে বলীয়ান হতে পারে—আমার একজন রব আছেন, যিনি মজবুত আশ্রয়ে আমাকে হিফাজত করবেন।

আল কুরআনের সান্নিধ্যে
Hafiz Al Munadi

ছবিতে যে হাদিসে কুদসী লিখা আছে তার অর্থ হলো:"আমার বান্দা নফল ইবাদতের মাধ্যমে আমার নিকটবর্তী হতে থাকে, যতক্ষণ না আমি তাকে...
08/10/2025

ছবিতে যে হাদিসে কুদসী লিখা আছে তার অর্থ হলো:
"আমার বান্দা নফল ইবাদতের মাধ্যমে আমার নিকটবর্তী হতে থাকে, যতক্ষণ না আমি তাকে ভালোবাসি।" অর্থাৎ এভাবে নফল আদায় করতে করতে আমার প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়।
(সহিহ বুখারী : ৬৫০২)
এরপর ছবিতে নিচ থেকে উপরে আল্লাহর নৈকট্য লাভের ১৪ টি নফল আমলের তালিকা সিঁড়ির মতো করে দেখানো হয়েছে। তা হলো :

১. সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোযা
২.আইয়ামে বীয-এর রোযা (প্রতি আরবী মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোযা)
৩.সুন্নতে রাতেবাহ (ফরয নামাযের আগে ও পরে নির্দিষ্ট সুন্নাত নামাযগুলো)
৪. চাশতের নামায
৫. রাতের নামায তথা তাহাজ্জুদ
৬. দু'আ করা
৭. সাদাকা বা দান-খয়রাত
৮. পিতা-মাতার প্রতি সদাচারণ
৯. বিতর নামায
১০. কুরআন তিলাওয়াত
১১. আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা
১২.আল্লাহ্ যিকির ও তাসবীহ
১৩. মসজিদে প্রবেশের পর দুই রাকাত নামায
১৪. ওযূর পরের দুই রাকাত নামায

কত কিছুই না মুখস্থ করেছি আমরা, এখনো করি। এই ছোট্ট দু’আটি মুখস্থ করতে খুব বেশী সময় বোধকরি লাগবে না আমাদের ইন-শা-আল্লাহ। ও...
07/09/2025

কত কিছুই না মুখস্থ করেছি আমরা, এখনো করি। এই ছোট্ট দু’আটি মুখস্থ করতে খুব বেশী সময় বোধকরি লাগবে না আমাদের ইন-শা-আল্লাহ। ওয়ামা তাওফিক্বী ইল্লা বিল্লাহ।
________

রাসূলুল্লাহ ﷺ দুয়া করতেন,

اللهمّ أحْسِنْ عَاقِبَتَنَا فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، وَأجِرْنَا مِنْ خِزْيِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الآخِرَةِ

উচ্চারণঃ "আল্লাহুম্মা আ’হসিন ‘আক্বিবাতানা ফিল উমূরি কুল্লিহা, ওয়া আজিরনা মিন খিযইদ দুনইয়া ওয়া ‘আযাবিল আখিরাহ"

অনুবাদঃ "হে আল্লাহ্‌! আমাদের প্রতিটি বিষয়ে আপনি শুভ পরিণতি দান করুন এবং দুনিয়াবী লাঞ্ছনা ও আখেরাতের আযাব থেকে মুক্তি দান করুন।"

ইমাম আহমাদ ও ইমাম তাবরানি (রাহিমাহুমাল্লাহ) আরো বর্ণনা করেছেন,

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ كَانَ ذَلِكَ دُعَاءَهُ مَاتَ قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهُ الْبَلَاءُ

"যে ব্যক্তি এই দুয়ার ইহতিমাম করবে অর্থাৎ নিয়মিত পড়বে, (দুনিয়াবী লাঞ্ছনাকর) বালা মুসিবাতে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই আল্লাহ্‌ তাকে মৃত্যু দান করবেন"

সনদ- ইমাম আহমাদের সূত্রে বর্ণিত হাদীছে রাওয়ীগণ বিশ্বস্ত

[মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১৮১]

আল্লাহুল মুওয়াফফিক্ব।
______
Naseehah থেকে সংগৃহীত
©

15/08/2025
11/08/2025

প্রচন্ড উদ্যম ও আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও লেখাপড়া, চাকরি, ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং বা নিজের পেশাগত কাজ করতে গেলেই যাদের অলসতা লাগে, শরীরটা (বিশেষত কাধের অংশ) ভার ও দুর্বল হয়ে আসে, প্রচন্ড ঘুম ও বারবার হাই আসে— তাঁরা আপন আপন বিষয়ে হিংসা ও বদনজরে আক্রান্ত থাকার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এরকমটা বারবার ঘটতে থাকলে বিষয়টিকে সিরিয়াসলি নেয়া উচিত এবং অভিজ্ঞ কারো তত্বাবধানে যথাদ্রুত রুক‌ইয়াহ করা উচিত।

প্রাথমিক করণীয়—

প্রতি ফরজ নামাজের পরে এবং নিজ নিজ পেশাগত কাজ শুরু করার আগে— একবার আয়াতুল কুরসি এবং তিনবার করে তিন কুল পড়ে উভয় হাতে ফুঁ দিবেন । অতঃপর নিম্নোক্ত দোয়াটি বারবার পড়তে পড়তে পুরো শরীর মুছবেন ।‌

اللَّهُمَّ أَذْهِبْ عَنِّى حَرَّالْعَيْنِ وَبَرْدَهَا وَوَصَبَهَا

বাংলা উচ্চারণ— আল্লাহুম্মা আযহিব আন্নি হার্রাল আইনি, ওয়া বারদাহা ওয়া ওয়াসাবাহা।

মনে মনে নিয়ত রাখবেন— ইয়া আল্লাহ! আমার শরীর থেকে জিন এবং মানুষের সকল প্রকার হিংসা ও বদ নজরের প্রভাবকে নষ্ট করে দিন ।
© Muhammad al amin

10/06/2025

ইমাম শাহ ইসমাইল শহিদ (رحمه الله) বলেন—

❝কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করাই শুধু শিরক নয়, বরং যেসব বিষয়কে আল্লাহ তাআলা নিজের সত্তার গুণ হিসেবে নির্দিষ্ট করেছেন এবং বান্দার জন্য বন্দেগির নির্দশন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন,
অন্যদের সামনে যদি তা-ই করা হয়, যেমন সিজদা, আল্লাহর নামে কুরবানি, মানত, বিপদের সময় সাহায্যের জন্য ডাকা, আল্লাহ তাআলার মতো(ইল্ম-কতৃত্বে) সব জায়গায় হাজির মনে করা, ক্ষমতা ও এখতিয়ারে অন্যদেরও কিছু অংশ আছে মনে করাও শিরক এবং শিরকেরই বিভিন্ন রূপ।❞

[সূত্রঃ তাকবিয়াতুল ইমান]

শুরুতে সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ মুবারাক।----কোরবানির সময় মুশরিক জিন-জাদুকরের দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিদের এ...
06/06/2025

শুরুতে সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ মুবারাক।

----

কোরবানির সময় মুশরিক জিন-জাদুকরের দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিদের একটা সমস্যা দেখা যায়। গরুর গোশত খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে বা খেতে কষ্ট হয়। কিংবা গরুর গোশত রান্না হলে মুশরিক জিনগুলো শরীরে ভর করে জুলুম অত্যাচার করে। বাড়িতে বিশৃঙ্খলা করে। গ্রুপে অনেক ভুক্তভুগি আছেন, তাদের বিষয়টা জানা থাকাবে হয়ত।

এই অঞ্চলটায় মানুষদের মাঝে যেমন মুশরিকদের আধিক্য আছে, জিন-শয়তানদের মাঝেও এরকমই। এজন্য এরা সুযোগ পেলেই মুসলিমদের ওপর জুলুম অত্যাচার করে।

যাহোক, যাদের সমস্যা হয় আপনারা দুইটা জিনিস মাথায় রাখবেন।

১.

গরুর গোশত খাওয়া বাদ দিবেন না। বরং রুকইয়ার আয়াত পড়ে ফু দিয়ে বেশি করে খাবেন। (আয়াতুল কুরসি, তিনকুল পড়তে পারেন। ছোট কিছু দোয়াও পড়া যায়। এছাড়াও সিহরের আয়াত বা সুরা তাওবার শুরুর কিছু আয়াত পড়তে পারেন চাইলে।)

এতে উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ চাইলে এভাবে শয়তান দুর্বল হয়ে যাবে বা শিরকি জাদু নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়াও গরু কাটাকুটি করা, রান্না করা সব কাজেই সাধ্যমত অংশ নিবেন।

২.

ঈদের ছুটিতেও হিফাজতের আমল গুরুত্ব দিয়ে করবেন। বিশেষতঃ সকালসন্ধ্যায় ১০বার পড়ার যে দোয়াটা আছে, (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু...) এটা মনোযোগ ও গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন। আর তাকবীরে তাশরিক তো আবশ্যক, এটাও নিয়মিত পড়বেন।

মূলত এইটুকুই কথা। এরপরেও যাদের সমস্যা আছে, তাদেরকে দেয়া পরামর্শ মোতাবেক রুকইয়াহ করতে থাকবেন। বাদ দিবেন না।

সবাইকে শুকরিয়া। আল্লাহ আমাদেরকে নিরাপদ রাখুক। ভালো রাখুক। ঈমানের সাথে রাখুক। আমিন। ঈদ মোবারক।


© আব্দুল্লাহ আলমাহমুদ

20/04/2025

❝ শিরোনাম : একটি আয়াত, যা হৃদয়ের গভীরে নাড়া দেয় ❞

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

আল্লাহর কিতাবের একটি আয়াত আমার স্নায়ুকে জড়িয়ে ধরে, আমার ভেতরে গিয়ে ঢুকে পড়ে, আমার অন্তরে প্রবাহিত হয় ঠিক যেমন শুকনো পাতার মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেঁপে ওঠে এবং আমার কঠিন হৃদয় নরম হয়ে যায়। যখনই আমি এই আয়াত পড়ি, কিংবা তা আমার কানে আসে, বা মনে উদয় হয়— তখনই আমার হৃদয় ছিটকে পড়ে, আমার অস্তিত্ব কেঁপে ওঠে। যেন আসমান থেকে এক আহ্বান আমার ভিতরে বাজে, যখনই আমি আল্লাহ যে অবস্থানে আমাকে স্থাপন করেছেন, তা থেকে পালানোর ইচ্ছা করি।

"فَظَنَّ أَن لَّن نَّقْدِرَ عَلَيْهِ"

“সে মনে করল, আমি তার উপর ক্ষমতা লাভ করতে পারব না।”
(সূরা আল-আম্বিয়া: ৮৭)

কি ভয়ংকর এর প্রভাব!
একজন সম্মানিত নবী, মনোনীত রাসূল মনে করলেন যে, তাঁর জাতি তাঁর দাওয়াতে সাড়া দেবে না, তারা তাদের গাফেলতায় ডুবে থাকবে, অহংকারে মত্ত থাকবে। তিনি ভাবলেন, তারা কখনোই ঈমান আনবে না, যতই তিনি উপদেশ দিন না কেন। তাই সময় নষ্ট না করে বিদায় নেয়াই শ্রেয়, আর অন্য কোনো জায়গায় দাওয়াতের পথ খোঁজা উত্তম।
তিনি তাঁদের ছেড়ে গেলেন, রাগ করে ত্যাগ করলেন, আর মনে করলেন— এখন যাওয়ার সময়। তিনি ভুলে গেলেন, আল্লাহর কোনো কিছুর জন্য অক্ষম নন, আর যিনি আল্লাহর অনুমতি ছাড়া বের হন, তিনি একাকী বের হন— বিপদের সম্মুখীন হতে। এমনকি তিনি যদি আল্লাহর মনোনীত নবী হন, তবুও।
তিনি ভুলে গেলেন, আল্লাহ চাইলে তাঁকে আরও বড় পরীক্ষা ও বিপদে ফেলতে পারেন।

আর সেটাই ঘটল। ইউনুস (আ.)-কে এক ভয়ংকর বিপদে ফেলা হলো। তিনি তিমির পেটে গিয়ে পড়লেন, আর তখনই তিনি উপলব্ধি করলেন বাস্তবতা।
তিনি পড়লেন তিনটি অন্ধকারে:
যেখানে নেই কোনো দৃষ্টি, নেই কোনো শব্দ, না ছিল কোনো সঙ্গী কিংবা আপনজন, ছিল না কোনো পথ এবং না ছিল কোনো আশ্রয়।
নেই কোনো পথ, নেই কোনো পলায়ন।
তিনি তখন সমস্ত শক্তি ও সামর্থ্য ত্যাগ করে তাঁর প্রতিপালকের দরবারে নিজেকে সঁপে দিলেন, ভেঙে পড়লেন, বিনীত হলেন, ফিরে এলেন তাঁর প্রভুর দিকে।
আর তখন তিনি উচ্চারণ করলেন এক অমর বাক্য—

“لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ”
“আপনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র, আমি ছিলাম সীমালঙ্ঘনকারীদের একজন।”

যখনই কোনো পরিস্থিতি আমার মুখোমুখি হয় যা আমি মেনে নিতে পারি না, যখনই আমি ভাবি কোনো দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাই, বা এমন কোনো অবস্থান ছেড়ে দেই যেখানে আমার বুকে কষ্ট লাগে—
এই আয়াত আমার সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়।
এটি আমাকে মনে করিয়ে দেয়— যেটিকে আমি সংকীর্ণ ভাবছি, তা হয়তো আসলে প্রশস্ত;
যেখান থেকে আমি পালাতে চাই, তা হয়তো এমন এক জায়গা, যেখান থেকে বেরিয়ে পড়লে আমি আরও বড় পরীক্ষায় পড়ে যাব যদি না তা আমার প্রভুর অনুমতিসহ হয়।
এটি আমাকে শেখায়— ধৈর্য ধরে থাকা অনেক উত্তম, সেই পলায়নের চেয়ে যা আল্লাহর অনুমোদিত নয়।

তারপর আমি নিজের সঙ্গে কথা বলি, নিজেকে ধমক দিই…
তুমি তো বলো, "সতর্কতা বিশ্বাসের বিপরীত নয়"?
হ্যাঁ, সতর্কতা হচ্ছে প্রজ্ঞা, পরিকল্পনা হচ্ছে সুন্নাহ।
কিন্তু সতর্কতা আর পলায়নের মাঝে একটুকু সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে।
এই পার্থক্যটি শুধু সেই হৃদয় বোঝে— যে আল্লাহর সাথে সংযুক্ত।
সে জানে— প্রতিটি অবস্থানই এক একটি পরীক্ষা, প্রতিটি মুহূর্তই এক একটি দায়িত্ব।
আর তুমি যেখানে আছো, সেখানে যদি আল্লাহ তোমাকে স্থাপন করে থাকেন, তবে তাতেই সন্তুষ্ট থাকা — এটাই প্রকৃত বিশ্বাস, বরং এটাই হচ্ছে দৃঢ় ঈমান।

সব আরামদায়ক পথই বরকতপূর্ণ নয়।
যে অবস্থানে কষ্ট হয়, সেখান থেকে সবাইকে বিদায় নেওয়ার অনুমতি নেই।
হতে পারে এমন এক সংকীর্ণ বসার স্থান— যেখানে আকাশের দরজা খুলে যায়।
হতে পারে এমন কোনো দীর্ঘস্থায়ী কষ্ট— যা হৃদয়ে আলো জাগিয়ে তোলে।
হতে পারে এমন এক ধৈর্য— যার ওপর গড়ে ওঠে চিরস্থায়ী জান্নাতের প্রাসাদ।

হে প্রভু…
আমাকে শিক্ষা দাও— কিভাবে সহ্য করবো যেটা তুমি আমার ওপর নির্ধারণ করেছো।
আমাকে দান করো— যেখানে তুমি চাও, সেখানে থাকার প্রতি সন্তুষ্টি।
আমাকে অনুপ্রেরণা দাও— ইউনুস (আ.)-এর সেই প্রজ্ঞার, যখন তিনি ছিলেন মাছের পেটে।
আর আমাকে এমন লোকদের অন্তর্ভুক্ত কোরো না— যারা তোমার সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করে…
তাদের মতো করে যেন আমি এমন কোনো স্থান থেকে পলায়ন না করি— যেখান থেকে পালিয়ে আমি পড়ে যাই আরও ভয়াবহ এক পরীক্ষায়।
হে প্রভু! তুমি যেটুকু কল্যাণ আমার জন্য নাজিল করো, আমি তারই মুখাপেক্ষী।

------------------

ক্যাটাগরি : তাজকিয়াহ / কোরআন
✍ মূল : ড. আকরাম নদভী, অক্সফোর্ড, ইউকে।

Address

BM College Road Barishal
Barishal
8200

Opening Hours

Monday 09:00 - 21:00
Tuesday 09:00 - 21:00
Wednesday 09:00 - 21:00
Thursday 09:00 - 21:00
Friday 09:00 - 21:00
Saturday 09:00 - 21:00
Sunday 09:00 - 21:00

Telephone

+8801818423901

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Masnoon Ruqyah & Hijama Center, Barishal posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Masnoon Ruqyah & Hijama Center, Barishal:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram