রিলাক্স ফিজিওথেরাপি সেন্টার- RPC

রিলাক্স ফিজিওথেরাপি সেন্টার- RPC Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from রিলাক্স ফিজিওথেরাপি সেন্টার- RPC, Physical therapist, Barishal.

ডিস্ক বা স্নায়ু চাপে (Herniated Disc) অস্ত্রোপচার করা চিকিৎসার শেষ নয়, বরং এটি “পুনর্বাসনের শুরু”।কারণ, অস্ত্রোপচারের ...
05/11/2025

ডিস্ক বা স্নায়ু চাপে (Herniated Disc) অস্ত্রোপচার করা চিকিৎসার শেষ নয়, বরং এটি “পুনর্বাসনের শুরু”।
কারণ, অস্ত্রোপচারের পর যদিও চাপা অংশটি সরিয়ে দেওয়া হয়, তবুও পেশি, টিস্যু (পাংহিদ বা Scar tissue) এবং চলাচলের ভারসাম্য ঠিক থাকে না।
তাই, অস্ত্রোপচারের পর ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত জরুরি

🌿 কেন ডিস্ক অস্ত্রোপচারের পর ফিজিওথেরাপি দরকার?

🔹 ১. পেশির কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে

অস্ত্রোপচারের পর, কোর মাংসপেশি (Core muscle) এবং পিঠের মাংসপেশি (Erector spinae, Multifidus) অনেক সময় দুর্বল হয়ে যায়, কারণ রোগীকে অনেকদিন বিশ্রামে থাকতে হয়।
➡️ এই পেশিগুলোকে পুনরায় শক্তিশালী করতে হবে, যাতে মেরুদণ্ডকে সাপোর্ট দেয় ও পুনরায় ব্যথা না ফেরে।

🔹 ২. টিস্যু বা (Scar tissue) থেকে স্নায়ু আটকে যাওয়া প্রতিরোধে

অস্ত্রোপচারের পর স্নায়ুর আশেপাশে টিস্যু গঠিত হতে পারে।
➡️ যদি ঠিকভাবে নড়াচড়া বা স্ট্রেচ না করা হয়, তাহলে স্নায়ু আটকে গিয়ে আবার পায়ে ব্যথা বা অবশভাব দেখা দিতে পারে।

🔹 ৩. শরীরের ভঙ্গি ও চলাচলের ধরন ঠিক করতে

ভুলভাবে বসা, দাঁড়ানো, হাঁটা, ভার তোলা, বা এমনকি বিছানা থেকে ওঠার ভুল ভঙ্গি—
এসবেই ডিস্কে পুনরায় চাপ পড়তে পারে।
➡️ ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে শেখানো হয় “সঠিক ভঙ্গি ও নিরাপদ নড়াচড়ার কৌশল”।

🔹 ৪. রক্তসঞ্চালন উন্নত করে ও টান কমায়

হালকা ব্যায়াম ও স্ট্রেচ করলে অস্ত্রোপচারের স্থানে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়।
➡️ এতে পিঠ শক্ত হওয়া, কোমর টান, পায়ে অবশভাব—এসব উপসর্গ কমে যায়।

🧘‍♂️ অস্ত্রোপচারের পর কিছু উদাহরণমূলক ব্যায়াম
(সবসময় প্রশিক্ষিত ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে করতে হবে)

1. পেট টান ব্যায়াম (Abdominal Bracing)
→ মেরুদণ্ড না নড়িয়ে কোর পেশি শক্ত করা।

2. পায়ের নড়াচড়া (Leg slides / Ankle pumps)
→ রক্তপ্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে।

3. হিপ তোলা ব্যায়াম (Bridge pose)
→ কোমর ও নিতম্বের পেশি শক্ত করে।

4. ক্যাট–কাউ স্ট্রেচ (Cat-Cow Stretch)
→ মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়ায়।

⚠️ গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
• অস্ত্রোপচারের পর প্রথম ১–৩ মাস কখনও সামনে ঝোঁকা, ভার তোলা বা শরীর মোচড়ানো নিষেধ।
• ফিজিওথেরাপি শুরু করতে হবে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শে।
• ৩–৬ মাস নিয়মিত অনুশীলন করলে শরীরের ভারসাম্য ও শক্তি ধীরে ধীরে ফিরে আসে।

PLID রোগীরা হাটলে বা সিড়ি বাইলে কেন ব্যথা বেড়ে যায়? চায়নার বেইজিং ও গুয়াংডনের দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সুস্থ্য ম...
05/11/2025

PLID রোগীরা হাটলে বা সিড়ি বাইলে কেন ব্যথা বেড়ে যায়?
চায়নার বেইজিং ও গুয়াংডনের দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সুস্থ্য মানুষের সাথে PLID রোগীর হাটা ও সিড়ি বাওয়ার সময় মাসলের EMG এনালাইসিস করেছেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল কোন কোন মাসল মিনিমাম ১৭ মিনিট হাটার পর বা সিড়ি বাওয়ার পর পায়ের ব্যথা সৃষ্টি করার জন্য দায়ী? এছাড়া তারা দেখতে চেয়েছেন, কোন কোন মাসল দূর্বল থাকে, কোন মাসল টাইট থাকে, আর কোন মাসল স্বাভাবিক থাকে। আসুন তারা গবেষণা করে কি পেলেন সেটা জানি।

হাটার সময়: সুস্থ মানুষের তুলনায় PLID রোগীরা হাটার সময় ক্রমানুযায়ী নিচের মাসল গুলা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ব্যবহার করেন। শুরুতে খুব বেশি ব্যবহারের ফলে ডিস্ক প্রোলাপ্স হবার ৪ সপ্তাহের মধ্যেই এ মাসলগুলো দূর্বল হতে থাকে। ক্রমানুযায়ী মাসলগুলো হল: ইরেক্টর স্পাইন> লাম্বার মাল্টিফিডাস> কোয়াড্রেটাস লাম্বোরাম> সেমিস্পাইনালিস> থোরাসিক মাল্টিফিডাস> ইন্টার্নাল ও এক্সটার্নাল অবলিক> সোয়াস> রেকটাস এবডুমিনিস। এ মাসলগুলো দূর্বল হলে বা সঠিক ব্যালেন্সে কাজ না করলে PLID রোগীদের ১৭ মিনিট হাটার মধ্যেই পায়ে ব্যথা চলে আসতে পারে। কাজেই আমাদের এ সকল মাসলের স্ট্রেচিং করতে হবে ও নরমালাইজ হলে গ্রাজুয়ালি ধীরে সুস্থে স্ট্রেংদেনিং প্রোগ্রাম করতে হবে।

সিড়ি বাওয়ার সময়: মজার ব্যাপার হলো সিড়ি বাওয়ার সময় PLID রোগীদের ইরেক্টর স্পাইন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে! একই ভাবে থোরাসিক মাল্টিফিডাস, সেমিস্পাইনালিসও বেশি কাজ করে। তবে কোয়াড্রেটাস লাম্বোর মাল্টিফিডাস ও এক্সটার্নাল অবলিক সুস্থ্য মানুষের সমান কাজ করে, কিন্তু সোয়াস, ইন্টার্নাল অবলিক ও রেকটাস এবডুমিনিস স্বাভাবিকের চেয়ে কম কাজ করে। কাজেই কোন রোগী যদি সিড়ি বাইলে ব্যথা বাড়ে তার এ সকল মাসলের সমস্যা অনুযায়ী স্ট্রেচিং, রিলিজ ও স্ট্রেংদেনিং প্রোগ্রাম সেট করতে হবে।

আজ বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। মানসিক চাপ, ফাস্টফুড, অতিরিক্ত লবণ, রেডমিট,  তেল-চর্বি-ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার গ্রহণ, শারীরিক পরিশ্র...
29/10/2025

আজ বিশ্ব স্ট্রোক দিবস।

মানসিক চাপ, ফাস্টফুড, অতিরিক্ত লবণ, রেডমিট, তেল-চর্বি-ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার গ্রহণ, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তরুণদের মধ্যে রাত জাগা ও অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসও ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

স্ট্রোক চিকিৎসায় প্রথম ৪-৫ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দেশে প্রতি হাজার জনে গড়ে ১৩ দশমিক ছয়জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। ২৩ শতাংশ রোগীর বয়স ৫০ বছরের নিচে। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৬০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে স্ট্রোকের হার সবচেয়ে বেশি। এই বয়সসীমার ২৮ শতাংশ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। স্ট্রোক সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিবছর ২৯ অক্টোবর দিবসটি পালিত হয়।

এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য– ‘প্রতিটি মিনিট গুরুত্বপূর্ণ’।

একজন নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণই হচ্ছে স্ট্রোকের প্রধান চিকিৎসা।

🌿 ফিজিওথেরাপির উপকারিতা 🌿🧑‍⚕️ ফিজিওথেরাপি শুধু ব্যথা কমায় না, বরং আপনাকে ফিরিয়ে আনে স্বাভাবিক, সক্রিয় ও আনন্দময় জীবনে।এট...
17/08/2025

🌿 ফিজিওথেরাপির উপকারিতা 🌿

🧑‍⚕️ ফিজিওথেরাপি শুধু ব্যথা কমায় না, বরং আপনাকে ফিরিয়ে আনে স্বাভাবিক, সক্রিয় ও আনন্দময় জীবনে।
এটি একটি প্রাকৃতিক ও বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে ওষুধের উপর নির্ভর না করে শরীরের শক্তি, নমনীয়তা ও কর্মক্ষমতা বাড়ানো হয়।

✅ ফিজিওথেরাপির ৭টি প্রধান উপকারিতা

1️⃣ ব্যথা নিয়ন্ত্রণ (Pain Relief):
কোমর, ঘাড়, হাঁটু বা জয়েন্টের দীর্ঘদিনের ব্যথা কার্যকরভাবে কমায়।

2️⃣ মুভমেন্ট ও ফ্লেক্সিবিলিটি বৃদ্ধি (Improved Mobility & Flexibility):
হাঁটা, দৌড়ানো, সিঁড়ি ওঠা–নামা আরও সহজ হয়ে যায়।

3️⃣ ইনজুরি ও সার্জারির পর পুনর্বাসন (Rehabilitation):
আঘাত, হাড় ভাঙা বা অপারেশনের পর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।

4️⃣ খেলাধুলাজনিত আঘাত প্রতিরোধ (Sports Injury Prevention):
অ্যাথলেট ও খেলোয়াড়দের জন্য বিশেষ এক্সারসাইজ ইনজুরি এড়াতে সাহায্য করে।

5️⃣ পোশ্চার সংশোধন (Postural Correction):
ভুল বসা বা দাঁড়ানোর অভ্যাস থেকে হওয়া ব্যথা ও মেরুদণ্ডের সমস্যা দূর করে।

6️⃣ বয়সজনিত সমস্যা মোকাবেলা (Geriatric Care):
বয়সের কারণে হাঁটু, কোমর ও জয়েন্টের সমস্যা কমিয়ে জীবনযাত্রার মান বাড়ায়।

7️⃣ মানসিক স্বস্তি ও আত্মবিশ্বাস (Mental Wellbeing):
ব্যথামুক্ত শরীর মানসিক শান্তি আনে এবং দৈনন্দিন কাজে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

✨ Dynamic Physio Hub – "Move Better, Live Stronger"
🌸 সুস্থ জীবনের জন্য সঠিক যত্ন 🌸


Before & After
14/07/2025

Before & After

27/04/2024
রিল্যাক্স ফিজিওথেরাপি সেন্টার -RPCটিএন্ডটি রোড নলছিটি।
16/12/2022

রিল্যাক্স ফিজিওথেরাপি সেন্টার -RPC
টিএন্ডটি রোড নলছিটি।

আপনার স্বাস্থ্য আপনারই ভাবনা। ব্রেইন স্ট্রোক পরবর্তী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা অতীব জরুরী। স্ট্রোক পরবর্তী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা...
23/12/2021

আপনার স্বাস্থ্য আপনারই ভাবনা।
ব্রেইন স্ট্রোক পরবর্তী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা অতীব জরুরী।
স্ট্রোক পরবর্তী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা খুবই জরুরি। ব্রেইন স্ট্রোক হওয়ায় সাধারণত শরীরের যেকোন একপাশ আংশিক বা সম্পূর্ণ অবশ হয়ে যায়। এ অবস্থায় যে কারণে ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছে তার প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে জরুরি কিছু ঔষধ এবং শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধারে এবং রোগীকে পূনরায় পূর্বের অবস্থায় ফিরে নিতে স্ট্রোকের পর দিন থেকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শুরু করতে হয়।
ব্রেইন স্ট্রোক পরবর্তী প্রথম তিন মাস রোগীর সর্বোচ্চ উন্নতি হয় এবং ক্রমেই উন্নতির হার কমে যায়। কাজেই প্রথম তিন মাস সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দুঃখ জনক হলেও সত্য আমাদের দেশে বেশি ভাগ চিকিৎসকই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নন। কাজেই উনারা স্ট্রোক পরবর্তী শুধুমাত্র কিছু ঔষধের ব্যাবস্থাপনা দিয়েই রোগীকে ছেড়ে দেন। অতীব গুরুত্বপূর্ণ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার কোন পরামর্শ দেন না।
যখন রোগীর তেমন কোন উন্নতি কিংবা কাঙ্খিত উন্নতি হয় না তখন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন। ততোদিনে রোগীর অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যায় এবং এ রোগীকে কখনই আর পূর্বের অবস্থায় ফিরে নেয়া সম্ভব হয় না।
কাজেই ব্রেইন স্ট্রোক পরবর্তী আপনার চিকিৎসক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার পরামর্শ দিক কিংবা না দিক অবশ্যই একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক দেখিয়ে পরামর্শ নিবেন। ধন্যবাদ।

রিল্যাক্স ফিজিওথেরাপি সেন্টার (RPC)
যোগাযোগঃ ০১৮২৩৩৯০৪৪০

হাঁটু ব্যাথাঃহাঁটু ব্যথার রোগী প্রায় প্রতিটি পরিবারেই দেখতে পাওয়া যায়। এর বিভিন্ন কারণের মধ্যে প্রধান কারণ অস্টিও আর্থ্র...
18/12/2021

হাঁটু ব্যাথাঃ

হাঁটু ব্যথার রোগী প্রায় প্রতিটি পরিবারেই দেখতে পাওয়া যায়। এর বিভিন্ন কারণের মধ্যে প্রধান কারণ অস্টিও আর্থ্রাইটিস বা অস্থিসন্ধির ক্ষয়জনিত কারণ। আমাদের দেহের প্রতিটি সন্ধি বা জয়েন্টের মতোই হাঁটুর জয়েন্টের হাড়ও নরম এবং মসৃণ আবরণ বা কার্টিলেজ দ্বারা আবৃত। এই কার্টিলেজ যখন ক্ষয় হয়ে অমসৃণ আকার ধারণ করে তখন জয়েন্ট নাড়াচাড়ায় ব্যথা অনুভূত হয়, জয়েন্ট ফুলে যায়। এটি অস্টিও আর্থ্রাইটিস বা হাঁটুর এক প্রকার বাত।

যে যে কারণে হাঁটুর অস্টিও আর্থ্রাইটিস হয় :

বয়সজনিত ক্ষয় : বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় ক্ষয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সে এই রোগ বেশি হয়।

লিঙ্গ : সাধারণত পুরুষের তুলনায় মহিলাদের আর্থ্রাইটিস বেশি হয় এবং তা মনোপোজ বা মাসিক বন্ধের পর। কিংবা যাদের হিস্টেরেক্টমি সার্জারি হয়েছে।

অধিক দৈহিক ওজন : হাঁটু হচ্ছে মানবদেহের অন্যতম ওজন বহনকারী সন্ধি। তাই অতিরিক্ত দৈহিক ওজন হাঁটুতে অধিক চাপ সৃষ্টি করে। ফলে হাঁটুর ক্ষয় বেশি হয়।

মাংসপেশির দুর্বলতা : দুর্বল মাংসপেশি হাঁটুর সন্ধিকে তার স্বাভাবিক স্থানে ধরে রাখতে পারে না। ফলে ঘর্ষণ বেশি হয়, ক্ষয়ও বেশি হয়।

আঘাতজনিত কারণ বা জয়েন্ট ইঞ্জুরি

অস্থিসন্ধির তরল পদার্থ বা সাইনোভিয়াল ফ্লুয়িড কমে গেলে : দেহের বড় বড় জয়েন্টের ভেতর এক প্রকার তরল পদার্থ থাকে যা জয়েন্ট নাড়াচাড়া করতে সাহায্য করে। এই তরল পদার্থ কমে গেলে জয়েন্টে ঘর্ষণ বেশি হয়। ফলে ক্ষয়ও বেশি হয়।

পেশাজনিত কারণ : যারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করেন, অতিরিক্ত সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করেন এবং যারা অতিরিক্ত ভার বহন করতে হয় এমন কাজ করেন তাদের হাঁটুর ব্যথা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তা ছাড়া জেনেটিক বা বংশগত কারণ, জন্মগতভাবে অস্বাভাবিক বা ম্যালফরমড জয়েন্ট ইত্যাদি কারণেও হাঁটুর অস্টিও আর্থ্রাইটিস হতে পারে।

উপসর্গ :
১. হাঁটুতে ব্যথা।
২. হাঁটু ফুলে যাওয়া।
৩. হাঁটু গরম অনুভূত হওয়া।
৪. হাঁটু ভাঁজ করতে না পারা বা জয়েন্ট জমে আছে এমন বোধ হওয়া।
৫. জয়েন্টের আকৃতি পরিবর্তন।
৬. কখন কখন হাঁটুর নাড়াচাড়ায় শব্দ অনুভূত হয়।

রোগ নির্ণয় : এ ক্ষেত্রে সাধারণত রোগীর বয়স, উপসর্গ, রোগের ইতিহাস, কিছু ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশনের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়। এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু রেডিওলজিক্যাল এবং প্যাথলজিক্যাল টেস্টও করা হয়। যেমন: x-ray, MRI, Bone mineral density test, Rh factor, serum calcium levle

হাঁটুর ব্যথায় করণীয়

অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে পরামর্শ নিন।

তীব্র হাঁটুব্যথা হলে দুই-তিন দিনের জন্য পূর্ণ বা আংশিক বিশ্রাম নিতে পারেন।

যেসব ক্ষেত্রে ব্যথা বাড়ে, যেমন সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা, লো কমোডে বসা, লম্বা সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা কমার জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ২০ মিনিট গরম বা ৫ অথবা ১৫ মিনিট বরফের সেঁক নিতে পারেন।

আমাদের ঠিকানাঃ নলছিটি টি এন্ড টি রোড
📳 মোবাইল নম্বরঃ 01777247539

Address

Barishal

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রিলাক্স ফিজিওথেরাপি সেন্টার- RPC posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram