06/10/2025
গাছ থেকে পড়ে যাওয়ার পর যে ধরনের আঘাত লাগে, তাতে ফিজিওথেরাপি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধু ব্যথা কমাতেই সাহায্য করে না, আঘাতের কারণে শরীরের যে কার্যকারিতা বা স্বাভাবিক নড়াচড়ার ক্ষমতা নষ্ট হয়, তা পুনরুদ্ধারেও সাহায্য করে।
গাছ থেকে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলে
ফিজিওথেরাপির প্রধান উপকারিতাগুলো হলো:
১. ব্যথা কমানো (Pain Management)
ফিজিওথেরাপিস্টরা ম্যানুয়াল থেরাপি, ইলেকট্রোথেরাপির বিভিন্ন যন্ত্র (যেমন- TENS, আল্ট্রাসাউন্ড, হট ও কোল্ড কম্প্রেস) ব্যবহার করে ব্যথা এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করেন।
অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদী ব্যথানাশক ওষুধ এড়াতে ফিজিওথেরাপি একটি নিরাপদ ও কার্যকর বিকল্প।
২. গতিশীলতা এবং নমনীয়তা পুনরুদ্ধার (Restoring Mobility and Flexibility)
আঘাতের পর জয়েন্ট বা গাঁট শক্ত হয়ে যেতে পারে এবং মাংসপেশির টান লাগতে পারে। ফিজিওথেরাপি নির্দিষ্ট ব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং করিয়ে শরীরের নড়াচড়ার ক্ষমতা বা Range of Motion (ROM) ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
পড়ে যাওয়ার ফলে যদি কোনো হাড় ভেঙে যায় বা অপারেশন হয়, তবে ফিজিওথেরাপি পুনর্বাসনে (Rehabilitation) সহায়তা করে যাতে শরীরের সেই অংশটি আবার স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে।
৩. পেশী শক্তি এবং ভারসাম্য বৃদ্ধি (Increasing Muscle Strength and Balance)
ব্যথার কারণে দীর্ঘ সময় বিশ্রাম নিলে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যায়। ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী উপযোগী শক্তিবর্ধক ব্যায়াম (Strengthening Exercises) শিখিয়ে দেন, যা দুর্বল পেশীগুলোকে আবার শক্তিশালী করে তোলে।
পড়ে যাওয়ার ফলে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে বা পড়ে যাওয়ার ভয় তৈরি হতে পারে। ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে ভারসাম্য এবং সমন্বয় উন্নত করার বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে আবার পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৪. স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসা (Return to Normal Activities)
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো রোগীকে তার দৈনন্দিন কাজকর্মে (Activities of Daily Living) এবং অন্যান্য স্বাভাবিক কার্যক্রমে (যেমন: হাঁটা, সিঁড়ি ওঠা, কাজ করা) ফিরিয়ে আনা।
ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর অগ্রগতি অনুযায়ী চিকিৎসার পরিকল্পনা সাজান, যাতে রোগী ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
গুরুত্বপূর্ণ কথা:
গাছ থেকে পড়ে গেলে বা কোনো বড় আঘাত পেলে, সবার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদি হাড় ভেঙে যায় বা গুরুতর আঘাত লাগে, তবে প্রথমে সেই আঘাতের সঠিক চিকিৎসা (যেমন- প্লাস্টার, অপারেশন) নিশ্চিত করতে হবে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু করা উচিত। নিজের ইচ্ছামতো কোনো ম্যাসাজ বা টানাটানি করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
গ্রাজুয়েট ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের কাছ থেকে সঠিক ও এভিডেন্স বেজড ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এবং সুন্নতি হিজামা/কাপিং করাতে আজই আমাদের চিকিৎসা কেন্দ্রে চলে আসুন।
আমাদের ঠিকানা:
সাউথ এ্যাপোলো মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল,
জাগুয়া কালিজিরা, বরিশাল।
মোবাইল: ০১৭০৬২২৭৮৮১
জমজম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রুপাতলী হাউজিং এস্টেট, রুপাতলী, বরিশাল।
মোবাইল: ০১৭০৬২২৭৮৮১
চরমোনাই ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার,
বিশ্বাসের হাট (মার্কেটের ২য় তলা) চরমোনাই, বরিশাল।
মোবাইল: ০১৬৭৩৯৬৪২৫৬, ০১৮৮৮০৪৬১১৪।