21/12/2020
জ্বর কি? জ্বর হলে কি করবেন? কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?.............................................................................................................................
#জ্বর
মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা 97.7–99.5 °F, সকালে বেলা সাধারনত তাপমাত্রা কম থাকে আর বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে তাপমাত্রা বেশি হয়। জ্বর বলতে সাধারনত শরীরের সাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা হওয়াকে বুঝায়। যদি কারো সকালে বেলা তাপমাত্রা ৯৯°F বা তার বেশি এবং সন্ধ্যার দিকে ১০০°F বা তার বেশি হয় এবং সেটা যদি পারসিস্টেন্ট (persistent) হয় তবে তাকেই জ্বর বলে।
#জ্বর এর কারন সমুহঃ
জ্বরের অনেক কারন আছে। সাধারন ভাইরাল জ্বর থেকে শুরু করে শরীরের ক্যান্সারের কারনেও জ্বর হতে পারে। তবে জ্বরের যত কারন আছে তার বেশীর ভাগ কারনই হল ভাইরাল জ্বর (যা সাধারনত ভাইরাসের কারনে হয়ে থাকে)।
#ভাইরাল জ্বর কি?
এ জ্বর হঠাত করে শুরু হয় (কাল বৈশাখীর ঝরের মত), প্রচন্ড কাপুনি দিয়ে জ্বর আসে, শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা, মাথা ব্যাথা হয়, সাথে সর্দি থাকে। এ জ্বর সাধারনত ৩ দিন বা কোন কোন ক্ষেত্রে ৭ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
এ জ্বরের জন্য কোন প্রকার এ্যন্টিবায়োটিক লাগে না। এমনিতেই ছেড়ে যায়। শুধু জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খেলেই চলে। এই ভাইরাল জ্বরেই এ্যন্টিবায়োটিক বেশি অপচয় হয়। দেখা যায় জ্বর শুরু হলে প্রথম বা ২য় দিনে ঔষধের দোকান থেকে Zimax, ovel, Cef-3, Kilbac ইত্যাদি ঔষধ কিনে খায়, ১ দিন বা ২ দিন খাবার পর জ্বর ছেড়ে যায় (যেটা ভাইরাল জ্বর এ এমনি এমনি ৩ দিন পর ছেড়ে যায়), নাম হয় এ্যান্টিবায়োটিক এর।
#জ্বর হলে করনীয়?
প্যারাসিটামল বড়ি ৫০০ মিগ্রা দিনে ৩ বার খেতে পারেন। জ্বর অনেক বেশি হলে সাপোজিটরি পায়খানার রাস্তায় ব্যাবহার করতে পারেন।কুসুম গরম পানিতে গামছা ভিজিয়ে সারা শরীরের মুছতে পারেন, যাদের এসি আছে তারা এসি ছাড়তে পারেন, এতে করে জ্বর ছেড়ে যাবে। এভাবে ৩ দিন অপেক্ষা করতে পারেন ৩ দিন থেকে জ্বর কমা শুরু না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
#কখন জ্বর থাকলেও প্যারাসিটামল বড়ি খাবেন না?
যদি জ্বরের সাথে চোখ আর প্রসাব হলুদ থাকে তবে প্যারাসিটামল খাবেন না। এতে মারাত্নক অসুবিধা হতে পারে। আর রোগীর যদি লিভারের কোন সমস্যা থাকে তবে প্যারাসিটামল খাবেন না। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
#জ্বরের জন্য কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
১। জ্বর ৩ দিন থাকার পরো কমা শুরু না হলে বা বেড়ে গেলে।
২। জ্বরের সাথে যদি কাশি ও বুক ব্যথা থাকে।
৩। জ্বরের সাথে যদি প্রসাবে জালাপোড়া থাকে।
৪। জ্বরের সাথে রোগী যদি ভুল বকে বা অজ্ঞান হয়ে যায়।
৫।জ্বরের সাথে যদি শরীরের কোথাও লাল দাগ হয় বা কোন জায়গা (যেমন দাতের মাড়ি) থেকে রক্ত পড়লে।
৬। জ্বরের সাথে পেটের ডান দিকে ব্যাথা হলে।
৭। এছাড়াও যে কোন সমস্যা হলে।
জ্বর হলে নিজে নিজে এ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না, অপ্রয়োজনে এ্যান্টিবায়োটিক খেলে প্রয়োজনের সময় এ্যান্টিবায়োটিক শরীরে কাজ নাও করতে পারে। তাই নিজে সচেতন হোন, অন্যকে সচেতন করুন।
#সারাদেশে ডাক্তারখানার ১৩০ টি শাখায় চিকিৎসা নিন। এছাড়াও ডাক্তারখানার টেলিমেডিসিন এপের মাধ্যমেও ঘরে বসে চিকিৎসা নিতে পারেন।