ডাক্তার-Doctor

ডাক্তার-Doctor All discussion related to Medical Life

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়:-প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো।-স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ ও ব্যায়াম করা।-শারীরিক ও মানস...
12/10/2020

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়:

-প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো।
-স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ ও ব্যায়াম করা।
-শারীরিক ও মানসিক প্রাথমিক চাহিদার খেয়াল রাখা।
-সামাজিকভাবে সংযুক্ত থাকা।
-কার্যকারীভাবে জীবনের বিভিন্ন চাপ সামলানো।

কিভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়?ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বেশি আমাদের সকলেরই আছে। বয়সের সাথে সাথে যা...
06/10/2020

কিভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়?

ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বেশি আমাদের সকলেরই আছে। বয়সের সাথে সাথে যা কমতে থাকে। বয়স বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেহে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। যার কারণে বয়স্ক ব্যক্তিদের রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায় বেশি। তবে শিশু ও কম বয়সী মানুষদেরও মাঝেমাঝে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কম থাকে। ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই জরুরি। রোগ প্রতিরোধ করার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি না থাকলে যে কোন রোগেই জর্জরিত হয়ে যেতে পারেন আপনি। ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও তখন বেশি হয়। ইমিউন সিস্টেমে ঘাটতি দেখা দিলে সারা বছরই রোগে ভুগতে হয় মানুষদের। পর্যাপ্ত শক্তি না থাকার ফলে দৈনন্দিন কাজেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। নানান কারণে আমাদের দেহের শক্তি বা রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তখন দেহে নানান ঘাটতি দেখা দেয়। তবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে ও কায়িক পরিশ্রম করলে এই ঘাটতি পূরণ হতে পারে। তবে আগে আমাদের জানা উচিত কেন আমাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যায়। চলুন তাহলে জেনে নেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেমে ঘাটতি কেন দেখা দেয়!

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেন কমে?

১) অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য আপনার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় খুব জলদি। বাইরের কোমল পানীয়, টমেটো সস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। তাই খাদ্য তালিকা থেকে এসব বাদ দিতে হবে।

২) অতিরিক্ত স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা খুব বাজেভাবে আপনার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কেড়ে নেয়। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত টেনশন করে দেহের ক্ষতি করবেন না।

৩) অতিরিক্ত পরিশ্রম কখনোই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত কাজের চাপ আপনাকে মানসিকভাবে ভেঙ্গে দেয়। ফলে অচিরেই আপনি রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিভাবে বাড়ানো যায়?

আরো নানা কারণে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। যে কারণেই হোক না কেন, রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম বারানোর জন্য কিছু সামান্য পরিবর্তনই আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই কী কী উপায়ে আমরা আমাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে পারবো।

১) প্রোটিন
প্রোটিন গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন। প্রোটিন আমাদের দেহের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করে। বিভিন্ন রোগ বালাই মোকাবেলা করতে প্রোটিনের জুড়ি নেই। শরীরের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়াতেও প্রোটিন বেশ কার্যকরী। রোগ বালাই, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে উন্নত মানের প্রোটিন গ্রহণ করা অতীব জরুরি। ডিম, মুরগীর মাংস, সামুদ্রিক মাছ, কচু শাক ও বিভিন্ন প্রকার ডালে রয়েছে ভালো মানের প্রোটিন। তাই আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সমন্বিত খাদ্য রাখুন।

২) ভিটামিন সি
ভিটামিন সি দেহের ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে বেশ কার্যকরী। এটি মানব দেহের জন্য অনেক জরুরি একটি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। যা আমাদের দাতেঁর গোঁড়া শক্ত করতে, ত্বক উজ্জ্বল করতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ভিটামিন সি-তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে ও বয়সের ছাপ লুকাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের মতো রোগ মোকাবেলা করতে সাহায্য করে। দেশীয় কিছু ফলে আপনি খুব সহজেই ভিটামিন সি পেতে পারেন। যেমন- আমড়া, পেয়ারা, জাম্বুরা, আমলকী, বরই, বাতাবী লেবু ও কমলালেবু ইত্যাদি। সবুজ শাক সবজী যেমন- কাঁচা পেঁপে, কাঁচা মরিচ, পুঁইশাক ও পালং শাকেও প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে।

৩) জিঙ্ক
জিঙ্ক রক্তের শ্বেত রক্তকণিকার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শ্বেত রক্তকণিকার ক্ষমতা হ্রাস পেলে দেহের ইমিউন সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটে। দৈনিক খাদ্যতালিকায় কাঠ বাদাম, চীনাবাদাম, কাজু বাদাম, শিমের বিচি, দুধ, মাখন ও পনির রাখলে জিঙ্কের অভাব পূরণ হয়।

৪) ভিটামিন বি-১২
দ্রুত রোগ থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিন বি-১২ বেশ কার্যকরি। এর পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। দুগ্ধজাত খাদ্যে ও ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিতামিন বি-১২ রয়েছে।

৫) ব্যায়াম
ঘরে সামান্য ব্যায়াম, যোগাসন ও ধ্যানের মাধ্যমেও ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি পায়। ব্যায়াম করতে না পারলে রোজ ৪০-৪৫ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। এতেও আপনার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। কেননা রোজকার এই সামান্য ব্যায়াম আপনার দেহের রক্ত চলাচল করার ক্ষমতাকে সচল রাখে। যা রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক।

তাছাড়া নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, পরিমিত ঘুম মানসিক প্রশান্তি বয়ে আনবে আপনার জন্য।

মনে রাখবেন সুস্থ থাকার জন্য হাসিখুশি থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। তাই সুষম খাদ্য গ্রহণ ও মানসিক চাপ এড়িয়ে বাড়িয়ে ফেলুন আপনার দেহের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং দূরে রাখুন রোগ বালাই, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণকে।

অ্যাজমা বা হাঁপানি : কেন হয়? লক্ষন, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে করনীয়অ্যাজমা বা হাঁপানিঃঅ্যাজমা বা হাঁপানি মূলত শ্বাসনালির প্র...
14/09/2020

অ্যাজমা বা হাঁপানি : কেন হয়? লক্ষন, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে করনীয়

অ্যাজমা বা হাঁপানিঃ

অ্যাজমা বা হাঁপানি মূলত শ্বাসনালির প্রদাহজনিত একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ। এই প্রদাহের ফলস্বরূপ শ্বাসনালি ফুলে যায় এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে হাঁপানির বিভিন্ন উপসর্গ (যেমন— শ্বাস-কষ্ট, কাশি, বুকের মধ্যে শোঁ শোঁ শব্দ, বুকে চাপ অনুভূত হওয়া ইত্যাদি) দেখা যায়। সঠিক সময়ে ও নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহনের মাধ্যমে এ উপসর্গগুলো সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

হাঁপানি কেন হয়? এবং হাঁপানি রোগের লক্ষণসমূহঃ

হাঁপানি রোগের কারণ এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি এবং এ রোগের জন্য কোনো নির্দিষ্ট কারণকেও এককভাবে দায়ী করা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত বা পরিবেশগত কারণে এ রোগ হতে পারে। কারও নিকটাত্মীয় যদি এ রোগে আক্রান্ত থাকে অথবা কারও যদি বিভিন্ন দ্রব্যের প্রতি অতিমাত্রায় অ্যালার্জি থাকে, তাহলে তার এ রোগ হতে পারে। এ ছাড়াও শ্বাসনালি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হলে এ রোগ হতে পারে।

অ্যাজমা বা হাঁপানি হওয়ার কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই। এটি ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগও নয়। প্রদাহের ফলে শ্বাসনালির সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, ফলস্বরূপ ঘন ঘন কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা হওয়া, শোঁ শোঁ আওয়াজ, বুকে চাপ অনুভূত হওয়া বা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সঠিকভাবে ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না নিলে অনেক সময় এ রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ধুলোবালির মধ্যে থাকা মাইট নামক একধরনের ক্ষুদ্র কীট, ফুলের পরাগরেণু, পাখির পালক, ছত্রাক, ইস্ট এবং সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে থাকেন তাদের এ রোগ হতে পারে। ধূমপান শুধু শ্বাসকষ্টের অন্যতম কারণই নয়, বহুক্ষেত্রে এটা হাঁপানির তীব্রতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়, হাঁপানির ঔষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ধূমপান ফুসফুসের কার্যক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ীভাবে কমিয়ে দেয়।

পেশাগত কারণেও কখনো কখনো এ রোগটি হতে পারে। কিছু উত্তেজক উপাদান (যেমন- শ্বাসনালির সংক্রমণ, অ্যালার্জি জাতীয় কোন বস্তুর সংস্পর্শ, ধুলা, বায়ুদূষণ, সিগারেটের ধোঁয়া ইত্যাদি) অনেক সময় অতি সংবেদনশীল রোগীর শ্বাসকষ্টের কারন হতে পারে।

কিছু ওষুধ, যেমন বিটা ব্লকার (উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য এ ওষুধটি ব্যাবহার করা হয়), এন এস এ আই ডি (ব্যথা নিরাময়ের জন্য ব্যাবহার করা হয়), এসপিরিন ইত্যাদি ওষুধের কারনেও হাঁপানি হতে পারে।

মানসিক চাপও অনেক ক্ষেত্রে হাঁপানির তীব্রতা বাড়াতে পারে।
কারও কারও গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ, হাঁসের ডিম, পুঁইশাক, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া, ইত্যাদি খাবারের প্রতি সংবেদনশীলতা আছে, খেলে চুলকায় অথবা নাক দিয়ে পানি পড়ে। তবে সাধারনভাবে খাবারের মাধ্যমে যে অ্যালার্জি হয় তাতে খুব কম সংখ্যক মানুষেরই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কারও কারও আবার নানান রকম সুগন্ধি, মশার কয়েল বা কীটনাশকের গন্ধের কারনেও শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পেতে পারে।

রোগ নির্ণয়ঃ

অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হলো শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকে শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া, বুকে চাপ অনুভূত হওয়া এবং অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া। হাঁপানি বা অ্যাজমা নির্ণয়ের প্রথম ধাপে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রোগীর মুখে রোগের বিস্তারিত ইতিহাস জেনে সিদ্ধান্ত নেবেন। সাধারণত এ উপসর্গগুলো রাতে বা সকাল সকাল বেশি অনুভূত হয় এবং শ্বাসনালীতে কোনো ধরনের অ্যালজেন প্রবাহ প্রবেশ করার ফলে অথবা অল্প-মাত্রায় পরিবর্তনের কারনে এ লক্ষণসমূহের তীব্রতা অনেক বেড়ে যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা কাশি শুরুর আগে নাক চুলকায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, হাঁচি হয়, চোখ লাল হয়ে যায়। ওপরের উপসর্গসমূহের সঙ্গে বংশে কারও হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকলে ধরে নেওয়া হয় যে তারও হাঁপানি রয়েছে।

হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে বা প্রতিরোধে রোগীর ভূমিকাঃ

হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রোগীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। রোগীকে অ্যাজমা বা হাঁপানি সম্পর্কে, রোগের প্রকৃতি, চিকিৎসা, ইনহেলারের কাজ, ইনহেলার কখন ও কিভাবে ব্যবহার করবেন এই বিষয়ে ভালভাবে জানতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রোগীকে সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যবহার করতে জানতে হবে।

কি ধরনের চিকিৎসা তার প্রয়োজন, তার হাঁপানির উপসর্গ কখন বৃদ্ধি পায়, কখন ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে, রোগটি তার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে না বাইরে চলে যাচ্ছে এবং কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সেই বিষয়ে রোগীর বিস্তারিত ধারনা থাকতে হবে।

হাঁপানি একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ, তাই স্বাভাবিকভাবেই এ রোগের ওষুধও অনেক দিন ধরে ব্যবহার করতে হয়। হঠাৎ উপসর্গ কমে গেলে বা না থাকলেও কখনোই হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করা উচিত নয়। অবশ্যই মনে রাখতে হবে, অ্যাজমার চিকিৎসা প্রায় সব সময়েই দীর্ঘমেয়াদি হয়। অবশ্য এ কথার মানে এই নয় যে একজন হাঁপানি রোগীকে জীবনভর ওষুধ নিতে হবে। একজন অ্যাজমা রোগী নিয়মিত হাঁপানি প্রতিরোধক ওষুধ ব্যবহার করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিন থেকে পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এ রোগ সম্পূর্ণভাবে রোগীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

উপসর্গের তীব্রতা ও সময়ের সাথে সাথে ওষুধের মাত্রাও সাধারণত কমতে থাকে অর্থাৎ রোগের উপসর্গ কমার সাথে সাথে ধীরে ধীরে ওষুধের পরিমাণও কমিয়ে আনতে হয়। কখনোই হঠাৎ করে কমিয়ে ফেলা উচিত নয়।

হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রোগীর ভূমিকা সবসময়েই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগীকে কিছু কিছু বিষয় সম্পর্কে খুব ভালভাবে জানতে হবে। যেমন- কখন ওষুধের পরিমাণ বাড়াতে হবে, কী কী উপসর্গ দেখলে রোগী চিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন ইত্যাদি। অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের জন্য রোগীকে অবশ্যই ওষুধ দেওয়ার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। অর্থাৎ, সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যাবহারের পদ্ধতি, সঠিকভাবে নেবুলাইজার ব্যবহার এবং সাথে সাথে এ যন্ত্রগুলো কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কেও ভাল ধারনা থাকতে হবে।

নিয়মিতভাবে সঠিক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি হাঁপানির উত্তেজক দ্রব্য থেকেও নিজেকে রক্ষার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রত্যেক রোগীর উত্তেজক দ্রব্য অথবা অ্যালার্জি ভিন্ন হবে সেটাই স্বাভাবিক। সেজন্য রোগীকে তার জন্য নির্দিষ্ট কোনো উত্তেজক আছে কি না সে বিষয়ে জানতে হবে এবং পরিহার করতে হবে। এ ছাড়াও কিছু সাধারণ ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকতে হবে, যেমন—প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপান ও ধুলা থেকে সাবধান থাকতে হবে। বাসায় বড় কার্পেট ব্যাবহার না করা, বিশেষ করে শোয়ার ঘরে। বাসায় কোনো পোষা জীব, যেমন—পাখি, কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি না রাখা। বাসায় কোনো ধরনের কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার না করা, ভেকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার না করাই ভাল।

পূর্ব থেকে অ্যাজমা সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারনা থাকলে খুব সহজেই হঠাৎ অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয় না।

হাঁপানি বা অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে করনীয়ঃ

গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অ্যাগেইনস্ট অ্যাজমা (জি আই এন এ) একটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন, যারা অ্যাজমা নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। জি আই এন এ’র উদ্যোগ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার সহযোগিতায় ২০০৩ সাল থেকে প্রতিবছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার সাধারণ মানুষ ও অ্যাজমা রোগীদের মধ্যে এ রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ব অ্যাজমা দিবস পালিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিনটি বিশেষ মর্যাদায় শোভাযাত্রা, পোস্টার, সেমিনার, অ্যাজমা রোগীদের সাথে মতবিনিময়, অ্যাজমা রোগের সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে সাধারন মানুষকে সচেতন করা এবং অ্যাজমা রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয়ে থাকে। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রোগীর ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একজন রোগী একটু সতর্ক হলে খুব সহজেই নিজের হাঁপানি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। একজন রোগীর তার রোগ, ওষুধপত্র, উত্তেজক দ্রব্য ও খাবার, ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ইনহেলারের কাজ ও ব্যাবহার ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা থাকলে খুব সহজেই হাঁপানির উপসর্গগুলো সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

কিডনি রোগ প্রতিরোধ করবেন যেভাবেপ্রতিবছর কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেক মানুষ। এটি একটি জটিল শারীরিক সমস্যা, এদিকে এর চি...
13/09/2020

কিডনি রোগ প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

প্রতিবছর কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেক মানুষ। এটি একটি জটিল শারীরিক সমস্যা, এদিকে এর চিকিৎসাও খুবই ব্যয়বহুল। তবে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে রাখলে এই রোগ অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বিশ্বব্যাপী ১২ মার্চ কিডনি দিবস পালিত হয়। বিশ্ব কিডনি দিবস ২০০৬ সাল থেকে পালন শুরু হয়। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন কিডনি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশ্বে এখন প্রায় ১৫০টি দেশে একই সঙ্গে ১২ মার্চে উদযাপিত হয় এ দিবস। এর উদ্দেশ্য সবাইকে সচেতন করে তোলা।

এখন কিডনি রোগটি মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে যাচ্ছে। কিডনি রোগটি একটি নীরব ঘাতক। অর্থাৎ কিডনির বিভিন্ন সমস্যায় দুটি কিডনির ৮০ শতাংশই নষ্ট হয়ে যাবে, হয়তো আপনি জানতেও পারবেন না। আর এমন অবস্থা হয়ে গেলে এর চিকিৎসা ওষুধের মাধ্যমে করা যায় না। তখন ডায়ালাইসিস লাগে, যেটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। একটি মানুষকে যদি ডায়ালাইসিস করা হয়, তিন থেকে চার লাখ টাকা তার প্রতি বছর খরচ হয়।

যদি কারো কিডনি রোগ থেকে থাকে, এর সাথে অন্যান্য রোগেরও আশঙ্কা দেখা দেয়। যেমন : হৃদরোগ এবং মস্তিস্কের রোগ। এ ক্ষেত্রে বলা যায়, আমরা যদি কিডনি রোগ প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করতে পারি বা কী কী কারণে কিডনি রোগ হয় সেটি জানতে পারি- যদি সচেতনতা সৃষ্টি করা যায়, তাহলে রোগ অনেকটাই নিরাময় করা সম্ভব। এই জন্য বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয়- যেখানে চিকিৎসক, সেবিকা ও সাধারণ জনগণ মিলে র‍্যালি, টকশো, সেমিনার, পত্রিকায় প্রতিবেদন ইত্যাদি আমরা করে থাকি। পৃথিবীর সব জায়গায় এটা করা হয়। কেননা বলা হয় যে আপনি আপনার কিডনি সম্বন্ধে জানুন। প্রথমত, রক্তচাপ পরীক্ষা করে, দ্বিতীয়ত, প্রস্রাবে প্রোটিন যাচ্ছে কি না পরীক্ষা করে, তৃতীয়ত আপনার ডায়াবেটিস আছে কি না- এই তিনটি জিনিস দেখলে আমরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ রোগ সহজেই ধরতে পারি।

পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ১২ থেকে ১৮ ভাগ লোক উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। ৫ থেকে ৬ ভাগ লোক ডায়াবেটিসে ভুগছে। ৫ থেকে ৬ ভাগ লোকের প্রস্রাবে প্রোটিন যাচ্ছে।

হয়তো কারো নেফ্রাইটিস হয়েছে কিন্তু কিডনির কার্যক্ষমতা ভালো আছে- সেটাও এক ধরনের কিডনি রোগ। ডায়াবেটিস আছে, প্রস্রাবে প্রোটিন যাচ্ছে- এটাও কিডনি রোগ। তবে তার মানে এই নয় যে কিডনি ফেইলিউর বা কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। এই জায়গায় সবার ভয় কাজ করে। আমরা জানি, ৪০ হাজার লোক প্রতিবছর ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে কিডনি রোগে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। আমি যদি নিজেরটা জানতে পারি তাহলে প্রতিরোধের চেষ্টা করব। পয়সা সাশ্রয় হবে। এজন্য জাতীয়ভাবে এই বিশ্ব কিডনি দিবস উদযাপিত হয়। সচেতনতা জনসাধারণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়াই উদ্দেশ্য।

কিডনি রোগ প্রতিরোধের কী কী উপায় রয়েছে?

খুব খারাপ অবস্থায় চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। যেমন, আমাদের যে গোল্ডেন রুল রয়েছে সেগুলো মেনে চললে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। যদি ডায়াবেটিস থাকে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেন। যদি নেফ্রাইটিস থাকে সেটা পরীক্ষা করা, দর্শকদের জন্য নেফ্রাইটিস বিষয়টি বুঝিয়ে বলি, এটি হলো, দেহের দুটো কিডনি ছাকনি হিসেবে কাজ করে, এই ছাকনি দিয়ে আমরা ফিল্টার করি, অর্থাৎ রক্তটাকে পরিশোধিত করি, তখন রক্ত শুদ্ধ হয়ে যায়, সেই ছাকনিতে একটা রোগ হয়, সেই রোগে প্রোটিন বের হয়ে যায়। মানে শরীর থেকে অ্যালবুমিন বের হয়ে যায় প্রস্রাবের মাধ্যমে, তখন রক্তে অ্যালবুমিন লেভেল কমে যায়। এ সময় শরীরের ভাস্কুলার অংশ থেকে পানি বেরিয়ে গিয়ে দুটো কোষের মাঝখানে চলে আসে, তখন শরীরে পানি আসে, এটি হলো নেফ্রাইটিস। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ দেখা যায়, যদি জন্মগত কিছু থাকে যেমন পলিসিস্টিক কিডনি। সিস্ট সম্বন্ধে একটু কথা বলা দরকার, আমি বলি সিস্ট একটি আঙ্গুর ফলের মতো। ভিতরে পানি, চারদিকে পর্দা। এটি দেহে একটি দুটি থাকতে পারে। এগুলো যদি বহুল আকারে থাকে, যদি দুটো কিডনিতে ১০ টার বেশি করে থাকে তাহলে পলিসিস্টিক কিডনি হয়, যা জন্মগত রোগ। সেটা থেকে উচ্চ রক্তচাপ, প্রস্রাবে সংক্রমণ এসব হয়ে শেষ পর্যন্ত কিডনি ফেইলিউর বা অকার্যকর হবে। তাই এসব বিষয় নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।

আমরা যারা ব্যথানাশক ওষুধ খাই সেগুলো ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর। যাদের কিডনি ভালো আছে তাদের জন্য তেমন না হলেও যাদের কিডনি একটু দুর্বল তাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

কিডনি দুর্বল কীভাবে বুঝবেন? আপনার হয়তো ডায়াবেটিস আছে, উচ্চ রক্তচাপ আছে, বয়স বেশি ইত্যাদি। বয়স বেশি হলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায়। তখন যদি আপনি ওই ওষুধগুলো খান, তখন খুব খারাপ প্রভাব ফেলবে। তারপরে আপনার শরীরে যদি পানির স্বল্পতা থাকে, শরীরে ইডিমা থাকে সেক্ষেত্রে এই ওষুধগুলো অত্যন্ত ক্ষতিকর। নারীর দেহের বিভিন্ন ক্যানসার যদি কিডনির ভেতর যায় তখন সমস্যা হতে পারে।

একিউট খোসপাঁচড়া, গলায় ব্যথা ইত্যাদি থেকে নেফ্রাইটিস হয়। আমরা যদি এর চিকিৎসা করি তাহলে তো এই সমস্যা হবে না। এ ছাড়া ডায়রিয়া হলে যদি প্রস্রাব কমে যায়, তাহলে বুঝতে হবে কিডনি ভালো কাজ করছে না। কিডনি ভালো আছে কি না, এটি বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় প্রস্রাব কতটুকু হচ্ছে- এটা লক্ষ্য রাখা।

প্রস্রাবের রং দেখেও কিন্তু আমরা কিডনি ভালো আছে, কি না বুঝতে পারি। সাদা যদি থাকে তাহলে বুঝতে হবে ভালো কাজ করছে। পানি ঠিকমতো খাচ্ছেন- আর যদি হলুদ হয় তাহলে বুঝতে হবে পানি কম খাচ্ছেন।

যেকোনো কারণে যদি রক্তক্ষরণ হয়, বিশেষ করে নারীর ক্ষেত্রে সেপটিক অ্যাবর্শন। অ্যাবর্শনের ক্ষেত্রে যদি রক্তের পরিবর্তে রক্ত না দেওয়া হয়, তখন কিন্তু তার রক্তচাপ কমে গিয়ে সমস্যা শুরু হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে যদি রক্ত দেওয়া হয়, তখন আর সমস্যা হবে না। আরেকটি বিষয় হলো, কোনো গুরুতর সংক্রমণ থেকেও কিন্তু কিডনির রোগ হতে পারে। সব সময় ওষুধ খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। আপনার ওজন ঠিক রাখতে হবে। আদর্শগত যেই ওজন সেটাতে থাকতে হবে। কর্মঠ এবং সচল থাকলে দেখবেন কিডনি ভালো আছে। আবার শিশুরা যে স্কুল থেকে ফিরে খেলাধুলা করছে না আর ফাস্টফুডের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে- এগুলো খেয়াল রাখতে হবে। কেননা এভাবে চললে তারা বড় হয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সেইসাথে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।

এসব বিষয় খেয়াল করে নিয়মিত পরীক্ষা- নিরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

11/09/2020

For Just One Day

Can we stop the Hate
For Just One Day
Can we not put anyone down
For Just One Day
Can we not point fingers
For Just One Day
Can we see the good in each other
For Just One Day
Can we put our guns down
For Just One Day
Can we come together as one
For Just One Day
Can we just be better together
For Just One Day
Can we love each other
For Just One Day
Can we calm our streets
For Just One Day
Can we stand united again
For Just One Day
Can we learn to respect again
For Just One Day
Can we be equals regardless of X
For Just One Day
Can we not bash those that serve
For Just One Day
Can we get the facts first
For Just One Day
Can we stop playing politics
For Just One Day
Can we lead again
For Just One Day
Can see the lessons on earth
For Just One Day
Can we see the good in yourself
For Just One Day
May those that lost on 9/11 have ✌

Today is about remembrance
Today is about those who were lost
Today is about how we came together
Today is about healing
Today is about togetherness

What do you wish for, for Just One Day?

ডায়াবেটিস কী? কেন হয়?ডায়াবেটিস শব্দটি আমাদের সবার কাছেই বেশ পরিচিত। এমন কোনো পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে কোনো ডায়...
11/09/2020

ডায়াবেটিস কী? কেন হয়?

ডায়াবেটিস শব্দটি আমাদের সবার কাছেই বেশ পরিচিত। এমন কোনো পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে কোনো ডায়াবেটিসের রোগী নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ডায়াবেটিস এখন একটি মহামারি রোগ। এই রোগের অত্যধিক বিস্তারের কারণেই সম্প্রতি এমন ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

প্রশ্ন আসতেই পারে, ডায়াবেটিস কী? আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ডায়াবেটিস এমনই একটি রোগ, যা কখনো সারে না। কিন্তু এই রোগকে সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

যখন আমরা কার্বোহাইড্রেট বা সাধারণ শর্করাজাতীয় খাবার খাই, তখন তা ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয়। ইনসুলিন হচ্ছে একধরনের হরমোন। এর কাজ হলো এই গ্লুকোজকে মানুষের দেহের কোষগুলোয় পৌঁছে দেওয়া। এরপর সেই গ্লুকোজ ব্যবহার করে শরীরের কোষগুলো শক্তি উৎপাদন করে। সেই শক্তি দিয়েই রোজকারের কাজকর্ম করে মানুষ। সুতরাং যখন এই গ্লুকোজ শরীরের কোষে পৌঁছাবে না, তখন স্বাভাবিকভাবেই মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হবে।

যখন কারও ডায়াবেটিস হয়, তখন ওই মানুষের শরীরে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। ফলে দেহের কোষে গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারে না। এতে করে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। সাধারণত প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত গ্লুকোজ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এই কারণে ডায়াবেটিস রোগীর ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। যখন প্রস্রাব বেশি হয়, তখন ডায়াবেটিসে ভোগা রোগী তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন।

অন্যদিকে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার রোগীর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ বের হয়ে যায়। এতে করে প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করতে পারে না দেহের কোষগুলো। ফলে রোগী দুর্বলতা অনুভব করেন। রোগী যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন, তবে তার রক্তনালি, স্নায়ু, কিডনি, চোখ ও হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যাসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

ডায়াবেটিসের লক্ষণঃ

ডায়াবেটিস রোগের সাধারণ কিছু লক্ষণ রয়েছে। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে সহজেই চিহ্নিত করা যায় ডায়াবেটিস। আর যত আগে ডায়াবেটিস চিহ্নিত করা যাবে, তখনই নিতে হবে নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ। ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো হলো:

১. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
২. তেষ্টা পাওয়া
৩. নিয়মিত খাওয়ার পরও ঘন ঘন খিদে
৪. প্রচণ্ড পরিশ্রান্ত অনুভব করা
৫. চোখে ঝাপসা দেখা
৬. শরীরের বিভিন্ন অংশের কাটাছেঁড়া সহজে সারে না
৭. খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যাওয়া
৮. হাতে-পায়ে ব্যথা বা মাঝে মাঝে অবশ হয়ে যাওয়া

মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম ও সাবধানতাবিশ্বজুড়ে চলছে কোভিড-১৯ মহামারীর ক্রান্তিকাল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, চলমান জীব...
02/07/2020

মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম ও সাবধানতা

বিশ্বজুড়ে চলছে কোভিড-১৯ মহামারীর ক্রান্তিকাল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, চলমান জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের নিজেকে সুরক্ষিত রাখার এখনো পর্যন্ত কর্যকরী উপায় হচ্ছে- পারস্পরিক শারীরিক দূরত্ব ৬ ফুট (অন্তত ৩ ফুট) বজায় রেখে চলা ও মাস্ক (মুখবন্ধনী) ব্যবহার করা।

এ সময় মাস্ক পরিধান করা যেমন সবার জন্য অপরিহার্য তেমনি করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ও কমিউনিটিতে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া রোধে সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। আসুন জেনে নেওয়া যাক করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়মগুলো :

১. এন-৯৫ বা সমমানের মাস্ক শুধু হাসপাতালে চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত চিকিৎসক, সেবিকা, সাস্থ্যকর্মী বা অন্য সহযোগীদের ব্যবহারের জন্য। দৈনন্দিন অন্যান্য কাজে এ মাস্ক পরিধান করলে অস্বস্তি এমনকি শ্বাসকষ্ট বা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অন্যান্য যে কোনো কর্ম ক্ষেত্রে, ঘরে বা ঘরের বাইরে কাপড়ের তৈরি বা স্বাস্থ্যসম্মত অন্যান্য সার্জিকাল মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. মাস্ক পরার আগে হাত ভালোভাবে সাবান পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
৩. মাস্কটি সতর্কতার সঙ্গে এমনভাবে পরুন যেন তা সম্পূর্ণভাবে নাক ও মুখ ঢেকে রাখে এবং এমনভাবে বাঁধুন যেন মুখ ও মাস্কের মাঝে কোনো ফাঁকা না থাকে।
৪. মাস্কটি পরিহিত অবস্থায় তা হাত দিয়ে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. ফোনে কথা বলার সময় বা কারও সঙ্গে কথা বলার সময় মাস্কটি নাক ও মুখ থেকে নিচে নামিয়ে রাখবেন না। মনে রাখবেন মাস্ক পরে কথা বলা কোনো অভদ্রতা বা অশোভন ব্যবহার নয়। এটা আপনার সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
৬. কোনো কারণে পরিহিত মাস্কটি ভিজে বা অপরিষ্কার হয়ে গেলে তা খুলে ফেলে সঙ্গে সঙ্গে আর একটি পরিষ্কার মাস্ক পরিধান করুন।
৭ মাস্ক পরিধান বা খোলার সময় মাস্কের দুই পাশের ফিতা/ইলাস্টিকটি ব্যবহার করুন, কখনই মাস্কের সামনের অংশ স্পর্শ করবেন না।
৮ পরিহিত অবস্থায় মাস্কের সামনের অংশে হাতের স্পর্শ লাগলে এবং মাস্ক খোলার পর সাবান পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
৯ সিঙ্গেল ইউজ সার্জিকাল মাস্ক ব্যবহার করলে তা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকনা দেওয়া ময়লা ফেলার পাত্রে ফেলে দিন। কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের পর ৩০ মিনিট সাবান পানিতে ভিজিয়ে রেখে তা ভালোভাবে ধুয়ে ও শুকিয়ে নিয়ে পুনরায় ব্যবহার করতে পারেন।
১০ দুই বছরের কম বয়সের শিশুকে মাস্ক পরালে সর্বদা সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। শিশুর অস্বস্তিবোধ হচ্ছে দৃষ্টিগোচর হলেই মাস্কটি সরিয়ে ফেলুন।
মনে রাখবেন সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করলেও কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত থাকতে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।

সকালে গরম পানি পান করার ৮ উপকারিতামানুষের দেহের প্রায় ৬০ শতাংশই পানি। এছাড়াও দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, দ...
02/07/2020

সকালে গরম পানি পান করার ৮ উপকারিতা

মানুষের দেহের প্রায় ৬০ শতাংশই পানি। এছাড়াও দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, দেহের দূষিত পদার্থ দূর করা, খাদ্য পরিপাক, অস্থিসন্ধি পিচ্ছিল রাখা ও দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রাখতে পানির ভূমিকা অত্যাবশ্যক। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে পানি সুস্থ জীবনের জন্য একটি আবশ্যক উপাদান।

আর সকাল সকাল খালি পেটে পানি পান করা যে শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা আমরা সকলেই জানি। সাধারণত আমরা নর্মাল পানি বা ঠাণ্ডা পানি পান করে থাকি। তবে, গরম পানি পান করা যে আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারি, তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। ঠাণ্ডা পানির পরিবর্তে গরম পানি পান করলে আপনি পেতে পারেন অবিশ্বাস্য ফল। গরম পানি হজম ক্ষমতা ও রক্ত চলাচলকে উন্নত করতে, ওজন হ্রাস করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করতে সহায়তা করে।

তবে জেনে নেওয়া যাক, গরম জল খাওয়ার উপকারিতা গুলি কী কী:
১. সকাল মানেই সবার আগে আমাদের যে কথাটা মনে পড়ে, তা হলো পেট সম্পূর্ণ রূপে পরিষ্কার করা। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ব্যথা, গ্যাস ও অম্বলের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য গরম পানি রামবানের কাজ করে। খালি পেটে গরম পানি পান করার অভ্যাস আপনার শরীরের এই ধরনের অভ্যাসকে পুরোপুরি শেষ করে দিতে পারে।

২. আপনি যদি পেট খারাপের রোগী হন, তার মানে বুঝতে হবে আপনার হজম সম্পর্কিত সমস্যা আছে। এই রকম সমস্যা থাকলে প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস করে গরম পানি পান করলে আপনি এই সমস্যার হাত থেকে অনেকটাই মুক্তি পেতে পারেন। এতে করে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। আপনি সহজেই খাবার হজম করতে সক্ষম হবেন।

৩. শরীরের বিষাক্তে পদার্থ নির্গত করার ক্ষেত্রেও গরম পানি রামবানের কাজ করে। সারা শরীরের ছড়িয়ে থাকা বিষাক্ত পদার্থে নির্গত করতে পারবেন গরম পানির সহায়তায়।

৪. এটি রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।

৫. সকাল বেলা গরম পানি খেলে আপনার শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাটের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। খুব দ্রুত ঝরাতে পারবেন আপনার শরীরের বাড়তি ওজন।

৬. ঋতুস্রাবের দিন গুলিতেও পেতে ব্যথার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য গরম পানি খুবই উপকারী। এই সময়ে পেটে যে ক্র্যাম্স জমে তা গরম পানির সাহায্যে অনেকটাই কম হয়ে যায়।

৭. মাথা ব্যথার সমস্যা থাকলেও গরম পানি পান আপনাকে সেই কষ্টের থেকে অনেকটাই মুক্তি দিতে পারে। গরম পানি মাংসপেশিতে জমে থাকা বেদনাও দূর করতে সাহায্য করে।

৮. গলার সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয় এই গরম পানি। আপনার গলা শুকিয়ে আসলে পান করুন সামান্য গরম পানি। সঙ্গে সঙ্গে মুক্তি পাবেন।

ধন্যবাদ বাংলাদেশআমাদের এতোটা সম্মান জানানোর জন্য 🙏
18/06/2020

ধন্যবাদ বাংলাদেশ
আমাদের এতোটা সম্মান জানানোর জন্য 🙏

এই ব্লাড গ্রুপের মানুষদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৫০% বেশি! দাবি বিজ্ঞানীদেরগোটা বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভ...
10/06/2020

এই ব্লাড গ্রুপের মানুষদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৫০% বেশি! দাবি বিজ্ঞানীদের

গোটা বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭১ লক্ষ ৭ হাজার ৭০১ জন। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। এই ভাইরাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।

এই পরিস্থিতিতে নতুন আশঙ্কার কথা শোনালেন একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি, যে সব ব্যক্তির ব্লাড গ্রুপ A, তাঁদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি!

সম্প্রতি জার্মানির কিয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Kiel) একদল গবেষক দাবি করেছেন, যাঁদের ব্লাড গ্রুপ A, তাঁদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন বয়সের ষোলশোর (১,৬০০) বেশি করোনা আক্রান্ত এবং একই সঙ্গে করোনা হয়নি এমন ২,২০৫ জনের ডিএনএ-র গঠন ও রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তাঁরা।

জার্মান গবেষকদের দাবি, এই সমীক্ষায় তাঁরা দেখেছেন, যে সব ব্যক্তির ব্লাড গ্রুপ A, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন এই করোনাভাইরাসে। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন আগামী দিনেও এই গ্রুপের রক্ত যাঁদের শরীরে আছে তাঁদেরই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগেরই ব্লাড গ্রুপ A। জার্মান গবেষকদের আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে ব্লাড গ্রুপের একটা যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করেন একদল চিনা বিজ্ঞানীও।

জার্মান বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, A গ্রুপের রক্তে যেমন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তেমনই O গ্রুপের রক্তের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকিটা অনেকটাই কম। অর্থাৎ, যাঁদের শরীরে O গ্রুপের রক্ত, তাঁদের এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কম।

এসিড রিফ্লাক্স“এসিড রিফ্লাক্স” সমস্যার লক্ষণগুলো হলো বুকজ্বলা, হজমে গোলমাল, নাকে শ্লেষ্মা জমা, গিলতে অসুবিধা হওয়া, ঘন ঘন...
09/06/2020

এসিড রিফ্লাক্স

“এসিড রিফ্লাক্স” সমস্যার লক্ষণগুলো হলো বুকজ্বলা, হজমে গোলমাল, নাকে শ্লেষ্মা জমা, গিলতে অসুবিধা হওয়া, ঘন ঘন গলা খাকারি দেয়া, কাশি, হাঁপানি ইত্যাদি।
সাম্প্রতিককালে এসিড রিফ্লাক্সে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে।
এসিড রিফ্লাক্স থেকে ইসোফেগাস বা খাদ্যনালীতে ক্যান্সারও হয়।
এসিড রিফ্লাক্সের প্রচলিত ওষুধগুলোতে ক্যান্সার প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা নেই।
উল্টো বরং দীর্ঘদিন এসব ওষুধ সেবনেও খাদ্যনালীর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
তাছাড়া এসিড রিফ্লাক্সের প্রচলিত ওষুধ এককভাবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

এসিড রিফ্লাক্সের জন্য দায়ী হলো আমাদের বাজে ত্রুটিপূর্ণ খাবার যেখানে চিনি, সফট ড্রিঙ্ক, চর্বি ও প্রসেসড খাদ্যের আধিক্য আছে।
তবে আরেক গুরুত্বপূর্ণ কারণও আছে যেটাকে তেমন আমলই দেয়া হয় না।
সেটা হলো আমাদের ডিনার টাইম, অর্থাৎ রাতের কোন সময়টায় আমরা আহার করছি, তা।
সময়মতো খেলে ও সঠিক খাবার খেলেই কিন্তু এসিড রিফ্লাক্স থেকে সেরে ওঠা যায়।

লক্ষ্য করা গেছে, ডিনারের সময়টা অনেকের ক্ষেত্রে ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে।
কাজের সময়টা দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে কাজ শেষে খাবারের সময়টাও দেরীতে হচ্ছে।
শুধু যে কাজের সময় দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে ডিনারের দেরী হচ্ছে তা নয়।
কাজ শেষে কেনাকাটা, ব্যায়াম ইত্যাদি ব্যাপারও ডিনারকে পিছিয়ে দিচ্ছে।
এই সমস্যার একক ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমাধান হলো রাতে দেরী করে খাওয়া একেবারেই বন্ধ করা।
তাছাড়া, খাওয়ার পর সোজা হয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ মাধ্যাকর্ষণ খাদ্যকে পাকস্থলীতে রাখতে সাহায্য করে।
রিফ্লাক্স হলো পাকস্থলী থেকে এসিড উপচে বেরিয়ে আসার ফল।
ভরা পেটে শুয়ে থাকলে রিফ্লাক্সের আশঙ্কা বেশী থাকে।
ডিনারের পর শুতে যাওয়ার আগে যদি ডেজার্ট বা স্ন্যাক থাকে তাহলে তো কথাই নেই।
রিফ্লাক্স হবেই।
একজন সুস্থ স্বাভাবিক তরুণের মাঝারি পরিমাণ আহারের পর পাকস্থলী খালি হতে সাধারণত কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে।
বয়স্ক লোকদের কিংবা যাদের রিফ্লাক্স আছে তাদের ক্ষেত্রে সময়টা একটু বেশী লাগে।

উপরন্তু ডেজার্টগুলো সাধারণত অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ও চর্বিযুক্ত থাকে।
এসব অতি-চর্বিযুক্ত বা অধিক ক্যালরির খাবার হজম প্রক্রিয়াকে মন্থর করে দিয়ে বা পাকস্থলীর ভাল্ব শিথিল করে রিফ্লাক্স সৃষ্টি করে।
বলাবাহুল্য পাকস্থলীর ভাল্ব সাধারণত রিফ্লাক্স প্রতিহত করে।

সুতরাং দেরী করে নয় বরং যথাশীঘ্র ৭টার মধ্যেই ডিনার সারতে হবে।
বাস্তবেও দেখা গেছে, এসিড রিফ্লাক্সের রোগীরা আগেভাগে ডিনার সেরে নেয়ার অভ্যাস করার পর তাদের এলার্জি, সাইনোসাইটিস, হাঁপানি ও ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো দূর হয়েছে বা অনেক কমে গেছে।
অনেকে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণের পরও এসিড রিফ্লাক্স সমস্যায় ভোগেন।
তাঁদের ক্ষেত্রে দেরী করে ডিনার করাটাই সমস্যার একমাত্র কারণ হিসেবে দেখা যায়।
সমস্যার সমাধান হিসেবে ডিনারের সময় বদলানোর যে প্রয়োজনীয়তা সেটা অনেক সময় তাদের কাছে এমন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয় যা মেটানো সম্ভব হয় না।
সুতরাং এসিড রিফ্লাক্স সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ডিনার শেষ করতে হবে।
অনেকের জন্য সেটার অর্থ লাইফস্টাইলে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।
সেই পরিবর্তনটাই ঘটাতে হবে এবং খেতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও পানীয়।

Address

Bogra Sadar
Bogura
5800

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডাক্তার-Doctor posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category