15/10/2025
আপনি জানলে অবাক হবেন, গর্ভাবস্থায় শিশুর শরীরের কিছু কোষ মায়ের রক্তে প্রবেশ করে এবং পরে আবার শিশুর দেহে ফিরে যায়। একে বলা হয় "মাদার-ফিটাল মাইক্রোকাইমেরিজম"।
টানা ৪১ সপ্তাহ ধরে এই কোষগুলো মা এবং শিশুর মধ্যে আদান-প্রদান হয়। শিশুর জন্মের পরও অনেক কোষ মায়ের শরীরে থেকে যায় এবং তার টিস্যু, হাড়, মস্তিষ্ক এবং ত্বকে স্থায়ী ছাপ ফেলে দেয়। এই কোষগুলো প্রায়শই দশকের পর দশক ধরে মায়ের শরীরে টিকে থাকে।
মায়ের পরবর্তী প্রতিটি সন্তানের কোষও তার শরীরে একইরকমভাবে প্রভাব ফেলে। এমনকি গর্ভধারণ অসম্পূর্ণ হলেও বা গর্ভপাত হলেও এই কোষগুলো রক্তপ্রবাহে ছড়িয়ে পড়ে। যদি কোনো কারণে মায়ের হৃদপিণ্ডে আঘাত লাগে, তখন সন্তানের কোষ সেই আঘাতের স্থানে ছুটে যায় এবং এমন ধরনের কোষে রূপান্তরিত হয়, যা হৃদপিণ্ডের ক্ষত সারাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
এই কারণেই গর্ভাবস্থায় বা পরবর্তী সময়ে মায়ের শরীরের অনেক রোগ আপনাআপনি সেরে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, সন্তানের জন্মের ১৮ বছর পরও মায়ের শরীরে সন্তানের কোষের উপস্থিতি থেকে যায়। মায়ের শরীর যে কোনো মূল্যে সন্তানকে রক্ষা করে, আর সন্তান মায়ের শরীরকে মেরামত ও পুনর্গঠন করে, যাতে উভয়েই নিরাপদে বিকশিত হতে এবং টিকে থাকতে পারে। এজন্যই বলা হয়, মা এবং শিশুর সম্পর্ক হলো পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক।
পোষ্ট সংগৃহীত