Dr.Mahmud Ullah Faruquee-ENT Specialist & Head Neck Surgeon

Dr.Mahmud Ullah Faruquee-ENT Specialist & Head Neck Surgeon এমবিবিএস(ডিএমসি_কে৬২), বিসিএস(স্বাস্থ্য),এমএস(ইএনটি)
নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ও হেড নেক সার্জন

চেম্বারে একজন মধ্যবয়সী ডায়াবেটিক মহিলা এলেন চোয়ালের নিচে ফোলাভাব নিয়ে। কথা বলার সময় কিছুটা কষ্ট হচ্ছিল, গিলতেও সমস্য...
29/10/2025

চেম্বারে একজন মধ্যবয়সী ডায়াবেটিক মহিলা এলেন চোয়ালের নিচে ফোলাভাব নিয়ে। কথা বলার সময় কিছুটা কষ্ট হচ্ছিল, গিলতেও সমস্যা হচ্ছিল। জ্বর ও প্রচণ্ড ব্যথার কারণে মুখ খোলা যাচ্ছিল না। রোগী জানালেন, কয়েক দিন আগে নিচের একটি দাঁতে ব্যথা হয়েছিল, কিন্তু গুরুত্ব দেননি।

রোগীকে পরীক্ষা করে দেখা গেল তার জিহ্বার নিচের অংশ ফুলে আছে, চোয়ালের তলদেশ শক্ত, ফোলা ও ব্যথাযুক্ত। মুখের ভেতর পরীক্ষা করে দেখা গেল, নিচের একটা দাত নড়ছে, ব্যাথাযুক্ত ও জিহ্বার নিচে পুজ জমে আছে।

তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে অসুবিধা হলনা— এটি লুডউইগ'স এনজাইনা, চোয়ালের তলদেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এক ধরনের #বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ।

লুডউইগ'স এনজাইনা শব্দটি এসেছে, লুডউইগ নামে একজন বিজ্ঞানীর নাম থেকে, আর এনজাইনা শব্দের অর্থ হল "শ্বাসরোধ হয়ে" আসা।

⚠️ লক্ষণসমূহ

লুডউইগ এনজাইনার লক্ষণগুলো হঠাৎ দেখা দিতে পারে এবং দ্রুত খারাপের দিকে যেতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে—

😮 শ্বাস নিতে কষ্ট
🥶 জ্বর বা ঠান্ডা লাগা
🤕 চোয়াল ও ঘাড়ে ব্যথা বা ফোলাভাব
🗣️ কথা বলতে অসুবিধা বা অস্পষ্ট উচ্চারণ
👅 জিহ্বার নিচে ফুলে যাওয়া বা সামনে বেরিয়ে আসা
😖 গিলতে অসুবিধা
💧 লালা পড়া
🦷 দাঁতে বা মাড়িতে তীব্র ব্যথা

👉 এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।

⚠️ রোগটি কেন এত বিপজ্জনক

লুডউইগ এনজাইনা সাধারণ দাঁতের সংক্রমণ থেকে শুরু হলেও এটি দ্রুত জিহ্বা ও গলার টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে। ফোলাভাব এত দ্রুত বাড়ে যে রোগীর শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে, ফলে শ্বাস নিতে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়।

অর্থাৎ, এটি কেবল মুখের সংক্রমণ নয় — এটি একপ্রকার জীবন-হুমকিপূর্ণ জরুরি অবস্থা।

🧠 চিকিৎসার ধাপ

রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে প্রথমেই তার শ্বাসনালী খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয় এবং ইনজেকশন অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। ফোলাভাব কমাতে অনেক সময় কর্টিকোস্টেরয়েড প্রয়োগ করা হয়।
পরে সংক্রমিত অংশে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুঁজ বের করে দেওয়া হয় এবং নিচের সংক্রামিত দাঁতটি তুলে ফেলা হয়।

সৌভাগ্যক্রমে, দ্রুত চিকিৎসার ফলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।

💬 কেন এমন হয়

লুডউইগ এনজাইনা সাধারণত নিচের মোলার দাঁতের ফোঁড়া বা সংক্রমণ থেকে শুরু হয়।
তবে মুখে আঘাত, আক্কেল দাঁতের চারপাশে প্রদাহ (Pericoronitis) বা মুখের অস্ত্রোপচারের পর সংক্রমণ থেকেও এটি হতে পারে।

যেসব ব্যাকটেরিয়া এ রোগ সৃষ্টি করে তারা হলো স্ট্রেপ্টোকক্কাস, স্ট্যাফাইলোকক্কাস এবং ব্যাকটেরয়েডস প্রজাতির জীবাণু।

🧍‍♂️ যাদের ঝুঁকি বেশি

🔹 ডায়াবেটিস রোগী
🔹 দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
🔹 অ্যালকোহল আসক্তি বা অপুষ্টি
🔹 মুখে বা দাঁতে নিয়মিত যত্নের অভাব

🧫 চিকিৎসা না নিলে কী হতে পারে

চিকিৎসা বিলম্বিত হলে লুডউইগ এনজাইনা থেকে হতে পারে—
💨 শ্বাসরোধ (Airway obstruction)
🫁 ফুসফুসে সংক্রমণ (Aspiration pneumonia)
🩸 রক্তে সংক্রমণ বা সেপসিস
🫀 সেপটিক শক (জীবন-হুমকিপূর্ণ অবস্থা)

🪥 প্রতিরোধই শ্রেষ্ঠ উপায়

এই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো—
🦷 দাঁতের নিয়মিত যত্ন নেওয়া
👨‍⚕️ সংক্রমিত দাঁতের চিকিৎসা দেরি না করা
🪞 প্রতি ছয় মাস অন্তর দাঁতের পরীক্ষা
🚫 মুখের আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পর পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা

🩻 ডাক্তারের পরামর্শ

যদি আপনার—

চোয়ালের নিচে ফোলাভাব হয়,

জিহ্বার নিচে ফুলে যায়,

গিলতে বা শ্বাস নিতে কষ্ট হয় —

তাহলে দেরি না করে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে যান।
প্রাথমিক চিকিৎসাই প্রাণ বাঁচাতে পারে।

👨‍⚕️ শেষ কথা

আমি প্রায়ই দেখি, অনেক রোগী দাঁতের ব্যথা বা ফোঁড়াকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু ছোট একটি দাঁতের সংক্রমণ কখন যে বড় বিপদে রূপ নেয়, তা বুঝতেই দেরি হয়।

লুডউইগ এনজাইনা সেই বিপদেরই একটি নাম।
তাই মুখে সংক্রমণ বা ফোলাভাবকে হালকাভাবে না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

✈️ কানের ব্যারোট্রমা (বিমান কান): কারণ, উপসর্গ ও প্রতিরোধকানের ব্যারোট্রমা, যাকে অনেকেই "বিমানে কান" বলে থাকেন, হলো এমন ...
27/10/2025

✈️ কানের ব্যারোট্রমা (বিমান কান): কারণ, উপসর্গ ও প্রতিরোধ

কানের ব্যারোট্রমা, যাকে অনেকেই "বিমানে কান" বলে থাকেন, হলো এমন একটি অবস্থা যখন হঠাৎ বায়ু বা পানির চাপ পরিবর্তনের কারণে মধ্যকর্ণে (Middle Ear) অস্বস্তি বা ব্যথা তৈরি হয়। এটি সাধারণত বিমানে ওঠা-নামা, স্কুবা ডাইভিং, পাহাড়ে ওঠা বা লিফটে দ্রুত ওঠানামার সময় ঘটতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি অস্থায়ী সমস্যা এবং স্বাভাবিকভাবেই সেরে যায়।

🔍 কানের ব্যারোট্রমা কীভাবে ঘটে?

আমাদের কানে একটি বিশেষ নালী আছে, যাকে ইউস্টাচিয়ান টিউব (Eustachian Tube) বলা হয়। এটি মধ্যকর্ণকে গলার পেছনের অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করে এবং কানের দুই পাশে বায়ুচাপ সমান রাখে।
যখন বাইরের বায়ুচাপ দ্রুত পরিবর্তিত হয় — যেমন বিমানের টেকঅফ বা ল্যান্ডিং-এর সময় — তখন ইউস্টাচিয়ান টিউব তাৎক্ষণিকভাবে মানিয়ে নিতে না পারলে চাপের ভারসাম্য নষ্ট হয়, ফলে কানে ব্যথা, বন্ধভাব বা অস্বস্তি তৈরি হয়।

⚠️ সাধারণ উপসর্গ

বিমানে কান বা কানের ব্যারোট্রমার উপসর্গ সাধারণত হালকা হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে বেশ কষ্টদায়ক হতে পারে। সাধারণ উপসর্গগুলো হলো:

🌀 কানে বন্ধ বা আটকে থাকার অনুভূতি
🔊 শুনতে অসুবিধা
😖 কানে ব্যথা বা চাপের অনুভূতি
😵 মাথা ঘোরা বা ভারসাম্য হারানো
💧 কানে তরল পদার্থ বের হওয়া (কানপর্দা ফেটে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে)

🧠 কেন হয়?

কানের ব্যারোট্রমার প্রধান কারণ হলো চাপের আকস্মিক পরিবর্তন।
এটি ঘটতে পারে নিম্নলিখিত অবস্থায়:

✈️ বিমানে ওঠানামার সময়
🤿 স্কুবা ডাইভিং বা গভীর পানিতে ডুবের সময়
🏙️ দ্রুতগামী লিফটে ওঠা বা নামার সময়
🤧 ঠান্ডা, সর্দি বা অ্যালার্জির কারণে ইউস্টাচিয়ান টিউব ব্লক হয়ে গেলে

ঠান্ডা বা নাক বন্ধ থাকলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে, কারণ তখন ইউস্টাচিয়ান টিউব দিয়ে বায়ু চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।

⚕️ জটিলতা

যদিও এটি সাধারণত সাময়িক সমস্যা, তবুও কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে, যেমন:

🔹 কানের পর্দা (eardrum) ফেটে যাওয়া
🔹 কানে বাজা (tinnitus)
🔹 শ্রবণশক্তি হ্রাস
🔹 ভার্টিগো বা মাথা ঘোরা

এই লক্ষণগুলোর কোনোটি দেখা দিলে দেরি না করে একজন ইএনটি (ENT) বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

🩺 রোগ নির্ণয়

চিকিৎসক সাধারণত একটি অটোস্কোপ (otoscope) ব্যবহার করে কানের ভিতর পরীক্ষা করেন, কানের পর্দায় ফাটল বা সংক্রমণ আছে কিনা তা দেখতে।
প্রয়োজনে অডিওমেট্রি টেস্ট (hearing test) করা হতে পারে শ্রবণশক্তি যাচাইয়ের জন্য।

💊 চিকিৎসা

চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যার তীব্রতার উপর। সাধারণত নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়:

🧴 ডিকনজেস্ট্যান্ট বা নাকের স্প্রে: কানের ভেতরের চাপ কমাতে সাহায্য করে।
💊 কর্টিকোস্টেরয়েড: প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয়।
🩹 টাইমপ্যানোপ্লাস্টি: যদি কানের পর্দা ফেটে যায়, তবে সার্জারির মাধ্যমে সেটি মেরামত করা হয়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কয়েক দিনের মধ্যে কানের চাপ স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং ব্যথা কমে আসে।

🛡️ প্রতিরোধের উপায়

কানের ব্যারোট্রমা প্রতিরোধের কিছু কার্যকর উপায় হলো:

🛫 উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় গিলে ফেলা বা হাই তোলা: এটি ইউস্টাচিয়ান টিউব খুলে দেয় ও চাপ সামঞ্জস্য রাখতে সাহায্য করে।
🍬 চিউইংগাম চিবানো বা তরল পান করা: বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর।
👃 নাক বন্ধ রেখে হালকা বাতাস ফুঁকুন (ভালসালভা কৌশল): এটি কানের অভ্যন্তরীণ বায়ুচাপ ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে।
🪶 ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করুন: এটি চাপ পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
🤧 ঠান্ডা বা সর্দি থাকলে বিমান ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন বা আগেই ডিকনজেস্ট্যান্ট নিন।
🌊 স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় নিরাপত্তা নিয়ম মানুন, বিশেষ করে গভীর পানিতে ওঠানামার গতি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

✅ উপসংহার

কানের ব্যারোট্রমা সাধারণত অস্থায়ী ও সামান্য অস্বস্তিকর একটি অবস্থা। তবে যদি ব্যথা তীব্র হয়, শ্রবণশক্তি হ্রাস পায় বা কানে তরল বের হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সচেতনতা ও সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করে এই সমস্যা সহজেই প্রতিরোধযোগ্য।

25/10/2025

মেডিকেলের ভাষায় ফরেন বডি বলতে বোঝানো হয় যা শরীরের অংশ নয়। নাকে, কানে এরকম ফরেন বডি সচরাচর ঢুকে যেতে দেখা যায়। এমন হলে করনীয় 👇

19/10/2025

#নাকের_বাঁকা_হাড়ের_অপারেশন


যেকোন অপারেশনই কষ্টের, নাকের বাঁকা হাড়ের অপারেশন ও একই।

তবে দীর্ঘদিনের কষ্ট থেকে বাঁচার জন্য এই সাময়িক কষ্টটা সহ্য করতে হয় সবাইকেই।

তবে একেক জনের সহ্য ক্ষমতা একেক রকম। যার কারনে এই সময়টাতে কেউ বেশি আর কেউ যৎসামান্য কষ্ট পেয়ে থাকে।

এসব বিবেচনায় নিয়ে, একান্ত অপারগ না হলে আমি অপারেশনে হাত দেইনা, ঔষধের মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।

একটা রোগী যখন নাকের বাঁকা হাড়ের অপারেশনের পর বলে, সে #শান্তি_মত ঘুমোতে পারছে আর #বুক_ভরে শ্বাস নিতে পারছে, তখন, একজন সার্জন হিসেবে এর চেয়ে বড় কিছুই পাওয়ার থাকেনা।

ভদ্রলোক একজন কাতার প্রবাসী, নাক নিয়ে কষ্ট পাচ্ছিলেন দীর্ঘদিন, অবশেষে অপারেশন করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন।



_ডাঃ মাহমুদ উল্লাহ ফারুকী
এমবিবিএস (ঢাকা মেডিকেল কলেজ)
এমএস (ইএনটি) বিএসএমএমইউ
বিসিএস (স্বাস্থ্য)
কনসালটেন্ট (ইএনটি ও হেড-নেক সার্জারী)

আলহামদুলিল্লাহ, নিয়মিত চেম্বার ও অপারেশন করা হচ্ছে..

#শহরে_চেম্বার:

১। পার্কভিউ হাসপাতাল,
পাঁচলাইশ,চট্টগ্রাম।
সময়:
রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার
বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা।

রুম নং: ২২১ (লিফটের ২)

সিরিয়ালের জন্যঃ
#০১৮৪১৭৫০৫৭৩

২। এপিক হেল্থ কেয়ার (মেডিকেল পূর্ব গেইট শাখা, চিটাগাং গ্রামার স্কুলের পাশে)
শিডিউলঃ
শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যা ৬.৩০ টা থেকে রাত ৯.৩০ টা (শুক্রবার ও সোমবার বন্ধ)
শনিবার রাত ৮ টা থেকে ১০টা

রুম নংঃ ৭১৩ (লিফট এর ৭)

সিরিয়ালের জন্যঃ
#০১৮৪৬৮৫০৫৮৫ (সহকারী), ০১৯৮৪-৪৯৯৭০০, ০১৮৯৪-৭১৩২১০

#পটিয়া_চেম্বার:

পটিয়া জেনারেল হাসপাতাল, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিপরীতে, পটিয়া পৌরসভা।

শিডিউলঃ
প্রতি শুক্রবার ও সোমবার
বিকাল ৪ টা থেকে ৭ টা

সিরিয়ালের জন্যঃ
#০১৮৮৬৯০০০৫২,
০১৮৮৬-৯০০০৫৩

#সীতাকুন্ড_চেম্বার:

পদ্মা ক্লিনিক্যাল ল্যাব,
আলিয়া মাদ্রাসা মার্কেট, সীতাকুন্ড পৌরসভা ডিটিরোড, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম।

শিডিউলঃ
প্রতি শনিবার বিকাল
৩.৩০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০ টা

সিরিয়ালের জন্যঃ
#০১৮৭৭৭৬০৫০১,
০১৮৭৭৭৬০৫০২

নাক-কান-গলার বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে জানতে পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন
https://www.facebook.com/entspecialistfaruquee

#নাক_কান_গলা_বিশেষজ্ঞ_চট্টগ্রাম







https://www.youtube.com/

18/10/2025

অনেকেই হটাত কান বন্ধ হওয়া সমস্যায় পড়েন। কানে খইল জমা বা কানের সংক্রমণ সহ বিভিন্ন কারনে এটি হতে পারে। কান বন্ধ হয়ে গেলে কী করবেন 👇

নাক দিয়ে রক্তপাত বা এপিস্ট্যাক্সিস (Epistaxis) হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে নাকের ভেতরের সূক্ষ্ম ও নরম রক্তনালীগুলো ফেটে ...
15/10/2025

নাক দিয়ে রক্তপাত বা এপিস্ট্যাক্সিস (Epistaxis) হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে নাকের ভেতরের সূক্ষ্ম ও নরম রক্তনালীগুলো ফেটে গিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে। এই রক্তপাত এক বা দুই পাশের নাক থেকেই হতে পারে এবং কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি সামান্য ও ক্ষণস্থায়ী, যা সাধারণত বাড়িতেই থামানো সম্ভব। তবে কখনও কখনও এটি বারবার বা তীব্রভাবে ঘটলে তা কোনো আভ্যন্তরীণ সমস্যা—যেমন উচ্চ রক্তচাপ, রক্তক্ষরণজনিত রোগ, বা নাকের টিউমারের—ইঙ্গিত বহন করতে পারে।

নাকের ভেতরের অংশে অসংখ্য ক্ষুদ্র রক্তনালী থাকে, যা বাতাসকে উষ্ণ ও আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু এগুলি খুবই নাজুক এবং নাকের ভেতরের পৃষ্ঠের কাছাকাছি অবস্থান করায় সহজেই শুষ্ক বায়ু, ধুলাবালি, বা আঘাতের কারণে ফেটে যেতে পারে। এর ফলেই শুরু হয় রক্তপাত। শীতকাল, শুষ্ক বা উত্তপ্ত পরিবেশে দীর্ঘ সময় অবস্থান, অতিরিক্ত নাক ফুঁ দেওয়া কিংবা নাকে আঙুল দেওয়ার মতো অভ্যাস থেকেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যা তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে নাক খোঁচানো বা ঠান্ডাজনিত ইনফেকশনই প্রধান কারণ, আর বয়স্কদের ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ, ধমনীর শক্ত হয়ে যাওয়া (Atherosclerosis), বা ওষুধের প্রভাবে রক্ত জমাট বাঁধতে বিলম্বের কারণে নাক দিয়ে রক্তপাত হতে পারে।

⚠️ নাক দিয়ে রক্তপাতের কারণ

নাক দিয়ে রক্তপাতের প্রধান কারণ হলো শুষ্ক বায়ু, যা নাকের ভেতরের ঝিল্লিকে শুকিয়ে ফেলে ও ভঙ্গুর করে তোলে। এর পাশাপাশি আরও কিছু সাধারণ কারণ হলো –
🌬️ গরম ও শুষ্ক আবহাওয়া বা উত্তপ্ত কক্ষের বাতাস
🤧 অ্যালার্জি, সর্দি বা সাইনাস ইনফেকশন
💨 ঘন ঘন নাক ফুঁ দেওয়া বা নাকে আঙুল দেওয়া
🤕 নাক বা মুখমণ্ডলে আঘাত পাওয়া
💊 রক্ত পাতলা করার ওষুধ (যেমন অ্যাসপিরিন, ওয়ারফারিন)
☠️ রাসায়নিক পদার্থ, ধোঁয়া বা তীব্র গন্ধের সংস্পর্শ
💉 বিনোদনমূলক ওষুধ (যেমন কোকেন) ব্যবহার
🩸 রক্তক্ষরণজনিত রোগ বা উচ্চ রক্তচাপ
👶 শিশুদের ক্ষেত্রে নাকে আঙুল দেওয়া, 🧓 বয়স্কদের ক্ষেত্রে ধমনীর শক্ত হয়ে যাওয়া (Atherosclerosis)

🔍 নাক দিয়ে রক্তপাতের লক্ষণ

নাক দিয়ে রক্তপাতের প্রধান লক্ষণ হলো নাক থেকে রক্ত পড়া, যা সামনের দিক দিয়ে বা গলার পেছনে গিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এর পাশাপাশি কিছু সহগামী লক্ষণ হতে পারে –
💧 গলার পেছনে রক্ত গড়িয়ে পড়া বা খারাপ স্বাদ অনুভব করা
🤢 বমি বমি ভাব বা মাথা ঘোরা
😮‍💨 শ্বাসকষ্ট বা দুর্বলতা অনুভব করা
💥 অতিরিক্ত বা দীর্ঘ সময় ধরে রক্তপাত হওয়া
🩺 যদি ঘন ঘন নাক দিয়ে রক্তপাত হয়, তবে এটি উচ্চ রক্তচাপ, সংক্রমণ বা টিউমারের মতো রোগের ইঙ্গিত হতে পারে।

🏥 চিকিৎসা

হালকা নাক দিয়ে রক্তপাত সাধারণত বাড়িতে চিকিৎসা করা যায়।
✅ সোজা বসে মাথা সামান্য নিচু করে রাখুন।
✅ নাকের দুই পাশ আঙুল দিয়ে চেপে ধরুন ৫–১০ মিনিটের জন্য।
✅ মুখ দিয়ে শ্বাস নিন এবং রক্ত গিলে ফেলবেন না।
✅ ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় নাকের উপর রাখলে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে রক্তপাত কমে।

যদি রক্তপাত ১০ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়, বারবার হয়, বা আপনি দুর্বলতা, বমি, শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন, তবে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। গুরুতর অবস্থায় ডাক্তার নাকের ভেতরে গজ প্যাকিং, কটারি (Cauterization) বা ওষুধ প্রয়োগ করতে পারেন।

🌿 প্রতিরোধ

নাক দিয়ে রক্তপাত প্রতিরোধ করা সম্ভব কিছু সহজ অভ্যাসের মাধ্যমে –
💧 ঘরের বাতাস আর্দ্র রাখুন (হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন)।
🫧 শুষ্ক মৌসুমে নাকে স্যালাইন স্প্রে ব্যবহার করুন।
🚫 নাকে আঙুল দেওয়া বা জোরে ফুঁ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
🥦 পর্যাপ্ত পানি পান করুন ও শরীর আর্দ্র রাখুন।
💊 রক্ত পাতলা করার ওষুধ ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
☀️ গরম, ধুলাবালি বা রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে এলে মুখোশ ব্যবহার করুন।

🩺 উপসংহার:
নাক দিয়ে রক্তপাত সাধারণত ক্ষতিকর নয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে অল্প যত্নেই সেরে যায়। তবে যদি রক্তপাত ঘন ঘন হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এটি শরীরের অন্য কোনও অন্তর্নিহিত সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

নাকের পলিপ নিয়ে সমাজে নানা ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকেই জানেন না আসলে পলিপ কী, ফলে ভুল চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং জটিলতায় পড়ছে...
11/10/2025

নাকের পলিপ নিয়ে সমাজে নানা ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকেই জানেন না আসলে পলিপ কী, ফলে ভুল চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং জটিলতায় পড়ছেন।

🔍 নাকের পলিপ কী?

নাকের ভেতরে টারবিনেট (নাকের মাংস) নামে এক ধরনের গঠন থাকে, যাকে অনেকেই ভুল করে পলিপ বলে মনে করেন। কিন্তু টারবিনেট আসলে নাকের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অংশ—এটি বাতাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এবং বাতাসকে গরম ও আর্দ্র রাখে। তাই টারবিনেট কোনো রোগ নয়, বরং শরীরের স্বাভাবিক অঙ্গ।

অন্যদিকে, নাকের পলিপ একটি রোগ। নাকের মিউকাস মেমব্রেনে (ভেতরের আস্তরণে) অনেক সময় তরল জমে ফোলাভাব (ইডেমা) তৈরি হয়। এই ফোলা অংশ ঝুলে পড়লে সেটিই পলিপ হিসেবে দেখা যায়। পলিপ দেখতে অনেকটা আঙুরের মতো, নরম এবং এর ভেতরে তরল পদার্থ থাকে, যা নাকের ভেতর ঝুলে থাকতে দেখা যায়।

🤧 কেন হয় নাকের পলিপ?

নাকের পলিপ সাধারণত অ্যালার্জি থেকে হয়ে থাকে। যাদের ঘন ঘন ঠান্ডা, সর্দি বা হাঁচি হয়, অথবা ধুলোবালি ও ঠান্ডা পরিবেশে বেশি থাকেন, তাদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়।

পলিপ যেকোনো বয়সেই হতে পারে। এটি সাধারণত দুই প্রকার—

- এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপ: শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। সাধারনত সংক্রমণের সাথে সম্পর্কিত।
- ইথময়েডাল পলিপ: সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায় ও এলার্জির সাথে সম্পর্কিত।

⚠️ লক্ষণ

নাকে পলিপ বড় হলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। নাক বন্ধ লাগে, সর্দির মতো তরল বের হয়, কারো কারো হাঁচি হয়।
চিকিৎসক নাক পরীক্ষা করলে ভেতরে ছোট আঙুরের মতো সাদা ঝুলন্ত মাংসপিণ্ড দেখা যায়। অনেক সময় এগুলো নাকের পেছনের দিকে চলে যায় বা বাইরে বের হয়ে আসে।

💊 চিকিৎসা

ছোট পলিপ অনেক সময় রোগীরা টেরই পান না। তবে বড় হলে শ্বাসকষ্ট ও নাক বন্ধের সমস্যা দেখা দেয়, তখন চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।

চিকিৎসায় সাধারণত—

- অ্যান্টিঅ্যালার্জিক ও অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ,
- স্টেরয়েড জাতীয় নেজাল স্প্রে,
- প্রয়োজনে মুখে খাওয়ার স্টেরয়েড ওষুধ দেওয়া হয়।
- ওষুধ ও স্প্রে ব্যবহারে পলিপ ছোট হয় এবং নাক বন্ধভাব কমে আসে।

যদি ওষুধে কাজ না হয়, তবে অ্যান্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি করে পলিপ অপসারণ করা হয়। সার্জারিতে প্রায় ৯৫% রোগী সম্পূর্ণ ভালো হন, যদিও ৫–১০% ক্ষেত্রে পলিপ পুনরায় হতে পারে।

🛡️ প্রতিরোধ

নাকে পলিপ বারবার না হয়, সে জন্য—

- নিয়মিত অ্যান্টিঅ্যালার্জিক ও নেজাল স্প্রে ব্যবহার করুন।
- ধুলোবালি, ঠান্ডা ও অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান থেকে দূরে থাকুন।

🚫 সতর্কতা: অপচিকিৎসা থেকে সাবধান!

বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এখনও কবিরাজ, গ্রামের বনাজী, কোয়াক বা ভুয়া ডাক্তাররা নাকের পলিপ চিকিৎসার নামে ভয়াবহ অপচিকিৎসা করছেন। তারা ভুলভাবে টারবিনেটকে পলিপ মনে করে অ্যাসিড বা রাসায়নিক পদার্থ তুলায় ভিজিয়ে নাকে ঢেলে দেন, যাতে টিস্যু “গলে গেছে” বলে রোগীদের ভুল ধারণা দেওয়া হয়।

এর ফলে—

- নাকের নরম টিস্যু স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যায়,
- নাক বসে যেতে পারে,
- নাকের সেপ্টাম ছিদ্র হয়ে যায়,
- মুখ ও নাকের চামড়ায় দাগ বা বার্ন তৈরি হয়,
- এমনকি স্থায়ী শ্বাসপ্রশ্বাসের জটিলতাও দেখা দেয়।

এই ধরনের এসিড ব্যবহার চিকিৎসা নয়, এটি সম্পূর্ণ অপচিকিৎসা ও দণ্ডনীয় অপরাধ।

তাই নাকের যেকোনো সমস্যা বা পলিপ সন্দেহ হলে যোগ্য ইএনটি (ENT) বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই একমাত্র নিরাপদ উপায়।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক সময় কান দিয়ে পুঁজ বা পানি পড়া কিংবা হঠাৎ হঠাৎ মাথা ঘোরানো হতে পারে। অনেকে ভাবেন—এগুলো সামান্য...
28/09/2025

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক সময় কান দিয়ে পুঁজ বা পানি পড়া কিংবা হঠাৎ হঠাৎ মাথা ঘোরানো হতে পারে। অনেকে ভাবেন—এগুলো সামান্য সমস্যা, সময়ের সাথে নিজে থেকেই ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে, এসব উপসর্গ অবহেলা করলে কেবল কানের স্থায়ী ক্ষতি নয়, বরং শ্রবণশক্তি হ্রাস, ভারসাম্য হারানো এমনকি জটিল স্নায়বিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই এই সমস্যাগুলোকে ছোট করে দেখা একেবারেই ঠিক নয়।

🦠 সম্ভাব্য রোগসমূহ

🔴 মিডল ইয়ার ইনফেকশন (Otitis Media): মধ্যকর্ণে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ।
🟠 ইনার ইয়ার ইনফেকশন (Labyrinthitis / Vestibular Neuritis): কানের ভেতরের অংশে প্রদাহ, যা মাথা ঘোরা ও ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে।
🟡 ক্রনিক সাপিউরেটিভ ওটাইটিস মিডিয়া (CSOM): দীর্ঘমেয়াদি কানের ইনফেকশন, যেখানে বারবার পুঁজ বা পানি পড়ে।
🟢 কানের পর্দা ফেটে যাওয়া (Perforated Eardrum): আঘাত বা সংক্রমণে কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে যাওয়া।

⚠️ সাধারণ লক্ষণ

🔵 কানে পুঁজ, পানি বা দুর্গন্ধযুক্ত তরল পড়া
🟣 বারবার মাথা ঘোরানো বা ভারসাম্য হারানো
🟤 কানে ব্যথা, চুলকানি বা ফোলা
⚫ শ্রবণ শক্তি কমে যাওয়া বা অস্পষ্ট শোনা
🟢 মাথাব্যথা ও কানে ভারী লাগা
🟠 শিশুদের ক্ষেত্রে কান্না, খেতে না চাওয়া বা কান টানা

💊 চিকিৎসা

🟡 নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ (ENT Specialist) ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
🟢 প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক, কানের ড্রপ
🔵 মাথা ঘোরার জন্য সুনির্দিষ্ট ওষুধ ব্যবহার (শুধুমাত্র চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে)
🟠 দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে (যেমন কানের পর্দা মেরামত বা হাড়ের অপারেশন – মাইরিঙ্গোপ্লাস্টি বা মাস্টয়েডেকটমি)

🟣 নিয়মিত চেকআপ ও ফলো-আপ করা

✅ করণীয়

🟢 দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান, দেরি করবেন না
🔵 গোসল বা সাঁতারের সময় কানে পানি ঢোকা এড়িয়ে চলুন
🟡 ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ সঠিকভাবে ও নিয়ম মেনে গ্রহণ করুন
🟠 শিশুদের কানের সমস্যাকে কখনোই অবহেলা করবেন না

❌ যা করা উচিত নয়

🔴 কানে কাঠি, কলম, হেয়ারপিন বা অন্য কোনো বস্তু ঢোকানো
🟠 নিজে নিজে ড্রপ বা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা
🟡 কানে পুঁজ পড়া বা মাথা ঘোরা উপেক্ষা করা
🟢 ধুলাবালি, উচ্চ শব্দ বা ঠান্ডা পানিতে ডুবে থাকা

কানে সামান্য পুঁজ পড়া বা মাথা ঘোরা অনেক সময় বড় রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা নিলে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ।

25/09/2025

#গলার_এন্ডোস্কোপী
at my chamber Health Care

ভদ্রলোকের স্বরযন্ত্রে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল দেড় বছর আগে। আমি অপারেশন করে ক্যান্সার কোষ গুলি অপসারণ করেছিলাম যতটুকু সম্ভব।

এরপর কেমোথেরাপি কোর্স সম্পন্ন করেন বেশ আগেই।

পরবর্তীতে সিটি স্ক্যান করে দেখা গেল তিনি ক্যান্সার মুক্ত হয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।

এখনও মাঝেমধ্যে ফলো-আপে আসলে এন্ডোস্কোপীর মাধ্যমে চেক করে দেখি। কেমোথেরাপী জনিত ফোলা ছাড়া তেমন কোন সমস্যা নাই আলহামদুলিল্লাহ।

এখনও ভাল আছেন, বলা যায়।

_ডাঃ মাহমুদ উল্লাহ ফারুকী
এমবিবিএস (ঢাকা মেডিকেল কলেজ)
এমএস (ইএনটি) বিএসএমএমইউ
বিসিএস (স্বাস্থ্য)
কনসালটেন্ট (ইএনটি ও হেড-নেক সার্জারী)

আলহামদুলিল্লাহ, নিয়মিত চেম্বার ও অপারেশন করা হচ্ছে..

#শহরে_চেম্বার:

১। পার্কভিউ হাসপাতাল,
পাঁচলাইশ,চট্টগ্রাম।
সময়:
রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার
বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা।

রুম নং: ২২১ (লিফটের ২)

সিরিয়ালের জন্যঃ
#০১৮৪১৭৫০৫৭৩

২। এপিক হেল্থ কেয়ার (মেডিকেল পূর্ব গেইট শাখা, চিটাগাং গ্রামার স্কুলের পাশে)
শিডিউলঃ
শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যা ৬.৩০ টা থেকে রাত ৯.৩০ টা (শুক্রবার ও সোমবার বন্ধ)
শনিবার রাত ৮ টা থেকে ১০টা

রুম নংঃ ৭১৩ (লিফট এর ৭)

সিরিয়ালের জন্যঃ
#০১৮৪৬৮৫০৫৮৫ (সহকারী)

#পটিয়া_চেম্বার:

পটিয়া জেনারেল হাসপাতাল, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিপরীতে, পটিয়া পৌরসভা।

শিডিউলঃ
প্রতি শুক্রবার ও সোমবার
বিকাল ৪ টা থেকে ৭ টা

সিরিয়ালের জন্যঃ
#০১৮৮৬৯০০০৫২,
০১৮৮৬-৯০০০৫৩

#সীতাকুন্ড_চেম্বার:

পদ্মা ক্লিনিক্যাল ল্যাব,
আলিয়া মাদ্রাসা মার্কেট, সীতাকুন্ড পৌরসভা ডিটিরোড, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম।

শিডিউলঃ
প্রতি শনিবার বিকাল
৩.৩০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০ টা

সিরিয়ালের জন্যঃ
#০১৮৭৭৭৬০৫০১,
০১৮৭৭৭৬০৫০২

নাক-কান-গলার বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে জানতে পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন
https://www.facebook.com/entspecialistfaruquee

#নাক_কান_গলা_বিশেষজ্ঞ_চট্টগ্রাম







https://www.youtube.com/

 #কানের_এন্ডোস্কোপীছেলেটি এসেছে ফেনী থেকে। তার সমস্যা সে বাম কানে একটু কম শোনে, আগে পুঁজ যেত, এখন যায়না। কানের এন্ডোস্ক...
23/09/2025

#কানের_এন্ডোস্কোপী

ছেলেটি এসেছে ফেনী থেকে। তার সমস্যা সে বাম কানে একটু কম শোনে, আগে পুঁজ যেত, এখন যায়না।
কানের এন্ডোস্কোপী করে দেখলাম কানের পর্দার একটা অংশ ভেতরের দিকে দাবানো, সম্ভবত কানের পর্দায় আগে ছিদ্র ছিল যা হিল হয়ে গিয়েছে, যেটাকে " হিল্ড টিমপেনিক মেমব্রেন" বলে।

অনেক সময় ঘুম থেকে উঠেই মানুষ বুঝতে পারেন, হঠাৎ করে একটি কানে কিছুই শুনতে পাচ্ছেন না। প্রথমে মনে হতে পারে—হয়তো ঠান্ডা লেগ...
22/09/2025

অনেক সময় ঘুম থেকে উঠেই মানুষ বুঝতে পারেন, হঠাৎ করে একটি কানে কিছুই শুনতে পাচ্ছেন না। প্রথমে মনে হতে পারে—হয়তো ঠান্ডা লেগেছে, কানে ময়লা জমেছে, অথবা সাময়িক ব্লকেজ। কিন্তু বিষয়টি একেবারেই অবহেলা করার মতো নয়। কারণ, এমন হঠাৎ শ্রবণশক্তি হারানো চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় Sudden Sensorineural Hearing Loss (SSNHL) নামে পরিচিত। যদি দ্রুত চিকিৎসা না নেওয়া হয়, মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শ্রবণশক্তি চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

🩺 Sudden Hearing Loss আসলে কী?

এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে হঠাৎ করে এক কান বা কখনো কখনো দুই কানেই শ্রবণশক্তি কমে যায়। সাধারণত কয়েক ঘণ্টা বা একদিনের মধ্যে এই পরিবর্তন স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। একে সাধারণত “ইমার্জেন্সি” মনে করা হয়, কারণ দ্রুত চিকিৎসা শুরু করাই একমাত্র সমাধান।

⚠️ Sudden Hearing Loss-এর প্রধান লক্ষণ

অনেক সময় রোগী ব্যথা পান না, তাই বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেন। কিন্তু নিচের উপসর্গগুলো দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি:

🎧 এক কান হঠাৎ একদম বন্ধ হয়ে যাওয়া – কানে তুলো দিয়ে আটকানো বা পানিতে ডুবে থাকার মতো অনুভূতি হয়।
🔊 কানে গুঞ্জন (Tinnitus) – হুইসেল, ভোঁ ভোঁ বা ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ শোনা।
🌀 ভার্টিগো (Vertigo) – হঠাৎ মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হারানো বা মাথা ঝিমঝিম করা।
🚫 ব্যথা না থাকলেও ব্লক লাগা – সাধারণ কানব্যথার মতো নয়, তবে কানে ভারী বা বন্ধ লাগা অনুভূত হয়।

🤔 কেন হয় এই সমস্যা?

Sudden Hearing Loss-এর সঠিক কারণ সবসময় জানা যায় না। তবে সম্ভাব্য কারণগুলো হলো:

- ভাইরাসজনিত সংক্রমণ
- রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা বা কান পর্যন্ত রক্তপ্রবাহ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া
- অটোইমিউন ডিজঅর্ডার
- স্নায়ুর প্রদাহ বা ক্ষতি
- অতিরিক্ত স্ট্রেস বা হঠাৎ আঘাত

🧪 কীভাবে বোঝা যায়?

ডাক্তার সাধারণত শ্রবণশক্তি পরীক্ষা (Audiometry) করে নিশ্চিত হন। এছাড়া রক্ত পরীক্ষা বা MRI স্ক্যানের মাধ্যমে অন্য কোনো জটিল কারণ আছে কিনা দেখা হয়।

💊 চিকিৎসা

- সময়ই এখানে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর।
- সাধারণত স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দ্রুত শুরু করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
- কিছু ক্ষেত্রে কানে ইনজেকশন দেওয়া হয়।
- রক্তপ্রবাহ বাড়ানোর ওষুধও ব্যবহার করা হয়।

👉 সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো: চিকিৎসা অবশ্যই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শুরু করতে হবে। দেরি হলে স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি হারানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

🛡️ কী করবেন?

- হঠাৎ এক কান দিয়ে না শুনতে পেলে দেরি না করে দ্রুত ENT বিশেষজ্ঞের কাছে যান।
- ভেবে নেবেন না যে এটা ঠান্ডা, কান ময়লা বা সাময়িক সমস্যা।
- কানে তুলো, তেল বা কোনো লোকজ চিকিৎসা ব্যবহার করবেন না।
- সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শই একমাত্র নিরাপদ পথ।

শিশুর জন্মের পর থেকে তার শ্রবণশক্তি স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হচ্ছে কি না তা বোঝা অনেক সময় অভিভাবকদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। অথচ ...
15/09/2025

শিশুর জন্মের পর থেকে তার শ্রবণশক্তি স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হচ্ছে কি না তা বোঝা অনেক সময় অভিভাবকদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। অথচ ছোটবেলা থেকেই শুনতে না পারলে ভাষা শেখার প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে, যা পরবর্তীতে শিশুর স্বাভাবিক জীবন ও পড়াশোনায় বড় সমস্যা তৈরি করে। তাই শিশুর কানে শুনতে পাচ্ছে কি না, সেটি বোঝার কিছু লক্ষণ জানা জরুরি।

🍼 নবজাতক ও ছোট শিশু (০–৬ মাস)

- একদম ছোট শিশু হঠাৎ শব্দ হলে আঁতকে ওঠে বা চমকে যায়।
- মায়ের কণ্ঠস্বর বা আশেপাশের হালকা আওয়াজে শিশুর চোখ কাঁপা, হাত-পা নড়াচড়া করা—এসবই শুনতে পাওয়ার ইঙ্গিত।
- যদি শিশুর কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখা যায়, তবে সতর্ক হওয়া দরকার।

👶 ছয় মাস বয়সের পর

- ছয় মাস বয়স থেকে সাধারণত শিশুর প্রতিক্রিয়া আরও পরিষ্কার হয়।
- শব্দের দিকে মুখ ঘোরানো বা শব্দের উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।
- মায়ের ডাক শুনে হাসি দেওয়া বা শব্দে খুশি হয়ে হাত-পা নাড়ানো—এসবই ভালো লক্ষণ।

🗣️ ভাষা শেখার ধাপ ও শ্রবণক্ষমতা

- ভাষা শেখা শিশুর শ্রবণশক্তির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
- প্রায় ৪ মাস বয়সে শিশুর মুখ থেকে আধো-আধো শব্দ বের হতে শুরু করে।
- ১ বছর বয়সে সহজ শব্দ বলতে শিখে, যেমন “মা” বা “বাবা”।
- দেড় বছর বয়সে অর্থবোধক শব্দ ব্যবহার শুরু করে এবং ছোট বাক্য বলার চেষ্টা করে।

👉 এই ধাপগুলোতে যদি শিশুর কোনো অগ্রগতি না হয়, তবে কানে সমস্যা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা উচিত।

🩺 শ্রবণ পরীক্ষার গুরুত্ব

শিশু কানে শুনছে কি না তা নিশ্চিত হতে চিকিৎসকরা কয়েকটি পরীক্ষা করেন, যেমন:

- OAE (Otoacoustic Emission Test): নবজাতকের কানের ভেতর বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে শব্দ প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করা হয়।
- ABR (Auditory Brainstem Response Test): মস্তিষ্কে শব্দের প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করা হয়।
- বয়স অনুযায়ী আচরণগত পরীক্ষা: ডাক্তার শব্দ করে শিশুর প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন।

⚠️ কখন ডাক্তার দেখাবেন?

- শিশুর কোনো শব্দে প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলে।
- ভাষা শেখার ধাপে স্বাভাবিক অগ্রগতি না থাকলে।
- কানের ইনফেকশন বা বারবার ঠান্ডা-কাশির ইতিহাস থাকলে।

শিশুর কানে শুনতে পারার ক্ষমতা তার ভাষা শেখা, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ এবং সামাজিক যোগাযোগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাই ছোট থেকেই অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। সন্দেহ হলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে শ্রবণ পরীক্ষা করানো জরুরি।

Address

Parkview Hospital
Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Mahmud Ullah Faruquee-ENT Specialist & Head Neck Surgeon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Mahmud Ullah Faruquee-ENT Specialist & Head Neck Surgeon:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram