05/09/2024
সংগৃহীত- জনস্বার্থে
প্রখ্যাত ভারতীয় কার্টুনিস্ট ইসমাইল লাহারির আঁকা এ ছবিটি ক'দিন আগে আন্তর্জাতিক মাতৃদিবসে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভেসে বেড়াতে দেখেছি। শুধু একটি কার্টুন ছবির মাধ্যমে তিনি যেন একজন অসহায় মায়ের সামনে তার সন্তানদের মোবাইলের চোরাবালিতে ডুবে যেতে দেখিয়েছেন। আমি নিজেও মনে করি আমাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের সামনে মোবাইল, নেট... একটা সামাজিক সমস্যা।
লেখা পড়ার বাইরে যেটুকু সময় তারা পায় মোবাইলে ডুবে থাকে। এর ক্ষতিকর দিক বাবা মা'রা বোঝেন না এমন নয়। কিন্তু তারা যেন অসহায়। একজন শিক্ষক হিসাবে এমন অভিজ্ঞতাও হয়েছে অভিভাবক আমাদের অনুরোধ করছেন তার ছেলেমেয়ে যেন মোবাইল ব্যবহার না করে সেটা একটু বুঝিয়ে বলতে। তারা বাবা মা হয়ে সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে শিক্ষকের শরণাপন্ন হচ্ছেন! এটা অসহয়তা নয়।
এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় রামকৃষ্ণ মিশনের ছ জন কৃতি ছাত্র আছেন৷ মিশনের মহারাজ একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন, তাদের মিশনে যদি মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি থাকত তাহলে হয়তো তার কৃতি ছাত্ররা তালিকায় থাকতে পারত না।
আমাদের ছোটবেলায় যখন মোবাইল স্বপ্নেও ছিল না, তখন পড়ার বাইরে আমাদের খেলা ছিল। আর ছিল গল্পের বই পড়া। আমি ক্লাসে যারা ভালো রেজাল্ট করে তাদেরও জিজ্ঞাসা করে দেখেছি, পড়ার বই এর বাইরে কোন বই তারা পড়ে না। চাঁদের পাহাড়, সবুজ দ্বিপের রাজা, ফেলুদা, ব্যোমকেশ ছাড়াই, শুধু মোবাইলকে সঙ্গী করে স্কুল জীবন পেরিয়ে কলেজে পৌঁছে গেল।
পৌঁছে গেল, কিন্তু কোথাও যেন একটা ফাঁক থেকে গেল। সে ফাঁকটা সব থেকে বেশি বুঝতে পারছেন একজন মা। তিনি যেন ডুবতে দেখছেন সন্তানদের কিন্তু তিনি যেন অসহায়।
এই অসহয়তা থেকে মুক্তির উপায় আমার জানা নেই। কিন্তু ভাবতে হবে সবাইকে।