ডাঃ সুমন পিয়াস

ডাঃ সুমন পিয়াস 👨‍⚕️Medicine Minor Surgery Skin, Sexual, Maternal and pediatric Diseases.

MPH(Medicine-Premier University CTG).MCH(Dhaka Child Hospital).Community Peramedical (RTM International Dhaka)Gov't BNMC Reg-10120👨‍⚕️.
ফ্রী_চিকিৎসা-র জন্য ইনবক্স করুন,ধন্যবাদ।☎️

🫁   —⚠️ কী এটা?Pulmonary edema হলো এমন এক অবস্থা যেখানে ফুসফুসে অতিরিক্ত তরল জমে যায়, ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।👉 এই তরল al...
28/10/2025

🫁 —

⚠️ কী এটা?

Pulmonary edema হলো এমন এক অবস্থা যেখানে ফুসফুসে অতিরিক্ত তরল জমে যায়, ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
👉 এই তরল alveoli (বায়ুথলি)-তে জমে গিয়ে অক্সিজেন আদান-প্রদান বাধাগ্রস্ত করে।

🩸 সম্ভাব্য কারণঃ
❤️ হার্ট ফেইলিউর (বিশেষ করে left side)
🦠 ফুসফুসে সংক্রমণ (Pneumonia)
🧪 কিডনি ফেইলিউর
💉 অতিরিক্ত IV fluid দেওয়া
🏔️ হাই অল্টিটিউডে (High altitude) অবস্থান

😮 প্রধান উপসর্গঃ
😤 শ্বাসকষ্ট
🤧 কাশি (ফেনাযুক্ত বা রক্তমিশ্রিত কফ)
💢 বুক ভারী লাগা
🛌 শোয়ার সময় শ্বাস নিতে বেশি কষ্ট
💙 ঠোঁট ও ত্বক নীলচে হয়ে যাওয়া

🏥 চিকিৎসাঃ
🩺 অক্সিজেন দেওয়া
💊 Diuretic (যেমন Furosemide) ব্যবহার
❤️ হার্ট ফেইলিউর নিয়ন্ত্রণ
🌬️ প্রয়োজনে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট

💡 প্রতিরোধঃ
💖 উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখুন
🧂 লবণ কম খান
💊 ওষুধ নিয়মিত গ্রহণ করুন
🚫 অতিরিক্ত পানি বা ফ্লুইড এড়ান




েনু মেডিকেল সেন্টার

♦️লবঙ্গের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা।💥 ভূমিকাঃ লবঙ্গ কে ইংরেজিতে বলে Clove এবং এর বোটানিকাল নাম: Syzygiumaromaticum. ‘লবঙ্গ’ গ...
28/10/2025

♦️লবঙ্গের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা।
💥 ভূমিকাঃ লবঙ্গ কে ইংরেজিতে বলে Clove এবং এর বোটানিকাল নাম: Syzygiumaromaticum. ‘লবঙ্গ’ গাছের ফুলের কুড়িকে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। ‘লবঙ্গ’কে লং বলেও ডাকা হয়। লবঙ্গের সুগন্ধের মূলকারণ “ইউজেনল” (Eugenol) নামের যৌগ।

💥 উপাদানঃ-- এটি লবঙ্গ থেকে প্রাপ্ত তেলের মূল উপাদান, এবং এই তেলের প্রায় ৭২-৯০% অংশ জুড়ে ইউজেনল বিদ্যমান। এই যৌগটির জীবাণু নাশক এবং বেদনা নাশক গুণ রয়েছে।
লবঙ্গের তেলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো অ্যাসিটাইল ইউজেনল, বেটা-ক্যারোফাইলিন, ভ্যানিলিন, ক্র্যাটেগলিক অ্যাসিড, ট্যানিন, গ্যালোট্যানিক অ্যাসিড, মিথাইল স্যালি- সাইলেট, ফ্ল্যাভানয়েড, ইউজেনিন, র্যা ম্নেটিন, ইউজেনটিন, ট্রি- টেরপেনয়েড, ক্লিনোলিক অ্যাসিড, স্টিগ্মাস্টেরল, সেস্কুইটার্পিন।

USFDA এর রেফারেন্স অনুসারে ১০০ গ্রাম লবঙ্গে ৬৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম টোটাললিপিড, ২ গ্রাম সুগার, ২৭৪ কিলো-ক্যালোরি শক্তি ও ৩৩ গ্রাম ডায়েটারিফাইবার থাকে।

খনিজের মধ্যে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক –কমবেশি সবই আছে। আর ভিটামিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বি-৬, বি-১২, সি, এ, ই, ডি, কে, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ফোলেট রয়েছে। এই সব যৌগের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে।

❤️💥 লবঙ্গের স্বাস্থ্যগত উপকারিতাঃ-
প্রতিদিন সকালে ও রাতে ২–৩টি করে লংবা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে নিম্নলিখিত উপকার পাওয়া যায়:

✅ ১. দাঁতের ব্যথা কমাতেঃ-- লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা দূরকরে। মাড়ির ক্ষয় নিরাময় করে। লবঙ্গতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু বিক্রিয়া করে যে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যায়। প্রায় সব টুথপেস্টের কমন উপকরণ এই লবঙ্গ।

✅ ২. বমি ভাব দূর করতেঃ-- ট্রেনে বা বাসে যাওয়ার সময় যদি মাথা ঘুরতে থাকে ও বমি এসে যায়, তাহলে মুখে একটি লবঙ্গ রেখে সেই রস চুষলে বমি ভাব ও মাথা ঘোরা কমে যাবে। গর্ভবতী মায়েরা সকালের বমিবমি ভাব দূর করতে লবঙ্গ চুষতে পারেন। লবঙ্গের সুগণ্ধ বমিবমি ভাবদূর করে।

✅ ৩.সর্দি–কাশি ও ঠাণ্ডা কমাতঃ-- সর্দিকাশির মহৌষধ হিসেবে লবঙ্গ বহু বছর ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবঙ্গ চিবিয়ে রস গিলে খেলে বা লবঙ্গ মুখে রেখে চুষলে সর্দি, কফ, ঠাণ্ডা লাগা, অ্যাজমা, গলাফুলে ওঠা, রক্ত পিত্ত আর শ্বাস কষ্টে সুফল পাওয়া যায়।

✅ ৪.সাইনাস ইনফেকশন কমাতেঃ-- সাইনোসাইটিস রোগে লবঙ্গ খুব উপকারি। সাইনোসাইটিসের রোগীদের চিকিৎসায় লবঙ্গ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। লবঙ্গে বিদ্যমান ইগুয়েনাল নামে একটি উপাদান আছে, যা সাইনাসের কষ্ট কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

✅ ৫. মাথা ব্যথা কমাতেঃ-- ধোঁয়া, রোদ এবং ঠান্ডার জন্য শ্লেষ্মা বেড়ে নানা ধরনের মাথা ব্যথা বা মাথার রোগ দেখা দিতে পারে। মাথা ব্যথা কমাতে লবঙ্গের উপকারিতা অপরিসীম।

✅ ৬. পেট ফাঁপা ও পেটের অসুখ উপশমেঃ-- পেট ফাঁপা রোগ নিরাময়ে লবঙ্গ ব্যবহার হয়। লবঙ্গ এনজাইম বৃদ্ধি করে বদ হজম, অগ্নি মান্দ্য (খিদে না হওয়া), পেটের গ্যাস ও বায়ু, পেট ব্যথা, অজীর্ণ, এমনকি কলেরা বা আন্ত্রিক রোগের উপকার করে।

✅ ৭. কামোদ্দীপক ও যৌন রোগেঃ-- লবঙ্গ কামোদ্দীপক। এর সুবাস অবসাদ দূর করে, শরীর ও মনের ক্লান্তি ঝরিয়ে দেয়। যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।

✅ ৮. স্ট্রেস ও উৎকণ্ঠা কমাতেঃ-- এক টুকরো লবঙ্গ মুখে ফেলে চুষে চুষে খেয়ে ফেলুন। পান করতে পারেন লবঙ্গের চাও। মেজাজ ফুরফুরে হয়ে উঠবে।

✅ ৯. ব্রণের চিকিৎসায়ঃ-- লবঙ্গ ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ব্রণের দাগ দূর করতে লবঙ্গের পেস্ট ব্রণের ওপরে দিয়ে রাখুন। লবঙ্গ খেলেও ব্রণ হবে না।

✅ ১০. রক্ত পরিশুদ্ধ করতেঃ-- লবঙ্গ শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদানগুলো সরিয়ে রক্তকে পরিশোধন করতে ভূমিকা রাখে। রক্তকে পরিস্কার করে।

✅ ১১. পিপাসা রোগেঃ-- যারা পিপাসা রোগে প্রায়ই আক্রান্ত হন; বারবার পানি পান করতে হয়। তাদের সকালে ও বিকালে লবঙ্গ খেলে-পিপাসা চলে যাবে।

✅ ১২. খাবারে রুচি বৃদ্ধিতেঃ-- বিভিন্ন রোগ বিশেষ করে পেটের রোগে এবং জ্বরে ভোগার পরে খাবারে অরুচি দেখা দেয়। ভাত-রুটি, মাছ-মাংস, মিষ্টান্ন বা যে কোন উপাদেয় খাবারে পর্যন্ত রুচি হয় না সেক্ষেত্রে লবঙ্গ চুর্ণ সকালে খালি পেটে দুপুরে খাবারের পরে খেলে খাবারে রুচি ফিরে আসবে।

✅ ১৩. হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ-- হজমে সহায়তা করে এমন এনজাইমনিঃসরণের মাধ্যমে এবং অ্যাসিড ক্ষরণের মাধ্যমে লবঙ্গ আমাদের হজম ক্ষমতা সক্রিয় করে তোলে। এরাফ্লাটুলেন্স, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, ডিসপেপসিয়া এবং নসিয়া কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের রক্ত প্রবাহেরও উন্নতি ঘটায়।

✅ ১৪. বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান হিসাবেঃ-- লং এর মধ্যে অ্যান্টি- ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি- কারসিনোজেনিক, অ্যান্টি- মাইক্রোবিয়া, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি, হেপাটো- প্রোটেক্টিভসহ আরো অনেক বায়ো অ্যাক্টিভ উপাদান পাওয়া যায়। লবঙ্গ কলেরা, যকৃতের সমস্যা, ক্যান্সার, শরীরে ব্যথা ইত্যাদি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ যে কোনও ধরনের জীবাণুকে মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

✅ ১৫. ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণেঃ-- ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন তৈরি হতে পারে না। গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, লং এর রস শরীরের ভিতরে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে ও কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, এবং রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শকর্রার মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা কমে যায়। নিয়মিত লবঙ্গ খেয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সহজ।

✅ ১৬. মুখের রোগ সারাতে ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেঃ-- মাড়ির সমস্যা, যেমনঃ জিনজিভাইটিস ও পেরিওডনটাইটিস হলে লং ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। লং এর মুকুল (মাথার অংশ) ওরালপ্যাথোজেনের বৃদ্ধিরোধ করে আপনার মুখটি কেসকল রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।

মাড়ির ক্ষয় বা দাঁতের ব্যথা রোধেও এরা সাহায্য করে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লবঙ্গ তুলনাহীন। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমাবার সময় ২টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চিবিয়ে ঘুমাতেহবে। কয়েকটি মুখে রেখে চিবালেই আপনার নিঃশ্বাস হয়ে উঠবে তরতাজা।

✅ ১৭.আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমাতেঃ-- লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আর্থ্রাইটিসের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, জয়েন্টপেইন কমানোর পাশাপাশি পেশির ব্যথা, হাঁটুতে, পিঠে বা হাড়ের ব্যথা এবং ফোলা ভাব কমাতেও এই ঘরোয়া ঔষধিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

✅ ১৮. জ্বরের প্রকোপ কমাতেঃ-- লবঙ্গে থাকা ভিটামিনকে এবং ই, রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাসে রাসব মারা পরে। ফলে ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

✅ ১৯. ত্বকের সংক্রমণ সারাতেঃ-- লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে জীবাণুদেরও মেরে ফেলে। ফলে সংক্রমণ জনিত কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগে না। ঘা পাচড়া হতে পারবে না।

✅ ২০. লিভারের কর্মক্ষমতা বাৃদ্ধিতেঃ-- লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের মধ্যে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুধু লিভার নয়, শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে একাধিক হেপাটোপ্রটেকটিভ প্রপার্টিজও রয়েছে, যা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

✅ ২১. শরীর ফোলা কমাতেঃ-- লবঙ্গ খেলে ঠাণ্ডার জন্যে শরীরের কোনো অংশ ফুলে ওঠা কমে যায়। ২২. শ্বাস কষ্ট কমায়: লবঙ্গ চিবিয়ে রস গিলে খেলে শ্বাস কষ্ট ও হাঁপানিতে আরাম পাওয়া যায়।

✅ ২৩. হাড়ের দৃঢ়তায়ঃ-- লবঙ্গে উপস্থিত ফেনোলিক কম্পাউন্ড- ইউজিনল এবং ইউজিনল ডেরিভাটিভস শরীরে প্রবেশ করার পর বোন ডেনসিটির (হাড়েঘনত্ব) উন্নতি ঘটে। এটি হাড়ের ভেতরের নানাবিধ মিনারেলের ঘাটতিও পুরণ করে।

ফলে হাড়ের সমস্যা জনিত যে কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। নারীরা এবং বয়স্ক মানুষদের নিয়মিত লবঙ্গ খেলে হাড়ের সমস্যা অনেকটা কমে যায়।

✅ ২৪. ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ--লবঙ্গ ব্রেস্টক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধকরে থাকে।
💥 সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

🌸 মা তো ভালো আছেন, একটু ক্লান্ত শুধু... — কিন্তু সত্যি কি তাই? 🌸ইশিতা। মা হয়েছে মাত্র তিন সপ্তাহ হলো। সবাই ব্যস্ত নতুন অ...
28/10/2025

🌸 মা তো ভালো আছেন, একটু ক্লান্ত শুধু... — কিন্তু সত্যি কি তাই? 🌸

ইশিতা। মা হয়েছে মাত্র তিন সপ্তাহ হলো। সবাই ব্যস্ত নতুন অতিথিকে ঘিরে। ইশিতা চুপচাপ কোণে বসে আছে, মুখে ফ্যাকাশে ভাব। মাঝে মাঝে বলে—
“কিছু না, একটু মাথা ঘোরে, শরীরটা ভার লাগছে।”

কিন্তু সেই “কিছু না” আসলে ছিল বড় বিপদের সংকেত। 😔
ইশিতার জ্বর, শরীর কাঁপুনি আর যোনি থেকে অস্বাভাবিক রক্তপাত — এগুলো একদমই স্বাভাবিক নয়।
দ্রুত হাসপাতালে না পাঠালে হয়তো… আজ গল্পটা অন্যরকম হতো। 💔

🤱 শিশুর জন্মের পর মায়ের শরীরে অনেক পরিবর্তন হয়,
তবে সব পরিবর্তনই স্বাভাবিক নয়। কিছু লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

✅ খেয়াল রাখুন যেসব লক্ষণে:

• হঠাৎ খিঁচুনি বা শরীর কাঁপা
• জ্বর আসা বা শরীর গরম হয়ে যাওয়া
• অতিরিক্ত রক্তপাত
• তলপেটে তীব্র ব্যথা
• শ্বাস নিতে কষ্ট বা অস্বাভাবিক দ্রুত শ্বাস
• স্তন ফুলে যাওয়া, লাল হওয়া বা বোঁটা ব্যথা করা
• যোনি থেকে দুর্গন্ধযুক্ত তরল বের হওয়া

⚠️ এসব কখনোই “ডেলিভারির পরের স্বাভাবিক বিষয়” নয়।
এগুলো মারাত্মক জটিলতার ইঙ্গিত হতে পারে — যেমন পোস্টপার্টাম ইনফেকশন, ইক্ল্যাম্পসিয়া বা হেমোরেজ।

❣️ মায়ের সুস্থতা মানেই শিশুর নিরাপত্তা।
তাকে বিশ্রাম দিন, ভালোবাসা দিন, আর প্রয়োজন হলে একটুও দেরি না করে ডাক্তার দেখান।

মা শুধু একটা জীবন জন্ম দেন না — তিনি নিজেও নতুন জীবন শুরু করেন। 🌼

কোরিওকার্সিনোমা (Choriocarcinoma) হলো একটি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া, মারাত্মক ধরনের ক্যান্সার, যা সাধারণত গর্ভধারণের টিস্যু (t...
28/10/2025

কোরিওকার্সিনোমা (Choriocarcinoma) হলো একটি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া, মারাত্মক ধরনের ক্যান্সার, যা সাধারণত গর্ভধারণের টিস্যু (trophoblastic tissue) থেকে উৎপন্ন হয়।
এটি গর্ভাশয় (uterus) বা প্লাসেন্টার (placenta) টিস্যু থেকে শুরু হয়।

🧬 কারণ ও উৎপত্তি

কোরিওকার্সিনোমা সাধারণত নিচের পরিস্থিতিগুলোর পর দেখা দিতে পারেঃ

1. মোলার প্রেগন্যান্সি (Hydatidiform mole) — সবচেয়ে সাধারণ কারণ

2. সাধারণ গর্ভধারণ (Normal pregnancy)

3. গর্ভপাত (Miscarriage)

4. এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি (Ectopic pregnancy)

এটি তখন হয়, যখন গর্ভধারণের সময় তৈরি হওয়া trophoblastic কোষগুলো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

⚠️ লক্ষণ (Symptoms)

গর্ভধারণের পর বা গর্ভপাতের পর অস্বাভাবিক যোনিপথে রক্তপাত

hCG (human chorionic gonadotropin) হরমোনের মাত্রা খুব বেশি থাকে

পেটব্যথা বা জরায়ু বড় হয়ে যাওয়া

ফুসফুসে ছড়িয়ে গেলে: কাশি, শ্বাসকষ্ট, রক্তসহ কাশি

মস্তিষ্কে ছড়ালে: মাথাব্যথা, খিঁচুনি বা মাথা ঘোরা

🔬 ডায়াগনোসিস (Diagnosis)

1. রক্তে hCG পরীক্ষা: খুব বেশি মাত্রায় পাওয়া যায়

2. আল্ট্রাসনোগ্রাফি (USG) – জরায়ুতে টিউমার দেখা যায়

3. Chest X-ray / CT scan – মেটাস্টাসিস (ফুসফুসে ছড়ানো) দেখা যায়

4. Biopsy – খুব কম ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়, কারণ রক্তের hCG পরীক্ষাই প্রায় নিশ্চিত করে দেয়

💊 চিকিৎসা (Treatment)

কোরিওকার্সিনোমা সাধারণত চিকিৎসাযোগ্য ক্যান্সার, এমনকি ছড়িয়ে গেলেও চিকিৎসায় ভালো ফল হয়।

1. কেমোথেরাপি (Chemotherapy) – প্রধান চিকিৎসা

Methotrexate বা Actinomycin D

উচ্চ ঝুঁকিতে: EMA-CO regimen (Etoposide, Methotrexate, Actinomycin D, Cyclophosphamide, Vincristine)

2. Surgery (হিস্টেরেকটমি) – যদি ওষুধে কাজ না করে বা বেশি রক্তপাত হয়

3. Follow-up: নিয়মিত hCG লেভেল পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা হয় টিউমার সম্পূর্ণ চলে গেছে কিনা

🌿 প্রগনোসিস (Prognosis)

দ্রুত শনাক্ত ও চিকিৎসা দিলে ৯০% বা তারও বেশি রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হন।

দেরিতে ধরা পড়লে বা ছড়িয়ে গেলে চিকিৎসা কঠিন হয়,

আজকের পোস্ট হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে সেটি হলো ইসিজি ( ECG).ECG (Electrocardiogram) করার নিয়ম🧩 ১. Preparation Stag...
28/10/2025

আজকের পোস্ট হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে সেটি হলো ইসিজি ( ECG).

ECG (Electrocardiogram) করার নিয়ম

🧩 ১. Preparation Stage (প্রস্তুতি ধাপ):

1. Explain to the patient – রোগীকে ECG এর উদ্দেশ্য ও প্রক্রিয়া বুঝিয়ে বলুন।

2. Position the patient – রোগীকে supine (চিৎ হয়ে) শোয়ান।

3. Remove metal objects – ঘড়ি, চেইন, বেল্ট ইত্যাদি খুলে ফেলতে বলুন।

4. Clean the skin – ইলেকট্রোড লাগানোর স্থান অ্যালকোহল দিয়ে পরিষ্কার করুন।

5. Apply electrode gel – ভালো conduction এর জন্য জেল ব্যবহার করুন।

⚙️ ২. Electrode Placement (ইলেকট্রোড বসানোর নিয়ম):

🦵 Limb Leads (হাত-পা লিড):

Lead স্থান (Position):

RA (Right Arm) ডান হাতের কব্জিতে
LA (Left Arm) বাম হাতের কব্জিতে
RL (Right Leg) ডান পায়ের গোড়ালিতে (Ground lead)
LL (Left Leg) বাম পায়ের গোড়ালিতে

🫁 Chest Leads (বুকের লিড):

Lead অবস্থান (Position):

V1 ডান পাশে 4th intercostal space, sternum এর পাশে।

V2 বাম পাশে 4th intercostal space, sternum এর পাশে।

V3 V2 ও V4 এর মাঝখানে।

V4 5th intercostal space, midclavicular line এ।

V5 V4 এর সমান্তরালে, anterior axillary line এ।

V6 V4 এর সমান্তরালে, midaxillary line এ।

📉 ৩. Recording Stage (রেকর্ডিং ধাপ):

1. Turn on the machine এবং ক্যালিব্রেশন চেক করুন (1 mV = 10 mm)।

2. Ask the patient to stay still – কথা না বলা বা নড়াচড়া না করা।

3. Record the 12-lead ECG ধীরে ধীরে।

4. Take the printout ও পরীক্ষা করুন waveform ঠিক আছে কিনা।

🧾 ৪. After Recording (পরবর্তী ধাপ):

1.ইলেকট্রোড খুলে দিন এবং ত্বক পরিষ্কার করুন।

2.রিপোর্টে patient’s name, age, date উল্লেখ করুন।

3.ECG sheet সংরক্ষণ করুন।

⚠️ Precautions (সতর্কতা):

1.ত্বক ভেজা বা ঘামযুক্ত না থাকা উচিত।

2.মেশিন ভালোভাবে grounded আছে কিনা নিশ্চিত করুন।

3.রোগীর শরীরে tremor বা movement থাকলে ECG distorted হবে।

Suction machine এর কাজ কি?সাকশন মেশিনের প্রধান কাজ হলো শরীর থেকে তরল, যেমন শ্লেষ্মা, লালা, রক্ত বা অন্যান্য নিঃসরণ অপসার...
28/10/2025

Suction machine এর কাজ কি?

সাকশন মেশিনের প্রধান কাজ হলো শরীর থেকে তরল, যেমন শ্লেষ্মা, লালা, রক্ত বা অন্যান্য নিঃসরণ অপসারণ করা। এটি শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে, শ্বাস নিতে সাহায্য করতে এবং জরুরি অবস্থায় রোগীর জীবন রক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়। এই মেশিনটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়, যেমন জরুরি বিভাগ, হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোতে।

সাকশন মেশিনের কাজের ক্ষেত্র

চিকিৎসা ক্ষেত্রে:

শ্বাসনালী, মুখ এবং গলা থেকে শ্লেষ্মা, লালা, রক্ত ও অন্যান্য তরল অপসারণ করা।

অতিরিক্ত নিঃসরণের কারণে সৃষ্ট শ্বাসকষ্ট দূর করা।

অজ্ঞান বা অসুস্থ রোগীদের শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখা।

জরুরি পরিস্থিতিতে:

কোনো আঘাত বা দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট রক্তপাত অপসারণ করা।

অতিরিক্ত নিঃসরণ বা শ্লেষ্মা জমে শ্বাসকষ্টের ক্ষেত্রে দ্রুত সাহায্য করা।

অন্যান্য ব্যবহার:

মেডিকেল সেটিংসে তরল সংগ্রহ করতেও সাকশন ব্যবহার করা হয়।

কিছু ক্ষেত্রে, এটি নির্দিষ্ট শিল্প বা পরীক্ষাগারের কাজেও ব্যবহৃত হতে পারে।

কাজের ধরণ

সাকশন মেশিন একটি ভ্যাকুয়াম তৈরি করে তরল টেনে বের করে আনে।

একটি টিউব বা ক্যাথেটার ব্যবহার করে এই তরল টেনে বের করা হয়।

বড় হাসপাতালগুলোতে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা থাকে, যা পাইপলাইনের মাধ্যমে সাকশন সরবরাহ করে। সাকশন মেশিন হচ্ছে এমন এক ধরণের মেডিকেল ডিভাইস, যা দিয়ে অসুস্থ ব্যাক্তি বা অজ্ঞান রোগীদের শ্বাসনালী, মুখ, গলা, ফুসফুসে জমে থাকা শ্লেষ্মা, লালা, রক্ত অপসারণ করতে ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে সাকশন মেশিন মূলত সাকার মেশিন বা অ্যাসপিরেটর নামেও পরিচিত।

 #শিশুর_হাড়ের_রোগ_রিকেটসরিকেটস রোগ হলো বাড়ন্ত শিশুর হাড়ের গঠনগত একটি ত্রুটি। এর ফলে শিশুর হাড় বেঁকে যায়, হাড়ে ব্যথা...
28/10/2025

#শিশুর_হাড়ের_রোগ_রিকেটস

রিকেটস রোগ হলো বাড়ন্ত শিশুর হাড়ের গঠনগত একটি ত্রুটি। এর ফলে শিশুর হাড় বেঁকে যায়, হাড়ে ব্যথা হয়, পায়ের বিকৃতি দেখা যায়; এমনকি হাড় নরম হয়ে ভেঙেও যেতে পারে। এই রোগ হলে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধিও বাধাপ্রাপ্ত হয়।

💥কেন রিকেটস রোগ হয়

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডির অভাব এই রোগের মূল কারণ। পাশাপাশি ফসফরাস ও সূর্যালোকের অভাব, খাবারের ভিটামিন ডির ঘাটতি, খাদ্যজনিত ভিটামিন ডি শোষণ হ্রাস পাওয়া এই রোগকে ত্বরান্বিত করে। লিভার ও কিডনির রোগের কারণে এবং বিভিন্ন ওষুধ যেমন—খিঁচুনির ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শিশুরা রিকেটস রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

💥লক্ষণ ও জটিলতা

১। মাথার খুলির হাড় নরম হয়ে যাওয়া।

২l খুলির আকৃতি চারকোনা বাক্সের মতো হওয়া।

৩l দুধদাঁত উঠতে দেরি হওয়া, দাঁত ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়া।

৪l বুকের পাঁজরের হাড় বুকের সামনে বৃদ্ধি পাওয়া।

৫l বুকের খাঁচা আবার পরিবর্তিত হওয়া।

৬l কবজি ও গোড়ালির হাড় বেড়ে যাওয়া।

৭l হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত পা সামনের দিকে বেঁকে যাওয়া।

৮l হাঁটুর কাছ থেকে দুই পা দুই দিকে বেঁকে যাওয়া।

৯l পা ধনুকের মতো বেঁকে যাওয়া।

১০l দুই পা একই সঙ্গে একই দিকে বেঁকে যাওয়া।

১১l মাংসপেশি শুকিয়ে গিয়ে দুর্বল হয়ে যাওয়া।

১২l িটটানিতে আক্রান্ত হওয়া।

এই রোগে আক্রান্ত হলে শিশুর শ্বাসনালির প্রদাহ, ব্রংকাইটিস নিউমোনিয়া, আয়রন ঘাটতিতে রক্তস্বল্পতা, শারীরিক উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া, টিটানি রোগে আক্রান্ত হওয়া, হাড় নরম হয়ে গিয়ে ভেঙে যাওয়া প্রভৃতি জটিলতা হতে পারে।

📌🩺🩺চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

শিশুকে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। বিভিন্ন রকম সবজি যেমন ঢ্যাঁড়স, কুমড়াশাক ও কাঁটাওয়ালা ছোট মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। দুধ অথবা দুধ জাতীয় খাবার দৈনিক ৬০০ মিলিলিটার খাওয়াতে পারলে ক্যালসিয়ামেরদৈনিক চাহিদা পুরোপুরি মেটানো যাবে। ভিটামিন ডি পেতে শিশুকে নিয়মিত সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে রোদে ৩০ মিনিট সময় রাখতে হবে। এর সঙ্গে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম ব্যবহারে ৭৫ ভাগ শিশুই সুস্থ হয়ে যায়। তবে বয়স ছয় বছরের বেশি হলে এবং পা বেঁকে যাওয়ার পরিমাণ ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি হলে ব্রেস চিকিৎসা, আবার কখনো কখনো শল্যচিকিৎসা অর্থাৎ অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে।

প্রসূতি মাকে ভিটামিন ডি দিতে হবে। শিশুদের দুধ ও খাবারে ভিটামিন ডি যুক্ত করতে হবে। স্বল্প ওজনের অপরিণত শিশুর জন্মের পর দুই সপ্তাহ থেকে ভিটামিন ডি দিতে হবে।


গর্ভকালীন টিকার প্রয়োজনীয়তাভূমিকা• কেন গর্ভকালীন টিকা গুরুত্বপূর্ণ?মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা• মায়ের সুরক্ষা:• এটি মা এব...
28/10/2025

গর্ভকালীন টিকার প্রয়োজনীয়তা

ভূমিকা

• কেন গর্ভকালীন টিকা গুরুত্বপূর্ণ?

মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা

• মায়ের সুরক্ষা:

• এটি মা এবং তার অনাগত শিশুকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

শিশুর রোগ প্রতিরোধ

• শিশুর সুরক্ষা:

• কিছু টিকা, যেমন Tdap, গর্ভাবস্থায় দেওয়া হলে, মায়ের শরীর থেকে অ্যান্টিবডি শিশুর শরীরে স্থানান্তরিত হয়, যা জন্মের প্রথম কয়েক মাস পর্যন্ত শিশুকে হুপিং কাশির মতো রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।

মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা

• গুরুত্বপূর্ণ রোগ প্রতিরোধ:

• টিটেনাস এবং ডিপথেরিয়া একটি গুরুতর রোগ যা মা এবং নবজাতকের জন্য মারাত্মক হতে পারে, তাই এই টিকাগুলো অত্যন্ত জরুরি।

Pregnancy health care

💊 পেটের এন্টিবায়োটিক ৭ বা ১৪ দিনের কোর্স, যা হতে পারে সারা জীবনের সর্বনাশ? 😲 পেটের ভেতরের সেই "নীরব নাটকের" আসল গল্প! 🎬প...
28/10/2025

💊 পেটের এন্টিবায়োটিক ৭ বা ১৪ দিনের কোর্স, যা হতে পারে সারা জীবনের সর্বনাশ? 😲 পেটের ভেতরের সেই "নীরব নাটকের" আসল গল্প! 🎬

পেটে একটু জ্বালা, বুকে চিনচিন ব্যথা? ভাবলেন, 'একটা কোর্স করলেই সব ঠিক!'...

কিন্তু পর্দার আড়ালে কী ঘটে, সেটা জানলে চমকে উঠবেন!

আমরা ভাবি এন্টিবায়োটিক খেলেই বুঝি রোগ শেষ। আসলে, ৭ কিংবা ১৪ দিনের স্বস্তির আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে ৭ বা ১৪ বছরের অশান্তির বীজ।

চলুন, আজ দেখি পেটের ভেতরের সেই রোলারকোস্টার গল্প—কীভাবে একটি ভুল সিদ্ধান্তে পেটের ভেতরের পুরো পৃথিবীটা ওলটপালট হয়ে যায়। 🎢👇

🎭 ধাপ ১: শুরু — মিষ্টি স্বস্তি ও মিথ্যে ভরসা (The "Honeymoon" Phase) 💖

গ্যাস, বুক জ্বালা, ঢেঁকুর, ব্যথা... অসহ্য!
আপনি ভয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেন।
পেলেন ৭ বা ১৪ দিনের এন্টিবায়োটিকের একটি কোর্স।
৩-৫ দিনেই ম্যাজিক!
ব্যথা গায়েব, জ্বালা কম।
আপনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ভাবলেন, "যাক, বেঁচে গেলাম! ওষুধ দারুণ কাজ করেছে।"..কিন্তু সত্যি কি তাই?
নাকি এটা ঝড়ের আগে সেই অদ্ভুত নীরবতা?
আসল খেলাটা (বা ট্র্যাজেডি) ঠিক এই মুহূর্ত থেকেই শুরু হলো।

🎭 ধাপ ২: পেটের ভেতরে — "ওয়েক আপ, কিক!" (The Friendly Fire) 💥

ওষুধ পেটে ঢুকেই একটা "বোমা" ফাটায়!?
এন্টিবায়োটিক হলো সেই সেনাপতির মতো, যে শত্রু (খারাপ জীবাণু) মারতে গিয়ে নিজের ভালো সৈন্যগুলোকেও (উপকারী ব্যাকটেরিয়া) চেনে না।
সে নির্বিচারে দুদলকেই ধ্বংস করে।
সাথে থাকা PPI (গ্যাসের ওষুধ) অ্যাসিড কমানোর সুইচটা টিপে ধরে।

✅ তাৎক্ষণিক ফলাফল: অ্যাসিড কমে যাওয়ায় আপনার "ব্যথার সিগন্যাল" বন্ধ হয়ে যায়। আপনি আরাম পান।

🔥ভেতরের আসল সত্য: এটা হলো "অসুখ ঢেকে রাখা, সারানো নয়।" উপসর্গ সাইলেন্ট, কিন্তু ভেতরের প্রদাহ (আগুন) ঠিকই জ্বলতে থাকে।

🎭 ধাপ ৩: শত্রুপক্ষের পলায়ন (কিন্তু দুর্গ ভাঙা) 🏰
এন্টিবায়োটিক জীবাণুর সংখ্যা কমায়, এটা ঠিক। কিন্তু আপনার পেটের ভেতরের যে ক্ষতিগুলো আগেই হয়েছিল, সেগুলোর কী হবে?
যেমন:
-আলসারের ক্ষত (Unhealed Ulcer)
-ইনফ্লেমড লাইনিং (Inflamed Lining)
-দুর্বল মিউকাস লেয়ার (Weak Mucus Layer)

🧱 ভঙ্গুর GIT টিস্যু (Fragile Gut Tissue)..ওষুধ এগুলোতে সরাসরি কোনো হাতই দেয় না। জীবাণু কমে ➔ ব্যথা কমে।
কিন্তু আসল "ভাঙা দেয়াল" (Tissue) মেরামত না হলে রোগ যায় না, কেবল চুপ থাকে।

🎭 ধাপ ৪: কোর্স শেষ, পার্টি শুরু? (মিথ্যে রিপোর্টের ফাঁদ) 📄
কোর্স শেষ! আপনি ভাবলেন, "আমি এখন ১০০% ফিট।"
ডাক্তারের কাছে গেলেন, টেস্ট রিপোর্টও হয়তো "নেগেটিভ" আসলো।
কিন্তু ভেতরে যা হচ্ছে:

🔸লুকিয়ে থাকা শত্রু: চালাক জীবাণুগুলো "বায়োফিল্ম" (একটা আঠালো বর্ম) তৈরি করে লুকিয়ে পড়ে, এবং সুযোগের অপেক্ষায় থাকে।
🔸নীরব প্রদাহ: প্রদাহ পুরোপুরি বন্ধ হয় না, শুধু "Slow Mode"-এ চলে যায়।
🔸অসম্পূর্ণ নিরাময়: সেই পুরনো ক্ষতটা ঠিকমতো শুকানোর সময়ই পায় না।
এটাই "সাইলেন্ট রিল্যাপস স্টেজ" — বাইরে সব শান্ত, কিন্তু ভেতরে ক্যান্সারের মতো নীরব ক্ষয় চালু থাকে।

🎭 ধাপ ৫: আসল বিপর্যয় — পেটের উপকারী বন্ধুদের গণহত্যা! (The Microbiome Collapse) 😱

এটাই গল্পের সবচেয়ে ভয়ংকর বাঁকবদল!
এন্টিবায়োটিক আপনার পেটের "উপকারী বন্ধু" (GUT Microbiome) - যারা খাবার হজম করায়, ভিটামিন বানায়, ইমিউনিটি ঠিক রাখে—তাদের লক্ষ কোটি মেরে ফেলে।
এর ফলে যা ঘটে:

🔸বন্ধুশূন্য পেট: ভালো ব্যাকটেরিয়া শেষ, খারাপ ব্যাকটেরিয়া আর ফাঙ্গাস পার্টি শুরু করে।
🔸হজমের বারোটা: খাবার আর ঠিকমতো হজম হয় না।
🔸চিরশত্রুর জন্ম: শুরু হয় স্থায়ী গ্যাস, ফোলা ভাব (Bloating) আর বদহজম।
🔸লিকেজ শুরু: পেটের দেয়াল "ফুটো" (Leaky Gut) হয়ে যায়, যা দিয়ে ক্ষতিকর উপাদান রক্তে মেশে।
🔸আগুন ছড়ানো: এই পেটের আগুন (প্রদাহ) এবার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
..আর ঠিক এই মুহূর্তেই জন্ম নেয় IBS, IBD, Food Intolerance আর Chronic Gastritis-এর মতো জটিল রোগ।

🎭 ধাপ ৬: পুরো হাইওয়ে জ্যাম! (Mouth to Re**um) 🚦
একবারের আঘাতে আপনার মুখ থেকে রেক্টাম পর্যন্ত পুরো "খাদ্যনালী হাইওয়ে" অচল হয়ে পড়ে:
🛣️ খাদ্যনালী: সামান্য ঝাল বা তেলেই জ্বলে ওঠে (Hyper-sensitive)।
🛣️ পাকস্থলী: দেয়াল পাতলা হয়ে যায়, অল্প খেলেই পেট ভার ও অস্বস্তি।
🛣️ ক্ষুদ্রান্ত্র (Small Intestine): ভিটামিন-খনিজ (B12, Iron, D) শুষে নিতে পারে না ➔ আপনি সারাক্ষণ দুর্বল থাকেন।
🛣️ বৃহদন্ত্র (Large Intestine): স্থায়ী প্রদাহ ➔ কখনো পাতলা পায়খানা, কখনো কষা (Irritable Bowel)।
পুরো সিস্টেমটাই একটা অসুস্থ, ভঙ্গুর পরিবেশে পরিণত হয়।

🎭 ধাপ ৭: ইকোসিস্টেম ধস (The Point of No Return?) 📉
যখন পেটের ভেতরে...
🔺 ক্ষত শুকায় না
🔺 জীবাণু লুকিয়ে থাকে
🔺 ভালো বন্ধু (ব্যাকটেরিয়া) থাকে না
🔺 প্রদাহ স্থায়ী হয়..তখন পেট তার স্বাভাবিক "ছন্দ" হারিয়ে ফেলে।
💌ফলাফল: বারবার রোগ ফিরে আসা (Relapse), সামান্য তেলেও অস্বস্তি, সারাদিন গ্যাস, আর নতুন নতুন খাবারে অ্যালার্জি।

🎭 ধাপ ৮: ওজন কেন কমতে থাকে? (The Energy Drain) 🔋
আপনি ভাবছেন, "আমি তো খাচ্ছি, তাও শুকিয়ে যাচ্ছি কেন?"
এর পেছনে ৩টি প্রধান কারণ:
১. শোষণ বন্ধ (Malabsorption): খাবার ঠিকমতো শোষণই হচ্ছে না।
২. শক্তি ক্ষয় (Chronic Inflammation): ভেতরের স্থায়ী প্রদাহ আপনার শরীরের সব শক্তি শুষে নিচ্ছে।
৩. মেটাবলিজম স্লো: অন্ত্র দুর্বল হওয়ায় আপনার মেটাবলিজম ধীর হয়ে গেছে।
আপনি খাচ্ছেন, কিন্তু পুষ্টি শরীরে না গিয়ে "ড্রেন" দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।

🎭 ধাপ ৯: শেষ দৃশ্য — শুধু পেট নয়, পুরো শরীর আক্রান্ত 🎭
নাটকের শেষ অঙ্কে, ভিলেন শুধু পেটে থাকে না।
এই পেটের সমস্যা থেকেই ধীরে ধীরে শুরু হয়:
🔺 IBS / IBD / UC (স্থায়ী ও জটিল বিভিন্ন পেটের রোগ)।
🔺 বিভিন্ন ভিটামিন, B12, D, আয়রনের তীব্র অভাব সহ অন্যান্য মিনারেলসের ঘাটতি।
🔺 থাইরয়েড, PCOS, PCOD ইমব্যালান্স সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা।
🔺 ফ্যাটি লিভার, Kidney Disease
🔺 Insulin Resistance, Diabetes, Blood Pressure, ইত্যাদি।
🔺 Anxiety ও Depression (কারণ পেট আর ব্রেইন সরাসরি যুক্ত - Gut-Brain Axis)
🔺 দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, Immunity weaker (ঘন ঘন ঠান্ডা-জ্বর লাগা) ইত্যাদি।

গল্পটা শুরু হয়েছিল সামান্য "পেট ও বুক জ্বালা" দিয়ে, আর শেষ হলো পুরো শরীরের সিস্টেম ফেইলিওরে। 😥

Asad Holistic Health Center-এর বার্তা ও শেষ কথা:
এই চক্র ভাঙা সম্ভব।
আমরা বিশ্বাস করি, উপসর্গ চেপে রাখা কোনো সমাধান নয়। আসল সমাধান লুকিয়ে আছে সমস্যার গোড়ায়—আপনার পেটের ভেতরের সেই ভেঙে পড়া ইকোসিস্টেম (Microbiome) মেরামত করার মধ্যে।
এন্টিবায়োটিক হয়তো সাময়িক যুদ্ধবিরতি দেয়, কিন্তু স্থায়ী শান্তি আনে না। স্থায়ী আরোগ্য আসে ভেতর থেকে, প্রকৃতির নিজস্ব নিরাময় শক্তিতে (Natural Healing)।

আজ থেকে একটি সিদ্ধান্ত নিন:
দ্রুত স্বস্তি নয়, "স্থায়ী নিরাময়" (Permanent Healing) খুঁজুন। আপনার শরীরকে সারিয়ে তোলার সুযোগ দিন। উপসর্গ চেপে না রেখে, পেটের ভেতরের পরিবেশ ঠিক করার দিকে মনোযোগ দিন।

সুস্থতা শুরু হোক অন্ত্র থেকেই। ✅😍❤️
বেনু মেডিকেল সেন্টার
#মানবদেহ

👰‍♀️ শিশুদের কিছু সাধারণ সমস্যা ও প্রাথমিক চিকিৎসা গাইডলাইন 🩺(ঘরেই রাখুন, সময়মতো কাজে আসবে!)🔥 জ্বর হলে🔴 Drop Napa / Ace ...
27/10/2025

👰‍♀️ শিশুদের কিছু সাধারণ সমস্যা ও প্রাথমিক চিকিৎসা গাইডলাইন 🩺
(ঘরেই রাখুন, সময়মতো কাজে আসবে!)

🔥 জ্বর হলে
🔴 Drop Napa / Ace / Renova
📌 ওজন × ০.২ = মিলি → প্রতি ৬ ঘণ্টা পর পর (জ্বর ১০০°F/+ হলে)

🔴Syp Napa / Ace / Renova
📌 প্রতি ৮ কেজির জন্য ১ চামচ, ৪ কেজির জন্য ½ চামচ → প্রতি ৬ ঘণ্টা পর পর

🤧 সর্দি / ঠান্ডা / এলার্জি হলে
🔴 Syp Tofen / Fenat / Toti
👶 ৬মাস - ৩বছর: ½ চামচ × ২ বেলা
👧 ৩বছর+: ১ চামচ × ২ বেলা

👃 নাক বন্ধ বা সর্দির জন্য ড্রপ
🔴Drop Solo / Norsol / Nosomist
👶 ০-২ বছর: ২ ফোঁটা করে উভয় নাসিকায়, ২-৬ ঘণ্টা পর পর (প্রয়োজনে)

🔴 Drop Rynex / Xylocon / Oxynex 0.025%
👧 ২ বছর+: ২ ফোঁটা করে দিনে ২-৩ বার (সর্বোচ্চ ৫ দিন)

🗣️ কফযুক্ত কাশি
🔴 Drop Ambrox / Ambolyt / Mucosol
👶 ০-৬ মাস: ০.৫ মিলি × ২ বেলা
👶 ৬-১২ মাস: ১ মিলি × ২ বেলা
👧 ১-২ বছর: ১.২৫ মিলি × ২ বেলা

🔴 Syp Ambrox / Ambolyt / Boxol
👧 ২-৫ বছর: ½ - ১ চামচ × ৩ বেলা
👧 ৫-১০ বছর: ১ - ১.৫ চামচ × ৩ বেলা

😮‍💨 শুকনো কাশি
🔴Drop Mirakof / Miraten / Bukof
👶 ২-১২ মাস: ০.৫ মিলি × ৩-৪ বেলা
👧 ১-৩ বছর: ১ মিলি × ৩-৪ বেলা

🔴 Syp Mirakof / Miraten / Bukof
👧 ৩-৬ বছর: ১ চামচ × ৩ বেলা
👧 ৬-১২ বছর: ২ চামচ × ৩ বেলা

🪱 কৃমি হলে
🔴Syp Alben / Almex
👶 ১-২ বছর: ১ চামচ (রাতে) → ১ম দিন ও ৭ দিন পর
👧 ২ বছর+: ২ চামচ (রাতে) → প্রতি ৪-৬ মাস পর পর
⚠️ লক্ষণ ছাড়া না খাওয়ানোই ভালো

💩 ডায়রিয়া হলে
🔴Syp Zinc / Ziton / Zesup
📌 প্রতি ১০ কেজিতে ১ চামচ, ৫ কেজিতে ½ চামচ → ২ বেলা × ১৪ দিন

🔴 ORS স্যালাইন
📌 যত কেজি, তত চামচ পানির সাথে → প্রতিবার পাতলা পায়খানা বা বমি হলে

😔 অরুচি হলে
🔴 Syp Bicozin I
👶 ১ বছরের কম: ½ চামচ × ১ বেলা (১ মাস)
👧 ১ বছরের বেশি: ১-২ চামচ × ১ বেলা (১ মাস)

🔴বিকল্প: Syp Zinc / Ziton / Zesup → পূর্বের নিয়মে ১ মাস পর্যন্ত

📌 বি. দ্রঃ
এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিন। প্রয়োজনে আপনার হাতের কাছেই থাকবে!

Pregnancy Drugs to avoid...
27/10/2025

Pregnancy Drugs to avoid...

অনেক সময় দেখা যায়, জন্মের পরপরই বাচ্চার ত্বকে লালচে বা বেগুনি রঙের ফুলে ওঠা দাগ — অনেকেই ভাবে এটি জন্মদাগ। কিন্তু এটি হত...
27/10/2025

অনেক সময় দেখা যায়, জন্মের পরপরই বাচ্চার ত্বকে লালচে বা বেগুনি রঙের ফুলে ওঠা দাগ — অনেকেই ভাবে এটি জন্মদাগ। কিন্তু এটি হতে পারে হেমাঞ্জিওমা, যা আসলে রক্তনালীর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।

👶 সাধারণত জন্মের কয়েক সপ্তাহ পর এটি দেখা দেয়।
🩷 প্রথম কয়েক মাস দ্রুত বড় হয়, পরে ধীরে ধীরে নিজে থেকেই ছোট হয়ে যায়।
💉 বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা ছাড়াই ঠিক হয়ে যায়, তবে বড় বা জটিল স্থানে হলে ডাক্তারি পরামর্শ জরুরি।

⚠️ কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন:

দাগটি চোখ, নাক, মুখ বা শ্বাসনালী সংলগ্ন

রক্তপাত হচ্ছে বা আলসার হয়েছে

দ্রুত আকারে বাড়ছে

🌿 চিকিৎসায় ব্যবহার হয় propranolol, laser therapy বা surgery — তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্ভর করে শিশুর অবস্থা ও স্থানের উপর।

❤️ মনে রাখবেন: হেমাঞ্জিওমা সাধারণত নিরীহ এবং সময়ের সাথে মিলিয়ে যায়। ভয় নয়, সচেতন থাকুন, শিশুকে ভালোবাসায় রাখুন।

Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডাঃ সুমন পিয়াস posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ডাঃ সুমন পিয়াস:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category