দাউদ একজিমা ও যে কোন চর্ম রোগের চিকিৎসা ও পরামর্শ

  • Home
  • Bangladesh
  • Cox's Bazar
  • দাউদ একজিমা ও যে কোন চর্ম রোগের চিকিৎসা ও পরামর্শ

দাউদ একজিমা ও যে কোন চর্ম রোগের চিকিৎসা ও পরামর্শ পরামর্শ করুন, ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

দাউদ একজিমা ও যে কোন চর্মরোগের প্রতিরোধে করনীয় ঃ👉 আক্রান্ত স্থান শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। 👉 দাউদ একজিমা ও যে কোন চর্মরে...
25/05/2022

দাউদ একজিমা ও যে কোন চর্মরোগের প্রতিরোধে করনীয় ঃ

👉 আক্রান্ত স্থান শুকনো রাখার চেষ্টা করুন।
👉 দাউদ একজিমা ও যে কোন চর্মরোগ হলে সেই স্থানে যতটা সম্ভব তেল, সাবান না লাগানো ভালো।
👉 সংক্রমণের স্থানটা যতটা সম্ভব খোলা রাখতে হবে এবং গেঞ্জি, মোজা, আন্ডারওয়্যার ও পরিধান পোশাক প্রতিদিন পরিস্কার করতে হবে।
👉 উষ্ণ গরম পানি ও ভালো এন্টিফাঙ্গাল স্যাম্পু অথবা এন্টিফাঙ্গাল সাবান দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে শুকিয়ে প্রয়োজনীয় ঔষধ ব্যবহার করুন।
👉 দাউদ একজিমা ও যে কোন চর্মরোগ ছোঁয়াচে। তাই পরিবারের একজনের হলে তার কাপড় - চোপড় আলাদা করে ফেলুন এবং ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র নিয়মিত পরিস্কার করুন।
👉 দাউদ একজিমা ও যে কোন চর্মরোগে সব চাইতে বেশি আক্রান্ত হয় শিশুরা। তাই শিশুদের ব্যক্তিগত পরিস্কার - পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শিক্ষা দিন।
👉 পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের চিরনী, তোয়েল, ব্রাশ আলাদা করুন।
👉 অন্যের ব্যবহার করা সামগ্রী এড়িয়ে চলুন।
👉 পোষ্য প্রাণীর সংস্পর্শে আসার পর হাত ধুয়ে ফেলুন।
👉 এলার্জি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকুন।
👉 যদি পারেন দৈনিক ১/২ বার গোসল করুন।
👉 সব সময় সুতির কাপড় ব্যবহার করুন, সিনথেটিক কাপড় এড়িয়ে চলুন।

@ Dr. Salim ullah

"""চর্মরোগ দূর করবেন যেভাবে""" চর্মরোগ দূর করবেন যেভাবেচর্মরোগে কম-বেশি সবাই ভোগেন। গরমকালেই এ জাতীয় রোগ বেশি দেখা দেয়। ...
06/09/2021

"""চর্মরোগ দূর করবেন যেভাবে"""

চর্মরোগ দূর করবেন যেভাবে
চর্মরোগে কম-বেশি সবাই ভোগেন। গরমকালেই এ জাতীয় রোগ বেশি দেখা দেয়। এছাড়া অপরিষ্কার ও ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস চর্মরোগের একটা অন্যতম কারণ। নিয়ম মেনে চললে রোগের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিচে রইল কিছু চর্মরোগ এবং তা দূর করার তথ্য-

ঘামাচি: গরমের সময় ঘামাচি একটি সাধারণ সমস্যা। ঘামাচি সাধারণত তখনই হয় যখন ঘর্মগ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে যায়, ঘাম বের হয় না এবং ত্বকের নীচে ঘাম আটকে যায়। এর ফলে ত্বকের উপরিভাগে ফুসকুড়ি এবং লাল দানার মতো দেখা যায়। কিছু কিছু ঘামাচি খুব চুলকায়। ঘামাচি সাধারণত এমনিতেই সেরে যায়। তবে ঘামাচি সারানোর জন্য ত্বক সবসময় শুষ্ক রাখতে হবে এবং ঘাম শুকাতে হবে।

ব্রণ: সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে এই রোগটি দেখা দেয়। তাই একে টিনএজারদের রোগও বলা যেতে পারে। ১৮ থেকে ২০ বছরের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে এ রোগটা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে তৈলাক্ত, ঝাল ও ভাজাপোড়া খাবারসহ চকলেট, আইসক্রিম ও অন্যান্য ফাস্টফুড খাওয়া কমাতে হবে। এছাড়া বেশি করে পানি ও শাক-সবজি খেতে হবে।

দাদ: শরীরের যে-কোনো স্থান ফাংগাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে একে দাদ বলে। এই আক্রমণ মাথার চামড়ায়, হাত-পায়ের আঙুলের ফাঁকে কিংবা কুঁচকিতে হতে পারে। এটা ছোয়াঁচে রোগ। আক্রান্ত স্থান চাকার মতো গোলাকার হয় এবং চুলকায়। মাথায় দাদ দেখতে গোলাকার হয় এবং আক্রান্ত স্থানে চুল কমে যায়। প্রতিকার পেতে সাবান ও পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান প্রতিদিন ধুতে হবে। এছাড়া আক্রান্ত স্থান শুকনো রাখা জরুরি৷ অনেক সময় ব্যবহৃত সাবান থেকেও দাদ হতে পারে, সেক্ষেত্রে সাবান ব্যবহার কিছুদিন বন্ধ রাখতে হবে।

পাঁচড়া: শিশুদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়। পরিষ্কার কাপড়-চোপড় ব্যবহার ও নিয়মিত গোসল করলে খোসপাঁচড়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

একজিমা: একজিমা হলো ত্বকের এমন একটি অবস্থা যেখানে ত্বকে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। একেক ধরনের একজিমার লক্ষণ একেক রকম হয়। তবে সাধারণভাবে লালচে, প্রদাহযুক্ত ত্বক, শুষ্ক, খসখসে ত্বক; ত্বকে চুলকানি; হাত ও পায়ের ত্বকের মধ্যে ছোট ছোট পানির ফুসকুড়ি ইত্যাদি হলো একজিমার লক্ষণ। ডিটারজেন্ট, সাবান অথবা শ্যাম্পু থেকে একজিমার সংক্রমণ হতে পারে। অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে ভেজা আবহাওয়াও একজিমার কারণ।

সোরিয়াসিস: সোরিয়াসিস ত্বকের একটি জটিল রোগ। তবে এটি কেবল ত্বক নয়, আক্রমণ করতে পারে শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও। যেমন সন্ধি, নখ ইত্যাদি। সাধারণত ত্বকের কোষস্তর প্রতিনিয়ত মারা যায় এবং নতুন করে তৈরি হয়। সোরিয়াসিসে এই কোষ বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। ত্বকের কয়েক মিলিমিটার থেকে কয়েক সেন্টিমিটার জায়গাজুড়ে এই সমস্যা দেখা দেয়। রোগ যত পুরোনো হয়, ততই জটিল হতে থাকে। তাই দ্রুত শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার আওতায় আসা জরুরি। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আজীবন চিকিৎসা নিতে হয়। সোরিয়াসিস বংশগতভাবে হতে পারে।

আর্সেনিকের কারণে চর্মরোগ: আর্সেনিক যুক্ত পানি খেলে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ত্বকের গায়ে ছোট ছোট কালো দাগ কিংবা পুরো ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে, হাত ও নখের চামড়া শক্ত ও খসখসে হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন স্থানে সাদা-কালো দাগ দেখা দেয়াসহ হাত ও পায়ের তালুর চামড়ায় শক্ত গুটি বা গুটলি দেখা দিতে পারে। তবে চিন্তার বিষয় হলো, আর্সেনিক যুক্ত পানি পানের শেষ পরিণতি হতে পারে কিডনি ও লিভারের কর্মক্ষমতা লোপ পাওয়া; ত্বক, ফুসফুস ও মূত্রথলির ক্যানসার হওয়া; কিডনির কার্যক্ষমতা লোপ পাওয়া ইত্যাদি।
Dr. Salim Ullah

"""একজিমা রোগ: একজিমা বা এ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস বা বিখাউজ কি? ঔষধ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করনীয় – একজিমা দূর করার উপায়"""এ...
27/08/2021

"""একজিমা রোগ: একজিমা বা এ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস বা বিখাউজ কি? ঔষধ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করনীয় – একজিমা দূর করার উপায়"""

একজিমা (Eczema) বা এ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস বা বিখাউজ এমন একটি চর্মরোগ যা হলে ত্বক লাল বর্ণ ধারণ করে, চুলকায় আবার ফুস্কুড়িও হতে পারে। ত্বকের যেকোনো অংশেই একজিমা রোগ হতে পারে। তবে হাত, পা, বাহু, হাঁটুর বিপরীতে, গোড়ালী, হাতের কব্জি, ঘাড় কিংবা ঊর্ধ বক্ষস্থল ইত্যাদি অংশে বেশি হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে একজিমার প্রধান উৎস বংশগত বলে চিকিৎসা শাস্ত্রে এটিকে এ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস বলেও উল্লেখ করা হয়। এটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এই রোগে ত্বকের বিশেষ কোন কোন স্থানে প্রদাহ সৃষ্টি হয়।

এটি যেকোন বয়সেই হতে পারে, তবে শিশুদের ক্ষেত্রে একজিমা হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি থাকে। আবার গর্ভাবস্থায় নির্দিষ্ট কিছু চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। তবে গর্ভাবস্থা একজিমা হওয়ার কোন শর্ত নয়। সাধারনভাবে একজিমা অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমগোত্রীয় একটি রোগ যা বংশগত কারণে হতে পারে।

এটি ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা। বাংলাদেশে এটি পামা, বিখাউজ, কাউর ঘা ইত্যাদি নানা নামে পরিচিত। দাদ একজিমায় যদিও কোন মৃত্যু ঝুঁকি নেই, তারপরেও এ রোগ ব্যক্তি ও তার আশপাশের মানুষের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এটি ত্বকের এমন একটি অবস্থা যেখানে ত্বকে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। একজিমা একটি মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ। একবার একজিমায় আক্রান্ত হলে সেরে উঠতে অনেক সময় লেগে যেতে পারে। আবার অবহেলা করলে এ রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে, একজিমার ব্যপারে সতর্ক হলে এবং সঠিক চিকিৎসার সাহায্যে একজিমা থেকে সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

একজিমার প্রকারভেদ
এটি কয়েক ধরনের হতে পারে। যেমন- এটোপিক একজিমা (শরীরের যেসব স্থানে ভাঁজ পড়ে যেমন- হাঁটুর পিছনে, কুনইয়ের সামনে, বুকে, মুখে এবং ঘাড়ে এটোপিক একজিমা হতে পারে), এলার্জিক কনট্যাক্ট একজিমা (কোন পদার্থ বা বস্তু থেকে এ ধরনের একজিমা হয়ে থাকে। শরীরের যে অংশে এলার্জি হয় সেখানে লালচে দানা দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে এটা শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে যেতে পারে), ইরিট্যান্ট কনট্যাক্ট একজিমা (এটি এলার্জিক একজিমার মতই এবং এটি অধিক হারে ডিটারজেন্ট জাতীয় দ্রবের ব্যবহারের কারনে হতে পারে), সেবোরিক একজিমা (ম্যালাসেজিয়া ইষ্ট দ্বারা সংক্রমণের ফলে সেবোরিক একজিমা হয়ে থাকে এবং এতে মাথার ত্বকে হালকা খুশকির মতো তৈলাক্ত ফুসকুড়ি দেখা যায়। সাধারণত এক বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে এ রোগটি বেশি দেখা যায়), ভেরিকোস একজিমা (রক্ত সরবরাহে সমস্যা ও উচ্চরক্তচাপের কারণে বয়স্ক লোকদের পায়ের নিচের অংশে এটি হতে পারে), ডিসকয়েড একজিমা (সাধারণত বয়স্ক লোকদেরই এটি বেশি হতে পারে। শুষ্ক ত্বক সংক্রমণের মাধ্যমে বিশেষ করে পায়ের নিচের অংশে এটি হয়ে থাকে) ইত্যাদি।

একজিমা রোগের কারণ
একজিমার প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। ত্বকের আর্দ্রতা ত্বককে ব্যাকটেরিয়া এবং যে সকল পদার্থ অ্যালার্জির সৃষ্টি করে তা থেকে রক্ষা করে। সাধারনত নিম্নলিখিত কারন সমুহকে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী করা হয়ঃ

সাধারনত শুষ্ক বা রুক্ষ ত্বক একজিমার জন্য দায়ী কারন- এ ধরনের ত্বক ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারে না।
বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য, ডিটারজেন্ট, সাবান বা শ্যাম্পু থেকে এ রোগের সংক্রমণ হতে পারে।
এলার্জি হয় এমন বস্তু যেমন- পরাগ রেণু, ধুলা, পশম, উল ইত্যাদি থেকে এটির সংক্রমন হতে পারে।
জিনঘটিত যেকোনো পরিবর্তনের ফলে ত্বকের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে এটির সংক্রমন হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী কোন রোগের কারনে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেলে বিখাউজ হতে পারে।
বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার কারনে ঘর্মগ্রন্থি বন্ধ হয়ে এটির সৃষ্টি হতে পারে।
পরিবেশগত কারণেও একজিমা হতে পারে। যেমন- অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা কিংবা স্যাঁতসেঁতে ভেজা আবহাওয়া ইত্যাদি।
আবার হরমোনঘটিত কোন পরিবর্তন, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিকের সময় কিংবা গর্ভাবস্থায় এটি হতে পারে।
লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ
ত্বক শুষ্ক বা খসখসে হওয়া, ত্বক লালচে, প্রদাহযুক্ত ত্বক বা ত্বকে চুলকানি ইত্যাদি একজিমার লক্ষণ। হাত ও পায়ের ত্বকে ছোট ছোট পানির ফুসকুড়ি হতে পারে। আবার ত্বকে সংক্রমণ হলে ত্বক ভেজা ভেজা হতে পারে এবং পুঁজ বের হতে পারে। ত্বকের যে সমস্ত জায়গা বারবার চুলকানো হয় সেগুলো পুরু হয়ে যেতে পারে।

কারা ঝুঁকিতে আছেন?

পরিবারের কোনো সদস্যের একজিমা বা বিখাউজ থাকলে অন্যান্য সদস্যদেরও হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ত্বক শুষ্ক বা রুক্ষ হলে এ রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশি কারন- এ ধরনের ত্বক ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারে না।
বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য, ডিটারজেন্ট, সাবান অথবা শ্যাম্পুর ব্যবহারের ফলেও এ রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এলার্জি হতে পারে এমন বস্তু যেমন- পরাগ রেণু, ধুলা, পশম, উল ইত্যাদির সংস্পর্শে একজিমার সংক্রমন হতে পারে।
জিনঘটিত কোনো পরিবর্তনের ফলে ত্বকের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে একজিমার সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
চর্মরোগে আক্রান্ত কোন রোগীর সেবাকাজে নিয়োজিত ব্যক্তির এ রোগ হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।
শহরাঞ্চালে বসবাসকারী শিশুদের ক্ষেত্রে এ রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি থাকে বিশেষ করে ডে-কেয়ার বা চাইল্ড কেয়ারে থাকা শিশুদের ক্ষেত্রে এ রোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।
অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা স্যাঁতসেঁতে ভেজা আবহাওয়ার ফলে, অর্থাৎ পরিবেশগত কারণেও একজিমা হতে পারে।
হরমোনঘটিত কোন পরিবর্তন, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিকের সময় কিংবা গর্ভাবস্থায় একজিমা হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী কোন রোগের কারনে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে একজিমার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনে ঘর্মগ্রন্থি বন্ধ হয়ে এটি হতে পারে।
একজিমা প্রতিরোধে করনীয়

যেসব বস্তু বিখাউজ বা একজিমার সমস্যা বাড়িয়ে তোলে বা যেসব খাবার খেলে এটি বাড়ে তা পরিহার করতে হবে।
সবসময় নরম ও আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে। সিনথেটিক বা উলের পোশাকে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে তা পরা যাবে না।
কাপড় পরিষ্কারের জন্য কৃত্রিম রঙ ও সুগন্ধিবিহীন সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে হবে।
ধূলাবালি, ফুলের রেণু এবং সিগারেটের ধোঁয়া অর্থাৎ যেগুলো থেকে অ্যালার্জি হতে পারে সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।
আক্রান্ত স্থান চুলকানো যাবে না।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে।
ত্বক শুষ্ক না রেখে, প্রয়োজনে কৃত্রিম রঙ ও সুগন্ধিবিহীন লোশন বা ক্রিম ব্যাবহার করতে হবে।
সবশেষে
এ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসের এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিকার আবিষ্কৃত হয় নি। নিজের প্রতি যত্নবান হলে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে চুলকানি বা এর বিস্তার থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হতে পারে। যেমনঃ খারযুক্ত সাবান ও অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য এড়িয়ে চলতে হবে, শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্রিম ও মলম ব্যাবহার করতে হবে, ত্বক শুষ্ক রাখা যাবে না, আরামদায়ক ও নরম পোশাক পরতে হবে, চর্মরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যপারে সতর্ক হতে হবে ইত্যাদি।
Dr. Salim Ullah.

""""এলার্জি থেকে বাঁচার ঘরোয়া উপায়"""এলার্জির যন্ত্রণা ভুক্তভোগীরাই জানেন।  অনেকের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে এটি।শুধু এলা...
25/08/2021

""""এলার্জি থেকে বাঁচার ঘরোয়া উপায়"""

এলার্জির যন্ত্রণা ভুক্তভোগীরাই জানেন। অনেকের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে এটি।শুধু এলার্জির ভয়ে সুস্বাদু সব খাবার সামনে রেখেও খেতে পারেন না। যার কারণে ভুগতে হয় পুষ্টিহীনতায়। আর চুলকানির বিড়ম্বনা তো রয়েছেই।

চিংড়ি, গরুর মাংস, ইলিশ কিংবা গরুর দুধ খেলে শুরু হয় গা চুলকানি বা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠা। এগুলো হলো আপনার এলার্জি থাকার লক্ষণ। তবে এ থেকে মুক্তি পেতে অনুসরণ করুন ঘরোয়া উপায়টি। যা সারাজীবনের জন্য বিদায় জানাতে পারেন এলার্জিকে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক উপায়টি-

ভালো করে ১ কেজি নিম পাতা রোদে শুকিয়ে নিন। শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুঁড়ো করুন এবং তা ভালো করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি কৌটায় ভরে রাখুন। এক চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ নিমপাতার গুঁড়া এবং ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে। কার্যকারিতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে। এরপর থেকে এলার্জির জন্য যা যা খেতে পারতেন না, যেমন- হাঁসের ডিম, বেগুন, গরুর গোশত, চিংড়ি, কচু, কচুশাক, গরুর দুধ, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য খাবার খান। আর সমস্যা হবে না।

আপনার শিশুকে ছোট থেকেই সব ধরনের খাবার, ফল ও সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করান। পারলে গরুর দুধও খাওয়ান একেবারে ছোট থেকে। এর ফলে, খাদ্যজাত এলার্জির হাত থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকবে সে।
Dr. Salim Ullah

"""বর্ষায় দাদ-অ্যাকজিমাসহ বিভিন্ন চর্মরোগ থেকে বাঁচার উপায়বর্ষা মৌসুমে ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ বেড়ে যায়। এ সময় স্যাঁতস্যা...
23/08/2021

"""বর্ষায় দাদ-অ্যাকজিমাসহ বিভিন্ন চর্মরোগ থেকে বাঁচার উপায়
বর্ষা মৌসুমে ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ বেড়ে যায়। এ সময় স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশের কারণে ছত্রাকজনিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়"""

Advertisement

চর্মরোগ হিসেবে নখকুনি থেকে শুরু করে নখে ফাঙ্গাসসহ দাদ, অ্যাকজিমায় অনেকেই ভুগে থাকেন। এসব চর্মরোগের কারণ হতে পারে ছত্রাক সংক্রমণ। এসব থেকে বাঁচতে বাড়তি সতকর্তা অনুসরণ করা উচিত। জেনে নিন করণীয়-

দাদ

শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাদ হতে পারে। এক্ষেত্রে চামড়ার ওপর গোল চাকার মতো লালচে ক্ষতস্থানের সৃষ্টি হয়। ফলে ক্ষতস্থানে চুলকানি হয়। ঘাড়, পায়ের পাতা, বগলে এ ধরনের ক্ষত হতে পারে। এ সমস্যার সমাধানে নিয়মিত কাপড় পরিষ্কার করতে হবে।

Advertisement

ক্ষতস্থানে নখ দ্বারা বেশি চুলকানো যাবে না। এর ফলে ক্ষত আরও মারাত্মক হতে পারে। প্রয়োজনে অ্যান্টি ফাঙ্গাল ক্রিম লাগাতে হবে। এরপরও যদি দাদের সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে হবে।

অ্যাথলেট ফুট

বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া ও পা ভেজা থাকার কারণে নখের ফাঁকে ফাঁকে ছত্রাক বাসা বাঁধে। ছত্রাক সক্রমণের ফলে দেখা দেয় অ্যাথলেট ফুট। সাধারণত পায়ের পাতা কিংবা দুই আঙুলের মাঝখানে চুলকানি বা জ্বালা অনুভূত হয়। ভালো করে পা ধুয়ে পরিষ্কার রাখা উচিত এ সমস্যা মোকাবিলায়।

চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, বেশিক্ষণ পা ভেজা অবস্থায় রাখা যাবে না। পা নিয়মিত সাবান দিয়ে ধুয়ে ভালো করে নখের ফাঁকে ফাঁকে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে অ্যান্টি ফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। টাইট জুতা পরবেন না। খোলা জুতা পরতে হবে।

Advertisement

অ্যাকজিমা

ছোট-বড় সবাই অ্যাকজিমার মতো চর্মরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে ত্বকে জ্বালা, ত্বক ফেটে যাওয়া, চুলকানি হয়ে থাকে। সাধারণত শুষ্ক ত্বকে অ্যাকজিমার সমস্যা প্রকট হয়ে থাকে। তাই সবসময় ত্বক ময়েশ্চারাইজড রাখতে হবে। ক্ষতস্থান বেশি চুলকানো যাবে না।

এক্ষেত্রে নারকেলের তেল ব্যবহারে আরামবোধ হবে। সব সময় সুতির কাপড় পরতে হবে। অ্যাকজিমার সমস্যা বাড়ন্ত হলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন। পাশাপাশি অ্যান্টি ফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহারে এ সমস্যার সমাধান হবে।

টিনিয়া ক্যাপিটিস

এই চর্মরোগের কারণে মাথার ত্বকে দাদ হয়। তবে এই ছত্রাকজনিত রোগের ফলে ক্ষতস্থান দেখা যেতে পারে ভ্রু ও দাড়িতেও। ছোঁয়াচে রোগ এটি। এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিকে সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এই রোগ।

এজন্য আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার্য জিনিসপত্র অন্যরা যাতে স্পর্শ না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এমনকি তোয়ালে, চিরুনি, টুপি, বালিশের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই চর্মরোগ। এক্ষেত্রে চুল বা দাড়িতে অ্যান্টি ফাঙ্গাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।

ফোঁড়া

ত্বকের ফোঁড়ার সাধারণ লক্ষণগুলো হলো লালচেভাব, ব্যথা, ফুলে যাওয়া এবং হলদেটে তরলে ভরা একটি ছোট ত্বকের ফুসকুড়ি। যা প্রচণ্ড ব্যথাযুক্ত। ফোড়ার স্থানে গরম ভাঁপ নিলে ওই স্থানে রক্ত সঞ্চারনের পরিমাণ বাড়বে। প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট করে ৩-৪ বার ফোড়ার স্থানে গরম ভাঁপ নিলে ব্যথা কমবে।

হলুদ গুঁড়োতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে। এসব বৈশিষ্ট্য ফোঁড়ার ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি দেয়। দীর্ঘদিন ধরে যদি ফোঁড়ার ব্যথায় ভুগেন, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

অ্যালার্জি

বর্ষায় ব্রণ এবং একজিমার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর্দ্রতা এবং পরিবর্তিত আবহাওয়া ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব, ব্রণ এবং একজিমা সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়াও বর্ষায় দেখা যায়, ত্বকের বিভিন্ন স্থানের লোমের ফলিকগুলো প্রদাহে পরিণত হয়। যা ফলিকুলাইটিস নামে পরিচিত। ফলিকুলাইটিস সাধারণত বাহু, উরু, পশ্চাতদেশ এবং কপালে দেখা দিতে পারে।

বর্ষাকালের আরও একটি সাধারণ এলার্জি হলো হাইপারপিগমেন্টেশন। যা ত্বকে, বিশেষ করে মুখে গাঢ় প্যাঁচ সৃষ্টি করে। এ সময় শরীরের বিভিন্ন ভাঁজ যেমন- হাঁটু বা কনুইতে গিয়ে পৌঁছায় বিভিন্ন ছত্রাক। এর ফলে ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়।

Dr. Salim ullah

"""দাউদ রোগের কারণ ও প্রতিকার"""দাউদ এক ধরনের চর্মরোগ। সাধারণত শরীরের এক জায়গায় গোল চাকতির মত ফুসকুড়ি উঠে চুলকানি হয়। আর...
15/08/2021

"""দাউদ রোগের কারণ ও প্রতিকার"""

দাউদ এক ধরনের চর্মরোগ। সাধারণত শরীরের এক জায়গায় গোল চাকতির মত ফুসকুড়ি উঠে চুলকানি হয়। আর একেই দাউদ বলে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাউদ হতে পারে। এছাড়া দাউদ প্রথমে একটু থেকে হলেও পড়ে বাড়তে থাকে।

কারণ:
• ছত্রাকের কারণে দাউদ হয়ে থাকে। সাধারণত ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে জায়গা এবং ভালোভাবে আলোবাতাস পায় না এধরণের জায়গায় ছত্রাকের জন্ম হয়।
• অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা, আটসাট অন্তর্বাস ব্যবহার করলে, অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করলে এবং সংক্রামক ব্যক্তির কাপড়, গামছা ব্যবহার করলে দাউদ হতে পারে।
দাউদ কোথায় বেশি হয় :
• মাথার চুলের নিচে দেখা যায়।
• দাড়িতে দাউদ হয়।
• কুচকিতে ও রানের দুপাশে দাউদ হয়।
• পিঠ, পেট, গায়ে দাউদ হয়।
• পায়ের তলায় এবং পাতায় দাউদ হয়।
• নখে দাউদ হতে পারে।
লক্ষণ:
দাউদ হলে সাধারণত চামড়ার ওপর গোলাকার ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এটি দেখতে অনেকটা চাকার মতো যার কিনারগুলো সামান্য উঁচু হয়। যতই দিন যায় চাকার পরিধি বাড়তে থাকে আর কেন্দ্রের দিকে বা ভেতরের দিকে ভালো হয়ে যেতে থাকে। ক্ষত স্থান থেকে খুসকির ন্যায় ওঠে। কখনো কখনো পানি ভর্তি দানা ও পুঁজ ভর্তি দানা হয়। ক্ষত স্থান অত্যন্ত চুলকায়৷ মাথায় দাউদ হলে আক্রান্ত স্থানের চুল পড়ে যায়। কোমরে বা কুচকিতে হলে চামড়া সাদা ও পুরু হয়ে যায়। নখে হলে নখ অস্বচ্ছ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। দাউদ চুলকালে সেখান থেকে কষ পড়তে থাকে।
চিকিৎসা :
দ্রুত চর্ম ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
প্রতিরোধ:
• ক্ষতস্থান শুকনো রাখার চেষ্টা করা, যতটা সম্ভব তেল সাবান না লাগানো ভাল।
• সংক্রমণের জায়গাটা যতটা সম্ভব খোলা রাখতে হবে এবং গেঞ্জি, মোজা, আন্ডারওয়্যার প্রতিদিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে।
• উষ্ণ গরম পানি ও সাবান দিয়ে ভালভাবে ধৌত করে শুকিয়ে প্রয়োজনে ওষুধ ব্যবহার করা উচিৎ।
Post by,
Dr: salim ullah.

"""দাউদ রোগের চিকিৎসায় ৯ টি ঘরোয়া উপায়""" দাউদ এক প্রকার ফাঙ্গাল ইনফেকশন। একে ইংরেজিতে রিং ওয়ার্ম বলা হয়। এটি চুলকানির ম...
15/08/2021

"""দাউদ রোগের চিকিৎসায় ৯ টি ঘরোয়া উপায়"""

দাউদ এক প্রকার ফাঙ্গাল ইনফেকশন। একে ইংরেজিতে রিং ওয়ার্ম বলা হয়। এটি চুলকানির মতো কষ্টকর ত্বকের রোগ হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। শরীরের যেকোনো অংশেই এটা হতে পারে।

সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এটি ছোঁয়াচে রোগ। তাই এই রোগের প্রকোপ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

তবে আধুনিক মেডিসিনের সাহায্যে রিং ওয়ার্মের চিকিৎসা করা যেতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে যা খুব দারুন কাজে দেয়।

পেঁপে

রিংওয়ার্ম বা দাউদের প্রকোপ কামতে যদি নিয়মিত পেঁপেকে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার পাওয়া যাবে। আসলে এই ফলটির ভিতরে উপস্থিত অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপাটিজ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে ছোট একটা পেঁপের টুকরো নিয়ে দাউদের উপর লাগাতে হবে। তারপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে জায়গাটা।

নিম পাতা

এই প্রকৃতিক উপাদানটির ভিতরে উপস্থিত অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রপাটিজ দাউদের মতো ত্বকের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ নিম তেল নিয়ে দাউদের উপর বারে বারে লাগাতে হবে। তাহলেই দেখবেন সমস্য়া কমে যেতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত নিম তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়েও লাগালে কিন্তু এক্ষেত্রে দারুন উপকার পাওয়া যায়।

হলুদ

এতে রয়েছে বিপুল মাত্রায় অ্যান্টি-বায়োটিক প্রপাটিজ, যা এই ধরনের সংক্রমণের প্রকোপ কমাতে দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে প্রথমে অল্প করে হলুদ পানি বানিয়ে নিন। তারপর তাতে তুলে চুবিয়ে যে যে জায়গায় দাউদ হয়েছে, সেখানে আলতে করে লাগাতে থাকুন। প্রসঙ্গত, দিনে কম করে তিনবার এমনটা করলে রোগ সেরে যেতে শুরু করবে দেখবেন।

রসুন

এতে রয়েছে অ্যাজুইনা নামে এক ধরনের প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান, যা যে কোনো ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমাতে দারুন কাজে লাগে। তাই তো রিংওয়ার্মের ক্ষেত্রেও এই উপকরণ দারুন উপকারে লাগে। এক্ষেত্রে অল্প করে রসুনের কোয়া নিয়ে সেগুলিকে ছোট ছোট করে কেটে নিন। তারপর সেগুলিকে দাদের উপর রাখুন এবং ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। এমনটা সারা রাত রাখলেই দেখবেন ফল পেতে শুরু করেছেন। প্রসঙ্গত, রসুনের কোয়ার পেস্ট বানিয়ে ক্ষত স্থানে লাগালেও সমান উপকার পাওয়া যায়।

অ্যালোভেরা

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে শুধু নয়, ফাঙ্গাল ইনফেকশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে রাতে শুতে যাওয়ার আগে অ্যালোভেরা পাতা থেকে পরিমাণ মতো জেল সংগ্রহ করে দাউদের উপর সরাসরি লাগাতে হবে। সারা রাত রেখে পরদিন সকালে ধুয়ে ফলতে হবে। প্রতিদিন এই ঘরোয়া চিকিৎসাটি করলে অল্প দিনেই দেখবেন রোগ সেরে গেছে।

নারকেল তেল

এই প্রাকৃতিক তেলটিও দাউদের প্রকোপ কমাতে দারুন উপকারে লাগে। আসলে এই তেলটিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা এমন ধরনের ত্বকের রোগ সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে রাতে শুতে যাওয়ার আগে যে জায়গায় দাউদ হয়েছে সেখানে অল্প করে নারকেল তেল লাগিয়ে শুয়ে পরুন। সকালে উঠে জয়গাটা ধুয়ে দিন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন ফল পেতে শুরু করেছেন।

ভিনগার আর লবণ

পরিমাণ মতো লবণের সঙ্গে অল্প করে ভিনিগার মিশিয়ে একটা পেস্ট বিনিয়ে নিন। তারপর সেই পেস্ট রিংওয়ার্মের উপর লাগিয়ে কম করে পাঁচ মিনিট রেখে দিন। এমনটা প্রতিদিন করলেই দেখবেন সাত দিনেই রোগ সেরে যাবে।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার

একটা ছোট পাত্রে অল্প করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিন প্রথমে। তারপর তাতে তুলো ভিজিয়ে ক্ষত স্থান পরিষ্কার করুন। এমনটা দিনে কয়েক বার করলেই দেখবেন সমস্যা কমতে শুরু করে দিয়েছে।

সরষে বীজ

এমন ধরনের রোগের প্রকোপ কমাতে সরষে বীজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। পরিমাণ মতো সরষে বীজ নিয়ে কম করে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সময় হয়ে গেলে সরষে বীজগুলো সংগ্রহ করে বেটে নিন। তারপর সেই পেস্টটা ক্ষত স্থানে লাগান। এমনটা কয়েক দিন করলেই ভালো হয়ে যাবে।

Address

Cox's Bazar

Telephone

+8801824942316

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দাউদ একজিমা ও যে কোন চর্ম রোগের চিকিৎসা ও পরামর্শ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to দাউদ একজিমা ও যে কোন চর্ম রোগের চিকিৎসা ও পরামর্শ:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram