Skin care by Dr. Nishat Nujat Niloy

Skin care by Dr. Nishat Nujat Niloy Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Skin care by Dr. Nishat Nujat Niloy, Doctor, Cox's Bazar.

ডাঃ নিশাত নুজাত নিলয়
এমবিবিএস, ডিডি (Ireland)
পিজিটি (চর্ম ও যৌনরোগ)
Certified in Facial Aesthetics

চেম্বারঃ ইউনিয়ন হাসপাতাল কক্সবাজার

সময়ঃ
প্রতিদিন সকাল ১০-১টা
সোম, মঙ্গল, বুধ সকালে ও বিকালে ৪-৮টা
(শুক্রবার বন্ধ)

সিরিয়ালঃ 01533585075, 01889100305

আস্তাগফিরুল্লা 😰 এই রোগের বেপারে কে কে জানেন?? ছবিটায় যেটা দেখছেন ,এটা এক মানসিক রোগীর পাকস্থলীর ভিতর থেকে পাওয়া জিনিস এ...
06/11/2025

আস্তাগফিরুল্লা 😰 এই রোগের বেপারে কে কে জানেন??

ছবিটায় যেটা দেখছেন ,এটা এক মানসিক রোগীর পাকস্থলীর ভিতর থেকে পাওয়া জিনিস এর সমন্বয়।
তিনি মা*রা গেছেন এই Pica Disorder নামক এক ভয়াবহ রোগে, যেখানে মানুষ “খাবার নয় ,এইসব জিনিস” খেতে শুরু করে…

PICA আসলে কী?

Pica হলো এক ধরনের মানসিক ও আচরণগত ব্যাধি রোগ , যেখানে মানুষ নিয়মিতভাবে মাটি, কাদা, কয়লা, সাবান, চুল, কাগজ, প্লাস্টিক, এমনকি ধাতব জিনিসও খেতে থাকে, নরমাল খাওয়ার বদলে।
এমন আচরণ দেখা যায় সাধারণত সবসময়।

শিশুদের মধ্যে , গর্ভবতী নারীদের মধ্যে,

মানসিক বিকারগ্রস্ত বা অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের মধ্যে এই

PICA কেন হয়?

১️/পুষ্টিহীনতা : আয়রন এবং, জিংক, বা অন্যান্য মিনারেল কমে গেলে শরীর অস্বাভাবিক কিছু চায় এমনভাবে

২️/ মানসিক অসুস্থতা: ডিপ্রেশন, স্কিজোফ্রেনিয়া, অটিজম বা অন্যান্য সাইকিয়াট্রিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্তদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
৩️/অবহেলা ও ভালোবাসার ঘাটতি: বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে মানসিক একাকিত্ব বা ট্রমা থেকেও শুরু হতে পারে।
৪️/গর্ভাবস্থায় হরমোন পরিবর্তন ও আয়রন ঘাটতিও গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

এই রোগে মানুষ কী খায় আসলে?
মাটি, ছাই, ইটের গুঁড়া, কয়লা, কাগজ, কাপড়, প্লাস্টিক, বোতলের ঢাকনা
সাবান, টুথপেস্ট, এমনকি চুলও!

কি হতে পারে এর ফলে?

শরীরে বিষক্রিয়া
অন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়া (Intestinal obstruction)
ইনফেকশন, রক্তশূন্যতা
পেট ফেটে যাওয়া, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত

না হওয়ার জন্য করণীয়:
সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া

আয়রন, জিংক ও ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ,

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া,

পরিবারের সদস্য বা শিশুর আচরণ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ,

ভালোবাসা, মনোযোগ ও মানসিক সহায়তা
দেওয়া,

Pica কোনো “অদ্ভুত অভ্যাস” নয় শুধু এটা এক গভীর মানসিক ও শারীরিক সংকেত।
যদি এমন কিছু দেখেন, তাকে উপহাস নয়, সহানুভূতি ও চিকিৎসা দিন। ❤️শেয়ার করুন, জানুন মানুন থাকুন সুস্থ প্রতিদিন।

©

রাতের শিফটে এক বৃদ্ধ রোগী এলেন। বয়স ষাট, কিন্তু দেখলে মনে হয় আশির কাছাকাছি।শ্বাস নিতে পারছেন না, মুখে অক্সিজেন মাস্ক, চো...
06/11/2025

রাতের শিফটে এক বৃদ্ধ রোগী এলেন। বয়স ষাট, কিন্তু দেখলে মনে হয় আশির কাছাকাছি।
শ্বাস নিতে পারছেন না, মুখে অক্সিজেন মাস্ক, চোখে ভয়।
বললেন, “ডাক্তার, আমি বুঝে গেছি... এবার হয়তো আর ফেরা হবে না।”

এক্স-রে হাতে আসতেই বুকটা কেঁপে উঠল।
দুটো ফুসফুস যেন ধ্বংসস্তূপ ক্যান্সারে ভরা।
ওজন অর্ধেকেরও কমে গেছে, বুকের ভেতর জ্বলছে অজানা যন্ত্রণা।

আমি শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলাম,
“কত বছর ধরে সিগারেট খান?”
চোখ নামিয়ে উত্তর দিলেন,
“ছোটবেলা থেকে… প্রথমে বন্ধুদের সাথে মজা করে, তারপর একসময় অভ্যাস হয়ে গেল।”

তিনি শ্বাস টেনে বললেন,
“ডাক্তার, ভাবিনি একটা ছোট টান আমার শেষ নিঃশ্বাস কেড়ে নেবে…”

তারপর নিঃশব্দে চোখ বন্ধ করে রইলেন।

এই দৃশ্যটা আমি ভুলতে পারি না।
আর সেই কারণেই আজ লিখছি যুব সমাজের জন্য।

তুমি যে সিগারেটটা ধরছ,
তোমার হাত কাঁপছে না, কিন্তু তোমার ফুসফুস কাঁদছে।
তুমি ভাবছ, “একটা টানেই বা কী হবে?”
কিন্তু ঠিক এই একটা টানই তোমাকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলবে,
ঠিক যেমনটা করেছিল তাকে।

তুমি হয়তো এখনো শক্ত, হাসিখুশি, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়।
কিন্তু জানো কি ক্যান্সার একদিন ঠিক এই হাসিটাকেই নিঃশব্দে থামিয়ে দেবে।
তোমার মা তখন কাঁদবে হাসপাতালের করিডোরে,
আর তোমার বন্ধুরা লিখবে “ইস, যদি আগে বুঝত।”

আজ যাকে তুমি ট্যাগ করবে, মেনশন করবে
হয়তো সেই বন্ধু এখনো সিগারেট ধরছে।
ওকে বলো, “ভাই, তুই ছাড়। এখনই। না হলে দেরি হয়ে যাবে।”
কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার সময় দেয় না, সুযোগও না।

তুমি বাঁচো, তোমার পরিবার বাঁচুক
ধোঁয়ার ভেতর নয়, জীবনের আলোয়।

(Dr-Abdur Rahman)

বডির স্ট্রাকচার চেইঞ্জ করাকে বলা হয় Body Dysmorphic Disorder (BBD) এটা একটা সাইকোলজিকেল প্রবলেম।ব্যক্তিগত জীবনে উনারা শা...
05/11/2025

বডির স্ট্রাকচার চেইঞ্জ করাকে বলা হয় Body Dysmorphic Disorder (BBD) এটা একটা সাইকোলজিকেল প্রবলেম।

ব্যক্তিগত জীবনে উনারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে অসুস্থ থাকেন। সুখের থেকে দু:খেই উনাদের জীবন কাটে। আপনি যদি প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে প্রকৃতি আপনাকে ধ্বংস করে দিবে!
স্রষ্টার সৃষ্টিকে যারা বিকৃতি করেছে তাদের মৃ'ত্যু অত্যন্ত করুণ হয়েছে!

মাইকেল জ্যাকশনের কথা ভুলে যাননি নিশ্চয়!
মৃত্যুর পরেও ২০২৪ সালে যার আয় ছিল ৬০০ মিলিয়ন ডলার! যা অনেক জীবিত তারকাদের থেকেও অনেক বেশি! জীবদ্দশায় তিনি ২০বারেরও বেশি কসমেটিক সার্জারি করিয়েছেন! গালের হাড্ডির শেইপ পর্যন্ত চেইঞ্জ করেছেন! চেয়েছিলেন চির তরুণ থাকতে অনেকদিন বাঁচতে চেয়েছিলেন! ঘরভর্তি ডাক্তার রাখার পরেও মাত্র ৫০ বছর বয়সেই মারা গেলেন! এভারেজ হায়াতও পেলেন না!

মনে রাখবেন আপনি সৃষ্টি,, স্রষ্টা নয়! স্রষ্টার সৃষ্টিকে বিকৃতি করতে গেলে ইহকাল পরকাল ২টাই হারাবেন।

বয়স মাত্র ১৮… কিন্তু লড়ছে জীবন-মৃত্যুর সাথে। কারণ?একটু একঘেয়েমি, আর অবহেলা। ৫ দিন আগে হঠাৎ তীব্র পেটব্যথা নিয়ে ভর্তি হয় ...
05/11/2025

বয়স মাত্র ১৮… কিন্তু লড়ছে জীবন-মৃত্যুর সাথে।

কারণ?
একটু একঘেয়েমি, আর অবহেলা।

৫ দিন আগে হঠাৎ তীব্র পেটব্যথা নিয়ে ভর্তি হয় ছেলেটি।
খাবার খেতে পারে না, বমি হচ্ছে,
পেট বোর্ডের মতো শক্ত হয়ে গেছে,
শ্বাস নিতে কষ্ট, ৬–৭ দিন পায়খানা হয়নি।

এক্স-রে তে দেখা গেল পেটের ভিতরের অন্ত্র বা খাদ্যনালী ফেটে গেছে,
সেখান দিয়ে গ্যাস আর পায়খানা পুরো পেটের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ছে।

এই অবস্থায় এক মুহূর্ত দেরি না করে অপারেশন করাই দরকার ছিল।
কিন্তু পরিবার রাজি হলো না।
তারা ভাবল, “রক্ত জোগাড় করি, তারপর করব।”

আমরা বলেছিলাম
“রক্তের চেয়েও জরুরি এখন ফুটো হওয়া নাড়ীটা জোড়া লাগানো।”
তবুও তারা সময় নিল… ৫টা দিন!

আজ তারা রাজি হলো, কিন্তু তখন অনেক দেরি।
অপারেশনে গিয়ে দেখলাম খাদ্যনালীতে বড় ফাটল,
পুরো পেট পায়খানায় ভর্তি,
১০ লিটার স্যালাইন দিয়ে পরিষ্কার করা লাগল।
এখন রোগী আইসিইউতে।
হয়তো বাঁচবে, কিংবা…

যদি প্রথম দিনই সিদ্ধান্ত নিত
এই ১৮ বছরের জীবনটা হয়তো এখন হাসছিল।

খাদ্যনালীতে ফুটা কেন হয়?

১. অতিরিক্ত গ্যাসট্রিক আলসার থাকলে।
২. দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ওষুধ খেলে।
৩. অতিরিক্ত সিগারেট ও ধূমপান।
৪. স্টেরয়েড বা ক্ষুধার ওষুধ নিয়ম ছাড়া খাওয়া।
৫. সংক্রমণ, আঘাত বা টায়ফয়েডের জটিলতায়ও হতে পারে।

সময়মতো পরীক্ষা ও অপারেশনের গুরুত্ব

এই রোগে প্রতিটি ঘন্টা মূল্যবান।
দেরি মানেই অন্ত্রে ছিদ্র হয়ে মলদ্রব্য পেটে ছড়িয়ে পড়বে —
যা সেপসিস (রক্তে ইনফেকশন) হয়ে মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
অতএব –
পেটে হঠাৎ তীব্র ব্যথা, পেট ফুলে শক্ত হয়ে যাওয়া,
বমি, গ্যাস না হওয়া বা ২–৩ দিন পায়খানা না হওয়া
এই লক্ষণগুলো দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে যান।

©

৫ মাসের বাচ্চা, ওজন ৯ কেজি+! সত্যিই কি এটা সুস্বাস্থ্য?আজ সকালে এক মা বাচ্চাকে নিয়ে এলেন ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে। বয়স মাত্র...
04/11/2025

৫ মাসের বাচ্চা, ওজন ৯ কেজি+!
সত্যিই কি এটা সুস্বাস্থ্য?

আজ সকালে এক মা বাচ্চাকে নিয়ে এলেন ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে। বয়স মাত্র ৫ মাস। ওজন মেপে দেখি—৯ কেজিরও বেশি!

জিজ্ঞেস করতেই বললেন,
“ডাক্তার, আমি তো বাচ্চাকে ভাতের মাড় আর সেদ্ধ চালের আটা দেই, তাই এমন ভালো মোটা হয়েছে।”

কিন্তু পরীক্ষা করে দেখি, বাচ্চার শরীর ফোলা, মুখ ফুলে আছে — এটা আসলে ভালো স্বাস্থ্য নয়, বরং অপুষ্টির লক্ষণ!

৬ মাসের আগে বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ানো বাচ্চার জন্য খুব ক্ষতিকর।
এসব খেয়ে বাচ্চার হতে পারে —
❌ রক্তশূন্যতা
❌ নিউমোনিয়া
❌ অপুষ্টি
❌ বারবার ডায়রিয়া

👉 ওজন বেশি মানেই সুস্বাস্থ্য নয়।
সুস্থ বাচ্চা মানে যার বয়স অনুযায়ী বৃদ্ধি সঠিক এবং যে শুধু বুকের দুধে ভালো আছে।

মনে রাখবেন:
🔸 জন্ম থেকে ৬ মাস – শুধুই মায়ের দুধ
🔸 না পানি, না মাড়, না আটা, না সুজি, না সাবু কিছুই নয়।

04/11/2025

-স্যার আমার ডাইরিয়া হইসে, ভালো হইতেসে না।
-ঔষধ খেয়েছেন কোন?
-জ্বি স্যার, ফিলমেট খাইসি..
-আর?
-এমোডিস ও খাইসি..
-আর?
-জিম্যাক্স খাইসি..
-আর?
-জক্স ও খাইসিলাম একটা..
-আর?
-ইমোটিল নিয়া আসছি, এখনো খাই নাই, তবে কাল রাইতে রস্টিল ট্যাবলেট খাইসিলাম একটা..
- মাশাল্লাহ.. আর কিছু?
- না স্যার আর কিছু না। তয় শইলডা দুর্বল হই গেছে। এট্টু ভিটামিন খাওয়া লাগতে পারে মনে হইতেসে..

-বাহ, ভেরী গুড আইডিয়া। তা কয়দিন হইলো ডাইরিয়া???

-গতকাল দুপুর থেকে শুরু হইসে, আজ সন্ধ্যা পার হইয়ে যাইতেসে। এখনো কমতেসে না। ৮-৯ বার টয়লেট গেছি। স্যার এখন কি করবো?

- এখন বাসায় যাবেন, এরপর সব ঔষধ জানালা দিয়ে ফেলে দিবেন বাইরে।

-হ্যা স্যার?? কি কইলেন সার?

-জ্বী, সব ফেলে দেন। আর আমি চিকিৎসা বলে দিচ্ছি এখন, মন দিয়ে শুনুন।

এরপর তাকে চিকিৎসা দেওয়া হলো।

যারা কষ্ট করে এই লেখা পড়ছেন তাদের কেউ কেউ হয়ত জানতে চাচ্ছেন যে চিকিৎসাটা আসলে কি দিয়েছিলাম?
তার আগে বলতে চাই,
উনার মত আপনারাও যদি জেনে থাকেন যে ফিলমেট, ফ্লাজিল, এমোডিস, মেট্রো, জক্স, ইমোটিল এগুলো যত পারেন তত খাওয়াটাই ডাইরিয়ার ক্ষেত্রে আসল করনীয়,
তাইলে সেটা ভুল জানেন।

সঠিক কি করনীয় তা বলে দিচ্ছি আমি, কিন্তু তার আগে আপনাদের জন্য,

" বলুন তো?
কোন সেই পৃথিবীর সেরা হাসপাতাল যেখানে ডাইরিয়ার চিকিৎসা খুব ভালো হয়? যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিদেশী চিকিৎসক রা এসে এসে চিকিৎসা শিখেন? রিসার্চ করেন?"

গর্ব সহকারে উত্তরটা দিয়ে দেই,
সেই সেরা যায়গাটা আমাদের দেশে। জায়গার নাম ICDDR'B (International Centre for Diarrhoeal Disease Research, Bangladesh)..
অর্থাৎ আমাদের বিখ্যাত "মহাখালী কলেরা হাসপাতাল.."

৫৮ বছর পুরানো সেই প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন শত শত ডাইরিয়ার রোগী যায়।

যদি কখনো সেখানে রোগী হয়ে বা রোগী নিয়ে যান,
তাহলে দেখবেন তারা তাদের এত এত রোগীদের সাধারনত ঐসব ফিলমেট, মেট্রো, এমোডিস, ইমোটিল ইত্যাদির কোনটাই দেয় না।
শুধু তাই ই না, সচরাচর তারা এন্টিবায়োটিক-ই দেয় না। এন্টিবায়োটিক ছাড়াই হাজার হাজার ডাইরিয়ার রোগী তারা ভালো করছে এবং সুনামের সাথেই করছে।

আমার ফ্রেন্ড এর কাকা ওখানে ভর্তি হয়ে ঝগড়া করে এসেছে। ভর্তির দ্বিতীয় দিন ওদের সাথে বিশাল হইচই করে বলেছেন,
" হুমুন্দির ফুতেরা কি চিকিৎসা দেয়? হাগতে হাগতে শেষ হইলাম, আমাকে একটাও এন্টিবায়োটিক দিলো না, হ্যাতেরা কোন চিকিৎসা জানে নি??"

আমার কপাল খারাপ যে ঠিক ঐ সময় আমি উনাকে দেখতে গিয়েছিলাম। উনি হুবহু উপরের কথাগুলোই বলেছিলেন। লজ্জায় মাথা কাটা যায় এমন অবস্থা..

আপনাদের কি মনে হয়? উনারা বেকুব?
ICDDR'B এর ডাক্তার রা চিকিৎসা জানেন না?

যেখানে আপনার বাসার সামনে ফার্মেসী তে গিয়ে ডাইরিয়া হয়েছে বলার আগেই একটা ফিলমেট/ফ্লাজিল বা ইমোটিল গিলায় দেয়, সেখানে এতবড় প্রতিষ্ঠান, দেশ বিদেশের সবাই এক নাম এ চিনে, সেখানে ওরা সেই সব ঔষধ পারতপক্ষে দেয়ই না কেন??
নিশ্চই যুক্তি আছে।

যাক,
অনেক ভ্যান ভ্যান করেছি। এবার ডাইরিয়া হলে সঠিক ক্ষেত্রে করনীয় কি সেটা বলে দিচ্ছি..

সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষ আপনি।
একদিন মনের অজান্তে বাইরের খাবার বা জীবানুযুক্ত খাবার বা পানি খেয়েছেন,
আপনার পেটে ভুটভাট শুরু হয়েছে..
কিছুক্ষন পর শুরু হলো ডাইরিয়া.. পানির মত পায়খানা.. ডাইরেক্ট লাইন..সাথে বমি..সাথে জ্বর জ্বর ভাব।

এই রোগটিকে আমরা আমাদের ভাষায় বলি "গ্যাসট্রোএনটেরাইটিস"..

এই ডাইরিয়াটাই আপনাদের বেশী হয় এবং আপনারা অস্থির হয়ে যান বস্তা বস্তা এন্টিবায়োটিক খেয়ে ডাইরিয়া কে "যায়গামত ব্রেক কষাতে"..

আসলে যেটা আপনাদের বুঝতে হবে, এটাকে ব্রেক কষানো টা মূল চিকিৎসা না।
এ সময়ে মূল চিকিৎসা হলো শরীরের পানি ঠিক রাখা।
আবার বলি,
এ সময় মূল চিকিৎসা হলো শরীরের পানি ঠিক রাখা।

ডাইরিয়ার তীব্রতা ১-৫ দিনের মাঝে সাধারনত নিজে থেকেই কমে যাবে। আপনি শুধু শরীরে পানি ঠিক রাখেন।

আপনার যা যা করতে হবে তা হলো,

১.ওরাল স্যালাইন খাবেন, প্রতিবার পায়খানা হবার পর ১ গ্লাস করে।
২. ঘরের বাইরে বানানো কিছু খাবেন না
৩.দুধ এবং দুধের তৈরী কিছু খাবেন না।
৪.ফল ও ফলের রস খাবেন না।
৫.যদি কোন ধরনের ভিটামিন জাতীয় ঔষধ খেতে থাকেন, সেটা বন্ধ করে দিবেন।
৬. ডাইরিয়া ব্রেক কষানোর জন্য কখনোই ইমোটিল জাতীয় ঔষধ (গ্রুপ - লোপেরামাইড) খাবেন না। সাবধান।
৭. ভাত মাছ রেগুলার সব খাবার স্বাভাবিক যেমন খেতেন তেমনই খাবেন।

উপরে যেই ৭ টা কথা বললাম, ডাইরিয়ার চিকিৎসার মূল অংশ ঐটাই।
বাকি থাকে এন্টিবায়োটিক এর প্রসংগ।
সে ক্ষেত্রে সুজোগ করে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। তিনি কোন এন্টিবায়োটিক যদি সাজেস্ট করে থাকেন, তাহলে সেটি ই খাবেন।

ার্জেন্সী_হাসপাতালে_ভর্তি_লাগবে?

-যদি পর্যাপ্ত স্যলাইন খেতে না পারেন, বমি বেশী হয়..
-যদি আলাদা করে প্রস্রাব হওয়া বন্ধ হয়ে যায় (পায়খানার সময় তো প্রস্রাব হয় ই, আলাদা করে শুধু প্রস্রাব এর কথা বলেছি)
-যদি হাত পা ব্যথা বা কামড়ানো টাইপ কষ্ট শুরু হয়..
-প্রচন্ড নিস্তেজ হয়ে যায়।

উপরের বর্নিত জিনিসগুলো হলে হয়তো হাসপাতালে ভর্তি লাগতে পারে
(বিদ্রঃ মহাখালী কলেরা হাসপাতাল ২৪ ঘন্টা এ কাজে নিয়জিত।)

আর হ্যা, আপনি হয়তো জোয়ান তাগড়া মানুষ। ডাইরিয়া হলে স্যালাইন খেয়ে টেয়ে ম্যানেজ করে ২-৩ দিনের মাঝে হয়তো সুস্থ্য হলেন। ডাক্তার হয়তো দেখানোর প্রয়োজন হলো না।
কিন্তু যদি বাসার বৃদ্ধ এবং একেবারে শিশুদের যদি সামান্য ডাইরিয়াও হয়, সেটার জন্যেও একবার অন্তত ডাক্তার দেখাবেন।

পরিশেষে,
এতবড় লেখায় আমার আসল মেসেজ বুঝতে পেরেছেন তো?
ছোট করে আবার বলি,

আপনার এবং আপনার আপনজনকে ডাইরিয়া হলে প্রথমে ঔষধের চাইতে স্যালাইন খেতে উৎসাহী করুন।
ডাইরিয়া হলে বস্তা বস্তা ঔষধ খেয়ে ওটাকে ব্রেক কষানোর জন্য অস্থির হবার দরকার নেই।
ভেতরের তৈরী দুষিত জিনিস বেরিয়ে যেতে দিন।
আপনি স্যালাইন খেয়ে শরীরে পানির পরিমান ঠিক রাখেন।
খাবারের নিয়মগুলো মানেন।
এইটুকু তেই আপনি ৮০% নিরাপদ।
এরপর ডাক্তার যদি মনে করেন যে এন্টিবায়োটিক লাগবে, সেটা যদি দেয়, তাইলে খাবেন।

সোর্সঃ icddr,b.

নাম তার চন্দনা। সে জানেনা তার কী অসুখ।   কেউ বলেনি কোনদিন! যতদিন যতবার সে জ্বরের জন্য নাপা বড়ি খেয়েছে  - ততদিন ততবার তা...
03/11/2025

নাম তার চন্দনা। সে জানেনা তার কী অসুখ। কেউ বলেনি কোনদিন!
যতদিন যতবার সে জ্বরের জন্য নাপা বড়ি খেয়েছে - ততদিন ততবার তার ঠোঁটের এই দশা হয়েছে!
আজ সে আমার চেম্বারে এসেছিল। নিজের জন্য নয়। তার মা অসুস্থ। তাই সংগে এসেছিল। আমি স্ব প্রনোদিত হয়ে চন্দনাকে দেখেছিলাম।
রোগটির নাম Fixed drug reaction বা এফ ডি আর। প্যারাসিটামল খেলে চন্দনার দূ'ঠোঁট কালো হয়ে যায়।অনেকদিন থাকে। কোন ঔষধ ছাড়াই আবার মিলিয়ে যায়।
চন্দনা আজ তার রোগ সন্মন্ধে জানলো। সে আর কোনদিন প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খাবে না।

‼️বিবেক কোথায় আমাদের?‼️একটা ৫ বছরের শিশু।নাম বলবো না, ছবিটাই সাক্ষী হয়ে থাকুক।একটি বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিল বাবা-মায়ের সাথে...
03/11/2025

‼️বিবেক কোথায় আমাদের?‼️

একটা ৫ বছরের শিশু।
নাম বলবো না, ছবিটাই সাক্ষী হয়ে থাকুক।

একটি বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিল বাবা-মায়ের সাথে।
চেয়ারের জন্য জায়গা না পেয়ে, এক ‘ভদ্রলোক’ পেছনের একটা চেয়ার ধরে টেনে এনে বসে পড়েন।
চেয়ারের এক পা পড়ে যায় এই নিষ্পাপ শিশুটির পায়ের উপর।

বাচ্চা কান্না করেছে, ব্যথা পেয়েছে — কিন্তু সবাই তখন ব্যস্ত খাওয়াতে, ছবি তুলতে, অনুষ্ঠানে!

৩ মাস পেরিয়ে গেছে আজ।
পায়ের এক কোণে ফুলে উঠেছে চাকা।সারকোমা নামক টিউমার হয়ে গেছে..
সে এখন ঠিকমতো হাঁটতে পারে না।
খাওয়ার চেয়ে কান্না বেশি, হাসির চেয়ে যন্ত্রণাই তার বেশি সঙ্গী।

আমি যখন প্রথম দেখি, বুকটা মোচড়ে ওঠে।

একটা দুর্ঘটনা হয়ে গেলে সেটা অনিচ্ছাকৃত হলেও, তার দায় কি আমাদের নয়?

অভিভাবকদের বলছি —
অনুষ্ঠানে গেলে শিশুদের দিকে খেয়াল রাখুন।
শিশুরা খেলবে, দৌড়াবে, কিন্তু আমরাই তো তাদের নিরাপত্তার রক্ষক!

আর যারা ‘ভদ্র’ হয়ে হুট করে বসে পড়েন, বিন্দু পরিমাণ বিবেক কি অবশিষ্ট আছে?

নিজে বসার আগে একবারও তাকিয়ে দেখলেন না কাকে চাপা পড়ছে?
আর এখন সে শিশু তীব্র ব্যথা নিয়ে কাটাচ্ছে প্রতিটি দিন।

এই সমাজে আমরা সবাই দোষী যদি আমরা নিরব থাকি।

ঘটনা ছোট মনে হলেও প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী।
আজ শিশুটির হাঁটার ভবিষ্যত অনিশ্চিত।

একটু সচেতনতা, একটুখানি দায়িত্ববোধ — এতটুকু কি আমরা করতে পারি না?

সচেতন হোন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন।
শিশুর নিরাপত্তা সবার আগে।

©

২৬ বছর বয়সী এক কৃষক মাঠে কাজ করছিলেন। দুপুরের আকাশটা ছিল ভারী, মেঘে ঢাকা। কেউ জানত না, কয়েক সেকেন্ড পরেই তার জীবনের সবচে...
02/11/2025

২৬ বছর বয়সী এক কৃষক মাঠে কাজ করছিলেন। দুপুরের আকাশটা ছিল ভারী, মেঘে ঢাকা। কেউ জানত না, কয়েক সেকেন্ড পরেই তার জীবনের সবচেয়ে বড় বজ্রপাত নেমে আসবে।

হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ—আলো ঝলক, তারপর অন্ধকার।
তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন, নিথর। প্রায় ১৫ মিনিট পর জ্ঞান ফিরে এলো, কিন্তু মনে নেই কিছুই—কি হয়েছিল, কোথায় ছিলেন, কিছুই না।
চিকিৎসকরা বললেন, তাঁর অ্যান্টেরোগ্রেড অ্যামনেশিয়া হয়েছে—অর্থাৎ, বজ্রপাতের পরের স্মৃতিগুলো পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছেন।

গলার চারপাশে আর বুকে দেখা গেল পোড়া দাগ—একটা অদ্ভুত নকশা। আসলে সেটি ছিল তাঁর গলায় থাকা লোহার লকেটের ছাপ, যেটার মধ্য দিয়েই বজ্রপাত শরীরে প্রবেশ করেছিল। তিনদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর তিনি পুরোপুরি সেরে ওঠেন, কিন্তু আজও সেই মুহূর্তের কিছুই মনে করতে পারেন না।
শুধু গলার দাগটা—স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে, যেন আকাশের সঙ্গে যুদ্ধের এক চিহ্ন।

বজ্রপাত শুধু বিদ্যুৎ নয়, এটা প্রকৃতির এক নির্মম বাস্তবতা।
বাংলাদেশে প্রতিবছর শত শত মানুষ বজ্রাঘাতে প্রাণ হারায়, অথচ সামান্য সতর্কতা থাকলে এই মৃত্যুগুলো রোধ করা যায়।

নিরাপদ থাকার কিছু সহজ উপায়:
১️ বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে দ্রুত খোলা জায়গা (ধানক্ষেত, মাঠ, পুকুরপাড়) ছেড়ে আশ্রয় নিন।
২️ গাছের নিচে আশ্রয় নেবেন না—বজ্রপাত সবচেয়ে বেশি গাছেই আঘাত হানে।
৩️লোহার বস্তু যেমন কোদাল, ছাতা, লকেট, চেইন—সব খুলে ফেলুন।
৪️ ঘরে থাকলে বৈদ্যুতিক যন্ত্র (টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল চার্জার) বন্ধ রাখুন।
৫️ গাড়িতে থাকলে জানালা বন্ধ রাখুন, সেটাই তুলনামূলক নিরাপদ আশ্রয়।
৬️ বজ্রপাতের সময় ফোনে কথা বলা বা গ্যাস লাইনের পাশে থাকা থেকেও বিরত থাকুন।

বজ্রপাত মুহূর্তের ঘটনা, কিন্তু তার পরিণতি আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়।
তাই আকাশ যখন গর্জে ওঠে—দৌড়াবেন না, আশ্রয় নিন।
জীবন আপনার, রক্ষা করাটাই সবচেয়ে বড় বুদ্ধিমত্তা।

~Dr-Abdur Rahman

ব্রণ নিয়ে হেলাফেলা নয়:এই ভদ্রলোক ব্রণের জন্য মুখে স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করেছিলেন, যার কারণে তার মুখের এই অবস্থা হ...
02/11/2025

ব্রণ নিয়ে হেলাফেলা নয়:

এই ভদ্রলোক ব্রণের জন্য মুখে স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করেছিলেন, যার কারণে তার মুখের এই অবস্থা হয়েছে।

ব্রণে স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার থেকে এবং মুখে রঙ ফর্সাকারী যেকোনো মলম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

পায়ের একজিমা। এটি কিন্তু ছোঁয়াচে রোগ নয়। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে বেড়ে গিয়ে ইনফেকশন সহ নানা রকম কম্পলিকেশন হতে পারে...
01/11/2025

পায়ের একজিমা। এটি কিন্তু ছোঁয়াচে রোগ নয়। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে বেড়ে গিয়ে ইনফেকশন সহ নানা রকম কম্পলিকেশন হতে পারে।

01/11/2025

দেড় বছরের বাচ্চা নিয়ে এক মা আসলেন চেম্বারে। বাচ্চার গো*পনাঙ্গে ঘা হয়ে একদম পু*ড়ে গেছে। আমি দেখার সাথে সাথে মাথায় হাত! জিগেস করলাম "এখানে কি ডেরুবিন লাগিয়েছেন?"
বাচ্চার মা অপরাধীর মতো মাথা নাড়লেন।

কিছু বলতে যাবো তার আগেই তিনি বললেন,
"ম্যাডাম, আমাকে অলরেডি বাসার সবাই অনেক বকা দিয়ে ফেলেছে, আর বকবেন না প্লিজ!"

আগে থেকেই অ*স্ত্র ফেলে দিয়ে কিউট সারেন্ডার। "আমি ছোটু, আমাকে মেরুনা" টাইপ কথাবার্তা! তাই আর বকা দিতে পারলাম না।
কিন্তু বাচ্চাটার জন্য মনে ব্যথা করতে লাগলো।

বললাম, "আপনার ভাগ্য ভালো যে বেচারা বাচ্চাটা কথা বলতে পারে না। না হয় আপনাকে বকা সে নিজেই দিত।" 😒

Address

Cox's Bazar
4700

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Skin care by Dr. Nishat Nujat Niloy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category