08/09/2024
আপনি স্বামী হিসেবে যদি আপনার স্ত্রীর প্রাপ্য মর্যাদা না দেন,তাকে মুল্যায়ণ না করেন এবং তাকে, তার পরিবারকে সম্মান না করেন তাহলে আপনার পরিবার অর্থাৎ আপনার স্ত্রীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মুল্যায়ণ করবে,সম্মান করবে এটা আশা করা বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়!
আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে মাথায় করে রাখেন তবে দুনিয়ার কে তাকে মুল্যায়ণ করলো কি করলো না এতে তার বিন্দুমাত্র যায় আসবে না।যায় আসবে কখন? যখন স্বয়ং আপনিই তাকে অসম্মান করবেন প্রতিনিয়িত এবং আপনিই বাইরের মানুষকে সুযোগ করে দিবেন তখন!!
আবার নিজেদের ব্যক্তিগত সব বিষয়ের পরামর্শ যদি আপনার পরিবারের লোক থেকেই নিতে হয় তাহলে স্বামী হিসেবে লজ্জিত হওয়া উচিত আপনার! স্বামী হবেন স্বামীর মতো,ব্যক্তিত্ববান,
ধৈর্য্যশীল,অভিভাবক। কিন্তু নিজেরই যদি অন্যের পরামর্শে চলা লাগে এবং পরামর্শ করতে গিয়ে ঝামেলা,ঝগড়া-ফাসাদ লেগে যায় তাহলে সেই পরামর্শ দাতার কি দরকার!!!
যে পরিবার (হতে পারে স্বামী,স্ত্রী,বাবা-মা,ভাই,বোন,যেকেউ) আপনার বিপদমুহূর্তেও আপনার দোষ চর্চা করতে ব্যস্ত থাকে সে আর যাই হোক নামে নামেই সে আপনার পরিবার হতে পেরেছে কিন্তু পরিবার হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা তার মধ্যে নেই!!
একটা জিনিস মাথায় রাখবেন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কই একমাত্র সম্পর্ক যেটা রক্তের না হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহই স্বয়ং এর ফয়সালা দেন যে আপনার জীবনসঙ্গী কে হবে এবং জন্মেরও ৫০ হাজার বছর আগে তা লিখিত ছিলো যে কে হবে আপনার জীবনসঙ্গী!! শুধু তাই নয় জান্নাতে এই একটি সম্পর্কই পূণ্যের পাল্লা ভারী হলে দুজনেই একসঙ্গে থাকতে পারবেন অসীম কালের জন্য জান্নাতে!অন্য কোন সম্পর্কের কথা এতো জোর দিয়ে বলা হয়নি!! তবে জান্নাতে আল্লাহ সবার ইচ্ছাই পূরণ করবেন।মোদ্দাকথা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কতোটা মূল্যবান এই কথাগুলো বুঝলেই কিছুটা অনুধাবন করা যায়।
আর যারা এই জান্নাতী সর্ম্পকে ফাটল ধরাতে চায় তারা কতোটা নিকৃষ্ট মানুষ সেটা অনুমান করাই যায়।ইবলিশ সবথেকে বেশি খুশি হয় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারলে,ঝগড়া লাগিয়ে দিতে পারলে!!আর যেসব মানুষও ইবলিশের এসব কাজে সাহায্য করে তারাও নিঃসন্দেহে মানুষ শয়তান।আর মানুষ শয়তানও যে আমাদের মধ্যেই বিদ্যমান সেকথা কুরআন থেকে প্রমাণিত।