Model Mental Hospital

Model Mental Hospital মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত কুমিল্লায় একমাত্র প্রাইভেট মানসিক হাসপাতাল।

 #যেভাবে_টিনএইজ_সন্তানের_প্রেম_হ্যান্ডেল_করবেন।(বাদল সৈয়দ) 🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻গতকাল টিনএইজ প্রেমের সমস্যা নিয়ে লিখেছিলাম। আ...
31/10/2025

#যেভাবে_টিনএইজ_সন্তানের_প্রেম_হ্যান্ডেল_করবেন।
(বাদল সৈয়দ)
🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻

গতকাল টিনএইজ প্রেমের সমস্যা নিয়ে লিখেছিলাম। আজ লিখছি, এধরনের সমস্যা বাবা-মা কীভাবে হ্যান্ডেল করবেন সে ব্যাপারে। একমাত্র ভুক্তভোগী জানেন এটি কত বড় সমস্যা। তাই এ লেখার মাধ্যমে একজন উপকৃত হলেও ধন্য হবো।

১। প্রথমে নিজেকে সামলান।

টিনএইজ বাচ্চার প্রেমের খবর জানলে মা-বাবা সাধারণত খুব দ্রুত রিয়্যাক্ট করেন। সাধারণত তা হয় রাগারাগি, কান্নাকাটি, চেঁচামেচি, মারধোর। দয়া করে এগুলো করবেন না। শান্ত থাকুন। এ ধরনের সমস্যা কমন। আপনার বাচ্চার ক্ষেত্রে প্রথম হয়নি। তাই রাগারাগি বা খুব ইমোশোনাল আচরণ না করে ঠান্ডা মাথায় ব্যাপারটি হ্যান্ডেল করুন। এটা নিয়ে যত চেঁচামেচিই করুন না কেন সমস্যার সমাধান হবে না।বরং আপনার সন্তান আরো জেদি হয়ে উঠবে এবং কোনো কথা শুনবে না। তাই সবার আগে নিজেকে সামলান।

২। পার্টনারের সাথে আলোচনা করুন।

এ সমস্যার মুখোমুখি হলে স্বামী-স্ত্রী একান্তে তা কীভাবে মোকাবেলা করবেন সে ব্যাপারে আলোচনা করুন। এক্ষেত্রে মায়েরা অনেক সময় একটি ভুল করেন। তাহলো, ব্যাপারটি জানলে স্বামী রাগ করবেন ভেবে তা তাঁর কাছে গোপন রাখেন।নিজে নিজে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ চেষ্টা ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত বাচ্চার বাবা যখন জানতে পারেন তখন সমস্যাটি এত প্রকট হয়ে যায় যে, সমাধান অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই মা কিংবা বাবা যেই প্রথম ব্যাপারটি জানবেন, তিনি তা অপরজনকে জানাবেন। একার বুদ্ধিতে নয়, দুজনের বুদ্ধিতে সমস্যাটি মোকাবেলা করুন।

৩। সন্তানের সাথে খোলামেলা আলাপ করুন।

রাগারাগি না করে ব্যাপারটি নিয়ে সন্তানের সাথে খোলামেলা আলাপ করুন। বোঝার চেষ্টা করুন ব্যাপারটি কতদূর এগিয়েছে। তাকে নির্ভয়ে কথা বলার সুযোগ দিন। শোনার আগেই বিচারের রায় না দিয়ে তার বক্তব্য কী, কেন সে এ পছন্দে জড়ালো তা বলতে দিন। ওর বক্তব্য হয়ত আপনার পছন্দ হবে না, তারপরও শুনুন। এধরনের সমস্যা সমাধানে তার কথা শোনা অনেক কাজে লাগবে।

৪। ঠান্ডা মাথায় বোঝান।

তার বক্তব্য শোনার পর খুব ঠান্ডা মাথায় কেন আপনি এ সম্পর্ক সমর্থন করেন না তা বোঝান। বিপক্ষে বলার অনেক ক্লু ওর কথাতেই পেয়ে যাবেন। যেমন, যার সাথে সম্পর্ক তার অনিশ্চিত ভবিষ্যত, পারিবারিক ঝামেলা, যা ভবিষ্যতে সমস্যা করবে, এরকম অনেক ক্লু। তবে যাকে ওর পছন্দ তার বদনাম করবেন না, তার পরিবারকে টেনে এনে ছোটো কথা বলবেন না। এটি উলটো সমস্যা করবে। বরং ওকে বোঝান কেন এ সম্পর্ক প্র্যাকটিক্যাল নয়। ও যদি বুঝতে পারে আসলেই সম্পর্কটির ভবিষ্যত নেই তাহলে নিজেই সরে আসবে।

৫। টিনএইজ প্রেমের সমস্যা সম্পর্কে বলুন।

ওকে উদাহরণ দিয়ে টিনএইজ প্রেমে কী কী সমস্যা হয় তা বুঝিয়ে বলুন। আপনার আশেপাশেই এরকম উদাহরণ আছে। আমি গতকাল এধরনের প্রেমে কী সমস্যা হয় তা লিখেছি। চাইলে আমার পেইজ স্ক্রল করে তা পড়তে পারেন।

৬। ওর বন্ধুদের সাহায্য নিন।

এ বয়সের ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের কথা যত শুনে তার চেয়ে বেশি শুনে ওদের বন্ধু বা সমবয়স্কদের কথা। তাই ওর সবচে কাছের বন্ধবান্ধব বা কাজিনের সাথে কথা বলুন। তাদের অনুরোধ করুন ওকে বুঝিয়ে বলতে। ওরা বোঝালে কাজ হতে পারে।

৭। হুমকি দেবেন না।

অনেক মা-বাবা এধরনের সম্পর্কের কথা শুনে যার সাথে সম্পর্ক তাকে হুমকি দেন, ভয় দেখান, ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করেন। প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে এর ফলাফল নেগেটিভ। এতে দুজনে জেদ আরো বাড়ে এবং শুধু জেদের কারণে আরো গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

৮। বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করুন।

এরকম সমস্যায় পড়লে নিজেকে সন্তানের কাছে শত্রু বানাবেন না। বরং তার বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করুন। সে বিশ্বাস করবে, আপনি মান-সম্মান বা নিজ স্বার্থে নয়, ওর ভালোর জন্য উপদেশ দিচ্ছেন। এরকম একটি জায়গা তৈরি করলে সে আপনার উপর আস্থা রাখবে এবং ভুল সম্পর্ক থেকে সরে আসবে।


৯। সবাইকে বলে বেড়াবেন না।

দয়া করে জনে জনে আলাপ করে পরামর্শ চাইবেন না। এতে আপনার সন্তান অপমানিতবোধ করবে এবং আরো জেদি হয়ে উঠবে। ফলাফল হচ্ছে, সম্পর্কচ্ছেদ না করে সে জিদ করে আরো বেশি জড়াবে।

১০। ওর অনুভূতিকে অপমান করবেন না।

টিনএইজ বাচ্চারা খুব অনুভূতিপ্রবণ। ওদের অনুভূতিতে আঘাত করলে ওরা কখনোই তা মেনে নেয় না। বরং উল্টো আচরণ করে। তাই ওর অনুভূতিকে আঘাত না করেই ওকে বোঝান। মাথায় হাত বুলান, বলুন, 'এ সম্পর্ক শেষ করার কষ্ট আমি বুঝি। কিন্তু জীবনের বাস্তবতায় আমাদের অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। তোমার সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তোমাকেও মানতে হবে।'

১১। বিশ্বস্ত কারো পরামর্শ চাইতে পারেন।

জনে জনে না বললেও, খুব বিশ্বস্ত এবং আস্থা রাখা যায় এরকম কারো সাথে আলাপ করতে পারেন। যিনি পুরো প্রাইভেসি বজায় রেখে আপনাকে পরামর্শ দেবেন।

১২। ঘরে আটকে রাখবেন না: পড়াশোনা বন্ধ করবেন না।

পারতপক্ষে প্রেমের কারণে ওকে ঘরে আটকে রাখবেন না। যোগাযোগের এ যুগে চার দেয়ালের মাঝে আটকে রেখে প্রেম আটকে রাখা যায় না। ওকে স্কুল-কলেজে যেতে দিন। তবে তাকে একটি কথা বলবেন, তাহলো, ‘আমি তোমাকে বিশ্বাস করছি, এর অমর্যাদা করো না।‘ তার প্রতি এ শ্রদ্ধা ও আস্থা তাকে বন্দি রাখার চাইতে বেশি কাজ করবে বলে আমার ধারণা। তবে কতক্ষণ বাইরে থাকবে তা ঠিক করে দিন। যেমন, স্কুল বা কলেজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে হবে। অন্যকোথাও গেলে কোথায় যাচ্ছে তা জানাতে হবে। নির্ধারিত সময়ে বাড়ি ফিরতে হবে। এধরনের পরিস্থিতিতে কখনোই পড়াশোনা বন্ধ করবেন না।এতে তার জীবন ধ্বং*স হয়ে যাবে।

১৩। একে অন্যকে দোষ দেবেন না।

এধরনের সমস্যায় অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে দোষারোপ করেন। বিশেষ করে বাচ্চার মাদের দায়ী করা হয়। দয়া করে তা করবেন না। বরং দুজনে একসাথে সমস্যা মোকাবেলা করুন। নিজেরা ঝগড়াঝাটি করলে বাচ্চাকে সামলাবেন কখন?

১৪। ইট'স অ্যা পিউর মাইন্ড গেইম।

মনে রাখবেন, আপনার সন্তানকে এ সমস্যা থেকে বের করে আনার জন্য আপনি একটি মাইন্ড গেইম খেলছেন। এতে কে জিতবে আপনি না আপনার সন্তানের সর্বনাশা প্রেম? আপনি জিতবেন, যদি কৌশলী হন।যে কৌশলগুলোর কথা বলেছি সেগুলো প্রয়োগ করতে পারেন। মাইন্ড গেইম সাপ-লুডু খেলার মতো। একটি ভুল চাল দিলেন তো সাপ আপনাকে খেয়ে ফেলবে। তাই সাবধানে খেলুন। ভেবেচিন্তে খেলুন। আপনার জেতার উপর নির্ভর করছে সন্তানের ভবিষ্যত।


১৫। প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর।

অপ্রিয় সত্য হলো, টিনএইজ এমন একটি বয়স যখন কথা শোনানো খুব কঠিন। তাই সম্পর্কে জড়ালে তা থেকে সরিয়ে আনা খুব কঠিন। সেজন্য তাতে যাতে না জড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। এর জন্য যা করা দরকার তাহলো,

ক) টিন এইজে পা দিলেই সন্তানের সাথে এ ধরনের সম্পর্কের খারাপ পরিণতি নিয়ে খোলামেলা আচরণ করুন। আমার মেয়ে এ বয়সে পড়লে তার মা ব্যাপারটি নিয়ে ওর সাথে খোলামেলা আলোচনা করেছিলেন। এটি খুব কাজে লেগেছে।

খ) তার প্রতি সতর্ক নজর রাখুন। কার সাথে মিশছে খেয়াল রাখুন। বন্ধুদের মাঝে মাঝে বাসায় ডাকুন।তাহলে অনেক কিছু বুঝতে পারবেন। বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।

গ। স্মার্ট ফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুন। রাতে ঘুমানোর সময় ওর নাগালে এ দুটো বস্তু যাতে না থাকে তা নিশ্চিত করুন। বাসায় ওয়াইফাই থাকলে তা রাতে নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ রাখুন। মোবাইল সেট আপনার কাছে জমা দিতে বলুন। একেবারে প্রথমদিকে যদি এ নিয়মগুলো বেঁধে দেন ও মেনে নেবে। তাই স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার আগেই এ শর্ত ক্লিয়ার করুন। গভীর রাতে বাচ্চার হাতে মোবাইল ফোন ‘ইবলিশ’ হয়ে উঠতে পারে।

শেষ কথা হচ্ছে, টিনএইজ সন্তানের প্রেমের কথা জানলে ঝাঁটা নিয়ে 'তোর প্রেম বের করছি' বলে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। লম্বা দম নিন, তারপর ভাবুন, 'আমি একটু যুদ্ধে নামছি এবং যুদ্ধে জিতে ঠান্ডা মাথা, গরম মাথা নয়। তাই আমার মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।'
তারপর যুদ্ধে নামুন। দেখবেন, আপনি জিতবেন।

আপনার সন্তানের প্রেমজনিত সমস্যা বা কোন আসক্তির সমস্যা হলে
আপনার সন্তানের মনের যত্নে আমরা আছি আপনার পাশে
#মডেল_মানসিক_হাসপাতাল
🏥হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পাশে, গোলমার্কেট, সেকশন নং ০১, হাউজিং এস্টেট, মেডিকেল কলেজ রোড কুমিল্লা।
☎️০১৭১৬-৫৬৫০০৩. ০১৮৭৮-৪৬৪২০৫.


প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা মনোরম পরিবেশে মনোরোগের চিকিৎসার বৃহত্তর কুমিল্লায় একমাত্র আধুনিক প্রাইভেট মানসিক হাসপাতাল  #মডে...
30/10/2025

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা মনোরম পরিবেশে মনোরোগের চিকিৎসার বৃহত্তর কুমিল্লায় একমাত্র আধুনিক প্রাইভেট মানসিক হাসপাতাল
#মডেল_মানসিক_হাসপাতাল
(মানসিক ও আসক্তির সকল সমস্যার সমাধান)
🏥 হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পাশে, সেকশন নং ০১, গোলমার্কেট, হাউজিং এস্টেট, মেডিকেল কলেজ রোড, কুমিল্লা।
☎️০১৭১৬-৫৬৫০০৩. ০১৮১১-২৮০৫৩৮.

26/10/2025

একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশয়, যা অনেক বাবা মা এর মাঝেই সৃষ্টি হয়ে থাকে, তা হলো তত্বাবধান ও প্রতিপালনের মাঝে তালগোল পাকিয়ে ফেলা।
আপনার আদরের সন্তানের মনের অসুক কিংবা আসক্তির সমস্যার সমাধান পাবেন আপনার প্রিয় প্রতিষ্ঠান
#মডেল_মানসিক_হাসপাতাল ।
🏥 হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পাশে, সেকশন নং ০১, গোলমার্কেট, হাউজিং এস্টেট, মেডিকেল কলেজ রোড কুমিল্লা।
☎️ ০১৭১৬-৫৬৫০০৩. ০১৮১১২৮০৫৩৮

 #অলসতা_কীভাবে_মানসিক_স্বাস্থ্যকে_প্রভাবিত_করে!দৃশ্যপট- ১: সুমন একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ছোটবেলা থেকে এই...
19/10/2025

#অলসতা_কীভাবে_মানসিক_স্বাস্থ্যকে_প্রভাবিত_করে!
দৃশ্যপট- ১: সুমন একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ছোটবেলা থেকে এই পর্যন্ত নিয়ম মেনে চলা যেন তার একেবারে মজ্জাগত ছিল। সময়ের কাজ সময়ে করে ফেলার জন্য তার সুনাম ছিল পরিচিত মহলে। কিন্তু বিগত প্রায় মাস ছয়েক ধরে সেখানে ভর করেছে অসম্ভব অলসতা। সারাদিন হোস্টেলে নিজের রুমে শুয়ে শুয়ে মোবাইল গেম খেলা ছাড়া আর কোন কাজেই সে আগ্রহ পাচ্ছে না। এর ফলে, সুমনের ক্লাসের কাজ জমে যায়, পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সমস্যা হয় এবং তার আত্মবিশ্বাস হ্রাস পায়। প্রতিদিনই ভাবে যে এভাবে তো চলতে পারে না। আগামীকাল থেকে একেবারে ঠিক করে চলবে। কিন্তু সেই আগামীকাল আর আসে না। ইদানীং পরদিন নতুন করে শুরু করবে এটা ভাবলেও অনেক ক্লান্ত লাগে, মন থেকে আসে না উদ্যমটা। ফলাফল অলস বলে কুখ্যাতি অর্জন। সে ভাবে কি করে সে এমন অলস হয়ে পড়ল আর কিভাবেই বা মুক্তি পাবে?
দৃশ্যপট- ২: মুনিয়া একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। অনেক সংগ্রাম আর মানসিক দৃঢ়তার মিলিত ফলাফলে তার আজকের এই অবস্থান। নিজের পরিশ্রমী মনোভাব আর বুদ্ধিদীপ্ত চিন্তাভাবনার কারণে অতি অল্প সময়েই অফিসের একজন অপরিহার্য কর্মকর্তা হয়ে উঠে সে। ফলে, নিজের জন্যেও বরাদ্দ করা একগাদা কাজ তো আছেই, সাথে সহকর্মীদেরও অনেক কাজে টুকটাক এটা-সেটা করে দিতে হয় প্রতিদিন। এমনকি উর্ধতনরাও কোন সমস্যা হলেই আগে ডাক দেন মুনিয়াকে। শুরুর দিকে এসব উপভোগ্য থাকলেও এখন কেমন যেন ক্লান্ত লাগে। অতিরিক্ত কাজের চাপ, সেই সাথে ঠিক ভাবে করার মানসিক চাপ, আর সবার কাছে ভালো অবস্থান ধরে রাখতে পারার উদ্বেগের কারণে সে ধীরে ধীরে অলস হয়ে যাচ্ছে। করবো আর কি, আরেকটু পরে করবো, এভাবে করতে করতে জমে গেছে অনেক কাজ। এখন জমে থাকা কাজের দিকে তাকালে আরো অলসতা বেড়ে যায়। কাজ জমে থাকা এবং সময়মতো সম্পন্ন না করার ফলে তার চাকরিতে অনেক সমস্যা তৈরি হতে থাকে।
“কত রবি জ্বলে রে, কে বা আঁখি মেলে রে?”- অলসতার একটা আদর্শ গল্প থেকে নেয়া এই উক্তিটি যেন অলসতার চূড়ান্ত উদাহরণ হয়ে আছে। অলসতা একটি সাধারণ আচরণগত বৈশিষ্ট্য যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি শুধুমাত্র সময় নষ্ট করার প্রবণতা নয়, বরং এর মাধ্যমে জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে। এই যে অলসতা, এটা আসলে কি?
অলসতা বলতে বোঝায় কোনো কাজ করার ইচ্ছার অভাব বা কাজকে এড়িয়ে চলার প্রবণতা। এটি কখনো শারীরিক ক্লান্তি, কখনো মানসিক অবসাদ বা আত্মবিশ্বাসের অভাব থেকে উদ্ভূত হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে কোনো কারণে কারো যদি অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে উঠে তাহলে তার কুফল হিসেবে অলসতা দানা বাঁধে। উপরের উদাহরণের সুমনের মতোই শুরুর দিকে বিষয়টা বুঝা না গেলেও পরবর্তীতে এক বিরাট সমস্যা হিসেবে উদয় হতে পারে অলসতা। যেমন আমরা প্রায়ই দেখতে পাই, এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে ফেলার পর যে অখন্ড অবসর সময় পাওয়া যায়, তখন বেশি বেশি মোবাইল ব্যবহার, বা সিনেমা দেখা, বা রাত জাগা, বা অন্য কোন অনিয়মের সূচনা হয়। শুরুতে বাবা-মা কেউই এটাকে অত সমস্যা মনে করেন না; অবসর সময় – কি করবে, এসব ভেবে। যার ফলে পরবর্তীতে অলসতা জেঁকে বসে জীবনে।
তবে, মানসিক স্বাস্থ্যের কিছু সমস্যা সমস্যা থেকেও হতে পারে অলসতা। যেমন-
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ: অতিরিক্ত চাপগ্রস্ত হলে কাজ করার আগ্রহ কমে যেতে পারে। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ অলসতার একটি প্রধান কারণ।
ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা: বিষণ্ণতা মানুষকে কর্মহীন ও নিষ্ক্রিয় করে তুলতে পারে। এটি অলসতার সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটি।
আত্মবিশ্বাসের অভাব: কোনো কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারব না- এই ভয় অলসতাকে বাড়িয়ে তোলে।
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব: ঘুম কম হলে শরীর ও মন ক্লান্ত থাকে, যা অলসতার জন্ম দেয়।
প্রয়োজনীয় লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যের অভাব: জীবনে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকলে মানুষ অলস হয়ে পড়ে।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন অলসতার জন্ম দেয়, তেমনি অলসতাও মানসিক স্বাস্থ্যে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে এটি ধীরে ধীরে ব্যক্তি ও সমাজের ওপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে। যেমন- বিষণ্ণতা বৃদ্ধি। অলসতা বিষণ্ণতার একটি সাধারণ কারণ এবং ফলাফল উভয়ই হতে পারে। অলস সময় কাটানোর ফলে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা বেড়ে যায়, যা বিষণ্ণতার মাত্রা বাড়ায়। কাজের অভাব মানুষের মধ্যে একাকীত্ব এবং মানসিক অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে। আবার আত্মবিশ্বাস হ্রাস ঘটে অলসতার কারণে। অলসতার কারণে কাজের অনিয়মিততা ব্যক্তির আত্মবিশ্বাসকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সময়মতো কাজ সম্পন্ন না করতে পারলে অপরাধবোধ তৈরি হয় এবং আত্মবিশ্বাস আরও কমে যায়। অলসতা কাজের চাপকে আরও বাড়িয়ে তোলে। যখন কাজ জমে যায়, তখন উদ্বেগ এবং চাপের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এটি দীর্ঘমেয়াদে মানসিক স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে, হতে পারে যে কোন উদ্বিগ্নতাজনিত রোগ। শুধু তাই নয়, অলসতা মানসিক স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করে। জীবনে যদি কাজের গতিশীলতা না থাকে, তাহলে মানসিক স্থিরতা নষ্ট হয়। এটি দীর্ঘমেয়াদে আরও বড় মানসিক সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে। আর সামাজিক ক্ষতির কথা বললে বলতে হয় অলসতার ফলে সামাজিক কার্যক্রম থেকে বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়। এটি ধীরে ধীরে ব্যক্তি ও তার আশেপাশের মানুষের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে এবং একাকীত্বের জন্ম দেয়।
আর তাই অলসতাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিৎ। অলসতা কাটিয়ে উঠতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে কিছু কৌশল উল্লেখযোগ্য:
১. লক্ষ্য নির্ধারণ
নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকলে কাজ করার জন্য উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। ছোট এবং সহজ লক্ষ্য নির্ধারণ করে ধীরে ধীরে তা অর্জনের চেষ্টা করা উচিত।
২. দৈনন্দিন রুটিন তৈরি
নিয়মিত রুটিন মেনে চলা অলসতা কাটানোর একটি কার্যকর উপায়। রুটিনে সময়মতো ঘুম, খাওয়া, কাজ, এবং বিশ্রামের সময় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
৩. মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, এবং মানসিক চাপ কমানোর অন্যান্য কৌশল অনুসরণ করা যেতে পারে। এতে মনকে শান্ত রাখা যায় এবং অলসতার মাত্রা কমে।
৪. আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি
নিজের কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য আত্মপ্রত্যয়ী হওয়া জরুরি। ছোট ছোট সফলতা উদযাপন করলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
৫. প্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ
অলসতার অন্যতম কারণ হল অতিরিক্ত সময় প্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যয় করা। এর জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা এবং অন্যান্য কাজে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
৬. পেশাদার সাহায্য নেওয়া
যদি অলসতা অত্যধিক হয়ে যায় এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলে, তবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া উচিত।
অলসতা মানসিক ও শারীরিক সমস্যার পিছনে একটি বড় উপকরণ, যা সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব। এর প্রভাব শুধু ব্যক্তির ওপর নয়, বরং সমাজের ওপরও পড়ে। মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা এবং জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য অলসতা কাটিয়ে ওঠা অত্যন্ত জরুরি। ব্যক্তিগত সচেতনতা এবং সঠিক কৌশল অনুসরণ করলে অলসতাকে পরাজিত করা সম্ভব। তাই, অলসতাকে দূর করতে আর অলসতা নয়- সক্রিয়ভাবে চেষ্টা শুরু করুন এখনই।
ডা. পঞ্চানন আচার্য্য
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
স্বনামধন্য খ্যতনামা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পুরুষ ও মহিলা রোগীর সম্পুর্ন পৃথক ব্যবস্থাপনায় বহিঃবিভাগ ও অন্তবিভাগে দ্বীনি পরিবেশে পরিচালিত বৃহত্তর কুমিল্লায় একমাত্র আধুনিক প্রাইভেট মানসিক হাসপাতাল।
#মডেল_মানসিক_হাসপাতাল।
(মানসিক ও আসক্তির রোগীর সকল সমস্যার সমাধান)
🏥 হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পাশে, গোলমার্কেট, সেকশন নং ০১, হাউজিং এস্টেট, মেডিকেল কলেজ রোড কুমিল্লা।
☎️ ০১৭১৬-৫৬৫০০৩.
☎️ ০১৮৭৮-৪৬৪২০৫.
☎️০১৮১১-২৮০৫৩৮.

 #প্রযুক্তির_অবাধ_ব্যবহার,  #শিশুর_উপর_এর_নেতিবাচক_প্রভাব_কতটা?বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি আমাদের প্রধান সহায়ক। চলার পথে প্রা...
19/10/2025

#প্রযুক্তির_অবাধ_ব্যবহার, #শিশুর_উপর_এর_নেতিবাচক_প্রভাব_কতটা?
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি আমাদের প্রধান সহায়ক। চলার পথে প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা প্রযুক্তিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে চলি। প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ আমাদের জীবনকে করছে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। কিন্তু সেই সঙ্গে এই প্রযুক্তিই আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য হয়ে উঠেছে দুর্ভাগ্যের কারণ।
বর্তমান সময়ে লক্ষ্য করলেই দেখা যায় ছোট্ট শিশুদের দেবার মত সময় ব্যস্ত কর্মজীবী দম্পতির নেই। তাই শিশুকে ভুলিয়ে নিজেদের কাজে সুবিধা করার জন্য তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে সেলফোন বা ট্যাবলেট। যে বয়সে বাবা-মায়ের মুখে বিভিন্ন গল্প শোনে সময় কাটানো কথা, সে বয়সে আমরা তাদের দূরে সরিয়ে দিচ্ছি কার্টুন দেখতে দিয়ে। কার্টুন তো শিশুর অবশ্যই ভালো লাগার বিষয়। আর সেলফোন, ট্যাবলেট, টেলিভিশন ও কম্পিউটারের মত ডিভাইসগুলোও শিশুরা সব সময়ই উপভোগ করে। কিন্তু সেটারও একটা বয়স আছে, সময় আছে। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই সকল ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অনেক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। ডিভাইসগুলোর অতিরিক্ত ব্যবহার একটি শিশুর সামাজিক দক্ষতা উন্নয়নে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা, কাজের দায়িত্ব নেওয়া, ভালো আচরণ প্রদর্শন করা, মার্জিত ভাষা ব্যবহার, আবেগ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ, মৌখিক নির্দেশনা অনুসরণ এবং অন্যদের জন্য সহানুভূতি গড়ে তোলার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এছাড়াও একটি শিশু সামাজিক সংকেতে কম মনোযোগী ও কম শনাক্ত করতে পারে। শিশুর ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে বেশি সময় ব্যয় করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। শুধু তাই নয় এটি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিশোরদের মধ্যে যারা নিরবিচ্ছিন্নভাবে ফেসবুকে লগইন করে তাদের প্রবল রাগ, মানসিক বিপর্যয়, আক্রমণাত্মক, অসামাজিক আচরণ ও অস্পষ্টতা বেড়ে যায়। গবেষণায় আরো দেখা যায়, যারা নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং ভিডিও গেমস খেলে তারা বেশি উদ্বেগ এবং হতাশা প্রদর্শন করে। এটি মস্তিষ্কের নির্বাহী কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এই এক্সিকিউটিভ ফাংশন যেমন- পরিকল্পনা, অগ্রাধিকার দেওয়া, সংগঠিত করা, এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাও অন্তর্ভুক্ত। ফ্রন্টাল লোব হলো মস্তিষ্কের ক্ষেত্র, যা আমাদের নির্বাহী কার্য এবং জ্ঞানীয় দক্ষতা নিয়ন্ত্রণ করে। ইলেকট্রনিক্সের অত্যধিক ব্যবহারে ধূসর পদার্থ, ক্ষয় বা টিস্যু ভলিউমের ক্ষতি হতে পারে। ধূসর পদার্থ মেমরি, পেশি নিয়ন্ত্রণ, আবেগ, বক্তৃতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, স্ব-নিয়ন্ত্রণ, এবং দৃষ্টিভঙ্গি এবং শোনার মত কাজগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অত্যধিক ব্যবহার একটি শিশুর উপর শারীরিক প্রভাবও ফেলে। গবেষণায় আরো পাওয়া গেছে, যারা ভিডিও গেমস খেলে ও টেলিভিশন দেখার জন্য বেশি সময় ব্যয় করে তাদের স্থূলতা, ঘুমের সমস্যা এবং পেটের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। যে সকল শিশুরা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে ফেলে, তাদের মাঠে বা বাইরে খেলতে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তারা বাস্তবিক খেলনাগুলোতে আগ্রহ হারায়, প্রেরণার অভাববোধ করে এবং ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ছাড়া অন্য কিছুর প্রতি আগ্রহ থাকে না। আরো দেখা যায়, যারা বেশি সময় টেলিভিশন দেখে তারা পড়াশোনায় আগ্রহবোধ করে না এবং ধৈর্য ধারণের ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে। তাই আপনি যদি মনে করেন আপনার সন্তান ইতোমধ্যেই ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসে আসক্ত হয়েছে, তাহলে দ্রুত আপনার সন্তানের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো আনতে পদক্ষেপ নিন।
স্বাস্থ্যকর অনলাইন অভ্যাস গড়ে তুলতে উৎসাহ দিন
অনলাইনে এবং ভিডিও কলগুলোতে ভালো আচরণ প্রচার এবং পর্যবেক্ষণ করুন। আপনার শিশুদেরকে তাদের সহপাঠীদের প্রতি সদয় ও শ্রদ্ধাশীল হতে, পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে রুচিশীল হতে এবং শয়নকক্ষ থেকে ভিডিও কলে যোগদান এড়িয়ে চলতে উৎসাহিত করুন।অনলাইনে উৎপীড়ন বা অনুপযুক্ত অনলাইন সামগ্রী সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে স্কুলের নীতিমালা ও হেল্পলাইনের সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করুন। শিশুরা অনলাইনে বেশি সময় ব্যয় করার কারণে তাদের অনেক বেশি বিজ্ঞাপনের সংস্পর্শে আসতে হতে পারে, যেসব বিজ্ঞাপনে অস্বাস্থ্যকর খাবার, লৈঙ্গিক ধারণাভিত্তিক বা বয়স অনুপযুক্ত উপাদানের প্রচারণা থাকতে পারে। তাদের অনলাইন বিজ্ঞাপনগুলো শনাক্ত করতে এবং আপনার দেখা কিছু নেতিবাচক বার্তাসহ ভুলগুলো একত্রে খুঁজে বের করার সুযোগটি ব্যবহার করতে সহায়তা করুন।
আপনার সন্তানকে নিজে সময় দেন এবং ভালো বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে বলুন। ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহারে সময় নির্ধারণ করে দিন। সামাজিক কাজে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য উৎসাহ দিন। সন্তানদের সামনে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের ব্যবহার পরিহার করে, নিজেই হয়ে উঠুন সন্তানের আদর্শ মডেল।
মনের খবর
স্বনামধন্য খ্যতনামা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পুরুষ ও মহিলা রোগীর সম্পুর্ন পৃথক ব্যবস্থাপনায় বহিঃবিভাগ ও অন্তবিভাগে দ্বীনি পরিবেশে পরিচালিত বৃহত্তর কুমিল্লায় একমাত্র আধুনিক প্রাইভেট মানসিক হাসপাতাল।
#মডেল_মানসিক_হাসপাতাল।
(মানসিক ও আসক্তির রোগীর সকল সমস্যার সমাধান)
🏥 হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পাশে, গোলমার্কেট, সেকশন নং ০১, হাউজিং এস্টেট, মেডিকেল কলেজ রোড কুমিল্লা।
☎️ ০১৭১৬-৫৬৫০০৩.
☎️ ০১৮৭৮-৪৬৪২০৫.
☎️০১৮১১-২৮০৫৩৮.

🌋 “আমরা বাচ্চাদের সামনে রাগলে ওরাও শেখে কিভাবে রাগের বহিঃ প্রকাশ করতে হয়।আমরা অনেক সময় ভাবি  “আমি তো শুধু একটু রাগ করলাম...
18/10/2025

🌋 “আমরা বাচ্চাদের সামনে রাগলে ওরাও শেখে কিভাবে রাগের বহিঃ প্রকাশ করতে হয়।
আমরা অনেক সময় ভাবি “আমি তো শুধু একটু রাগ করলাম! এতে আবার বাচ্চার শেখার কী আছে?
কিন্তু মনোবিজ্ঞানে একে বলে Emotional Mirroring
মানে, বাচ্চা আপনার প্রতিক্রিয়াগুলো দেখে, শুনে, অনুভব করে । তারপর অবচেতনভাবে ঠিক সেটাই কপি করে।
🔸 আপনি যদি রাগের সময় চুপ থেকে নিজের আবেগ সামলান,
তাহলে বাচ্চা শিখবে নিজের রাগ শান্তভাবে প্রকাশ করতে হয়।
🔸 আপনি যদি রেগে গিয়ে চিৎকার করেন,
তাহলে বাচ্চা মনে করবে, “রাগ মানেই চিৎকার।”
কারণ বাচ্চারা শোনে না, দেখে শেখে।
তারা আমাদের কথার চেয়ে আমাদের আচরণ থেকে বেশি শিক্ষা নেয়।
🧠 গবেষণায় দেখা গেছে
যেসব বাচ্চা নিয়মিত রাগ, চিৎকার বা কঠিন পরিবেশে বড় হয়,
তারা বড় হয়ে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণে সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
কিন্তু যেসব বাচ্চা দেখে বাবা-মা কিভাবে শান্তভাবে পরিস্থিতি সামলায়,
তারা শিখে যায় emotional regulation ;মানে নিজের রাগ, ভয় বা কষ্টকে সামলানো উচিৎ।

 #প্রসব_পরবর্তী_মানসিক_সমস্যাপ্রথম সন্তান প্রসব পরবর্তী মায়েরদের মানসিক সমস্যা বেশ সাধারণ একটি বিষয়। প্রথম সন্তান প্রসবে...
16/10/2025

#প্রসব_পরবর্তী_মানসিক_সমস্যা
প্রথম সন্তান প্রসব পরবর্তী মায়েরদের মানসিক সমস্যা বেশ সাধারণ একটি বিষয়। প্রথম সন্তান প্রসবের পর শতকারা ৮৫ ভাগ মায়েদেরই বিশেষ কিছু মানসিক সমস্যা হয়। বেশিরভাগ সময়ই এ সমস্যাগুলোকে আমরা উপেক্ষা করে থাকি। অথচ এসব মানসিক সমস্যা মা ও শিশু উভয়ের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এমনকি মানসিক সমস্যাজনিত কারণে মায়ের হাতে শিশু মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে! বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, এসব মানসিক সমস্যায় সময়মতো ব্যবস্থা নিলে মা ও শিশুর যেমন তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যগত উন্নতি হয় তেমনি পরবর্তীতে এর অনেক সুফল লাভ করা যায়। প্রসব পরবর্তী মায়েদের মানসিক সমস্যাগুলো মৃদু থেকে তীব্রতর হতে পারে। তবে সমস্যা যেমনই হোক না কেন তীব্রতার মাত্রাভেদে এসব সমস্যা ভয়াবহতার দিক থেকে কোনটিকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কারণ প্রতিটি মানসিক সমস্যাই মা ও শিশু উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর ও অস্বস্থিকর। তবে সঠিক ধারণা থাকলে এবং যথা সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারলে সহজ ও সাবলীলভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব।
#সমস্যার_স্বরূপ
সন্তান জন্মলাভের কয়েকদিনের মধ্যেই শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মায়েদের কিছু মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। সামান্য মাথাব্যথা থেকে শুরু করে ঘুমের সমস্যা, খাওয়ার সমস্যা, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, যখন তখন কান্না পাওয়া, অকারণে খুব বেশি খুশি হয়ে যাওয়া, কথা বলতে না চাওয়া, সন্তানের পরিচর্যা না করা, মরে যাওয়ার চিন্তা করা এমনকি বাচ্চাকে মেরে ফেলার চিন্তাসহ অনেক ধরণের মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে। এমনকি কখনও হতাহতের মতো ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।
#স্থায়িত্ত্ব
সন্তানের জন্মের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে মাস কিংবা কখনও বছর পর্যন্ত এসব সমস্যা থেকে যেতে পারে। সাধারণত দেখা যায় সমস্যাগুলোকে আমলে না আনার কারণে এসব সমস্যার স্থায়িত্ত্ব অনেকাংশে বেড়ে যায়। এবং যথা সময়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে এসব সমস্যার স্থায়িত্ত্ব কমিয়ে আনা সম্ভব।
#সমস্যার_ধরণ
এক সময় ধারণা করা হতো সন্তান প্রসব পরবর্তী মানসিক সমস্যাগুলো এমন কিছু সমস্যা যা গর্ভধারণ ও শিশু জন্মের প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেছে সমস্যাগুলোর প্রকৃতি ও ধরণ অন্যান্য মানসিক রোগের মতোই। অর্থাৎ অন্যান্য মানসিক রোগের যেসব উপসর্গ থাকে এক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম উপসর্গ দেখা যায়। যার কারণে এসব সমস্যাকে অন্য কোন মানসিক রোগ হিসেবে না দেখে মূল মানসিক রোগের চিকিৎসাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে।
সন্তান জন্মদান পরবর্তী মানসিক সমস্যাগুলোকে মোটামুটি তিন ধরণে ভাগ করা যায়। যেহেতু সমস্যাগুলো সরাসরি সন্তান জন্মদানের সাথে যুক্ত সেহেতু তিনটি প্রকাশ রূপকে তিনটি নাম দিয়ে ব্যাক্ষা করা হয়।
১- মেটার্নিটি ব্লু বা পোস্টপার্টাম ব্লু
২- পিউরপেরাল ডিপ্রেশান বা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন (পোস্টপার্টাম মুড ডিজঅর্ডারও বলা হয়)
৩- পিউরপেরাল সাইকোসিস বা পোস্টপার্টাম সাইকোসিস
উল্লেখ্য এই তিন ধরণের সমস্যা একে অপরের চাইতে ভিন্ন।
কারণ
গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদানের প্রক্রিয়ার সাথে বেশকিছু হরমোন সরাসরি জড়িত থাকে। ধারণা করা হয় যে হরমোনের বিভিন্ন তারতম্যের কারণে এসব সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। তবে এ ধারণ বৈজ্ঞানিকভাবে পুরোপুরি সিদ্ধ নয়। তার চাইতে যাদের আগে কোন মানসিক সমস্যা ছিলো তার সাথে মিলিয়ে দেখার চেষ্টাই বেশি করা হয়। এছাড়া সন্তান জন্মের পর সন্তানের পরিচর্যা করা, অতিরিক্ত পরিশ্রম, কম ঘুম বা অতিরিক্ত চিন্তাকে এসব সমস্যার কারণ হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। মোটকথা হলো এসব মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন বিষয়কে সরাসরি দায়ি করা না হলেও যেহেতু সন্তান জন্মদান ও লালন-পালন একটি জটিল প্রক্রিয়া তাই এই প্রক্রিয়ার কোনকিছুর সাথে এর সম্পর্ক থাকতে পারে।
#কারা_এসব_সমস্যায়_আক্রান্ত_হয়?
সদ্য ‘মা’ হওয়া যে কেউই এসব মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। এমনকি প্রথম, দ্বিতীয় যেকোন সন্তান জন্মদান পরবর্তীই এসব সমস্যা হতে পারে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি ৫০০ জন মায়ের মধ্যে অন্তত একজন এসব সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকে। তবে বলা হয়ে থাকে প্রথম সন্তান জন্মদান পরবর্তী এসব মানসিক সমস্যার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়া উন্নত দেশগুলোর চাইতে উন্নয়নশীল দেশের মায়েদের এসব সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সমস্যার প্রকটতা বিবেচনা করে এটি বলা যায় যে, বাংলাদেশের গড়ে প্রতি ১মি. ৪০সে. সময়ের ব্যবধানে একজন করে মা এসব সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিত।
#চিকিৎসা
তিন প্রকারের সমস্যার মধ্যে ‘মেটার্নিটি ব্লু’ এর স্থায়িত্ত্বকাল সাধারণত এক সপ্তাহ হয়ে থাকে। সন্তান জন্ম দেয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে এসব সমস্যা আপনা আপনিই ভালো হয়ে যায়। যার কারণ এর নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তবে বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে নেয়া জরুরি। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রকার অর্থাৎ পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন এবং পোস্টপার্টাম সাইকোসিস-এর যথাযথ চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো রোগ নির্ণয় ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না নিলে এসব সমস্যা মা ও সন্তান উভয়ের জন্যই অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোও হয়ে থাকে সাধারণ ডিপ্রেশন ও সাইকোসিসের মতো।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন। আর তা হলো চিকিৎসা বা চিকিৎসা পদ্ধতি কোনটিই যে শিশুটির জন্য ক্ষতিকর বা অস্বস্থিকর অবস্থার কারণ না হয়। প্রয়োজনে শিশুটির সেফটি ও সিকুরিটির ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।(Moner khobor)
স্বনামধন্য খ্যতনামা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পুরুষ ও মহিলা রোগীর সম্পুর্ন পৃথক ব্যবস্থাপনায় বহিঃবিভাগ ও অন্তবিভাগে দ্বীনি পরিবেশে পরিচালিত বৃহত্তর কুমিল্লায় একমাত্র আধুনিক প্রাইভেট মানসিক হাসপাতাল।
#মডেল_মানসিক_হাসপাতাল।
(মানসিক ও আসক্তির রোগীর সকল সমস্যার সমাধান)
🏥 হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পাশে, গোলমার্কেট, সেকশন নং ০১, হাউজিং এস্টেট, মেডিকেল কলেজ রোড কুমিল্লা।
☎️ ০১৭১৬-৫৬৫০০৩.
☎️ ০১৮৭৮-৪৬৪২০৫.
☎️০১৮১১-২৮০৫৩৮.

সবকিছুর খেয়াল রাখতে গিয়ে আমাদের নিজের মনের খেয়াল আর রাখা হয় না। শেষ কবে জিজ্ঞেস করেছিলেন নিজেকে, "কেমন আছি আমি?"মানসিক স...
11/10/2025

সবকিছুর খেয়াল রাখতে গিয়ে আমাদের নিজের মনের খেয়াল আর রাখা হয় না।
শেষ কবে জিজ্ঞেস করেছিলেন নিজেকে,
"কেমন আছি আমি?"
মানসিক স্বাস্থ্য দিবসকে সামনে রেখে
Model Mental Hospital তাই জানতে চায় কেমন আছে আজ আপনার মন??
নির্দ্বিধায় জানিয়ে দিন কমেন্টে।

#মডেল_মানসিক_হাসপাতাল ゚viralシfypシ゚viralシ

World Mental Health Day 2025 আজকের দিনটি শুধুমাত্র একটি তারিখ নয়—এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, মানসিক স্বাস্থ্য কোনো বিলা...
11/10/2025

World Mental Health Day 2025

আজকের দিনটি শুধুমাত্র একটি তারিখ নয়—
এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, মানসিক স্বাস্থ্য কোনো বিলাসিতা নয়, এটি জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
প্রতি বছর আমরা নতুন থিম, নতুন স্লোগান শুনি,
কিন্তু কখনো কখনো একটাই প্রশ্ন যথেষ্ট হয় কারও জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে—
“তুই ঠিক আছিস?”

এই একটি বাক্য হয়তো কারও নীরব কান্না শুনতে পারে,
কারও একাকীত্বের দেয়াল ভাঙতে পারে,
কারও হারিয়ে যাওয়া হাসিটা ফিরিয়ে আনতে পারে।

আমরা কি সত্যিই একে অপরের প্রতি যত্নবান?
আমরা কি থেমে শুনি, বুঝি, পাশে দাঁড়াই?
Do we really care about them?

চলুন, আজকের এই World Mental Health Day-তে আমরা প্রতিজ্ঞা করি —
আমরা শুধু সচেতন হব না, আমরা সহানুভূতিশীল হব।
আমরা শুধু শুনব না, আমরা বোঝার চেষ্টা করব।
আমরা শুধু বলব না “আমি আছি”, আমরা থাকবও।
আপনার মনে অসুখে সবসময় ই আপনার পাশে আছে
#মডেল_মানসিক_হাসপাতাল
🏥হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পাশে, সেকশন নং ০১, হাউজিং এস্টেট, মেডিকেল কলেজ রোড কুমিল্লা।
☎️ ০১৭১৬-৫৬৫০০৩.

#বিশ্ব_মানসিক_স্বাস্থ্য_দিবস_২০২৫ #মানসিকস্বাস্থ্য






#মনের_জিজ্ঞাসাWorld Mental Health Day 2025

Address

House 03, Block N, Section 01, Housing Estate, Near Highway Police Super Office, Medical College Road
Cumilla
3500

Telephone

+8801716565003

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Model Mental Hospital posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Model Mental Hospital:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram