Sonaimuri Medical Center

Sonaimuri Medical Center It's a Private Clinic. Service: Out door Patient Treatmen, Pathology, ECG, Ultrasonography, etc.

আলহামদুলিল্লাহ্জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে ইনসাফ জেনারেল হসপিটালের কর্মকতারা এবং ল্যাব টেকনিশিয়ান আমার চেম্বারে হাজ...
01/03/2024

আলহামদুলিল্লাহ্
জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে ইনসাফ জেনারেল হসপিটালের কর্মকতারা এবং ল্যাব টেকনিশিয়ান আমার চেম্বারে হাজির।দন্যবাধ সকলকে।

03/10/2021
07/08/2021

করোনাকাল : ও জটিলতা

হালকা রোগে ভুগে যারা সেরে গেলেন বা যাদের সংক্রমণ হলেও উপসর্গ তেমন হল না ,তাদের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়না ।মাঝারি রোগীদের কিছুটা হয় ।বেশি হয় যারা প্রায় মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফেরেন তাদের ।কারণ প্রায় ৮০-৯০ ভাগ ক্ষেত্রে রোগ মৃদুই হয় ।১০-১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় ।তার মধ্যে মাত্র কয়েক জনকেই আইসিইউতে ভর্তি করতে হয় ।যে সমস্ত কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তার মধ্যে মোটামুটি ৪৫ শতাংশ রোগীর বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরও কিছুটা চিকিৎসা লাগে ।মাত্র এক শতাংশ মানুষকেই কেবল কোভিডের ধকল বয়ে বেড়াতে হবে জীবনভর ।

১.ফুসফুস

কোভিড থেকে সেরে ওঠার দেড় দু’মাস পরও কিছু রোগীর শুকনো কাশি থেকে যায় ।থাকে বুক জ্বালা ভাব ,গভীরভাবে শ্বাস টানতে,শ্বাস ধরে রাখতে ও ছাড়তে কষ্ট হয় ।এর প্রধান কারণ সংক্রমণ ও প্রদাহের ফলে ফুসফুসের কিছু অংশের স্থায়ী ক্ষতি হয় ।যত বেশি নিউমোনিয়ার বাড়াবাড়ি ক্ষতি হয় তত বেশি ।সিটি স্ক্যানে ধরা পড়ে ধূসর প্যাচ ।যাকে বলে গ্রাউন্ড গ্লাস ওপাসিটি ।হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৭০ জন জটিল রোগীর মধ্যে ৬৬ জনেরই ফুসফুসের ক্ষতি হয়েছে ।এদের অর্ধেকের মধ্যে পাওয়া গেছে ধূসর প্যাচ ।এমনকি উপসর্গহীন কোভিড রোগীদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা গেছে ।এবং তার কিছুদিন পরই জাঁকিয়ে বসেছে কোভিডের ভয়াল থাবা ।এই ক্ষতি সহজে নিরাময়যোগ্য নয় তার প্রমাণ আছে অতীতে ।একটি গবেষণা থেকে জানা যায় ,২০০৩-২০১৮ পর্যন্ত ৭১ জন সার্স রোগীর উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে এক তৃতীয়াংশের মধ্যে ফুসফুসের ক্ষতচিন্হ রয়েছে এবং তার হাত ধরে দৌড়ঝাপ করার ক্ষমতা কমেছে তাদের ।৩৬ জন মার্স রোগীকে পরীক্ষা করেও এই একই রকম তথ্য পাওয়া গেছে ।এই দুই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল একটি ফুসফুস ।কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে দুটি ফুসফুসেই ।কোভিড সমস্যা আরও বেশি হবে কীনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না ।তবে এইটুকু বলা যায় যে জটিল নিউমোনিয়া এবং এআরডিএস এ ভুগে ওঠলে ফুসফুসের যে ক্ষতি হয় ,তা সারতে ৬-১২ মাস সময় লাগে ।তারপরও পুরোপুরি ঠিক হবে কীনা তা বলা যায়না ।এর উপর যদি সিওপিডি হাঁপানি বা ইন্টারস্টিশিয়াল লাঙ ডিজিজ থাকে তাহলে ফুসফুসের কার্যকারিতা ফিরে আসবে বড়জোড় ৬০-৭০ শতাংশ ।সম্প্রতি ব্রিটেন এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কোভিড ১৯ এ গুরুতর আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছে,এমন হাজার হাজার মানুষকে হাসপাতালে যাবার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে ,তাদের ফুসফুস চিরকালের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কীনা তা পরীক্ষা করার জন্য ।বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ধারনা যারা যারা করোনাভাইরাসে গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন ,তাদের একটা বড় অংশের ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে,যাকে বলা হয় পালমোনারি ফাইব্রোসিস ।ফুসফুসের এই ক্ষতি থেকে চিরতরে সেরে ওঠা যায় না ,এবং এর উপসর্গগুলো হলো মারাত্মক শ্বাসকস্ট ,কাশি এবং ক্লান্তিবোধ ।পালমোনারি ফাইব্রোসিস হলো এক ধরনের রোগ যেখানে ফুসফুসের নরম অংশগুলো নস্ট হয়ে যায় এবং সেখানে স্থায়ী ক্ষতের সৃস্টি হয় ।কাজেই করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মূল্যায়ন করা এবং তাদের এই ক্ষতি কমাতে সাহায্য করা যায় কীনা সেটাই গবেষক এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের সামনে আরেকটা বড় চ্যালেন্জ ।

২.হ্রদযন্ত্র

আগে থেকে হ্রদরোগ না থাকলেও আইসিইউতে ভর্তি কোভিড রোগীদের প্রায় ১৯ শতাংশের হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।হার্ট ফেইলিওর ,অ্যারিদমিয়া ,হার্ট এটাক সবই হতে পারে ।ভবিষ্যতে হার্ট এটাক ,
স্ট্রোক এর আশংকা বাড়ে ।হার্টের পেশী দূর্বল হয়ে রক্ত সরবরাহের ঘাটতি হয় অনেকের ।ভাইরাসের প্রভাবে যাদের পেশীতে সরাসরি প্রদাহ বা মায়োকার্ডাইটিস হয় ।সেই ক্ষতির রেশ থেকে যেতে পারে দীর্ঘদিন ।ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে ধুমপান ও মদ্যপান ছেড়ে দিলেও চিকিৎসক না বলা পর্য়ন্ত পরিশ্রমের কাজ না করলে ৬-৮ সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয় ।

৩.কিডনি ও লিভার

কোভিডের জটিল পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় কিডনি ও লিভারের ।স্বাভাবিক হতে সময় লাগে কমপক্ষে ৩-৪ সপ্তাহ ।কখনও কখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়না ।বিশেষ করে যদি আগে থেকে জটিলতা থাকে ।

৪.রক্তের সমস্যা

উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জটিল কোভিড রোগীর শরীরে প্রচুর পরিমাণে রক্তের দলা জমতে থাকে ।এবং এথেকে নানা সমস্যা হয় ।

ক.জমাট রক্তের দলা ফুসফুসে জমলে পালমোনারি এমবলিজম নামের প্রাণঘাতী সমস্যা হতে পারে ।আইসিইউতে ভর্তি রোগীদের ২৩-৩০ শতাংশের এই সমস্যা হয় ।সেরে ওঠার পরও অনেকের ক্লান্তি, বুক ধড়ফড় ,শ্বাসকষ্ট থেকে যায় ।চলাফেরা ও কাজকর্মে প্রভাব পড়ে ।

খ.কারও জমাট রক্তের দলা পৌছে যায় মস্তিস্কে ।হয় স্ট্রোক ।

গ.জমাট রক্তের দলা হ্রদযন্ত্রের ধমণীতে জমে কারও কারও হার্ট এ্যাটাকের কারণ হয় ।

ঘ.কিডনিতে জমলে কিডনির ক্ষতিতো হয়ই ।ডায়ালায়সিস করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে ।সেরে ওঠার পরও কিডনির কার্যকারিতা কমে যায় ।

ঙ.পায়ের শিরায় জমে দেখা দিতে পারে ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস নামের জটিল অসুখ ।বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরও দেখা দিতে পারে এটি ।

এইসব কারণেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বেশ কিছুদিন রক্ত তরল রাখার ওষুধ খেয়ে যেতে হবে অনেক সময় ।সুতরাং করোনা সেরে যাওয়ার পরও শ্বাসকষ্ট ,অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা ,বুকে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দীর্ঘদিন রয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।ধুমপান এবং মদ্যপান বর্জন করুন ।নিয়মিত ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন ।ধীরে ধীরে শারীরিক ফিটনেস বাড়ান ।পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন ।
সচেতন হোন সতর্ক থাকুন ।স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথ ভাবে মেনে চলুন ।এবং সুস্থ থাকুন ।

25/07/2021

করোনাকাল : স্বাদ ও গন্ধ পাচ্ছেন না ?

স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া করোনার উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম ।কিন্তু কেবল স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া মানেই যে করোনা হয়েছে,তা না ও হতে পারে ।শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব হলেও স্বাদ ও গন্ধ চলে যেতে পারে ।

ভিটামিন বি১২ শরীরে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন ।আপনি যে স্বাদ ও গন্ধ পাচ্ছেন না,তার কারণ কিন্তু এই ভিটামিনের অভাবও হতে পারে ।শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা ,সংবেদনশীলতা কমে যাওয়া,স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার মতো সমস্যা কিংবা মানসিক সমস্যা ,ভারসাম্যতার অভাব,অসংলগ্নতাও দেখা দিতে পারে এই ভিটামিনের অভাবে ।

বিশেষ করে একটু বেশি বয়সেই মূলত এই ভিটামিনের অভাব দেখা যায় ।যাঁরা মূলত আমিষ জাতীয় খাবার কম খান বা নিরামিষভোজী ,তাঁদের শরীরে এই ভিটামিনের অভাব দেখা যায় ।কারণ মূলত মাংস,দুধ,ডিম ,পনির ,চিজ,দই, ইষ্ট,চিংড়ি মাছ,রেড় মিট,মুরগীর মাংস ,লিভার,সার্টিন,টুনা,স্যামনের মতো সামুদ্রিক মাছ,কাঁকড়া,মাশরুম ইত্যাদি খাবার থেকেই শরীরে এই ভিটামিন প্রবেশ করে ।কাজেই এই ধরনের খাবার না খেলে ভিটামিন বি১২ কম হতে পারে ।আর যারা দুধ খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সুখবর হলো ভিটামিন বি১২ এর নির্ভরযোগ্য উৎস এটি ।তবে নিয়মিত দুধ খেলে নিজের শারীরিক অবস্থা হিসেব করে যথাযথ ব্যয়ামও করতে হবে যুগপৎ ।এছাড়া অনেকেই শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর জন্য অস্ত্রোপচার করেন,তার ফলে শরীরে এই ভিটামিনের অভাব দেখা যেতে পারে ।

যাঁদের এই সমস্যা রয়েছে তাঁদের খাদ্যতালিকায় দুধ,ডিম ও মাংস রাখা জরুরী।যাঁরা একেবারেই নিরামিষভোজী ,তাঁরা যেন রুটি এবং ডালজাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখেন ।আর এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ খেলেও এই ভিটামিনের অভাব দূর করা যাবে ।

বর্তমানে বিশ্বের যেসব দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হচ্ছে ,সেই তালিকায় দ্বাদশ অবস্থানের রয়েছে বাংলাদেশ ।গত এক সপ্তাহের তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ তালিকা প্রকাশ করেছে ।করোনায় মৃত্যুর মিছিল ঠেকানোর একমাত্র কৌশল হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধিসমূহ কঠোরভাবে মেনে চলার সাথে সাথে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের বিকল্প আপাতত কিছু নেই ।
Copy. Dr Mujibur Rahman

18/12/2019
05/12/2019
29/05/2019

গর্ভধারণ ও প্রসবজনিত জটিলতায় গড়ে ১৫ জন মায়ের মৃত্যু হয় দেশে প্রতিদিন। প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি, গর্ভকালী...

Address

Vill:Sonaimuri, P. S: Barura
Cumilla
3500

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sonaimuri Medical Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram