15/11/2022
,,,,,,,,,,,,,,,,,,, #ডেঙ্গু ও প্রাথমিক চিকিৎসা #,,,,,,,,,,,,,,,,
ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত রোগ৷ এটা এডিস মশা দ্বারা ডেঙ্গু রোগীর থেকে সুস্থ মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়৷ এডিস মশা দেখতে গাঢ় নীলাভ কালো রঙের, মশার সমস্ত শরীরে আছে সাদাসাদা ডোরাকাটা দাগ ৷এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায় ৷ বেশিরভাগ ডেঙ্গু হয় বর্ষার সময় ৷ এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশের পর ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়৷
☠️☠️ডেঙ্গু সাধারণত দুই ধরনের হতে পারে -
➡️ক্লাসিক্যাল জ্বর এবং
➡️হেমোরেজিক জ্বর
,,,,,,,,,,,,ক্লাসিক্যাল জ্বর( Classical fever)
লক্ষণ-
👉তীব্র জ্বরের সঙ্গে কাপুনি, জ্বর ১০৩ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট উঠতে পারে৷
👉মাথাব্যাথা ও গলা ব্যাথা
👉মাংসপেশি এবং গিঁটে প্রচন্ড ব্যাথা
👉খাওয়ায় অরুচি
👉বমিবমি ভাব বা বমি হওয়া
👉জ্বর শুরু হওয়ার তিন চার দিন পর ত্বকে র্যাশ (লাললাল ফুসকুড়ি) বের হয়।
,,,,,,,,,,,, #হেমোরেজিক জ্বর (Haemorrhagic fever) :,,,,,,,,,,
এটি ডেঙ্গুর মারাত্মক অবস্থা। এ ক্ষেত্রে রোগীর ত্বকের নিচে রক্ত জমাট বাধে এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন পাকস্থলী ও অন্ত্রে রক্তক্ষরণ ঘটে। এ অবস্থায় রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে।
লক্ষণ-,,,,,,,..,,,,,,,
👉জ্বর ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে৷
👉তীব্র জ্বরের সঙ্গে কাপুনি
👉মাথা ব্যাথা ও গলা ব্যাথা
👉মাংস পেশি এবং গিঁটে প্রচন্ড ব্যথা
👉খাওয়ায় অরুচি
👉রক্ত বমি
👉ত্বকে র্যাশ (লাললাল ফুসকুড়ি) বের হয়
👉নাক দিয়ে রক্ত পড়া,
👉পায়খানার ও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়া
👉শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে
👉রক্তের চাপ কমে যায় এবং লসিকা গ্রন্থি ফুলে যায়
👉চোখ লাল হয়ে যায় এবং নাড়ীর গতি বেড়ে যায়
👉রোগীর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায় এবং পেটে তীব্র ব্যাথা হয়
,,,,,,,,, #ডেঙ্গু থেকে কী জটিলতা হতে পারে :,,,,,,,,,,,,,,,,
👉নিউমোনিয়া
👉অস্থিমজ্জার স্বাভাবিক ক্রিয়া ব্যাহত হওয়া
👉চোখের প্রদাহ
👉অন্ডকোষ এবং ডিম্বাশয়ের প্রদাহ
👉শক, রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে
👉রক্তপাত ফলে রক্তশূন্যতা
,,,,,,,,,,,,,,,, #প্রতিকার :,,,,,,,,,,,,,,,,,,
রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে ৷ রোগীকে বিশ্রামে থাকতে হবে ৷ প্রচুর তরল খাবার খেতে দিতে হবে ৷ ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গু সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনে ভালো হয়ে যায় ৷ হেমোরেজিক ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে ৷ ডেঙ্গুজ্বর আক্রান্ত রোগী কে মশারীর মধ্যে রাখতে হবে ৷
,,,,,,,,,,,,,, #প্রতিরোধ :
🙋♀️ মশার বংশ বিস্তারের স্থান গুলো নির্মূল করবেন কী ভাবে ?
🚸বাড়ির বাইরে গাছের টব ও জলাধার গুলো শুকনো, পানিশূন্য রাখতে হবে ৷ যেসব জিনিসে বৃষ্টি বা বৃষ্টির পানি জমা হয়, যেমন- পুরনো টায়ার, ডাবের খোসা ইত্যাদি বাসার আশে পাশে না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলে দিবেন।
🚸টবে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখুন
🚸ফ্রিজের নিচের ট্রেতে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখুন
🚸ফুলদানিতে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখুন
🚸জনস্বাস্থ্য কর্মীরা যাতে স্থির জলাধার, জলাবদ্ধ এলাকা পরিস্কার করে, নির্মাণ স্থলে বা বর্জ্য পানি ট্রিটমেন্টের স্থানে স্থিরজল সরিয়ে যাতে পাড়ার লোকের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা দেন এজন্য সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।
🙋♀️নিজেকে মশার কামড় থেকে রক্ষা করবেন কীভাবে?
🚸জানালা-দরজায় নেট এবং খাটে মশারি ব্যবহার করুন
🚸দিনের বেলা মশা তাড়াবার ক্রিম, মশারকয়েল, ভেপর ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
,,,,,,,,,,, #কীভাবে বুঝবেন ডেঙ্গু হেমোরেজিক (রক্তক্ষরণী) জ্বরঃ,,,,,,,,,,
✍️রক্ত পরীক্ষায় যদি অণুচক্রিকাবা প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যায়, তাহলে বুঝতে হবে এটি হেমোরেজিক বা রক্ত ক্ষরণী জ্বর। শকে চলে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, অস্থিরতা, অবসন্নতা, পেটে তীব্রব্যথা, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, ত্বক কুঁচকে যাওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া, বেশিবেশি প্রস্রাব হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্র রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে। পুনরায় রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে।
✍️প্রচুর তরল খাওয়াতে হবে। বিশুদ্ধ পানি যথেষ্ট পরিমাণে পান করাতে হবে। সেই সঙ্গে প্রস্রাবের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সময়মতো সঠিক ব্যবস্থাপনায় ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরও সারিয়ে তোলা যায়। বেশি রক্তক্ষরণ হলে ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা কিংবা কনসেনট্রেটেড প্লেটলেট অথবা প্রয়োজনে পূর্ণ রক্ত পরিসঞ্চালনের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,, রোগী কেন মারা যায় ?
অত্যধিক তাপ মাত্রার জ্বরের জন্য দেহে পানিশূন্যতা দেখা দেয় দ্রুত। কোষের অভ্যন্তরীণ তরল কমে যায়, আশপাশের রক্ত নালিতে চাপ পড়ে, শুরু হয় রক্তক্ষরণ।ইন্টারনাল ব্লিডিং। বেশিমাত্রায় রক্তক্ষরণ চলতে থাকলে অণুচক্রিকা বা প্লেটলেট সংখ্যায় কমে যায়। প্লেটলেট কমে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না, ফলে ধীরে ধীরে রক্ত ক্ষরণ আরও বাড়তে থাকে। দেখা দেয় শক সিনড্রম। শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। যথাযথ চিকিৎসা-ব্যবস্থাপনার অভাবে রোগীর দ্রুত অবনতি ঘটে।নেমে আসে অবাঞ্ছিত মৃত্যুর অন্ধকার।
,,,,,,ডেঙ্গুর অবস্থা বুঝতে পারলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে,,,,,
🌹আবারও বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে তাই সচেতন হওয়ার জন্য আপনার পরিচিত জনদের শেয়ার করুন এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন,,,,,,,,,, 🌹