Aesthetic & Baby Care

Aesthetic & Baby Care This page demonstrates the activities of the center which is popularly called as ABC.
(2)

It gives child disease care as well as skin care and also asthetic skin care.

31/10/2025

⚠️ “আমি মা হতে চেয়েছিলাম… কিন্তু আমার বাচ্চা জরায়ুর বাইরে ছিল!” 😢💔

এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি — যখন আশার ভেতরে লুকিয়ে থাকে ভয়ঙ্কর বিপদ

একটা মা হওয়ার স্বপ্ন…
দুটি দাগ দেখা টেস্ট কিটে — আনন্দে চোখে জল এসে যায়! 💖
কিন্তু জানেন কি, এই সুখবরের ভেতর কখনও কখনও লুকিয়ে থাকতে পারে এমন এক বিপদ,
যা মায়ের জীবন পর্যন্ত কেড়ে নিতে পারে? 😔

এই বিপদের নাম — Ectopic Pregnancy
(বাংলায়: জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ)

🌸 এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি আসলে কী?

স্বাভাবিকভাবে, একটি ডিম্বাণু (O**m) ও শুক্রাণু (S***m) মিলিত হয়ে নিষিক্ত ডিম্বাণু (Zygote) তৈরি হয়,
যা ফেলোপিয়ান টিউব দিয়ে জরায়ুতে পৌঁছে দেয়ালে লেগে বেড়ে ওঠে —
এই প্রক্রিয়াকেই বলে ইমপ্লান্টেশন (Implantation)।

কিন্তু এক্টোপিক প্রেগন্যান্সিতে এই নিষিক্ত ডিম্বাণুটি জরায়ুর বাইরে গিয়ে বসে যায় —
সাধারণত ফেলোপিয়ান টিউবেই,
কখনও ডিম্বাশয়, গর্ভাশয়ের গলা বা এমনকি পেটের ভেতরেও! 😳

ফলাফল?
শিশুটি সেখানে বড় হতে পারে না,
বরং তা মায়ের শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ও জীবনহানির ঝুঁকি তৈরি করে 😔

🚨 এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির মূল কারণগুলো

এটি একেবারে হঠাৎ হয় না। এর পেছনে অনেক কারণ কাজ করে —

1️⃣ পূর্বে Pelvic Infection (PID) থাকা
2️⃣ ফেলোপিয়ান টিউবের ক্ষতি বা ব্লকেজ
3️⃣ আগের কোনো টিউবল সার্জারি
4️⃣ আইভিএফ (IVF) বা আর্টিফিশিয়াল কনসিভ পদ্ধতি
5️⃣ ধূমপান বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
6️⃣ বয়স ৩০ এর ওপরে এবং পূর্বে গর্ভপাতের ইতিহাস

⚠️ এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির লক্ষণ — সময় থাকতে চিনে নিন!

প্রথমদিকে একে সাধারণ গর্ভাবস্থার মতোই মনে হয়, কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই আসে অস্বাভাবিক কিছু উপসর্গঃ

🔹 পেটের একপাশে তীব্র ব্যথা (lower abdominal pain)
🔹 অল্প রক্তপাত বা বাদামি discharge
🔹 কাঁধের ব্যথা (internal bleeding-এর লক্ষণ)
🔹 মাথা ঘোরা, দুর্বল লাগা, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

এমন উপসর্গ দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

🧪 কীভাবে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি ধরা পড়ে?

👩‍⚕️ রক্ত পরীক্ষায় (β-hCG Test) —
গর্ভাবস্থার হরমোন ঠিকভাবে বাড়ছে কি না দেখা হয়।

🩺 Ultrasound (বিশেষ করে Transvaginal USG) —
জরায়ুর ভিতরে ভ্রূণ আছে কি না দেখা হয়।
যদি জরায়ু খালি থাকে কিন্তু রক্ত দেখা যায় টিউবের পাশে,
তাহলেই সন্দেহ হয় এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির।

💊 চিকিৎসা: জীবন বাঁচানোর দৌড়

এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির চিকিৎসা নির্ভর করে পরিস্থিতির ওপর —

1️⃣ মেডিসিন (Methotrexate) —
যদি খুব প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে,
তাহলে এই ইনজেকশন দিয়ে ভ্রূণ কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করা যায়।

2️⃣ সার্জারি (Laparoscopy বা Laparotomy) —
যদি টিউব ফেটে যায় বা অভ্যন্তরীণ রক্তপাত শুরু হয়,
তাহলে জরুরি অস্ত্রোপচারে আক্রান্ত অংশ সরিয়ে মায়ের জীবন বাঁচানো হয়।

⛔ এক্ষেত্রে গর্ভ রক্ষা সম্ভব নয় — কিন্তু মায়ের জীবনটাই মূল লক্ষ্য।

💔 মানসিক দিক: এক হারানো আশার গল্প

এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি মানে শুধু শারীরিক বিপদ নয়, এটি মানসিক ধাক্কাও।
যে নারী মাতৃত্বের আশায় বুক বাঁধেন,
তাকে হঠাৎ বলা হয় — “তোমার বাচ্চা জরায়ুতে নয়…” 😢

এমন অবস্থায় মানসিক সহায়তা, পরিবারের সমর্থন, ও চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি।
ভবিষ্যতে আবার গর্ভধারণ সম্ভব — যদি চিকিৎসা ও বিশ্রাম সঠিকভাবে নেওয়া হয়।

🌿 কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?

💚 নিয়মিত গাইনোকোলজিস্ট চেকআপ করুন
💚 যৌনরোগ বা ইনফেকশন হলে অবহেলা করবেন না
💚 সুরক্ষিত যৌনজীবন বজায় রাখুন
💚 গর্ভপাত বা সার্জারির পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
💚 ধূমপান পরিহার করুন
💚 নিজের শরীরের প্রতিটি পরিবর্তনকে গুরুত্ব দিন

🌸 শেষ কথা

এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি হলো এমন এক বাস্তবতা যা অনেক মা বোঝেন না,
যতক্ষণ না ব্যথাটা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।
কিন্তু আপনি যদি জানেন, সতর্ক থাকেন,
তাহলে হয়তো আপনি বা আপনার প্রিয় কেউ জীবন হারানো থেকে বাঁচতে পারেন।

জীবন অমূল্য 💖
তাই নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান হোন,
এবং প্রতিটি গর্ভধারণের মুহূর্তে থাকুন সচেতন 🌼

#জরায়ুরবাইরে_গর্ভধারণ

31/10/2025

🌸 মা হওয়ার প্রস্তুতি — “প্রি প্রেগন্যান্সি কেয়ার”-এর সেই অজানা গোপন রহস্য 🌸

একটা নতুন জীবন পৃথিবীতে আনতে চাওয়া মানেই শুধু একটি স্বপ্ন নয় — এটি এক বিশাল দায়িত্ব, ভালোবাসা ও পরিকল্পনার সমন্বয়।
কিন্তু জানেন কি?
গর্ভধারণ শুধু “ঘটনা” নয়, এটি একটি “প্রস্তুতির যাত্রা”!

আজকের এই লেখায় জেনে নিন —
👉 গর্ভধারণের আগে ঠিক কীভাবে নিজের শরীরকে তৈরি করবেন,
👉 কখন আপনার শরীর “সর্বাধিক উর্বর”,
👉 এবং কোন ছোট ছোট সাইনগুলো ইঙ্গিত দেয় — “মা হওয়ার সময় এসে গেছে!” 💫

🩷 ১️⃣ প্রি-প্রেগন্যান্সি কেয়ার মানে কী?

“প্রি প্রেগন্যান্সি কেয়ার” মানে হলো গর্ভধারণের আগেই নিজের শরীরকে এমনভাবে প্রস্তুত করা,
যাতে ভবিষ্যতের মা ও শিশুর জন্য একদম সঠিক পরিবেশ তৈরি হয়।

এতে থাকে —
✅ শরীরের হরমোন ব্যালান্স রাখা
✅ ফার্টিলিটি ট্র্যাক করা
✅ সঠিক পুষ্টি গ্রহণ
✅ নিয়মিত ঘুম ও মানসিক প্রশান্তি
✅ ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন নেওয়া

এটিই সেই সময় যখন আপনি নিজের শরীরকে ভালোবাসার সবচেয়ে সুন্দর দায়িত্বে নিয়োজিত করেন — “একটি নতুন প্রাণের আশ্রয়দাতা” হওয়ার জন্য 🌼

🩷 ২️⃣ ফার্টাইল পিরিয়ড — কখন আপনার শরীর প্রস্তুত?

প্রতি নারীর মাসিক চক্রে (Menstrual Cycle) একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে যখন ডিম্বাণু (O**m) পরিপক্ব হয় ও নিঃসৃত হয় — এটিই হলো Ovulation Period।
এই সময়েই গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

👉 সাধারণত, ২৮ দিনের চক্রে ১৪তম দিনেই ডিম্বস্ফোটন ঘটে।
👉 ডিম্বাণু ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকে।
👉 শুক্রাণু ৩–৫ দিন পর্যন্ত নারীর শরীরে জীবিত থাকতে পারে।

তাই, মাসিক শুরু হওয়ার ১২–১৬ দিন আগে পর্যন্ত সময়টি সবচেয়ে উর্বর সময় (Fertile Window)।

🩷 ৩️⃣ সার্ভাইকাল মিউকাস — শরীরের ইঙ্গিত

নারীর শরীর নিজেই জানিয়ে দেয় কখন সে সবচেয়ে উর্বর।
এই সময় সার্ভাইকাল মিউকাস (গর্ভাশয়ের মুখের শ্লেষ্মা) হয়ে ওঠে
👉 পাতলা,
👉 টানটান,
👉 স্বচ্ছ ও ডিমের সাদা অংশের মতো।

এটি শুক্রাণুকে সহজে জরায়ুতে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
এই সময় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় 💞

🩷 ৪️⃣ বেসাল বডি টেম্পারেচার (BBT) — ছোট্ট সায়েন্টিফিক সিগনাল

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি থার্মোমিটারে নিজের তাপমাত্রা (Basal Body Temperature) মাপেন,
তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কখন ডিম্বস্ফোটন হয়েছে।

👉 ডিম্বস্ফোটনের পর শরীরের তাপমাত্রা ০.৩–০.৫° সেলসিয়াস বেড়ে যায়।
👉 এই পরিবর্তন বুঝে আপনি নিজের ফার্টাইল পিরিয়ড নির্ধারণ করতে পারেন।

এভাবে নিজের শরীরের “ন্যাচারাল সাইন” চিনে নেওয়াই হলো সচেতন মাতৃত্বের প্রথম ধাপ।

🩷 ৫️⃣ হরমোনের নাচ — Estrogen, Progesterone ও LH

প্রি-প্রেগন্যান্সি কেয়ারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় হরমোনগুলো।
• Estrogen: ডিম্বাণু পরিপক্ব করে।
• Luteinizing Hormone (LH): ডিম্বাণু বেরিয়ে আসার সিগন্যাল দেয়।
• Progesterone: গর্ভাশয়কে প্রস্তুত করে যাতে নিষিক্ত ডিম্বাণু সহজে স্থিত হতে পারে।

এই হরমোনগুলোর ভারসাম্য ঠিক রাখতে নিয়মিত ঘুম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, মানসিক প্রশান্তি, ও হালকা ব্যায়াম অত্যন্ত প্রয়োজন।

🩷 ৬️⃣ পুষ্টি ও ফলিক অ্যাসিড — ভবিষ্যতের শিশুর জন্য প্রহরী

গর্ভধারণের আগে থেকেই ফলিক অ্যাসিড (Vitamin B9) প্রতিদিন ০.৪ মিলিগ্রাম করে নেওয়া উচিত।
এটি শিশুর মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডের জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করে।
সাথে রাখুন —
🥗 সবুজ শাক,
🍊 আমলকি, লেবু, কমলা,
🥜 বাদাম, ডাল, বীজ ইত্যাদি।

একজন সচেতন মা নিজের খাবারের মধ্য দিয়েই সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করেন ❤️

🩷 ৭️⃣ ছোট ছোট অভ্যাস, বড় পরিবর্তন 🌿

গর্ভধারণের আগে কিছু ছোট্ট পরিবর্তন বিশাল প্রভাব ফেলে —
✨ ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
✨ প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম
✨ মানসিক চাপ কমান
✨ নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করুন
✨ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

আপনি যতটা নিজের শরীরকে বুঝবেন, ততটাই মাতৃত্বের পথ হবে সহজ, সুন্দর আর আত্মবিশ্বাসে ভরা।

🌸 শেষ কথা — “মাতৃত্ব কোনো গন্তব্য নয়, এটি একটি যাত্রা”

গর্ভধারণ মানেই শুধু মা হওয়া নয়, এটি নিজেকে নতুনভাবে জানার গল্প।
প্রতিটি নারীই পারেন — যদি তিনি নিজের শরীরের কথা শোনেন,
নিজেকে সময় দেন, ভালোবাসেন, আর প্রস্তুত হন ❤️

তাই আজই শুরু করুন —
একটি “প্রি প্রেগন্যান্সি জার্নি”
যেখানে থাকবে যত্ন, ভালোবাসা আর এক নতুন জীবনের আশা 🌺

31/10/2025

🌷 মা হওয়ার আগে যে ভিটামিনটি সবচেয়ে জরুরি — “ফোলেট” বা “ফলিক অ্যাসিড” 🌷

একটা নতুন জীবনের শুরুটা হয় যখন একজন নারী গর্ভধারণ করেন। কিন্তু সেই জীবনের নিরাপদ ও সুস্থ সূচনার প্রস্তুতি শুরু হওয়া উচিত গর্ভধারণের আগেই!
আর এই প্রস্তুতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো— “ফোলেট” বা “ফলিক অ্যাসিড”।

🌸 ফোলেট কী?

ফোলেট (Folate) হলো ভিটামিন বি৯ (Vitamin B9)-এর একটি প্রাকৃতিক রূপ, যা আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষ গঠনে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। এটি আমাদের DNA, জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল, রক্তকণিকা এবং স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ঠিক রাখে।
আমরা সাধারণত খাবার থেকে প্রাকৃতিকভাবে ফোলেট পাই — যেমন
🌿 শাকসবজি,
🥦 ব্রোকলি, ফুলকপি,
🥜 বাদাম ও বীজ,
🍊 কমলা, আমলকি ও অন্যান্য সাইট্রাস ফল,
🍞 ডাল, বিন, ছোলা ইত্যাদি থেকে।

তবে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সব সময় পর্যাপ্ত ফোলেট পাওয়া যায় না। তাই বিজ্ঞানীরা এর একটি কৃত্রিম পরিপূরক রূপ তৈরি করেছেন, যার নাম ফলিক অ্যাসিড (Folic Acid)।
এটি আসলে সাপ্লিমেন্ট আকারে ভিটামিন বি৯, যা ট্যাবলেট বা মাল্টিভিটামিন হিসেবে নেওয়া হয়।

👶 কেন গর্ভধারণের আগে ফলিক অ্যাসিড খাওয়া এত গুরুত্বপূর্ণ?

গর্ভধারণের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ড (স্নায়ুতন্ত্র) গঠন শুরু হয় — এই সময়টাকেই বলা হয় Neural Tube Formation Period।
এ সময় যদি মায়ের শরীরে পর্যাপ্ত ফোলেট বা ফলিক অ্যাসিড না থাকে, তাহলে শিশুর মধ্যে Neural Tube Defects (NTD) তৈরি হতে পারে।
এর ফলে হতে পারে মারাত্মক জন্মগত সমস্যা যেমন —
⚠️ Spina Bifida — শিশুর মেরুদণ্ড ঠিকভাবে বন্ধ না হওয়া।
⚠️ Anencephaly — শিশুর মস্তিষ্ক বা করোটির অসম্পূর্ণ বিকাশ।
⚠️ Cleft Lip / Cleft Palate — ঠোঁট ও তালু কাটা অবস্থায় জন্ম।
⚠️ Congenital Heart Defect — জন্মগত হৃদরোগ।

এই ভয়ংকর সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব শুধুমাত্র একটি ছোট্ট অভ্যাসে —
👉 গর্ভধারণের আগে থেকেই নিয়মিত ফলিক অ্যাসিড খাওয়া!

💊 WHO ও আন্তর্জাতিক পরামর্শ কী বলে?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং অনেক দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারত—
সব জায়গায় সুপারিশ করা হয়েছে যে,
যে নারী গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছেন, বা গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,
তাঁর প্রতিদিন খাওয়া উচিত—
০.৪ মিলিগ্রাম (৪০০ মাইক্রোগ্রাম) ফলিক অ্যাসিড।

👉 এটি গর্ভধারণের অন্তত ১ মাস আগে শুরু করতে হবে এবং
👉 গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাস পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে।

এই ছোট্ট ডোজটি শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্ট প্রায় ৭০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয় — এমনটাই প্রমাণিত তথ্য।

🥗 কীভাবে আমরা খাবার থেকে ফোলেট পাব?

ফোলেট পাওয়া যায় এমন অনেক সহজ খাবার আমাদের হাতের কাছেই —
✅ পালং শাক, কলমি শাক, মিষ্টি কুমড়ার পাতা
✅ ব্রোকলি, ফুলকপি
✅ ডাল, ছোলা, মসুর
✅ আমলকি, কমলা, লেবু
✅ বাদাম, কাঠবাদাম, সূর্যমুখী বীজ
✅ সম্পূর্ণ শস্যদানা (whole grains)

তবে শুধুমাত্র খাবার থেকেই পর্যাপ্ত ফোলেট পাওয়া সবসময় সম্ভব হয় না।
তাই ডাক্তাররা সাধারণত বলেন,
👉 “খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন একটি ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট নিন।”
এটি মায়ের শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি৯-এর মাত্রা বজায় রাখে,
আর শিশুর মস্তিষ্ক, স্নায়ু ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে।

💖 একজন হবু মায়ের জন্য এটি কেন ভালোবাসার প্রতীক?

একটি ছোট্ট ট্যাবলেট — কিন্তু এর ভেতরে আছে মায়ের ভালোবাসা, যত্ন আর বিজ্ঞান একসাথে।
ফলিক অ্যাসিড শুধু একটি ভিটামিন নয়, এটি একটি সুরক্ষা বলয় —
যা ভবিষ্যতের শিশুকে জন্মের আগেই রক্ষা করে নানা বিপদ থেকে।

যেভাবে একজন মা সন্তানের প্রথম নিঃশ্বাস নেওয়ার আগেই তার ভবিষ্যতের জন্য সংগ্রাম শুরু করেন,
ফলিক অ্যাসিড সেই সংগ্রামের প্রথম পদক্ষেপ।

🌼 শেষ কথা

প্রতি নারীর জন্য বার্তাটি সহজ —
“মা হওয়ার আগে নিজের শরীরকে প্রস্তুত করুন।”
একটি সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, এবং প্রতিদিনের ফলিক অ্যাসিড—
এই তিনটি বিষয় একসাথে রাখলে, আপনি তৈরি করবেন
একটি সুস্থ, বুদ্ধিমান ও হাসিখুশি শিশুর জন্মের গল্প 🌸

আপনি যদি মা হতে চলেছেন, বা সেই সুন্দর প্রস্তুতি নিচ্ছেন —
আজ থেকেই শুরু করুন এই ছোট্ট অভ্যাসটি 💊💕

#মাতৃত্ব #গর্ভাবস্থা #শিশুর_সুস্থতা

29/10/2025

বাবুকে প্রতিদিন কয়টা ডিম খাওয়াতে পারব

💉 “টিকা নেওয়ার পর জ্বর? ভয় নয়, বুঝুন কেন হয়!”বাচ্চা টিকা নেওয়ার পর হঠাৎ একটু জ্বর উঠলেই মা’র বুক কেঁপে ওঠে…সারারাত ঘুম...
29/10/2025

💉 “টিকা নেওয়ার পর জ্বর? ভয় নয়, বুঝুন কেন হয়!”

বাচ্চা টিকা নেওয়ার পর হঠাৎ একটু জ্বর উঠলেই মা’র বুক কেঁপে ওঠে…
সারারাত ঘুম আসে না, বারবার গায়ে হাত দিয়ে দেখে — “ওর তাপমাত্রা কি বেড়ে গেল?”
মায়ের মনে হাজার প্রশ্ন —
👉 এটা কি বিপজ্জনক?
👉 ভুল টিকা দিল?
👉 কিছু হয়েছে নাকি?

কিন্তু মা, একটু থামো…
এই জ্বরটাই আসলে তোমার সন্তানের শরীরের যুদ্ধ জেতার প্রমাণ! 💪

🩺 কেন টিকা দেওয়ার পর জ্বর হয়?

টিকা মানে শরীরে ছোট্ট একটা “প্র্যাকটিস ব্যাটেল” ⚔️
ডাক্তারের ভাষায়, টিকা শরীরে অল্প পরিমাণে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার অনুকরণ করে।
ওটা শরীর দেখে, চিনে, আর শেখে —
👉 “এটাই শত্রু, পরের বার এলে আমি লড়ব!”
এই শেখার প্রক্রিয়াতেই শরীর একটু গরম হয় — অর্থাৎ জ্বর আসে, কারণ শরীর ইমিউন তৈরি করছে! ❤️

তাই টিকা-পরবর্তী হালকা জ্বর, সামান্য ব্যথা বা অস্থিরতা একেবারেই স্বাভাবিক।
এটা ভয়ের নয়, বরং গর্বের কারণ — কারণ তোমার সন্তান এখন আরও শক্তিশালী হচ্ছে! 🌼

🧊 এই সময়ে কী করবেন?

✅ ঠান্ডা ভেজা কাপড়ে কম্প্রেস দিন (বিশেষ করে ইনজেকশন সাইটে)।
✅ পর্যাপ্ত দুধ বা পানি দিন – শরীর যেন ডিহাইড্রেট না হয়।
✅ প্রয়োজনে প্যারাসিটামল দিন (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)।
✅ অতিরিক্ত কাপড়ে ঢেকে রাখবেন না।
✅ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ – ভয় পাবেন না।

⚠️ কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?

যদি— 🚨 জ্বর ১০২°F এর বেশি হয়,
🚨 ২ দিনের বেশি স্থায়ী হয়,
🚨 বাচ্চা খাওয়া বন্ধ করে দেয় বা অস্বাভাবিক নিস্তেজ লাগে —
তাহলে দেরি না করে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।

❤️ একটুখানি জ্বর মানেই শরীর কাজ করছে ঠিক মতো

মা, মনে রাখো —
“A little fever today means protection for tomorrow.”
আজকের এই জ্বর মানে আগামীকাল আপনার সন্তান আরও শক্ত, আরও নিরাপদ।

তাই ভয় নয়, গর্ব করো 💪
আপনার সন্তান আজ ভবিষ্যতের রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে শিখছে!
🌸 একজন সচেতন মা হাজার ডাক্তারের চেয়েও বড় আশীর্বাদ।
আপনার ভালোবাসা আর জ্ঞানই আপনার সন্তানের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন। ❤️

#মায়ের_ভালোবাসা #টিকা_নিরাপদ

শিশুদের মধ্যে অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া : সমস্যা ও প্রভাবভূমিকা অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (Obstructive Sleep A...
29/10/2025

শিশুদের মধ্যে অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া : সমস্যা ও প্রভাব

ভূমিকা

অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (Obstructive Sleep Apnea – OSA) হলো একটি ঘুম-সংক্রান্ত ব্যাধি, যেখানে ঘুমের সময় উপরের শ্বাসনালী আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় বা অস্বাভাবিকভাবে ব্যাহত হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের মতো শিশুদের মধ্যেও এটি দেখা যায়, তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব অনেক বেশি গুরুতর কারণ তারা শারীরিক ও মানসিক বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে থাকে।

শিশুদের মধ্যে OSA-এর কারণসমূহ

শিশুদের ক্ষেত্রে অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো –
1. অ্যাডেনয়েড ও টনসিল বড় হয়ে যাওয়া – ঘুমের সময় এগুলো শ্বাসনালী বন্ধ করে দেয়।
2. স্থূলতা (Obesity) – অতিরিক্ত ওজনের কারণে গলায় চর্বি জমে শ্বাসনালীর চাপ সৃষ্টি হয়।
3. জন্মগত গঠনগত সমস্যা – যেমন ছোট চোয়াল, জিহ্বার আকার বড় হওয়া বা মুখ-গলার অন্যান্য গঠনগত ত্রুটি।
4. অ্যালার্জি বা নাকের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা – যেমন সর্দি বা নাক বন্ধ থাকা।

শিশুদের মধ্যে OSA-এর লক্ষণ
• ঘুমের সময় জোরে নাক ডাকা
• শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া বা হাঁপ ধরা
• মুখ খুলে ঘুমানো
• অস্থির ও অশান্ত ঘুম
• ঘন ঘন জেগে ওঠা
• রাতে বিছানা ভিজানো (bedwetting)
• দিনে ক্লান্তি, অমনোযোগিতা ও অতিরিক্ত ঘুমঘুম ভাব
• পড়াশোনায় মনোযোগের অভাব ও আচরণগত সমস্যা

শিশুদের উপর প্রভাব
1. শিক্ষাগত ও মানসিক প্রভাব
ঘুম ভালো না হলে শিশুদের মস্তিষ্ক যথেষ্ট বিশ্রাম পায় না। ফলে স্কুলে মনোযোগ কমে যায়, স্মৃতিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আচরণে খিটখিটে স্বভাব দেখা যায়। অনেক সময় ADHD-এর মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
2. শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া
গভীর ঘুমের সময় গ্রোথ হরমোন বেশি নিঃসৃত হয়। কিন্তু OSA-তে শিশুরা পর্যাপ্ত গভীর ঘুম পায় না, যার ফলে উচ্চতা ও ওজনের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়।
3. হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুসের জটিলতা
শ্বাস বারবার বন্ধ হওয়ার কারণে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌যন্ত্রে চাপ, এমনকি দীর্ঘমেয়াদে পালমোনারি হাইপারটেনশন হতে পারে।
4. সামাজিক ও পারিবারিক প্রভাব
শিশুর খারাপ ঘুমের কারণে পরিবারও সমস্যায় পড়ে। বারবার জেগে ওঠা, জোরে নাক ডাকা এবং দিনের বেলা বিরক্তির কারণে পারিবারিক পরিবেশে চাপ সৃষ্টি হয়।

প্রতিকার ও চিকিৎসা

শিশুদের মধ্যে অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া যথাসময়ে সঠিকভাবে নির্ণয় করা অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে –
• টনসিল বা অ্যাডেনয়েড সার্জারি (Adenotonsillectomy) – সবচেয়ে প্রচলিত ও কার্যকর চিকিৎসা।
• ওজন নিয়ন্ত্রণ – স্থূল শিশুদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম।
• CPAP মেশিন ব্যবহার – কিছু ক্ষেত্রে ঘুমের সময় শ্বাসনালী খোলা রাখতে এটি ব্যবহার করা হয়।
• অ্যালার্জির চিকিৎসা – যদি শ্বাসনালীতে বারবার প্রদাহ বা নাক বন্ধের সমস্যা থাকে।
• সুস্থ ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলা – যেমন নিয়মিত ঘুমের সময়, আরামদায়ক পরিবেশ ও সঠিক শোয়ার ভঙ্গি।

উপসংহার

শিশুদের মধ্যে অ্যাবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া একটি অবহেলিত কিন্তু গুরুতর স্বাস্থ্যসমস্যা। এটি শুধু ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং শারীরিক বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ, পড়াশোনা ও সামাজিক জীবনে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। অভিভাবকদের উচিত শিশুর নাক ডাকা, অশান্ত ঘুম, দিনের বেলা অমনোযোগিতা ইত্যাদি উপসর্গকে হালকাভাবে না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। যথাসময়ে চিকিৎসা শুরু করলে শিশু একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।

🌼 সাত মাস বয়সী বাচ্চার খাবারের রুটিন – অনেক মায়ের মনেই প্রশ্ন!ছয় মাস পেরিয়ে গেলে আমাদের ছোট্ট সোনা নতুন জগতে প্রবেশ ...
28/10/2025

🌼 সাত মাস বয়সী বাচ্চার খাবারের রুটিন – অনেক মায়ের মনেই প্রশ্ন!

ছয় মাস পেরিয়ে গেলে আমাদের ছোট্ট সোনা নতুন জগতে প্রবেশ করে — শুধু মায়ের দুধ নয়, এখন বাইরের নানা রকম খাবারের সঙ্গে পরিচয় ঘটছে ওর। 🍌🥕🥣

কিন্তু এই সময়েই অনেক মায়ের মনে হাজারটা প্রশ্ন —
👉 “কী দেব?”
👉 “কখন দেব?”
👉 “কোনটা না দেওয়াই ভালো?”

আজ ঠিক সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর নিয়েই বলছি — সাত মাস বয়সী বাচ্চার সম্পূর্ণ খাবারের তালিকা, রুটিন এবং সতর্কতা! 👶💛

🕗 দৈনন্দিন রুটিনের একটা নমুনা

সকাল ৮টা – মায়ের দুধ / ফর্মুলা মিল্ক
সকাল ১০টা – প্রথম কমপ্লিমেন্টারি ফিড (যেমন ফল ম্যাশ বা ভাত-ডাল মিশ্রণ)
দুপুর ১২টা – আবার মায়ের দুধ
বিকেল ৪টা – দুধ বা হালকা ফিড
সন্ধ্যা ৬টা – দ্বিতীয় কমপ্লিমেন্টারি ফিড
রাত ৮টা – ঘুমানোর আগে দুধ

👉 প্রথমে দিনে দুইবার বাইরের খাবার দিন।
👉 বাচ্চা ভালোভাবে নিতে শুরু করলে দিনে তিনবার করা যাবে।

🍎 কোন খাবারগুলো দিতে পারেন:

ফল: আপেল, কলা, পেয়ারা, পেপে, সবেদা
সবজি: গাজর, কুমড়ো, আলু, লাউ, রাঙালু, পালং শাক (ভালোভাবে সিদ্ধ করে ম্যাশ করে দিন)
গ্রেইনস: ভাত, মুগ ডাল, সুজি, রাগি

👉 এখন থেকে “মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ” শুরু করা যায় —
ভাতের সঙ্গে গাজর ম্যাশ, বা রাগির সঙ্গে কলা মিশিয়ে দিন! 😋

🥣 খাবারের ঘনত্ব কেমন হবে?

ছয় মাসে খাবার একদম পাতলা ছিল, এখন একটু ঘন দিন যাতে ছোট ছোট টুকরো থাকে।
ও মুখে নিয়ে বোঝে “চিবিয়ে” খেতে হয়।
গ্যাগিং হলে ভয় পাবেন না — এটা শেখার অংশ।

🥛 কতটা খাবার?

WHO বলছে, একবারে অর্ধেক কাপ পরিমাণ খাবারই যথেষ্ট।
তবে জোর করবেন না!
👉 “রেসপন্সিভ ফিডিং” মানে – বাচ্চা যতটা চায়, ততটাই দিন।
ওর ইচ্ছাকে সম্মান করুন ❤️

🚫 যেসব খাবার এখনো নয়:

❌ গরুর দুধ
❌ মধু
❌ চিনি ও লবণ
❌ প্যাকেটজাত / ভাজা খাবার

⚠️ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:

✅ খাবার যেন নরম ও গরম হয়
✅ নতুন খাবারে “থ্রি-ডে রুল” ফলো করুন (তিন দিন এক খাবার, এলার্জি দেখুন)
✅ দিনে ২–৩ চামচ জল দিন
✅ সময়ে সময়ে একই রুটিন মেনে চলুন

👩‍👩‍👧‍👦 আমাদের সন্তানদের খাবার শেখানোটা শুধু পুষ্টির নয়, এটা ভালোবাসা, অভ্যাস আর ধৈর্যের শিক্ষা।
বাচ্চার হাসিমুখে একটা চামচ খাবার গিলতে দেখা — এর চেয়ে মিষ্টি দৃশ্য পৃথিবীতে আর কিছু নেই ❤️

28/10/2025

✅ নবজাত শিশুকে এসিতে রাখা কি নিরাপদ? | Doctor’s Tips 👶❄️

অনেক বাবা-মায়ের মনে একটি বড় প্রশ্ন—

👉 “গরমে কি বাচ্চাকে এসিতে রাখা যাবে?”

উত্তর: হ্যাঁ, যাবে — তবে শর্ত মেনে! ✅
💡 কারণ অতিরিক্ত গরমে নবজাত শিশুর
• ডিহাইড্রেশন
• স্কিন র‍্যাশ
• ঘুমের সমস্যা
• হিট এক্সহস্টশন — ঝুঁকি অনেক বেশি 😣

তাই জেনে নিন নিরাপদে বাচ্চাকে এসিতে রাখার 9টি জরুরি নিয়ম 👇
1️⃣ AC রেগুলার সার্ভিসিং করুন
👉 নোংরা ফিল্টার = বারবার ঠান্ডা লাগা!
2️⃣ রুম প্রতিদিন ভিজে মোপ করে পরিষ্কার রাখুন
3️⃣ ডাইরেক্ট এয়ারফ্লো ওর গায়ে যেন না লাগে
4️⃣ হুট করে AC রুমে ঢোকাবেন/বার করবেন না
👉 আগে শরীর টেম্পারেচারের সাথে মানিয়ে নিতে দিন

5️⃣ আইডিয়াল টেম্পারেচার?
✅ যেটাতে আপনি আর বাচ্চা কমফর্টেবল
(Data বলে 25-28°C বেশ উপযুক্ত)

6️⃣ মাঝে মাঝে এয়ার সার্কুলেশন নিশ্চিত করুন
👉 দরজা হালকা খুলে নতুন বাতাস ঢুকতে দিন

7️⃣ ডিহাইড্রেশন প্রিভেনশন খুব জরুরি
👉 বার বার ব্রেস্টফিড/ফর্মুলা
👉 ছ’ মাসের পরে সামান্য পানি

8️⃣ সবসময় সুতির কাপড় পরান
👉 ফুল হাতা/ফুল পা হলে সবচেয়ে ভালো

9️⃣ স্নানের পর সরাসরি AC রুম ❌
👉 আগে নরমাল তাপমাত্রায় শরীর মানিয়ে নিক

✨ Bottom Line:
AC = নিরাপদ, যদি আপনি সঠিক নিয়ম অনুসরণ করেন।
আপনার সন্তান থাকবে গরমের ঝামেলা থেকে মুক্ত 🥰❄️

আপনার কি আরও কোন প্রশ্ন আছে?
কমেন্টে লিখে জানান 📝👇
আমরা তৈরি করব আপনার প্রশ্নের উপরই পরবর্তী ভিডিও! 🎥💡
➡️ Follow our page | সচেতন বাবা-মায়ের সঠিক তথ্যের সঙ্গী 👪❤️

✅ ৬ মাস বয়সে সলিড খাবার শুরু করবেন কীভাবে?একটি শিশু যখন ৬ মাসে পৌঁছায়, তখন শুধু ব্রেস্টমিল্ক বা ফর্মুলা মিল্ক তার সব পুষ...
28/10/2025

✅ ৬ মাস বয়সে সলিড খাবার শুরু করবেন কীভাবে?

একটি শিশু যখন ৬ মাসে পৌঁছায়, তখন শুধু ব্রেস্টমিল্ক বা ফর্মুলা মিল্ক তার সব পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে না। তাই এই সময় থেকেই শুরু করতে হয় কমপ্লিমেন্টারি ফুড — অর্থাৎ দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার। তবে দুধই থাকবে শিশুর প্রধান খাবার।

👉 সলিড ইন্ট্রোডাকশনের প্রথম খাবার হোক –
ফল ও শাকসবজি
কারণ এসময় বাচ্চাকে বেশি খাবারের স্বাদ ও টেক্সচারের সঙ্গে পরিচয় করানো জরুরি।

🍌 কোন ফল দেবেন?
✅ কলা, সবেদা, অ্যাভোকাডো, পাকা পেঁপে — ম্যাশড
✅ আপেল, নাশপাতি — সেদ্ধ করে পিউরি
❗ অতিরিক্ত পানি নয় — এতে পুষ্টি কমে যায়
🥕 কোন শাকসবজি দেবেন?
✅ গাজর, মিষ্টি আলু, লাউ, বিট — পিউরি ফর্মে
🥣 দানা শস্য/ডাল
✅ ভাত, সুজি, মুগ ডাল, মসুর ডালের পিউরি

❌ ছোলার ডাল বা মটর ডাল এখনই নয়
❌ যেসব খাবার একদমই দেবেন না
🚫 মধু
🚫 গরুর দুধ (প্রধান হিসেবে)
🚫 চিনি ও লবণ
🚫 অতিরিক্ত ফাইবারযুক্ত খাবার
🚫 প্যাকেটজাত খাবার
📌 একদিনে একটাই নতুন খাবার দিন
📌 ২–৩ চামচ দিয়ে শুরু করুন
📌 ধীরে ধীরে খাবারের পরিমাণ ও সংখ্যা বাড়ান

👶 আপনার শিশুর বৃদ্ধিবিকাশ সঠিক রাখতে
✅ নিরাপদ
✅ ধৈর্যশীল
✅ ধীরে ধীরে

সলিড ইন্ট্রোডাকশন করুন 💗
আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান ✍️
আর সঠিক নিয়মে ফুড প্ল্যান জানতে আমাদের পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষা করুন! ✨

28/10/2025

ওজন বাড়ানোর খাবারের তালিকা আমরা এইভাবে তৈরি করি
২৩ মাস বয়সে ৮ কেজি মেয়েবাবুর জন্য খাবারের তালিকা
(ওজন কম হওয়ায় ওজন বাড়ানোর উপর জোর)
⚠️ প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ
দিনে ৫–৬ বার ছোট ছোট মিল দিন
প্রতিদিন ১–২ গ্লাস দুধ
ডিম/মাছ/মুরগি প্রতিদিন
ঘি, তেল, বাদাম বাটার—ক্যালোরি বাড়াতে সহায়ক
পানি ৫০০–৮০০ মি.লি.
✅ দৈনিক খাবারের তালিকা (Sample Meal Plan)
🌅 সকাল (৭:৩০–৮:০০)
দুধ ১৫০–২০০ মি.লি.
ডিম ১টা (ওমলেট/সেদ্ধ)
১–২ টুকরা পাউরুটি বা রুটি সামান্য ঘি/চিজ সহ
🍎 মিড-মর্নিং (১০:৩০–১১:০০)
কলা ½–১টা
অথবা
সেমাই পায়েস (দুধ ও ডিম দিয়ে)
🍛 দুপুর (১:০০–১:৩০)
ভাত ৪–৬ টেবিল চামচ
ডাল/মাছ/মুরগি থেকে ২–৩ টেবিল চামচ
আলু/সবজি ২–৩ টেবিল চামচ
(ভাতে ১ চা চামচ ঘি যোগ করুন)
🥭 বিকেল (৪:৩০)
দই ৪–৫ টেবিল চামচ
অথবা
মৌসুমি ফল (পেঁপে/আপেল/আম—নরম করে)
🥘 রাত (৮:০০)
খিচুড়ি বা নরম রুটি+সবজি+প্রোটিন
১ চা চামচ তেল/ঘি
🥛 ঘুমানোর আগে (১০:০০)
দুধ ১০০–১৫০ মি.লি.
🎯 ওজন বাড়ানোর জন্য বিশেষ টিপস
প্রতিদিন ১টা ডিম চেষ্টা করুন
ডালভাত/খিচুড়িতে ঘি বা তেল নিয়মিত
কলা+দুধ স্মুদি সপ্তাহে ৩–৪ দিন
শিশুকে নিজের হাতে খেতে উৎসাহ দিন
জাঙ্ক ফুড নয়, বাড়ির পুষ্টিকর খাবার
রোজ সূর্যের আলো ও একটু খেলা/হাঁটা
✅ সপ্তাহে ২–৩ বার
মুরগির স্যুপ/স্টক
ফিশ ফিঙ্গার বা মাছ মেশানো খিচুড়ি
✅ সপ্তাহে ১–২ বার
পায়েস/শশা, টমেটো সহ সালাদ (চিবানোর অভ্যাস)
📌 যদি ওজন বাড়া কম হয়
রক্তে হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করুন
কৃমির ওষুধ সময়মতো দিন
শিশুর রুচি কম হলে খাবার বৈচিত্র আনুন

28/10/2025

🎒 শিশুদের ভারী স্কুল ব্যাগ: দেখুন কতটা ক্ষতিকারক! 😟

আপনার ছোট্ট বাবু স্কুল যাওয়ার সময় কি বড় বড় ব্যাগ বহন করছে? শুধুমাত্র বই নয়, সব খাতা, নোটবুক আর অন্যান্য জিনিসপত্রও নিয়ে যাচ্ছে? চলুন জেনে নিই, এই ভারী ব্যাগ শিশুর জন্য কতটা ক্ষতি করতে পারে।

💥 ১. পিঠ ও কাঁধের সমস্যা
ভারী ব্যাগ দীর্ঘ সময় ধরে বহন করলে পিঠ বেঁকানো, কাঁধ নীচু হওয়া এবং মেরুদণ্ডের বিকৃতি হতে পারে।
⚠️ দীর্ঘমেয়াদে স্কলিওসিস বা পোস্টারিয়র ডিসঅর্ডারের ঝুঁকি।

💥 ২. মাংসপেশির চাপ
শিশুর পেশি শক্ত হয়ে যায়, ব্যথা দেখা দিতে পারে।
⚠️ দৈহিক বৃদ্ধি ও পেশির উন্নয়নে বাধা।

💥 ৩. হাঁটা ও চলাফেরায় প্রভাব
ভারী ব্যাগ পিঠ বেঁকায়, হাঁটার ধরন পরিবর্তন করে।
⚠️ ভারসাম্যহীনতা ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়।

💥 ৪. গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপর চাপ
কিডনি ও পেটের ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলতে পারে।

💥 ৫. মানসিক চাপ
শিশু ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে পড়ে, স্কুলে মনোযোগ কমে যায়।

💥 ৬. সঠিক ব্যাগ বহনের অভাব
একদিকে ঝুলানো ব্যাগ মেরুদণ্ডে অ-সামঞ্জস্য তৈরি করে।

✅ সমাধান ও সচেতন ব্যবহার:

ব্যাগের ওজন শিশুর শরীরের ১০–১৫% এর বেশি নয়।

হুইল ব্যাগ বা রোলার ব্যাগ ব্যবহার করুন।

দুই কাঁধে সমানভাবে ব্যাগ ঝুলান।

প্রয়োজনীয় বই ও খাতা নিয়ে যাওয়া, সব বই প্রতিদিন নয়।

পিঠ ও কাঁধ শক্ত রাখতে শিশুকে নিয়মিত ব্যায়াম করান।

🌱 উপসংহার:
ভারী স্কুল ব্যাগ শিশুর পিঠ, কাঁধ, মাংসপেশি, হাঁটা চলা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অভিভাবকরা সচেতন হোন, ব্যাগের ওজন এবং বহনের ধরন নিয়ন্ত্রণ করুন।

💡 মায়েরা–বাবারা, আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যই বড় সম্পদ! 💖

27/10/2025

বাবুর গলায় গুটি বা লিম্ফনোড কত টুকু বড় হলে চিন্তিত হবেন?

Address

Beside Pubali Bank, Eastern Housing Main Road, Extension Pallabi, Adjacent To Duaripara Bus Stand, Rupnagar, Mirpur 11. 5
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Aesthetic & Baby Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Aesthetic & Baby Care:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category