02/11/2025
সম্পূর্ণ লেখা টা একজন জেনারেল এর ভাই লিখছেন💝
কথা গুলো ভালো লাগছে, নার্সিং নিয়ে মোটামুটি রিসার্চ করছেন💚
ইদানীং নার্সিং পেশার দিকে মেয়েরা ঝুঁকছে বেশি, ছেলেরাও কম এগিয়ে নেই। বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা ইন্টার কমপ্লিট করে নার্সিংয়ের প্রিপারেশন নেয়। নার্সিংয়ে যারা ডিপ্লোমা করছেন তারা গুড সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তবে এটা ঠিক যে ডিপ্লোমায় যে পরিমাণ মেধা শ্রম বিনিয়োগ করতে হয় তা অন্য কোন প্লাটফর্মে বা পেশায় বিনিয়োগ করলে খুব দ্রুত ভালো কিছু করতে পারবেন। আর যারা মিডওয়াফারি করছেন তাদের বেদনার শেষ নেই, যতটুকু জানতাম নার্সরা সাধারণত নবম গ্রেডের চাকরি করে থাকেন, যেখানে বেসিক বেতন ১৬২০০। তবে এখন শুনছি মিডওয়াইফদের ১৬ তম গ্রেডে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে! এটা আসলে কতটুকু যৌক্তিক? যারা মিডওয়াইফারি করছেন তারা বুঝবেন ব্যাপার টা। আবার নার্সিং শেষ করে ইন্টার্নি করতে সেখানেও ১ বছরের মত সময় লেগে যায়, এরপর সরকারি চাকরি হবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। বেশিরভাগই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে থাকেন, তাদের বেতন ধরা হয় ৮/১০ হাজার টাকা সর্বোচ্চ। নানিকে নিয়ে সেদিন বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করালাম, অনেক নার্স আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে, তাদের পোশাক আশাক আর মুখ দেখে আমার কোনভাবেই মনে হলো না তারা এই পেশায় থেকে সন্তুষ্ট আছে, একজনের সাথে কথা বলে জানলাম মানসিক শান্তির দেখাই মিলে না তাদের জীবনে।
যাইহোক; আমি যদিও বা নার্সিং স্টুডেন্ট নই তারপরও কেন জানি মনে হয় মিডওয়াইফারি কোর্সটাকে বন্ধ করে দেওয়া দরকার৷ আপনারা বরং কারিগরিকে নিয়েই থাকুন, যেহেতু কারিগরির প্রায়োরিটি বেশি আপনাদের কাছে। অযথা কেন প্রত্যেক বছর এই মিডওয়াইফারি কোর্সটাতে স্টুডেন্ট ভর্তি করাচ্ছেন? যারা মিডওয়াইফারি করছে তাদের ভবিষ্যৎ আসলে কোনদিকে যাচ্ছে? না আছে নিয়োগ না আছে সম্মান! না আছে সুন্দর একটা ক্যারিয়ার। কোন বিবেকে ১৬তম গ্রেডে মিডওয়াইফদের রাখা হয়েছে বুঝি না! তারাও কি স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে না? মা ও শিশুর স্বাস্থ্য কি এদেশে গুরুত্বপূর্ণ না? যদি গুরুত্বপূর্ণ হয়েই থাকে তাহলে এই খাতে নিয়োজিত মিডওয়াইফরা কেনই বা এত অবহেলিত!
নার্স মিডওয়াইফদের না আছে মানসিক শান্তি, না আছে শারীরিক স্বস্তি, না আছে সম্মান তাহলে এরা কিভাবে সুস্থ মস্তিষ্কে ভালো সেবা দেবে? আর সেবার মান'ই বা কিভাবে উন্নত হবে। নার্সিং এ যাওয়ার পর প্রতিটা ছেলে মেয়ের মেন্টালিটি অটোমেটিক চেইঞ্জ হয়, মেয়েরা সংসার করতে অনেকটা অক্ষম হয়ে যায় বলা যায়। কারণ তাদের মধ্যে পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব চলে আসে। ফলে সংসার জীবনে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর ছেলে নার্সদের ক্ষেত্রে কি আর বলবো, তবে ছেলেরা অনেকটা পরিবেশের সাথে অনেকটা খাপ খাইয়ে নেয় এবং সবকিছু সামলে নেওয়ার মত ক্ষমতা অনেকটাই থাকে তাদের। আমি এই পেশাকে সম্মান করি, নার্সদের সম্মান করি। তবে আমার মনেহয় এই নার্সিং এর দিকে ঝুঁকে অনেক শিক্ষার্থী তাদের জীবনের মূল্যবাণ সম্পদ হারাচ্ছে, ক্যারিয়ার হারাচ্ছে! জীবনের সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে সামান্য বেতনের চাকরির আশায়! ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে।
এই মেধা এবং শ্রম টা অন্যত্রে বিনিয়োগ করলে তারা সুন্দর সাবলীল একটা জীবন ধারণ করতে পারবে।
post
কিন্তু নার্সরা ৯ম না ১০ গ্রডে এন্ট্রি নেই।