04/11/2025
আল্লাহ আমাকেই কেন এত এত অসুখ দিলা?
বেশীরভাগ সময়ই অসুস্থতার পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যায় যারা, নিজের অজান্তেই অন্তরের কোনায় কোথাও আল্লাহকে বলে উঠে, এত অসুস্থতা নিতে পারছি না! আমিই কেনো?
যার তাওয়াক্কুল আছে সে নিজেই এর উত্তরে বলে উঠে
❝নিশ্চয়ই আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন তাকেই পরীক্ষা করেন৷ আর আমার পরীক্ষা আল্লাহর নবীদের তুলনায় অনেক ক্ষুদ্র।❞
আল্লাহ আমাদের যেমন অসুস্থতার পরীক্ষা দিয়েছেন,সে সাথে সুস্থ থাকার উপায়ও দিয়ে দিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বান্দা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহের মাধ্যমে৷
তাই তো দেখুন না প্রতিমাসে সুস্থ থাকার সুন্নাহ পদ্ধতিটা কতটা সুন্দর আর কার্যকর।
❝প্রতিমাসে চাঁদের ১৩,১৪,১৫ তারিখ সিয়াম পালন করা।
এক দিন শরীরকে রেস্ট দিয়ে আবার ১৭/১৯/২১ তারিখ হিজামা করা। ❞
কেনো সাওম পালন করব?
কারণ সুন্নাহ বেস্ট এবং এটা আল্লাহর বলে দেয়া সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যগত উপকারিতাঃ
🧠 ব্রেন হেলথ বাড়ায়
✔️ব্রেন সেল রিপেয়ার করে
✔️স্মৃতি শক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধি করে
✔️আলঝেইমার, পারকিনসন এর ঝুঁকি কমায়
✔️⚖️ ওজন কমাতে সাহায্য করে
✔️ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়
✔️ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়া (ketosis) ত্বরান্বিত করে
✔️অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে
✔️💓 হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
✔️রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়
✔️ইনফ্লামেশন কমিয়ে হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে
✔️🩸 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
✔️রক্তে সুগার লেভেল স্থিতিশীল রাখে
✔️🧬 সেল রিপেয়ার ও ডিটক্সিফিকেশন ঘটায়
✔️শরীর নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত সেল রিপেয়ার করে (Autophagy)
✔️টক্সিন ও বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়
✔️🌙 হরমোন ব্যালান্স ও ঘুমের উন্নতি করে
✔️গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ বাড়ায়
✔️মেটাবলিজম ও ঘুমের রিদম ঠিক রাখে
✔️🕋 আধ্যাত্মিক ও মানসিক প্রশান্তি দেয়
✔️আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখায়
✔️কৃতজ্ঞতা ও তাওয়াক্কুলের অনুভূতি বাড়ায়
ন্যাচারাল বডি ডিটক্স, মাইন্ড ডিটক্স।
আবার ধরলাম কারও কারও শরীর এতটাই টক্সিনে ভরপুর,ইনফ্লামেশনে ভরপুর যে সাওম পালন করেও পুরোপুরি ক্লিয়ার হয় নি, যা অবশিষ্ট থাকবে তার জন্য আল্লাহ দিয়ে দিয়েছে হিজামা যা সরাসরি স্কিন থেকে ব্লাড লেটিং এর মাধ্যমে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে।
রুকইয়ার পেশেন্ট, স্পেশালি যাদের নকশার সিহির থাকে তাদের এ সময় শারীরিক যন্ত্রনা বেড়ে যায়। আবার কারও কারও সিহির রিনিউ হয়ে থাকে৷
আপনি রুকইয়ার পেশেন্ট হোন আর নন রুকইয়া পেশেন্ট হোন উভয় ক্ষেত্রেই চাঁদের ১৩,১৪,১৫ সাওম পালন করার মাধ্যমে বডির ন্যাচারাল ডিটক্স সিস্টেমকে স্টিমুলেট করা সুস্থতার অন্যতম উপায়৷
এর পর চাঁদের ১৭/১৯/২১ তারিখ হিজামার মাধ্যমে
টক্সিনকে ডিরেক্ট বডি থেকে ব্লাডের মাধ্যমে বের করে দেয়া যেনো অসুস্থতাকে ধীরে ধীরে বিদায় জানানো!
সেদিন একটা আর্টিকেলে পড়লাম খাবারের ভেজাল বর্তমানে কোন লেভেলে গিয়েছে! আগে থেকেই ছিল কিন্তু এখন যা কিছু ভালো ছিল সবই ভেজাল৷ এটা নিয়ে বিস্তারিত পরে লিখব ইনশা আল্লাহ৷
আপনি কি মনে করেন এতো ভেজাল,বিষাক্ত জিনিসপত্র গলা দিয়ে নাক দিয়ে ঢুকানোর পর আমরা শুধু ওষুধ খেয়েই সুস্থতার আশা করতে পারি❓
© Doctorcare cupping clinic