Zunaed Islam

Zunaed Islam লেখক এবং ডক্টর

ওফেলিয়া
06/09/2025

ওফেলিয়া

The devil is in the making 🦋
24/05/2025

The devil is in the making 🦋

টারমিনাসের হেডকোয়ার্টারে ইকাথেনিয়াস ঢুকে থেরেসার কার্ডটি ব্যবহার করে। কয়েকটি নীলাভ করিডর অতিক্রম করতেই খেয়াল করে একটি লা...
12/07/2024

টারমিনাসের হেডকোয়ার্টারে ইকাথেনিয়াস ঢুকে থেরেসার কার্ডটি ব্যবহার করে। কয়েকটি নীলাভ করিডর অতিক্রম করতেই খেয়াল করে একটি লাল কার্পেটের সিড়ি। সিড়িটি সরাসরি একটি প্রাসাদের দিকে এগিয়ে গিয়েছে। অনেক ক্ষোভ নিয়ে ইকাথেনিয়াস লাল কার্পেটের সিড়ি বেয়ে প্রাসাদের দরজার দিকে এগোয়। কাছে যেতেই প্রাসাদের দরজা নিজে থেকে খুলে যায়।
দরজার ওপারে কেউ নেই, অন্তত একজন বাদে। এক পলকেই সে লর্ড লু কে চিনে ফেলে। নীলাভ প্রাসাদের ভেতর হেটে হেটে ঢুকে। বিলিয়ন বছর আগে দেখা উদ্ভুট পোশাক পরা কোন আর্কএঞ্জেল না সে। তাকে এখন সে তার প্রাকৃতিক রুপেই দেখতে পারছে।
কিন্তু তার ডানা কে যেন কেটে ফেলেছে কোন কারনে। দেখতে খুবই বেখাপ্পা লাগছে তাকে, যদিও সে অনুভব করতে পারছে, একটি আর্কএঞ্জেল হিসেবে কোনভাবেই তার ক্ষমতা কমে যায় নি।
“তোমার ডানার কি হয়েছে লুসিফার?” প্রশ্নটি না করে পারে না ইকাথেনিয়াস। লুসিফার চিন্তিত মনে এ সপ্তাহের ডকুমেন্ট দেখছিল। হঠাৎ করে ইকাথেনিয়াসকে দেখে লাফিয়ে উঠে সে।
“ওহ শিট!” সিংহাসন থেকে উঠে দৌড় দেওয়ার চেষ্টা করে সে। কিন্তু দাউ দাউ করে কালো আগুন জ্বলে ঘিরে ধরে তাকে সবদিক থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই। সে নিজ স্থানে থেমে যায়।
“এফওয়াইআই, তোমার গার্লফ্রেন্ড নিজে থেকে সময়ের শেষ প্রান্তে গিয়েছে।“ লুসিফার কালো আগুন অতিক্রম করার চেষ্টাও করে না।
“আমি তোমাকে সেই প্রশ্ন করি নি।“ ইকাথেনিয়াস বলে। লুসিফার বিরক্তি চোখে ফিরে তাকায়, তারপর বলে,
“গড আমাকে ডিজওন করেছে।“ তাচ্ছিল্যের কন্ঠে সে বলে, “তোমার জাতের কাছে মাথা নিচু করি নি বলে। ডানা গায়েব সেদিন থেকে।”
“গুড।”
“ওহ বাই দ্য ওয়ে, সে বিশ্বজগতের সবাইকে বলেছে এডাম নাকি প্রথম মানুষ।”
“আমি অবাক না। সে যদি আমাকে অথবা সিলভিয়াকে আসলেই পছন্দ করতো তাহলে আমাদের নামই নিতো।”
“সে আমাকেও পছন্দ করে না। কিন্তু এখানে আমরা। হি হি হি।” লুসিফার বলে।
“তুমি সিলভিয়াকে ম্যানিপুলেট করেছো।”
“নিজের ইচ্ছেতে না। শুধু অর্ডার পালন করছিলাম।”
“আই… ডোন্ট… কেয়ার!” চিৎকার করে উড়ে যায় ইকাথেনিয়াস লুসিফারের কাছে। গলা চেপে ধরে সে লুসিফারের। তার লম্বা দাতগুলো বের করে সে কামড় দেওয়ার অপেক্ষায় থাকে। তার দাতগুলো থেকে কালো আগুন বের হতে থাকে।
“তুমি আমাকে হত্যা করবে না ইকাথেনিয়াস। তুমি আমাকে হত্যা করার জন্য আসো নি।”
“না, তার মানে এই না যে আমি তোমার কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার পর তোমাকে হত্যা করবো না।“ তার কালো চোখ জ্বলজ্বল করতে থাকে, “তুমি সিলভিয়াকে কেড়ে নিয়েছো আমার কাছ থেকে, যার আদেশেই হোক না কেন।”
“এটা ব্যাক্তিগত ছিল না।”
“এখন তোমাকে যদি হত্যা করি আমি তাহলে এটা অবশ্যই আমার ব্যাক্তিগত সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। আই হোপ তুমি এটা জানো।”
“আমাকে যদি তুমি হত্যা কর, করে ফেলো। আমার শেষ গন্তব্য যদি মৃত্যুই হয় তাহলে আমার দরকার নেই তোমাকে কোন তথ্য দেওয়া।“ চোখ টিপে লুসিফার বলে, “যদিও সাজেশন থাকবে আমাকে হত্যা না করার। আমি টারমিনাসকে নতুন জীবন দিয়েছি। ঘুরে দেখতে পারো এই উপগ্রহটা নিজের ইচ্ছেমত। দ্য বেষ্ট সার্ভিস ইউ উইল এভার গেট।“
“আমি ঘুরতে আসি নি।“
“গুড। আমি তোমাকে চাইও না ভিজিটর হিসেবে।“ দাঁত বের করে হেসে দেয় লুসিফার।
“আই নিড টু গেট হার ব্যাক।“
“এটা সম্ভব না ইকাথেনিয়াস।“ লুসিফার বলে, “তুমি তাকে সময়ের শেষ প্রান্ত থেকে এখানে নিয়ে আসা মানে অতীতে নিয়ে আসা। আর অতীতে তুমি তাকে আনতে পারবে না। কজালিটি ভাঙ্গবে।“
“তাহলে?”
“অন্য আরেকটি উপায় আছে। আমি তোমাকে সময়ের শেষ প্রান্তে যাওয়ার পদ্ধতিটি বলতে পারি।“
“ইউরিয়েলের হেলো, এডামের হাড়, এবং তার…রক্ত।“
“বাহ, জানো দেখি।“ চোখ টিপে লুসিফার বলে। ইকাথেনিয়াস লুসিফারকে ছেড়ে দেয়। লুসিফার তার আর্মর থেকে ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে থাকে। ইকাথেনিয়াস বলে,
“এটা আমার দ্বিতীয় প্ল্যান ছিল। প্রথম প্ল্যান ছিল সিলভিয়াকে ফেরত আনার।“
“আই এম স্যরি এটা সম্ভব না। বিশ্বজগতের কিছু নিয়ম আমি-তুমি-সে কেউই ভাঙতে পারবে না।“ ডানা গুটিয়ে লুসিফার বলে, “যেটা বললাম, আমার সাজেশন থাকবে ওখানে যাওয়ার। তোমার লাভারের কাছে।“
“কেন?”
“সে গল্পটি লিখছে সময়ের শেষ প্রান্তে বসে বসে।“ লুসিফার একটু চিন্তা করে বলে, “তোমরা নিজেদের মত করে গল্প লিখতে পারবে সময়ের শেষ প্রান্তে গিয়ে।“
হেসে দেয় ইকাথেনিয়াস। এক সেকেন্ডের জন্য ভয় ভেসে আসে লুসিফারের চেহারায়।
“কি হল?”
“তোমার মনে হয় সিলভিয়া গল্পটি লিখছে বসে বসে সময়ের শেষ প্রান্তে?”
“আমি যতটুকু জানি আরকি।“ লুসিফার গম্ভীর কন্ঠে বলে।
“অফ কোর্স সে তোমাকে মিথ্যে বলেছে। সিলভিয়া গল্পটি লিখছে না লুসিফার। সে কখনই গল্পটি লিখছিল না। “তার” দরকার ছিল একজন অবজার্ভারের, যে তার গল্পটি উপলব্ধি করতে পারবে। সিলভিয়াকে সময়ের শেষ প্রান্তে সে পাঠিয়েছে যেন সে সবটুকু অবজার্ভ করতে পারে। সিলভিয়া শুধুমাত্র দর্শক এক। বাস্তবতাকে প্রাণ দিতে হলে একজন দর্শকের প্রয়োজন।“
লুসিফার বিরক্তি চোখে তাকিয়ে থাকে ইকাথেনিয়াসের দিকে।
“সে তোমাকে মিথ্যে বলেছে লুসিফার।“ ইকাথেনিয়াসের চোখ দুটো কালো আগুনের উল্কিতে জ্বলজ্বল করতে থাকে, “সে আমাদের সবাইকে মিথ্যে বলেছে!”
হতবাক কন্ঠে লুসিফার জিজ্ঞেস করে, “কিন্তু… কে…কেন?”
ইকাথেনিয়াস এক দৃষ্টিতে লুসিফারের দিকে তাকিয়ে থাকে, তারপর ঘৃণা নিয়ে বলে,
“That’s what writers do. Writers lie.”

_______
Pre Edit Script
_______

দ্য ব্ল্যাক ফ্লেইম
কসমিক থ্রিলার
ফ্যান্টম সাগা'র শেষ বই

She’ll snare you in bonds, hearts glowing afireTo gore and torment ‘till eternity expire
25/05/2024

She’ll snare you in bonds, hearts glowing afire
To gore and torment ‘till eternity expire

“এটা কি?”“ব্রিলিয়ান্ট!” ডিন বলে উঠে।“কি এটা বলোনা?” লিসা বিরক্তি কন্ঠে জিজ্ঞাস করে।“মিনি রিয়েক্টর।“ ডিন বলে, “লেখক সাহেব...
21/05/2024

“এটা কি?”
“ব্রিলিয়ান্ট!” ডিন বলে উঠে।
“কি এটা বলোনা?” লিসা বিরক্তি কন্ঠে জিজ্ঞাস করে।
“মিনি রিয়েক্টর।“ ডিন বলে, “লেখক সাহেবের প্রচুর পাওয়ার প্রয়োজন, প্রশ্ন হচ্ছে, কিসের জন্য?“ ডিন আর অপেক্ষা করে না। লেখক সাহেব রিয়েক্টরটা ব্যাগে ভরতে যতক্ষন, ডিন মেঝের বড় বড় কেবল অতিক্রম করে এগিয়ে যায় ডিয়াটলভের দিকে। তাকে দেখেই উলটো দৌড় দেয় ডিয়াটলভ কিন্তু তার আগেই লিসা তার টেলেকেনেসিস ব্যবহার করে তারগুলো তুলে ধরে, সেগুলো সাপের মত দু হাত ধরে তাকে তুলে ফেলে মেঝে থেকে। ডিন ডিয়াটলভের ব্যাগটি কেড়ে নেয়। চেইন খুলে দেখার চেষ্টা করে ভেতরে আর কি আছে, আপাতত মিনি রিয়েক্টর বাদে কিছুই নেই।
“কে আপনারা! কি চান?! কি চান?!” চিৎকার করে গ্রাহাম ও ডিয়াটলভ।
“গুরুত্বপূর্ণ না। আমার বন্ধু শিন চা কোথায় সেটা বলুন।“ ডিন এক পা সামনে এগিয়ে আসে, “আমি জানি সে আপনার ভাড়াটিয়া ছিল।“
"আই এম স্যরি, আমি জানি না সে কোথায়। তাকে আমি পালিয়ে যেতে বলেছিলাম, সে আমার লেখা পড়েও পালায় নি!“
"ফ্যান্টম কেন আপনাকে খুজছে?”
চুপ থাকে গ্রাহাম। “ডিন সময় নিয়ে লোকটিকে পর্যবেক্ষন করে। তারপর তার মুখে হাসি ফুটে উঠে,
"রেস্পিরেটরি রেট বেশি, আপনি আমার চোখে চোখ রেখে তাকাচ্ছেন না, আপনার হাত দুটো বার বার মুঠো করছেন আর খুলছেন, আপনি বার বার বামে তাকাচ্ছেন তার মানে আপনার ব্রেইনের রাইট হেমিস্ফেয়ার কাজ করছে, যেটা হচ্ছে ক্রিয়েটিভ সেকশন অব দ্য ব্রেইন অর্থাৎ আপনি বানিয়ে বলার চেষ্টা করছেন, আপনি একই কথা দু বার রিপিট করেছেন, আর লাষ্ট বাট নট দ্য লিষ্ট, আপনি কিভাবে জানলেন আপনার লেখা পড়ার পরেও সে পালায় নি। আমি আপনার রুমে গিয়েছিলাম। আপনি সেই সময় রুমে ছিলেন না যখন ব্ল্যাক লোটাস শিন চা’কে আক্রমণ করে। সো, এক যোগ এক…? আপনি মিথ্যে বলছেন! এম এই রাইট? অর এম আই রাইট?” ডিন লিসা’কে ইশারায় আরো শক্ত করে লোকটিকে ধরে রাখতে বলে। মোটা পাওয়ার কেবলগুলো শক্ত করে ডিয়াটলভের হাত পা বেধে রাখে। কিছুটা নীল হয়ে যাচ্ছে তার হাত। সমস্যা নেই তাতে। এটা নিশ্চয়ই লেখক সাহেব জানে। তার ধ্যান সেখানে না, সে শুধু ডিনের কথাটি শোনার জন্য প্রস্তুত ছিল না। তার চেহারা থেকে ভয়ের ছাপ যায় না ঠিকই, কিন্তু এক ধরণের অদ্ভুত হাঁসি ফুটে উঠে। সে নাক ছিটকে বলে,
"পুরনো অভ্যাস। আমাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, আমি একজন লেখক।“ এক সেকেন্ড চুপ থেকে গ্র্যাহাম ও’ ডিয়াটলভ বলে,
"Writers lie.”

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Zunaed Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram