Emergency Health Care "জরুরী স্বাস্থ্যসেবা"

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • Emergency Health Care "জরুরী স্বাস্থ্যসেবা"

Emergency Health Care  "জরুরী স্বাস্থ্যসেবা" স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল পরামর্শ ও চিকিৎসা নিন...

15/10/2025

শিশুদের টাইফয়েড টিকা

সালমোনেলা টাইফি নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে টাইফয়েড জ্বর হয়। এটি মারাত্মক সংক্রমণ। এই জীবাণু সাধারণত দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোয় এটি একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা।

বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এর জটিলতা এবং এ রোগের কারণে মৃত্যুর হার বেশি। এই রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো টিকা। সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের নিশ্চয়তা এবং পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা।

টাইফয়েডের টিকা মাংসপেশিতে ইনজেকশন হিসেবে দিতে হয়
টাইফয়েডের টিকা মাংসপেশিতে ইনজেকশন হিসেবে দিতে হয়।

টাইফয়েড টিকা কী
টাইফয়েড টিকা রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলে। বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুদের জন্য টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) দেওয়া হচ্ছে। এটি মাংসপেশিতে ইনজেকশন হিসেবে দিতে হয়। এটি একধরনের সাব-ইউনিট টিকা, যা ব্যাকটেরিয়ার একটি অংশকে একটি ক্যারিয়ার প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত করে তৈরি করা হয়। এ আধুনিক টিকাটি আগের টিকার তুলনায় শিশুদের মধ্যে শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা দেয়।

টাইফয়েড টিকা কেন নেওয়া দরকার
১. এটি মারাত্মক টাইফয়েড জ্বর ও এর জটিলতা, যেমন অন্ত্রে ছিদ্র, মস্তিষ্কের প্রদাহ প্রতিরোধ করে।

২. এটি অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী টাইফয়েডের বিস্তার রোধে সহায়ক।

৩. বাংলাদেশে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু–কিশোরেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই টিকার মাধ্যমে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।

দেশে টিকাদান কর্মসূচি
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ২০২৫ সালের ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচিতে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোরকে বিনা মূল্যে এক ডোজ টিভিসি টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃত ও সুপারিশকৃত, যা এর নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। এটা কোনো ট্রায়াল ভ্যাকসিন নয়।

কাদের জন্য বেশি প্রয়োজন
৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশু-কিশোরের জন্য এই টিকা বেশি প্রয়োজন। তারা এই ক্যাম্পেইনের আওতায় টিকা গ্রহণ করবে। এ ছাড়া ১৫ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে নিজ উদ্যোগে টিকা নিতে পারেন।

কারা নিতে পারবে না
যাদের জ্বর (১০০ ফারেনহাইটের বেশি) আছে।

আগে কোনো টিকা নেওয়ার পর মারাত্মক অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে।

অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যদানকারী মা।

৯ মাসের কম বয়সী শিশু।

টিকা নেওয়ার পর অল্প জ্বর হতে পারে
টিকা নেওয়ার পর অল্প জ্বর হতে পারেছবি: প্রথম আলো
সতর্কতা
অনেক অভিভাবকই এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং এর কার্যকারিতা নিয়ে ভয় পাচ্ছেন। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার আশ্বস্ত করেছেন, এই টিকা পুরোপুরি নিরাপদ এবং বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি শিশু এটি গ্রহণ করেছে। টিকার কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং এটি শিশুর গর্ভকালীন জটিলতা বা প্রজননক্ষমতায় কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
টাইফয়েড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত খুবই হালকা ও সাময়িক। যেমন টিকা দেওয়ার স্থানে সামান্য ব্যথা, লাল হওয়া বা ফুলে যাওয়া। অল্প জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি ভাব। এসব মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অল্প সময়ের মধ্যেই আপনাআপনি ঠিক হয়ে যায়।

24/08/2025

(ডাক্তার কলিগ যখন রোগী হিসেবে গুণের বন্দনা করেন তখন কিন্ত মুহূর্তকে শ্রেষ্ট মনে হয়....)

*ডা. সাইক রহমান*
একজন সৎ, দক্ষ ও মানবিক চিকিৎসক হিসেবে তাঁর পেশাগত জীবনে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে শুধু জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই নয়, বরং সততা ও দায়িত্বশীলতায়ও তাঁর কর্মক্ষেত্রে শ্রদ্ধার পাত্র হয়েছেন।

রোগীদের প্রতি তাঁর আন্তরিকতা, সহানুভূতি ও ধৈর্য প্রশংসনীয়। তিনি প্রতিটি রোগীর কষ্টকে নিজের মতো অনুভব করেন এবং নিরলসভাবে তাদের সুস্থতার জন্য কাজ করেন। তাঁর ব্যবস্থাপত্রে যেমন রয়েছে আধুনিক চিকিৎসার ছাপ, তেমনি রয়েছে একজন প্রকৃত চিকিৎসকের মানবিক অনুভব।

ডা. সাইক রহমানের কর্মনিষ্ঠা, পেশাগত দক্ষতা ও সততার মেলবন্ধন তাঁকে একজন আদর্শ চিকিৎসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

*ডা. সাইক রহমান: একজন নিষ্ঠাবান, মানবিক ও প্রতিশ্রুতিশীল চিকিৎসক*

তাঁর পেশাগত জীবনে চিকিৎসা শুধু একটি পেশা নয়, বরং একটি ব্রত। তিনি অসুস্থ মানুষকে আরোগ্য দানে সহায়তা করার মধ্যেই নিজের জীবনের সার্থকতা খুঁজে পান।

তাঁর *কাজের দক্ষতা* নিখুঁত ও সময়নিষ্ঠ। রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে চিকিৎসা পরিকল্পনা ও রোগীর মানসিক সমর্থন—সবকিছুতেই তিনি অত্যন্ত যত্নশীল। রোগীর শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি তিনি তাদের মানসিক অবস্থা, পারিবারিক পরিবেশ এবং আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, যা একজন প্রকৃত চিকিৎসকের নিদর্শন।

*সততা ও নৈতিকতা* ডা. সাইক রহমানের চিকিৎসা দর্শনের কেন্দ্রে। তিনি কখনোই কোনো অনৈতিক চিকিৎসা বা অব্যবস্থাপনাকে প্রশ্রয় দেন না। রোগীর কল্যাণকেই সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেন, যা তাঁর সহকর্মীদের মাঝেও শ্রদ্ধা ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

রোগীদের প্রতি তাঁর *সহানুভূতি ও আচরণ* হৃদয়ছোঁয়া। তিনি প্রতিটি রোগীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন, তাদের উদ্বেগ ও ভয় দূর করেন এবং একজন পরিবার সদস্যের মতো আন্তরিকভাবে সেবা প্রদান করেন। অনেক রোগীই তাঁকে একজন "নির্ভরতার প্রতীক" বলে আখ্যায়িত করেছেন।

25/05/2025

Superfood...
সবুজ শাক-সবজি ও রঙ্গিন ফলমূল

15/05/2025

***ফ্যাটি লিভার ডিজিজকে অবহেলা নয়***

বর্তমান বিশ্বে ফ্যাটি লিভার একটি বড় সমস্যা। পেটের আলট্রাসনোগ্রাম করা হলে ১৮ বছরের তরুণ থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধ পর্যন্ত সবারই ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ধরা পড়ছে। বাংলাদেশে প্রতি চারজনে একজন এ রোগে আক্রান্ত। ফ্যাটি লিভার ডিজিজ দুই ধরনের হয়। একটি অ্যালকোহলিক আরেকটি নন-আলকোহলিক স্ট্যায়াটো হেপাটাইটিস।

লিভারের ৫ থেকে ১০ শতাংশের বেশি জায়গাজুড়ে চর্বি জমলে তাকে বলা হয় ফ্যাটি লিভার। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ ও কায়িক পরিশ্রমের অভাব, জিনগত প্রবণতা, ইনসুলিন প্রতিরোধ, জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও টাইপ–২ ডায়াবেটিসের কারণে এ রোগ বেশি দেখা যাচ্ছে।

ঝুঁকিতে কারা???

পশ্চিমা দেশগুলোয়এ রোগের অন্যতম কারণ মদ্যপান। কিন্তু বাংলাদেশে নন–অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বেশি হয়। যাঁরা মেটাবলিক সিনড্রোমে ভুগছেন তাঁদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। পেটের সামনে স্ফীতিজনিত স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও প্রি–ডায়াবেটিস, রক্তে ক্ষতিকর এলডিএল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি এবং উপকারী এইচডিএল কমে যাওয়া এর বৈশিষ্ট্য।

নন–অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পরবর্তী সময়ে অ্যালকোহলিক স্ট্যায়াটো হেপাটাইটিসে রূপান্তরিত হয়। এটা হলে লিভারের কোষগুলো স্ফীত হয়, প্রদাহের সৃষ্টি হয় ও নষ্ট হতে থাকে। লিভারে শক্ত টিস্যু জমা হয়। পুরো লিভার ফাইব্রোসিস হলে তাকে বলে সিরোসিস

বর্তমান বিশ্বে ফ্যাটি লিভার একটি বড় সমস্যা। পেটের আলট্রাসনোগ্রাম করা হলে ১৮ বছরের তরুণ থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধ পর্যন্ত সবারই ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ধরা পড়ছে। বাংলাদেশে প্রতি চারজনে একজন এ রোগে আক্রান্ত। ফ্যাটি লিভার ডিজিজ দুই ধরনের হয়। একটি অ্যালকোহলিক আরেকটি নন-আলকোহলিক স্ট্যায়াটো হেপাটাইটিস।

চিকিৎসা কী

বর্তমান বিশ্বে লিভার সিরোসিস ও ক্যানসারের অন্যতম কারণ নন–অ্যালকোহলিক স্ট্যায়াটো হেপাটাইটিস। তাই ফ্যাটি লিভারকে অবহেলা করা যাবে না। এর কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। জীবনযাত্রার ইতিবাচক পরিবর্তন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ওজন কমানো (কমপক্ষে শতকরা ১০ ভাগ) এর প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা। প্রতিদিন ব্যায়াম করা, অন্তত ৩০ মিনিট একটু জোরে হাঁটা, এলডিএল কোলেস্টেরল ও ট্রাই গ্লিসারাইড সহনীয় পর্যায়ে রাখা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, অ্যালকোহল ও ধূমপান পরিহার।

খাদ্যাভ্যাস

শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, পাউরুটি, আলু ইত্যাদি কম খেতে হবে। শাকসবজি, তাজা ফলমূল স্বাভাবিক পরিমাণে খেতে পারবেন। পর্যাপ্ত মাছ (তৈলাক্ত অংশ ছাড়া) খেতে পারবেন। সামুদ্রিক মাছ, ইলিশ মাছ, রুপচাঁদা ও অন্যান্য মাছ পরিমিত পরিমাণে খান। জটিল শর্করা যেমন ওটস মিল, যবের আটা খাবেন। কম খাবেন চিনি, ভাজাপোড়া, চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, যেকোনো ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত লবণ, লাল মাংস যেমন গরু ও খাসি।

04/05/2025

রক্তের গ্রুপের কি পরিবর্তন হতে পারে?
রক্তের গ্রুপ নির্ধারিত হয় লোহিত রক্তকণিকায় নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন উপস্থিত থাকা না–থাকা দিয়ে। রক্তের চারটি প্রধান গ্রুপ এ, বি, এবি এবং ও। এদের প্রতিটিতে লোহিত রক্তকণিকার পৃষ্ঠে নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন (প্রোটিন) আছে বা নেই, এভাবে নির্ধারিত হয়।

রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ করা জরুরি। কারণ, গ্রুপ নির্ধারণ করা থাকলে নিরাপদে রক্ত আদান–প্রদান করা যায়। যেমন যার রক্তের গ্রুপ এ, সে নিরাপদে এ বা ও রক্তের গ্রুপের কারও কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু বি বা এবি গ্রুপের কারও কাছ থেকে রক্ত নিতে পারবে না। জরুরি রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হলে রক্তের গ্রুপ জানা থাকতেই হবে। এই সাধারণ তথ্য জরুরি প্রয়োজনে জীবন বাঁচিয়ে দিতে সাহায্য করে।

আমি কি আমার রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন করতে পারব?

আগেই বলেছি, তোমার রক্তের লোহিত রক্তকণিকার পৃষ্ঠে নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি দিয়ে গ্রুপ নির্ধারিত হয়। এই অ্যান্টিজেন আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে পাই মাতা–পিতার কাছ থেকে। কিছু রক্তের গ্রুপ অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। যেমন বি পজিটিভ। অন্যান্য গ্রুপের তুলনায় বেশি সাধারণ। কিন্তু সাধারণ হোক বা দুর্লভ হোক, রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন করা অসম্ভব। কারও যদি রক্তের প্রয়োজন হয়, তাহলে তার গ্রুপের রক্তই তাকে দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে অন্য গ্রুপের রক্ত সরবরাহ করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে এটি শুধু তখনই করা হয়, যখন অন্য কোনো বিকল্প পাওয়া যায় না এবং তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকে
রক্তের গ্রুপ পরিবর্তিত হওয়া দুর্লভ ঘটনা। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের পর রক্তের ধরন পরিবর্তনের উদাহরণ আছে। অস্থিমজ্জা থেকে তৈরি হয় লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা। লিউকেমিয়ার মতো কিছু রোগে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। অসুস্থ রোগীর অস্থিমজ্জা সুস্থ দাতার মজ্জা দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হতে পারে। যদি রোগী আর দাতার রক্তের ধরন ভিন্ন হয়, তাহলে একটি সফল অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের পর দাতার রক্তের গ্রুপ পরিবর্তিত হতে পারে।

আবার কারও প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে যদি তার দেহে প্রচুর রক্ত সঞ্চালন করা হয়, তাহলে অস্থায়ীভাবে একটি ভিন্ন রক্তের গ্রুপ দেখা দিতে পারে। একজন এবি রোগীকে যথেষ্ট পরিমাণ ও গ্রুপের রক্ত দিলে প্রায় সব লোহিত কণিকাকে ও গ্রুপ হিসেবে দেখা যেতে পারে। কয়েক মাসের মধ্যে অবশ্য রোগীর অস্থিমজ্জা নিজ গ্রুপের রক্ত তৈরি করে দাতার গ্রুপকে পরিবর্তিত করে ফেলতে পারে
আরেক ক্ষেত্রে এ গ্রুপের মধ্যে রক্তের গ্রুপ পরিবর্তনের খুব অস্বাভাবিক ও বিরল ঘটনা ঘটে যখন অন্ত্রে একটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটিয়ে একটি এনজাইম তৈরি করে। এই এনজাইম এ গ্রুপের রক্তের অণুকে বি গ্রুপের রক্তের অণুর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ করে তোলে। সাধারণত কোলন ক্যানসার, অন্ত্রে সংক্রমণ বা সেপসিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে খুবই বিরল।

রক্তের গ্রুপ কি পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হতে পারে?
রক্তের গ্রুপ পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হয়েছে, এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে কিছু লোক এমন দাবি করেন। নিয়মিত রক্ত দান করেন এমন কেউ কেউ দাবি করেন যে তাঁরা বেশ কবার রক্ত দেওয়ার পর রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে দেখেছেন, আগে তাঁদের যে গ্রুপ ছিল বলে জানতেন, তার পরিবর্তন হয়ে গেছে। মনে করা হয় যে রক্তের গ্রুপ যাচাইয়ের পরীক্ষায় ভুলে এমন হতে পারে। তবে এমন হওয়া সম্ভব যে কিছু মানুষের রক্তের ধরন সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে।

রক্তের গ্রুপ পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হতে পারে কি না, তা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। কিছু বিরল ঘটনা আছে যেখানে একজনের রক্তের গ্রুপ পজিটিভ থেকে নেগেটিভ বা উল্টোটা হয়েছে। এমন ঘটনা এবি রক্তের গ্রুপ ও রক্তের ধরন নির্ধারণ করে এমন জিনের মিউটেশনের কারণে ঘটে
বয়সের সঙ্গে রক্তের গ্রুপ কি পরিবর্তিত হতে পারে?
প্রচলিত ভুল ধারণা হলো, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে রক্তের গ্রুপের পরিবর্তন হতে পারে। এ ধারণা সঠিক নয়। তোমার রক্তের গ্রুপের পরিবর্তন হতে পারে না, কিছু বিরল ব্যতিক্রম ছাড়া। তবে একজন ব্যক্তির দুইটি ভিন্ন রক্তের গ্রুপ থাকা সম্ভব। এটি কাইমেরিজম নামে পরিচিত। সাধারণত এ ঘটনা ঘটে যখন একজন ব্যক্তির রক্ত বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয় অন্য দুজন দাতা থেকে। এ ক্ষেত্রে ভিন্ন রক্তের গ্রুপ একই ব্যক্তির মধ্যে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করেই সহাবস্থান করতে পারে।

খাবার, অসুস্থতা, ওষুধসহ অনেক কারণে মানুষের রক্তের গ্রুপ প্রভাবিত হতে পারে। তবে রক্তের গ্রুপের পরিবর্তন একটি দুর্লভ ঘটনা

12/02/2025

***অন্তঃসত্ত্বা নারীর ব্যথা ও স্নায়ুর সমস্যা****
গর্ভকালীন সেবা নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের অপরিহার্য অংশ। গর্ভাবস্থায় নারীদের প্রায়ই হাড়, মাংসপেশি, অস্থিসন্ধি, স্নায়ুসংক্রান্ত নানা সমস্যা ও জটিলতা পরিলক্ষিত হয়। ফলে একজন মা শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই ভোগেন। তা ছাড়া গর্ভাবস্থায় ওষুধের ব্যবহারের সুযোগ সীমিত। তাই ব্যথা–বেদনা কমাতে এ অবস্থায় রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন একটি কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি।

প্রথম তিন মাস পিঠ, কোমর বা পায়ে ব্যথা হতে পারে। ক্লান্তিবোধ হয়। দ্বিতীয় তিন মাসে হাত ও আঙুলে ঝিঁঝিঁ ধরা, অবশ হয়ে যাওয়া, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা অনুভব বেশি দেখা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রথম তিন মাসের সমস্যা, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় তিন মাসেও অব্যাহত থাকতে পারে।কারণ

হরমোনের কারণে সন্ধিগুলো শিথিল হয়ে আসা।

জরায়ু বৃদ্ধির জন্য মেরুদণ্ডের বক্রতার পরিবর্তন হওয়া।

ওজন বেড়ে যাওয়া।

নার্ভের ওপর অতিরিক্ত চাপ।

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি–এর অভাব।



চিকিৎসার উদ্দেশ্য

মায়েদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানো।

প্রসবের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা।

গর্ভকালীন বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো।

স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসা করা।

নিরাপদ মাতৃত্ব।

প্রসবকালীন ও প্রসব–পরবর্তী জটিলতা হ্রাস।

ফলো করুন



গর্ভকালীন সেবা নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের অপরিহার্য অংশ। গর্ভাবস্থায় নারীদের প্রায়ই হাড়, মাংসপেশি, অস্থিসন্ধি, স্নায়ুসংক্রান্ত নানা সমস্যা ও জটিলতা পরিলক্ষিত হয়। ফলে একজন মা শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই ভোগেন। তা ছাড়া গর্ভাবস্থায় ওষুধের ব্যবহারের সুযোগ সীমিত। তাই ব্যথা–বেদনা কমাতে এ অবস্থায় রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন একটি কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি।

প্রথম তিন মাস পিঠ, কোমর বা পায়ে ব্যথা হতে পারে। ক্লান্তিবোধ হয়। দ্বিতীয় তিন মাসে হাত ও আঙুলে ঝিঁঝিঁ ধরা, অবশ হয়ে যাওয়া, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা অনুভব বেশি দেখা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রথম তিন মাসের সমস্যা, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় তিন মাসেও অব্যাহত থাকতে পারে।

কারণ

হরমোনের কারণে সন্ধিগুলো শিথিল হয়ে আসা।

জরায়ু বৃদ্ধির জন্য মেরুদণ্ডের বক্রতার পরিবর্তন হওয়া।

ওজন বেড়ে যাওয়া।

নার্ভের ওপর অতিরিক্ত চাপ।

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি–এর অভাব।



চিকিৎসার উদ্দেশ্য

মায়েদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানো।

প্রসবের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা।

গর্ভকালীন বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো।

স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসা করা।

নিরাপদ মাতৃত্ব।

প্রসবকালীন ও প্রসব–পরবর্তী জটিলতা হ্রাস।

করণীয়

গর্ভাবস্থায় ওষুধের ব্যবহার সীমিত থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খাওয়া যাবে।

নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাভাবিক কাজকর্মের পাশাপাশি দৈনিক ২০-৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ৫ দিন হাঁটার চেষ্টা করুন।

প্রতিবেলায় গর্ভ–পূর্ববর্তী খাবারের চেয়ে একটু বেশি ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে।

ভিটামিন সি–যুক্ত খাবার ও আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে হবে।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম (দুপুরে খাবারের পর ২ ঘণ্টা ও রাতে ৬-৮ ঘণ্টা) নিতে হবে।

শারীরিক ও মানসিক চাপ কমাতে হবে।

ভারী কাজ করা নিষেধ। তবে দৈনন্দিন কাজকর্মে বাধা নেই।

পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

সঠিক দেহভঙ্গি মেনে চলতে হবে। এক পাশে ফিরে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।

সতর্কতা

চলাফেরায় তাড়াহুড়া করবেন না। তীব্র মাত্রার কোনো শারীরিক অনুশীলন করবেন না। কোনোক্রমেই পেটে ঠান্ডা বা গরম সেঁক অথবা কোনো ম্যাসাজ করবেন না। হাই হিল জুতা পরবেন না।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Emergency Health Care "জরুরী স্বাস্থ্যসেবা" posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category