https://youtube.com/channel/UCY1oHynrzPV0IRKxsFw1hMg

Dr. Asha's, Bakshibazar, Dhaka (2025)

25/10/2025

📍Pidurangala rock, Sigiriya

শ্রীলঙ্কায় ট্রিপ প্ল্যান করার একটা বড় কারণ হলো ছবির পেছনের এই বড় "সিগিরিয়া রক" দেখা যা পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য নামে খ্যাত।
ছবিটা তোলা পিদুরাঙ্গালা রক থেকে।এটা মূলত আরেকটা বিশাল পাথর যেটা শ্রীলঙ্কায় সানরাইজ দেখার বেস্ট প্লেস।সাথে সিগিরিয়া রকের খুব সুন্দর ভিউও মেলে।

"সিগিরিয়া রক" কে Eighth Wonder of the World বলার কারণ হলো ৫ম শতকের দিকে রাজা কাশ্যাপা এই পাথরের উপরে শ্রীলঙ্কার রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।একটা পাথরের উপরে রাজধানী!
পাথরের উপরে প্রাসাদ,গুহাচিত্র,বিভিন্ন কারুকাজ স্পেশালি প্রাসাদে ওঠার সিড়ির শুরুর মুখে এক বিশাল সিংহের পা এখনো দেখা যায়।

পিদুরাঙ্গালা রক হলো বিশাল পাথরের মাঠের মতো।পাথরের উপরে দিব্যি দৌড়াদৌড়ি করা যায় এতটাই বড় তবে কিছুটা উঁচুনিচু।পুরোপুরি সমতল না হওয়ার কারণে এই রক রাজধানী হিসেবে বিবেচিত হয়নি।পিদুরাঙ্গালা ট্রেক করতে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো লেগে যায়।সিগিরিয়ায় উঠতে প্রায় ৪০ মিনিট।কষ্ট হলেও আকাশের এতো কাছে থেকে সানরাইজ আর সানসেট দেখার সুযোগ তো আর ছেড়ে দেয়া যায় না!
It was worth every sweat!🌄

23/10/2025

I was asked to give a talk in a scientific seminar yesterday. It was a new experience and certainly a good one.

কিন্তু পোস্টটা সেমিনার নিয়ে নয়।
একচুয়ালি সেমিনারে একজন WHO এর পাবলিক হেলথ স্পেশালিস্টের সাথে কথার একপর্যায়ে তিনি বললেন, 'ডাক্তারেরা তো ন্যাচারালি উইক লিডার,ব্যাড কমিউনিকেটর এন্ড ওয়ার্স্ট এডমিনিস্ট্রেটর হয়।'
আমি কথাটার সাথে কিছু অংশে সহমত তবে 'ন্যাচারালি' শব্দটা নিয়ে আমার অনেক কিছু বলার আছে।

একজন এনথুয়াসিস্টিক ইয়াং তরুণ যখন মেডিকেলে আসে তার চোখে অনেক স্বপ্ন থাকে।সে ভালো ডাক্তার হবে,সোশ্যাল ট্যাবুর এগেইন্সটে কাজ করবে,একটা সোসাইটি লিড করবে।অন্তত আমি এমন স্বপ্ন নিয়েই এসেছিলাম।আমার সাথে আরো শতশত সহপাঠীরা এসেছিলো।

স্বপ্নবাজদের সিমিলারিটি কোথায় জানেন?
-তাদের পরিবার।আমি প্রচন্ড সাপোর্টিভ ফ্যামিলিতে বড় হয়েছি।স্বভাবতই আমাকে কখনো ছোট স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকতে শেখানো হয়নি বরং আউট অফ দ্যা বক্স চিন্তাভাবনা করতে শেখানো হয়েছে।কীভাবে মেইনস্ট্রিমের এগেইন্সটে গিয়ে নিজের জায়গায় অটল থাকতে হয় সেটা শেখানো হয়েছে।
নবজাতক কোনো শিশু কখনোই লো কনফিডেন্স নিয়ে জন্ম নেয় না।তাকে ধীরে ধীরে তার পরিবার,আশেপাশের সোসাইটি সেল্ফ এস্টিমলেস একটা মানুষে পরিণত করে।দোষটা হলো 'সোসাইটির'।
স্যাডলি সোসাইটি নামক কোনো বস্তুগত জিনিস না থাকায় আমরা সেই মানুষটাকে দোষারোপ করি।'ডাক্তারেরা তো পড়াশুনা ছাড়া কিছুই পারে না' এই চিন্তা মাথায় গুজে দিতে দিতে আমরা মানুষগুলোকেও একসময় এমনটাই বানিয়ে ফেলি।অথচ ডাক্তারদের Born leader হওয়ার কথা ছিলো।

তাহলে সমাধান?
-কোনো রিভল্যুশনারি সমাধান আসলে নেক্সট শতবছরেও পাওয়া যাবেনা।একটা দেশের জেনারেশনের পরে জেনারেশনে যেই গোড়ামি ঢুকিয়ে দিয়ে হয়েছে সেটা ঘুচাতে আরো শখানেক জেনারেশন প্রয়োজন।
ডাক্তার মাত্রই নিজের জীবনটুকু সোশ্যাল ভ্যালিডেশন আর আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য বিলিয়ে দিবেন না।এর বাইরেও এক জীবন আছে।সেটা আপনি নিশ্চয়ই জানেন।শুধু ফ্লো এর এগেইন্সটে যেতে সাহসটুকু হয়তো হয়না।একদিন সাহস করেই দেখবেন,জীবনটা হয়তো ভিন্নরকম হবে।

আমি এখন আমার মিড টুয়েন্টিজে।সবে স্বপ্ন পূরণ করতে শুরু করেছি।কিন্তু আমি আশাবাদী একদিন ডাক্তারদের নিয়ে ট্যাবু ভাঙবে।আই এম হোপফুল।

So, this is to my dear juniors:
Learn to challenge sterotypes. Please don't let the system beat it out of you!

08/10/2025

Allah(SWT) has blessed me with more than I ever wanted Alhamdulillah Alhamdulillah Alhamdulillah!

ফাইনালি,বাংলাদেশ ও ইউকে এই দুই দেশের রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তার!😁

07/10/2025

Let me tell you a funny experience in Sri Lanka!

প্রথম এক সপ্তাহে যখন কলম্বো,সিগিরিয়া,ক্যান্ডি,নুয়ারা এলিয়া ঘুরছিলাম তখন মানুষজন জিজ্ঞেস করতো,Are you from Japan/China?মেইবি আমার পুচকি চোখ আর বোচা নাকওয়ালা ফিচারসের জন্য।

এরপরে এল্লা গেলাম।হাইকিং করে ট্যানড হতে শুরু করলাম।তখন জিজ্ঞেস করতো,Are you from Indonesia/India?

শেষে এসে যখন গল,মিরিসসার বীচে ঘুরে ফুললি ট্যানড হয়ে গেলাম,তখন মানুষজন ইংলিশ শুনলে জিজ্ঞেস করতো,Aren’t you a Sri Lankan?

এক স্কিন কালারের ৩ শেডের জন্য পরিচয়ই ভিন্ন হয়ে যায়।যদিও সবাইকেই এন্সার দিতাম,I'm from Bangladesh আর সবার চোখমুখের আশ্চর্যবোধক এক্সপ্রেশন দেখে মজাই লাগতো।

ইভেন দুইজন বাংলাদেশীর সাথে ইংলিশে কনভার্সেশনের পরে আমরা বুঝতে পেরেছি,যে আমরা আসলে সবাই বাংলা বলি।যস্মিন দেশে যদাচার যাকে বলে আরকি!

ছবিটা মিরিসসার কোকোনাট ট্রি হিলের।যখন আমি নিজেকে শ্রীলঙ্কান ভাবা শুরু করেছিলাম।😂

📍Coconut Tree Hill, Mirissa 🌴
Apparently, this is one of the most Instagrammable places in Sri Lanka.
So,I gotta post a picture here!🤷‍♀️

04/10/2025

চেম্বার শুরু করেছি মাস দু’য়েক হলো।
দেশে যে ক’দিন থাকি,চেম্বারে বসলে নিজের এলাকায়ই রোগী দেখবো এমনটাই চেয়েছিলাম।
সবকিছু কিভাবে যেন একসাথে মিলে গেলো!নতুন হাসপাতাল,নিজের জায়গা,নিজের মতো করে রোগী দেখা,টুকটাক ওটি করা।

আমার খুব প্রিয় একজন প্রফেসর বলেছিলেন, "যেদিন তুমি অপারেশন করে রাতে ঘুমাতে পারবে না,সেদিন বুঝবে তুমি সার্জন হয়ে গেছো।”
চেম্বারে প্রথম ওটির দিনের ছবি এটা।আমার জন্য সেই না ঘুমানোর রাত।

গ্রামে গেলে বুঝবেন, কত অসংখ্য নারী ভয়ংকর সব রোগ পুষে রাখেন কারণ তারা মেইল ডাক্তারকে প্রাইভেট সমস্যার কথা বলতে ইতস্তত বোধ করেন।অথচ পুরো একটা জেলা শহরে কোনো ফিমেইল সার্জন নেই!

শুরুর দিকে এসে অনেকেরই অনেক কথাই চুপচাপ শুনলাম।আমি এমবিবিএস,পোস্টগ্র্যাজুয়েশন,ট্রেনিংসহ সবই করেছি ঢাকায়।সেখানকার পরিবেশে অর্ধেক সার্জনই ফিমেইল।আমার ট্রেইনারসহ কেউ কখনো মেইল-ফিমেইল আলাদা করে দেখেননি বরং ফিমেইল সার্জন হিসেবে আরও বেশি রেসপেক্ট পেয়েছি।এখনও ঢাকায় ট্রেনিং করছি।

যাহোক,সেইসব কথা শুনতেই শুনতেই আজ আমি চিফ সার্জন হিসেবে ওটি করেছি এবং করছি।ট্যাবু ভাঙ্গার কষ্টটা হয়তো আমাকে একটু বেশিই করতে হয়।তবুও আমার রোগীরা শুধুমাত্র আমার উপরে ভরসা করেই আসে,এটাতেই শান্তি।

এই দেশের মেয়েদের চামড়া গন্ডারের চেয়েও শক্ত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।স্পেশালি যদি প্যাট্রিয়ার্কিকে ছাপিয়ে উঠতে চাও।

দোয়াপ্রার্থী।❤️

28/09/2025

বাবা-মা ও ছেলে-মেয়েকে তো অনেকেই একসাথে চেম্বারে বসতে দেখেছেন।নানু-নাতনী কে কজন দেখেছেন?

আজ সকালে আমার দাদুবাসার এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প করে ফিরলাম।একরুমে আমার নানু(শিশু বিশেষজ্ঞ),আরেকরুমে আমি রোগী দেখছিলাম।আমি দেখি বড়দের,নানু দেখে বাচ্চাদের।নানু নাতনীকে রোগী রেফার করে,আমি বাচ্চাদের নানুর কাছে রেফার করি।মজার ব্যাপার!😂

আমার দেশে থাকার ইচ্ছা নেই বললেই চলে।গ্রামের এই হতদরিদ্র মানুষগুলো যেভাবে মিসম্যানেজড হয় এসব দেখে মাঝেমধ্যে ভাবি দেশে থাকলেও মন্দ হতো না।পরক্ষণেই ঢাকা শহরে এসে লবিং আর পলিটিক্সের জোরাজুরি দেখে আর মত টিকিয়ে রাখতে পারি না।

কি আছে কপালে তা জানার তো আর সাধ্য নেই তবুও চেষ্টা করছি!

📍নীলফামারী সদর

21/09/2025

📍পাওমুম থারক্লা,বান্দরবানের লামার গহীনে পাহাড়ি বাচ্চাদের একটি বোর্ডিং স্কুল।

আজ সকালে এই স্কুলে মেডিকেল ক্যাম্প করে ফিরে এলাম।ইমোশন তাজা থাকতে থাকতেই আসলে লিখে ফেলতে হয়।অভিজ্ঞতা পরে লিখবো ভেবে কতো কতো ছবি গ্যালারিতে পড়ে রয়েছে তার হিসেব নেই!

হঠাৎ একদিন মেডিকেলের এক ক্লোজ জুনিওর নক দিয়ে বললো বান্দরবানে একটা মেডিকেল ক্যাম্প করার প্ল্যান করছে,তারা চায় আমি ডাক্তার হিসেবে পার্টিসিপেট করি।এ কি আর মানা করার মতো প্রপোজাল?
আমার মোটের উপরে পনেরবারের বেশি বান্দরবান যাওয়া হয়েছে।সবসময় ভাবতাম এই পাহাড়ি মানুষগুলোর কঠিন জীবনযাত্রাকে কিছুটা হলেও সহজ করে দেয়ার সুযোগ যদি পেতাম!এবার সেই সুযোগ নিজ হাতে এসে ধরা দিলো।

এবারে পাওমুম থারক্লা যাওয়ার বিশাল কাহিনী বলি।প্ল্যান হলো ঢাকা থেকে বাসে চকোরিয়া যাবো।চকোরিয়া থেকে লামা যাবো চান্দের গাড়িতে।লামা বাজার থেকে বাইকে/বোটে করে ফাইনাল ডেস্টিনেশন স্কুলে যাবো।

কিন্তু কপালে যে এক প্ল্যান ভার্সেস রিয়্যালিটি চেক লিখা আছে তা আর কে জানে!

চকোরিয়া যেতে গিয়ে বাসের এক্সিডেন্ট হলো।সবাই কমবেশি হাটুতে ব্যথা পেলাম।সেই বাস আমাদের চকোরিয়ার আগেই এক রেস্টুরেন্টে নামিয়ে দিলো।জানালো আরেক বাস এসে আমাদের বাসস্ট্যান্ড পৌছিয়ে দিবে।সেই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হলো ঘন্টাখানেকেরও বেশি।স্বাভাবিকভাবেই বাসস্ট্যান্ডে পৌছাতেই সবাই কাহিল অথচ সারাদিনের কাজ এখনো বাকি।এরপরে চান্দের গাড়িতে করে গেলাম লামা বাজার।এবার লামা বাজারে গিয়ে শুনি মাতামুহুরির পানি এখন কম তাই নৌকা চলবে না।তাহলে আর উপায় রইলো বাইক।বাইকে করে পৌছালাম কালৈক্যাপাড়া।সেখানে গিয়ে শুনি পাড়া থেকে বাইকে স্কুল পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা খুবই রিস্কি,বাইকে গেলে এক্সিডেন্ট হবার সম্ভাবনাই বেশি।এদিকে হাতে সময়ও নেই,প্রায় দুটা বাজে।সবাই ব্যাগ-বস্তা নিয়ে হাটতে শুরু করলাম।মাতামুহুরির গা ঘেষে হেটে যেতে সময় লাগলো প্রায় এক ঘন্টা।সবশেষে গত রাত ১১ টায় জার্নি শুরু করে পৌছালাম পরদিন দুপুর ৩টায়।

স্কুলে পৌঁছে দেখি দূর থেকে পায়ে হেটে অনেকগুলো বাচ্চা এসেছে।আমাদের পৌছাতে দেরি হওয়াতে কোনোমতো খেয়েদেয়েই সবাই বাচ্চা রোগীদের দেখতে শুরু করলাম।বিকেলের দিকে ঝুমবৃষ্টি নামলো।বাচ্চাগুলোর এই পিচ্ছিল পাহাড়ি পথে হেটে বাসায় ফিরে যেতে কষ্ট হয়ে যাবে ভেবে আমরা চটজলদি কাজ করছিলাম।তবুও কুলায়ে ওঠা গেলো না।সন্ধ্যা নামার আগে দূরের বাচ্চাগুলোকে দেখে বাকিদের আবার আগামীকাল আসতে বলা হলো।

আমরা ৪ জন ডাক্তার ছিলাম সাথে ৪ জন মেডিকেল স্টুডেন্ট।টোটাল ৮ জনের মেডিকেল টিম আমাদের।
আমাদের ঘুমানোর জায়গা করা বাচ্চাদের বোর্ডিং এ।সেটা স্কুল থেকে কিছুটা দূরে পাহাড়ের উপরে।রাতের খাবারদাবার শেষে সবাই উঠলাম পাহাড়ের উপরে।ফ্লোরিং করে থাকবো সবাই আজ।এত ক্লান্ত শরীরে সবার যে কি সুন্দর ঘুম হয়েছিলো আহা!

পরদিনের পালা এবার।
সক্কালে সবাই ঘুম থেকে উঠে পাহাড়িদের বানানো চা-বিস্কিট খেয়ে ক্যাম্পের কাজ শুরু করে দিলাম।আজকে বড়দের দেখার কথা সাথে যেই বাচ্চাগুলোকে গতদিন দেখা হয়নি তাদেরও দেখার প্ল্যান।৩ টা আলাদা আলাদা মেডিকেল বুথ বানিয়ে আমরা রোগী দেখা শুরু করে দিলাম।সবমিলিয়ে পঞ্চাশহাজারেরও বেশি টাকার ঔষধ নেয়া হয়েছিলো,সবগুলোই আমরা তাদের দিয়ে এসেছি।পাহাড়িদের বেশিরভাগ সমস্যাই স্কিনের,বাচ্চাদের বেশিরভাগেরই স্ক্যাবিস,মহিলাদের রক্তশুন্যতা সাথে মেক্যানিকাল ব্যাক পেইন,কিছু কিছু বাচ্চাদের কানের ইনফেকশন,বয়স্ক মহিলাদের বেশিরভাগেরই দাতের সমস্যা সাথে কোমরব্যথা।

এই ক্যাম্পে ডায়াগনস্টিক চ্যালেঞ্জ খুব একটা ছিলো না কিন্তু ভয়ংকর লজিস্টিক্যাল চ্যলেঞ্জ ছিলো।আমাদের ইনভেন্টরির বাইরে কোনো ঔষধ লেখা মানেই তাদের ৩ ঘন্টা পায়ে হেটে সেই ঔষধ কিনতে যেতে হবে।একেকটা ক্যাম্পে একেকরকম অভিজ্ঞতা হয়।ডাক্তার হিসেবে ডাইভার্স ডায়াগনোসিস ৫ মিনিটের ব্যবধানে চিন্তা করতে পারার এবিলিটি অর্জন করা মেডিকেল ক্যাম্প আর বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালের ওপিডি ছাড়া সম্ভব নয়।

ক্যাম্প শেষ হলো দুপুরের দিকে।
ভাগ্যক্রমে গতদিন ঝুম বৃষ্টি হওয়ায় আজ মাতামুহুরির পানি বেশি ছিলো।নৌকা এলো আমাদের নিতে,সবাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম।মাতামুহুরির বোট রাইডিং পুরো অভিজ্ঞতার সবচেয়ে রোমাঞ্চকর মুহূর্ত ছিলো।নৌকায় করে ফিরতে ফিরতেই সানসেট দেখলাম।শীতল পানিতে পা দুলাতে দুলাতে দুই ঘন্টার জার্নি কীভাবে শেষ হলো বুঝতেই পারলাম না!

ডাক্তারি লাইফে যতটা না আনন্দ টাকা কামিয়ে,তারচেয়ে শতগুণ আনন্দ পাওয়া যায় ভলান্টারি কাজ করে।আফসোস একটাই,দেশের মানুষ আর ডাক্তার জনগোষ্ঠীর মধ্যে থাকা বিশাল কমিউনিকেশন গ্যাপটা মিটে গেলে হয়তো দেশটা ডাক্তারদের জন্য স্বর্গ হতো।

আমার বাকেটলিস্টের একটা স্বপ্ন ছিলো বান্দরবানের পাহাড়ি নৃগোষ্ঠীদের সাথে একদিনের জন্য হলেও ট্যুরিস্ট হিসেবে নয়,ডাক্তার হিসেবে দিন কাটানো।
কীভাবে কীভাবে যেনো স্বপ্নগুলো পূরণ হয়ে যাচ্ছে।
এমন পাখির মতো জীবনই তো চেয়েছিলাম।ভয় করে সেদিনের জন্য যেদিন স্বপ্নগুলো সব শেষ হয়ে যাবে!

16/09/2025

গতকাল শ্রীলঙ্কা থেকে ১৪ দিন কাটিয়ে ফিরলাম।
সবচেয়ে পঁচা ফ্রেমের টুকটুক(আমাদের সিএনজিকে সেদেশে টুকটুক বলে) ড্রাইভারের তোলা ছবিটাই প্রথমে দিলাম।
বিশাল সময় নিয়ে যাওয়ার কারণ ছিলো লোকাল কালচার দেখা,লোকাল মানুষজনের সাথে মিশতে পারা।সলো কলোম্বো ঘুরলাম সাথে কমবেশি শ্রীলঙ্কার মোস্ট ট্রাভেল স্পট।রাত-বিরাতে একেক জেলার রাস্তায় হাটাহাটি,পাহাড় চড়া,ঝর্না দেখা,লোকাল বাস,ট্রেন,খাবারদাবার,ধর্মীয় কালচার কিছুই বাদ রাখিনি।এয়ারপোর্ট থেকে নেমে নিজের দেশকেই কিছুক্ষণের জন্য বিদেশ লাগছিলো।

সভ্য হতে যে টাকা লাগেনা তা এদেশ থেকে আমার সবচেয়ে বড় শিক্ষা।একসময়ের দেউলিয়া দেশের গ্রামেগঞ্জের মানুষ থেকে শুরু করে রাজধানী কলোম্বো পর্যন্ত সবাই ইংলিশ বোঝে এবং কমিউনিকেট করতে পারে।রাস্তাঘাটে লোকাল মানুষের থেকে ট্রাভেলারের অনুপাতই কিছু জায়গায় বেশি।ইউরোপীয়ান কান্ট্রি থেকে প্রচুর ট্রাভেলার দেখলাম এখানে।সৌন্দর্যের তুলনায় আসলে বাংলাদেশ বহুলাংশেই তাদের সমান কিন্তু সেদেশ থেকে ফিরে আসতে মন চাইবে না আর এই দেশে থাকতে মন চাইবে না,শুধু এতটুকুই পার্থক্য।

যাহোক,ছবির পিছনে Independence square দেখা যাচ্ছে সাথে তাদের প্রথম প্রাইম মিনিস্টার স্টিফেন সেনানায়েকে।ছবির মুজিজা হলো এটা আমার ফার্স্ট সলো কোনো দেশের রাজধানী চষে বেড়ানোর মেমোরি।

উশকোখুশকো একটা ছবিও থাকুক পেইজে।🇱🇰

Dr. Asha's

25/10/2025

23/10/2025

08/10/2025

07/10/2025

04/10/2025

28/09/2025

21/09/2025

16/09/2025

Address

Website

Alerts

Contact The Practice

Shortcuts

Share

Category