Dr Md Mohiuddin

Dr Md Mohiuddin INTERNATIONAL CLASSICAL HOMEOPATHY
A Center For Real Healing!

02/12/2025

আমি এমন বেশ কয়েকজনের মেসেজ পেয়েছি যে,তারা শর্টকাট হোমিওপ্যাথিক কোর্স করে আলাদা ইনকাম করতে চায়,আমি যেন কিছু পরামর্শ দিই।তারা দীর্ঘ সময় নিয়ে শিখতে পারবেনা কারণ তারা শিক্ষক, কেউবা মসজিদের সম্মানিত ইমাম। তাদের প্রত্যেকের জন্য আমার পরামর্শ ছিলো এমন যে, আপনি যদি ব্যাবসা করতে চান তাহলে তেমন কিছু শিখতে হবেনা,ধান্দাবাজি করার মানসিকতা থাকলেই হবে। রেডিমেড মেডিসিন আছে, যৌন উত্তেজক, রুচি বৃদ্ধির মেডিসিন বিক্রির হকারি করেই ব্যাবসা জমাতে পারবেন। যদি সত্যিকার অর্থে চিকিৎসক হয়ে চিকিৎসা দিতে চান তাহলে আপনাকে ব্যাপক থেকে ব্যাপক পড়াশোনা করতে হবে।তখন বলে সেটা কত সময় ধরে? আমি বলতাম ধরুন আমি ৬ বছর কৃতিত্বের সাথে বি এইচ এম এস কোর্স শেষ করে এখন আবার আড়াই বছর ধরে আরেকটা কোর্স করে এখনো পাশ করতে পারিনি,আমি এখনো অনেক রোগী দেখতে পারিনা,এখনো ভয় পাই কারণ আমি অনেক কম জানি। আমি গ্রামে আদৌ তেমন প্রচার করিনি, কারণ মানুষ আমার কাছে যে প্রত্যাশা নিয়ে আসবে আমি সে অনুযায়ী যথেষ্ট জানিনা।স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে খেলা করা যায়না। হোমিওপ্যাথিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতেও যথেষ্ট বিচক্ষণ হতে হয়।সাধারণ জ্বরের মেডিসিন দেওয়াও কঠিন। স্বাস্থ্যের বেসিক জ্ঞান ও পূর্নাঙ্গ হোমিওপ্যাথি না জানলে কোনভাবেই কোন রোগের জন্য চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না।আপনি চাইলে এলোপ্যাথিক ৬ মাস ১ বছর মেয়াদী কোর্স করে মেডিসিন বিক্রি করতে পারেন।জ্বরের জন্য নাপা,ডায়রিয়ার জন্য স্যালাইন মেট্রিল ফ্ল্যাজিল,গ্যাসের জন্য সেকলো,মাথা ব্যাথার জন্য টাফনিল এইভাবে অনেক রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ইনকাম করা সহজ , কিন্তু হোমিওপ্যাথিক সিস্টেমে এইটা কোনভাবেই সম্ভব না।যিনি একজন সত্যিকারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হবেন তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে বেসিত জ্ঞান প্রচলিত মেডিকেল(এলোপ্যাথি) ডাক্তারের চাইতেও মজবুত হওয়া জরুরী

নিজে সচেতন হোন, অন্যকেও সচেতন করুন!
02/12/2025

নিজে সচেতন হোন, অন্যকেও সচেতন করুন!

রাউন্ড - ০২ | প্রশ্ন - ০১কমেন্টে আপনার উত্তর জানান!উল্লেখ্য, গত ১০ নং কুইজের মাধ্যমে নভেম্বর মাসের প্রশ্নোত্তর সেশন সম্প...
01/12/2025

রাউন্ড - ০২ | প্রশ্ন - ০১
কমেন্টে আপনার উত্তর জানান!

উল্লেখ্য, গত ১০ নং কুইজের মাধ্যমে নভেম্বর মাসের প্রশ্নোত্তর সেশন সম্পন্ন হয়েছে। আজ থেকে নতুন সেশন শুরু! গত সেশনের বিজয়ীদের পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে! এবারও দুটো ক্যাটাগরিতে পুরষ্কৃত করা হবে! শুভকামনা!

বি.দ্র. - এই কুইজগুলো শুধুমাত্র BHMS বা DHMS ডাক্তার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য!

01/12/2025

একটা ছোট বাচ্চা—জ্বর, সর্দি, কাশি, বমি। আমি বাচ্চার মায়ের সাথে কথা বলেই বুঝে গেলাম, এটা একদম পরিষ্কার Belladonna-র কেইস। আমি আবার সেখানে উপস্থিত নই, তাই আরেকজন স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে বললাম—ওষুধটা উনার কাছ থেকে নিয়ে দিতে।

ঘটনা এখানেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সমস্যা শুরু হলো যখন তিনি বাচ্চাকে দেখে বললেন—
“এতগুলো সমস্যা, একটা ওষুধে কিভাবে হবে?”

শুনে মনে হলো যেন অ্যালোপ্যাথির নিয়মে মামলার বিচার হচ্ছে—যত লক্ষণ, তত ওষুধ। তাকে বোঝালাম—হোমিওপ্যাথিতে যদি remedy ঠিক থাকে, একটাই ওষুধ সব ঠিক করে দেয়। কিন্তু তিনি বারবার সংশয় প্রকাশ করেই গেলেন।

এরপর শুরু হলো potency নিয়ে তর্ক।
“বাচ্চাকে ২০০ কেন দিবেন? ৩০ দিলেই হতো!”

আমি হেসেই ফেললাম। যারা potency–কে বয়স দিয়ে মাপেন, তারা কখনো বুঝবেন না—বাচ্চাদের ভায়টাল ফোর্সই আসলে সবচেয়ে responsive।

শেষে আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করলাম—
“জ্বর কত ডিগ্রি?”
তিনি বললেন— “অনেক জ্বর!”
আবার জিজ্ঞেস করলাম—
“কত হতে পারে?”
বললেন— “১০০/১০১।”

এই মুহূর্তেই পরিষ্কার হয়ে গেল আমাদের দেশের অনেক চিকিৎসকের বাস্তব অবস্থা—clinical judgment তো দূরের কথা, জ্বরের মানে কী তাও বোঝার অভাব আছে।

এই ধরনের চিকিৎসক প্রায় প্রতিটি সেক্টরে আছে। তবে মেডিসিন প্রেস্ক্রাইব করে বাহির থেকে কিনে নিতে বললে আমাদের অনেক বেশি বিড়ম্বনা পোহাতে হয়

কুইজ - ০১০কমেন্টে আপনার উত্তর জানান!বি.দ্র. - এই কুইজগুলো শুধুমাত্র BHMS বা DHMS ডাক্তার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য!        ...
29/11/2025

কুইজ - ০১০
কমেন্টে আপনার উত্তর জানান!
বি.দ্র. - এই কুইজগুলো শুধুমাত্র BHMS বা DHMS ডাক্তার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য!

28/11/2025

ভূমিকম্প শুধু মাটিকে না, মনকেও নাড়িয়ে দেয়। অনেকেই বারবার মনে করেন—“এই বুঝি আবার ভূমিকম্প হলো!”
এই আতঙ্কটা বাস্তব, এবং চিকিৎসাযোগ্য।
আজকের ভিডিওতে আলোচনা করেছি ভূমিকম্প-আতঙ্কের সময় কী হয়, কেন হয়, এবং হোমিওপ্যাথি কীভাবে আপনার মানসিক স্থিরতা ফিরিয়ে দেয়!

আপনি বা আপনার কাছের কেউ এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেলে, শান্ত থাকুন—হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন!

#ভূমিকম্প #প্যানিকআটাক #মানসিকস্বাস্থ্য #হোমিওপ্যাথি #স্বাস্থ্যসচেতনতা

কুইজ - ০০৯কমেন্টে আপনার উত্তর জানান!বি.দ্র. - এই কুইজগুলো শুধুমাত্র BHMS বা DHMS ডাক্তার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য!        ...
26/11/2025

কুইজ - ০০৯
কমেন্টে আপনার উত্তর জানান!
বি.দ্র. - এই কুইজগুলো শুধুমাত্র BHMS বা DHMS ডাক্তার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য!

ডেঙ্গু রোগীর দ্রুত আরোগ্যের বাস্তব অভিজ্ঞতাএক দেড় মাস আগের একটি অভিজ্ঞতা—একজন ডেঙ্গু রোগী মাত্র দুই দিনেই সম্পূর্ণ সুস্থ...
26/11/2025

ডেঙ্গু রোগীর দ্রুত আরোগ্যের বাস্তব অভিজ্ঞতা
এক দেড় মাস আগের একটি অভিজ্ঞতা—একজন ডেঙ্গু রোগী মাত্র দুই দিনেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। উনারা সব প্রস্তুতি—ব্যাগ, কাপড় ইত্যাদি নিয়ে ইবনে সিনায় ভর্তি হতে বের হয়েছিলেন। পথে ঘটনাক্রমে আমাদের একজন ডাক্তার, ডা. শাহ পরান, এর সাথে তাদের যোগাযোগ হয় মূলত কেবিনের সুপারিশের জন্য।

ডা. পরান বলেন—
“হাসপাতালে যাওয়া সমস্যা নয়, তবে তার আগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে যাক।”

ডেঙ্গুর প্রচলিত চিকিৎসায় যেখানে সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ নেই (শুধু ম্যানেজমেন্ট), সেখানে হোমিওপ্যাথিতে রোগীর লক্ষণ ও টোট্যালিটি অনুযায়ী সঠিক মেডিসিন প্রয়োগ করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

রোগীকে মাত্র দুই মিনিট দেখে আমি Arsenicum Album দিই এবং বলি—
“আজ রাতটা অন্তত অপেক্ষা করুন।”

সারারাত ও পরদিন সকাল পর্যন্ত রোগী ভালো ছিলেন। দুপুরের পরে আবার পেটব্যথা শুরু হয়, ফলে তারা আবার ইবনে সিনায় ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ফোন দিলে আমি বলি—
“একটা আল্ট্রাসনোগ্রাম করে আসুন।”

মাগরিবের পরে তারা রিপোর্ট নিয়ে আসে। লক্ষণ ও সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আমি Calcarea Phos 200 দুইবার খাইয়ে দিই। মাত্র দশ মিনিটের মধ্যেই ব্যথা সম্পূর্ণ চলে যায়। এরপর প্লাসিবো দিয়ে রোগীকে বাড়ি পাঠিয়ে দিই—সেদিনও তারা ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলেন!

আরেকটি রোগীর অভিজ্ঞতা

এই ঘটনার সূত্র ধরেই কলেজের এক মেয়ের ভাগ্নার ডেঙ্গু হলে সে অনুরোধ করে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে। রোগী অনেক দূরে থাকায় প্রথমে নিতে চাইনি। কিন্তু তার বারবার অনুরোধে ফোনে লক্ষণ জেনে চিকিৎসা দিই।

রোগীর খালার বর্ণনা অনুযায়ী—
প্রথমে ১০০°F জ্বর ছিল। তিন দিন পরে জ্বর বেড়ে ১০৪°F হয়। ডেঞ্জু টেস্ট করালে সন্ধ্যায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সেই রাতে আমাদের পরামর্শে Lycopodium 200 প্রতি ৩০ মিনিট পর, তিন ভাগে করে মোট ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে খাওয়ানো হয়।

পরদিন সকাল থেকে আর জ্বর আসেনি। বিকেলে আবার ১০০°F জ্বর হয়, কিন্তু রোগী হাঁটাচলা, খেলাধুলা—সব স্বাভাবিকভাবে করেছে; কোনো সমস্যা হয়নি। পরামর্শ অনুযায়ী আরও তিন ঘণ্টা পর পর তিনবার খাওয়ানো হয়।

এবং আলহামদুলিল্লাহ—পরদিন সকাল থেকেই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ।

⚠️ বি. দ্র. - দুইজন ডেঙ্গু রোগীকে পৃথক ওষুধ দেওয়া হয়েছে—তাদের ব্যক্তিগত লক্ষণ, সার্বিক অবস্থা, টোট্যালিটি ও প্রগ্রেশন বিচার করে। এটাই হোমিওপ্যাথির মৌলিক রহস্য: একই রোগ হলেও ওষুধ–ডোজ সম্পূর্ণ ভিন্ন হতে পারে রোগীর লক্ষণভেদে।

তাই নিজে নিজে, অথবা ইউটিউব–গুগল দেখে চিকিৎসা করবেন না। ভুল চিকিৎসায় উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির ঝুঁকি বেশি।

25/11/2025

হোমিওপ্যাথি এবং আমার জীবনের স্বার্থকতা

আজ একটি বিশেষ দুঃখময় স্মৃতিকাতর দিন। গত বছরের এই দিনে আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে আপন মানুষটি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান! আমি আমার জন্মলগ্ন থেকেই উনাকে অসুস্থ দেখে আসছি। ২০১৯ পর্যন্ত প্রচলিত চিকিৎসা চলতে চলতে আর কোনো অগ্রগতি হচ্ছিল না। হাঁটাচলা প্রায় বন্ধ হয়ে গেল, দিনদিন রোগ খারাপের দিকে যাচ্ছে, ডাক্তারও হাল ছেড়ে দিল। ডায়াবেটিস, এজমা, বাত, প্রেশার, নিদ্রাহীনতা—সব মিলিয়ে এক কঠিন অবস্থা।

আল্লাহর মেহেরবানী, পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে খুলনায় ডা. ধীমান রায় স্যারের কাছে দেখাই। তখন Aconite 10M দিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়। প্রথম দিন থেকেই এজমা–শ্বাসকষ্ট সম্পূর্ণ সেরে যায় (Ailments from panic fear)। হাঁটুর ব্যথাও অনেকটাই কমে যায়। সেই থেকে মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত হোমিওপ্যাথিক ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ চলেনি। কখনো সম্পূর্ণ ভালো না হলেও আগের তুলনায় যথেষ্ট ভালোই ছিলেন।

সবশেষে পায়ের পাতা ফুলে গেল। পরীক্ষায় দেখা গেল হার্টের কিছু ত্রুটি আছে, যদিও তা মারাত্মক কোন প্যাথলজি ছিলো না।কিডনি লিভার সবকিছু স্বাভাবিক ছিলো। কয়েকদিন পারিবারিক সিদ্ধান্তে ইনসুলিন দেওয়া হলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে। কিন্তু এরপর আস্তে আস্তে খারাপ লাগা বাড়তে লাগলো। আবার শ্বাসকষ্ট শুরু হলো। ওষুধ বিভিন্নভাবে পরিবর্তন করেও স্থায়ী ফল হচ্ছিল না (Level–D)। তারপর হাসপাতালে ভর্তি করলাম। CCU–তে উনি মানসিক রোগীর মতো হয়ে গেলেন। এরপর ইবনেসিনায় কেবিনে রাখা হলো।

যা দেখলাম—অক্সিজেন ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসায় তেমন পরিবর্তন নেই। লক্ষণে নিত্য পরিবর্তন হচ্ছিল। কাশি কমছিল না। দাদাকে বললাম—কাশিটা কমানো দরকার, এলোপ্যাথি দিয়ে কিছু হচ্ছে না। দাদা Conium দিলেন—এক ডোজেই কাশি কমে গেল। আমি মহাখুশি।

এর আগে উনি কিছুই খেতে পারছিলেন না। আমি Apocynum দিলাম—উনি আবার স্বাভাবিক খাওয়া শুরু করলেন। যা খেতে চাইতেন, কোনো অসুবিধা হতো না। এত রোগের মাঝেও উনি সবাইকে কথা বলে হাসাতেন। রোগ যতই মারাত্মক হোক, আমি কখনো বিশ্বাস করতাম না উনি মারা যাবেন। আজও মনে হয় না। আমি বিশ্বাস করি—পৃথিবীতে উনার অশান্তি ছিল, তাই শান্তির জন্য আল্লাহ তাঁকে অন্য জগতে নিয়ে গেছেন।

হাসপাতালে কোনো অবনতি না হলেও উন্নতিও হচ্ছিল না। বড় ভাই লক্ষ করল—এলোপ্যাথি খাওয়ার পর সমস্যা বাড়ছে, আর হোমিওপ্যাথিক দ্রুত কাজ দিচ্ছে (Level–D রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় এমন হয়, যদিও এমন রোগী সাধারণত লাস্টিং করেনা)। মৃত্যুর তিনদিন আগে থেকে উনি আমাকে বলতেন, “তুই আমাকে ওষুধ দে, আমাকে আর এলোপ্যাথি দিস না।” স্যালাইন দিলেই খুব বিরক্ত হতেন। মৃত্যুর দুইদিন আগে থেকে স্যালাইন শরীর নিচ্ছিল না।

ভাই সকালেই ইশারা পেলেন—সময় আর বেশি নেই। আমরা রিলিজ নিলাম, কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ICU–তে রাখতে বলল। আমাদের মনে হলো—ICU–তে মৃত্যু হলে তা কষ্টের মধ্যে হবে। তাই আমরা উনাকে নিয়ে চললাম। তখনও আম্মা হাসিখুশি—মনে হচ্ছিল অনেকটাই সুস্থ।

গাড়িতে ওঠার কিছুক্ষণ পর শ্বাসকষ্ট শুরু হলো। বুঝলাম—এটাই হয়তো শেষ সময়। Aconite দিলাম—পরিবর্তন হলো না। Arsenicum দিলাম—কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে গেলেন। কুমিল্লা পৌঁছে তাঁর জন্য পছন্দের মিষ্টি নিলাম। সেনবাগ এসে বাবা পান নিলেন—পান না দিলে উনি রাগ করতেন। সবাই অপেক্ষা করছিলেন দেখার জন্য।

আমার মনে হচ্ছিল—এবার হয়তো বাসায় অক্সিজেন রেখে উনাকে ভালোভাবে রাখবো। বাসায় পৌঁছানোর এক মিনিট আগেও উনি কথা বলছিলেন। কিন্তু বাসায় ঢোকার সাথে সাথেই উনি সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ হয়ে গেলেন। আমি ভাবলাম—ওষুধের জন্য ঘুম এসেছে। উনি যেন অনেক দিনের ঘুম পূরণ করছেন। গ্রামের সবাই দেখতে আসছিল, আর আমি সবাইকে থামাচ্ছিলাম—“ঘুম ভাঙাবে না।”

আমি নিজেও ডাকিনি। আগের মতো তাঁর গলা জড়িয়ে ধরিনি। তাঁর ঘ্রাণ নিইনি।

দুইটার দিকে আমি ঘুমিয়ে পড়ি।

সকালে উঠে শুনলাম—উনি এখনো জাগেননি। তারপর O***m দিলাম। ১০ মিনিট পর উনি উঠলেন। আমি ভীষণ খুশি—মনে হলো এইবার হয়তো আমার মা আরেকটু দিন বাঁচবেন। টয়লেট সারলেন , পরিষ্কার হয়ে আসলেন । আমি পা মালিশ করলাম।

কিছুক্ষণ পর প্রেশার মাপতে গিয়ে দেখি—কাঁটা আটকে আছে…

আমার সব স্বপ্ন নিস্তব্ধ হয়ে গেল।

আমি নিঃশব্দে, কোনো কান্না না করে, গলার কাছে জমে থাকা সব অভিমান নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে এলাম—ভাইয়্যাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম, কারণ উনি অপারেশনের রোগী,আমি কান্না করলে অন্যদের এই গতি আরও বেড়ে যাবে।

আজ, উনার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর এমন দিনে বাবা দোয়ার মধ্যে বলছিলেন—
“আমার একজন ডাক্তার আছে। আমার যতকিছুই হোক, আমার কোথাও যাওয়া লাগে না। আমি তার ওষুধেই ভালো হয়ে যাই।”

বাবার এই কথাটি—
আমার হাজারও অপূর্ণতার মাঝেও এক বিশাল সফলতা।

পৃথিবীর আর কেউ ভালো না হোক…
আমার মা–বাবাকে আমি চিকিৎসা দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পেরেছি—
এর চেয়ে বড় সুখ, এর চেয়ে বড় স্বার্থকতা আর কিছু আমার জীবনে নেই।
আর আমি প্রত্যক্ষ করলাম যে,অন্তিমকালে হোমিওপ্যাথি রোগীর কষ্টকে উপশম দিয়ে মৃত্যুকে সহজ করে।

লেখা :২৫/১১/২০২৫

কুইজ - ০০৮কমেন্টে আপনার উত্তর জানান!বি.দ্র. - এই কুইজগুলো শুধুমাত্র BHMS বা DHMS ডাক্তার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য!        ...
24/11/2025

কুইজ - ০০৮
কমেন্টে আপনার উত্তর জানান!
বি.দ্র. - এই কুইজগুলো শুধুমাত্র BHMS বা DHMS ডাক্তার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য!

ব্যস্ত জীবনের এই ব্যস্ত  শহরে তবুও প্রাণের আবেদনকে অতিক্রম  করা যায়না!
23/11/2025

ব্যস্ত জীবনের এই ব্যস্ত শহরে তবুও
প্রাণের আবেদনকে অতিক্রম করা যায়না!

কুইজ - ০০৭কমেন্টে আপনার উত্তর জানান!বি.দ্র. - এই কুইজগুলো শুধুমাত্র BHMS বা DHMS ডাক্তার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য!        ...
23/11/2025

কুইজ - ০০৭
কমেন্টে আপনার উত্তর জানান!
বি.দ্র. - এই কুইজগুলো শুধুমাত্র BHMS বা DHMS ডাক্তার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য!

Address

House-3, Road-2, Block-A, Section-6, Mirpur/2
Dhaka
3860

Opening Hours

Monday 09:00 - 22:00
Tuesday 09:00 - 22:00
Wednesday 09:00 - 22:00
Thursday 09:00 - 22:00
Saturday 09:00 - 22:00
Sunday 09:00 - 22:00

Telephone

+8801926027550

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Md Mohiuddin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr Md Mohiuddin:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category