12/09/2025
Neck Pain / ঘাড় ব্যথা :
কারণঃ
একটু বয়সকালে ঘাড় ব্যথার প্রধান কারণ হলো ঘাড়ের তরুণাস্থির বয়সজনিত পরিবর্তন। এছাড়া যে কোনো বয়সেই ঘাড় ব্যথা হতে পারে ঘাড়ের মাংশপেশি, অস্থি বা অস্থিসন্ধি, লিগামেন্ট, রক্তনালী ইত্যাদিতে আঘাত, প্রদাহ বা জীবাণু সংক্রামণের দরুন। খাদ্যনালী, শ্বাসনালী, থাইরয়েডও একইভাবে ঘাড়ব্যথার কারণ হতে পারে, আর, উচ্চ রক্তচাপ তো বটেই।
লক্ষণঃ
ঘাড় ব্যথার সঙ্গে থাকতে পারে ঘাড় নাড়ানোর কষ্ট, কাঁধ, বাহু, হাত এমনকি আঙুল পর্যন্ত অনুভূত হতে পারে ব্যথা এবং অবশ বা ঝিনঝিন অনুভূতি।
চিকিৎসাঃ স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসা নির্ভর করবে ব্যথার কারণের ওপর। সংক্ষেপে বলা যায় - ব্যথানাশক ঔষধ সেবন, গরম বা ঠান্ডা সেঁক প্রয়োগ, প্রয়োজনে কলার ব্যবহার, দৈনন্দিন ভুল অভ্যাস বা কাজের পধতির সংশোধন, ব্যায়াম ইত্যাদি।
১।ব্যাথা ও প্রদাহ কমানোঃ
ঔষধঃ ঔষধ বাছাই করুন সাবধানতার সাথে, প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধের মধ্যে সীমিত থাকা ভালো। তার বেশি কিছু গ্রহণের পূর্বে কিডনী ও যকৃতের অবস্থা যাচাই করে নিন তা ইতোমধ্যেই ঝুঁকিতে রয়েছে কিনা বেহিসাব ব্যাথার ঔষধ সেবন করে করে, অথবা আপনার অজান্তে ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রপক্তচাপে ভুগে।
ব্যথানাশক ঔষধের সঙ্গে মাংসপেশিকে নমনীয় করার জন্য ঔষধ রয়েছে যার ঝুঁকি বিশ্লেষণ করার পরেই কেবল খাওয়া যেতে পারে।
কিছু চমৎকার ঔষধ রয়েছে যা মূলত ব্যাথানাশক ঔষধের দলভুক্ত নয়, তাই, সে দলের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করেনা, কিন্তু, ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। এ জাতীয় ঔষধ গ্রহণ করে আপনি কমাতে পারেন ব্যাথার ক্ষতিকর ঔষধগুলো গ্রহণের পরিমাণ।
ঠান্ডা সেঁকঃ হঠাত আঘাত বা যানবাহনের ঝাঁকি থেকে হওয়া ব্যথায় সাথে সাথে গরম নয় বরং ঠান্ডা সেঁক দিতে হবে। ঠান্ডা প্রয়োগ কমাবে প্রদাহ এবং ব্যথা, বাজারে প্রচলিত কোল্ড প্যাক ফ্রীজে রেখে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
গরম সেঁকঃ শক্ত হয়ে থাকা মাংসপেশিকে নরম ও শিথিল করতে গরম সেঁক উপকারি। কিন্তু তা নিতে হয় আঘাত বা হঠাত শুরু হওয়া প্রদাহের দুদিন পরে। বাসায় নিজে সেঁক নেয়ার জন্য ব্যবহার করুন ‘হট ওয়াটার ব্যাগ’। থেরাপি সেন্টারে যেয়ে নিতে পারেন - মাইক্রো ওয়েভ ডায়াথারমি, ইনফ্রা রেড রেডিয়েশন।
ট্রাকশন বা টানাঃ ট্রাকশন বা টানা গ্রহন করতে পারেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের লিখিত প্রেস্ক্রিপশন অনুযায়ী। ট্রাকশন নেবার পূর্বে তার সঠিক ধরন ও উপযোগিতা যাচাই করে নিন আপনার বয়স ও শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে।
কলারঃ কলার কয়েক রকম হয়। আপনার রোগের ধরন বুঝে সঠিক রকমটা নিতে হবে।
২। ঘাড়ের ক্ষতির ও ব্যাথার কারণগুলো প্রতিহত করাঃ
দৈনন্দিন ভুল অভ্যাসের চাই সংশোধনঃ
• অনুশীলন করুন সঠিক দেহভঙ্গি ও শোবার ব্যবস্থা।
• মাঝারি উচ্চতার একটি নরম বালিশ ব্যবহার করুন, শুধু মাথা নয়, ঘাড়ের নিচেও যেন বালিশটি থাকে।উপুড় হয়ে, ঘাড় বাঁকা বা ভাঁজ করে শোবেন না।
• কমাতে হবে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা। একটানা কাজের ফাকে ফাকে ঘাড়কে বিশ্রাম দিন, বাসায় থাকলে বালিশে মাথা রেখে, আর কাজে বা অফিসে থাকলে মাথা পেছনে এলিয়ে ঘাড় বরাবর চেয়ারের কুশনটিতে বিশ্রাম নিন।
• আপনার টেবিল বা ডেস্ক, চেয়ার এবং কম্পিউটারের উচ্চতা এমনভাবে ঠিক করে নিন যেন মনিটরটি চোখের লেভেলে থাকে।
• বসার সময় হাতের সাপোর্টের জন্য চেয়ার আর্ম রেস্ট ব্যবহার করবেন।
যে সকল ভঙ্গিতে ঘাড়ে অত্যধিক চাপ পড়ে তাতে দীর্ঘক্ষণ থাকা, যেমন একটানা কম্পিউটারে বা ডেস্কে কাজ করা, কিংবা দীর্ঘক্ষণ রান্না, অতিরিক্ত কাপড় কাচা, ভারী জিনিস বহন করা ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।
• বেশী ওজন বহন করবেন না।
• কান ও কাঁধের মাঝে ফোন আটকে রেখে কথা বলবেন না। ঘাড় বাকা করে বা সামনে ঝুঁকিয়ে বসবেন না।
• মাথার ওপর হাত তুলে করতে হয় সে রকম কাজ দীর্ঘক্ষণ করবেন না।
৩।ঘাড়ের মাংসপেশির কার্যক্ষমতা ও শক্তি বাড়ানোঃ
ব্যায়ামঃ ব্যথার পেছনের কারণের ভিন্নতার সঙ্গে ভিন্নতা হবে ব্যায়ামের। ব্যায়াম হতে পারে স্ট্রেংদেনিং, স্ট্রেচিং, মোবিলাইজিং ইত্যাদি।
কোনো ব্যবস্থারই উপকারিতা ও অপকারিতা নিশ্চিত নয়। কোনো একটি ব্যবস্থা একজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি অন্য কারো জন্য হতে পারে উপকারহীন ও ঝুঁকিবহুল। তাই, সচেতন হোন, ভালো থাকুন।
#ঘাড়ব্যথা
Thanks 🤝
🌿 Dr. Farida Chhobi
MBBS, FCPS (Physical Medicine & Rehabilitation)📞
Associate Professor,
National Institute of Neurosciences & Hospital, Dhaka.
📞 এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য : 01989567367 ( সকাল ৯ টা হতে রাত ৮ টা)
🔸 পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার (কলেজ গেট, মোহাম্মদপুর, শহীদ সোহরাওয়ার্দি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উল্টাদিকে)। বাড়ি # ১/৫, ব্লক # বি, মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেট (গজনবী রোড)
রুম - ৭১০
হটলাইনঃ 09666-787806,
🔸শনি, রবি, মংগল, বৃহস্পতিবার : সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৯ টা।
♦ ♦
♦ Disease Rehabilitation
♦
★ চিকিৎসা সেবাসমূহ >
১. বিভিন্ন বাত-ব্যথা (কোমর, ঘাড়, হাঁটু, বিভিন্ন # জয়েন্ট)
২. কাঁধের জয়েন্টে ব্যথা/শক্ত হয়ে যাওয়া
৩. পায়ের গোড়ালির বা নীচের ব্যথা/মচকে যাওয়া
৪. হাড় বা মাংসপেশীর ক্ষয় বা দুর্বলতা
৫. স্ট্রোক/অন্যান্য কারণজনিত প্যারালাইসিস (হাত/পা/চেহারার - দুর্বলতা, অবশ/শিনশিন লাগা)
৬. স্পাইন ও অন্যান্য স্থানে আঘাতজনিত ব্যথা বা প্যারালাইসিস
৭. সেরিব্রাল পলসিসহ শিশুদের স্নায়ুরোগজনিত প্যারালাইসিস
৮. প্রয়োজনে গিঁট বা জয়েন্ট হতে পানি বের করা
৯. গিঁট/জয়েন্টে, এবং ব্যথার স্থানে ইঞ্জেকশন দেওয়া
১০. বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা
১১. মহিলাদের মেনোপজ ( মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া) জনিত অসুবিধা বা অসুস্থতা
১২.ফিজিওথেরাপির (বিভিন্ন মেশিন ও ব্যায়াম) বিষয়ে যথাযথ পরামর্শ দেওয়া
www.drfaridachhobi.com
©Dr. Farida Chhobi - Pain & Paralysis