Dr.Tahmeed Kamal - Pain, Paralysis and Rehabilitation Medicine Specialist

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • Dr.Tahmeed Kamal - Pain, Paralysis and Rehabilitation Medicine Specialist

Dr.Tahmeed Kamal - Pain, Paralysis and Rehabilitation Medicine Specialist Dr.Tahmeed Kamal,
FCPS ( Physical Medicine and Rehabilitation)
(2)

বাংলাদেশ একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হ...
18/10/2025

বাংলাদেশ একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বহু প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক এখন কার্যকারিতার প্রায় ৯৭% পর্যন্ত হারিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী দেশগুলোর একটি, যা এমন সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে যেগুলো আর সাধারণ ওষুধে নিরাময় করা সম্ভব নয়।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন যে, অবাধ অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ব্যবহার, এবং গবাদি পশুতে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ওষুধ প্রয়োগ—এইসবই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এর ফলে হাসপাতালগুলোতে সংক্রমণের সময়কাল ও তীব্রতা দুই-ই বেড়ে গেছে, এবং চিকিৎসকেরা কার্যকর ওষুধের অভাবে পড়ছেন চরম বিপাকে।

ব্যথা কমাতে ঠান্ডা সেঁক নাকি গরম সেঁক?ব্যথা কমানোর সবচেয়ে পুরোনো একটি চিকিৎসা হলো ঠান্ডা বা গরম সেঁক দেওয়া। এই দু’টি পদ্...
04/08/2025

ব্যথা কমাতে ঠান্ডা সেঁক নাকি গরম সেঁক?

ব্যথা কমানোর সবচেয়ে পুরোনো একটি চিকিৎসা হলো ঠান্ডা বা গরম সেঁক দেওয়া। এই দু’টি পদ্ধতিই ব্যথা বা আঘাত, ফোলা বা জ্বালাপোড়া কমাতে বেশ কার্যকরী। তবে কোন পরিস্থিতিতে কোন পদ্ধতিটি ব্যবহার করা উচিত, তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই।

তাই সবসময় মনে রাখবেন পেশির ব্যথা কমাতে গরম সেঁক আর যেকোনো পোড়া বা ফোলা ব্যথা কমাতে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া উচিত। অনেক সময় চিকিৎসক আঘাতের অবস্থা বুঝে দুইটির সমন্বিত পদ্ধতির পরামর্শ দিতে পারেন। চলুন তবে ব্যথা কমানোর দুই পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

থার্মোথেরাপি বা গরম সেঁক-
যেকোনো আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে গরম সেঁক দিলে, ওই স্থানের রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। এমনকি একটু বেশি গরম সেঁক দিলে ব্যথার উপশম দ্রুত হয়। এর ফলে আঘাতপ্রাপ্ত পেশি নড়াচড়া করাটা সহজসাধ্য হয়।

অনেক সময় চিকিৎসকরা ভারি কাজ করার পূর্বে হট শাওয়ার নেওয়ার পরামর্শ দেন। এর ফলে শরীরের পেশিগুলো শিথিল হয়। তবে মনে রাখবেন, কোনো ধরনের কাটাছেঁড়া বা ফোলা ব্যথাতে গরম সেঁক দেওয়া উচিত নয়। এতে করে কাঁটা স্থানে রক্ত চলাচল আরও বেড়ে গিয়ে ক্ষত তৈরি হতে পারে।

যেসব ক্ষেত্রে গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে-
- মচকানো - টান লাগা -অস্টিওআর্থারাইটিস - পেশি টিস্যুর ব্যথা - পিঠ বা কোমর ব্যথা

এই গরম সেঁক আবার দুই ধরনের হতে পারে-

১. ড্রাই হিট বা শুষ্ক তাপ: সাধারণত ইলেক্ট্রিক হিটিং প্যাড, হট ওয়াটার বোতল, স্টীম বাথ ইত্যাদির মাধ্যমে যে সেঁক দেয়া হয়, সেগুলো ড্রাই হিটের অন্তর্ভুক্ত। এটি ব্যবহার খুব সহজ।

২. ময়েস্ট হিট বা আর্দ্র তাপ: মূলত স্টীমড তোয়ালে বা আর্দ্র গরম পানির ব্যাগ দিয়ে যে সেঁক দেয়া হয় সেটি ময়েস্ট হিট। বাড়িতে হাতের কাছের উপকরণ দিয়ে সহজেই এই সেঁক দেওয়া যায়। ছোটো খাটো আঘাতের ক্ষেত্রে এ সেঁকটি ১৫-২০ মিনিট দিতে হয়। আর মাঝারি আঘাতের ক্ষেত্রে হট শাওয়ার নেওয়া যেতে পারে।

সতর্কতা: কখনো এই হিট থেরাপি কাঁটাস্থান বা জালাপোড়ায় দেওয়া যাবে না। গর্ভবতী নারী কিংবা ডায়াবেটিস রোগীরা এই পদ্ধতি অনুসরণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত গরম সেঁক দিলে চামড়া পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এক্ষেত্রে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে।

কোল্ড থেরাপি বা ক্রায়োথেরাপি-
ক্রায়োথেরাপির মাধ্যমে মূলত ক্ষতস্থান বা প্রদাহে সাময়িকভাবে রক্ত চলাচল বন্ধ থাকে। এর মাধ্যমে ক্ষতস্থানে তীব্র ঠান্ডা প্রয়োগের কারণে ক্ষতস্থানের টিস্যুগুলো ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা পায়। যেকোনো স্থানে ব্যথা পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্রায়োথেরাপি কার্যকরী। তবে কখনোই ক্ষতস্থানে সরাসরি বরফ দেয়া যাবে না। এতে আরো বেশি ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

যেসব স্থানে ক্রায়োথেরাপি প্রয়োগ করা যেতে পারে -
-সাময়িক আঘাত - মাইগ্রেন- অস্টিওআর্থ্রাইটিস - আকস্মিক টান

ক্রায়োথেরাপি বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করা যেতে, যেমন-

১. ক্রায়োথেরাপি উপকরণ: আইস ব্যাগ, আইস মেসাজ, কুলেন্ট স্প্রে ব্যবহার করে ক্রায়োথেরাপি করা যায়।

২. ক্রায়োস্ট্রেচিং: এর মাধ্যমে মূলত তাপমাত্রা কমিয়ে পেশি শিথিল করা হয়।

৩. ক্রায়োকাইনেটিক্স: এটি মূলত ঠান্ডা চিকিৎসা ও ব্যয়ামের একটি সমন্বিত পদ্ধতি। পেশির লিগামেন্টে আঘাত লাগলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

৪. আইস বাথ: এর মাধ্যমে সাধারণত বরফ কাপড় বা ব্যাগে নিয়ে ক্ষতস্থানে ১৫-২০ মিনিট প্রয়োগ করা হয়। এর বেশি সময় রাখলে চামড়া, স্নায়ু ও টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে।
হার্টের রোগীরা এই থেরাপি নেওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এটি কার্যকরী না হলেও ডাক্তার দেখাতে হবে।

ডা: তাহমীদ কামাল
ফিজিক্যাল মেডিসিন এ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ
যোগাযোগ - ০১৬১৬৭১৭৮৮১

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান?           খেতে ভুলবেন না এই ১৫টি খাবার! আপনার শরীরকে ভাইরাস-ব‍্যাকটেরিয়ার হাত থেকে বাঁচা...
30/07/2025

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান?
খেতে ভুলবেন না এই ১৫টি খাবার!

আপনার শরীরকে ভাইরাস-ব‍্যাকটেরিয়ার হাত থেকে বাঁচাতে কিছু খাবার সত্যিই ম্যাজিকের মতো কাজ করে! চলুন জেনে নিই সেই ১৫টি ইমিউন-বুস্টিং খাবার👇

🥦 ১. ব্রকলি – ভিটামিন C, A ও ইরich অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।
🧄 ২. রসুন – সংক্রমণ রোধে দারুণ কার্যকর।
🍊 ৩. সাইট্রাস ফল (লেবু, কমলা) – রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন C সেরা।
🥣 ৪. দই (ইয়োগার্ট) – প্রোবায়োটিক থাকে, যা অন্ত্র ভালো রাখে।
🍠 ৫. মিষ্টি আলু – বিটা-ক্যারোটিন যা শরীরকে রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
🥚 ৬. ডিম – প্রোটিন, ভিটামিন D ও জিঙ্কে ভরপুর।
🍄 ৭. মাশরুম – ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
🌶️ ৮. ক্যাপসিকাম (বেল পেপার) – লাল, হলুদ – দারুণ ভিটামিন C এর উৎস।
🥕 ৯. গাজর – বিটা-ক্যারোটিনে ভরপুর যা ত্বক ও চোখের যত্নে সহায়ক।
🥬 ১০. সবুজ শাক-সবজি (ডার্ক গ্রিনস) – আয়রন ও ফাইবার সমৃদ্ধ।
🫚 ১১. আদা – ঠান্ডা-কাশিতে আর ইনফ্ল্যামেশন কমায়।
🥣 ১২. ডাল (লেন্টিলস) – প্রোটিন আর আয়রনের ভালো উৎস।
🍄 ১৩. মাশরুম (আবার) – নানা রকম প্রজাতি রোগ প্রতিরোধে আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করে!
🥜 ১৪. বাদাম-বীজ (যেমন সূর্যমুখীর বীজ) – জিঙ্ক ও ভিটামিন E এর উৎস।
🥭 ১৫. পেঁপে – হজম ভালো রাখে, আর ভিটামিন C বেশি থাকে।

📌 প্রতিদিনের ডায়েটে এই খাবারগুলো একটু একটু করে রাখলে আপনার শরীর থাকবে সুস্থ, সতেজ আর রোগমুক্ত! 😊

❤️ শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনদের সাথে – সবাই থাকুক সুস্থ!
#সুস্থতা #ইমিউন_সিস্টেম #স্বাস্থ্যকর_খাদ্য

আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীর অত্যাধুনিক চিকিৎসা (Advanced Burn Management) ১. প্রাথমিক ব্যবস্থাপনা (Initial Emergency Manage...
25/07/2025

আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীর অত্যাধুনিক চিকিৎসা (Advanced Burn Management)

১. প্রাথমিক ব্যবস্থাপনা (Initial Emergency Management):
• Airway, Breathing, Circulation (ABC): যদি শ্বাসনালিতে পোড়া লাগে (ইনহেলেশন ইনজুরি), তবে তাৎক্ষণিকভাবে অক্সিজেন থেরাপি বা ইন্টুবেশন প্রয়োজন।
• Fluid Resuscitation: পুড়ে যাওয়া ত্বকের মাধ্যমে প্রচুর তরল বেরিয়ে যায়। Parkland formula ব্যবহার করে IV fluid (Ringer’s lactate) দেওয়া হয়।
উদাহরণ: 4 ml × শরীরের ওজন (কেজি) × পোড়ার শতকরা পরিমাণ = ২৪ ঘণ্টার তরল
• Pain Management: IV opioid analgesics (যেমন Morphine) ব্যবহার করা হয় ব্যথা কমাতে।

২. জখমের যত্ন (Wound Care):
• Debridement: মৃত কোষ অপসারণ করা হয় যাতে সংক্রমণ না হয়।
• Antimicrobial Dressing: আধুনিক dressing যেমন:
• Silver sulfadiazine cream
• Hydrocolloid or hydrogel dressings
• Silver-impregnated foam dressings
• Negative Pressure Wound Therapy (VAC Dressing): গভীর বা সংক্রমিত ক্ষত নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।

৩. সার্জিকাল ইন্টারভেনশন (Surgical Intervention):
• Escharotomy / Fasciotomy: গাঢ় পোড়ার ক্ষেত্রে রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখতে চামড়া কেটে দেওয়া হয়।
• Skin Grafting:
• Autograft: রোগীর নিজের চামড়া অন্য স্থান থেকে এনে প্রতিস্থাপন।
• Allograft / Xenograft: অস্থায়ীভাবে অন্য মানুষের বা পশুর চামড়া ব্যবহার।
• Bioengineered Skin Substitutes: যেমন Integra, Biobrane ইত্যাদি।

৪. পুষ্টি ও মেটাবলিক সাপোর্ট:
• পোড়া রোগীর ক্যালোরির চাহিদা খুব বেশি হয়।
• উচ্চ প্রোটিন, উচ্চ ক্যালরি ডায়েট প্রয়োজন।
• প্রয়োজনে nasogastric feeding শুরু করা হয়।

৫. মানসিক ও সামাজিক সাপোর্ট (Psychosocial Care):
• দীর্ঘমেয়াদি মানসিক ট্রমা, হতাশা ও PTSD হতে পারে।
• মনোরোগ চিকিৎসক ও কাউন্সেলিং সাপোর্ট প্রয়োজন।
• পরিবারকে সাথে নিয়ে পুনর্বাসন পরিকল্পনা।

৬. ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন (Rehabilitation):
• পুড়ে যাওয়া অঙ্গ সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে (Contracture) — ফিজিওথেরাপি, স্প্লিন্ট ব্যবহার করে তা প্রতিরোধ করা হয়।
• সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে চলাচল, শক্তি ও কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনা হয়।

৭. প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক পদ্ধতি:
• Laser Therapy – পোড়ার দাগ কমাতে।
• Stem Cell Therapy – দ্রুত ত্বক নিরাময়ে গবেষণাধীন।
• 3D Bioprinting – ত্বক তৈরি করে গ্রাফটিংয়ে ব্যবহার।
• Telemedicine Follow-up – দীর্ঘমেয়াদি পরামর্শের জন্য।

আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি গুরুতর অবস্থা হলেও, আধুনিক চিকিৎসা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে আজকাল রোগীদের জীবন রক্ষা এবং গুণগত পুনর্বাসন অনেকাংশে সম্ভব হচ্ছে। সময়মতো এবং যথাযথ চিকিৎসাই রোগীর সর্বোত্তম পুনরুদ্ধারের চাবিকাঠি।

পুড়ে যাওয়া রোগীর পুনর্বাসন চিকিৎসা (Burn Rehabilitation) অত্যন্ত জটিল, সময়সাপেক্ষ এবং বহুস্তরীয় একটি প্রক্রিয়া। এটি কেবল দেহের ক্ষত নিরাময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—বরং রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসা, দৈনন্দিন কাজকর্মে দক্ষতা অর্জন, মানসিক সুস্থতা, আত্মবিশ্বাস পুনঃস্থাপন এবং সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন এই প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য।

পুড়ে যাওয়া রোগীর পুনর্বাসন চিকিৎসা

(Burn Rehabilitation)

১. পুনর্বাসনের প্রাথমিক ধাপ (Early Rehabilitation Phase)

সময়কাল:

সাধারণত আহত হওয়ার পর প্রথম 24 ঘণ্টা থেকে শুরু করে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত চলে।

লক্ষ্য:
• তাড়াতাড়ি গতিশীলতা নিশ্চিত করা
• জয়েন্টের গতি বজায় রাখা
• চর্মের সঙ্কোচন (contracture) প্রতিরোধ
• মানসিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা

ব্যবস্থাপনা:
• Positioning:
হাত-পা এমনভাবে রাখতে হবে যাতে সঙ্কোচন না হয়। যেমন: হাঁটু, কনুই, ঘাড় সোজা রাখতে হবে।
• Splinting:
বিশ্রামের সময় splint দিয়ে জয়েন্টগুলো সঠিক অবস্থানে রাখা হয়।
• Range of Motion (ROM) Exercise:
প্রতিদিন হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম চালু রাখতে হয় যাতে জয়েন্ট জড়তা না হয়।
• Pain Management:
ব্যথা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া পুনর্বাসন সম্ভব নয়— Morphine, Gabapentin বা অন্যান্য ওষুধ দেওয়া হয়।

২. মধ্যবর্তী ধাপ (Intermediate Phase)

সময়কাল:

সাধারণত পোড়ার ক্ষত সেরে যাওয়ার সময়কাল— ৩-৬ সপ্তাহ থেকে শুরু করে ৩ মাস পর্যন্ত।

লক্ষ্য:
• শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
• চর্মের নমনীয়তা পুনরুদ্ধার
• চর্ম সঙ্কোচন ও কেলয়েড প্রতিরোধ
• আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শক্তি বাড়ানো

ব্যবস্থাপনা:

ক. ফিজিওথেরাপি:
• Stretching Exercises:
পোড়া জায়গা নরম ও নমনীয় রাখতে।
• Strengthening Exercises:
পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই ধাপে ধাপে স্ট্রেংথ বাড়ানো হয়।
• Hydrotherapy (জল থেরাপি):
উষ্ণ জলে ব্যায়াম করলে ব্যথা কম হয় ও চলাফেরা সহজ হয়।

খ. চর্ম পরিচর্যা:
• Moisturizing:
চর্ম শুষ্ক হয়, তাই নিয়মিত লোশন ব্যবহার।
• Pressure Garments (চাপযুক্ত পোশাক):
দাগ ও সঙ্কোচন কমাতে সার্জারির পর ১-২ বছর পর্যন্ত ব্যবহার।
• Silicone Gel Sheets:
স্কার বা দাগ হ্রাসে কার্যকর।

গ. মানসিক চিকিৎসা (Psychological Support):
• Post-traumatic stress disorder (PTSD), হতাশা, উদ্বেগ দেখা যায়।
• কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (CBT), কাউন্সেলিং ও সাপোর্ট গ্রুপে অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
• পরিবারকেও মানসিকভাবে প্রস্তুত করা হয়।

৩. দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন ধাপ (Long-Term Rehabilitation)

সময়কাল:

৩ মাস থেকে শুরু করে কয়েক বছর পর্যন্ত। কখনও কখনও সারা জীবনেও চলতে পারে।

লক্ষ্য:
• রোগীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া
• কাজের সক্ষমতা ফিরে পাওয়া
• দাগ ও সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করা
• সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করা

ব্যবস্থাপনা:

ক. সার্জিকাল কারেকশন:
• Contracture Release Surgery
• Skin Graft Revision
• Scar Revision বা Plastic Surgery
• Laser Therapy (দাগ হ্রাসে ব্যবহৃত)

খ. কার্যকরী থেরাপি (Occupational Therapy):
• দৈনন্দিন কাজ যেমন কাপড় পরা, খাওয়া, লেখা ইত্যাদি শেখানো
• পুনরায় স্কুল, কলেজ, অফিসে ফিরে যাওয়া
• উপযুক্ত Assistive Devices প্রদান করা

গ. সামাজিক পুনর্বাসন:
• সামাজিক মেলামেশা:
পোড়া রোগীরা নিজের রূপের কারণে আত্মবিশ্বাস হারায়। তাদের সাহস জোগাতে পারিবারিক ও সামাজিক সহযোগিতা দরকার।
• নতুন কর্মজীবনে ফেরানো:
প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে কর্মসংস্থানে ফিরিয়ে আনা।
• Reintegration Workshops:
স্কুল, অফিস, সমাজে আবার মানিয়ে নেওয়ার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ।

৪. আধুনিক প্রযুক্তি ও পুনর্বাসন:
• 3D Printed Skin Grafts
• Stem Cell Therapy
• Bioengineered Skin Substitutes
• Virtual Reality Therapy (VR):

পুড়ে যাওয়া একজন রোগীর পুনর্বাসন শুধুমাত্র তার ক্ষত নিরাময়ের প্রক্রিয়া নয়, বরং তার একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন পুনর্গঠনের যাত্রা। এই যাত্রায় প্রয়োজন একাধিক বিশেষজ্ঞ— ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং তার রিহ্যাবিলিটেশন টিম ( ফিজিওথেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট) সার্জন, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, পুষ্টিবিদ এবং পরিবার। আধুনিক চিকিৎসা ও সহানুভূতিশীল সমাজ ব্যবস্থাই একজন পোড়া রোগীর জীবনকে আবার স্বাভাবিকতা দিতে পারে।

ডা: তাহমীদ কামাল
ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ

পুড়ে যাওয়া রোগীর পুনর্বাসন চিকিৎসা (Burn Rehabilitation) অত্যন্ত জটিল, সময়সাপেক্ষ এবং বহুস্তরীয় একটি প্রক্রিয়া। এটি কেবল...
24/07/2025

পুড়ে যাওয়া রোগীর পুনর্বাসন চিকিৎসা (Burn Rehabilitation) অত্যন্ত জটিল, সময়সাপেক্ষ এবং বহুস্তরীয় একটি প্রক্রিয়া। এটি কেবল দেহের ক্ষত নিরাময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—বরং রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসা, দৈনন্দিন কাজকর্মে দক্ষতা অর্জন, মানসিক সুস্থতা, আত্মবিশ্বাস পুনঃস্থাপন এবং সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন এই প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য।

পুড়ে যাওয়া রোগীর পুনর্বাসন চিকিৎসা

(Burn Rehabilitation)

১. পুনর্বাসনের প্রাথমিক ধাপ (Early Rehabilitation Phase)

সময়কাল:

সাধারণত আহত হওয়ার পর প্রথম 24 ঘণ্টা থেকে শুরু করে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত চলে।

লক্ষ্য:
• তাড়াতাড়ি গতিশীলতা নিশ্চিত করা
• জয়েন্টের গতি বজায় রাখা
• চর্মের সঙ্কোচন (contracture) প্রতিরোধ
• মানসিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা

ব্যবস্থাপনা:
• Positioning:
হাত-পা এমনভাবে রাখতে হবে যাতে সঙ্কোচন না হয়। যেমন: হাঁটু, কনুই, ঘাড় সোজা রাখতে হবে।
• Splinting:
বিশ্রামের সময় splint দিয়ে জয়েন্টগুলো সঠিক অবস্থানে রাখা হয়।
• Range of Motion (ROM) Exercise:
প্রতিদিন হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম চালু রাখতে হয় যাতে জয়েন্ট জড়তা না হয়।
• Pain Management:
ব্যথা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া পুনর্বাসন সম্ভব নয়— Morphine, Gabapentin বা অন্যান্য ওষুধ দেওয়া হয়।

২. মধ্যবর্তী ধাপ (Intermediate Phase)

সময়কাল:

সাধারণত পোড়ার ক্ষত সেরে যাওয়ার সময়কাল— ৩-৬ সপ্তাহ থেকে শুরু করে ৩ মাস পর্যন্ত।

লক্ষ্য:
• শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
• চর্মের নমনীয়তা পুনরুদ্ধার
• চর্ম সঙ্কোচন ও কেলয়েড প্রতিরোধ
• আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শক্তি বাড়ানো

ব্যবস্থাপনা:

ক. ফিজিওথেরাপি:
• Stretching Exercises:
পোড়া জায়গা নরম ও নমনীয় রাখতে।
• Strengthening Exercises:
পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই ধাপে ধাপে স্ট্রেংথ বাড়ানো হয়।
• Hydrotherapy (জল থেরাপি):
উষ্ণ জলে ব্যায়াম করলে ব্যথা কম হয় ও চলাফেরা সহজ হয়।

খ. চর্ম পরিচর্যা:
• Moisturizing:
চর্ম শুষ্ক হয়, তাই নিয়মিত লোশন ব্যবহার।
• Pressure Garments (চাপযুক্ত পোশাক):
দাগ ও সঙ্কোচন কমাতে সার্জারির পর ১-২ বছর পর্যন্ত ব্যবহার।
• Silicone Gel Sheets:
স্কার বা দাগ হ্রাসে কার্যকর।

গ. মানসিক চিকিৎসা (Psychological Support):
• Post-traumatic stress disorder (PTSD), হতাশা, উদ্বেগ দেখা যায়।
• কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (CBT), কাউন্সেলিং ও সাপোর্ট গ্রুপে অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
• পরিবারকেও মানসিকভাবে প্রস্তুত করা হয়।

৩. দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন ধাপ (Long-Term Rehabilitation)

সময়কাল:

৩ মাস থেকে শুরু করে কয়েক বছর পর্যন্ত। কখনও কখনও সারা জীবনেও চলতে পারে।

লক্ষ্য:
• রোগীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া
• কাজের সক্ষমতা ফিরে পাওয়া
• দাগ ও সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করা
• সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করা

ব্যবস্থাপনা:

ক. সার্জিকাল কারেকশন:
• Contracture Release Surgery
• Skin Graft Revision
• Scar Revision বা Plastic Surgery
• Laser Therapy (দাগ হ্রাসে ব্যবহৃত)

খ. কার্যকরী থেরাপি (Occupational Therapy):
• দৈনন্দিন কাজ যেমন কাপড় পরা, খাওয়া, লেখা ইত্যাদি শেখানো
• পুনরায় স্কুল, কলেজ, অফিসে ফিরে যাওয়া
• উপযুক্ত Assistive Devices প্রদান করা

গ. সামাজিক পুনর্বাসন:
• সামাজিক মেলামেশা:
পোড়া রোগীরা নিজের রূপের কারণে আত্মবিশ্বাস হারায়। তাদের সাহস জোগাতে পারিবারিক ও সামাজিক সহযোগিতা দরকার।
• নতুন কর্মজীবনে ফেরানো:
প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে কর্মসংস্থানে ফিরিয়ে আনা।
• Reintegration Workshops:
স্কুল, অফিস, সমাজে আবার মানিয়ে নেওয়ার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ।

৪. আধুনিক প্রযুক্তি ও পুনর্বাসন:
• 3D Printed Skin Grafts
• Stem Cell Therapy
• Bioengineered Skin Substitutes
• Virtual Reality Therapy (VR):

পুড়ে যাওয়া একজন রোগীর পুনর্বাসন শুধুমাত্র তার ক্ষত নিরাময়ের প্রক্রিয়া নয়, বরং তার একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন পুনর্গঠনের যাত্রা। এই যাত্রায় প্রয়োজন একাধিক বিশেষজ্ঞ— ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং তার রিহ্যাবিলিটেশন টিম ( ফিজিওথেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট) সার্জন, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, পুষ্টিবিদ এবং পরিবার। আধুনিক চিকিৎসা ও সহানুভূতিশীল সমাজ ব্যবস্থাই একজন পোড়া রোগীর জীবনকে আবার স্বাভাবিকতা দিতে পারে।

সম্প্রতি ভারতের মডেল ও অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালার হঠাৎ মৃত্যুকে ঘিরে রং ফর্সাকারী/এন্টি এজিং ট্রিটমেন্ট প্রসিডিউরগুলো ন...
04/07/2025

সম্প্রতি ভারতের মডেল ও অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালার হঠাৎ মৃত্যুকে ঘিরে রং ফর্সাকারী/এন্টি এজিং ট্রিটমেন্ট প্রসিডিউরগুলো নিরাপদ কি নিরাপদ নয় এই বিষয়টি আবার নতুন করে বেশ আলোচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে, গ্লুটাথায়ন এবং ভিটামিন সি IV Injection

যদিও গায়ের রং ফর্সা করার জন্যে বা এন্টি এজিং এর উদ্দেশ্যে গ্লুটাথিওন+ভিটামিন সি এর ব্যবহার এস্থেটিক ইন্ডাস্ট্রি তে নতুন কিছু নয় বরং গত কয়েক বছর ধরেই রীতিমত ট্রেন্ডি।

পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, শেফালি উপবাসরত (ফাস্টিং) অবস্থায় তাঁর রেগুলার স্কিন থেরাপি হিসেবে IV vitamin C বা গ্লুটাথায়োন জাতীয় ইনজেকশন নিয়েছিলেন। এরপর হঠাৎ ব্লাড প্রেসার কমে যায় এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু ঘটে।

(এখনো ফরেনসিক রিপোর্ট নিশ্চিতভাবে জানায়নি ইনজেকশনটা এক্সাক্টলি কোনটি ছিল বা একমাত্র এটাই কারণ কিনা।)

প্রেক্ষাপট হিসেবে এখানে কতগুলো বৈজ্ঞানিক রেফারেন্স আমি ছোট করে দিচ্ছি।

চলুন মিলিয়ে দেখি, কোথাও গ্লুটাথায়ন এর ব্যাপারে কনক্রিট কোন রেকমেন্ডেশন পাই কীনা-

WHO Advisory, 2011
➡️ Glutathione for skin lightening is “not recommended due to unknown safety profile”.

FDA Philippines, 2018
➡️ Warned against IV glutathione for cosmetic use; no approved indication.

J Dermatolog Treat, 2012
➡️ Oral glutathione gave only mild melanin reduction. IV not studied.

J Clin Aesthet Dermatol, 2017
➡️ No significant skin lightening after 8 weeks of oral glutathione.

Am J Clin Dermatol, 2019
➡️ “Evidence for IV glutathione is anecdotal and not supported by randomized trials.”

Clin Interv Aging, 2017
➡️ IV vitamin C in high doses may cause oxalate nephropathy (kidney damage).

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, Glutathione+Vit C সংক্রান্ত বেশিরভাগ রিসার্চগুলোই খুবই ছোট পরিসরে, বিশেষত Animal Trial এবং সেক্ষেত্রেও ওরাল মেডিসিন এর ট্রায়াল।

তাই এটুক বলাই যায়, Long term safety & efficacy প্রমাণ করে এমন যথেষ্ট পরিমাণ রিসার্চ এই জায়গাটাতে এখনো হয়নি তার আগেই ট্রেন্ড এ এই জিনিস হাইপ তুলতে পেরেছে দুটো শব্দের কারনে -

তুমি ফর্সা হয়ে যাবা!
তোমাকে ইয়াং লাগবে!



✅ এবারে এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে গ্লুটাথায়ন+ভিটামিন সি IV injection যারা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ভয়ংকর যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Reported Side Effects) ডকুমেন্ট করা হয়েছে চলুন সেগুলোতে চোখ বুলাই -

•Stevens-Johnson Syndrome (ভয়াবহ স্কিন রিঅ্যাকশন, জীবনঘাতী হতে পারে)

•Acute kidney injury (High-dose Vit C)→ কিডনিতে অক্সালেট জমে

• G6PD-deficient রোগীদের ক্ষেত্রে Hemolysis

•Anaphylaxis (হঠাৎ জীবনসংকটময় অ্যালার্জি)
•Liver enzyme elevation
•Thyroid dysfunction
•Skin depigmentation patches (spotty, অসম ফর্সাভাব)



উপরন্তু বাংলাদেশে যত্রতত্র যেসব ইঞ্জেকশন ব্যবহার হচ্ছে এগুলোর সোর্স কি,মান কি, সর্বোতভাবে নিরাপদ বলে এদেশে টেস্টেড কিনা - এই প্রশ্নগুলো ভ্যালিড।কিন্তু উত্তর অস্পষ্ট।

স্পেসিফিক রেগুলেশন গাইডলাইন ও এদেশে নেই।

তাই Benefits outweighs the Risk - ডাক্তারদের এই ফ্লেক্সিবিলিটিটা কে প্রাধান্য দিয়ে যে মানুষের উপর এক্সপেরিমেন্ট করাটা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত তা যাচাই করা দরকার।©

02/07/2025
আজকের যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত আমার লেখা লিংক- https://epaper.jugantor.com/?page=9
29/03/2025

আজকের যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত আমার লেখা
লিংক- https://epaper.jugantor.com/?page=9

27/03/2025

ডাঃ তাহমীদ কামাল
এমবিবিএস, এমপিএইচ,বিসিএস(স্বাস্থ্য),
এফসিপিএস(ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন)
ইন্টারভেনশনাল পেইন ম্যানেজমেন্ট, পি আর পি এন্ড স্ট্রেমসেল থেরাপি, মাস্কুলেস্কোলিটাল আল্ট্রাসাউন্ড এ উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত

ফিজিক্যাল মেডিসিন(হাড় জোড়া, হাড় ক্ষয়, মেরুদণ্ড, প্যারালাইসিস, স্ট্রোক, কোমর ব্যথা, হাটু ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, বাত-ব্যথা, দূর্ঘটনা জনিত আঘাত, স্পোর্টস ইঞ্জুরি) ও রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ

চেম্বারঃ ধানমণ্ডি ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসাল্টেশন সেন্টার, ধানমন্ডি, ঢাকা
সময়ঃ রবি থেকে বুধ সন্ধ্যা ৮ টা হতে রাত ১০ টা পর্যন্ত

★যে সকল রোগের চিকিৎসা করা হয়ঃ

১)বাত ব্যাথা।
২)পি.এল.আই.ডি(ডিস্ক প্রোলাপ্স)।
৩)রিউম্যাটোলজিক্যাল ডিজিজ।
৪)নিউরো এবং অর্থোপেডিক পুনর্বাসন বিশেষজ্ঞ।
৫)ব্যাক এন্ড নেক পেইন (Spine) কেয়ার।
৬)জয়েন্ট পেইন কেয়ার (কাঁধ), (হাঁটু)।
৭)সেক্সুয়াল রিহ্যাবিলিটেশন - ইরেক্টাইল ডিসফাংশন রোগীদের সেক্সুয়াল রিহ্যাবিলিটেশন।
৮)স্পোর্টস ইনজুরি এন্ড অর্থোপেডিক মেডিসিন রিহ্যাবিলিটেশন।
৯)ঘাড় ও পিঠ ব্যাথা, ব্যাথা হাতের দিকে ছড়িয়ে পড়া, হাতে চিলিক মারা, ঝিম ঝিম-শিনশিন করা বা অবশ মনে করা।
১০)হাতের নার্ভ বা স্নায়ু আটকে যাওয়ার কারনে রাতের বেলা হাত ঝিন ঝিন বা অবশ/ভার বা ওজন হয়ে যাওয়া (CTS), এমনি ভাবে পায়ের পাতা ঝিন ঝিন বা অবশ লাগা (TTS)।
১১)হাঁটু, ঘাড় ও কোমড় বা মেরুদণ্ডের ক্ষয়জনিত সমস্যা।
১২)কাঁধের শোলডার জয়েন্ট আটকে যাওয়া, হাত তুলতে অসমর্থ হওয়া বা পিঠ চুলকাতে, মানি ব্যাগ তুলতে বা মহিলাদের চুলের খোপা বাঁধতে কষ্ট হওয়া, রাতে ব্যাথা বেড়ে যাওয়া (ফ্রোজেন শোলডার)।
১৩)গিড়ায় গিড়ায় ব্যাথা, গিড়া ফুলে যাওয়া রাতে বা সকালে আঙ্গুল মুটি করতে কষ্ট হওয়া, গিড়া স্টিফ বা শক্ত হয়ে যাওয়া, এবং বেলা বাড়লে ধীরে ধীরে আরাম বোধ করা (আর্থ্রাইটিস/বাতরোগ)।
১৪)কব্জিতে বা কনুইতে ব্যাথা, ওজন তুলতে বা কাপড় নিংড়াতে কষ্ট হওয়া।
১৫)পিঠ, কোমড়ে ব্যাথা, সকালে ও শেষ রাতে দীর্ঘদিন ধরে কোমড় জ্যাম হয়ে থাকা, নুইতে কষ্ট হওয়া এবং বেলা বাড়লে, ধীরে ধীরে আরাম বোধ করা (বাত রোগ/AS)।
১৬)কোমড় ব্যাথা, ব্যাথা পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়া, মাঝে মাঝে হাঁটতে গেলে পা ভার বা ওজন হয়ে যাওয়া এবং এর ফলে বসতে ইচ্ছে করা এবং পরে আবার হাঁটতে শক্তি পাওয়া, পায়ে শিনশিন করা, বিদ্যুতের মত ঝিলিক মারা, হাঁটতে না পারা (সায়েটিকা)।
১৭)হীপে বা হাঁটুতে ব্যাথা, হাঁটু ফুলে যাওয়া, নিচে বসতে গেলে দাঁড়াতে কষ্ট এবং দাঁড়াতে গেলে বসতে কষ্ট হওয়া। হাঁটুর ক্ষয় হয়ে যাওয়া।
১৮)পায়ের গোড়ালীতে ব্যাথা। সকাল বেলা পা বাড়াতে প্রথম দিকে ভীষণ কষ্ট এবং পরে হাঁটতে অল্প আরাম বোধ করা, গোড়ালীর পিছনে ব্যাথা ও ফুলে যাওয়া।
১৯)খেলাধুলাজনিত আঘাতের কারণে যে কোন ইনজুরী (লিগামেন্ট, টেনডন, মাংসপেশী, মিনিসকাস)।
অর্থোপেডিক প্লাস্টার খোলার পরে জয়েন্ট নাড়াতে কষ্ট হওয়া শক্ত বা স্টিফ হওয়া।
২০)হাড়ের লবন কমে যাওয়া ও মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙ্গে বা চুপসে যাওয়া (হাড় ফোপড়া রোগ)।
২১)শরীরের কোন অংশে দুর্বল লাগা, মুখের একদিক বেকে যাওয়া, মুখের খাবার একদিকে আটকে যাওয়া, কথা বলতে কষ্ট হওয়া।
২২)স্ট্রোক, স্পাইনাল কর্ড ইনজুরী, ব্রেইন ইনজুরী বা যে কোন নিউরোলজিক্যাল কারণে প্যারালাইসিস হওয়া এবং শক্তি কমে যাওয়া।

সিরিয়ালের জন্য ওয়াটস আ্যাপ অথবা ইনবক্সে মেসেজ দিন অথবা কল করুন
০১৬১৬৭১৭৮৮১

*পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব: কুরআনের দৃষ্টিতে শিক্ষা ও করণীয়**১. আল্লাহর বাণী:**يَا أَيُّهَا الّ...
27/03/2025

*পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব: কুরআনের দৃষ্টিতে শিক্ষা ও করণীয়*

*১. আল্লাহর বাণী:*
*يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا مَلَائِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَا يَعْصُونَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ*

অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার ও পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর; যার উপর নিযুক্ত থাকবে কঠোর ও প্রবল শক্তিশালী ফেরেশতাগণ, যারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করে না এবং যা আদেশ করা হয়, তাই করে।” (আত-তাহরীম:৬)!

*২. আয়াতের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ:*_(ক) "কূ আনফুসাকুম ওয়া আহলিকুম নারান_ এখানে ‘কূ’ (ق) অর্থ হলো "তোমরা রক্ষা করো" বা "সুরক্ষিত করো"। অর্থাৎ, একজন ঈমানদারের দায়িত্ব শুধু নিজের ঈমান রক্ষা করা নয়, বরং তার পরিবারকেও সঠিক পথে পরিচালিত করা। এই রক্ষা করার উপায় হলো—নিয়মিত সালাত, কুরআন শিক্ষা, নৈতিকতা শেখানো, হারাম থেকে দূরে রাখা ইত্যাদি।

_(খ) "ওকুদুহান্ নাসু ওয়াল হিজারাহ":_ জাহান্নামের আগুনের ইন্ধন হবে মানুষ এবং পাথর। অর্থাৎ, অবাধ্য ও পাপাচারী মানুষেরাই সেখানে দগ্ধ হবে, আর এখানে "পাথর" বলতে বোঝানো হয়েছে মূর্তি বা অন্যান্য অবাধ্যতার প্রতীক।

_(গ) "আলাইহা মালাইকাতুন গিলাযুন শিদাদ":_ জাহান্নামের ফেরেশতারা কঠোর এবং নির্মম, যারা আল্লাহর আদেশের অবাধ্য নয়। এর মানে হলো, জাহান্নামের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর হবে, এবং কেউ চাইলে তাতে ছাড় পাবে না।

_(ঘ) শিক্ষা ও আমলিক দিক:_ (i). নিজেকে ও পরিবারকে ঈমান ও তাকওয়ার পথে রাখা জরুরি। (ii). হারাম ও গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। (iii). দ্বীনি শিক্ষা নিশ্চিত করা উচিত, বিশেষত পরিবারের সদস্যদের মাঝে।

*৩. শিক্ষা ও উপদেশ:* (ক). একজন মুসলমানের দায়িত্ব শুধু নিজের জন্য নয়, বরং পরিবারের জন্যও। (খ). সন্তানদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করা গুরুত্বপূর্ণ। (গ). হারাম ও শিরক থেকে দূরে থাকতে হবে। (ঘ). সমাজ ও রাষ্ট্রকেও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।

এই আয়াত আমাদের পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কেবলমাত্র ব্যক্তিগত আমল যথেষ্ট নয়, বরং পরিবারের সকল সদস্যকেও নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। ঈমানের পথে চলার জন্য শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকা যথেষ্ট নয়, বরং পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করাও ঈমানদারের কর্তব্য। এই আয়াত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের জীবনে আমল করা উচিত, যাতে আমরা জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে পারি।

*আল্লাহ-হুম্মা সাল্লি, ওয়া সাল্লিম, ওয়া বারিক আ'লা মুহাম্মাদ; আল-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ'লামীন* I (মূসা: ২৭-০৩-২৫)

There are so many times when we don’t fully appreciate what women do for us. Here’s a big thank you to all the magnifice...
08/03/2025

There are so many times when we don’t fully appreciate what women do for us. Here’s a big thank you to all the magnificent women!

Happy Women’s Day 2025!!

Address

Dhanmondi
Dhaka
1207

Telephone

+8801616717881

Website

https://dr-tahmeed-kamal.business.site/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Tahmeed Kamal - Pain, Paralysis and Rehabilitation Medicine Specialist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Tahmeed Kamal - Pain, Paralysis and Rehabilitation Medicine Specialist:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category