Dr. Rasel Ahmed - Physiotherapist

Dr. Rasel Ahmed - Physiotherapist Trust your physiotherapist and live a problem-free life. verified

Whiplash Injury কি?Whiplash injury হলো ঘাড়ের সফট টিস্যুর আঘাত, যা মাথা হঠাৎ করে জোরে সামনে-পেছনে নড়ে গেলে হয়ে থাকে। এ...
02/08/2025

Whiplash Injury কি?

Whiplash injury হলো ঘাড়ের সফট টিস্যুর আঘাত, যা মাথা হঠাৎ করে জোরে সামনে-পেছনে নড়ে গেলে হয়ে থাকে। এটি মূলত মাংসপেশি, লিগামেন্ট ও টেন্ডনের ক্ষতি ঘটায়।

কেন হয়?

Whiplash injury সাধারণত নিচের কারণে হয়ে থাকে:

গাড়ি দুর্ঘটনা (বিশেষ করে পেছন থেকে ধাক্কা লাগলে)।
খেলাধুলার সময় আঘাত লাগলে।
পড়ে গেলে বা হঠাৎ ধাক্কা খেলে।
ঘাড়ে আকস্মিক চাপ বা ঝাঁকুনি এলে।

লক্ষণ কী?

Whiplash injury-র সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:

ঘাড়ে ব্যথা ও শক্তভাব।
মাথাব্যথা (প্রধানত ঘাড়ের পেছন দিক থেকে শুরু হয়)।
ঘাড় নড়াতে অসুবিধা।
কাঁধ, পিঠ বা বাহুতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া।
মাথা ঘোরা বা ভারী লাগা।
ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা বা মনোযোগের অভাব।

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা কেন প্রয়োজন?

ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ:

ঘাড়ের শক্তভাব ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
মাংসপেশি ও লিগামেন্টের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনে।
দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা প্রতিরোধ করে (যেমন: ক্রনিক ব্যথা বা চলাচলের সীমাবদ্ধতা)।
ব্যালান্স ও পেশি নিয়ন্ত্রণ উন্নত করে।
রোগীকে সঠিক ভঙ্গিমায় চলাফেরা শিখায়।

ব্যবহৃত ফিজিওথেরাপি পদ্ধতি:

হালকা স্ট্রেচিং ও মোবিলাইজেশন এক্সারসাইজ।
আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি।
TENS (Transcutaneous Electrical Nerve Stimulation)
পোষচার সংশোধন ও কার্যক্ষমতা বাড়ানোর কৌশল।

কতদিনে ভালো হবে?

বেশিরভাগ হালকা Whiplash injury ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়।

কিছু ক্ষেত্রে ৩ মাস বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে, বিশেষ করে যদি চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয় বা ইনজুরি গুরুতর হয়।

উপযুক্ত ফিজিওথেরাপি ও বিশ্রামে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারে।

পোড়া ঘা (Burn wound)-এর ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন পোড়ার পর আক্রান্ত অঙ্গটি শক্ত হয়ে ...
23/07/2025

পোড়া ঘা (Burn wound)-এর ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন পোড়ার পর আক্রান্ত অঙ্গটি শক্ত হয়ে যায়, চলাচলে সমস্যা হয়, বা চর্মের নিচে পেশি ও জয়েন্টে জটিলতা দেখা দেয়।

🔥 পোড়া ঘায়ের পরে ফিজিওথেরাপির উদ্দেশ্য:

1. চামড়ার শক্ত হয়ে যাওয়া (Contracture) প্রতিরোধ।
2. চলাচলের ক্ষমতা (Range of motion) ফিরিয়ে আনা।
3. ব্যথা ও ফোলাভাব কমানো।
4. পেশি দুর্বলতা প্রতিরোধ।
5. দৈনন্দিন কাজ করার ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা।

🩺 পোড়া ঘার ধাপ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি:

১. প্রাথমিক পর্যায় (ঘা শুকায়নি):

সরাসরি থেরাপি না দিয়ে ক্ষতস্থানে যত্ন (ড্রেসিং, জীবাণুনাশ)।
আক্রান্ত অঙ্গটি ঠিকভাবে রাখার জন্য পজিশনিং ও স্প্লিন্টিং (Positioning & Splinting)।
Gentle movement ব্যথা না বাড়িয়ে।

২. মধ্য পর্যায় (ঘা শুকিয়ে আসছে):

Passive ও Active Range of Motion (ROM) এক্সারসাইজ শুরু।
Stretching exercise—চামড়া যেন শক্ত না হয়ে যায়।
Manual therapy প্রয়োজনে।

৩. পুনর্বাসন পর্যায় (Rehabilitation phase):

সম্পূর্ণ শক্তি ও গতি ফিরিয়ে আনার জন্য এক্সারসাইজ।
Scar management therapy: যেমন সিলিকন জেল ব্যবহার।
প্রয়োজন হলে Compression garment ব্যবহার করা হয়।
কাজের কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে Functional Training

⚠️ সতর্কতা:

সব ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের অনুমোদন ও ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে করতে হবে।

ত্বকের অবস্থা খারাপ থাকলে থেরাপি বন্ধ রাখতে হতে পারে।

📌 উপসংহার:

ফিজিওথেরাপি পোড়া রোগীদের জন্য শুধু ব্যথা কমানোই নয়, দীর্ঘমেয়াদে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে অত্যন্ত কার্যকর। যত দ্রুত ফিজিওথেরাপি শুরু করা যায় (ঘা শুকিয়ে যাওয়ার পর), তত ভালো ফল পাওয়া যায়।

✅ সাইটিকা পেইন কী?সায়াটিক নার্ভে চাপ পড়লে অথবা সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোমরের নিচ থেকে শুরু করে পায়ের পেছন দিয়ে ব্যথা ন...
22/07/2025

✅ সাইটিকা পেইন কী?

সায়াটিক নার্ভে চাপ পড়লে অথবা সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোমরের নিচ থেকে শুরু করে পায়ের পেছন দিয়ে ব্যথা নামতে থাকে। একে সাইটিকা পেইন বলা হয়। সাধারণত এক পায়ে হয়।

সাইটিকা কেন হয়?
সাইটিকার প্রধান কারণগুলো হলো:

1. হার্নিয়েটেড ডিস্ক (Herniated Disc) – মেরুদণ্ডের ডিস্ক সরে গিয়ে নার্ভে চাপ দেয়।

2. স্পাইনাল স্টেনোসিস – মেরুদণ্ডের মধ্যকার জায়গা সরু হয়ে যায়।

3. ডিজেনারেটিভ ডিস্ক ডিজিজ – বয়সজনিত ডিস্ক ক্ষয়।

4. পিরিফরমিস সিনড্রোম – পিরিফরমিস মাংসপেশি সায়াটিক নার্ভে চাপ দেয়।

5. আঘাত বা দুর্ঘটনা

6. গর্ভাবস্থা – গর্ভকালীন ওজন ও অবস্থানের কারণে নার্ভে চাপ পড়ে।

⚠️ লক্ষণ কী কী?

কোমরের নিচ থেকে পা পর্যন্ত ব্যথা, ব্যথা সাধারণত এক পায়ে হয়, ঝিনঝিনে ভাব বা অবশ লাগা, পায়ে দুর্বলতা অনুভব করা, পিঠ সোজা করতে বা হাঁটতে কষ্ট হওয়া।

💊 চিকিৎসা কী?

ফিজিওথেরাপি:

নির্দিষ্ট স্ট্রেচিং ও ব্যায়াম নার্ভের চাপ কমাতে সাহায্য করে।

হট/কোল্ড থেরাপি:

পিঠে গরম বা ঠান্ডা প্যাড প্রয়োগ করলে উপশম মিলতে পারে।

সার্জারি (শেষ উপায়):

যখন ব্যথা খুব বেশি হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায় এবং অন্য চিকিৎসায় উপকার না মেলে।

🏡 প্রতিকার ও প্রতিরোধ:

সোজা হয়ে বসা ও হাঁটা, নিয়মিত ব্যায়াম (বিশেষ করে কোমর ও পায়ের), ভারি জিনিস তুলার সময় সঠিক ভঙ্গি মেনে চলা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, দীর্ঘ সময় বসে না থাকা।

জ্বর মানেই আতঙ্ক নয়, জানুন সঠিক যত্ন১. জ্বর ৩-৫ দিন থাকতে পারে — আতঙ্ক নয় ধৈর্য জরুরিভাইরাল জ্বরে প্রথম ৩ থেকে ৫ দিন টান...
21/07/2025

জ্বর মানেই আতঙ্ক নয়, জানুন সঠিক যত্ন

১. জ্বর ৩-৫ দিন থাকতে পারে — আতঙ্ক নয় ধৈর্য জরুরি
ভাইরাল জ্বরে প্রথম ৩ থেকে ৫ দিন টানা ১০২-১০৩°F পর্যন্ত জ্বর থাকতে পারে। এমনকি জ্বর কমলেও তা ১০১°F এর নিচে নাও নামতে পারে। তাই একদিনেই জ্বর কমে যাবে — এমন আশা না করাই ভালো।

২. ভাইরাল জ্বরে এন্টিবায়োটিক নয়
এন্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে না। শুধুমাত্র যদি কোনো ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ধরা পড়ে, তখনই এটি দরকার হতে পারে — যা অনেক সময় ৩ দিন পর বোঝা যায়।

৩. অরুচি স্বাভাবিক — ধীরে ধীরে তরল খাবার দিন
জ্বর হলে খাওয়ার রুচি কমে যায়, যা স্বাভাবিক। তাই জোর না করে ধীরে ধীরে পানি, স্যুপ, জাউ, শরবত বা শিশু যা খেতে চায় তা দিন। খেয়াল রাখবেন, ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৪ বার প্রস্রাব হওয়া জরুরি।

৪. ওষুধ ব্যবহারে নিয়ম মানুন

হালকা জ্বরে (১০০–১০২°F): গা মুছে দিন, মুখে ওষুধ দিন।
ওষুধ দেয়ার পর কমপক্ষে ৪-৬ ঘণ্টা বিরতি দিন।
সাপোজিটরি দিলে ৮ ঘণ্টার আগে দ্বিতীয়টি দেবেন না।

৫. সাপোজিটরি প্রয়োগে সাবধানতা
জ্বর ১০২°F এর বেশি হলে সাপোজিটরি ব্যবহার করা যায়। তবে এটি সাময়িক আরাম দিলেও পুরোপুরি জ্বর নাও কমাতে পারে। শিশুদের জন্য এটি কিছুটা অস্বস্তিকরও হতে পারে।

৬. ডাবল ডোজ বা ঘনঘন ওষুধ নয়
জ্বর দ্রুত কমানোর জন্য ঘনঘন ওষুধ বা ডাবল ডোজ দেবেন না। এতে ক্ষতি হতে পারে। ভাইরাস নিজস্ব সময় নিয়ে জ্বর তৈরি করে এবং ধীরে ধীরে সেরে ওঠে।

৭. বিশ্রাম ও যত্নই সবচেয়ে জরুরি চিকিৎসা

বারবার ওষুধ না দিয়ে শিশুদের বিশ্রাম নিতে দিন, ভেজা গামছা দিয়ে গা মুছিয়ে দিন, গরম নরম খাবার খাওয়ান, ঘুমের মধ্যে জ্বর থাকলেও ঘুম ভাঙিয়ে ওষুধ খাওয়ানোর দরকার নেই

৮. থার্মোমিটারই নিশ্চিত করে জ্বর আছে কিনা
শুধু গায়ে হাত দিয়ে গরম মনে হলে ওষুধ দেবেন না। থার্মোমিটারে ১০০°F বা তার বেশি হলে তবেই জ্বরের ওষুধ দিন।

🔔 যদি নিচের লক্ষণগুলো দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:

শিশু একদমই কিছু খেতে না পারলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে, বারবার বমি হলে, খিঁচুনি হলে।

❗ মনে রাখবেন: ভাইরাল জ্বরের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হলো ধৈর্য, বিশ্রাম, পর্যাপ্ত পানি ও সঠিক যত্ন।

নারীদের মধ্যে ভিটামিন ডি এর অভাব একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। নিচে এর কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির ব্যাখ...
18/07/2025

নারীদের মধ্যে ভিটামিন ডি এর অভাব একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। নিচে এর কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

✅ নারীদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব বেশি হওয়ার কারণ:

1. সূর্যালোকের অভাব:
নারীরা সাধারণত বাইরে কম বের হন, এবং অনেকে পর্দা বা শরীর ঢেকে চলাফেরা করেন। এতে করে সূর্যের অতি-বেগুনি রশ্মি (UVB) ত্বকে পৌঁছায় না, ফলে ভিটামিন ডি তৈরি হয় না।

2. গায়ের রঙ:
গাঢ় ত্বকের নারীদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি উৎপাদন তুলনামূলকভাবে কম হয়।

3. গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান:
এই সময় শরীরের চাহিদা বেড়ে যায়, ফলে ভিটামিন ডি দ্রুত কমে যেতে পারে।

4. পুষ্টিহীনতা:
খাদ্যাভ্যাসে যদি দুধ, মাছ, ডিম বা ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার কম থাকে, তাহলে ঘাটতি দেখা দেয়।

5. ওজন বেশি হওয়া:
অতিরিক্ত চর্বি ভিটামিন ডি-কে শরীরে সংরক্ষণ করে রাখে, যার ফলে এটি পর্যাপ্তভাবে রক্তে প্রবেশ করতে পারে না।

✅ নারীদের ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির লক্ষণ:

1. সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়া

2. পেশি ও হাড়ে ব্যথা

3. ঘন ঘন রোগে আক্রান্ত হওয়া (ইমিউনিটি দুর্বল হওয়া)

4. চুল পড়া

5. মনমরা ভাব বা বিষণ্ণতা

6. হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া (বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে)

7. মাসল দুর্বলতা বা শরীর ভারী মনে হওয়া

✅ ভিটামিন ডি এর অভাব দূর করার উপায়:

1. সূর্যের আলো গ্রহণ:
প্রতিদিন সকালে (৯.০০টা থেকে ২.০০টার মধ্যে) ১৫-৩০ মিনিট মুখ, হাত, পা খোলা রেখে রোদে থাকা উচিত।

2. খাদ্য গ্রহণ:

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন:

চর্বিযুক্ত মাছ (স্যামন, টুনা), ডিমের কুসুম,‌ গরুর কলিজা, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ভিটামিন ডি ফোর্টিফাইড খাবার (দুধ, সিরিয়াল, সোয়াবিন দুধ ইত্যাদি)

3. সাপ্লিমেন্ট:
ঘাটতি বেশি হলে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ডি ট্যাবলেট বা ইনজেকশন গ্রহণ করা যেতে পারে।

✅ দীর্ঘমেয়াদে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?

1. অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ভঙ্গুরতা

2. হাড় সহজে ভেঙে যাওয়া বা দুর্বল হয়ে যাওয়া

3. রিকেটস (শিশুদের ক্ষেত্রে)

4. ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে বারবার সংক্রমণ হওয়া

5. মানসিক বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন

6. হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা

✅ উপসংহার:

ভিটামিন ডি নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত রোদে থাকা, সঠিক খাদ্য গ্রহণ এবং প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার মাধ্যমে এই অভাব দূর করা সম্ভব। তবে দীর্ঘদিন ঘাটতি থাকলে তা হাড়, মস্তিষ্ক ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাই আগেভাগেই সচেতন হওয়া জরুরি।

17/07/2025
05/06/2025

🐄 কোরবানির সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু সতর্কতামূলক পরামর্শ

১. কোরবানির পূর্বে ছুরি প্রস্তুত কিনা নিশ্চিত করুন:
কোরবানি করার আগে ছুরির ধার ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিন। ছুরিটি যেন যথেষ্ট ধারালো ও পরিষ্কার থাকে, তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ধারালো ছুরি ব্যবহার করলে পশুকে কম কষ্ট হয় এবং কোরবানির কাজটি দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়।
অধিক ধারালো ছুরি না হলে, পশু অপ্রয়োজনীয় কষ্ট পায় এবং কাজের সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই আগেভাগেই ভালোভাবে ছুরি পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে ধার করিয়ে নিন।

২. কোরবানির পরে নিজে নিজে স্পাইনাল কর্ড (মেরুদণ্ড) কাটতে যাবেন না:
অনেক সময় কোরবানির পরে ( পশুর মৃ_ত্যু নিশ্চিত হয়ার আগে) কেউ কেউ নিজেরা স্পাইনাল কর্ড কাটার চেষ্টা করেন, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। মেরুদণ্ড কাটার সময় পশুর শরীর এখনও নড়াচড়া করতে পারে, ফলে ভুলভাবে ছুরি চালালে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এই ধরণের কাজ অভিজ্ঞ কসাই বা প্রশিক্ষিত ব্যক্তির মাধ্যমে করানোই উত্তম। নিজের নিরাপত্তা এবং আশেপাশের লোকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই ধাপটি অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করুন।

*মৃ_ত্যু নিশ্চিত হওয়ার আগে মেরুদন্ডে আঘাত করলে সেই পশুর কোরবানি জায়েজ হওয়া নিয়েও মত ভিন্নতা আছে*

📝 অতিরিক্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ :

৩. পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:
কোরবানির পর রক্ত, চামড়া বা অন্যান্য বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার করুন। আশেপাশের পরিবেশ নোংরা রাখলে রোগ-জীবাণু ছড়াতে পারে। সবসময় জীবাণুনাশক পানি ব্যবহার করুন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নিয়ম মেনে চলুন।

৪. শিশুদের নিরাপদ দূরত্বে রাখুন:
অনেক সময় শিশুরা কৌতূহলবশত কোরবানির কাজের কাছে চলে আসে, যা বিপজ্জনক হতে পারে। তাদের নিরাপদ দূরত্বে রাখুন এবং যেন তারা ছুরি বা অন্য যন্ত্রপাতির কাছে না যায়, তা খেয়াল রাখুন।

৫. পশুর প্রতি সদয় হোন:
কোরবানি একটি ধর্মীয় ইবাদত, তাই পশুর প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল আচরণ করা উচিত। অপ্রয়োজনীয়ভাবে পশুকে মারধর, টানা-হেঁচড়া করা বা ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকুন। শান্তিপূর্ণভাবে কোরবানি সম্পন্ন করা উত্তম।

🙏 আল্লাহ্‌ আমাদের কোরবানি কবুল করুন। সবাইকে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও বরকতময় ঈদের শুভেচ্ছা।
সতর্ক থাকুন, মানবিক থাকুন, ইবাদতকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করুন।

হিল ইস্পার বা প্লান্টার ফ্যাসাইটিস:-১. হিল ইস্পার বা প্লান্টার ফ্যাসাইটিস কী?প্লান্টার ফ্যাসাইটিস: পায়ের পাতার নিচের দি...
27/05/2025

হিল ইস্পার বা প্লান্টার ফ্যাসাইটিস:-

১. হিল ইস্পার বা প্লান্টার ফ্যাসাইটিস কী?

প্লান্টার ফ্যাসাইটিস: পায়ের পাতার নিচের দিকে একটি মোটা টিস্যু ব্যান্ড থাকে যাকে Plantar Fascia বলে। এই টিস্যুতে প্রদাহ বা ক্ষত হলে তাকে বলা হয় Plantar Fasciitis।

হিল স্পার (Heel Spur): এটি হলো হিলবোনে (পায়ের গোড়ালির হাড়ে) ছোট হাড়ের কাঁটার মতো গঠন, যা দীর্ঘদিন প্লান্টার ফ্যাসিয়া টান পড়লে তৈরি হয়।

২. কেন হয়?

-পায়ে অতিরিক্ত চাপ বা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা।
-অপ্রচলিত জুতো ব্যবহার।
-ওজন বেশি হলে।
-দীর্ঘ সময় হাঁটা বা দৌড়ানো।
-পায়ের পাতার গঠনজনিত সমস্যা যেমন ফ্ল্যাট ফুট বা হাই আর্চ।
-অনিয়মিতভাবে পেশির নমনীয়তা হারানো (tight calf muscles)।

৩. কাদের বেশি হয়?

-৪০-৬০ বছর বয়সীদের।
-খেলোয়াড় বা নিয়মিত দৌড়বিদদের।
-যারা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করেন (শিক্ষক, নার্স, কিচেন স্টাফ ইত্যাদি)।
-অতিরিক্ত ওজনধারীদের।
-ফ্ল্যাট ফুট বা অস্বাভাবিক গেইট (অস্বাভাবিক হাঁটার ধরন) যাদের আছে।

৪. কী কী সমস্যা হয়?

-সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম পা ফেলা খুব ব্যথাদায়ক হয়।
-হিল বা গোড়ালির নিচে ধারালো ব্যথা।
-দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে বা হাঁটলে ব্যথা বাড়ে।
-হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়।

৫. কীভাবে বুঝব আমার এই সমস্যা হয়েছে?

-সকালবেলা বা বিশ্রামের পর প্রথম হাঁটার সময় হিলের নিচে ব্যথা অনুভব করা।
-পায়ের আঙ্গুল উঁচু করলে বা গোড়ালি টিপলে ব্যথা বাড়ে।
-এক্স-রে করলে Heel Spur দেখা যেতে পারে।

৬. এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় কী?

-বিশ্রাম ও অতিরিক্ত হাঁটাচলা কমানো।
-বরফ সেঁক (দিনে ২-৩ বার ১০-১৫ মিনিট)।
-সঠিক আকারের ও আরামদায়ক জুতো পরা।
-হিল কুশন বা অর্থোটিক ইনসোল ব্যবহার।
-ওজন নিয়ন্ত্রণ।
-স্ট্রেচিং ও ফিজিওথেরাপি।

৭. ফিজিওথেরাপি কেন প্রয়োজন এই ক্ষেত্রে?

-প্লান্টার ফ্যাসিয়া ও কাফ মাংসপেশিকে স্ট্রেচ করে নমনীয় করা যায়।
-ব্যথা কমাতে আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, আইস প্যাক বা টেনস ব্যবহার করা হয়।
-ভিন্ন ধরনের ব্যায়াম শেখানো হয় যা দীর্ঘমেয়াদে সমস্যা কমায়।
-সঠিক হাঁটার কৌশল শেখানো হয়।

স্যারভাইকাল রিব:-স্যারভাইকাল রিব হলো গলার হাড়ের (সার্ভাইক্যাল স্পাইন) অতিরিক্ত একটি হাড় যা সাধারণত সপ্তম সার্ভাইক্যাল কশ...
27/05/2025

স্যারভাইকাল রিব:-

স্যারভাইকাল রিব হলো গলার হাড়ের (সার্ভাইক্যাল স্পাইন) অতিরিক্ত একটি হাড় যা সাধারণত সপ্তম সার্ভাইক্যাল কশেরুকা (C7) থেকে গজায়। এটি জন্মগত (Congenital) সমস্যা এবং সবার মধ্যে দেখা যায় না। অনেকে বুঝতেই পারেন না যে তাদের এই হাড়টি আছে।

লক্ষণসমূহ:

সবার মধ্যে লক্ষণ দেখা যায় না। যাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়, তাদের মাঝে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা যায়:

1. ঘাড়, কাঁধ ও বাহুতে ব্যথা
2. বাহুতে অবশভাব, ঝিনঝিনি বা চুলচুলে অনুভূতি
3. হাত ও আঙ্গুলে দুর্বলতা
4. হাতের রঙ ফ্যাকাশে বা নীলচে হওয়া
5. ভার উত্তোলন বা হাত উঁচু করলে সমস্যার তীব্রতা বেড়ে যাওয়া
6. Thoracic Outlet Syndrome (TOS)-এর লক্ষণ দেখা দেওয়া

কারা এতে বেশি আক্রান্ত হন?

-নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হন।
-জন্মগত হাড়ের গঠনগত অস্বাভাবিকতা যাদের আছে
-দীর্ঘ সময় ধরে ভুল ভঙ্গিতে কাজ করা (যেমন: ডেস্ক জব, মোবাইল বা কম্পিউটারে বেশি সময় ব্যয়)

চিকিৎসা করা কেন জরুরি?

-যদি এটি স্নায়ু বা রক্তনালীর উপর চাপ সৃষ্টি করে, তবে সেটি দীর্ঘমেয়াদে স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে।

-রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা হতে পারে, যার ফলে হাত বা আঙুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
-প্রতিদিনের কাজ-কর্মে অসুবিধা হতে পারে।

*সময়মতো চিকিৎসা না করালে সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।*

ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা:

ফিজিওথেরাপি প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার সবচেয়ে কার্যকর উপায়:

ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে যেসব উপকার হয়:
1. ঘাড়, কাঁধ ও পিঠের পেশি শক্তিশালী করা
2. স্নায়ুর উপর চাপ কমানো
3. ব্যথা ও ঝিনঝিনে ভাব কমানো
4. দৈনন্দিন কাজ স্বাভাবিকভাবে করার সক্ষমতা বাড়ানো
5. অঙ্গ-ভঙ্গি (posture) উন্নত করে উপসর্গ প্রতিরোধ করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যকে একেবারে হালকাভাবে নেয়াটা এক ধরণের ক্রাইম। দুই সপ্তাহ ধরে পায়খানা না হওয়ার পর অবশেষে এক্সরে করিয়েছে। এখন দ...
24/05/2025

কোষ্ঠকাঠিন্যকে একেবারে হালকাভাবে নেয়াটা এক ধরণের ক্রাইম। দুই সপ্তাহ ধরে পায়খানা না হওয়ার পর অবশেষে এক্সরে করিয়েছে। এখন দেখুন অবস্থা...

বাচ্চাদের তো বটেই, আপনার নিজেরও কোষ্ঠকাঠিন্য হলে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎকের পরামর্শ নেবেন। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকার জন্য কিছু খাবারের নাম বলে দিচ্ছি। শেয়ার করে রাখতে পারেন।

শাকসবজি: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আঁশযুক্ত খাবারের কোনো বিকল্প নেই। আর শাকসবজি হলো আঁশের সবচেয়ে ভালো উৎস। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় তাজা মৌসুমি শাকসবজি রাখুন। সবজির মাঝে লাউ, পেঁপে, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, ঢ্যাঁড়স রাখুন।

কলা: কলায় প্রচুর আঁশ রয়েছে। তাই যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা সকালের নাশতায় একটি করে পাকা কলা রাখুন।

আপেল: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে নিয়মিত খোসাসহ আপেল খান। আপেলের খোসায় পর্যাপ্ত আঁশ রয়েছে, যা মল নরম করে।

নাশপাতি: প্রতিদিন একটি নাশপাতি খেলে আমাদের দৈনন্দিন আঁশের চাহিদা ২২ শতাংশ পূরণ হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।

ইসবগুলের ভুসি: ইসবগুলের ভুসি প্রাকৃতিকভাবেই মল নরম করতে, মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে ও সহজে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণ অদ্রবণীয় আঁশ রয়েছে, যা প্রচুর পানি শোষণ করে। সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একইভাবে ইসবগুলের ভুসি খেলে সকালে মলত্যাগে কোনো সমস্যা হয় না। তবে ইসবগুলের ভুসি খেলে সারা দিন প্রচুর পানি পান করতে হবে। না হলে ইসবগুলের ভুসি শরীর থেকে পানি শোষণ করে মলত্যাগ আরও কষ্টসাধ্য করে তুলবে।

কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম (Carpal Tunnel Syndrome) কী?কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম (CTS) হলো একটি স্নায়ুবিষয়ক সমস্যা, যা কবজির ...
29/01/2025

কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম (Carpal Tunnel Syndrome) কী?

কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম (CTS) হলো একটি স্নায়ুবিষয়ক সমস্যা, যা কবজির ভেতরে মিডিয়ান নার্ভ (Median Nerve) সংকুচিত হয়ে যাওয়ার কারণে হয়। এই নার্ভটি হাতের অনুভূতি ও কিছু পেশির নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে।

লক্ষণসমূহ:

হাত ও আঙুলে ঝিনঝিন বা অবশভাব,
বিশেষ করে বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুলে ব্যথা ও দুর্বলতা,
রাতে বা সকালের দিকে ব্যথা বেশি অনুভূত হওয়া,
হাতের মুঠো শক্ত করে ধরতে সমস্যা,
কাজ করতে করতে হাত ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।

চিকিৎসা না নিলে কী ক্ষতি হতে পারে?

স্থায়ী স্নায়ু ক্ষতি: দীর্ঘদিন চিকিৎসা না করলে মিডিয়ান নার্ভের ক্ষতি স্থায়ী হয়ে যেতে পারে।

হাতের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া: হাতের শক্তি কমে গিয়ে দৈনন্দিন কাজ (যেমন: লেখালেখি, টাইপিং, বোতাম লাগানো) কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

পেশির দুর্বলতা: আঙুল ও কবজির কিছু পেশি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায়, যা স্থায়ী সমস্যা তৈরি করতে পারে।

অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে: যদি ব্যথা দীর্ঘদিন চলতে থাকে এবং নার্ভ খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে অপারেশন করতে হতে পারে।

ফিজিওথেরাপি কার্পাল টানেল সিন্ড্রোমের জন্য একটি কার্যকর, ওষুধবিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যা ব্যথা কমায় এবং হাতের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

ফিজিওথেরাপির উপকারিতা:

ব্যথা ও ঝিনঝিন ভাব কমানো: হালকা স্ট্রেচিং ও নার্ভ গ্লাইডিং এক্সারসাইজ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

স্নায়ুর সংকোচন কমানো: বিভিন্ন ম্যানুয়াল থেরাপি ও ব্যায়ামের মাধ্যমে মিডিয়ান নার্ভের উপর চাপ কমানো হয়।

কবজির নমনীয়তা ও শক্তি বৃদ্ধি: কবজি ও আঙুলের পেশির শক্তি ও নমনীয়তা বাড়িয়ে হাতের কার্যকারিতা স্বাভাবিক করা হয়।

অস্ত্রোপচার এড়ানো: যদি প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক ফিজিওথেরাপি নেওয়া হয়, তাহলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে না।

আপনি যদি কার্পাল টানেল সিন্ড্রোমের লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

রেফার্ড পেইন (Referred Pain) কী?রেফার্ড পেইন হল এমন এক ধরনের ব্যথা, যা শরীরের এক জায়গার সমস্যার কারণে অন্য জায়গায় অনুভূত...
29/01/2025

রেফার্ড পেইন (Referred Pain) কী?

রেফার্ড পেইন হল এমন এক ধরনের ব্যথা, যা শরীরের এক জায়গার সমস্যার কারণে অন্য জায়গায় অনুভূত হয়। অর্থাৎ, ব্যথার মূল কারণ এক জায়গায় থাকলেও তা শরীরের অন্য কোনো অংশে অনুভূত হতে পারে।

রেফার্ড পেইনের কারণ:
পেশি, জয়েন্ট বা নার্ভের সমস্যার কারণে।
ডিস্ক সমস্যা বা স্পাইনাল ইস্যু (যেমন: সার্ভাইক্যাল বা লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস)।
অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা (যেমন: হার্টের সমস্যা থেকে হাতে ব্যথা অনুভূত হওয়া)।

চিকিৎসা না নিলে কী ক্ষতি হবে?

ব্যথা দীর্ঘমেয়াদী হয়ে যেতে পারে,
দৈনন্দিন কাজকর্মে সমস্যা হতে পারে,
পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে,
জয়েন্ট বা নার্ভের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে,
জীবনযাত্রার মান কমে যেতে পারে।

ফিজিওথেরাপির উপকারিতা:

ব্যথার মূল কারণ চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা হয়,
ওষুধ ছাড়াই ব্যথা উপশম করা যায়,
শরীরের নড়াচড়া ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়,
পেশি ও জয়েন্টের শক্তি ও স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়,
ব্যথার পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করে।

আপনার যদি রেফার্ড পেইন থাকে, তাহলে দেরি না করে একজন দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Rasel Ahmed - Physiotherapist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram