Nature Version 3.0

Nature Version 3.0 দেহ ও মনের সুস্থতা'র জন্য উৎসর্গীকৃত 🍃

কোন বাদামের কেমন পুষ্টিগুণ, খাবেনই–বা কতটুকুবাদাম স্ন্যাকস হিসেবে জনপ্রিয়। আমাদের দেশে চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, প...
24/11/2025

কোন বাদামের কেমন পুষ্টিগুণ, খাবেনই–বা কতটুকু
বাদাম স্ন্যাকস হিসেবে জনপ্রিয়। আমাদের দেশে চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, আখরোট পাওয়া যায় বেশি। এ ছাড়া অন্যান্য বাদাম হলো ম্যাকাডমিয়াম, পাইন, ব্রাজিল নাট, হেজেলনাট ইত্যাদি। প্রতিটি বাদামের নিজস্ব স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিগুণ রয়েছে।

কাজুবাদাম
কাজুবাদামে বেশ আয়রন থাকে যা নারীদের জন্য ভালো। এ ছাড়া কাজুবাদামে জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম থাকে যা হাড়ের স্বাস্থ্য, হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও পলি–আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান, এটি সেরোটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

কাঠবাদাম
কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই, অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট যা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। রয়েছে প্রচুর মনোস্যাচুরেটেড যা হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কাঠবাদামে থাকা পিনোলিক অ্যাসিড ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

চিনাবাদাম
চিনাবাদামে প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসহ অসংখ্য ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। চিনাবাদামে ২০টি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। এ ছাড়া এটি কো-এনজাইমের ভালো উৎস। চিনাবাদামে রেসভেরাট্রল নামক অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত চিনাবাদাম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ক্ষুধা কমানো ও ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।

আখরোট
আখরোট ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়। আখরোটে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আখরোট ভিটামিন ই, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাঙ্গানিজ ও বায়োটিনের ভালো উৎস।

পেস্তাবাদাম
পেস্তাবাদামে ফাইবার ও প্রোটিন বেশি থাকে যা হজমে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পেস্তাবাদাম ভিটামিন বি৬, কপার, ম্যাঙ্গানিজের ভালো উৎস। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল কমানো ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পেস্তাবাদামে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ব্রাজিল বাদাম
ব্রাজিল বাদাম সেলেনিয়ামের ভালো উৎস যা থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন এক–দুটি ব্রাজিল বাদাম খেলে সেলেনিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। এ ছাড়া ব্রাজিল বাদামে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কপার, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম আছে।

বাদাম কতটুকু খাবেন
যাঁদের ওজন বেশি, পেটের পীড়া, গ্যাস্ট্রিক বা আইবিএস থাকলে বেশি বাদাম না খাওয়াই ভালো। পিত্তথলিতে সমস্যা থাকলে বেশি বাদাম খাওয়া যাবে না। অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্ট আছে যাঁদের, তাঁরা বেশি বাদাম খাবেন না। নির্দিষ্ট ওষুধ বিশেষ করে থাইরয়েড রোগীরা বাদাম খাবেন ওষুধ খাওয়ার ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে বা পরে। বাদামের সঙ্গে লবণ যোগ করে খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য খারাপ। দিনে ৫০ গ্রামের বেশি বাদাম খাওয়া ঠিক নয়।

-লিনা আকতার, পুষ্টিবিদ, রাইয়ান হেলথ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর, বাংলাদেশ।

♻️ Nature Version 3.0 পেইজটি আপনার জন্য উপকারী মনে হলে এখনই আপনার প্রিয়জনদের মাঝে ছড়িয়ে দিন!

⚜️নিজে ভালো থাকুন এবং অন্যকেও ভালো থাকতে সহযোগিতা করুন!

মিলেনিয়ালদের মধ্যে কেন বাড়ছে স্ট্রোক? চিকিৎসক জানালেন, জেন-জিরাও আছেন ঝুঁকিতে!কম বয়সে স্ট্রোক হচ্ছে অনেকেরই। জীবনধারার য...
19/11/2025

মিলেনিয়ালদের মধ্যে কেন বাড়ছে স্ট্রোক? চিকিৎসক জানালেন, জেন-জিরাও আছেন ঝুঁকিতে!

কম বয়সে স্ট্রোক হচ্ছে অনেকেরই। জীবনধারার যেসব ভুলে মিলেনিয়ালদের মধ্যে স্ট্রোক বাড়ছে, প্রায় একই কারণে ঝুঁকি বাড়ছে জেন-জিদেরও। এ সম্পর্কে রাফিয়া আলমকে জানিয়েছেন ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নওসাবাহ্ নূর।

সাফল্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে জীবনকে উপভোগ করতে ভুলে গেছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। যুগটা প্রতিযোগিতার। অন্যদের তো বটেই, নিজেকেও ছাপিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ এখন নিজের সামনে।
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারলে সাফল্য মিলছে ঠিকই। তবে প্রশান্তি মিলছে না তাতেও। ক্রমাগত চাপে থাকাটা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। এমন চাপে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে।

মিলেনিয়াল অর্থাৎ ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁরা এখন ক্যারিয়ার কিংবা সংসারজীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছেন। অন্যদিকে জীবন গড়ার লড়াইয়ে আছেন জেন-জিরা। ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে তাঁদের জন্ম।
তবে জীবনকে সুন্দর করে তুলতে গিয়ে যে ধারায় জীবন যাপন করছেন এই দুই প্রজন্মের মানুষ, তাতেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি।

ঘুমহীন রাত
সুস্থতার অন্যতম প্রধান শর্ত রাতের ঘুম। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির রোজ সাত-নয় ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এই ঘুম হতে হবে নিরুদ্বেগ, প্রশান্তিদায়ক। কিন্তু পড়াশোনা, পেশাগত কাজ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময়যাপনসহ নানা কারণে রাত জাগেন মিলেনিয়াল ও জেন-জিরা। মানসিক চাপে থাকায় ঘুমের সমস্যায়ও ভোগেন অনেকে। সব মিলিয়েই বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি।

আরও যেসব কারণে ঝুঁকি বাড়ছে:

প্রক্রিয়াজাত ও পরিশোধিত (রিফাইনড) খাবার গ্রহণের প্রবণতা বেড়েছে এই দুই প্রজন্মের মানুষদের মধ্যে। এসব খাবার স্বাস্থ্যকর নয়। রান্নাবান্নার ঝামেলা এড়াতে প্রায়ই অনেকে বাইরের খাবার খেয়ে নেন। অথচ অনেক দোকানেই ব্যবহার করা হয় অস্বাস্থ্যকর তেল।

অনেকেই দীর্ঘ সময় বসে কাজ করেন। একটানা বসে থাকার অভ্যাসে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। তাই থাকতে হবে সচল।

ধূমপান ও মদ্যপানে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এমন এক সময় ছিল যখন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি, নারী বা শিশুরা সামনে থাকলে অনেকেই ধূমপান করতেন না। সামাজিক কারণেই কিছুটা সংযত থাকতেন তাঁরা। তবে এখন প্রকাশ্যেই ধূমপান চলে অনায়াস। ফলে বাড়ে ধূমপানের পরিমাণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি।

সুস্থ থাকতে
যেসব কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে, সেগুলোর বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে সবাইকেই। জীবনধারা হতে হবে স্বাস্থ্যকর। মনে রাখতে হবে, সাফল্যের চেয়ে সুখ বড়। তাই উপভোগ করুন জীবনটাকে।

উদ্ভিজ্জ খাবার গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিয়মমাফিক শরীরচর্চা করুন। যেকোনো কাজের মধ্যে বিরতি নিন। চেয়ার ছেড়ে উঠুন। সচল রাখুন নিজেকে।
সময় করে ঘুরতে যান। প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান, যতটা পারেন। নিয়মিত প্রিয়জনকে সময় দিন।
সম্পর্কের যত্ন নিন। আর অবশ্যই ঠিকঠাক ঘুমান।

♻️ Nature Version 3.0 পেইজটি আপনার জন্য উপকারী মনে হলে এখনই আপনার প্রিয়জনদের মাঝে ছড়িয়ে দিন!

⚜️নিজে ভালো থাকুন এবং অন্যকেও ভালো থাকতে সহযোগিতা করুন!

সকালে গরম পানি পানের ৭ উপকার 🙂সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা গরম পানি পান করা স্বাস্থ্য রক্ষার একটি প্রাচীন ও অত্যন্ত কার্...
18/11/2025

সকালে গরম পানি পানের ৭ উপকার 🙂

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা গরম পানি পান করা স্বাস্থ্য রক্ষার একটি প্রাচীন ও অত্যন্ত কার্যকর অভ্যাস। এটি শরীরের ভেতরের নানা প্রক্রিয়া সচল রাখে এবং সারাদিনের কর্মশক্তি জোগায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক, প্রতিদিন সকালে গরম পানি পানের ৭টি উপকার—

১. হজমশক্তি বাড়ায়
গরম পানি পাকস্থলীর পেশিকে শিথিল করে এবং খাবার হজমে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিক, অম্বল বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে এটি খুব উপকারী।

২. টক্সিন দূর করে
গরম পানি শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বাড়িয়ে ঘাম ও প্রস্রাবের মাধ্যমে টক্সিন বের করতে সহায়তা করে। এতে শরীর আরও সতেজ থাকে।

৩. ওজন কমাতে সহায়তা করে
গরম পানি শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়, যা অতিরিক্ত ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে। লেবু মিশিয়ে খেলে ফল আরও দ্রুত পাওয়া যায়।

৪. রক্তসঞ্চালন বাড়ায়
হালকা গরম পানি রক্তনালীগুলো প্রসারিত করে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। এতে হাত-পা ঠান্ডা হওয়া বা ঝিনঝিন করার সমস্যা কমে।

৫. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
সকালে খালি পেটে গরম পানি পান করলে অন্ত্র নরম হয় এবং মলত্যাগ স্বাভাবিক হয়। দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্যেও এটি কার্যকর।

৬. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
টক্সিন কমে গেলে ও শরীর হাইড্রেটেড থাকলে ত্বকে স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বলতা আসে। ব্রণ ও শুষ্কতার সমস্যাও কমে।

৭. নাক বন্ধ ও গলা ব্যথায় উপশম দেয়
গরম পানি কফ নরম করে শ্বাসনালীর বাধা দূর করতে সাহায্য করে। ঠান্ডা, কাশি বা গলা ব্যথার সময় এটি আরাম দেয়। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত পান করুন হালকা গরম পানি।

সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন

♻️ Nature Version 3.0 পেইজটি আপনার জন্য উপকারী মনে হলে এখনই আপনার প্রিয়জনদের মাঝে ছড়িয়ে দিন!

⚜️নিজে ভালো থাকুন এবং অন্যকেও ভালো থাকতে সহযোগিতা করুন!

শীতকালীন সুপারফুড ‘বেতো শাক’ খেলে যেসব উপকার পাবেনশীতকালে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এই সময়ে বাজারে পাওয়া যায় ...
17/11/2025

শীতকালীন সুপারফুড ‘বেতো শাক’ খেলে যেসব উপকার পাবেন

শীতকালে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এই সময়ে বাজারে পাওয়া যায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বেতো শাক। এটি বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, খনিজে ভরপুর। এ ছাড়াও এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন কে রয়েছে। এতে থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং ফোলেটের মতো বি-কমপ্লেক্স ভিটামিনও পাওয়া যায়। শীতকালে যারা হজমের সমস্যায় ভোগেন তারা এই শাক খেতে পারেন। এ ছাড়া শীতে মানুষের ওজন বাড়ার প্রবণতা দেখা দেয়, বেতো শাকে থাকা উপাদান ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এছাড়াও বেতো শাকের অন্যান্য গুণ রয়েছে।

হাড়ের সুস্থতা
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের উপস্থিতির কারণে এটি হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

হজমের উন্নতি
এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং হজম প্রক্রিয়া সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ আয়রনের একটি ভালো উৎস হওয়ায় এটি রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সহায়ক।
রক্ত পরিশোধন বেতো শাক রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।
ত্বক ও চুলের যত্ন এতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বেতো শাক জ্বর কমাতে, লিভার এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং ত্বকের কিছু সমস্যা নিরাময়েও কাজ করে।

গ্রামবাংলার আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় বেতো শাকের ঔষধি ব্যবহার রয়েছে। এই শাকের রস জ্বর কমানো, শরীরের ব্যথা নিরাময়, এবং বদহজমের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। বেতো শাকের পাতা চূর্ণ করে ক্ষতস্থানে লাগালে তা দ্রুত সেরে ওঠে। তাছাড়া বেতো শাক কিডনি ও লিভারের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়। কিডনির পাথর সমস্যায় এটি উপকারী হতে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়।
সুতরাং আপনার ডায়েটে যুক্ত করতে পারেন শীতকালীন এই সুপারফুড।

সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

♻️ Nature Version 3.0 পেইজটি আপনার জন্য উপকারী মনে হলে এখনই আপনার প্রিয়জনদের মাঝে ছড়িয়ে দিন!

⚜️নিজে ভালো থাকুন এবং অন্যকেও ভালো থাকতে সহযোগিতা করুন!

নিয়মিত চানাচুর খেয়ে শরীরের কী ক্ষতি করছেন, জানেন 🤔চানাচুর মুখরোচক স্ন্যাকস। তবে আদতে কি স্বাস্থ্যকর, নাকি এরও আছে ক্ষতিক...
15/11/2025

নিয়মিত চানাচুর খেয়ে শরীরের কী ক্ষতি করছেন, জানেন 🤔

চানাচুর মুখরোচক স্ন্যাকস। তবে আদতে কি স্বাস্থ্যকর, নাকি এরও আছে ক্ষতিকর দিক? এ সম্পর্কে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন রাফিয়া আলম।

চানাচুরে আছে ট্রান্সফ্যাট
চানাচুরে আছে ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট। যদিও চানাচুর দেখে বোঝা কঠিন যে এটি তৈরি করতে তেল ব্যবহার করা হয়েছে। অধিকাংশ চানাচুরই তেলে ডিপ ফ্রাই করে তৈরি করা হয়। একই তেল বারবার ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ চানাচুর তৈরির প্রক্রিয়াই এমন যে এতে ট্রান্সফ্যাট থাকে। চানাচুর খেলে তাই রক্তে খারাপ চর্বির মাত্রা বাড়তে পারে।

আরও আছে লবণ
প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। অথচ চানাচুরে বেশ খানিকটা লবণ থাকে। এ ধরনের খাবার, যাতে বাড়তি লবণ যোগ করা থাকে, সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলা আবশ্যক।

ক্যালরির হিসাব-নিকাশ
চানাচুর উচ্চ ক্যালরির খাবার। কারণ, এতে তেলের পরিমাণ বেশি। অল্প পরিমাণ চানাচুরেই অনেক ক্যালরি থাকে। তাই অল্প পরিমাণ চানাচুর খেলেও থাকে ওজন বাড়ার ঝুঁকি। কোনো কোনো চানাচুরে আবার স্বাদের বৈচিত্র্য আনতে চিনিও যোগ করা হয়ে থাকে। যেমন বারবিকিউ চানাচুর বা টক-ঝাল-মিষ্টি চানাচুর। চিনি যোগ করা চানাচুরে বাড়তি ক্যালরি যোগ করা হয়। চিনির কারণেও বাড়ে নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি।

ডাল, লবণ আর মসলায় আরও ঝুঁকি
চানাচুর তৈরি হয় ডাল থেকে। চানাচুর খেলে দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
যাঁদের দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ আছে কিংবা যাঁরা এ রোগের ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের জন্য অতিরিক্ত ডাল ও লবণ ক্ষতিকর। তাঁদের তাই চানাচুর এড়িয়ে চলা উচিত।
নানা রকম মসলা থাকায় চানাচুর খেয়ে অনেকে অ্যাসিডিটিতে ভোগেন।

কারা খাবেন, কারা খাবেন না
যেকোনো বয়সী মানুষের জন্যই আদতে চানাচুর ভালো খাবার নয়। পুষ্টিগত দিক থেকে এর কোনো উপকারিতাও নেই।
তবে একজন সুস্থ মানুষ কালেভদ্রে চানাচুর খেতে পারেন। সেটিও দু-তিন মাসের মধ্যে দুই থেকে একবারের বেশি নয়। অবশ্য শুধু চানাচুর খেতে গেলে কম পরিমাণে গ্রহণ করা কঠিন। এর আকারই এমন যে মুঠো করে খেয়ে নিতেই সুবিধা। তা ছাড়া সুস্বাদু চানাচুর খাওয়া শুরু করলে নিজেকে বিরত রাখাও কষ্টকর। অথচ মুঠো মুঠো চানাচুর খেলেই কিন্তু মুশকিল। বাড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

তাই কালেভদ্রে চানাচুর খেলেও খাবেন অল্প। মুড়ি, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, টমেটো, ধনেপাতা বা পুদিনাপাতার সঙ্গে মিশিয়ে নিন। কোনো খাবারের বিকল্প হিসেবে কখনোই চানাচুর খাবেন না। ধরা যাক, আপনি চানাচুর থেকে পাওয়া ক্যালরির ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভাত বা অন্য কোনো খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিলেন। তাতে ক্যালরির ভারসাম্য হবে ঠিকই, কিন্তু চানাচুরের ট্রান্সফ্যাট ও বাড়তি লবণের কারণে বাড়তি স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েই যাবে।

মনে রাখতে হবে, বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি কিংবা যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ বা পেপটিক আলসার ডিজিজে ভুগছেন কিংবা যাঁদের ইউরিক অ্যাসিড বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, কালেভদ্রে খাওয়া এই কম চানাচুরও তাঁদের এড়িয়ে চলা উচিত।

♻️ Nature Version 3.0 পেইজটি আপনার জন্য উপকারী মনে হলে এখনই আপনার প্রিয়জনদের মাঝে ছড়িয়ে দিন!

⚜️নিজে ভালো থাকুন এবং অন্যকেও ভালো থাকতে সহযোগিতা করুন!

ঠিকমতো ভিটামিন ডি পেতে কখন, কীভাবে ও কতটুকু রোদ লাগাতে হবে 🤔এ কথা আমরা জানি যে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। কি...
06/11/2025

ঠিকমতো ভিটামিন ডি পেতে কখন, কীভাবে ও কতটুকু রোদ লাগাতে হবে 🤔

এ কথা আমরা জানি যে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকে জানতে চান, কখন রোদে থাকতে হবে, কীভাবে ও কতটুকু রোদ লাগাতে হবে। অনেকে জানতে চান, সপ্তাহের ছয় দিন রোদে গেলে কি সারা বছরের জন্য ডি সঞ্চয় হয়ে যাবে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানার আগে চলুন জেনে নিই ভিটামিন ডি কী।

ভিটামিন ডি
এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন, যা রক্তের ক্যালসিয়াম শোষণ করে পরিমাণ ঠিক রাখে। পেশি দৃঢ় করে, হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে, সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ও কিছু বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। রোদ থেকে পাওয়া ভিটামিনের আরেক নাম সানশাইন ভিটামিন। কারণ, সূর্যের আলো থেকে আমরা ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি পেয়ে থাকি। সূর্যের আলো যখন আমাদের ত্বকে লাগে, তখন ত্বকে জমে থাকা কোলেস্টেরল থেকে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। এরপর এটি রক্তে মিশে লিভার ও কিডনিতে গিয়ে সক্রিয় ভিটামিন ডি হয় বা বলা যায়, আরও শক্তিশালী হয়।

ভিটামিন ডি কমে গেলে কী সমস্যা হয়
সারা বিশ্বেই এখন ভিটামিন ডির ঘাটতি একটি বড় সমস্যা। শিশুদের রিকেটস রোগ বা হাড় বাঁকা হয়ে যাওয়ার একটি কারণ ভিটামিন ডির অভাব। বড়দের ভিটামিন ডির অভাব হলে অস্টিওপরোসিস, অস্টিওম্যালাসিয়া, হার্টের সমস্যা, ক্যানসারসহ রোগ প্রতিরোধ কমে যায়। যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন, তাঁদের ভিটামিন ডি কম থাকলে রোগ সারতে সময় লাগে।

কোন সময়ের রোদ ভালো
বাইরে বের হয়ে যখন দেখবেন, আপনার ছায়া আপনার তুলনায় ছোট, সেই সময়ের রোদ ভিটামিন ডি তৈরির জন্য সবচেয়ে ভালো। অর্থাৎ সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন ১০ থেকে ৩০ মিনিট সারা গায়ে রোদ লাগাতে হবে।

সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়; কিন্তু অনেকে জানতে চান, কখন রোদে থাকতে হবে, কীভাবে ও কতটুকু রোদ লাগাতে হবেছবি: পেক্সেলস
এ কথা আমরা জানি যে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকে জানতে চান, কখন রোদে থাকতে হবে, কীভাবে ও কতটুকু রোদ লাগাতে হবে। অনেকে জানতে চান, সপ্তাহের ছয় দিন রোদে গেলে কি সারা বছরের জন্য ডি সঞ্চয় হয়ে যাবে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানার আগে চলুন জেনে নিই ভিটামিন ডি কী।

ভিটামিন ডি কমে গেলে কী সমস্যা হয়
সারা বিশ্বেই এখন ভিটামিন ডির ঘাটতি একটি বড় সমস্যা। শিশুদের রিকেটস রোগ বা হাড় বাঁকা হয়ে যাওয়ার একটি কারণ ভিটামিন ডির অভাব। বড়দের ভিটামিন ডির অভাব হলে অস্টিওপরোসিস, অস্টিওম্যালাসিয়া, হার্টের সমস্যা, ক্যানসারসহ রোগ প্রতিরোধ কমে যায়। যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন, তাঁদের ভিটামিন ডি কম থাকলে রোগ সারতে সময় লাগে।

শরীরের রঙের সঙ্গে ভিটামিন ডি তৈরির সম্পর্ক কী
আমাদের ত্বকের রং নির্ভর করে মেলানিন নামক একধরনের রঞ্জক পদার্থের ওপর। মেলানিন বেশি হলে শরীরের রং কালো বা শ্যামবর্ণ হয়। মেলানিন ভিটামিন ডি ত্বকে শোষণ করতে বাধা দেয়। তাই যাঁদের রং একটু চাপা, তাঁদের অন্তত ৩০ মিনিট রোদে থাকতে হবে। ত্বকের রং ফরসা হলে ১০ থেকে ২০ মিনিট রোদ লাগালেই যথেষ্ট। শিশু ও বয়স্কদের ভিটামিন ডি একটু বেশি প্রয়োজন হয়, তাই তাদের একটু বেশি সময় রোদে থাকতে হবে। পোশাক বা সানস্ক্রিন ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরিতে বাধা দেয়। তাই মাঝেমধ্যে সানস্ক্রিন ছাড়াই বের হতে হবে। বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন হাত, পা ও শরীরের কিছু অংশ যেন রোদের সংস্পর্শে আসে।

ছয় দিন রোদে থাকলে কি সারা বছরের ডি সঞ্চয় হবে
সূর্য থেকে পাওয়া ভিটামিন ডির কিছু অংশ চর্বি কোষে সংরক্ষণ করে রাখে। তবে এই সঞ্চয় সারা বছর ধরে শরীরের দৈনিক চাহিদা মেটাতে পারে না। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন অল্প সময়ের জন্য রোদ লাগালে ও খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে সারা বছর সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
কিছু সময় গায়ে রোদ মাখলে ভিটামিন ডির অভাব যেমন দূর হবে, তেমনি মনও ভালো থাকবে। তারপরও ভিটামিন ডির অভাব হলে চিকিত্সকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত।

-ডা. আফলাতুন আকতার জাহান জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা।

যে ৭টি বিষয়কে খারাপ মনে হলেও আসলে শরীরের জন্য ভালোস্বাস্থ্য নিয়ে ভুল ধারণার শেষ নেই। কেউ ভাবে কফি মানেই ঘুমের শত্রু, কেউ...
04/11/2025

যে ৭টি বিষয়কে খারাপ মনে হলেও আসলে শরীরের জন্য ভালো
স্বাস্থ্য নিয়ে ভুল ধারণার শেষ নেই। কেউ ভাবে কফি মানেই ঘুমের শত্রু, কেউ আবার বিশ্বাস করে ঘি খেলেই ওজন বাড়ে। কিন্তু যেসব বিষয়কে ‘অস্বাস্থ্যকর’ মনে করা হয়, সেগুলোর কিছু ভালো দিকও আছে। বিজ্ঞান ও সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে—অনেক কিছুকেই আমরা অযথা ভয় পাই। চলুন দেখে নিই এমন সাতটি জিনিস, যেগুলোকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভুলভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ভেবে এসেছি।

১. আলু
আলুর মতো সুস্বাদু খাবার কমই আছে। এটিকে অনেকেই অস্বাস্থ্যকর ভাবে। সমস্যা শুরু হয় তখন, যখন আলুকে গভীর তেলে ভেজে লবণ ছিটিয়ে খাওয়া হয়। এই আলুই তখন জাংক ফুডে পরিণত হয়। কিন্তু সেদ্ধ বা বেক করা আলু? একেবারে পুষ্টিতে ভরা খাবার। গবেষণায় দেখা গেছে, আলু হচ্ছে সবচেয়ে সতেজ রাখা ও তৃপ্তি দেওয়া খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। মাত্র ১০০ গ্রাম বেক করা আলুতে থাকে প্রায় ৯৩ ক্যালরি। যা খেলে পেট ভরে যায়, কিন্তু পরিমিত খেলে ওজন বাড়ে না। আর দাম? সবচেয়ে সাশ্রয়ী!

২. পপকর্ন
পপকর্ন শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সিনেমা হলের বিশাল বাক্স, তেল আর অতিরিক্ত লবণ দেওয়া ভুট্টা। অনেকেই বলে, এটি অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু সত্যি হলো, এয়ার-পপড পপকর্ন কিছুটা স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, যদি এটি বাতাসে ফোলানো হয় ও হালকা মসলায় মেশানো হয়, তবে পপকর্ন একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। এটি শস্যদানা। উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার। হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়।
সিনেমা হলের পপকর্নে থাকতে পারে ১ হাজার ৯০ ক্যালরি আর ২ হাজার ৬৫০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম। বাসায় বানালে পুষ্টিকরও হবে, পকেটের টাকাও বাঁচবে।

৩. চর্বিযুক্ত খাবার
সব চর্বি খারাপ নয়। হার্ভার্ড হেলথ অনুযায়ী, ভালো চর্বি হলো মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। পাবেন বাদাম, মাছ, বীজ, জলপাই তেলে। খারাপ চর্বি হলো ট্রান্স ফ্যাট, যা প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যেটা ঘরে জমে যায়, মাঝেমধ্যে খাওয়া যেতে পারে, তবে দৈনিক ক্যালরির ১০ শতাংশের বেশি নয়।
৪. চকলেট
সব চকলেট খারাপ নয়। ডার্ক চকলেট অর্থাৎ ৭০ শতাংশ কোকো বা তার বেশি অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, মন ভালো রাখে এবং হালকা মুড বুস্টার হিসেবেও কাজ করে।

৫. কিছু না করা
আজকাল সবাই ‘ব্যস্ত’। কিন্তু মাঝেমধ্যে কিছু না করা, এটাই হয়তো আপনার শরীর ও মনের জন্য সবচেয়ে দরকারি কাজ। চুপচাপ বসে থাকা, কোনো পরিকল্পনা না থাকা, শুধু নিশ্বাস নেওয়া এই ‘কিছু না করাই’ আসলে একধরনের বিশ্রাম। এ সময়টা আপনি ধ্যান বা মেডিটেশনে কাজে লাগাতে পারেন। নিয়মিত ধ্যান করলে মানসিক চাপ কমে, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে থাকে, মনোযোগ বাড়ে এবং আসক্তি কমে। তাই মাঝেমধ্যে একটু থেমে যান। কিছু করবেন না, এটাই কাজ।

৬. ময়লা হওয়া (বিশেষ করে শিশুদের জন্য)
সাধারণত শিশুদের দেখলেই যে কথাগুলো বলে থাকি আমরা—
‘দৌড়াবে না।’
‘মাটি ধরবে না।’
‘দোলনায় চড়বে না!’
আর ময়লা হওয়া, সেটা তো একেবারেই হওয়া যাবে না!
কিন্তু বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যে জীবাণুগুলো আসলে আমাদের অসুস্থ করে না, বরং শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে “প্রশিক্ষিত” করে, তারাই গুরুত্বপূর্ণ।’ এই ‘বন্ধুর মতো জীবাণুগুলো’ মাটির সঙ্গে আসে, প্রকৃতিতে মিশে থাকে, আর আমাদের শরীরকে শেখায় অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া না দেখাতে।
শহুরে জীবনে শিশুরা কিন্তু এই সুযোগ পায় না। ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা অতি সংবেদনশীল হয়ে যাচ্ছে। তাই সন্তানদের খেলতে দিন, মাটিতে গড়াগড়ি খেতে দিন। এক আধটু ময়লা হলে তাদের শরীরের জন্যই ভালো

৭. একঘেয়েমি বা ‘বোর’ লাগা
আলফা প্রজন্মকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, আজকাল বোর হওয়া একরকম অপরাধই। সব সময় কিছু না কিছু করতে হয়, ভিডিও দেখা, ফোন স্ক্রল করা বা অন্য কিছু করা। কিন্তু মাঝেমধ্যে ‘বোর’ হওয়া ভালো। এ সময়ই মস্তিষ্কে নতুন নতুন চিন্তা আসে, সমস্যার সমাধানও পাওয়া যায়। কথায় আছে না, ‘গোসলের সময় বুদ্ধি আসে!’
সূত্র: মিডিয়াম

গর্ভবতী নারীদের জন্য যে কারণে বিড়াল  বিপদজনক 😒ঘরের পোষা আদুরে বিড়ালটি গর্ভবতী নারী এবং নবজাতকের জন্য বিপদজনক হতে পারে। ক...
03/11/2025

গর্ভবতী নারীদের জন্য যে কারণে বিড়াল বিপদজনক 😒
ঘরের পোষা আদুরে বিড়ালটি গর্ভবতী নারী এবং নবজাতকের জন্য বিপদজনক হতে পারে। কারণ বিড়াল টক্সোপ্লাজমা নামে পরজীবী বহন করে। আদুরে বিড়ালকে ঘর থেকে তাড়িয়ে না দিয়ে গর্ভকালীন সুরক্ষা কীভাবে বজায় রাখবেন?
ইঁদুর অথবা পাখি শিকার করে খাওয়ার সময় টক্সোপ্লাজমা পরজীবীটি দ্বারা বিড়াল সংক্রমতি হতে পারে। এরপর তা তাদের মলের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। বিড়ালের মল পরিষ্কার করতে গিয়ে একজন গর্ভবতী মা সংক্রমিত হতে পারেন। গর্ভকালীন টক্সোপ্লাজমোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ফলে গর্ভপাতের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। কিংবা পরবর্তীতে শিশুর জীবনে অন্ধত্ব বা মানসিক প্রতিবন্ধিতার মতো গভীর উপসর্গ ডেকে আনতে পারে।

নিরাপদ থাকতে করণীয়
এক. বিড়ালের মলত্যাগের স্থান পরিষ্কারের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিয়ে দিন। অথবা দস্তানা ব্যবহার করুন এবং হাত ধুয়ে নিন।

দুই. বিড়ালকে শুধুমাত্র শুকনো বা টিনজাত খাবার খাওয়ান। কাঁচা মাংস খাওয়াবেন না।

তিন. বাগানে কাজ করার পরে হাত ধুয়ে ফেলুন।

চার. সবজি ও ফল ভালো করে ধুয়ে নিন। চামড়া ছিলে রান্না করুন।

পাঁচ. রাস্তার বিড়াল থেকে দূরে থাকুন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে

বুকে ব্যথা না থাকলেও যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাকে 😒বুকে তীব্র ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম উপসর্গ। তবে কোনো...
21/10/2025

বুকে ব্যথা না থাকলেও যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাকে 😒

বুকে তীব্র ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম উপসর্গ। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যথা ছাড়াও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এমন অনেক উপসর্গই আছে, যেসবকে ঠিক হৃদ্‌রোগের উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন না অনেকে। তাই জটিলতার ঝুঁকি বাড়ে। এ বিষয়ে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফরহাদ উদ্দিন হাসান চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন রাফিয়া আলম।

ভিন্ন কিছু উপসর্গ
অত্যধিক ক্লান্তি বা অবসন্নতাকে খুব সাধারণ উপসর্গ হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। তবে এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাকেও।
তাই খুব ক্লান্ত বা অবসন্ন হয়ে পড়ার অন্য কোনো কারণ না থাকলে এ ধরনের উপসর্গকে একদম অবহেলা করবেন না। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠলে বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অন্য কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ খুব ঘাম হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের সময়।
হার্ট অ্যাটাক হলে পেটের ওপরের অংশে ব্যথা হয় অনেকের। এই ব্যথাকে সাধারণভাবে গ্যাসের ব্যথা ধরে নেওয়ার ভুল করেন অনেকেই।
পেটের ওপরের অংশে মাঝারি বা হালকা ধরনের ব্যথা হলে গ্যাসের ওষুধ খেয়ে দেখতে পারেন। তাতে উন্নতি না হলে হাসপাতালে যান। ব্যথার তীব্রতা বেশি হলে শুরুতেই হাসপাতালে যেতে হবে।
বাহু, কাঁধ, হাত, চোয়াল বা পিঠের দিকেও ব্যথা হতে পারে কারও কারও। মাথা হালকা হয়ে গেছে বলে মনে হতে পারে।

না বুঝলে বাড়বে বিপদ
হৃৎপিণ্ড সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে। তবে হৃৎপিণ্ডের নিজেরও তো রক্তের প্রয়োজন। সেই রক্ত হৃৎপিণ্ডে পৌঁছায় কিছু নির্দিষ্ট ধমনির মাধ্যমে। একজন ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হওয়ার অর্থ হলো তাঁর এসব ধমনির মধ্যে কোনো এক বা একাধিক ধমনির রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ওই ধমনি হৃৎপিণ্ডের যে নির্দিষ্ট জায়গায় রক্ত পৌঁছে দিত, সেই জায়গা তখন অক্সিজেনের অভাবে ভুগছে। তাই ওই অংশের স্বাভাবিক কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসা করানো না হলে হৃৎপিণ্ডের ওই অংশ আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। ফলে হৃৎপিণ্ড আর আগের মতো ঠিকঠাক কাজ করতে পারে না।
এভাবে একসময় হৃৎপিণ্ড বিকল হতে পারে। হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক ছন্দেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। রক্তচাপ বিপজ্জনক পর্যায়ে নেমে যেতে পারে। রোগী জ্ঞান হারাতে পারেন। এমনকি হতে পারে মৃত্যুও।

খেয়াল রাখুন
অস্বাভাবিক ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে। তবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তের সুগার কমে গেলে অর্থাৎ হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলেও ঘাম হতে পারে। তাই তাঁদের ক্ষেত্রে প্রথমে জরুরি ভিত্তিতে সুগার মেপে দেখতে হবে।
সুগার কমে গিয়ে থাকলে চিনি মেশানো পানি খাইয়ে দিতে হবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে। তবে তারপরও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, তাঁর ডায়াবেটিসের ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করার প্রয়োজনও হতে পারে।

প্রোস্টেট ক্যানসারের উপসর্গগুলো আপনার জানা আছে কি 🤔সেপ্টেম্বর মাস প্রোস্টেট ক্যানসার–সচেতনতার মাস হিসেবে বিশ্বজুড়ে স্বীক...
19/09/2025

প্রোস্টেট ক্যানসারের উপসর্গগুলো আপনার জানা আছে কি 🤔

সেপ্টেম্বর মাস প্রোস্টেট ক্যানসার–সচেতনতার মাস হিসেবে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। প্রোস্টেট ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে চিকিৎসায় সাফল্য আসার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই সচেতন হওয়া প্রয়োজন প্রত্যেকেরই। বিশেষত বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষ সদস্যকে এ বিষয়ে সচেতন করে তোলা জরুরি।
ডা. অরুনাংশু দাসকনসালট্যান্ট, স্কয়ার ক্যানসার সেন্টার, ঢাকা।

বয়সটাই যখন ঝুঁকি
বয়স বাড়লে, অর্থাৎ বয়স ৫০ বছর পেরোলেই প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। তাই দেশে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষের সংখ্যাও আগের চেয়ে বেশি। এই বিপুলসংখ্যক পুরুষের প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি তরুণদের তুলনায় অনেক বেশি।

জীবনযাত্রার ধরনে বাড়ে আরও ঝুঁকি
জীবনযাত্রার আধুনিকায়ন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার এবং লাল মাংস খাওয়ার অভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত ঘুমের কারণে প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। নগরভিত্তিক ব্যস্ত জীবনে মানুষ যানবাহন এবং নানা ধরনের যন্ত্রের প্রতি অনেক বেশি নির্ভরশীল। প্রক্রিয়াজাত খাবারও সহজলভ্য আধুনিক শহুরে জীবনে। এসবই প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

যা করা প্রয়োজন
৫০ বছর বয়স পেরোলে সব পুরুষেরই নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে। পরিবারের কারও প্রোস্টেট ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে আরও কম বয়স থেকেই সচেতন হয়ে ওঠা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন কম বয়স থেকেই।
নিয়মিত ব্যায়ামও করতে হবে তারুণ্যের দিনগুলো থেকে।
ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা আবশ্যক।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যেকোনো বয়সেই নিজের দেহে কোনো অস্বাভাবিকতালক্ষ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।
বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষ সদস্যকে নিজের সমস্যার কথা জানাতে বলুন নিঃসংকোচে।

উপসর্গগুলো জানা থাক:
প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত বহু রোগীরই প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো উপসর্গ থাকে না। তবে কিছু সাধারণ পরিবর্তন দেখা দিতে পারে—
প্রস্রাবের শুরুতে কষ্ট হওয়া।
প্রস্রাবের প্রবাহ ক্ষীণ হয়ে যাওয়া।
বারবার প্রস্রাবের বেগ, বিশেষত রাতে।
প্রস্রাব করতে গিয়ে মাঝপথে আপনা–আপনি প্রস্রাবের গতি বন্ধ হয়ে যাওয়া।
প্রস্রাবের শেষেও ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব ঝরা।
অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষই এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। বয়সের সঙ্গে প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়ার কারণে এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই ভয় পাবেন না।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে, সমস্যাগুলো কি প্রোস্টেট গ্রন্থি বয়সজনিত কারণে বড় হয়ে যাওয়ায় হয়েছে, নাকি এসবের জন্য দায়ী প্রোস্টেট ক্যানসার।

প্রাথমিক ধাপের পরের উপসর্গ:
ক্যানসার প্রাথমিক ধাপ পেরিয়ে গেলে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়, সেসবও জেনে রাখা উচিত—
প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
বীর্যে রক্ত যাওয়া।
প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া করা।
তলপেটের নিচের অংশে বা কোমরে ব্যথা।
ওজন হ্রাস ও ক্ষুধামান্দ্য।
অস্বাভাবিক দুর্বলতা বা অবসাদ।
হাড়ে ব্যথা (যদি হাড়ে ছড়িয়ে যায়)।
শ্বাসকষ্ট (যদি ফুসফুসে ছড়িয়ে যায়)।

শেষ কথা
বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। জীবন হয়ে উঠছে আধুনিক। ফলে বাড়ছে প্রোস্টেট ক্যানসারের হার। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়লে চিকিৎসাপদ্ধতি সহজ। নিরাময়ের সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই এই ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা আবশ্যক।

জরায়ুমুখের ক্যানসার কেন হয়, কারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন এবং প্রতিরোধে করণীয় 🤔বিশ্বে নারীদের যত ক্যানসার হয়, তার মধ্যে চতুর্থ ...
28/08/2025

জরায়ুমুখের ক্যানসার কেন হয়, কারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন এবং প্রতিরোধে করণীয় 🤔

বিশ্বে নারীদের যত ক্যানসার হয়, তার মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে জরায়ুমুখের ক্যানসার। সামান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা সম্ভব।

বিশ্বে নারীদের যত ক্যানসার হয়, তার মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে জরায়ুমুখের ক্যানসার। শহর ও গ্রামে যেকোনো স্থানে সামান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা গেলে প্রাণঘাতী এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায়।

প্রাথমিক পর্যায় থেকে জরায়ুমুখে পূর্ণ ক্যানসার রূপান্তরিত হতে ১০ থেকে ১২ বছর সময় লাগে। তাই চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। এই ক্যানসার সাধারণত নারীদের জীবনের দুটি পর্যায়ে হতে পারে। প্রথম পর্যায় ৩৫ থেকে ৩৯ বছর। আর দ্বিতীয় পর্যায় ৬০ থেকে ৬৯ বছর।

লক্ষণ কী, কারা ঝুঁকিতে
দুর্গন্ধযুক্ত ঋতুস্রাব, অনিয়মিত মাসিক, সহবাসের সময় রক্তপাত, মেনোপজ (রজঃনিবৃত্তি) হওয়ার পর রক্ত যাওয়া, তলপেটে ব্যথা ইত্যাদি জরায়ুমুখের ক্যানসারের প্রধান লক্ষণ।

যাঁরা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে খাচ্ছেন, অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে, কম বয়সে সন্তান নিয়েছেন, ঘন ঘন ও পাঁচটির বেশি সন্তান জন্মদান করেছেন, বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক ইত্যাদি করছেন, তাঁরা জরায়ুমুখের ক্যানসারের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করণীয়
জরায়ুমুখের ক্যানসারের চিকিৎসা নির্ভর করে রোগটি কোন পর্যায়ে রয়েছে, তার ওপর। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথমে সার্জারি, পরে রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি নিতে হবে।

উচ্চতর পর্যায়ে প্রথমে সিসিআরটি কেমোরেডি ও রেডিওথেরাপির প্রয়োজন হয়। অনেক সময় কেমোথেরাপির পর সার্জারিও করা হয়।

রেডিওথেরাপি দুই ধরনের—

ইবিআরটি বা পেটের ওপর বাইরে থেকে

আইসিআরটি বা জরায়ুর ভেতরে রেডিওথেরাপি

এই ক্যানসার প্রতিরোধের তিনটি পর্যায় রয়েছে—

প্রাইমারি প্রতিরোধ

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের টিকা ৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সী সব সুস্থ মেয়ে ও নারীর জন্য। এই টিকা নিলে এই ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সেকেন্ডারি প্রতিরোধ

সব সুস্থ নারীর ৩০ বছর বয়স থেকে স্ক্রিনিং করা।

টারশিয়ারি প্রতিরোধ

ক্যানসার নির্ণয়ের পর যথাযথ চিকিৎসা করা, দুর্ভোগ কমানো, সুস্থ ও সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করা।

ডা. পবিনা আফরোজ পারভীন: স্ত্রীরোগ, প্রসূতি, নারীদের ক্যানসার ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন, কনসালট্যান্ট, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা।

দিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক 🤔৩৫ বছর বয়সী এক চাকরিজীবী নারীর কথা ভাবা যাক। ধরা যাক, কর্মক্ষেত্রের ওয়াশরুম নিয়ে কিছ...
28/07/2025

দিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক 🤔

৩৫ বছর বয়সী এক চাকরিজীবী নারীর কথা ভাবা যাক। ধরা যাক, কর্মক্ষেত্রের ওয়াশরুম নিয়ে কিছুটা খুঁতখুঁতে স্বভাব তাঁর। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একবার প্রস্রাব করেছিলেন। সারা দিনে পানিও খুব কম খেয়েছিলেন। এরপরই বাধল বিপত্তি। তলপেটে ব্যথা শুরু হলো আর অস্বস্তিকর একটা অনুভূতি। প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হচ্ছিল খুব। কাঁপুনি দিয়ে জ্বরও এল। প্রস্রাবে সংক্রমণ হওয়ায় সেই সময় বেশ ভুগেছিলেন তিনি। ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একবার প্রস্রাব হওয়া যে অস্বাভাবিক, তা অনেকেরই জানা। তবে এক দিন বা ২৪ ঘণ্টায় অন্তত কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক, তা জানেন কি?

আমাদের দেহে নানান ক্রিয়া–বিক্রিয়া চলতে থাকে। সেসবের জন্য পানি প্রয়োজন। এমনকি দেহের কোষের গড়ন ঠিক রাখতেও পরিমাণমতো পানি প্রয়োজন। দেহের নানাবিধ ক্রিয়া–বিক্রিয়া শেষে যে ক্ষতিকর বর্জ্য তৈরি হয়, তা দেহ থেকে বেরিয়ে যায় প্রস্রাবের মাধ্যমে। প্রস্রাব কম পরিমাণে তৈরি হলে এই বর্জ্য জমা হতে থাকে আমাদের দেহে। আর এই বিষাক্ত বর্জ্যের প্রভাব বেশ মারাত্মক। আবার প্রস্রাব তৈরি হওয়ার পর যদি তা চেপে রাখা হয়, তাহলে জীবাণু সংক্রমণসহ অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।

একজন সুস্থ ব্যক্তিকে রোজ অন্তত দুই লিটার পানি পান করতেই হবে। তবে অনেকের এর বেশি পানিও প্রয়োজন হয়। যেমন কায়িক শ্রম বেশি হলে কিংবা খুব ঘাম হলে পানির চাহিদা বাড়ে। অর্থাৎ পানি পান করতে হবে দেহের প্রয়োজন বুঝে। তৃষ্ণা পেলে তো অবশ্যই পানি পান করতে হবে। প্রস্রাব করার সময় এর রং ও পরিমাণও খেয়াল করতে হবে। প্রস্রাব গাঢ় রঙের হলে বা পরিমাণে কম হলে পানির পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রস্রাবের স্বাভাবিক রং হলো খড়ের মতো, তবে তা বেশ হালকা একটি রং।

ন্যূনতম কতবার প্রস্রাব হওয়া প্রয়োজন
২৪ ঘণ্টায় অন্তত চারবার প্রস্রাব হওয়া প্রয়োজন। এর কম হলে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। পানিশূন্যতা, কিডনির কিছু রোগ, মূত্রনালির পাথর কিংবা রক্তচাপ খুব বেশি কমে যাওয়ার মতো কিছু কারণে প্রস্রাব কমে যায়। তা ছাড়া কিছু ওষুধ সেবনের কারণেও প্রস্রাব কমতে পারে। পানি ও অন্যান্য তরল খাবার খেয়ে বিষয়টির সমাধান না হলে কিংবা এর সঙ্গে অন্য কোনো উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন, পাতলা পায়খানার মতো সাদামাটা সমস্যায়ও রক্তচাপ কমে গিয়ে প্রস্রাবের পরিমাণ খুব কমে যেতে পারে। এমনকি এ সমস্যার কারণে কারও মৃত্যুও হতে পারে। বুঝতেই পারছেন, প্রস্রাব কমে যাওয়াকে অবহেলা করতে নেই।

কতটা বেশি হলে অস্বাভাবিক
২৪ ঘণ্টায় আটবারের বেশি প্রস্রাব হলে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে হবে। চা, কফি, চকলেট, মিষ্টি পানীয় প্রভৃতির পরিমাণ কমিয়ে দিন। এসব খাবার ও পানীয়ের কারণে প্রস্রাব বেশি হতে পারে। তবে বারবার অল্প পরিমাণ প্রস্রাব হওয়া সংক্রমণের লক্ষণও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য কতবার প্রস্রাব হচ্ছে, তার চেয়ে জরুরি বিষয় হলো সংক্রমণের আনুষঙ্গিক উপসর্গ থাকা। বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষের ক্ষেত্রে প্রোস্টেটের আকার বেড়ে যাওয়ার কারণেও বারবার প্রস্রাব হতে পারে। গর্ভাবস্থায় একজন নারীরও বারবার প্রস্রাব হতে পারে। কারণ, জরায়ুর আকার বড় হলে তা মূত্রথলিতে চাপ দেয়। ফলে বারবার প্রস্রাব পায়। এর সঙ্গে যদি অন্য কোনো উপসর্গ না থাকে, তাহলে এটি স্বাভাবিক।
যে কারও প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণ হতে পারে ডায়াবেটিস। কিডনির কিছু সমস্যায়ও প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ে। রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়লেও এমনটা হতে পারে। তাই কেবল খাবার ও পানীয় গ্রহণের অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করে যদি বিষয়টার সমাধান না হয় কিংবা এর সঙ্গে থাকে অন্য কোনো উপসর্গ, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

-ডা. মো. মতলেবুর রহমান
সহযোগী অধ্যাপক (মেডিসিন বিভাগ)
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।

Address

Dhaka

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801717983697

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nature Version 3.0 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Nature Version 3.0:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram