Dr. Psych

Dr. Psych A mental health service provider company promoting wellbeing and guidance to a more fulfilling life.

Dr. Psych is wishing everyone "RAMADAN MUBARAK"May the guidance of all and the blessings of Allah be with you and your f...
12/03/2024

Dr. Psych is wishing everyone "RAMADAN MUBARAK"

May the guidance of all and the blessings of Allah be with you and your family.
"RAMADAN MUBARAK" everyone
Dr. Psych

আমাদের শরীর আর মন কিন্তু একই সাথে কাজ করে।শরীর খারাপ থাকলে মনটা ভালো লাগে না তেমনি মন খারাপ হলে শরীরও আস্তে আস্তে দুর্বল...
03/01/2024

আমাদের শরীর আর মন কিন্তু একই সাথে কাজ করে।
শরীর খারাপ থাকলে মনটা ভালো লাগে না তেমনি মন খারাপ হলে শরীরও আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যেতে থাকে।
শরীর ও মন উভয়েরই প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা।

আন্তর্জাতিক মন ও শরীরের সুস্থতা দিবস আজ,
আসুন নিজের যত্নে আরো বেশি সচেতন হয়ে উঠি।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা,শুভ হোক আগামীর পথচলা -সাথে আছি আমরা, সবসময় যেকোনো সময়।
01/01/2024

নতুন বছরের শুভেচ্ছা,
শুভ হোক আগামীর পথচলা -
সাথে আছি আমরা, সবসময় যেকোনো সময়।

এখনকার সময়ে অনেককে প্রায়শই বলতে শোনা যায়।সে/ তারা নাকি ডিপ্রেশনে আছে বা ডিপ্রেসড আছে।আচ্ছা এই ডিপ্রেশন কি?📌 ডিপ্রেশন ...
28/10/2023

এখনকার সময়ে অনেককে প্রায়শই বলতে শোনা যায়।
সে/ তারা নাকি ডিপ্রেশনে আছে বা ডিপ্রেসড আছে।
আচ্ছা এই ডিপ্রেশন কি?

📌 ডিপ্রেশন হলো বিষণ্ণতা, বিষণ্ণতা সবচেয়ে সাধারণ ধরনের মানসিক স্বাস্থ্যগত একটি অবস্থা। বিষণ্ণতা হালকা ও স্বল্পস্থায়ী বা গুরুতর ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। কিছু মানুষ শুধু একবার বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়, তবে অন্যরা এটি একাধিকবার অনুভব করতে পারে।

বিষণ্ণতা হলো এক ধরনের মন খারাপ অবস্থা। তবে এটি সাধারণ মন খারাপের মত স্বল্পস্থায়ী নয়। বিষণ্ণতা দীর্ঘস্থায়ী একটি সমস্যা। দৈনন্দিন জীবনে অনেক কারণেই বিষণ্ণতা দেখা দিতে পারে কিন্তু সেটা যদি খুব অল্প সময়ের জন্য হয়ে থাকে তাহলে আমরা সেটি ডিপ্রেশন বলবো না। কারণ ডিপ্রেশন হলো একটি সামগ্রিক দীর্ঘমেয়াদি মানসিক অবস্থাকে বোঝায়। কমপক্ষে ২ সপ্তাহ ধরে মানসিক অস্থিতিশীলতা দেখা দিলে এবং বিষন্নতায় ভোগার লক্ষণগুলো দেখা দিলে সেক্ষেত্রে আমরা ধরে নিতে পারি সেটি ডিপ্রেশন।

📌 ডিপ্রেশন কেন হয়?

সাধারণত কোনো বিষয় আমাদের খারাপ লাগা থেকে ডিপ্রেশন শুরু হয়। যেমন: পরীক্ষায় খারাপ করলে আমাদের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। সেটা অনেকের ক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ঠিক হতে অনেকটা সময় লাগে। একবার পরীক্ষায় খারাপ করলে তাদের মনে হতে থাকে যে তারা আর কখনোই ভালো করবে না। এভাবে তাদের মধ্যে হীনমন্যতা কাজ করে। তারা নিজেদেরকে ছোট মনে করতে থাকে। একটা সাধারণ ঘটনা তাদের মনে এতটাও প্রভাব ফেলে যে তারা সেটি থেকে বের হয়ে আসতে পারে না।

ডিপ্রেশন এর লক্ষণ কি কি?

১. দিনের বেশিরভাগ সময়েই হতাশায় নিমজ্জিত থাকা।

২. প্রায় সব কাজেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।

৩. চোখে পড়ার মতো ওজন বাড়া বা কমে যাওয়া।

৪. অতিরিক্ত ঘুমানো কিংবা একদমই ঘুমাতে না পারা।

৫. চিন্তা-ভাবনা বা চলাচলে গতি ধীর হয়ে যাওয়া।

৬. প্রায় দিনই ক্লান্তি অনুভব করা।

৭. নিজেকে মূল্যহীন লাগা বা অপরাধবোধে ভোগা।

৮. মনোযোগ হারিয়ে ফেলা বা সিদ্ধান্তহীনতায় থাকা।

৯. বারবার মৃত্যু বা আত্মহত্যার কথা ভাবা।

১০. নিজের পছন্দের কাজগুলো করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।

📌 ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় কি?

১. ব্যায়াম করা।

২. নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমনো।

৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা।

৪. ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ভালো করে জানা।

৫. নিজেকে সময় দেওয়া। অর্থাৎ নিজের পছন্দের কাজগুলো করার চেষ্টা করা।

তানিশার স্বপ্ন সে অনেক বড় একজন নৃত্যশিল্পী হবে। ছোটবেলা থেকে নাচ খুব পছন্দ ছিল। কিন্তু তার পরিবার খুবই রক্ষনশীল হওয়ায়...
24/10/2023

তানিশার স্বপ্ন সে অনেক বড় একজন নৃত্যশিল্পী হবে। ছোটবেলা থেকে নাচ খুব পছন্দ ছিল। কিন্তু তার পরিবার খুবই রক্ষনশীল হওয়ায় সে কখনও নিজের এই ইচ্ছার কথা বলতে পারে নি। কিন্তু সে সবার আড়ালে নাচের ভিডিও দেখে নাচটা আয়ত্ত করে নিয়েছে। এখন সে প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি চায়। তাই তার পরিবারকে সে রাজি করাতে চায়। কিন্তু তার মা বাবা কিছুতেই রাজি হচ্ছে না। তারা বলে ভালো পরিবারের মেয়েরা নাচে না। এইসব আমাদের পরিবারের সম্মান নষ্ট করবে। তুমি যদি নাচ করতে চাও তাহলে আমাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যাও। তখন তার আর কিছুই করার বাকি থাকলো না। সে নিজের ঘরে বসে কান্না করতে থাকে। তারপর তার বাবা তাকে ভালো একটি প্রাইভেট ভার্সিটিতে বিবিএ তে ভর্তি করে দেয়। কিন্তু তানিশা কিছুতেই এইসব পড়ায় মন দিতে পারছে না। সে ভার্সিটিতে গিয়ে কালচারাল ক্লাবের দিকে তাকিয়ে থাকে। সেখানে কত মেয়েরা নাচে। তাদের ভার্সিটির অনুষ্ঠানে তারা স্টেজে পারফর্ম করে তানিশা তো এমন কিছুই করতে চেয়েছিল কিন্তু তার স্বপ্নটা মাঝ পথেই ভেঙে যায় তার পরিবারের জন্য। এখন সে তার পরিবারের কথা ভেবে পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে চায় কিন্তু কিছুতেই সে মনোযোগ দিতে পারছে না। তার সামনে যখন কেউ নাচের কথা বলে তখন তার মনের কষ্ট আরো বাড়ে। সে কিছুতেই সেটা ভুলতে পারছে না।

এরকম পরিস্থিতিতে তানিশার কি করা উচিৎ?

আজকে আপনি কেমন বোধ করছেন?
14/10/2023

আজকে আপনি কেমন বোধ করছেন?

Dr. Psych এর পক্ষ থেকে মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের শুভেচ্ছা নিন।সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন 🤍
10/10/2023

Dr. Psych এর পক্ষ থেকে মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের শুভেচ্ছা নিন।
সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন 🤍

খুব চাপের মধ্যে থাকলে আমরা প্রায়ই বলি, " অনেক স্ট্রেসে আছি "কিন্তু এই স্ট্রেস কি?চিকিৎসা বা জীববিজ্ঞানের আলোকে, স্ট্রেস...
15/09/2023

খুব চাপের মধ্যে থাকলে আমরা প্রায়ই বলি, " অনেক স্ট্রেসে আছি "
কিন্তু এই স্ট্রেস কি?

চিকিৎসা বা জীববিজ্ঞানের আলোকে, স্ট্রেস বা চাপ হলো একটি শারীরিক, মানসিক বা আবেগময় বিষয় যা দৈহিক অস্বস্তি বা মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে হয়ে থাকে। চাপ হতে পারে বাহ্যিক যেমন: পরিবেশ, মনস্তাত্ত্বিক বা সামাজিক পরিস্থিতি থেকে বা অভ্যন্তরীণ যেমন: অসুস্থতা বা কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে।

📌 সব ধরনের চাপই কি স্ট্রেস?

না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক ধরনের চাপের সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। সেই সব কিছুই স্ট্রেস না। স্ট্রেস তখনই হবে যখন সেটা আমাদের দৈনন্দিন কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। অর্থাৎ অতিরিক্ত চাপ অনুভব করা এবং সেজন্য অন্যান্য কাজ বাধাগ্রস্ত হলে আমরা সেটিকে স্ট্রেস বলতে পারি।

📌 কি কি কারণে স্ট্রেস হতে পারে?

১.কর্মক্ষেত্রের অতিরিক্ত চাপ: আপনার কাজের বাইরেও আপনাকে আরো কিছু কাজ করতে দেয়া, অনেক বেশি কাজ একবারে করা, কাজের জন্য যথেষ্ট সময় না পাওয়া।

২.সহকর্মীদের হেয় আচরণ: আপনার যে বিষয়ে একটু দুর্বলতা আছে সে বিষয়টি নিয়ে আপনার সহকর্মীরা প্রতিনিয়ত হাসি ঠাট্টা করে যা আপনাকে মানসিক ভাবে কষ্ট দেয়।

৩.শারীরিক অসুস্থতা: শরীর সুস্থ না থাকলে সবকিছুই খারাপ লাগে। কাজ করতে ইচ্ছা করে না। তখন যেকোনো সামান্য কাজ করতেই অনেক চাপ অনুভব হয়।

৪. সম্পর্কের অবনতি: আপনার ব্যক্তিজীবনে আপনি ভালো না থাকলে সবকিছুতেই অস্বস্তি বোধ করবেন। কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন না।

৫. আকস্মিক দুর্ঘটনা: আপনার চোখের সামনে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেল, আপনার মাথায় সারাক্ষণ সেই চিন্তাই আসতে থাকবে। তখন আপনার সবকিছুতে চাপ অনুভব হবে।

📌 স্ট্রেস কিভাবে আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলে থাকে?

স্ট্রেস মূলত তিনভাবে আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলে থাকে। যথা:

১. শারীরিক

২. মানসিক

২. সামাজিক

📌 স্ট্রেস কমাতে কি কি করতে পারি?

১. খেলাধুলা বা ব্যায়াম

২. নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম

৩. নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস

৪. পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো

৫. নেশাদ্রব্য ত্যাগ করা

তামিম আর তানভীর খুব ভালো বন্ধু।দুইজনের কলেজ থেকে বন্ধুত্ব। কিছুদিন হলো তারা ভার্সিটিতে উঠেছে। কিন্তু তাদের ভার্সিটি এখন ...
12/09/2023

তামিম আর তানভীর খুব ভালো বন্ধু।দুইজনের কলেজ থেকে বন্ধুত্ব। কিছুদিন হলো তারা ভার্সিটিতে উঠেছে। কিন্তু তাদের ভার্সিটি এখন আলাদা।
তামিম প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ে কারণ তার বাবার টাকা আছে। তানভীর প্রাইভেটে পড়তে পারে নি বলে তার মন খারাপ থাকে। দুজন মাঝে মাঝে দেখা করে তখন দুজনের মধ্যে অনেক কথা হয়। আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। তামিম ট্যুরে যায় কিন্তু তানভীর কখনই যেতে পারে না। এভাবে একদিন তানভীর তামিম এর সাথে ট্যুরে যেতে চায়। কিন্তু তামিম তানভীরকে ছোট করে কিছু কথা বলে ফেলে। তাকে বলে, "তুই কিভাবে ট্যুরে যেতে চাইছিস? তোর কাছে একবেলা খাওয়ার টাকাও থাকে না। যতবার দেখা করি আমাকেই দিতে হয়। আর আমার থেকে কতবার ধার নিয়েছিস মনে আছে? এখনও সেগুলো দিতে পারিস নাই আর ট্যুরে যেতে চাইছিস? আগে নিজেকে দেখ তারপর কথা বল" এভাবে বলে তামিম চলে আসছিল। কিন্তু বাসায় এসে তামিম এর অনেক অনুশোচনা হচ্ছে যে তানভীর তো তামিমের ভালো বন্ধু। এত বছর ধরে একসাথে। তামিম কোনো বিপদে পড়লে তানভীর দৌঁড়িয়ে আসে। আর তানভীরের বাবা নেই তাই তানভীর নিজেই নিজের ও পরিবারের খরচ চালায় অনেক কষ্ট করে। এগুলো সব তামিম জানে, সব জেনেও কিভাবে তানভীরকে এতগুলো কথা বললো! তামিম অনেক বেশি হতাশাগ্রস্ত হয়ে গেল। সে যে আবার কিভাবে ওর মুখ দেখাবে সেটাই বুঝতে পারছে না। নিজেকে অনেক খারাপ মানুষ মনে হচ্ছে।

তামিমের মত এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে আপনি কি করতেন?

ঈশিতা একজন শিক্ষিকা। তার আরেকটি পরিচয় সে আনোয়ার হোসেনের পুত্রবধূ। এই পরিচয়টা বলার কারণ একটু পরই বুঝতে পারবেন। ঈশিতার ...
01/09/2023

ঈশিতা একজন শিক্ষিকা। তার আরেকটি পরিচয় সে আনোয়ার হোসেনের পুত্রবধূ। এই পরিচয়টা বলার কারণ একটু পরই বুঝতে পারবেন।
ঈশিতার বিয়ে হয়েছে মাত্র চারমাস। কিন্তু এই চারমাসে তাকে প্রতিদিনই কিছু খোঁটা শুনতে হয়। যেমন: রান্না বান্না কিছু পারোনা? মা কিছু শিখায় নি? এত পড়াশুনা করে কি হয়েছে?
ঈশিতা রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়েছে, বর্তমানে একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষিকা। তার এত পড়াশুনা তার শশুর শাশুড়ি একদমই পছন্দ করে না। তাছাড়া চাকরি করে বলে সংসারের তেমন কোনো কাজ করতে পারে না। এইসবের কারণে সে প্রতিনিয়ত কথা শুনে যাচ্ছে। আবার যেহেতু সে শিক্ষিত মেয়ে তাই কোনো অন্যায় কথা সে সহ্য করে না এইজন্য সে সকলের অপছন্দের তালিকায়। আবার তার শশুর বলে তোমার বাবার তো সম্পত্তির কোনো অভাব ছিল না তবুও তোমাকে কিছুই দিল না, যেন তুমি তার সৎ মেয়ে। এইসব কথা শুনে ঈশিতা প্রায়ই একা ঘরে বসে কান্না করে। তার স্বামীকে বুঝানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু সে কিছুতেই তার মা বাবার সম্পর্কে খারাপ কিছু শুনতে রাজি না। তার স্বামীর কথা আমার মা বাবা মুরুব্বী মানুষ দু একটা কথা বললে তোমার সব কোথায় জবাব দিতে হবে? একটু চুপ করে থাকতে পারো না? তারপর থেকে তার স্বামীকেও কিছু বলে না কষ্টগুলো নিজের মধ্যেই রাখে। অনেক সময় তার মনে হয় এই সংসার ছেড়ে চলে যাবে কিন্তু সেটাও সম্ভব হয় না। ঈশিতা মানুষিকভাবে ভেঙে পড়েছে। মৃত্যু ছাড়া তার কাছে আর কোনো পথ নেই।

ঈশিতার মত এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে আপনি কি করতেন?

✅ মানসিক স্বাস্থ্য কেন প্রয়োজন?আমরা সুস্থ বলতে শারীরিক সুস্থতাকেই বুঝি। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে...
30/08/2023

✅ মানসিক স্বাস্থ্য কেন প্রয়োজন?

আমরা সুস্থ বলতে শারীরিক সুস্থতাকেই বুঝি। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা এখনও অনেকেই জানি না। আবার অনেকে জেনেও মানতে চায় না। মানসিক অসুস্থতা বলতে সমাজে একটি শব্দ প্রচলিত আছে "পাগল" । কিন্তু মানসিক অসুস্থতা যেকোনো মানুষের যেকোনো সময় হতে পারে।
একটু বুঝিয়ে বলি, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা হয়ে থাকি যখন আমাদের নিজেদের অবসাদগ্রস্থ মনে হয়, আমরা মানসিক চাপ অনুভব করি, অথবা জীবনের এমন কোনো দুর্ঘটনা যা আমরা কখনওই ভুলতে পারি না, সেই কষ্টগুলো আমাদের তাড়া করে বেড়ায়। সমাজের কুসংস্কারের কারণে মানুষ নিজেদের ভিতরের কথাগুলো কাউকে বলতে সাহস পায় না। কারণ মানুষ খুব সহজেই আপনাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে বসে। মানুষ খুব সহজেই জাজমেন্টাল হয়ে যায় তাই তারা আপনার কথা শুনে আপনাকে নিয়ে বাজে ধারণা করে ফেলে।
আমরা আমাদের প্রশ্নে ফিরে যাই, মানসিক স্বাস্থ্য প্রয়োজন কারণ একটা মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে তাকে শারীরিক ও মানসিক দুভাবেই সুস্থ থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিক একে অপরের বিকল্প নয় বরং একে অপরের পরিপূরক। তাই আমাদের প্রত্যেকের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আরো সচেতন হতে হবে।

✅ মানসিক স্বাস্থ্য কি?

মানসিক স্বাস্থ্য হচ্ছে মনের একটি স্থায়ী অবস্থা, যেখানে ব্যক্তি মানসিক ভাবে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় থাকে, নিজের সাথে এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে মানিয়ে নিয়ে ভাল থাকতে পারে। ব্যক্তি নিজেকে উপলব্ধি করা সহ নিজেকে জানতে পারে অর্থাৎ নিজের শক্তিশালী ও দুর্বল দিক গুলো সম্পর্কে জানতে পারে।

✅ মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা কেনো প্রয়োজন?

আগেই বলেছি মানুষ শুধু শারীরিক ও মানসিক দুভাবেই সুস্থ থাকলে একজন মানুষকে পরিপূর্ণ সুস্থ বলতে পারি। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে অনেক ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে থাকি যেখানে আমাদের অনেক কিছু বুঝে আচরণ করতে হয়। ধরা যাক, আপনার অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আপনাকে একটি কাজ দিয়েছে সেটা আজকেই করতে হবে আবার বাড়িতে আপনার মেয়ের জন্মদিন সেখানে সময়মতো থাকতে হবে। এখন এই অবস্থায় আপনার কি করা উচিৎ? আপনি কি সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খাচ্ছেন? এই অবস্থাটাই মানসিক চাপ। যারা এই ধরনের অবস্থা থেকে নিজেকে খুব তাড়াতাড়ি বের করতে পারে তারা অন্যদের তুলনায় মানসিক ভাবে সুস্থ। তাই মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা আমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কখন বুঝবেন আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে?

মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কিনা সেটা বুঝতে হলে কিছু লক্ষণ দেখতে পারেন।
🟩 দীর্ঘ সময় ধরে মন খারাপ থাকা, মন খারাপের কোনো কারণ খুঁজে না পাওয়া।
🟩 আগে যে কাজগুলো করতে আনন্দ পেতেন সেগুলো করতে উৎসাহ না পাওয়া।
🟩 চেষ্টা করা সত্ত্বেও আগের মত কাজে মনোযোগী হতে না পারা।
🟩 চিন্তা শক্তি আগের থেকে দুর্বল হয়ে যাওয়া।
🟩 সারাক্ষণ অস্থির লাগা।

উপরের লক্ষণগুলো খুব সাধারণ আরো অনেক লক্ষণ আছে যার দ্বারা আপনি মানসিক ভাবে অসুস্থ সেটা বোঝা যাবে।

এধরনের লক্ষণগুলো আপনার বা আপনার পরিচিত কারো সাথে মিলে গেলে, যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।

রাইদা খুব মেধাবী একজন ছাত্রী। সে পড়াশুনায় খুব মনোযোগী। পরীক্ষায়ও প্রায় প্রতিবারই খুব ভালো রেজাল্ট করে। তার ভালো ফলাফ...
26/08/2023

রাইদা খুব মেধাবী একজন ছাত্রী। সে পড়াশুনায় খুব মনোযোগী। পরীক্ষায়ও প্রায় প্রতিবারই খুব ভালো রেজাল্ট করে। তার ভালো ফলাফলে মা-বাবা সবসময় অনেক খুশি হয়েছেন। কিন্তু তারা চাচ্ছেন যেন রাইদা আরো ভালো পড়াশুনা করে ক্লাসে প্রথম হয়। এইজন্য প্রতিদিন রাইদা কে অনেক কথা শুনতে হয়। তার মা তাকে অন্যদের সাথে তুলনা করতো। তার মা বলে,
"অন্যরা যেভাবে প্রথম হয় তুমি কেনো হতে পারো না?" "তোমার জন্য কি আমরা কোনো কিছু কম করছি?"
"তোমাকে এতগুলো কোচিং আর বাসায় প্রাইভেট টিউটর দিয়ে পড়ানো হয়, অনেকের সেটাও নেই তাও তুমি কেনো তাদের চেয়ে ভালো করো না?"
"তোমার কি উচিত না প্রথম হয়ে তোমার মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করা?"
"তোমার কোনো চাহিদা কি আমরা অপূর্ণ রেখেছি? তাহলে তুমি কেনো পারছো না? বলো?"

এইসব কথা শুনতে শুনতে রাইদা আরো বেশি অমনোযোগী ও অস্থির হয়ে যাচ্ছে। এখন বেশিরভাগ সময়ই রাইদা অন্যমনস্ক থাকে। এতে তার পড়াশুনারও অনেক ক্ষতি হচ্ছে। সে চাইছে পড়তে কিন্তু পড়তে পারছে না। নিজেকে অনেক দুর্বল ও হীন মনে করছে। অনেক বেশি দুশ্চিন্তা করছে। কোনোভাবেই আগের মতো মনোযোগী হতে পারছে না।

রাইদার মত এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে আপনি কি করতেন?

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Psych posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Psych:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram