NUHA Health CARE

NUHA Health CARE We always care our customers

ডাক্তারের কাছে কখনো ম্যাজিক আশা করবেন না। ম্যাজিক চাইতে গেলে বিপদে পড়বেন। এক / দুই মাস বয়সী বাচ্চাদের নাক বন্ধ থাকার ক...
11/11/2025

ডাক্তারের কাছে কখনো ম্যাজিক আশা করবেন না।

ম্যাজিক চাইতে গেলে বিপদে পড়বেন। এক / দুই মাস বয়সী বাচ্চাদের নাক বন্ধ থাকার কারণে অনেকে নরমাল স্যালাইন ( Sodium chloride 0.9%) জাতীয় ড্রপগুলো ব্যবহার করতে চান না। অথচ ২ বছরের আগে বাচ্চাদের একমাত্র নাকের ড্রপ এইটাই নিরাপদ। এই ড্রপগুলো ম্যাজিকের মত নাক খুলবে না, কিন্তু যতবার প্রয়োজন এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারবেন।

যে সকল ড্রপের নামের নিচে Sodium chloride 0.9% লিখা থাকে সেগুলো যে কোন বয়স থেকে নিরাপদ। যেমন: Norsol, Solo, N sol, Happysol, Nosomist.

এই নাম ব্যতীত যে ড্রপ কিনে থাকেন (Oxymetazoline, Xylometazoline গ্রুপের) সেগুলো দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে অনেক বড় ক্ষতি করে। যেমন:

গতকাল রাতের ভিডিওতে কেউ কেউ কমেন্টে জানিয়েছেন ড্রপ ছাড়া নাক খোলেই না।

👉এটাই Rebound congestion

✅এটি সবচেয়ে সাধারণ ও গুরুতর সমস্যা।
✅নাকের ড্রপ বন্ধ করলে নাক আরও বেশি বন্ধ হয়ে যায়।
✅ফলে মানুষ আবার ড্রপ ব্যবহার করতে বাধ্য হয়, এবং এভাবে একটি চক্রাকার নির্ভরতা তৈরি হয়।

তাছাড়াও দীর্ঘদিন ও অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে
👉 নাকের টিস্যু নষ্ট হয়ে যায়
👉 নাক শুষ্ক ভাব হয়ে থাকে এবং জ্বালাপোড়া হতে পারে
👉 রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে
👉 বুক ধরফর করতে পারে (হার্ট রেট বাড়ায়)
👉 ঘ্রাণশক্তি নষ্ট হতে পারে

ডাঃ মেহেদী হাসান

কপি

কৃমিনাশক ওষুধ (Anthelmintic)▪️Albendazole ▪️Mebendazoleকৃমি আমাদের অন্ত্র (Intestine) থেকে দিনে ০.২ মিলিলিটার রক্ত শুষে ...
04/11/2025

কৃমিনাশক ওষুধ (Anthelmintic)
▪️Albendazole
▪️Mebendazole

কৃমি আমাদের অন্ত্র (Intestine) থেকে দিনে ০.২ মিলিলিটার রক্ত শুষে নেয়। পেটে অনেক কৃমি থাকলে অপুষ্টি ও রক্তশুন্যতা দেখা দেয়। তাই ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন প্রতি ৬ মাস পরপর Albendazole অথবা Mebendazole ওষুধ খেতে হবে।

১) Albendazole ডোজঃ
400mg ট্যাবলেট ১বার খেতে হয় অথবা ২ চামচ সিরাপ ১ বারে খেতে হয়।

বাচ্চাদের (১-২ বছর): ১ চামচ (5ml) সিরাপ ১ বার।

▪️পরিচিত ব্রান্ড: Alben, Almex, Ben-A, Sintel

২) Mebendazole ডোজঃ
100mg ট্যাবলেট দিনে ২ বার ৩দিন খেতে হয়।

বাচ্চাদের: 100 mg/5 ml সিরাপ 1 চামচ দিনে ২ বার ৩দিন খেতে হয়।

▪️পরিচিত ব্রান্ড: Solas, Helben, Helmox, Mebendol

💊 এই ওষুধের ডোজ ৭ অথবা ১৪দিন পর আরেকবার রিপিট করতে বলা হয়। কারণ কৃমিনাশক ওষুধ প্রাপ্তবয়স্ক কৃমিকে মেরে ফেলতে সক্ষম হয়, কিন্তু কৃমির ডিম বা নতুন লার্ভাকে মারতে পারে না। তাই অনেকসময় ৭ বা ১৪দিন পর আরেকবার খেতে বলা হয়।

📝 ১ বছরের নিচে বাচ্চাদের এবং গর্ভাবস্থায় কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

কৃমির প্রকারভেদ এবং চিকিৎসার ধরণ অনুযায়ী ডোজ সামান্য ভিন্ন হতে পারে।

🧪 রক্তের পরীক্ষা (Blood Tests)CBC = Complete Blood CountESR = Erythrocyte Sedimentation RateHbA1c = Hemoglobin A1cFBS = ...
02/11/2025

🧪 রক্তের পরীক্ষা (Blood Tests)
CBC = Complete Blood Count
ESR = Erythrocyte Sedimentation Rate
HbA1c = Hemoglobin A1c
FBS = Fasting Blood Sugar
RBS = Random Blood Sugar
PPBS = Post Prandial Blood Sugar
BT = Bleeding Time
CT = Clotting Time
PT = Prothrombin Time
APTT = Activated Partial Thromboplastin Time
CRP = C-Reactive Protein
D-Dimer = D-dimer (Clot marker)
Blood Group & Rh Typing
---
🫀 হার্টের পরীক্ষা (Heart/Cardiac Tests)
ECG = Electrocardiogram
ECHO = Echocardiography
TMT = Treadmill Test
Holter Monitoring = Continuous ECG Recording
Troponin-I / Troponin-T = Myocardial Infarction Marker
---
🩸 লিভারের পরীক্ষা (Liver Tests)
LFT = Liver Function Test
SGPT / ALT = Serum Glutamate Pyruvate Transaminase
SGOT / AST = Serum Glutamate Oxaloacetate Transaminase
Bilirubin (Total, Direct, Indirect)
Alkaline Phosphatase (ALP)
Serum Albumin & Globulin
---
🫘 কিডনির পরীক্ষা (Kidney/Urinary Tests)
KFT = Kidney Function Test
RFT = Renal Function Test
Blood Urea
Serum Creatinine
Uric Acid
Electrolytes = Sodium, Potassium, Chloride, Bicarbonate
Urine R/M/E = Routine, Microscopy, Examination
Urine C/S = Urine Culture & Sensitivity
24 Hrs Urinary Protein
---
🧬 হরমোন ও থাইরয়েড পরীক্ষা
TSH = Thyroid Stimulating Hormone
FT4 = Free Thyroxine
FT3 = Free Triiodothyronine
LH = Luteinizing Hormone
FSH = Follicle Stimulating Hormone
Prolactin
Insulin Level
Testosterone / Estrogen / Progesterone
---
🧫 সংক্রমণ/ইনফেকশন টেস্ট
HbsAg = Hepatitis B Surface Antigen
Anti-HCV = Hepatitis C Antibody
HIV Test = Human Immunodeficiency Virus Test
VDRL = Venereal Disease Research Laboratory (Syphilis)
Widal Test = Typhoid Test
Mantoux Test = Tuberculosis Test
Dengue NS1 Antigen / IgM / IgG
Malaria Parasite (MP) Test
Chikungunya IgM
---
🧠 মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর পরীক্ষা (Neuro Tests)
EEG = Electroencephalogram
EMG = Electromyography
NCV = Nerve Conduction Velocity
CT Scan (Brain) = Computed Tomography Scan
MRI (Brain) = Magnetic Resonance Imaging
---
🩻 ইমেজিং টেস্ট (Imaging Tests)
X-Ray = X-Radiography
USG = Ultrasonography
CT Scan = Computed Tomography
MRI = Magnetic Resonance Imaging
Mammography = Breast Imaging
---
💩 অন্যান্য টেস্ট
Stool R/M/E = Routine, Microscopy, Examination
Stool Occult Blood Test
Sputum C/S = Culture & Sensitivity (TB/Chest Infection)
---
👉 এগুলোই সবচেয়ে প্রচলিত ও গুরুত্বপূর্ণ ডাক্তারি টেস্টের পূর্ণ নাম, অঙ্গভিত্তিকভাবে সাজানো।

🌸 Understanding the Menstrual Cycle 🌸The menstrual cycle is a natural monthly process that prepares a woman’s body for p...
23/10/2025

🌸 Understanding the Menstrual Cycle 🌸

The menstrual cycle is a natural monthly process that prepares a woman’s body for pregnancy 💕. It usually lasts 28 to 30 days and is divided into four key phases:

🩸 1️⃣ Menstrual Phase (Day 1–5) – Shedding of the uterine lining.
💧 2️⃣ Follicular Phase (Day 6–13) – The body prepares an egg for release.
💫 3️⃣ Ovulation (Day 14) – The egg is released from the o***y (fertile window 🥚✨).
🌼 4️⃣ Luteal Phase (Day 15–28) – The uterus prepares for possible pregnancy.

If the egg isn’t fertilized, the cycle restarts with menstruation again 🔄

Knowing your cycle helps track fertility, mood, and overall health 🧘‍♀️❤️

টাইফয়েড নিয়ে গবেষণা করেছে ICDDR,B।।তারা দেখেছে- বাংলাদেশে গড়ে প্রত্যেক ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র ৯১৩ জন টাইফয়েড-এ আক্র...
15/10/2025

টাইফয়েড নিয়ে গবেষণা করেছে ICDDR,B।।তারা দেখেছে- বাংলাদেশে গড়ে প্রত্যেক ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র ৯১৩ জন টাইফয়েড-এ আক্রান্ত হয়।।মানে টাইফয়েড আক্রান্তের শতকরা পরিমাণ ১%-এর কম।।অর্থাৎ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয় না ৯৯% মানুষ।।একই গবেষণায় আরো দেখা গেছে- এক ডোজ টাইফয়েডের টিকা সর্বোচ্চ ১৮ মাস পর্যন্ত ৮৫% শতাংশ সুরক্ষা (!) দিতে পারে (যদিও সেটা প্রশ্নবোধক)।।তাহলে টিকা নেওয়ার পরেও সুরক্ষা (!) পায় না ১৫%।।তার মানে দাড়াচ্ছে- টিকা গ্রহণ করলেও সর্বোচ্চ টাইফয়েড হতে পারে ১৫%।।

যে কোনো টিকা হচ্ছে ওই রোগের জীবাণুর অংশবিশেষ- যা রোগ ঠেকানোর নামে শরীরে প্রবেশ করানো হয়, উদ্দেশ্য শরীরকে আগেভাগে জীবাণু চেনানো।।তার মানে যাদের টাইফয়েড হয় নাই বা হওয়ার সম্ভাবনা নাই, তাদের শরীরেও অহেতুক টাইফয়েড-এর জীবাণু ঢোকানো হচ্ছে।। গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন তো- এর আদৌ কোনো প্রয়োজন আছে কি না?!?

টাইফয়েড তো সেই মাত্রার কোনো রোগ নয় কিংবা চিকিৎসা নেই- এমন রোগও নয়।।তাহলে কাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আগে থেকেই আমরা গণহারে টাইফয়েড রোগের জীবাণু-খণ্ড আমাদের শরীরে প্রবেশ করাবো?? এর মাধ্যমে টাইফয়েড থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে কিনা বলা মুশকিল, কিন্তু আরো অনেকগুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যে দেখা দেবে- সেটা মোটামুটি সুনিশ্চিত।।

অনুগ্রহ করে নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন- এই যে ৫ কোটি কোমলমতি শিশুর শরীরে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে, এর মধ্যে বড় অংশের শরীরে আগে থেকেই এন্টিবডি তৈরি হয়ে আছে।।তাহলে কেন টিকা গ্রহণ করে নিজের শরীরে বিষ ঢোকাতে হবে??রাষ্ট্রের কোনো অধিকার থাকতে পারে কি কারো দেহের ভিতরে কিছু ঢুকাতে বাধ্য করার??একটা বাচ্চার শরীরে যদি আগে থেকেই এন্টিবডি থাকে, তবে টিকা গ্রহণের কী দরকার?? কোনোপ্রকার টেস্ট না করিয়ে কেন গণহারে শরীরে টিকা গ্রহণ করতেই হবে??

এখানেই আসল ব্যবসা। বাচ্চাদের গণহারে টিকা দেওয়াই বলে দেয়- শিশুদের স্বার্থের তুলনায় ব্যবসা করাটা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ড্রাগস মাফিয়াদের কাছে।।ব্যবসার পাশাপাশি আমাদের বাচ্চাগুলোকে স্রেফ গিনিপিগ বা কুকুর-বিড়াল বা ইঁদুরের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে।।ক্ষতিকারক জীবাণু বাচ্চাদের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়ার কুপরিণামে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হওয়া অসম্ভব কিছু না!!ভবিষ্যতে সন্তানহীনতা এবং প্রতিবন্ধী শিশুর জন্মহার বেড়ে যাবে।।তখন কিন্তু টিকার পক্ষে প্রচারনাকারীদেরকে খুঁজেও পাওয়া যাবে না??
আশা করি কথিত করোনা টিকার কুফল মানুষ এতো দ্রুত ভুলে যায়নি??

টাইফয়েডের ভ্যাকসিন কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকায় দেওয়া হয় না??চাপিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল কিংবা আফ্রিকান দেশগুলোর জনগণের ওপরে।।এসব ভ্যাকসিনের আড়ালে তাদের যে ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে- সে বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা হয় না!!

ড্রাগস মাফিয়ারা যে তাদের স্বার্থে আমাদের আদরের শিশুদেরকে কুকুর-বিড়ালের মতো ব্যবহার করছে- এটা নিয়ে কেউ মুখ খোলে না, কথাও বলে না।।দোষ তো আমাদেরই; ইউরোপ-আমেরিকার সাদা চামড়ারা কিছু বললেই আমরা সেগুলো ধর্মগ্রন্থের চাইতেও বেশি বিশ্বাস করি! দীর্ঘমেয়াদে বাচ্চাদের উপর কথিত টিকার কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, তা না জেনে আমরা অন্ধের মতো আদরের বাচ্চাদের শরীরে কী ভয়ঙ্কর ইনজেকশন পুশ করাচ্ছি, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারছিনা!!

অভিভাবকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ- ভবিষ্যতে দাদা-দাদী/নানা-নানি হওয়ার ইচ্ছে থাকলে বিনামূল্যের ভ্যাকসিন দিয়ে আপনার আদরের বাচ্চাদের শরীরটাকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না।।

অতএব, এসব ষড়যন্ত্র থেকে নিজেদেরকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে পারেন এবং জনসচেতনতা বাড়াতে এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন অথবা বিদেশি-দেশী ড্রাগ মাফিয়াদের সাজানো নাটকে অনুপ্রাণিত হয়ে তাদের পরামর্শ গ্রহণ ও করতে পারেন, সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।।

[সংগৃহীত ও পরিমার্জিত]

স্বাস্থ্য ভাবুন, ফার্মাসিস্ট ভাবুন"। এই থিমকে সামনে রেখে, আমাদের ফার্মাসিস্টদের সেবা ও ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। শুভ ...
25/09/2025

স্বাস্থ্য ভাবুন, ফার্মাসিস্ট ভাবুন"। এই থিমকে সামনে রেখে, আমাদের ফার্মাসিস্টদের সেবা ও ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। শুভ বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস!


✅ কোলেস্টেরল বাড়লে যে পাঁচটি লক্ষণ দেখা যায় ::১। বুক ধড়ফড় বা বুকে ব্যথা হয়।২। হাত-পা অসাড় বা দুর্বল লাগে।৩। চোখের চা...
22/09/2025

✅ কোলেস্টেরল বাড়লে যে পাঁচটি লক্ষণ দেখা যায় ::
১। বুক ধড়ফড় বা বুকে ব্যথা হয়।
২। হাত-পা অসাড় বা দুর্বল লাগে।
৩। চোখের চারপাশে চর্বি জমা (জাইল্যানথোমা) হয়।
৪। দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়।
৫। হালকা কাজেই ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট হয়।

এসব লক্ষণ দেখা গেলে অবহেলা করবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করুন সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন ধন্যবাদ। 🕒🙏

 #পলিসিস্টিকওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) --"আধুনিক প্রজন্মের এক নীরব মহামারি"বর্তমান সময়ে মেয়েদের স্বাস্থ্য সমস্যার তালিকায় যে...
22/09/2025

#পলিসিস্টিকওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) --
"আধুনিক প্রজন্মের এক নীরব মহামারি"

বর্তমান সময়ে মেয়েদের স্বাস্থ্য সমস্যার তালিকায় যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসছে, তা হলো পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS। একসময় এটি সীমিত সংখ্যক নারীর সমস্যা মনে হলেও, এখন পুরো একটি প্রজন্ম এই সমস্যার শিকার হচ্ছে।

★ PCOS কী?

PCOS হলো নারীদের একটি হরমোনজনিত সমস্যা, যেখানে শরীরের স্বাভাবিক হরমোন ব্যালান্স নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয় এবং মাসিক চক্রসহ নারীর প্রজনন ও শারীরিক নানা দিক প্রভাবিত হয়।

★ PCOS-এর সাধারণ লক্ষণসমূহ--

মাসিক অনিয়মিত হওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া কিম্বা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ।
ওজন অতিরিক্ত কম থাকা বা অকারণে বেড়ে যাওয়া।
অতিরিক্ত চুল পড়া।
মুখে অস্বাভাবিক লোম গজানো।
ঘনঘন মুড সুইং- অতিরিক্ত রাগ, ক্ষোভ, হতাশা।
ব্রণ, ত্বকের কালচে দাগ বা অন্যান্য ত্বক সমস্যা।
ত্বক শুষ্ক থাকা।
সহবাসে যোনিপথ শুকনো থাকা।
সহবাসে অণীহা।
বিভিন্ন ধরনের যোনিপথ ইনফেকশন বেড়ে যাওয়া।

★ কেন এত বাড়ছে PCOS রোগ?

আমাদের বর্তমান জীবনযাপনের ধরনই এই সমস্যার মূল কারণ।

দীর্ঘ সময় শুয়ে বসে থাকা ও শরীরচর্চার অভাব।
ফাস্ট ফুড, চিনি ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আসক্তি।
রাত জাগা ও পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব।
অতিরিক্ত মোবাইল, ল্যাপটপ ও স্ক্রিন টাইম।
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ।

এসব অভ্যাস শরীরের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে হরমোন সিস্টেম নষ্ট হয় এবং মেয়েদের পিরিয়ড ও প্রজনন স্বাস্থ্যে গুরুতর প্রভাব ফেলে।

মানসিক প্রভাবও কম নয়
শুধু শারীরিক দিকেই নয়, PCOS মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
ঘনঘন মুড সুইং
ডিপ্রেশন
আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া
এসব কারণে একজন নারীর ব্যক্তিগত জীবন, সম্পর্ক ও ক্যারিয়ারেও সমস্যা দেখা দেয়।

★ কেন এটিকে সামাজিক স্বাস্থ্য সমস্যা বলা হচ্ছে?

কারণ এটি শুধু একজন নারীর সমস্যা নয়। নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঙ্গেও জড়িত। আজকের তরুণীরা যদি ব্যাপক হারে PCOS-এ আক্রান্ত হয়, তাহলে আগামী প্রজন্ম আরও ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়বে।

★ করণীয়--
নিয়মিত শরীরচর্চা করা।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।
বিশেষ করে শাকসবজি ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহন। শর্করা, মিষ্টি ও অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার বর্জন করা।
পরিমিত ঘুম নিশ্চিত করা।
মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা।
সঠিক রোগ ডায়গনসিস।
গাইনি, হরমোন চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ ও মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সিলর এর পরামর্শ নেওয়া।
নিয়ম অনুযায়ী ফলোআপ করা।

★ শেষ কথা--

PCOS এখন আর কোনো ব্যক্তিগত রোগ নয়। এটি পুরো সমাজের জন্য একটি বড় হেলথ ক্রাইসিস। তাই এখনই সচেতন হওয়া, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় পরবর্তী প্রজন্মকে এর চরম মূল্য দিতে হতে পারে।

©️

“ইউরিক অ্যাসিড – নিঃশব্দে শরীরে জমে ওঠা এক শত্রু! 🩸সমস্যাকে ছোট করে দেখবেন না, আজ জানুন কারণ, ক্ষতি, প্রতিকার আর সঠিক খা...
17/09/2025

“ইউরিক অ্যাসিড – নিঃশব্দে শরীরে জমে ওঠা এক শত্রু! 🩸
সমস্যাকে ছোট করে দেখবেন না, আজ জানুন কারণ, ক্ষতি, প্রতিকার আর সঠিক খাদ্যাভ্যাস। সুস্থ জীবন আপনার হাতে।”

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কী হয়?
ইউরিক অ্যাসিড হলো আমাদের শরীরে পিউরিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ভাঙার ফলে তৈরি হওয়া প্রাকৃতিক বর্জ্য পদার্থ। সাধারণত কিডনি ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু শরীরে এর মাত্রা বেড়ে গেলে (Hyperuricemia) নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
🔹 গাউট (Gout):
ইউরিক অ্যাসিড বেশি হলে জয়েন্ট বা গাঁটে স্ফটিক আকারে জমে গিয়ে তীব্র ব্যথা, ফোলা ও লালচে হয়ে যায়। বিশেষত পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে এ সমস্যা বেশি হয়।
🔹 কিডনির ক্ষতি:
অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর (Kidney Stone) তৈরি করতে পারে। এতে প্রস্রাবে জ্বালা, ব্যথা, রক্ত আসা এমনকি কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
🔹 শরীরের ক্লান্তি ও ব্যথা:
শরীর সবসময় ভারী লাগে, মাংসপেশি ও হাড়ে অস্বস্তি ও ব্যথা হয়।
🔹 উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি:
গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপ ও কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
🔹 মেটাবলিক সিনড্রোম:
ইউরিক অ্যাসিডের উচ্চ মাত্রা ডায়াবেটিস, স্থূলতা, কোলেস্টেরল সমস্যা ইত্যাদির সাথে সম্পর্কিত।

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার কারণঃ
✔ অতিরিক্ত লাল মাংস, কলিজা, মাছের ডিম, সার্ডিন, অ্যাঙ্কোভি, সি-ফুড জাতীয় খাবার খাওয়া।
✔ বেশি ভাজাপোড়া ও ফাস্টফুড খাওয়ার অভ্যাস।
✔ অ্যালকোহল ও চিনি মেশানো পানীয় (Soft Drinks, Energy Drinks)।
✔ স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন।
✔ কিডনির দুর্বলতা বা কম কার্যকারিতা।
✔ বংশগত কারণ।
✔ দীর্ঘমেয়াদে কিছু ওষুধ যেমন ডায়ুরেটিক (মূত্রবর্ধক) ওষুধ।

ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধি কিভাবে রোধ করা যায়?
1️⃣ খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করুন:
পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার (লাল মাংস, কলিজা, সি-ফুড) কম খান।
বেশি করে শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার খান।
পরিশোধিত চিনি ও ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন।
2️⃣ প্রচুর পানি পান করুন:
প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি খান।
পানি কিডনিকে ইউরিক অ্যাসিড বের করতে সহায়তা করে।
3️⃣ ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন:
স্থূলতা ইউরিক অ্যাসিডের ঝুঁকি অনেক বাড়ায়।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
4️⃣ অ্যালকোহল ও মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলুন:
বিয়ার, ওয়াইন ও সোডা জাতীয় পানীয় ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়।
5️⃣ সঠিক ওষুধ সেবন করুন:
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না।
প্রয়োজনে ডাক্তার ইউরিক অ্যাসিড কমানোর ওষুধ দিতে পারেন।

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কী খেলে উপকার হয়?
✅ ফলমূল: আপেল, চেরি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, কলা, আঙুর।
✅ সবজি: শসা, লাউ, করলা, ঢেঁড়স, মুলা, গাজর, ফুলকপি, ব্রকলি।
✅ ডাল ও শস্য: অল্প পরিমাণে মসুর ডাল, ওটস, ব্রাউন রাইস।
✅ দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: লো-ফ্যাট দুধ, দই।
✅ বাদাম ও বীজ: আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড।
✅ পানি ও তরল: লেবুর পানি, নারকেল পানি।

যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
❌ লাল মাংস (গরু, খাসি, ভেড়া)।
❌ কলিজা, ভুঁড়ি, মগজ জাতীয় খাবার।
❌ সি-ফুড (সার্ডিন, অ্যাঙ্কোভি, চিংড়ি, মাছের ডিম)।
❌ অতিরিক্ত ডাল ও মটরশুঁটি।
❌ অ্যালকোহল।
❌ চিনি মেশানো পানীয়।

জীবনধারায় করণীয়
🔹 নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও হালকা ব্যায়াম করুন।
🔹 রাত জাগা এড়িয়ে চলুন।
🔹 স্ট্রেস কমান।
🔹 সঠিক রুটিনে খাবার খান।
🔹 নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া অবহেলার বিষয় নয়। এটি গাউট, কিডনি স্টোনসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি তৈরি করে। তাই খাবারে নিয়ন্ত্রণ, পর্যাপ্ত পানি, নিয়মিত ব্যায়াম এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

 #থাইরয়েড নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথাঃ-(পরিবারের সহমর্মিতাই থাইরয়েড রোগীর বড় শক্তি")থাইরয়েড মূলত দুই প্রকারের হতে পারে— হ...
17/09/2025

#থাইরয়েড নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথাঃ-
(পরিবারের সহমর্মিতাই থাইরয়েড রোগীর বড় শক্তি")

থাইরয়েড মূলত দুই প্রকারের হতে পারে— হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম।
এটি এমন এক সমস্যা, যা বাইরে থেকে সহজে বোঝা যায় না, কিন্তু ভেতর থেকে মানুষের জীবনকে ভয়াবহভাবে নষ্ট করে দেয়।

থাইরয়েড সমস্যার সাধারণ উপসর্গসমূহঃ-

ঘন ঘন মুড সুইং হওয়া, হঠাৎ রেগে যাওয়া।

শরীরে সবসময় ক্লান্তি থাকা, অথচ ঠিকমতো ঘুম না হওয়া।

মাথা ঘোরা, হাত-পা কাঁপা।

চোখে ঝাপসা বা অন্ধকার দেখা।

শরীরের বিভিন্ন স্থানে অকারণ ব্যথা।

ভুলে যাওয়া, মনোযোগ কমে যাওয়া।

কখনও ওজন বেড়ে যাওয়া, আবার কখনও কমে যাওয়া।

খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন আসা।

চুল পড়া, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া।

মন খারাপ থাকা, আনন্দ না পাওয়া।

বাইরে থেকে দেখলে এগুলোকে অনেকেই “অলসতা” মনে করে, কিন্তু আসলে এগুলো হরমোনাল ইমব্যালেন্স এর প্রভাব।

সামাজিক ভুল ধারণাঃ-

অনেক সময় আশেপাশের মানুষ ভাবে—

“হাঁটাচলা তো ঠিকই করছো, কষ্ট কোথায়?”

“কম খাও, বেশি হাঁটো, সব ঠিক হয়ে যাবে!”

কিন্তু তারা বোঝে না যে, হাইপোথাইরয়েডিজমে মেটাবলিজম স্লো হয়ে যায়, ঘুমের চক্র নষ্ট হয়, এমনকি মানসিক শক্তিও অনেক কমে যায়।

বিদেশে বনাম আমাদের সমাজঃ-
উন্নত দেশগুলোতে থাইরয়েড রোগী থাকলে পরিবারের সদস্যদেরও কাউন্সেলিং করানো হয়—

রোগীর সাথে কেমন ব্যবহার করতে হবে

কী খাওয়া যাবে আর কী যাবে না

মানসিকভাবে কিভাবে সাপোর্ট দিতে হবে

কিন্তু আমাদের দেশে বেশিরভাগ পরিবারে মুডসুইং বা ডিপ্রেশনকে “ঢং” বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে রোগীরা শারীরিক কষ্টের পাশাপাশি মানসিকভাবেও ভেঙে পড়ে।

করণীয়ঃ-
থাইরয়েড একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হলেও সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসা নিলে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
তাই পরিবারের সদস্য, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সমাজের সবার উচিত—

রোগীকে বোঝা

সহমর্মিতা দেখানো

সঠিক চিকিৎসা ও নিয়মিত চেকআপে উৎসাহিত করা

মনে রাখবেন, থাইরয়েড শুধু শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তাই রোগীর পাশে দাঁড়ানোই সবচেয়ে বড় সহায়তা।

©️

16/09/2025

Address

29/27 North Moulovir Tak, Rampura, Dhaka-1219
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when NUHA Health CARE posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to NUHA Health CARE:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram