শিশু চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান বাঁধন

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • শিশু চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান বাঁধন

শিশু চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান বাঁধন Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from শিশু চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান বাঁধন, Doctor, Pirgachha, Dhaka.

চেম্বারঃ ভাই ভাই ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পীরগাছা, রংপুর।
প্রতি বৃহস্পতিবার (বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা)
সিরিয়ালঃ০১৭২২৮৮২৯৭৫

ইনবক্সে কোনোরকম চিকিৎসা বা পরামর্শ দেয়া হয়না।

৭ দিন বয়সের এই বাচ্চাটার মিলিয়া হয়েছে। যেটা এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়। কোনো ঔষধ লাগেনা। পল্লী চিকিৎসক এইটুকুর জন্য একটা ক্রিম ...
30/10/2025

৭ দিন বয়সের এই বাচ্চাটার মিলিয়া হয়েছে। যেটা এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়। কোনো ঔষধ লাগেনা। পল্লী চিকিৎসক এইটুকুর জন্য একটা ক্রিম আর চারটা ফাইল দিয়েছে। সুন্দর বিজনেস!

আপনারা এইগুলার বিরুদ্ধে কথা বলেন না কেন?

📍The Evil Child📍১০ বছর বয়েসী ছেলে শিশুকে নিয়ে মা আসলেন চেম্বারে৷ মার কম্পলেইন- ছেলে প্রচুর মিথ্যা কথা বলে, অহেতুক মিথ্যা...
30/10/2025

📍The Evil Child📍
১০ বছর বয়েসী ছেলে শিশুকে নিয়ে মা আসলেন চেম্বারে৷ মার কম্পলেইন- ছেলে প্রচুর মিথ্যা কথা বলে, অহেতুক মিথ্যা, যেটা কেন সে বলে মা ভেবে পায়না। পড়াশুনায় একদমই অনাগ্রহী। স্কুল থেকে নিয়মিত কম্পলেইন আসে তার অমনোযোগীতা ও দুষ্টুমির জন্য। কারো সাথে তেমন বন্ধুত্বও করতে পারেনা৷

মার থেকে মূল কম্পলেইন্টসগুলো শোনার পর তাকে বাইরে বসতে বলে আমি বাচ্চাকে আলাদাভাবে ইন্টারভিউ করা শুরু করলাম।

- আকাশ (ছদ্মনাম), মা যা বলল সব ঠিক?

- - হ্যা ঠিক (মুখে হাসি)

- আচ্ছা তারমানে তুমি আসলেও মিথ্যা কথা বলো রাইট?

প্রবলবেগে হ্যা বোধক মাথা নাড়াল আকাশ। মুখে মুচকি মুচকি হাসি।

- কিন্তু কেন বলো?

এবার আকাশ নড়েচড়ে বসল। ' বলব, কিন্তু প্রমিস মাকে বলা যাবেনা! এটা তোমার আমার সিক্রেট!'

- মাকে বলব না বলেই তো বাইরে বসতে বললাম, তুমি বলো।

আকাশ কিছুটা আশ্বস্ত হল...

-- আসলে আমি যে অকাজগুলা করি, সেগুলো যদি সত্যিটা মাকে বলি তাহলে মা বলে, 'আজকে তাহলে তোমার মোবাইল দেখা বন্ধ', 'আজকে ওটা করতে পারবেনা, এটা করতে পারবেনা'। এজন্য আমি সত্যিটা বলিনা!

- আচ্ছা তাই?? কিন্তু এই 'অকাজ'গুলো কিরকম?

- - এই যেমন স্কুল থেকে দেরি করে আসি, ইচ্ছা করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি সাইকেল নিয়ে। তারপর আরো আছে.. (বলেই আবার সেই মুচকি হাসি)

এরপর একে একে আমি আকাশের অকাজের কিছু নমুনা শুনতে লাগলাম- স্কুলের বাচ্চাদের সাথে মারামারি করা (সম্প্রতি এক ছেলের হাতে এত জোরে মেরেছে যে হাত ফুলে গেছে, আজ সেটা নিয়ে কম্পলেইন করেছে টিচার), রাস্তাঘাটের কুকুরকে বিনা কারনেই ভয় দেখানো বা মারা, কোরবানীর গরুকে বিরক্ত করা, বড়রা কিছু নিষেধ করলে ইচ্ছা করেই সেটা বারবার করা, নিয়ম করে প্রতিনিয়ত বিল্ডিং এর সবার বাসায় বেল দিয়ে পালিয়ে যাওয়া আরো অনেক.. অনেককিছু। জিজ্ঞেস করলাম লেখাপড়া কেন করোনা?

- লেখাপড়া বোরিং!

- - হ্যা লেখাপড়া আসলে কঠিনই, এটা ঠিক। কিন্তু তারপরও লেখাপড়া তো করতে হয় তাইনা?

সাথে সাথে আকাশ আমাকে কারেক্ট করে দিল- 'কঠিন না, বোরিং! আমার বোরিং লাগে। ভাল্লাগেনা!'

- কিন্তু ভাল না লাগলেও না করে তো উপায় নাইআ তাইনা? অনেক কিছুই এমন আছে যেটা আমাদের আসলে ভাল্লাগেনা কিন্তু না করে উপায় নাই তাই করতে হয়।

- - কিন্তু আমি না করে থাকতে পারি। (আবার সেই মুখ টিপে হাসি)

- কিভাবে?

- - যেমন সন্ধ্যা থেকে পড়তে বসি বসি করে বসব না, তারপর মা বিরক্ত হয়ে বলবে, 'আকাশ তুমি এটলিস্ট আধাঘন্টা পড়ো। তারপর ঘুমিয়ে যাবে।' তখন আমি ওয়াশরুমে যাব। তারপর ওয়াশরুমে আধাঘন্টা থেকে চলে আসব! 😁

মনে মনে ভাবলাম, ছেলের বুদ্ধির তারিফ করতে হয়!!

- তোমার তাহলে কি করতে ভাল্লাগে আকাশ?

- - আমার 'অকাজ'ই করতে ভাল্লাগে!

- মানে?

- - মানে যেগুলো সবাই নিষেধ করে সেই কাজগুলোই মজা লাগে আমার!

- কিন্তু মজা লাগলেই কি আমরা সব করতে পারি বলো??

- - কেন পারব না?

- এই যেমন তুমি যে কুকুরকে মারো বা ভয় দেখাও, এতে তো ওরা কষ্ট পায় তাইনা?

- -হ্যা পায়!

- তো এভাবে কি কাউকে কষ্ট দেয়া ঠিক?

- - অন্যরা কষ্ট পেলে আমার কী! আমিতো পাইনা!!!

শেষ কথাটা শুনে ডায়াগনোসিস কোনদিকে যাচ্ছে ভেবে শংকিত হলাম। এরপর আরো অনেক কিছুই বলল আকাশ। সব কথার মূল কথা হল তার সেগুলাই ভাল্লাগে যেগুলো সবার চোখে খারাপ বা অকাজ, এই খারাপ কাজগুলোই তার কাছে ইন্টারেস্টিং তাই সে সেগুলো বারবার করবে, আর পড়াশুনা তার কাছে বোরিং আর বোরিং কাজের জন্য তাকে যেটাই দেয়া হোকনা কেন, সে কখনোই সেটা করবেনা!

আকাশের সাথে কথা বলা শেষে আমি আবারো আকাশের মার সাথে আলাদাভাবে কিছুক্ষন কথা বললাম। আরো নতুন কিছু তথ্য জানতে পারলাম। মা জানালেন আকাশের কিছু কিছু সমস্যা আরো ছোটবেলা থেকেই শুরু হয়েছে। যেমন তার যখন ৫-৬ বছর বয়স তখন থেকেই সে প্রায়ই বাসা থেকে বের হয়ে যেত অর্থাৎ হারিয়ে যেত। কোথায় যেত কেউ জানেনা, আবার নিজে নিজেই কিভাবে যেন ফেরত আসত, মাঝেমধ্যে খুজে নিয়ে আসতে হত। ইদানীং সে স্কুল থেকে ফেরার পথে প্রায়ই কোথাও চলে যায় যার জন্য তার বাসায় আসতে দেরি হয়, কিন্তু কোথায় যায় সেই সত্যিটা তার থেকে বের করা যায়না! আবার ইদানীং মা তার প্যান্টের পকেটে প্রায়ই টাকা পায়, যেগুলো মা বা বাবা তাকে দেয়না৷ সম্ভবত সে বাবা-মার ব্যাগ থেকে এগুলো চুরি করে৷ সবচেয়ে ভয়ংকর যে তথ্যটা দিলেন মা সেটা হল, আকাশতো প্রায়ই ওনার মোবাইল দেখে, একদিন উনি ওনার মোবাইলের সার্চ হিস্ট্রি ঘেটে দেখলেন সেখানে পর্ন সাইটের হিস্ট্রি! এটা দেখে ওনার পৃথিবী চুরমার হয়ে যায়। উনি কান্না করছিলেন আর বারবার বলছিলেন আমার ছেলেটা আরেকটু বড় হলেও আমি মেনে নিতাম, কিন্তু এত ছোট বয়সে ও এগুলো কেন করবে??!

আকাশের ফ্যামিলি হিস্ট্রি হল তার মা একজন স্কুলটিচার, বাবা একটা প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরি করেন। বাসায় বাবা মা ছাড়াও দাদী আছেন আর আকাশের একটা ছোট ভাই আছে।

আকাশের ডায়াগনোসিস- 'Conduct Disorder'

এবার আসি Conduct Disorder কী সেই বিষয়ে। সোজা বাংলায় কন্ডাক্ট ডিজঅর্ডার হল সেই অসুখ যেখানে ব্যক্তি এমন কিছু কাজ বারবার করে যেই কাজগুলো সামাজিক নীতিবিরুদ্ধ এবং অন্যের মৌলিক অধিকার নষ্ট করে৷ The Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders (DSM-5) অনুযায়ী, কন্ডাক্ট ডিজঅর্ডারের ব্যক্তির মধ্যে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি দেখা যায়-

📌১. মানুষ এবং অন্যান্য প্রানীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরন (যেমন: কাউকে bully করা থেকে শুরু করে খালি হাতে বা অস্ত্র নিয়ে মারামারি করা, অহেতুক কোনো প্রানীকে বিরক্ত করা বা কষ্ট দেয়া, ছিনতাই, কাউকে যৌনকর্মে বাধ্য করা ইত্যাদি)

📌২. ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যের সম্পদ নষ্ট করা (যেমন: ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবেশীর বাগান নষ্ট করা, আগুন ধরিয়ে দেয়া ইত্যাদি)

📌৩. প্রতারনা বা চুরি করা (ধোকা দিয়ে অন্যের কাছ থেকে কিছু আদায় করে নেয়া, কারো বাসা বা দোকানে গিয়ে কিছু চুরি করে আনা বা আরো গুরুতর অবস্থায় কারো ঘর বা দোকান ভেংগে লুটপাট করা ইত্যাদি)

📌৪. গুরুতরভাবে নিয়ম লংঘন করা (যেমন: নিয়মিত স্কুল পালানো, বাবা মায়ের নিষেধ স্বত্ত্বেও বাসার বাইরে রাত কাটানো বা কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে চলে যাওয়া এবং লম্বা সময় ধরে ফিরে না আসা যেগুলো মোটামুটি ১৩ বছরের আগেই শুরু হয়।)

এইসকল কাজ যদি কেউ একবার বা দুবার করে তবেই কী তার কন্ডাক্ট ডিজঅর্ডার আছে বলা যাবে? না। অন্তত ১ বছর যদি কারো মধ্যে কন্ডাক্ট ডিজর্ডারের সিম্পটমগুলো থাকে তবেই তাকে আমরা কন্ডাক্ট ডিজঅর্ডার বলতে পারব।

DSM-5 অনুযায়ী এটি একটি চাইল্ড সাইকিয়াট্রিক ডিজঅর্ডার যেটি শুরু হতে পারে জীবনের দুই সময়ে- ১০ বছর বয়সের আগে (অন্তত একটি লক্ষনের শুরু ১০ বছর বয়সের আগে) যেটিকে আমরা চাইল্ডহুড অনসেট কন্ডাক্ট বলছি আরেকটি হতে পারে ১০ বছরের পরে। এবং গবেষনামতে চাইল্ডহুড অনসেট কন্ডাক্ট ডিজঅর্ডারের পরিনতি খুব বেশি ভাল না কেননা এটি পরিনত বয়স পর্যন্ত অর্থাৎ সারাজীবনই থেকে যেতে পারে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদকাসক্তির দিকে এদের ঝোকার সম্ভাবনা থাকে এবং ধীরে ধীরে বিভিন্নরকম অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে যায়।

আপনাদের মনে হতে পারে এরকম লক্ষনের অনেক মানুষ/ অনেক অপরাধী তো আমরা আমাদের আশেপাশেই দেখি। হ্যা তা দেখি, কিন্তু ভাবুন তো আমরা যেখানে বলে থাকি শিশুরা হয় কোমলমতি, সেখানে একটি ১০ বছরের বাচ্চা যার কারো প্রতিই কোনো রকম সহমর্মিতা নেই উপরন্তু বিনা কারনে অন্যকে নির্যাতন করছে, পশুপাখিকে অত্যাচার করছে, নিজের প্রয়োজনে অন্যকে ঠকাচ্ছে, এবং এই নিয়ে তার মধ্যে কোনো অপরাধবোধও নেই৷ তখন আপনাদের মনে প্রথম কথাটি কি আসবে?

"Is this child really ill or evil??"

না, আমাদের কাছে কোনো শিশুই Evil না। তার আপাত কর্মকান্ড হয়ত Evil, কিন্তু এটিকে সাইকিয়াট্রির অন্য আর দশটা ডিজঅর্ডারের মতই ডিজঅর্ডার হিসেবে ট্রিট করাটা একজন চাইল্ড সাইকিয়াট্রিস্টের কর্তব্য। কেননা এমনিতেই এধরনের শিশুদের তাদের আচরনের জন্য সমাজের সবাই নিন্দা করে, উপরন্তু তাদের বাবা-মায়েরাও সবসময় একধরনের লজ্জা এবং অপরাধবোধের মধ্যে থাকে যেটার জন্য এরা বেশিরভাগ সময়েই কোনো প্রফেশনালের কাছে সাহায্য নিতে যায়না কিংবা গেলেও ট্রিটমেন্ট কন্টিনিউ করেনা।

যদিও আকাশের ক্ষেত্রে ট্রিটমেন্টের প্রগনোসিস খুব ভাল হবে এমনটা বলা কঠিন কারন একে তো তার এটা চাইল্ডহুড অনসেট, তার উপর তার মধ্যে 'CU' trait বিদ্যমান। CU trait মানে Callous, Unemotional trait- অর্থাৎ যাদের মধ্যে মানবীয় আবেগ অনুভুতির মাত্রা খুবই কম, অন্যের প্রতি সহমর্মিতা বা এম্প্যাথি জিনিসটা থাকেনা বললেই চলে এবং নিজের কৃতকর্ম নিয়ে তাদের কোনোরকম অনুশোচনা হয়না। এই CU trait হল traits of Psychopathy। কাজেই এদের ক্ষেত্রে হায়েস্ট পসিবিলিটি থাকে বড় হয়ে অর্থাৎ ১৮ বছরের পর Antisocial Personality Disorder (সাধারন মানুষের কাছে/নাটক সিনেমায় যেটা সাইকোপ্যাথ নামে পরিচিত) ডেভেলপ করার।

এবারে জানা যাক সমস্যার কারন সম্পর্কে। এই সমস্যার অসংখ্য কারন থাকতে পারে যার মধ্যে জেনেটিক প্রিভ্যালেন্স অর্থাৎ বংশগতি থেকে শুরু করে শিশুর নিজস্ব টেম্পারামেন্ট, পারিবারিক সহিংসতা, বাবা-মায়ের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব ও প্যারেন্টিং এর যেকোনো অসংগতি (অতিরিক্ত শৃঙ্খলা কিংবা শৃঙ্খলাবিহীন প্যারেন্টিং) যেকোনটাই হতে পারে। আকাশের ক্ষেত্রে ঠিক কোন কারনটি বা কারনগুলো বিদ্যমান সে ব্যাপারে প্রথম দিনই জানার সুযোগ আমার হয়নি, আশা করি পরবর্তী ভিজিটে এই বিষয়টা সম্পর্কে জানতে পারব।

আকাশের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হল লং টার্ম সাইকোথেরাপি। পরিবারের ইনভলভমেন্ট এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্যারেন্টিং এবং বিহেভিয়ার মডিফিকেশন ট্রেনিংয়ে পরিবারের এক্টিভ রোল প্লে করতে হবে৷ সেই সাথে আকাশের স্কিল ডেভেলপমেন্ট, প্রবলেম সলভিং স্কিলস এগুলো বাড়াতে হবে। আকাশের কিছু ভাল দিক আছে, যারমধ্যে সবচেয়ে ভাল দিক হল তার ইন্টেলিজেন্স৷ সে লেখাপড়া বাদে আরো অনেক কিছুতেই ভাল যেমন ক্রিকেট খেলা, সাইকেল চালানো, ড্রইং ইত্যাদি। তার এই স্ট্রেন্থগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে, তাকে এসবে বেশি বেশি এংগেজ করতে হবে যাতে এসবের রিপ্লেসমেন্টে তার 'অকাজ'গুলোকে কিছুটা কমিয়ে আনা যায়।

সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা প্রয়োজন এখানে সেটি হল ধৈর্য্য। কারন থেরাপিগুলো শুনতে যত সহজ মনে হচ্ছে বাস্তবে এদের প্রয়োগ তত সহজ না এবং যে দীর্ঘ সময় এর পিছনে দিতে হবে সেটা দেয়ার মত সময়, অর্থ, ধৈর্য্য অনেকেরই থাকেনা। অনেক বাবা মা সন্তানের একটা দুটা সেশন নিয়েই রাতারাতি পরিবর্তন আশা করেন। তাদেরকে বুঝাতে হবে যে একটি কন্ডাক্ট ডিজঅর্ডারের শিশু থেরাপি নিলে ভাল হবার সম্ভাবনা যেমন ফিফটি -ফিফটি, তেমনি থেরাপি না নিলে ভাল হওয়ার সম্ভাবনা অলমোস্ট শুন্যের কাছাকাছি।

সবশেষে মহানগরের ডিসি হারুনের মত আমাদের মনে রাখতে হবে দুইটা কথা- ✌️

1. No child is born evil, and
2. Change is possible. 🌸🌸🌸🤞

🍀ডা. মাহাবুবা রহমান
এমবিবিএস, এমডি (চাইল্ড এন্ড এডোলেসেন্ট সাইকিয়াট্রি)
এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, ডিপার্টমেন্ট অব সাইকিয়াট্রি
মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন এন্ড হসপিটাল, উত্তরা।

সেশনঃ ০৯-১০

এটা সংক্রমণ নয়—এটা চোখের ভেতরের অ্যালার্জি রিঅ্যাকশন।এই রোগের নাম Vernal Keratoconjunctivitis (VKC)।এটি এক ধরনের মারাত্ম...
30/10/2025

এটা সংক্রমণ নয়—এটা চোখের ভেতরের অ্যালার্জি রিঅ্যাকশন।

এই রোগের নাম Vernal Keratoconjunctivitis (VKC)।
এটি এক ধরনের মারাত্মক অ্যালার্জিজনিত চোখের সমস্যা, যা সাধারণত শিশু ও কিশোরদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, বিশেষ করে ছেলেদের মধ্যে। গরম, ধুলাবালি বা পরাগে ভরা মৌসুমে এ রোগ বেশি হয়।

চোখের পাতার নিচে যে আঙুরের মতো ফোলা ফোলা দানা দেখা যায়, সেগুলোকেই বলে Giant Papillae। এগুলো আসলে চোখের ইমিউন সিস্টেমের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া, যা দীর্ঘদিনের প্রদাহের কারণে তৈরি হয়।

লক্ষণগুলো হলো

চোখে লাগাতার চুলকানি বা জ্বালা

আলোতে তাকাতে কষ্ট হওয়া

ঘন, সাদা বা আঠালো ধরনের মিউকাস বের হওয়া

চোখে সবসময় কিছু আছে মনে হওয়া

যদি চিকিৎসা না করা হয়, এই প্রদাহ কর্নিয়াকে (চোখের কালো অংশ) ক্ষতিগ্রস্ত করে দিতে পারে, এমনকি দৃষ্টিশক্তিও ঝুঁকির মুখে পড়ে।

চিকিৎসা

ঠান্ডা পানির সেঁক দেওয়া

অ্যালার্জি ওষুধ বা স্টেরয়েড ড্রপ ব্যবহার

চোখ চুলকানো বা ঘষা এড়িয়ে চলা

গুরুতর ক্ষেত্রে বিশেষ ইমিউন থেরাপি প্রয়োজন হতে পারে

শেয়ার করুন,বাড়ান জনসচেতনতা

~Dr-Abdur Rahman

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি....আমাদের মান্থিয়া, দেশবাসীর মান্থিয়া আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। আলহামদুলিল্লাহ! তবে ...
30/10/2025

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি....

আমাদের মান্থিয়া, দেশবাসীর মান্থিয়া আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। আলহামদুলিল্লাহ! তবে আরো কিছু হাস্পাতালে থাকতে হবে। মান্থিয়া মনে হচ্ছে একটা মিরাকলই ঘটিয়ে দিবে!!

এখন KMC তে আছে।

-ডা. গিয়াসউদ্দিন টিপু ভাই

১৯৬১ সালে সোভিয়েত চিকিৎসক লিওনিদ রগোজভ ছিলেন অ্যান্টার্কটিকার এক দূরবর্তী গবেষণা কেন্দ্রে, যেখানে তাঁর সঙ্গে কোনো প্রশি...
30/10/2025

১৯৬১ সালে সোভিয়েত চিকিৎসক লিওনিদ রগোজভ ছিলেন অ্যান্টার্কটিকার এক দূরবর্তী গবেষণা কেন্দ্রে, যেখানে তাঁর সঙ্গে কোনো প্রশিক্ষিত সার্জন ছিল না। হঠাৎ একদিন তিনি নিজেই তীব্র অ্যাপেন্ডিসাইটিসে আক্রান্ত হন। পালানোর উপায় নেই, চিকিৎসারও কোনো সুযোগ নেই— সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।

শেষ পর্যন্ত তিনি নেন এক অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত— নিজেই নিজের অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন করবেন। লোকাল অ্যানেস্থেশিয়া দিয়ে, আয়নায় নিজের শরীরের প্রতিচ্ছবি দেখে, সহকর্মীদের সাহায্যে যন্ত্র হাতে নিয়ে তিনি শুরু করেন অস্ত্রোপচার। টানা দুই ঘণ্টা নিজের পেট কে*টে, অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করে, নিজেই সেলাই করেন ক্ষতস্থান। দুর্বলতা আর বমি ভাবের সঙ্গে লড়ে তিনি শেষ পর্যন্ত বেঁচে যান।

এ ঘটনাটি চিকিৎসা ইতিহাসের এক অনন্য দৃষ্টান্ত— যেখানে শুধু দক্ষতা নয়, অদম্য মানসিক শক্তি আর আত্মবিশ্বাসের অসাধারণ উদাহরণ স্থাপন করেছেন ডা. লিওনিদ রগোজভ।

ডা. মাহফুজ বাঁধন

স্ক্যাবিস সাধারণ একটি চর্মরোগ। অতীতে ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু এটা ভয়াবহ আর সর্বগ্রাসী আকার ধারণ করেছে শুধুমাত্র আমা...
30/10/2025

স্ক্যাবিস সাধারণ একটি চর্মরোগ। অতীতে ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু এটা ভয়াবহ আর সর্বগ্রাসী আকার ধারণ করেছে শুধুমাত্র আমাদের খাসলতের কারণে।

আমি যে দুই জায়গায় চেম্বার করি সেখানে অধিকাংশ রোগীই স্ক্যাবিসের। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই কেউ না কেউ এই রোগে আক্রান্ত। তাই সচেতন হওয়া এখন সময়ের দাবি। আসুন স্ক্যাবিসের আদ্যোপান্ত জেনে নেই..

♦️ স্ক্যাবিস কী?

স্ক্যাবিস (Scabies) একটি তীব্র সংক্রামক চর্মরোগ, যা Sarcoptes scabiei নামক ক্ষুদ্র এক ধরনের পরজীবী মাইট দ্বারা হয়। এই মাইট ত্বকের নিচে গর্ত করে ডিম পাড়ে, যার ফলে তীব্র চুলকানি হয়—বিশেষ করে রাতে।

♦️ লক্ষণ ও জটিলতা:

-চরম চুলকানি, বিশেষ করে রাতে

-ত্বকে ফুসকুড়ি, ঘা ও ইনফেকশন

-ঘর্ষণের ফলে পুঁজ জমা

-একজন আক্রান্ত হলে সহজেই পুরো পরিবারে ছড়িয়ে পড়ে

-দীর্ঘদিন থাকলে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, সেলুলাইটিস বা কিডনির জটিলতা হতে পারে

-শিশুদের মানসিক অস্থিরতা ও ঘুমের ব্যাঘাত

♦️ চিকিৎসাঃ

1️⃣ ডাক্তারের পরামর্শে Permethrin গ্রুপের ক্রিম

-গলা থেকে পা পর্যন্ত রাতের বেলা পুরো শরীরে মেখে সকালে ধুয়ে ফেলবেন।

-শরীরের এক ইঞ্চি অংশও বাদ দেবেন না।

-প্রয়োজনে ৭ দিন পর একই নিয়মে পুনরায় ব্যবহার করুন।

-ব্যবহারের পর সব পোশাক, বিছানার চাদর, বালিশের কাভার গরম পানিতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট সিদ্ধ করে ধুয়ে ফেলুন।

2️⃣ চুলকানি কমাতে:

-শিশুদের জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন সিরাপ

-বড়দের জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট

-এছাড়াও আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসক মহোদয় আরো কিছু ঔষধ লিখে দেবেন। সেগুলো পূর্ণ ডোজ ব্যবহার করবেন।

♦️ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:

-আক্রান্ত ব্যক্তির সব পোশাক, তোয়ালে, বিছানার চাদর গরম পানিতে সিদ্ধ করে ধুয়ে রোদে শুকান।

-ব্যবহৃত জিনিস ২–৩ দিন আলাদা করে রাখুন

স্ক্যাবিস অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ। আপনি একা সচেতন হলেন কিন্তু আপনার পাশের মানুষটি গায়ে লাগালো না। লাভ নাই। তার থেকে স্ক্যাবিসের জীবানু আবারো আপনার শরীরে আসবে। তাই আশেপাশের সবাইকে সচেতন করতে লেখাটি শেয়ার করুন।

ডা. মাহফুজ বাঁধন

Bilateral Cleft Lip একটি জটিল জন্মগত ত্রুটি, যেখানে শিশুর দুই পাশে ঠোঁটের মাঝখানে ফাঁক থেকে যায়। জন্মের পরপরই যদি সঠিক অ...
30/10/2025

Bilateral Cleft Lip একটি জটিল জন্মগত ত্রুটি, যেখানে শিশুর দুই পাশে ঠোঁটের মাঝখানে ফাঁক থেকে যায়। জন্মের পরপরই যদি সঠিক অর্থোডন্টিক চিকিৎসা শুরু করা যায়, তাহলে সার্জারির ফলাফল অনেক বেশি সুন্দর হয়।

এই শিশুটির ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছিল— জন্মের পরই মুখের গঠন ঠিক করতে বিশেষ চিকিৎসা শুরু হয় এবং নির্ধারিত সময়ে সার্জারি সম্পন্ন হয়। এক বছর পরের ফলাফল সত্যিই বিস্ময়কর, যেন নতুন করে জন্ম নেয়া এক সুন্দর হাসি।

ডা. মাহফুজ বাঁধন

✨ "Hand of Hope" — আশার হাত ✨এটি মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্তগুলোর একটি! গর্ভের ভেতর একটি সার্জারির সময় তোল...
30/10/2025

✨ "Hand of Hope" — আশার হাত ✨

এটি মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্তগুলোর একটি! গর্ভের ভেতর একটি সার্জারির সময় তোলা এই ছবিতে দেখা যায়—মাত্র ২১ সপ্তাহ বয়সী এক অনাগত শিশু সার্জনের হাতে তার ছোট্ট, সম্পূর্ণ গঠিত হাতটি বাড়িয়ে দিয়েছে।

👶 শিশুটির জন্মের আগেই Spina Bifida নামের এক জটিল রোগ ধরা পড়ে — যা হলে শিশুটি জন্মের পর বাঁচতে পারত না। তাই চিকিৎসক দল গর্ভের ভেতরেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।

সার্জারির সময় মায়ের জরায়ু (uterus) বের করে এনে একটি ক্ষুদ্র ছিদ্র করা হয়, যাতে শিশুর চিকিৎসা করা যায়। অপারেশন শেষ হওয়ার পর ঠিক সেই মুহূর্তে শিশুটি তার ছোট্ট হাতটি বাড়িয়ে সার্জনের আঙুল ধরে রাখে — যেন জীবনের উপহার পেয়ে কৃতজ্ঞতায় বলছে,
💫 "ধন্যবাদ, ডাক্তার!" 💫

📸 এই ছবিটি আজও পরিচিত —
“Hand of Hope” নামে,
যা মানবতার, ভালোবাসার এবং জীবনের এক অনন্য প্রতীক ❤️

~ডা: এস হাসান

"মা বাবার ভুলের কারণে সন্তানের মৃ*ত্যু"। শুনতে খারাপ শুনালেও এমনটাই হয়েছিল এক দম্পতির সাথে। আমার এক পুরানো রোগী অনেকদিন...
30/10/2025

"মা বাবার ভুলের কারণে সন্তানের মৃ*ত্যু"। শুনতে খারাপ শুনালেও এমনটাই হয়েছিল এক দম্পতির সাথে।

আমার এক পুরানো রোগী অনেকদিন পর আমার কাছে আসলেন কিছু সমস্যার জন্য। ওনার সাথে আমার পরিচয় গর্ভকালীন থাকা অবস্থায়।

প্রথম যখন আমি ওনার আল্ট্রা করি তখন ওনার গর্ভে পাঁচ মাসের বাচ্ছা ছিল। তাও একটি নয় দুইটি বাচ্ছা। উনি জানতেন না উনার গর্ভে দুটি বাচ্চা। যেহেতু দুটি বাচ্চা টাই কয়দিন পরপরই চেক আপ এ আসতেন।

আমি প্রথম থেকেই বলে দিয়েছিলাম কোনভাবেই যেন নরমালে চেষ্টা না করেন। কারণ একটা বাচ্ছা পুরো উল্টো ছিল।

নরমাল ডেলিভারি করলে একটা বাচ্চা ভালো থাকলেও আরেকটা বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। প্রত্যেকবার আসলে আমি এই পরামর্শটা দিতাম। আর সতর্ক করে দিতাম।

আমার সাথে রোগীর শেষ দেখা হয়েছিল ডেটের একমাস আগে। তাদেরকে বলে দেই নির্দিষ্ট সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে। এরপর রোগীর সাথে আমার আর কোন দেখা হয়নি।

এর পর দেখা হল নয় মাস পর। রোগীটি আমার চেম্বারে আসলেন তার একটি ছেলে বাচ্ছাকে সাথে নিয়ে। আমি যখন জিজ্ঞেস করলাম আপনার তো আরও একটা ছেলে বাচ্চা ও হওয়ার কথা ছিল ঐ বাচ্ছাটি কোথায়??

এর পরের কাহিনীটি অনেক কষ্টকর ছিল। আমার রোগী সিজার করা নাকি ভয় পান। উনি ভয়ের জন্য হাসপাতালে যাননি। ডেট পর্যন্ত অপেক্ষা করেন বাড়িতে নরমাল ডেলিবাড়ির জন্য।

যখন ব্যথা উঠে প্রথম বাচ্চাটি ডেলিভারি হয়। দুর্ভাগ্যবশত উনার দ্বিতীয় বাচ্চাটি পজিশন উল্টা থাকায় নরমালে আর ডেলিভারি হয়নি। শেষ পরিনতি কি হয়েছে জানেন??

যেই ভয়ের কারণে সিজার করাননি লাস্ট পর্যন্ত সিজারের মাধ্যমে ভেতর থেকে মরা বাচ্চাটি বের করা হয়েছে। আজকে যদি উনি সময়মতো হাসপাতালে গিয়ে সিজার করাতেন দুটি বাচ্ছাই আল্লাহর রহমতে সুস্থ ভাবে জন্ম নিত।

মা-বাবার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে একটি বাচ্চা মা*রা গেল। সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিলে আজ এই দিনটি দেখতে হত না।

~ডা.শারমিন সুলতানা বিথী

একজন ২৩ বছর বয়সী কৃষক মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আক্রান্ত হন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রায় ১৫ মিনিট অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন। জ্ঞা...
30/10/2025

একজন ২৩ বছর বয়সী কৃষক মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আক্রান্ত হন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রায় ১৫ মিনিট অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন। জ্ঞান ফেরার পর তাঁর রক্তচাপ, নাড়ি, শ্বাস—সবকিছুই স্বাভাবিক পাওয়া যায়। শরীরে কোনো গুরুতর আঘাতও ছিল না। তবে আশ্চর্যজনকভাবে তিনি বজ্রপাতের পর ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো কিছুই মনে করতে পারছিলেন না — অর্থাৎ, তাঁর anterograde amnesia হয়েছিল।

ঘাড় ও বুকের ত্বকে দেখা যায় বিশেষ ধরনের দাগ, ঠিক সেই জায়গাগুলোতে যেখানে তিনি একটি ধাতব লকেট পরেছিলেন। বজ্রপাতের সময় লকেটের ধাতব অংশ দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়ে সেখানে ত্বক পুড়ে গিয়েছিল — যাকে বলা হয় thermal contact burn।

তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর রোগী সম্পূর্ণ সুস্থভাবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। তবে এখনো তিনি সেই ঘটনার কিছুই মনে করতে পারেন না; কেবল লকেটের দাগই যেন সেই দিনের একমাত্র স্মৃতি হয়ে আছে।

বজ্রপাত মূলত শরীরের মস্তিষ্ক, হৃদ্‌যন্ত্র ও ত্বক—এই তিনটি সিস্টেমে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। বজ্রপাতের সময় শরীরে থাকা ধাতব বস্তু (চেইন, লকেট, বেল্ট ইত্যাদি) অনেক সময় মারাত্মক দাহ তৈরি করতে পারে।

দুর্বল চিত্রের মানুষদের ছবি জুম করা নিষেধ। সময়টা 2025 হলেও মাঝে মাঝে মনে হয় সেই মান্ধাতার আমলে আছি। নখে ছাই, কালি, চুন...
30/10/2025

দুর্বল চিত্রের মানুষদের ছবি জুম করা নিষেধ। সময়টা 2025 হলেও মাঝে মাঝে মনে হয় সেই মান্ধাতার আমলে আছি। নখে ছাই, কালি, চুন, মাটি, সরিষা মরিচ ইত্যাদি লাগালে ইনফেকশন আরো মারাত্মক আকার ধারণ করবে। বাচ্চার হাতে নখে উঠে গেছে, কিন্তু কি পরিমান ময়লা দেখতেই পাচ্ছেন। যেকোনো সমস্যায় কবিরাজি বাদ দিয়ে নিকটস্থ ডাক্তার দেখাবেন।

শিশুর স্বাস্থ্য পরামর্শ : ডাঃ মেহেদী

"এক্সরে-তে যে ক্যান্সারটা দেখা যাচ্ছিল, দোকানদার সেটা এন্টিবায়োটিক দিয়ে ঢাকতে চেয়েছিল!"ডান ফুসফুসের উপরে গোলাকার একটা ছা...
29/10/2025

"এক্সরে-তে যে ক্যান্সারটা দেখা যাচ্ছিল, দোকানদার সেটা এন্টিবায়োটিক দিয়ে ঢাকতে চেয়েছিল!"

ডান ফুসফুসের উপরে গোলাকার একটা ছায়া।
লাল বৃত্তে ঘেরা সেই অংশটা দেখে আমি থমকে যাই।
রোগী এসেছিলেন
কাশি
বুকে ব্যথা
কফের সাথে রক্ত যাওয়ার অভিযোগ নিয়ে।

আমার অভিজ্ঞতা বলছিল: এটা হতে পারে —
নিউমোনিয়া
টিবি
কিংবা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর — ফুসফুসের ক্যান্সার।

আমি রোগীকে পরীক্ষা করলাম।
প্রাথমিক রক্ত পরীক্ষা,
কফ পরীক্ষা,
GeneXpert করে নিশ্চিত হলাম — টিবি বা নিউমোনিয়া না।

তখন সামনে রইল কেবল একটাই সম্ভাবনা
ফুসফুসের ক্যান্সার।

রোগীর বয়স বেশি।
অনেক বছর ধরে ধূমপায়ী।
ওজন দ্রুত কমেছে।
কাশির সাথে রক্ত যাচ্ছে।

সব মিলিয়ে আমি সন্দেহ করলাম Bronchogenic Carcinoma
পরবর্তী করণীয়: CT-guided FNAC
তারপর রিপোর্ট অনুযায়ী কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি

কিন্তু রোগী শোনেননি আমার কথা।
তিনি বিশ্বাস করেছেন
পাড়ার ফার্মেসির দোকানদারকে
যিনি তাকে ১২০ টাকায় "Oditen 400" দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
বলেছেন
"রিপোর্ট-টিপোর্ট লাগবে না, আমি বুঝি!"
আর হ্যাঁ, আমার নামে দোকানেই কাটা হয়েছে:
“এইসব ডাক্তাররা রিপোর্ট ছাড়া ওষুধ দেয় না, শুধু টেস্ট করায়, খরচ বাড়ায়!”

আজ সন্ধ্যায় রোগীর মেয়ে আমাকে ফোন করে বলল,
"আব্বুর আবার রক্ত গেছে অনেক, আপনি যা বলছিলেন, তাই তো..."

আমি চুপ করে ছিলাম।

আমি আসলে বোকা হয়ে গেছি।
একজন এমবিবিএস গ্র্যাজুয়েট হয়েও
আমি হেরে গেছি সেই দোকানদারের কাছে

যার ডাক্তারি সার্টিফিকেট নেই,
কিন্তু রোগীর ‘আস্থা’ আছে।

আমাদের দেশে মানুষ ক্যান্সার চিকিৎসা নেয় ফার্মেসিতে,
আর প্রফেসরের প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসে এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে ব্যাখ্যার জন্য!

কি অদ্ভুত জাতি আমরা!

ডাক্তারদের গালি দিলে মনের জ্বালা কমে, বুঝি।
কিন্তু ভুল চিকিৎসায় মরে গেলে, সেই ডাক্তার আর কিছু করতে পারে না।

আর তখন কান্নাটা শুধুই আপনার হয়।

শেয়ার করুন, যাতে কেউ অন্তত সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়।

কেস সামারি : ডা: আহমেদ জুবায়ের

লেখা :
Dr-Abdur Rahman

Address

Pirgachha
Dhaka

Telephone

+8801768888999

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শিশু চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান বাঁধন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to শিশু চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান বাঁধন:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category