Tele Visit

Tele Visit telemedicine corner for women

02/10/2020

★ যারা সিজারিয়ান ডেলিভারি পরবর্তী বেবি নরমাল ডেলিভারি চেষ্টা করতে চান, তাদের উদ্দেশ্যে সচেতনতা মূলক এই লেখা ★

৬ বছর আগে রোগীর প্রথম ডেলিভারী হয়েছিল সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে। এরপর তার দ্বিতীয় ডেলিভারী হয় নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে।ডেলিভারীর পর পর তাকে কয়েক ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছিল। এরপর রোগীর কোন জটিলতা না থাকায় তাকে ছুটি দেয়া হয়েছিল।

কিছুদিন পর আবার অতিরিক্ত রক্তক্ষরন নিয়ে রোগী ভর্তি হন আমাদের কোভিড ইউনিট এ। এবার ও তাকে কয়েক ব্যাগ রক্ত, ভালো এন্টিবায়োটিক দেয়া হয় এবং জরায়ুর ভিতর কিছু রয়ে গিয়েছে কি না দেখার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফী করা হয়েছিল, সাথে রক্তপাত বন্ধ হওয়ার চিকিৎসা।

আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট নরমাল ছিল।
আমার কোভিড ডিউটির সময় যখন রোগীকে পেলাম তখন দেখলাম রোগীর রক্তপাত খুব একটা নেই, শুধু হিমোগ্লোবিন কম।
আমরা তাই রোগীর অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি রক্ত দিয়ে যাচ্ছিলাম।
১৬/০৭/২০ তারিখ ভোর ৪ টায় আমার একজন রেজিস্ট্রার ডিউটি ডাক্তার আমাকে ফোন এ জানালো রোগীর আবার ও প্রচুর রক্তপাত হচ্ছে।
আমি রোগীকে রক্ত এবং আনুষঙ্গিক সব চিকিৎসা দিতে বললাম আর অপারেশনের জন্য রোগীকে রেডি করতে বললাম।

রোগীর পি ভি(যোনিপথ পরীক্ষা) করে দেখলাম জরায়ুর মুখ অনেকটা খোলা এবং রক্তের চাকার সাথে জরায়ুর ছোট টিসু খসে খসে আসছে।
যদিও আমার টিমের তখনকার ডিউটি ডাক্তার রা বলছিলো.....
" ম্যাডাম রোগীর আরেকবার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে দেখে নিলে হয় না ভিতরে কিছু আছে কি না?"

আমি বললাম না।
আর অপেক্ষা করা যাবে না।
কারণ আমার পূর্ব অভিজ্ঞতায় এর আগে যেগুলো রোগীর আগে সিজারিয়ান এর ইতিহাস ছিল এবং পরে কয়েক এপিসোড ব্লিডিং নিয়ে বারবার ভর্তি হয়েছে সবার অপারেশন করে দেখা গেছে তাদের জরায়ুর সিজারিয়ান এর আগের সেলাই এ ইনফেকশন হয়ে ফেটে গিয়ে জরায়ু খোলা হয়ে আছে!
সেখানেই কোনো না কোনো রক্তনালী ফেটে যেয়ে হয়ে বারবার ব্লিডিং হয়।

অপারেশনের টেবিলে রোগীকে তোলার পর রোগী আমাকে বলতে লাগলো,
"ম্যাডাম আমাকে বাঁচান!
এতদিন ধরে এই ভোগান্তি আমি আর সহ্য করতে পারতেসি না।"
যথারীতি জেনারেল এনেস্থসিয়া দেয়ার পর পি ভি পরীক্ষা করার পর মনে হলো জরায়ুর আগের সেলাই খুলে আছে!

পেট খোলার পর দেখা গেল ব্লাডার(মূত্রথলি) জরায়ুর অনেক উপরে লাগানো!
জরায়ুর পেছনে ইন্টেস্টাইন(নাড়ি ভুড়ির অংশ) ও অনেক অংশ লাগানো।
তখন ও বুঝতে পারছিলাম না সামনে আমার জন্য কী অপেক্ষা করছিল কারণ তখন ও জরায়ুর খোলা অংশ আমার গোচরীভুত হয়নি!

অনেক সাবধানে ও কষ্টে ব্লাডার জরায়ু থেকে আলাদা করার সময়ে দেখলাম জরায়ুর আগের সেলাই এর অংশ ছিন্নভিন্ন অবস্থা এবং ওখানে অনেকটা অংশে টিসু ধরামাত্র খসে খসে আসছে এবং প্রচন্ড ব্লিডিং হচ্ছে!
শেষ পর্যন্ত আমি আর আমার এসিসটেন্ট মিলে ডিসিশন নিলাম জরায়ু কেটে ফেলার।
রোগীর এবং রোগীর স্বামীর কাছ থেকে আগেই আমরা অনুমতি নিয়ে নিয়েছিলাম।

এই জটিল অপারেশন টি নির্বিঘ্নে করে রোগীকে সুস্থভাবে বাড়ি ফেরানো গেছে।
কিন্তু,
অসচেতনতার কারনে বহু মেয়েরাই বাড়িতে কিম্বা অনভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে "সিজারিয়ান পরবর্তী নরমাল ডেলিভারি চেষ্টা" করে, যা তার জীবনের জন্য ঝুকিপূর্ণ হতে পারে... ধারনাই রাখে না!

আশা করি,
মেয়েরা সচেতন হবেন।
শুভকামনা।

(কৃতজ্ঞতাঃ
মেডাম রুশদানা রহমান তমা
সহকারী অধ্যাপক
গাইনী বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ)

17/09/2020

বাচ্চাকে এটেনশন দেওয়া এবং কোয়ালিটি টাইম দেওয়া এক জিনিস না।
আমি সবসময় সমস্ত অভিভাবককে শেখাই যে আপনার শিশুর জন্য কোয়ালিটি টাইম, এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন উদ্দেশ্যে আপনি দিবেন।যেটা দীর্ঘমেয়াদী আপনার শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্টের জন্য ভাল।কিন্তু particularly আমি যখন focus করছি তার রাগে, জিদে বা এই শিশুটি যেন অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ কম করে তাহলে তাকে আমার positive attention দিতে হবে।
সন্তানদের মানসিক বিকাশের জন্য অভিভাবক হিসেবে তাদেরকে সময় দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।এখন এই সময় দেওয়াটা বলতে আমরা শুধু quality time কে বুঝি।quality time আপনার বাচ্চাকে দিতেই হবে। এটা আপনার শিশুর সাথে অসম্ভব সুন্দর একটা connection হবে।সেটা দিনের ৩০ মিনিট অথবা দেড় ঘন্টারও হতে পারে।
কিন্তু আমি আপনাদেরকে বোঝাতে চাচ্ছি যে আমাদের সন্তানদের জন্য শুধুমাত্র quality time টাই যথেষ্ট না।শুধুমাত্র quality time দিয়ে আমাদের শিশুদের অনেক misbehaviour আমরা আটকাতে পারব না।
আমাদের শিশুরা বিভিন্ন সময় আমাদের সাথে সেই interact টা করে।ছোট একটা পাতা নিয়ে আপনার কাছে ছুটে আসে।বলে 'মা মা, দেখ পাতা'।সে আকাশে একটা প্লেন দেখেছে প্রথমবারের মত।আপনাকে বলতে চাইবে।
এই যে অসংখ্য প্রশ্ন শিশুদের মাথায় আছে, এই প্রশ্নগুলো শিশুরা শুধু ঐ quality time এর সময়ে শিশুটি কাগজে লিখে রাখবে,। আপনাকে একটার পর একটা জিজ্ঞেস করবে আর আপনি উত্তর দিবেন।ব্যাপারটা এভাবে কাজ করবে না।
শিশুর মাথায় একটা করে প্রশ্ন আসে আর ও ছুটে আপনার কাছে আসে বা ওর কিছু জানার থাকে।আপনার শিশু সারাদিন অনেক বার নিজে থেকে আপনার সাথে interact করতে আসে সেটা যে কেউ হতে পারে দাদী বা নানীর সাথেও।
আপনার শিশু সারাদিন কতটুকু দুষ্টামি করবে বা কতটুকু misbehaviour করবে এর অনেক বড় একটা প্যারামিটার হবে এটাই যে তার মনের ভিতরে যত প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর আমরা দেই কিনা।
প্রতিবার শিশুটি যখন ছুটে আমার কাছে এসে বলছে -- 'মা মা, দেখ পাতা'।আমি আমার হাতের কাজ থামিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আমি বলি কিনা, 'হ্যাঁ বল, কোথা থেকে নিয়ে এসেছ অথবা যেকোনো একটা ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন করা।
এখন আমাদের শিশুদের বেলায় কী হয়। আমরা প্রত্যেকে যখন নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকি, আমরা এই ছোট ছোট genuine encounter অর্থাৎ আপনার শিশু নিজে থেকে আপনার সাথে যে interaction করতে চাচ্ছে, আমরা এটার গুরুত্ব দেই না।
শিশুটি আপনার কাছে আসে, আপনি আপনার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন অথবা বলছেন, 'একটু পরে আসো'।এই শিশুটি অন্য একজনের কাছে প্রশ্ন নিয়ে যায়।সেখান থেকেও বলা হয়, 'এখন না, পরে আসো'।বা আমরা অনেক সময় বুঝিও না শিশুরা আমাদের সাথে interact করতে চেয়েছে।কিন্তু আমরা তার দিকে তাকালাম না। তখন হয়তো আপনি মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত অথবা অন্য কিছু একটা করছিলেন।
তখন আমরা তার প্রশ্নের উত্তরগুলো দেই না।আপনার শিশুর যত un-answered question থাকবে, যত আপনার শিশু নিজে থেকে আপনার সাথে interact করতে এসে রিপ্লাইগুলো পাবে না, তত আপনার শিশুর ভিতরে অস্বস্তি তৈরি হবে এবং আপনার শিশু একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর ঘরের মধ্যে inappropriate আচরণ করা শুরু করবে।
সে চিৎকার করা শুরু করবে, মাটিতে গড়াগড়ি খাবে -- এই কাজগুলো আরো অনেক কারণে হতে পারে।কিন্তু এর একটা important জায়গা হচ্ছে আপনার শিশু যেই পরিমাণ attention চাচ্ছে সেটা আমরা দেই না।
আপনি যদি মনে করেন কোয়ালিটি টাইম দিলে সে চিৎকার, চেঁচামেচি, গড়াগড়ি করবে না তাহলে এটা ভুল।‌আমাদের এটা ভাবলে হবে না যে, একটা শিশুকে যদি আমি ১ ঘণ্টা/দেড় ঘণ্টা quality time দেই তাহলে তার সাথে আমার সম্পর্ক ভালো যাবে অথবা আমার শিশু সারাদিন কোনো দুষ্টামি করবে না।
আমাদের শিশুরা প্রত্যেকে 100% attention seeker. আমাদের প্রতিটি শিশু আমার, আপনার অখন্ড মনোযোগ চায়।সে চায় যে আমার বাবা আমার সামনে বসে থাকুক।তার হাতে মোবাইল না থাকুক, সে চায় মা আমার সাথে কথা বলুক, চোখে চোখ রেখে কথা বলুক।
এখন আসি তারা আমাদের সাথে যখন ইন্টারনেক্ট করতে চাইবে তখন আমরা কীভাবে ইন্টারনেক্ট করবো - এই ব্যাপারটাতে।‌
যখন আপনার বাচ্চা আপনার সাথে ইন্টারেকশনে আসবে তখন আপনার প্রথম কাজ হবে আপনার হাতের কাজ থামানো। হয়তো আপনি ল্যাপটপে আছেন অথবা রান্না করবেন। তখন আপনার একটা body gesture তৈরি করা যাতে সে যেন বুঝে যে আপনি তার উপস্থিতিকে মূল্যায়ন করছেন।
আপনার তখন উচিত হবে ল্যাপটপটা বন্ধ করা অথবা চুলাটা কিছুক্ষণ অফ রাখা। আপনার এই আচরণে সে বুঝে যে তাকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।তারা চায় যে তাদের কথা কেউ শুনুক। আমরা তাকে বুঝাবো যে,আমি তোমার কথা শুনছি। হ্যাঁ, তুমি ওয়েলকামিং।
এরপরের স্টেপ হবে আমার মাথাটা ঘুরিয়ে তার চোখ এবং আপনার চোখকে একই আই লেভেলে রাখা।যখন আমরা তাদের চোখে চোখ রেখে কথা বলি তখন আমাদের বাচ্চারা খুব সিকিউরড ফিল করে এবং আমরা তার নাম ধরে তার সাথে কথা বলব।
এতে সে আশ্বস্ত হয় যে আমি তাকে এটেনশন দিচ্ছি।
তারপর সে হয়তো কিছু সিলি কথা বলবে যেগুলো আমাদের জন্য খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না অথবা মেক সেন্স করে না। কিন্তু আপনি আপনার মধ্যে এমন একটা ভাব আনবেন যেন আপনি তার কথাগুলি খুব মন দিয়ে শুনছেন।
এরপর যেটা করবো সেটা হল কিছু ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন করা।তার করা প্রশ্নের সাথে কিছু কথা বলা, আগ্রহ দেখানো।সে হয়তো কিছু একটা ড্রয়িং করেছে।আপনি বলতে পারেন, 'ওয়াও!পিংক কালার, আরেক এটাতো আমার ফেবারিট কালার'।যাতে সে বুঝে যে তার বাবা/মা তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
এভাবে তাদের সাথে ইন্টারেকশন করলে, তাদের এটেনশন দিলে দেখা যাবে তাদের কিছু inappropriate আচরণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
© Dr. Shusama Reza

01/09/2020

বাচ্চাদের গরুর দুধ কখন দেয়া যায়? এবং বাচ্চাদের যত্ন-

বাংলাদেশী টেক্সট বইয়ে হয়ত বলে, দুবছরে। হয়ত তারা এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং মাথায় রেখে এই রেকমেন্ডেশন দিয়েছে।

তবে সত্যি হোল, ১২ মাস হলেই ফুলক্রিম গরুর দুধ বাচ্চাদের দেবেন।

এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিংয়ে বাচ্চারা সব ভাইটামিন পায় না। স্পেশালী ভিটামিন ডি। এর জন্য ব্রেস্টফিড বাচ্চাদের ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দেয়া লাগে।

চার মাস বয়স থেকে উইনিং শুরু করা যায়। ছয় মাসে অবশ্যই রেগুলার পিউরি দেবেন। এ সময়ে হয়ত ততটা দুধ খাবে না, সেটা নরমাল।

ফ্রুটস দিয়ে শুরু করলে, ভেজিটেবল খেতে চাবে না।

ক্যারট নয় মাসের আগে দেয়া যাবে না।

ভাত, চিকেন, মাছ, ডাল, শব্জীর খিচুড়ি চার মাস থেকে পিউরি করে দিতে পারেন।

এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং যারা করতে চান, ভাল। ফর্মূলা মিল্কে বাচ্চাদের দরকারী সবকিছু মিক্স করা থাকে, তাই মন খারাপের কিছু নাই যদি পর্যাপ্ত ব্রেস্ট মিল্ক না সাপ্লায় থাকে। কোন মাকে তা নিয়ে শেম দেবার ও কিছু নাই। মন খারাপেরও কিছু নাই।

বাচ্চা হলে, নাওয়া খাওয়ার সময় পাবেন না, তাই বাচ্চার ঘুমের সাথে ঘুমিয়ে নেবেন।

বাচ্চাদের ২-৩ ঘন্টা পর পর খেতে দেবেন, রাতেও। স্পেশালী প্রথম ১২ মাস। হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়ে যেতে পারে নয়ত। কেউ কেউ মোর ফ্রিকুয়েন্ট খায়, তবে ১ ঘন্টার আগে নয়।

বড় হতে থাকলে, খাওয়া কমে যায়, জোর করবেন না! যদি মনে হয় কম খাচ্ছে। টাইমলি ফিড করবেন, ব্রেকফাস্ট, লান্চ, ডিনার, দুটো সন্যাক্স ইন বিটুইন। ভাজি, মিস্টি জাতীয় খাবার দেবেন না, স্পেশালী খাবারের আগে- তাতে ক্ষুধা কমে যাবে।

উইন করার সময়, দু তিন দির পর পর নতুন কিছু এড করবেন- নয়ত বুঝতে পারবেন না, খাবারে এলার্জি আছে কিনা।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, বাচ্চারা খিটখিটে আচরন করে। তাদের ৮-৯ টায়, ঘুমাতে পাঠান। ৮-১০ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন এদের। আর নতুন বাচ্চারা দিনের ২০-২১ ঘন্টাই ঘুমায়।

জুস এভয়েড করুন। যদি দিতেই হয় আট আউন্সের বেশী নয় বড় বাচ্চাদের জন্য।

পানি দরকার নেই চার থেকে ছমাস পর্যন্ত- দুধ থেকেই পর্যাপ্ত পায়।

বার্প করানো খুব গুরুত্বপূর্ন, দুধ খাবার পর। এক্সারসাইজ ও খুব দরকারী, কোলিক বেবীদের জন্য।

নিজেদের খাওয়া এবং ঘুমের দিকেও নজর দিন এ সময়- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন, ডিম, মাছ, চিকেন। প্রচুর শব্জী এবং পানি। বাচ্চা নিয়ে পারলে হাটতে যাবেন, দু বেলা ৩০ মিনিট করে। এটি দুজনের জন্যই রিলাক্সিং।

শারমীন বানু আনাম, এম ডি
M-33

04/08/2020

আসসালামু আলাইকুম।
করোনাকালীন সময়ে সবাই এখন কম বেশি জানেন পালস অক্সিমিটারের নাম এবং প্রয়োজনীয়তা।অক্সিজেন স্যাচুরেশান দ্রুত চেক করতে সবাই মোটামুটি এটি কিনে রাখছেন।
আজকে আপনাদের জানাব আরো একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসের কথা যা সম্পর্কে অনেকেই জানি না।
আর তা হল Respirometer.
করোনা আক্রান্ত রোগির জন্য এটার গুরুত্ব অনেক।এটা রোগির respiration improve করা ও Oxygen saturation high রাখতে সাহায্য করে ইন শা আল্লাহ।
আশেপাশের ফারমেসিতে পেয়ে যাবেন সহজেই।
ব্যবহারের নিয়ম ও প্যাকেটের গায়েই লেখা থাকে।
সামান্য একটু প্রাকটিসের অভাবে অনেক রোগিই দ্রুত খারাপ হয়ে যান।তাই কারো বাসায় বা পরিচিত করোনাভাইরাস আক্রান্ত কেউ থাকলে একটি respirometer কিনতে ভুলবেন না ইন শা আল্লাহ।
কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
Everyone stay safe in shaa Allah.

15/07/2020

....আমাদের সাইকিয়াট্রিতে মা সহ এক আপু এসেছে।চেহারা দেখে মনে হলো বড়জোড় ইন্টার পড়ুয়া।কিন্তু আপু বেশ সিনিয়র।এবারের বিসিএস রিটেন পরীক্ষার্থী।
একটা প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে এমবিএ করা।
চেহারা সাদাসিধে,তেমন কোন বিশেষত্ব নেই।কিন্তু এই চেহারার ভেতরে লুকিয়ে রেখেছে ভয়ংকর একটা অসুখ।
বেশ অদ্ভূত রকম অসুখ।
সে কোন রাতে ঘুমাতে পারে না।সারা রাত বসে কাটিয়ে দেয়।কোন বই পড়া না,কোন টিভি দেখা না,কারো সাথে না....স্ট্রেইট এক বসায় পুরো রাত পার হয়।
এভাবেই চলছে রাতের পর রাত।
শেষ একমাসে চার বার অজ্ঞান হওয়ার কারণে ডাক্তারের কাছে আসে।মেডিসিনের ডাক্তার দয়াবশত সাইকিয়াট্রিতে রেফার্ড করেছেন।
দয়াবশত বললাম কারণ এদেশের ডাক্তারদের মধ্যে অন্য ডিপার্টমেন্টে রেফার্ড করার টেন্ডেন্সি কম।
সব রোগী একাই খেতে চান।...স্যার আপুকে সমস্যা বলতে বললেন।
তিনি মাথা নিচু করে বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে রইল।
তারপর বেশ গুছিয়ে কথা বলা শুরু করল।
সমস্যার শুরুটা বেশ অদ্ভূত।
দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট।
পরিবারের সবাই বেড়ে উঠার বয়সে বলাবলি করত তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল থেকে কুড়িয়ে পেয়েছে।আমাদের আরো ৮-১০ টা পরিবারে বাচ্চাদের সাথে যেরকম মজা করা ঠিক সেরকমই।
অদ্ভূতভাবে এই কথাটা তার মাথায় চিরস্থায়ী হয়ে গেল।সে প্রতিটা মুহুর্তে আবিষ্কার করল তাকে অবহেলা করা হয়।কুড়িয়ে পাওয়া মেয়ে বলে আদর কম পাচ্ছে।
বড় হয়ে যখন সবকিছু বুঝতে পারল তখনও ব্যাপাটা মাথা থেকে বের হয়নি।কুড়িয়ে না পাওয়া ব্যাপারে নিশ্চিত হলেও অনাদরের ব্যাপারটা চিরস্থায়ী প্রভাব ফেলে দিল।
এই প্রভাবটা তার জীবনে কাল হয়ে গেল।
চরম মাত্রায় এগ্রেসিভ স্বভাব গড়ে উঠল।আস্তে আস্তে ঘুম চলে গেল।
সবকিছুই ঘটল পরিবারের সদস্যদের অজান্তে।
আপু বলল,ওরা সবসময় আমার দুর্বল পয়েন্ট মানুষের কাছে তুলে ধরত।আমি স্বভাবে গাধা,কোন কাজ পারি না ইত্যাদি,ইত্যাদি।অথচ আমি মোটেই গাধা না।
আমার লেট মেন্সট্রেশন নিয়ে আত্মীয় স্বজনের সাথে টিটকারী করত।আমি তখন ইন্টারে পড়ি।আমার লজ্জার ব্যাপারটা বুঝতে চাইত না।...কথা বলার এক পর্যায়ে আপু চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করে দিল।
-আমার মা আমাকে কোনদিন ভালোবাসেনি।তার সব ভালোবাসা তার বড় মেয়ের জন্য!
পাশে বসা মা চিৎকার করে পাল্টা কান্না জুড়লেন
-তুই এসব কি বলিস রে মা!তোরে আমি পেটে ধরছি না!!
স্যারকে বললেন,স্যার বিশ্বাস করেন ও সব ভুল বলছে।ওরে আমি অসম্ভব ভালোবাসি।..স্যার চুপ করে শুনছেন।আমি বেশ অস্বস্তি নিয়ে বসে আছি।স্যারের সাথে গল্প করতে গিয়ে ধরা খেলাম। এরকম অবস্থায় আর কখনো পড়িনি।
স্যার কাউন্সিলিং করলেন।
মা মেয়ে দুজনকেই বুঝালেন।দুজনেই ঘন ঘন চোখ মুছল।
ফ্যাচ ফোচ শব্দে কান্না ঘন্টাখানেক ধরে চলতে থাকল।..আপনার কাছে পুরো ব্যাপারটাকে ন্যাকামী মনে হতে পারে।সামান্য একটা ইয়ার্কির জন্য একটা মেয়ে এরকম কেন করবে সেটা ভেবে বিরক্তিবোধ করতে পারেন।
কিন্তু বাস্তবতা একটু অন্যরকম।
চাইল্ড সাইকোলজি একটা বড় বিষয়।শিশুমন খুব সেন্সেটিভ জায়গা।ঐ সময় সামান্য আনন্দ মানে সারা জীবনের আনন্দ,সামান্য কষ্ট মানে সারা জীবনের কষ্ট....ঐ সময়কার কোন ঘটনার ছাপ সারা জীবনেও তোলা সম্ভব হয়না।
শিশু বয়সের অবহেলা পরবর্তী জীবনে অনেক মানুষকে ভয়ানক এগ্রেসিভ করে তুলে।
পৃথিবীর ভয়ংকর সব মানুষদের শিশু বয়স নিয়ে স্ট্যাডী করলেই এই ব্যাপারটা বের হয়ে আসবে।...শিশুদের মানসিক অবস্থা নিয়ে আমরা কেউ ভাবিনা।
খাওয়া দাওয়া করিয়ে নাদুস নুদুস করাতেই আমাদের সব শ্রম,সব তৃপ্তি।
এই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবুন।
আপনার কোন অযাচিত আচরণের দাগ সারা জীবনেও কাটবেনা।
আপনার সামান্য একটা ভুলের কারণে সারা জীবন সে আপনাকে ঘৃণা করবে।
ভুলেও একটা শিশুর দুর্বলতা বা কোন লজ্জার বিষয় তার সামনে অন্য কারো কাছে বলে মজা নিতে যাবেন।একটা শিশু ঐ সময় আপনাকে হয়তো কিছু বলবে না,কিন্তু সারা জীবন সে আপনাকে অপছন্দ করবে।...অবহেলা ভয়ানক জিনিষ।
মানুষ সব সইতে পারে,অবহেলা সইতে পারেনা।
অবহেলা মানুষকে নষ্ট করেরে,অবহেলা মানুষকে ভেঙে ফেলে,অবহেলা মানুষকে এগ্রেসিভ করে।
শুরুতে করা একটু অবহেলা বাকি সারা জীবনের ভালোবাসাকে তুচ্ছ করে দেয়য়।
আবার সারা জীবনের ভালোবাসা তুচ্ছ হয়ে যায় শেষ সময়ের অবহেলায়।
যতবড় আপনই হোক,অবহেলার কোন ক্ষমা হয়না।
আসুন......বুঝতে শিখি।

-collected

03/07/2020

হৃদরোগ প্রতিরোধ ও কিছু উপদেশ

বিশ্বব্যপী হৃদরোগ এবং স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ মৃত্যুর প্রধান কারণ। সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর প্রায় এক কোটি ঊনআশি লক্ষ লােক হৃদরোগ এবং স্ট্রোকে মারা যায় এবং এর মাঝে ৮২ শতাংশ মানুষই নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে বসবাস করে। অনুমান করা হচ্ছে আগামী ২০৩০ সালে এই সংখ্যা দুই কোটি ছত্রিশ লক্ষ পর্যন্ত বাড়তে পারে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে এই রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। জনসাধারণের মধ্যে হৃদরােগের কারণ ও ঝুঁকিসমূহের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে হৃদরোগ ও স্ট্রোকে মৃত্যুর হার শতকরা ২৫ ভাগ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগ সারা বিশ্বের মানুষকে দীর্ঘদিন উন্নত ও সুস্থ হার্ট নিয়ে বেঁচে থাকতে সহযোগিতা করতে পারে। আমাদের সমাজ প্রায়শই ব্যক্তিগত দোষারোপে ব্যস্ত- 'তুমি ধূমপান কর', 'তুমি অধিক খাও', 'তুমি ব্যায়াম কর না!' কিন্তু আমরা যে পরিবেশে থাকি, কাজ করি বা খেলাধুলা করি সুস্থ হার্টের জন্য সঠিক পন্থা নির্ধারণে তার বিরাট প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান শহুরে পরিবেশ আমাদের জীবনযাত্রার এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিবেশগত ফাঁদে আমরা আবদ্ধ হয়ে পড়েছি, যেমন -

১। মুক্ত আলো বাতাসের অভাব
২। শিশুদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের অভাব
৩। যত্রতত্র ধূমপান
৪‌ | ফাস্টফুডের আধিক্য এবং
৫। পরোক্ষ ধূমপানের পরিবেশ।

প্রত্যেক মানুষ যেখানে সে থাকে, কাজ করে বা খেলাধুলা করে সেখানেই তার সুস্থ হার্ট নিয়ে বাঁচার অধিকার আছে। তাই বর্তমান বৈশ্বিক মহামারির মাঝে ব্যক্তিগত অবস্থানে অর্থাৎ ঘরে থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে, সুস্থ হার্ট নিয়ে বেশী দিন বাঁচার তাগিদে। আসুন জেনে নেওয়া যাক হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানাের জন্য আমরা কি কি করতে পারি?

১। বাড়ীতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রাখুন : স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের মধ্যে শাক সবজি, ফলমূল, শস্য জাতীয় পণ্য, চর্বিবিহীন দ্রব্য, অসম্পৃক্ত কোমল মার্জারিন, সূর্যমূখী, ভুট্টা,তিল, সরিষা এবং জলপাই এর তেল।

২। ধূমপান বর্জন :বাড়ীতে ধূমপান পরিহার করলে আপনার নিজের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আপনার পরিবারের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। ধূমপান বর্জন করলে বা ছেড়ে দিলে রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা কম থাকে, রক্ত তরল থাকে এবং হঠাৎ ধমনী বন্ধ হয়ে যাওয়া রােধ করে।

৩। পরিশ্রমী হােন : ঘরে বসে বসে টেলিভিশন দেখা বা মোবাইল - ফেইসবুক নিয়ে সারাদিন বসে থাকার অভ্যাস পরিহার করতে হবে। সম্ভব হলে কিছু গৃহস্থালি কাজ করুন। ঘরের ভিতরে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করুন।

৪। হৃদরােগের ঝুঁকিগুলি জানুন :

(ক) যাদের কোমর বা শরীরের নিম্নভাগে/পশ্চাৎদেশ চর্বি বা মেদ জমে তাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি অধিক। নাভির ঠিক উপরে কোমর বরাবর মাপ নিয়ে কোন পুরুষের ৩৭ ইঞ্চি এবং মহিলার ৩২ ইঞ্চির বেশী পাওয়া গেলে তার মধ্যে চর্বির মাত্রা অধিক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে।

(খ) আজকাল মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে হৃদরােগের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানা কঠিন কিছু নয়। যেমন-উচ্চ রক্তচাপ (রক্তচাপ যদি ১৪০/৯০ মি.মি. পারদ বা এর উপরে থাকে তবে একে উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে ধরা হয়), রক্তে কোলেস্টেরলের আধিক্য, রক্তে শর্করার আধিক্য, আপনার ওজন, Body Mass Index সম্পর্কে জানুন এবং ঝুঁকি কমানাের জন্য প্রয়োজেনবােধে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের উপদেশ এবং প্রয়ােজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করা যেতে পারে।

(গ) ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করুন -
১। স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের শারীরিক শিক্ষার প্রতি যত্নবান হােন। বাসায় বসে যেন তারা কিছু ব্যায়াম করে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
২। হাঁটাহাটি এবং ব্যায়ামের জন্য নিরাপদ স্থান, যেমন বাড়ির ছাদ বা উঠান বাছাই করুন।
৩। স্বাস্থ্যসম্মত ও সুষম খাবার সামর্থ্য অনুযায়ী গ্রহণ করুন।
৪। ধুমপান বর্জন করুন।

মনে রাখবেন “দশের লাঠি একের বোঝা” এই প্রবাদ বাক্যটি হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ । পরিশেষে বলা যায়, হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে চাইলে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কারণগুলাে জেনে নিয়ে সেই মোতাবেক কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য সচেষ্ট হতে হবে। তবে কারো যদি হৃদরোগ হয়েই থাকে তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। বাংলাদেশে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে হৃদরোগের সকল প্রকার আধুনিক চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা নিয়মিত হচ্ছে। এছাড়াও টেলিযোগাযোগের মাধ্যমেও আজকাল অনেকক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য পরামর্শ নেওয়া সম্ভব।

collected post

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tele Visit posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category