Sunnah Cure

Sunnah Cure সুন্নাহ কিউর: রাসূল সাঃ এর নির্দেশিত চিকিৎসা পদ্ধতির আলোকে জ্বীন জাদু বদনজর ও এ সংক্রান্ত শারীরিক মানসিক সমস্যার চিকিৎসার বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান

28/10/2025

জ্বীন-জাদুর রোগীদের কি অদ্ভুত সমস্যা!

খিলগাঁও গোড়ান এ এক পেশেন্ট দুই তিন মাসেও গোসল করতেন না, পরিবারের লোকজন জোর করে গোসল করাতেন।

এরকম আরো অনেক পেশেন্ট আছে।

আফতাবনগরের এক ভাই নিজেকে প্রায় ঘরবন্দি করে ফেলেছেন। ৫ মাস ধরে ঘর থেকে বের হন না। আজকের রুকইয়াহ সেশনের জন্য বের হওয়া সহ মোট তিনবার বের হয়েছেন।

আজকে আরেক পেশেন্ট এসেছিলেন একমাস ধরে নরমাল ঘুম নেই, চোখে ঘুমঘুম ভাব সবসময় থাকে কিন্তু ঘুম হয়না, রাতে একদমই না। আবার একমাত্র খাওয়াও নেই, মাঝেমধ্যে শুধু ফল খেয়ে থাকেন।

রুকইয়াহ'র সময় জ্বীন এক্টিভ হয়ে বলল আমিই ঘুমাতে দেইনা, খেতে দেইনা, আর যা খায় তা আমিও খেয়ে ফেলি!

28/10/2025

আশিক জ্বীন চেতে গেছে

28/10/2025

রাকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।
আমাদের সেন্টারে রাকি হিসেবে যুক্ত হতে চাইলে জিমেইল এ বায়োডাটা প্রেরণ করুন।

আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তাআলা সকল সমস্যা সমাধান করুন আমীন
28/10/2025

আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তাআলা সকল সমস্যা সমাধান করুন আমীন

আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলা সবাইকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন আমীন
28/10/2025

আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহ তাআলা সবাইকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন আমীন

27/10/2025

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে "আশিক জ্বীন ধ্বংসের এবং আশিক জ্বীন থেকে মুক্তির" গুরুত্বপূর্ণ ৪ টা অডিও আছে 👇👇

27/10/2025

এক সেশনেই আশিক জ্বীন বের হয়ে যায়, আলহামদুলিল্লাহ। শুনুন জ্বীনের জবানবন্দি

আজকে এপয়েন্টমেন্ট ছিল এক ডাক্তার আপুর। যথাসময়ে সেন্টারে উপস্থিত হন। সমস্যা হচ্ছে— অনেক দিন ধরে বিয়ের চেষ্টা করলেও প্রস্তাব আসে না, এলে আগায় না। পাত্রপক্ষ যেদিন দেখতে আসবে সেদিন মুখে হঠাৎ ব্রণ বা চেহারা নষ্ট হয়ে যায়। হতাশা, অনাগ্রহ, এবং কোনো না কোনো কারণে বিয়ে ভেঙে যায়। গত এক মাস ধরে নতুন প্রস্তাবের পর থেকে শুরু হয়েছে— পুরো শরীর ব্যথা, জয়েন্ট ও মাসল পেইন, প্রচণ্ড গ্যাস, জ্বর (কিন্তু থার্মোমিটারে না ওঠা), অতিরিক্ত চুল পড়া, মানসিক চাপ ও পড়াশোনায় অমনোযোগ।

বিস্তারিত সমস্যা শুনে রুকইয়াহ শুরু করলাম। সমস্যা শুনেই মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম যে খবিস (আশিক) জ্বীনের সমস্যা আছে। কিন্তু এক ঘন্টা রুকইয়াহ করার পরও তেমন প্রতিক্রিয়া বা ইফেক্ট দেখা যায় নি। শুধু দুই হাতে শিরশির করলো আর সামান্য মাথা ঘুরানোর মতো লাগলো। এরপর ১৫ মিনিটের মতো রুকইয়াহ করার পর বাম দিকে সামান্য হেলে যাওয়ার মাধ্যমে ইফেক্ট শুরু হয়। একপর্যায়ে প্রচন্ড কান্না শুরু হয় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন।

পেশেন্টের মা ধরে বসিয়ে রাখার চেষ্টা করলেন। যদিও এমনটি করতে নিষেধ করছিলাম। একটু পরেই আশিক জ্বীন শয়তান এক্টিভ হয় এবং প্রচন্ড কান্না করতে থাকে, আবার একটু পরপর প্রচুর পরিমাণে হাসতে থাকে। জিজ্ঞেস করলাম কেন আসছিস। বলল জানি না আমি কেন আসছি। বললাম তোর খবর হবে, বলতেই কান্না করা শুরু করলো।

তিলাওয়াত শুরু করলাম, এক পর্যায়ে আমাকে বলতে লাগল ওই থাম, থাম বলছি! আমি যাবো না। কিন্তু আমি রুকইয়াহ চালিয়ে যেতে থাকলাম, কিছুক্ষণ পর নিজে থেকেই সব বলা শুরু করলো কেন আসছে, কিভাবে আসছে, কখন আসছে ইত্যাদি।

আরো কিছুক্ষণ রুকইয়াহ করার পর বললাম এবার বল কি বলেছিস এতক্ষণ এবং কেন আসছিস বা কি সমস্যা। তখন সেই জ্বীন শয়তান যা বলল সেগুলো হচ্ছে —

ও ছোট বেলায় বাহিরে একা খেলতেছিল, তখন ওরে দেখে আমার ভালো লাগলো। এরপর থেকে ওরে আমার ভালো লাগে। এরপর ওর পাশে কোনো ছেলেকেই সহ্য করতে পারিনা, যে ছেলেকেই দেখেছি সরাসরি কিছু করি নাই কিন্তু এমনভাবে কিছু করে দিয়েছি যেন কোনো ছেলে ধারেকাছে না আসে। এখন যে বিয়ের কথা চলতেছে সেই ছেলের মায়ের মনে অনেক উল্টাপাল্টা বলছি, অনেক কুমন্ত্রণা দিয়েছি।

আমি চাই ও অনেক পড়াশুনা করুক, ক্যারিয়ার গড়ুক, অনেক বড় ডাক্তার হোক, আয়িও ইসলামের পথে চলি, কিন্তু বাইরের কোনো ছেলের সাথে সম্ভব না, আমি চাই ও ওর মত থাক আর আমি আমার মত থাকি। কিন্তু আমি ওর কোনো কোনো ক্ষতি চাইনা। আমি কি ওর কোনো ক্ষতি করছি? (মানে পড়ালেখা বাধা না দেয়া এবং কোনো ক্ষতি করে নাই বলতে চাচ্ছে) যেকোনো প্রস্তাব আসতো আমি সরিয়ে দিতাম কুমন্ত্রণা দিয়ে। প্রস্তাব আসার পর থেকে ওর শরীরে ব্যথা করছি, মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করছি, ওর যাতে বাচ্চা না ওইরকম অসুখ করছি।

বললাম আর কি কি সমস্যা করছিস। বলল, আগে থেকেই অনেক খারাবি করার চেষ্টা করছি কিন্তু জানি না ও কি করছে এবং আল্লাহ ওরে প্রটেক্ট করছে তাই সম্ভব হয়নাই। জিজ্ঞেস করলাম তুই কি মুসলিম, বলল অবশ্যই আমি মুসলিম। বললাম তো মানুষের শরীরে প্রবেশ করা, ক্ষতি করা কি জায়েজ আছে? বলল আমি কি কোনো ক্ষতি করছি?!

যাই হোক আরো কিছু কথা আছে। তারপর নাকে এক ধরনের আতর দিয়ে মাথায় ও ঘাড়ে লম্বা শক্ত কাটি দিয়ে প্রেশার দিলাম, তখন চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলো, রক্ত ও কফ বমি করলো। একপর্যায়ে সহ্য করতে না পেরে যেতে রাজি হয় এবং চলে যায়, যাওয়ার সময় রোগীকে মনে মনে বলে যায়— আমি চলে যাচ্ছি তুমি ভালো থেকো, ক্যারিয়ার গড়ো।

আলহামদুলিল্লাহ। যদি সত্যিই গিয়ে থাকে আলহামদুলিল্লাহ, অনেক রোগী এরকম এক সেশনেও সুস্থ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। তবে জ্বীন শয়তান গুলো যেহেতু প্রচুর মিথ্যা বলে, লুকিয়ে থাকতে পারে, তাই আবারও ফলোয়াপ সেশন করে আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আজকের কেস স্টাডি থেকে কে কি বুঝতে পারলেন? কমেন্টে জানাবেন। সুতরাং বোঝা উচিত যে, জ্বীন জাদুর বিষয়গুলো অবহেলা করা উচিত নয়, যেকোনো সমস্যায় শুধু ডাক্তারী চিকিৎসা না নিয়ে রুকইয়াহ করে দেখুন প্যারানরমাল সমস্যা আছে কি না। জ্বীন জাদুর সমস্যায় আপনি হাজারো ডাক্তার দেখান না কেন, দেশ থেকে বিদেশেও যদি চিকিৎসা নেন, দামি দামি ওষুধ খান তবুও ভালো হবেনা। শুধু বিয়ে বন্ধ আর বিবাহ বিচ্ছেদ নয় বরং শারীরিক মানসিক যেকোনো রোগব্যাধিই হতে পারে জ্বীন, জাদু ও বদনজরের কারণে।

শুরুতে আলোচনার সময় বলেছিলেন রোগীর মা জানিয়েছিলেন যে তার বড় মেয়েরও জ্বীন জাদুর সমস্যা আছে, হাজব্যান্ডের সাথে মনোমালিন্য। আবার তার বড় বোনেরও (রোগীর আন্টিরও) জ্বীনের সমস্যা আছে। কিছুদিন পরে বড় মেয়েকে নিয়ে আসবেন।

আল্লাহ তাআলা সবাইকে হেফাজত করুন। আমীন।

আজকে এপয়েন্টমেন্ট ছিল এক ডাক্তার আপুর। যথাসময়ে সেন্টারে উপস্থিত হন। সমস্যা হচ্ছে— অনেক দিন ধরে বিয়ের চেষ্টা করা হচ্ছিল...
26/10/2025

আজকে এপয়েন্টমেন্ট ছিল এক ডাক্তার আপুর। যথাসময়ে সেন্টারে উপস্থিত হন। সমস্যা হচ্ছে— অনেক দিন ধরে বিয়ের চেষ্টা করা হচ্ছিল কিন্তু বিয়ের প্রস্তাব তেমন আসে না, যেটা আসে সেটা আগায় না। পাত্র পক্ষ দেখতে আসলে তখনই মুখে ব্রণ ওঠে যায়, নাহলে চেহারা নষ্ট হয়ে যায়, সারাদিন হতাশা কাজ করে। নিজেই বা পাত্রপক্ষের কেউ না করে দেয়া এমন হত।

এক মাস ধরে একটা বিয়ের কথা আগাচ্ছে, কিন্তু বিয়ের কথাবার্তার শুরু থেকে এখন অব্দি এক মাস ধরে প্রচণ্ড শরীর ব্যথা, জয়েন্ট পেইন, মাসল পেইন, পেটে প্রচণ্ড গ্যাসের সমস্যা, চুল পড়া অত্যাধিক। দুই পক্ষের কারো না কারো কোন না কোন ভাবে মনমালিন্য মতামতের সমস্যা। ল্যাব টেস্টেও শরীরে বিভিন্ন সমস্যা ধরা পড়ছে, যা আগে কখনো ছিলো না। একমাস ধরে প্রচন্ড জ্বর কিন্তু থার্মোমিটারে উঠছে না। ব্যাথা ও বিভিন্ন সমস্যার জন্য ওষুধ খেয়ে, চিকিৎসা করেও কোনো রকম ফায়দা হচ্ছে না। এত মনোযোগী হওয়া সত্ত্বেও এই এক মাস ধরে পড়ালেখায়ও মনযোগ দিতে পারছেন না।

এছাড়াও আগেই বিভিন্ন সমস্যা ফেস করছিলেন। স্বপ্নে দেখতেন কেউ ধাওয়া করছে, উপর থেকে নিচে পড়ে যাওয়া, ছোটবেলা থেকে সমুদ্র, মনুতুমি, শত্রু দ্বারা বারবার ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার স্বপ্ন দেখা। কেউ কোন রূপ ধরে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় এরকম স্বপ্ন দেখা। স্বপ্নে খেতে দেখা। এছাড়াও বিভিন্ন শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা ছিল। এই এক মাস ধরে রাতে ঘুম কম। মন সারাদিন ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।

বিস্তারিত সমস্যা শুনে রুকইয়াহ শুরু করলাম। সমস্যা শুনেই মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম যে খবিস (আশিক) জ্বীনের সমস্যা আছে। কিন্তু এক ঘন্টা রুকইয়াহ করার পরও তেমন প্রতিক্রিয়া বা ইফেক্ট দেখা যায় নি। শুধু দুই হাতে শিরশির করলো আর সামান্য মাথা ঘুরানোর মতো লাগলো। এরপর ১৫ মিনিটের মতো রুকইয়াহ করার পর বাম দিকে সামান্য হেলে যাওয়ার মাধ্যমে ইফেক্ট শুরু হয়। একপর্যায়ে প্রচন্ড কান্না শুরু হয় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন।

পেশেন্টের মা ধরে বসিয়ে রাখার চেষ্টা করলেন। যদিও এমনটি করতে নিষেধ করছিলাম। একটু পরেই আশিক জ্বীন শয়তান এক্টিভ হয় এবং প্রচন্ড কান্না করতে থাকে, আবার একটু পরপর প্রচুর পরিমাণে হাসতে থাকে। জিজ্ঞেস করলাম কেন আসছিস। বলল জানি না আমি কেন আসছি। বললাম তোর খবর হবে, বলতেই কান্না করা শুরু করলো।

তিলাওয়াত শুরু করলাম, এক পর্যায়ে আমাকে বলতে লাগল ওই থাম, থাম বলছি! আমি যাবো না। কিন্তু আমি রুকইয়াহ চালিয়ে যেতে থাকলাম, কিছুক্ষণ পর নিজে থেকেই সব বলা শুরু করলো কেন আসছে, কিভাবে আসছে, কখন আসছে ইত্যাদি।

আরো কিছুক্ষণ রুকইয়াহ করার পর বললাম এবার বল কি বলেছিস এতক্ষণ এবং কেন আসছিস বা কি সমস্যা। তখন সেই জ্বীন শয়তান যা বলল সেগুলো হচ্ছে —

ও ছোট বেলায় বাহিরে একা খেলতেছিল, তখন ওরে দেখে আমার ভালো লাগলো। এরপর থেকে ওরে আমার ভালো লাগে। এরপর ওর পাশে কোনো ছেলেকেই সহ্য করতে পারিনা, যে ছেলেকেই দেখেছি সরাসরি কিছু করি নাই কিন্তু এমনভাবে কিছু করে দিয়েছি যেন কোনো ছেলে ধারেকাছে না আসে। এখন যে বিয়ের কথা চলতেছে সেই ছেলের মায়ের মনে অনেক উল্টাপাল্টা বলছি, অনেক কুমন্ত্রণা দিয়েছি।

আমি চাই ও অনেক পড়াশুনা করুক, ক্যারিয়ার গড়ুক, অনেক বড় ডাক্তার হোক, আয়িও ইসলামের পথে চলি, কিন্তু বাইরের কোনো ছেলের সাথে সম্ভব না, আমি চাই ও ওর মত থাক আর আমি আমার মত থাকি। কিন্তু আমি ওর কোনো কোনো ক্ষতি চাইনা। আমি কি ওর কোনো ক্ষতি করছি? (মানে পড়ালেখা বাধা না দেয়া এবং কোনো ক্ষতি করে নাই বলতে চাচ্ছে) যেকোনো প্রস্তাব আসতো আমি সরিয়ে দিতাম কুমন্ত্রণা দিয়ে। প্রস্তাব আসার পর থেকে ওর শরীরে ব্যথা করছি, মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করছি, ওর যাতে বাচ্চা না ওইরকম অসুখ করছি।

বললাম আর কি কি সমস্যা করছিস। বলল, আগে থেকেই অনেক খারাবি করার চেষ্টা করছি কিন্তু জানি না ও কি করছে এবং আল্লাহ ওরে প্রটেক্ট করছে তাই সম্ভব হয়নাই। জিজ্ঞেস করলাম তুই কি মুসলিম, বলল অবশ্যই আমি মুসলিম। বললাম তো মানুষের শরীরে প্রবেশ করা, ক্ষতি করা কি জায়েজ আছে? বলল আমি কি কোনো ক্ষতি করছি?!

যাই হোক আরো কিছু কথা আছে। তারপর নাকে এক ধরনের আতর দিয়ে মাথায় ও ঘাড়ে লম্বা শক্ত কাটি দিয়ে প্রেশার দিলাম, তখন চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলো, রক্ত ও কফ বমি করলো। একপর্যায়ে সহ্য করতে না পেরে যেতে রাজি হয় এবং চলে যায়, যাওয়ার সময় রোগীকে মনে মনে বলে যায়— আমি চলে যাচ্ছি তুমি ভালো থেকো, ক্যারিয়ার গড়ো।

আলহামদুলিল্লাহ। যদি সত্যিই গিয়ে থাকে আলহামদুলিল্লাহ, অনেক রোগী এরকম এক সেশনেও সুস্থ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। তবে জ্বীন শয়তান গুলো যেহেতু প্রচুর মিথ্যা বলে, লুকিয়ে থাকতে পারে, তাই আবারও ফলোয়াপ সেশন করে আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আজকের কেস স্টাডি থেকে কে কি বুঝতে পারলেন? কমেন্টে জানাবেন। সুতরাং বোঝা উচিত যে, জ্বীন জাদুর বিষয়গুলো অবহেলা করা উচিত নয়, যেকোনো সমস্যায় শুধু ডাক্তারী চিকিৎসা না নিয়ে রুকইয়াহ করে দেখুন প্যারানরমাল সমস্যা আছে কি না। জ্বীন জাদুর সমস্যায় আপনি হাজারো ডাক্তার দেখান না কেন, দেশ থেকে বিদেশেও যদি চিকিৎসা নেন, দামি দামি ওষুধ খান তবুও ভালো হবেনা। শুধু বিয়ে বন্ধ আর বিবাহ বিচ্ছেদ নয় বরং শারীরিক মানসিক যেকোনো রোগব্যাধিই হতে পারে জ্বীন, জাদু ও বদনজরের কারণে।

শুরুতে আলোচনার সময় বলেছিলেন রোগীর মা জানিয়েছিলেন যে তার বড় মেয়েরও জ্বীন জাদুর সমস্যা আছে, হাজব্যান্ডের সাথে মনোমালিন্য। আবার তার বড় বোনেরও (রোগীর আন্টিরও) জ্বীনের সমস্যা আছে। কিছুদিন পরে বড় মেয়েকে নিয়ে আসবেন।

আল্লাহ তাআলা সবাইকে হেফাজত করুন। আমীন।

Sunnah Cure / 01715-212298
বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা

26/10/2025

কবিরাজি— জ্বীন শয়তান ও জ্বীন পূজারী মানুষের আবিষ্কৃত ক্ষতিকর পদ্ধতি।

রুকইয়াহ— আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ চিকিৎসা।

25/10/2025

একজন বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীর সমস্যা

আমার নাম মুবাশসিরা | আমি ১০ম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ি | আমার প্রায়ই ৩-৪ মাস থেকে পড়ালেখায় অনেক সমস্যা হচ্ছে | আগে আমি পড়ালেখায় অনেক মনোযোগী ছিলাম | কিন্তু এখন অনেক অমনোযাগী হয়ে গেছি | আমি অনেকদিন ধরেই হতাশায় ভুগছি | ভাবছি হয়তো আমার ব্রেনের ই সমস্যা তাই পড়ালেখা প্রায় বাদই দিয়েছিলাম | কিন্তু এর এ যে সমাধান আছে এখন বুঝলাম | আমাকে কেউ হয়তো পড়ালেখা নষ্টের জন্য জাদু করছে | অনেক গুলো লক্ষ্যই আমার মাঝে আছে | সমস্যা গুলো বলছি :

আমার সমস্যা গুলো তো আগে একটু দেখেন
১. পড়াশোনায় বা ক্লাসে মনোযোগী হতে পারি না | বারবার অন্যমনস্ক হয়ে যাই |
2. বই খুললে হঠাৎ মাথাব্যাথা শুরু হয়ে যায় | ঘুম ঘুম ভাব আসে | বোরিং লাগে |
3. শেখা জিনিস মনে রাখতে পারি না | সুধু ভুলে যাই |
4. পরিক্ষা সামনে এলেই অস্বাভাবিক ভয় পাই |
5. পরিক্ষায় আশানুরুপ ভালো রেজাল্ট হয় নাই | সব পারা সত্ত্বেও পরিক্ষায় অনেক খারাপ রেজাল্ট হয়।
6. প্রায়ই স্বপ্নে স্কুল | পরিক্ষা | ব্যর্থতা বা পরাশোনা সম্পর্কিত দুঃস্বপ্ন দেখি |
আমার পড়াশোনার প্রতি এখন বিতৃষ্ণা এসেছে | এখন বই দেখলেই সুধু রাগ আসে | স্কুল কোচিং কোনো কিছু ই ভালো লাগে না | এখন আমি কি করবো | আমার ১ মাস পর Test exam | আর এপ্রিল এ ssc borad exam | প্লিজ আমার সমস্যা গুলো দেখে একটু বলেন এর সমাধান কী করব | আমর শেষ ভরসা ই এখন আপনারা | এটা আমার ক্যারিয়ার এর ব্যাপার | আমার Life এখন শেষ হয়ে যাবে | যদি আমি Test xam এ ফেল করি তাহলে আমাকে Board exam দিতে দিবে না | Please কিছু একটা করেন | কি করা উচিত Please একটু বলেন | আর আশা করি আমার সমস্যা গুলো পড়ে | তারপর পরামর্শ দিন কী করা উচিত |

উনার যে সমস্যা এটা বুঝতে ডায়াগনসিস রুকইয়াহ'র প্রয়োজন নেই, বরং উনার সিমটমগুলোই বলে দিচ্ছে যে উনার নিশ্চিত সমস্যা আছে।

25/10/2025

💢 আসক্ত / অনুগত / বশ করার যাদু
(سحر التولة – سحر المحبة)

🔹 পরিচয় ও বাস্তবতা

বর্তমানে সবচেয়ে প্রচলিত যাদুগুলোর একটি হলো “আসক্ত, অনুগত বা বশ করার যাদু” — যার মাধ্যমে কাউকে নিজের প্রতি অস্বাভাবিক ভালোবাসা, আকর্ষণ সৃষ্টি করা হয় এবং অনুগত বা বাধ্য করে ফেলা হয়।
এই যাদু সাধারণত পরিচিতজনদের মাঝেই কেউ করে থাকে — যেমন: সন্দেহপ্রবণ স্ত্রী, সম্পদের লোভে পুত্র, ভাই বা কোনো আত্মীয়, কখনো স্বার্থ হাসিলের জন্য বা টাকা-পয়সার মাধ্যমে উপকৃত হওয়ার জন্য ভাবিরা বা অন্য কোনো নারীও এই যাদু করে থাকে। কিংবা কোনো নারী বা পুরুষ, প্রিয়জনকে পাওয়ার উদ্দেশ্যেও এই যাদু করে। কখনো পাত্রপক্ষ থেকেও এই যাদু করা হয়, অর্থাৎ কোনো মেয়ের বা পাত্রীপক্ষের যদি কোনো ছেলেকে পছন্দ হয় তখন সেই পাত্র ও তার আসা লোকজনকে চিনি বা মিষ্টিতে জাদু খাইয়ে বশ করার জাদু করে, যেন সবার চোখে ভালো লাগে, সবার মন ঘুরে এবং বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যায়।

⚠️ ইসলামী দৃষ্টিকোণ

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

> "إن الرقى والتمائم والتِّوَلة شرك"
“ঝাড়ফুঁক, তাবিজ-কবচ এবং তিওয়ালা (বশ করার যাদু) — সবই শিরক।”
(সুনান আবি দাউদ ৩৮৮৩, মুসনাদে আহমাদ)

📚 ইবনুল আসীর (রহঃ) বলেন —

> “التِّوَلة: ما يُحبِّب المرأة إلى زوجها أو الرجل إلى امرأته بسحرٍ أو شيءٍ يُعمل لذلك.”
অর্থাৎ, “তিওয়ালা হলো এমন যাদু, যার মাধ্যমে নারীকে স্বামীর কাছে বা পুরুষকে স্ত্রীর কাছে জাদুর দ্বারা প্রিয় করে তোলা হয়।”
(النهاية في غريب الحديث 1/222)

সুতরাং এটি বড় গুনাহ এবং ঈমানের জন্য মারাত্মক হুমকি।
প্রিয় ভাই-বোনেরা! একে ভালোবাসার নাম দিয়ে গ্রহণ করবেন না — এটি আসলে ভালোবাসার ছদ্মবেশে শিরক ও ধ্বংস।

🩺 বশীভূত করার জাদুর লক্ষণসমূহ

১. কারো প্রতি অস্বাভাবিক আকর্ষণ বা মোহ তৈরি হওয়া।
২. যুক্তিবোধ হারিয়ে অন্ধভাবে ভালোবাসা।
৩. সেই ব্যক্তি ছাড়া কিছুতেই শান্তি না পাওয়া।
৪. বশীকরণকারীর বিরোধিতা করলে প্রচণ্ড মানসিক অস্থিরতা।
৫. কারো প্রতি হঠাৎ ভালোবাসা, আবার কখনো উল্টো ঘৃণা ও বিরক্তি সৃষ্টি হওয়া।
৬. স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কারো প্রতি অস্বাভাবিক টান বা যৌন আসক্তি।

সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হচ্ছে বশ করার জাদু আক্রান্ত অনেকেই সাধারণত বুঝতে পারেন না বা বিশ্বাস করতে চায় না যে তিনি এই জাদুতে আক্রান্ত আছেন বা তাকে এই জাদু করা হয়েছে।

🩺 চিকিৎসা ও রুকইয়াহ

১. প্রথমে রুকইয়াহ টেস্ট করে নিশ্চিত হোন, আসক্ত করার যাদুতে আক্রান্ত আছেন কিনা।
২. তারপর সেলফ রুকইয়াহ শুরু করুন – সিহরের কমন সাজেশন ফলো করুন, নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত, যিকির ও বেশি তাওবা-ইস্তেগফার করুন।

৩. বিশেষভাবে পড়বেন —

সূরা তাগাবুন, সূরা আল-বাকারা: ১৬৫, সূরা আলে ইমরান: ১০৩, সূরা আনফাল: ৬২–৬৩ নং আয়াত।

৪. ভিক্টিম বুঝতে না পারলে পরিবারের কেউ তার জন্য রুকইয়াহ করবে।
৫. রুকইয়াহর পানি পান করানো, গোসল করানো ও নিয়মিত দোয়া পড়া চালিয়ে যাবেন।
৬. যদি জটিল হয়, অভিজ্ঞ রাকীর তত্ত্বাবধানে সরাসরি রুকইয়াহ করুন।

📞 সরাসরি রুকইয়াহ বা পরামর্শের জন্য:
📲 Sunnah Cure
📞 01715-212298

ধৈর্যের মহাপুরস্কার ও অধৈর্যের আক্ষেপধৈর্য ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এটি ঈমানের পরিপূর্ণতার লক্ষণ এবং জা...
25/10/2025

ধৈর্যের মহাপুরস্কার ও অধৈর্যের আক্ষেপ
ধৈর্য ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এটি ঈমানের পরিপূর্ণতার লক্ষণ এবং জান্নাতে উচ্চ মর্যাদার সোপান। কিন্তু যারা এই মহান গুণ থেকে বঞ্চিত, কেয়ামতের দিন তাদের জন্য অপেক্ষা করবে গভীর অনুশোচনা ও আক্ষেপ।

ধৈর্যশীলদের জন্য মহাপুরস্কার
জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিনে যখন বিপদে ধৈর্যধারী মানুষদের প্রতিদান দেওয়া হবে, তখন দুনিয়াতে বিপদমুক্ত থাকা লোকেরা আকাঙ্ক্ষা করবে—হায়! যদি দুনিয়াতে আমাদের দেহ কাঁচি দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হতো!’ (তিরমিজি: ২৪০২)

আল্লাহর সঙ্গে থাকার ঘোষণা
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যধারণকারীদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩)
আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি ধৈর্য ধারণ করুন, আর আপনার ধৈর্য হবে আল্লাহর সাহায্যেই।’ (সুরা নাহল: ১২৭)

আরও পড়ুন: তায়েফের বেদনার স্মৃতি: নবীজির (স.) ধৈর্য ও ক্ষমার অনন্য দৃষ্টান্ত

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ
আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করব। আর তুমি শুভ সংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫)
আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় ধৈর্যশীলদেরকে তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে দেওয়া হবে, কোনো হিসাব ছাড়াই।’ (সুরা যুমার: ১০)

হাদিসে বর্ণিত অপরিসীম মর্যাদা
সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত: রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ধৈর্যধারণ করার চেষ্টা করে, আল্লাহ তাকে ধৈর্যশীল বানিয়ে দেন। আর ধৈর্যের চেয়ে উত্তম ও ব্যাপকতর কোনো নেয়ামত কাউকে দেওয়া হয়নি।’ (বুখারি: ১৪৬৯)
জান্নাতের নিশ্চয়তা: ‘আল্লাহ তাআলা বলবেন, হে আদমসন্তান! তুমি যদি প্রথম ধাক্কায় ধৈর্য ধরো এবং তার প্রতিদানে সওয়াবের আশা করো, তবে আমি তোমার জন্য জান্নাত ছাড়া অন্য কোনো পুরস্কারে সন্তুষ্ট হবো না।’ (ইবনে মাজাহ: ১৫৯৭)

সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্য ধারণের মহান প্রতিদান

ধৈর্যহীনদের জন্য সতর্কবার্তা
যারা দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনে ধৈর্য হারায়, তাদের জন্য কেয়ামতের দিন অপেক্ষা করছে মর্মন্তুদ পরিণতি:

গভীর আক্ষেপ: ‘হায়! আমরা যদি দুনিয়াতে একটু বেশি ধৈর্য ধরতাম!’
অনুতাপ: ‘যদি আমরা চিরস্থায়ী সুখের বিনিময়ে ক্ষণস্থায়ী আরামকেই প্রাধান্য দিলাম!’
আত্ম-অভিশাপ: নিজেদের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য তারা নিজেরাই নিজেদের অভিশাপ দিতে থাকবে।
সফলতার চাবিকাঠি
ধৈর্য কেবল একটি গুণই নয়, এটি মুমিনের জীবনদর্শন। নবীজির (স.) সমগ্র জীবনই ছিল ধৈর্যের এক মহান ও জীবন্ত উদাহরণ। যারা আজ ক্ষণিকের কষ্ট-ক্লেশ ও প্রতিকূলতা সহ্য করতে পারবে, তারাই আগামীকাল আল্লাহর কাছে চিরস্থায়ী শান্তি ও সুখ লাভ করবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ধৈর্যশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে কেয়ামতের দিনের সকল আক্ষেপ ও অনুশোচনা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সংগৃহীত

Address

House-8, 9 , Road-7, Block/M, Banasree, Rampura
Dhaka
1219

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sunnah Cure posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Sunnah Cure:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram