24/11/2025
আজকে চেম্বারে এক মজার ঘটনা ঘটলো—একজন রোগী এসে **পুরো কনসালটেশন জুড়ে হাই তুলতেই থাকলেন**। এতটাই যে আমাকেও দু–একবার *হাই তোলার প্রবল ইচ্ছে হচ্ছিল!* 😅
(আপনারা তো জানেন, হাই তোলা খুবই “contagious”—একজন তুললে পাশে থাকা মানুষটারও তোলার সম্ভাবনা ৫০% বেড়ে যায়!)
কিন্তু গল্পে টুইস্টটা হলো—আমি যখন তার **ব্লাড রিপোর্ট** দেখলাম, দেখা গেল তার **হিমোগ্লোবিন কম**।
অর্থাৎ তিনি **anaemia**–তে ভুগছেন।
---
# # # 🩸 **লো হিমোগ্লোবিন হলে কী হয়?**
হিমোগ্লোবিনের কাজ হলো শরীরের প্রতি কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া।
যখন হিমোগ্লোবিন কমে যায়:
* শরীর কম অক্সিজেন পায়
* মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ কিছুটা হ্রাস পায়
* ফলে শরীর **ঘন ঘন ক্লান্ত**, **অবসন্ন**, এবং **বারবার হাই তোলা** শুরু করে
এটাকে বলা হয় **compensatory yawning** — শরীর আসলে বেশি অক্সিজেন টানার চেষ্টা করছে।
---
# # # 😴 **রোগীর হাই তোলা = শুধু ঘুম পাওয়া নয়**
আমরা ভাবি হাই মানে ঘুম পাচ্ছে।
কিন্তু বিজ্ঞান বলে—
* **chronic fatigue**
* **iron deficiency anaemia**
* **stress**
এসবের কারণেও বারবার হাই আসতে পারে।
এ কারণেই তার অবিরাম হাই দেখা মাত্রই আমার কৌতূহল হলো, আর রিপোর্টই সত্যি কথা বলে দিল।
---
# # # 🩺 **শেষ কথা**
হাই তোলা সবসময় মজার বা হাসির বিষয় না—
কখনো কখনো এটি **শরীরের SOS সিগন্যাল** যে ভিতরে কোথাও ঘাটতি চলছে।
তাই যদি—
✔ বারবার হাই আসে
✔ সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে
✔ কাজে মনোযোগ কমে যায়
✔ মাথা ঘোরে
তাহলে একবার **রুটিন ব্লাড টেস্ট** করে **হিমোগ্লোবিন** দেখে নেওয়া জরুরি।
আজকের রোগীর মতো, ছোট্ট একটা “হাই”–ই বড় সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে!
— **ডা. তাহমিনা ইসলাম**
(এস্থেটিক ফিজিশিয়ান,
EW VILLA MEDICA BANGLADESH)