Dr.Abdul Kaium Khan

05/11/2025

আলহামদুলিল্লাহ
একটি সাকসেস কেস স্টাডি তুলে ধরবো।
আমার একজন পেসেন্ট যিনি দীর্ঘদিন ধরে Hepatomegaly (স্বাভাবিকের তুলনায় লিভার বড় হয়ে যাওয়া), Fatty Liver Grade-II (ফ্যাটি লিভার গ্রেড-২), Gallstones (Cholelithiasis) গলব্লাডারে পাথর, অতিরিক্ত ওজনসহ বেশকিছু জটিলতায় ভুগছিলেন। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন কিন্ত আশানুরূপ ফলাফল পাননি, এবং অধিকাংশ ডাক্তারই বলেছিলো অপারেশন করে গলব্লাডার ফেলে দিতে হবে। কিন্ত তিনি সেটাতে রাজি হন নি।কোন এক মাধ্যমে আমার সম্পর্কে জেনে আমার চিকিৎসা গ্রহন করেন। প্রেসক্রিপশন করার অনেক পরে ওষুধ শুরু করে এবং মাঝখানে বেশ কিছুদিন গ্যাপ দিয়েছে। সবমিলিয়ে ১ থেকে দেড়মাস ওষুধ সেবন করেছেন এবং আমার দেওয়া ডায়েট, পরামর্শ ফেলো করেছেন। এই সময়ের মধ্যে তার পরিবর্তন লক্ষনীয় এবং ওজনও কমেটে ৮ কেজি। সবমিলিয়ে রোগীর শারীরিক জটিলতা তেমন নেই বললেই চলে। উনাকে আরো ২ মাস চিকিৎসা, ডায়েটপ্ল্যান এবং পরামর্শ কন্টিনিউ করতে বলেছি। ইনশাআল্লাহ এই সময়ের মধ্যে রোগীর জটিলতাগুলো নিরাময় হয়ে যাবে। রোগী আজকে তার আম্মা এবং হ্যাজবেন্ডকেও তাদের কিছু সমস্যার জন্য আমার চিকিৎসা গ্রহণের জন্য নিয়ে আসছে।

(ছবিতে চিকিৎসা শুরুর আগে এবং পরের রিপোর্ট সংযুক্ত করা হয়েছে)

এবার চলুন জেনে নিই ফ্যাটি লিভার কি? কেন হয় এবং তার আদ্যপান্ত👇

🩺 ফ্যাটি লিভার কী?

ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে লিভারের কোষে অতিরিক্ত চর্বি (fat) জমে যায়। সাধারণভাবে, লিভারে অল্প পরিমাণ ফ্যাট থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু যখন এটি লিভারের মোট ওজনের ৫% বা তার বেশি হয়, তখন তাকে “ফ্যাটি লিভার” বলা হয়।

⚠️ ফ্যাটি লিভার কেন হয়?

ফ্যাটি লিভারের প্রধান কারণগুলো হলো –
1. 🍔 অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস — অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত, ভাজাপোড়া ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া।
2. 🍺 অ্যালকোহল সেবন — এটি লিভারের কোষ নষ্ট করে ফ্যাট জমা বাড়ায়।
3. ⚖️ স্থূলতা (মোটা হওয়া) — শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি ফ্যাট আকারে জমা হয়, লিভারেও পৌঁছে যায়।
4. 🍭 ডায়াবেটিস ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স — শরীরের চিনির ভারসাম্য নষ্ট হলে লিভারে ফ্যাট জমতে থাকে।
5. 💤 শরীরচর্চার অভাব ও দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ।

🔍 কিভাবে বুঝবেন আপনার ফ্যাটি লিভার হয়েছে?

প্রাথমিক অবস্থায় ফ্যাটি লিভার সাধারণত লক্ষণবিহীন থাকে, তবে কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখা দিতে পারে –

• সহজে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া 😴
• পেটে ভার লাগা বা ডান পাশের পাঁজরের নিচে হালকা ব্যথা
• খাবারে অনীহা
• মনোযোগ কমে যাওয়া, ঘুমে সমস্যা
• হজমে গণ্ডগোল (বদহজম)

👉 নিশ্চিতভাবে জানতে হলে লিভার ফাংশন টেস্ট (LFT) ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা প্রয়োজন।

⚡ ফ্যাটি লিভার রোগের চিকিৎসা না করলে (untreated) কি হতে পারে?

যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তবে –
1. লিভার ইনফ্ল্যামেশন (Hepatitis)
2. লিভার স্কারিং (Fibrosis)
3. সিরোসিস (Cirrhosis) — লিভারের স্থায়ী ক্ষতি
4. লিভার ক্যানসার (Hepatocellular Carcinoma)
5. লিভার ফেইলিওর, যা মারাত্মক হতে পারে।

🌿 প্রাকৃতিক উপায়ে ফ্যাটি লিভার নরমাল করার উপায়

১. 🥗 খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন
২. তেল-চর্বিযুক্ত খাবার কমিয়ে শাকসবজি, ফল, হোলগ্রেইন, মাছ ও ডাল বাড়ান।
৩. চিনি, সফট ড্রিংক, ফাস্টফুড বাদ দিন।
৪. 🚶‍♀️ নিয়মিত ব্যায়াম করুন — প্রতিদিন অন্তত ৩০–৪০ মিনিট brisk walking বা যোগব্যায়াম করুন।
৫.💧প্রচুর পানি পান করুন — লিভারকে টক্সিন মুক্ত রাখে।
৬. ☕ কফি (পরিমিত পরিমাণে) — গবেষণায় দেখা গেছে এটি লিভারের জন্য উপকারী।
৭. 🌿 ভেষজ সহায়তা — মিল্ক থিসল (Milk Thistle), হলুদ (Turmeric), আদা ও লেবু পানি লিভার ডিটক্সে সাহায্য করে।
৮. 😌 মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন — মেডিটেশন, পর্যাপ্ত ঘুম, ও সঠিক রুটিন বজায় রাখুন।

👉 মনে রাখবেন-
ফ্যাটি লিভার, গলব্লাডার স্টোন সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য, যদি তা সময়মতো ধরা পড়ে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা যায়।

“লিভার সুস্থ = শরীর সুস্থ” — তাই সচেতন থাকুন, নিয়মিত পরীক্ষা করুন, আর আপনার লিভারকে ভালোবাসুন

ডাঃ আব্দুল কাইয়ুম খান
ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন ও আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ
কনসালটেন্ট- ইন্টিগ্রেটেড মেডিকেয়ার লি. ফার্মগেট, ঢাকা
আয়ুস্পর্শ ওয়েলনেস, শেওড়াপাড়া, ঢাকা
যোগাযোগ- 01521201886

#ফ্যাটিলিভার

05/11/2025

IBS চিকিৎসায় আকুপাংচারের কার্যকারীতা

04/11/2025

Tinnitus – কানে বাজা!
নীরবতার ভেতর যে শব্দ শুধু আপনিই শুনতে পান 🎧

আপনি কি কখনও একদম শান্ত ঘরে থেকেও কানে “রিং রিং” বা “বাজ বাজ” শো-শো, ভো-ভো শব্দ শুনেছেন❓
চারপাশে কেউ কিছু বলছে না, তবুও কানে যেন এক অজানা শব্দ বাজছে
👉 এটাই হতে পারে Tinnitus (টিনিটাস) এটি এমন এক সমস্যা, যেখানে বাহ্যিক কোনো শব্দ না থাকলেও কানে বা মাথার ভেতরে শব্দ শোনা যায়।

কেন হয়? (কারন ও ঝুঁকিপূর্ন কারণ)

👉 বয়স্কতা-সংশ্লিষ্ট শ্রবণ হ্রাস (age-related hearing loss) – খোলক (cochlea) ও তার সংলগ্ন শ্রবণ স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে মস্তিষ্ক কম শব্দ পায়, এরপর ভিতর থেকে “বাজ” অনুভব হতে পারে
👉 শব্দদূষণ / উচ্চ শব্দে দীর্ঘসময় এক্সপোজার – যেমন কনসার্ট, গাড়ি/মেশিন শব্দ, ইত্যাদি
👉 কানের ইনফেকশন, কানের মধ্য / অন্তর্গত অংশের সমস্যাঃ কানের বড় অধিবর্ষণ (ear wax block), মধ্যকান (মিডল ইয়ার) সংক্রমণ, কানের আচরণগত সমস্যা
👉 স্নায়বিক বা রক্তবাহী (ভাস্কুলার) কারণ – যেমন রক্ত সঙ্কোচন, শিরায় পরিবর্তন, পালস্যাটাইল টিনিটাস (পালস তথা হার্টবিট শব্দের মত অনুভব)
👉 ওটোটক্সিক (ototoxic) ওষুধ – কিছু ওষুধ কানের শ্রবণ কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে
👉 মাথা বা ঘাড়ে আঘাত, থাইরয়েড, কার্ডিওভাস্কুলার রোগ, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ।

📚 আরো কিছু ঝুঁকিপূর্ন কারণ

👉 ঘাড় বা কনুই (jaw) বা temporomandibular joint (TMJ) সমস্যা — কারো ক্ষেত্রে মুখ/ঘাড়/কানের মাংসপেশি বা জয়েন্ট সংক্রান্ত সমস্যা টিনিটাস উদ্দীপিত করতে পারে।
👉 হঠাৎ ভর্তি উচ্চ শব্দ বা বোমার শব্দ, মেশিনারী নয়েজ ইত্যাদি।
👉 অতিরিক্ত লবন, ক্যাফেইন বা এলকোহল — যদিও সরাসরি কারণ নয়, কিন্তু শ্রবণ ঘাড়ের রক্ত-প্রবাহ/কানের তরলীকে প্রভাবিত করে হতে পারে।

🔊 লক্ষণগুলো কি কি?

✅ কান বা মাথার ভেতর বাজের / হুইস্টল / হাসিং / বাজিং–স্বর শুনা, যদিও বাইরে কোনো শব্দ নেই।
✅ একটি বা দুটি কান বা মাথার মাঝখানে অনুভব হতে পারে।
✅ শব্দ কখনো কখনো পালস্যাটাইল (হৃদ্ স্পন্দনের সঙ্গে মিলিয়ে “তুং-তুং”) হতে পারে।
✅ কখনো শব্দ ধীরে ধীরে শুরু, কখনো হঠাৎ-হঠাৎ; কখনো ধূধূ/ঠুং ঠুং, কখনো উচ্চ শব্দ
✅ টিনিটাসের সাথে নিম্নলিখিত সমস্যা থাকতে পারে:
✅ ঘুমাতে সমস্যা, বিশেষ করে রাতে শান্ত ঘরে বেশি শুনা যায়।
✅ মনোসংযোগ কমে যাওয়া, কথা বলা বা শ্রবণ সমস্যায় পড়া।
✅ মানসিক চাপ, উদ্বেগ, হতাশা।

🥺 এটি আমাদের জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করে?

👇 যদিও অনেক মানুষের জন্য এটি বড় সমস্যা নয়, কিন্তু ক্রনিক (>3 মাস) হলে জীবনের গুণমান উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হতে পারে।
👇 ঘুম বিঘ্নিত হয় — মানুষ যখন শান্ত পরিবেশে থাকে (রাত বা ঘুমাতে যাওয়া সময়) তখন শব্দ বেশি মনে হয়। → ঘুমহীনতা, ক্লান্তি।
👇 মনোযোগ ও কাজের মনোবল কমে যেতে পারে — রিং বা বাজের শব্দের কারণে কথা বলা, পড়া, কাজকর্মে ব্যাঘাত।
👇 মানসিক অসুবিধা — উদ্বেগ, চাপ বাড়ে, কখনো কখনো ডিপ্রেশনও হতে পারে।
👇 সামাজিক ও দৈনন্দিন কার্যকলাপে প্রভাব — শব্দের কারণে মানুষ শোনা/বলা কমতে পারে, একাকীত্ব বা সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বাড়তে পারে।
👇 কাজে বা শিক্ষায় পরার্বতী ফলাফল — দ্রুত মন বিভক্ত হয়ে যেতে পারে, কাজের দক্ষতা কমতে পারে।

☯️ আকুপাংচার (Acupuncture) – টিনিটাস নিরাময়ে এক প্রাকৃতিক উপায়!

↗️ চীনা ঐতিহ্যবাহী এই চিকিৎসা শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টে সুঁই প্রয়োগের মাধ্যমে কানের রক্তপ্রবাহ ও স্নায়ুর সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করে।

🔬 গবেষণায় দেখা গেছে-

↗️ আকুপাংচার শ্রবণ স্নায়ু, ভেস্বুলার সিস্টেম এবং মস্তিষ্কের অডিটরি সিগন্যালিংয়ের অস্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ করে- চিন্তা, চাপ ও স্নায়ুবিক উত্তেজনা কমিয়ে জীবনযাত্রার গুণমান উন্নত করে।

↗️ এক র‌্যান্ডমাইজড ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গেছে: আকুপাংচার গ্রুপে ‘টিনিটাস সিভিয়রিটি ইনডেক্স’ (TSI) ও ‘ভিজ্যুয়াল অ্যানালগ স্কেল’ (VAS) স্কোর কমেছে সাধারণ গ্রুপের তুলনায় অনেক বেশি।

↗️ নতুন গবেষণায় দেখা গেছে- আকুপাংচার + মক্সিবুশন (অবরণ উষ্ণতা পদ্ধতি) টিনিটাস নিরাময়ে ভালো প্রভাব দেখিয়েছে।
↗️ আরেকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে আকুপাংচারের সাথে জিনজার মক্সিবাসচন প্রায় ৬৫% রোগীদের উল্লেখযোগ্য ভাবে টিনিটাস সমস্যা কমিয়েছে, যেখানে প্রচলিত চিকিৎসা বা এলোপ্যাথিক মেডিসিনে দেখা যায় নি।

👉 মনে রাখবেন, আকুপাংচার হলো এমন এক চিকিৎসা ব্যবস্হা যেখানে রোগের মুল কারন উদ্ঘাটন করে চিকিৎসার মাধ্যমে, দেহ, মন ও আত্নার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে এবং দেহের নিজস্ব আরোগ্য প্রক্রিয়াকে জাগ্রত করে।

(রেফারেন্স গুলো চেক করতে নিচে কমেন্ট সেকশন দেখুন)

Dr. Abdul Kaium Khan
Integrative Medicine & Acupuncture Specialist.
Consultant- Integrated Medicare Ltd
01521-201886

03/11/2025

সুস্হ থাকতে কে না চাই? আমরা মনে করে সুস্হ থাকতে মনে হয় অনেক টাকা খরচ করতে হয়? অনেক কিছু মেনে চলতে হয়? কিন্ত আমরা এটা জানি না যে, প্রতিদিন নিজের সুস্হতার জন্য কিছু সময় ব্যয় এবং কিছু নিয়ম মেনে চললেই আমরা সুস্হ থাকতে পারবো। এই ভিডিওতে সুস্হ থাকার ৫ টি গোপন মূলমন্ত্র বলা হয়েছে 👇

02/11/2025

😇 Stress Awareness Day

আজ ২- রা নভেম্বর,
International Stress Awareness Day
স্লোগান- মানসিক চাপ ব্যবস্হাপনা ও মানসিক সুস্হতার সচেতনতা।

“মানসিক চাপ কমানো মানেই নিজেকে আবার নতুন করে বাঁচতে দেওয়া।” 🌱

দৈনন্দিন জীবন, দায়িত্ব, পরিবার, কাজ—সবকিছু মিলিয়ে আমরা অনেকেই চাপ বা Stress অনুভব করি।
চাপ যখন দীর্ঘস্থায়ী হয়, তখনই সেটি শরীর ও মনের ক্ষতি করতে শুরু করে।

🧠 Stress এর সাধারণ প্রভাব:

👉 মাথাব্যথা, ঘাড়-কাঁধে টান
👉 ঘুম কমে যাওয়া
👉 রাগ, বিরক্তি ও অস্থিরতা
👉 গ্যাস্ট্রিক / হজমে সমস্যা
👉 উচ্চ রক্তচাপ
👉 শক্তি কমে যাওয়া ও মনোযোগ হ্রাস

কিন্তু সুসংবাদ হলো—প্রাকৃতিক উপায়ে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করা যায়!

☯️ আকুপাংচার কীভাবে স্ট্রেস কমায়?

আকুপাংচার হল হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত বৈজ্ঞানিক ও প্রমাণভিত্তিক চাইনিজ চিকিৎসা যেখানে শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টে খুব সূক্ষ্ম সুই প্রয়োগের মাধ্যমে স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে শরীরের নিজস্ব নিরাময় শক্তিকে জাগ্রত করা হয়।

🔹 এটি Endorphin (Natural Pain & Relax Hormone) নিঃসরণ বাড়ায়
🔹 Cortisol (Stress Hormone) কমিয়ে স্নায়ুকে শান্ত করে
🔹 মস্তিষ্কের লিম্বিক সিস্টেম এর ভারসাম্য ফিরিয়ে মানসিক প্রশান্তি আনে
🔹 ঘুমের মান বৃদ্ধি করে
🔹 হৃদস্পন্দন ও শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করে

ফলে আপনি অনুভব করবেন—
শান্ত মন, হালকা শরীর,ভালো ঘুম, এবং চিন্তা ও অস্হিরতামুক্ত জীবন ✨

আজকের বার্তা:

নিজের মানসিক সুস্থতার যত্ন নেওয়া কোনো বিলাসিতা নয়—এটা প্রয়োজন।
চাপের মধ্যে থেকেও হাসুন, সময় নিন, নিজের যত্ন করুন।

🌱 যদি আপনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ, অনিদ্রা বা টেনশনের সমস্যায় ভুগে থাকেন—
আকুপাংচার হতে পারে নিরাপদ ও প্রাকৃতিক সমাধান।

ডাঃ আব্দুল কাইয়ুম খান
ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন ও আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ
কনসাল্টেন্ট- ইন্টিগ্রেটিভ মেডিকেয়ার লিঃ
01521-201886

01/11/2025

গাট-ব্রেইন কানেকশন: অন্ত্র ঠিক হলে মনও ঠিক! 🧠

আমাদের মস্তিষ্ক আর অন্ত্রের মধ্যে রয়েছে এক অসাধারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা, যাকে বলা হয় Gut-Brain Axis। এটি শুধু খাবার হজম নয়—মুড, চিন্তা, ঘুম, স্ট্রেস, স্মৃতি—সবকিছুতেই প্রভাব ফেলে!
এবার আসুন একনজরে জেনে নিই ব্রেইনের সাথে পেটের যোগাযোগ 👇

🧠 ১. স্নায়ুবিক যোগাযোগ (Neural Pathway)-
আমাদের অন্ত্রের ভেতরেই আছে এক ধরনের ‘দ্বিতীয় মস্তিষ্ক’ — Enteric Nervous System (ENS)।
এখান থেকে Vagus Nerve নামক এক বড় স্নায়ুর মাধ্যমে সংকেত যায় সরাসরি মস্তিষ্কে।

✅ অন্ত্রই তৈরি করে Serotonin, Dopamine, GABA (Gamma-Amino Butyric Acid) হলো আমাদের মস্তিষ্কের একটি Inhibitory Neurotransmitter।
এর মূল কাজ হলো স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল রাখা, যাতে মস্তিষ্ক অতিরিক্ত উত্তেজিত না হয়।
➡️ এগুলো আমাদের মুড, ঘুম, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করে।

😱 তাই গাট সমস্যা হলে মুড সুইং, দুশ্চিন্তা, ব্রেইন ফগ হতে পারে।

🧪🧬২. হরমোনাল পথ (Endocrine Pathway)-
স্ট্রেস হলে শরীর Cortisol নামক স্ট্রেস হরমোন বাড়ায়। যদি এটি দীর্ঘদিন বেশি থাকে তাহলে গাটের ব্যারিয়ার দুর্বল হয় পরবর্তীতে হজম খারাপ হয় এবং ফাইনালী স্ট্রেস আরও বাড়ে।
এটা যেন স্ট্রেসের দুষ্টচক্র 😓
অর্থাৎ, আপনার পেট ঠিক থাকলে ক্ষুধা ও শক্তি ঠিক থাকে।

🦠 ৩. রোগ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Immune Pathway)-

আমাদের ৭০% ইমিউন সিস্টেম থাকে অন্ত্রের ভেতরেই!
গাট ব্যালান্স নষ্ট হলে → সাইটোকাইন (TNF-α, IL-6) বাড়ে → মস্তিষ্কে প্রদাহ হয় 😔 ফলাফল: স্থায়ী ক্লান্তি, মুড ডিপ্রেশন, স্মৃতিশক্তি দুর্বল।

🔁 ৪. বিপাকীয় পথ (Metabolic Pathway)

অন্ত্রের উপকারী জীবাণু যখন ফাইবার হজম করে → তখন তৈরি হয়:
✅ SCFAs (যেমন Butyrate) →এটি মস্তিষ্ককে শান্ত ও সুরক্ষিত রাখে
✅ Secondary Bile Acids → হরমোন ব্যালান্স করে
✅ BCAAs → নিউরোট্রান্সমিটার তৈরি করতে সাহায্য করে
➡️ তাই পেট ঠিক মানেই শক্তি, স্মৃতি ও মন সব ঠিক।
🩺 আমার চিকিৎসা অভিজ্ঞতায় দেখেছি, দীর্ঘদিন ধরে যারা পেটের বিভিন্ন সমস্যায় (IBS, IBD, আমাশয়) ভুগছেন তাদের যৌন দূর্বলতা যেমন ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, বীর্যে শুক্রানুর স্বল্পতাসহ বেশকিছু সমস্যা তৈরি হয়।

✨ তাহলে করণীয় কী?

👉 প্রিবায়োটিক ফুড - ওটস, কলা, শাকপাতা
👉 প্রোবায়োটিক ফুড- দই, ঘোল, কিমচি
👉 ভালো চর্বি- মাছ, ফ্ল্যাক্সসিড, অলিভ অয়েল
👉 স্ট্রেস কমানো - গভীর শ্বাস, প্রার্থনা/ধ্যান
👉 পর্যাপ্ত ঘুম ৭–৮ ঘন্টা

🔬 এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণাতে প্রমানিত হয়েছে Abdominal Acupuncture পেটের সমস্যা দূর করে স্ট্রেস, মুড সুইং কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

👉 মনের রাখবেন,
গাটের যত্ন মানেই মন ও মস্তিষ্কের যত্ন।
অন্ত্রকে সুস্থ রাখুন, শরীর-মন দুটোই আপনাকে ধন্যবাদ দেবে। 🌿🧠

Dr.Abdul Kaium Khan
Integrative Medicine & Acupuncture Specialist
Consultant- Integrated Medicare Ltd

31/10/2025

🧊 কিডনি স্টোন কেন হয়? সঠিক কারণ জানুন, নিজেকে বাঁচান!

কিডনি আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক ফিল্টার। কিন্তু যখন প্রস্রাবে খনিজ ও বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়, তখন এগুলো জমে ছোট স্ফটিক তৈরি করে। ধীরে ধীরে এগুলো শক্ত হয়ে পাথর গঠন করে।
আর পাথর হলে ফলাফল?
✅ তীব্র ব্যথা
✅ প্রস্রাব আটকে যাওয়া
✅ বমি
✅ সংক্রমণ বা কিডনির ক্ষতি

🌪️ কিডনি স্টোন হওয়ার প্রধান কারণগুলো কি কি?
1️⃣ কম পানি পান করা
পানি কম হলে প্রস্রাব ঘন হয়ে যায় → খনিজ সহজে জমাট বাঁধে → পাথর তৈরি হয়।
2️⃣ অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার
লবণ (Sodium) ক্যালসিয়ামের ক্ষরণ বাড়ায় → ক্যালসিয়াম স্টোন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
3️⃣ অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন
গরু, খাসি, মুরগি, মাছ অতিরিক্ত খেলে → Uric Acid বেড়ে যায় → ইউরিক এসিড স্টোন তৈরি করে।
4️⃣ চিনি ও কার্বনেটেড ড্রিঙ্কস
কোলা / সোডা / এনার্জি ড্রিঙ্ক → প্রস্রাবকে অ্যাসিডিক করে → পাথর বাড়ায়।
5️⃣ দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখা
প্রস্রাব গাঢ় হয় → বর্জ্য জমা বাড়ে → স্টোনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।
6️⃣ বংশগত ও হরমোনজনিত কারণ
পরিবারে কারো স্টোন থাকলে ঝুঁকি বেশি।

👉 খাবারে কেন সতর্কতা প্রয়োজন?
অধিক অক্সালেটযুক্ত খাবার (যদি ক্যালসিয়াম স্টোন হওয়ার প্রবণতা থাকে) তাহলে এগুলো বেশি খাবেন না।
🌿 পালং শাক ও ঢেঁড়স
🥜 বাদাম (আলমন্ড, কাজু, চিনাবাদাম)
☕ চা, কফি অতিরিক্ত
🍫 চকোলেট
🌰 বিট
কারণ: অক্সালেট ক্যালসিয়ামের সাথে মিলিত হয়ে ক্যালসিয়াম-অক্সালেট স্টোন তৈরি করে।

📌 তবে খেয়াল রাখবেন — সম্পূর্ণ বাদ নয়, মাত্রা নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

✅ কিডনী স্টোন (পাথর) হওয়া কিভাবে প্রতিরোধ করবেন?
💧 প্রচুর পানি পান করুন-
লক্ষ্য রাখুন: প্রস্রাব হালকা লেবুর রঙের হবে → মানেই পানি সঠিক পরিমাণে হচ্ছে।
🍉🥗 ফল ও সবজি বাড়ান-
এগুলো প্রস্রাবকে কম অ্যাসিডিক করে → স্টোন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
🚫 লবণ ও চিনি কমান-
বাহিরের ফাস্টফুড, প্যাকেটজাত স্ন্যাক্স, কোলা — যত কম, তত ভালো।
🥩 মাংস কম পরিমাণে খান-
প্রতিদিন নয়, সপ্তাহে ২–৩ দিন নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে।
🚽 প্রস্রাব চেপে রাখবেন না-
সুযোগ পেলেই প্রস্রাব করে ফেলুন।

👉 মনে রাখবেন-
✅ ভালো কিডনি মানেই ভালো ও সুস্হ জীবন।
✅ আপনার কিডনি ২৪ ঘণ্টা শরীর পরিষ্কার রাখতে কাজ করে, তাই তাকে যত্ন করা আপনার দায়িত্ব ❤️

🔷 সুস্থ থাকুন, পানি পান করুন, আর স্বাস্থ্য সচেতন হোন।

Good morning my dear follows ☀
Share করে সবাইকে সচেতন করুন

👨‍⚕️ ডা. আব্দুল কাইয়ুম খান
Integrative Medicine & Acupuncture Specialist.
ক্ষেত্র: Acupuncture | Ayurveda | Neuro-Rehabilitation | Stroke & Pain Management & CKD Management.
Consultant- Integrated Medicare Ltd, Farmgate, Dhaka.
Ayushporsho Wellness- আয়ুস্পর্শ ওয়েলনেস, শেওড়াপাড়া, ঢাকা।

📲Call for Free Consultation
01521-201886

27/10/2025

🧠 স্ট্রোক: এক মূহুর্তেই বদলে যেতে পারে জীবন!

👉 স্ট্রোক কী?

স্ট্রোক হলো এমন এক মারাত্মক অবস্থা যখন মস্তিষ্কের কোনো অংশে হঠাৎ করে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় (ইস্কেমিক স্ট্রোক) বা রক্তনালী ফেটে যায় (হেমোর্যাজিক স্ট্রোক)। ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছায় না, এবং কয়েক মিনিটেই মস্তিষ্কের কোষ মারা যেতে শুরু করে।

💥 স্ট্রোকের প্রধান কারণ:

✅ উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension)
✅ ডায়াবেটিস
✅ ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান
✅ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি
✅ স্থূলতা ও ব্যায়ামের অভাব
✅ অতিরিক্ত মানসিক চাপ
✅ বংশগত প্রবণতা

⚠️ কিভাবে বুঝবেন কেউ স্ট্রোক করেছে? (BE FAST মনে রাখুন)

B – Balance: হঠাৎ ভারসাম্য হারানো বা মাথা ঘোরা
E – Eyes: এক বা দুই চোখে ঝাপসা দেখা
F – Face: মুখ একদিকে বেঁকে যাওয়া
A – Arm: এক হাত বা পা দুর্বল হয়ে পড়া
S – Speech: কথা জড়ানো বা না বের হওয়া
T – Time: দ্রুত হাসপাতালে যান! (প্রথম ৩ ঘণ্টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ)

📊 বাংলাদেশে স্ট্রোকের অবস্থা:

বাংলাদেশে প্রায় প্রতি ১,০০০ জনে ১১ জনেরও বেশি মানুষ জীবনে কোনো না কোনো সময় স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।
প্রতি বছর আনুমানিক ৩ জন/১,০০০ জনে নতুন স্ট্রোক হয়।
মৃত্যুহার প্রায় ৫৫ জন প্রতি ১ লাখে, যা এখনও উচ্চ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারণ — উচ্চ রক্তচাপ ও জীবনধারাজনিত সমস্যা।

স্ট্রোক পরবর্তী জটিলতাঃ

স্ট্রোকের পর রোগীর মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহের ঘাটতি বা রক্তনালীর ক্ষতির কারণে স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যা দেখা দেয় — যেমন:

👉 হাত-পায়ের দুর্বলতা বা পক্ষাঘাত
👉 মুখের পেশী বিকৃতি বা মুখ বেঁকে যাওয়া
👉 গিলতে সমস্যা (dysphagia)
👉 কথা জড়ানো বা Aphasia
👉 চলাফেরায় ভারসাম্যহীনতা
👉 মানসিক অবসাদ ও স্মৃতিশক্তি হ্রাস

এই অবস্থায় অনেক সময় আধুনিক ওষুধ, চিকিৎসা কেবল প্রাথমিক পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে, কিন্তু স্নায়ুর কার্যকারিতা ও পেশী নিয়ন্ত্রণের পুনর্গঠন (neuroplasticity) ধীরগতিতে ঘটে। এখানে আকুপাংচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

☯️ আকুপাংচার কীভাবে কাজ করে (বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ)

গবেষণাভিত্তিকভাবে দেখা গেছে আকুপাংচার শরীরের স্নায়ু, রক্তপ্রবাহ ও নিউরোকেমিক্যাল সিস্টেমে বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে:

1. নিউরোপ্লাস্টিসিটি বৃদ্ধি করে
আকুপাংচার স্নায়ুতন্ত্রে Brain-Derived Neurotrophic Factor (BDNF), Nerve Growth Factor (NGF) প্রভৃতি বৃদ্ধি করে, যা মস্তিষ্কে নতুন স্নায়ু সংযোগ (synaptic plasticity) গঠনে সহায়তা করে।
➤ Reference: Liu et al., Neural Regen Res. 2020

2. রক্তপ্রবাহ উন্নত করে
আকুপাংচার cerebral blood flow (CBF) বাড়ায় এবং ischemic এলাকায় অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত করে, ফলে স্নায়ু কোষের পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত হয়।
➤ Reference: Wu P et al., Stroke, 2018

3. ইনফ্লেমেশন ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়
আকুপাংচার COX-2, TNF-α, IL-6 এর মতো প্রদাহজনিত মার্কার হ্রাস করে এবং PGE₂ উৎপাদন কমিয়ে প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
➤ Reference: Zhang et al., Front Neurosci, 2021

4. মোটর ও সেন্সরি ফাংশন উন্নত করে
MRI ও ক্লিনিক্যাল স্কেলে দেখা গেছে, আকুপাংচার নেওয়া স্ট্রোক রোগীদের মোটর রিকভারি, ব্যালান্স ও হাঁটার সক্ষমতা দ্রুত উন্নত হয়।
➤ Reference: Lee SH et al., J Altern Complement Med, 2019

5. HPA Axis নিয়ন্ত্রণ ও নিউরোকেমিক্যাল ভারসাম্য রক্ষা করে
এটি শরীরের স্ট্রেস রেসপন্স নিয়ন্ত্রণ করে (HPA-axis normalization), ফলে রোগীর মানসিক স্থিতি, ঘুম ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া উন্নত হয়।
➤ Reference: Yu et al., Evid Based Complement Altern Med, 2022

📚 গবেষণাভিত্তিক ফলাফল (স্ট্রোক রিকভারি)

১. একাধিক meta-analysis (Cochrane, 2016; Wang et al., 2021) দেখিয়েছে যে আকুপাংচার, বিশেষ করে ফিজিওথেরাপির সাথে মিলিয়ে দিলে, স্ট্রোক রোগীদের motor recovery, speech function ও ADL (Activities of Daily Living) উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়।

২. ২০২4 সালে প্রকাশিত এক systematic review (Frontiers in Neurology) রিপোর্ট করে যে “acupuncture therapy significantly improves neurological deficit scores and daily activity ability in post-stroke patients without major side effects.”

আকুপাংচার মস্তিষ্কের পুনর্গঠন ক্ষমতা (neuroplasticity) বাড়ায়, রক্তপ্রবাহ উন্নত করে, প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং রোগীর মোটর ও মানসিক কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।
এটি নিরাপদ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ও আধুনিক রিহ্যাবিলিটেশনের শক্তিশালী চিকিৎসা হিসেবে বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত হচ্ছে।

🌿 প্রতিরোধই সর্বোত্তম চিকিৎসা:

✅ নিয়মিত রক্তচাপ ও ব্লাড সুগার পরীক্ষা
✅ ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার
✅ প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা
✅ স্বাস্থ্যকর খাবার ও পর্যাপ্ত ঘুম
✅ মানসিক চাপ কমানো

মনে রাখবেন: স্ট্রোকের ক্ষেত্রে “সময়ই জীবন”!
যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু হবে, তত বেশি মস্তিষ্ক রক্ষা সম্ভব।

রেফারেন্স কমেন্টে দেওয়া হয়েছে

26/10/2025

সম্মানিত রোগী একজন প্রবাসী, দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন এবং উনার ওজন হ্রাস পেতে থাকে। দীর্ঘ ২ বছর ধরে বহু ডাক্তার দেখিয়েছেন কিন্ত সে আশানুরূপ ফলাফল না পেয়ে হতাশার শেষ প্রান্তে এসে আকুপাংচার চিকিৎসাতে উনার সমাধান হবে সেটা জানতে পারেন এবং আমার ভিডিও দেখে চেম্বারে এসে আকুপাংচার চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। মাত্র একটি সেশনেই তার শরীর হালকা এবং মানসিক অবসাদ কমেছ বলে জানান।
উনার জন্য দোয়া করবেন যেন মহান রব দ্রুতই উনাকে সুস্হতার নেয়ামত দান করেন।

ডাঃ আব্দুল কাইয়ুম খান
ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন, আকুপাংচার, স্ট্রোক/প্যারালাইসিস, বাত-ব্যথা, সেক্সুয়াল ডিসঅর্ডারস এবং ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ
কনসালটেন্ট- integrated Medicacare Ltd
পূর্ব তেজতুরী বাজার, টু স্টার টাওয়ার, ফার্মগেট, ঢাকা।
01521201886

23/10/2025

বর্তমানে ঘুমের সমস্যা ব্যাপক আকার ধারন করেছে, বিশেষত যারা শহর কেন্দ্রীক বসবাস করে।
রাতভর ঘুম আসে না? চিন্তা নয়! আকুপাংচার চিকিৎসায় প্রাকৃতিকভাবে ঘুম ফিরে পাবেন — ওষুধ ছাড়াই, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্তভাবে। দেখুন এই ভিডিওতে জেনে নিন ঘুম ফেরানোর ম্যাজিকাল চিকিৎসা! 😱

#ঘুমেরসমস্যা #অনিদ্রাচিকিৎসা #ঘুমআসারউপায় #ঘুমেরঅভাব #ঘুমভালোকরারউপায় #হেয়ালিংণাতুরাল্ল্য

23/10/2025

যেটা শুরু হবে সেটা আমরা আরো কয়েকবছর আগে থেকেই শুরু করেছি

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে টিসিএম: ড. হাইলেই চাও

অক্টোবর ২৩, ঢাকা: প্রাচীন চীনা চিকিৎসা বা টিসিএম অত্যন্ত কার্যকর ও ব্যয়সাশ্রয়ী। এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য উপকার বয়ে আনবে। সম্প্রতি ঢাকায় সিএমজি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা বললেন শাংহাই ইউনিভার্সিটি অব ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন-এর স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর ডিন প্রফেসর ড. হাইলেই চাও।

ড. চাও বলেন ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে যখন চীনে পর্যাপ্ত ওষুধ ছিল না, তখন ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা—যেমন ভেষজ ওষুধ ও আকুপাংচার—মানুষের জন্য অনেক উপকার করেছিল। তার মতে, ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসার কৌশলগুলো বাংলাদেশের মানুষের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নত করবে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ঐক্য আরও দৃঢ় করবে।

ড. চাও আরও বলেন, ‘’বাংলাদেশের এক অধ্যাপক আমাকে বলেছিলেন, কীভাবে আমরা এই সহযোগিতা শুরু করতে পারি। আমি প্রস্তাব দিচ্ছি, আমরা প্রথমে আকুপাংচার ও চীনা চিকিৎসাবিদ্যার কিছু মৌলিক কর্মসূচি দিয়ে শুরু করতে পারি। এরপর এই জ্ঞান আমাদের বাংলাদেশি সহকর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারি।’

দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ সময়। এই ৫০ বছর প্রমাণ করে যে জনগণই দুই দেশের বন্ধুত্বের ভিত্তি। আমি আশা করি, দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ, মানবিক সম্পর্ক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা এই বন্ধুত্বকে আরও গভীর করবে।’

ঐশী/ফয়সল

23/10/2025

অস্হিরতা, দুশ্চিন্তা, মাথাব্যথা, বাচ্চাদের ADHD (হাইপার একটিভিটি) দুর করুন মাত্র একটি চাপেই, আর দেখুন ফলাফল