Prof. Dr. Sunjida Shahriah

Prof. Dr. Sunjida Shahriah Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Prof. Dr. Sunjida Shahriah, Doctor, Mohakhali DOHS, Dhaka.
(1)

08/12/2025
"You cannot kill the truth. You cannot kill justice. You cannot kill what we are fighting for," is attributed to Haitian...
08/12/2025

"You cannot kill the truth. You cannot kill justice. You cannot kill what we are fighting for," is attributed to Haitian democracy activist Jean Dominique, a journalist killed in 2000, and emphasizes that fundamental principles like truth and justice are eternal and powerful, even when people try to suppress them, often used in human rights advocacy.

২২ অক্টোবর ২০১৪, ভোরে ফাঁসি হয়ে যায় রেহানে জাবারির। বয়স হয়েছিল মাত্র ২৬ বছর।ধর্ষণ এড়াতে আততায়ীর বুকে ছুরি বসানোর অপরাধে...
05/12/2025

২২ অক্টোবর ২০১৪, ভোরে ফাঁসি হয়ে যায় রেহানে জাবারির। বয়স হয়েছিল মাত্র ২৬ বছর।

ধর্ষণ এড়াতে আততায়ীর বুকে ছুরি বসানোর অপরাধে রেহানে জাবারিকে প্রাণদণ্ড দেয় ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। রেহানের ফাঁসির আদেশের বিরোধিতা করে গোটা বিশ্বের অজস্র মানবাধিকার সংগঠন। প্রাণভিক্ষার আরজি জানান দুনিয়ার তাবৎ জননেতা। এমনকি, মেয়ের বদলে তাকেই ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলানো হোক বলে মিনতি করেন রেহানের মা শোলেহ। কিন্তু কোনো কিছুতেই কান দেয়না সরকার। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই নিভিয়ে দেয়া হয় ছাব্বিশের তরতাজা প্রাণ রেহানেকে।

মৃত্যুর আগে মাকে শেষ চিঠি লিখে গিয়েছেন রেহানে। হৃদয় নিংড়ানো সেই চিঠিতে মাকে শোকগ্রস্ত হতে বার বার বারণ করেছেন। মৃত্যুকে তিনি অভিহিত করেছেন নিয়তির বিধান হিসেবে। আর সে জন্য তিলমাত্র অনুতাপ করেননি তিনি। বরং ফাঁসির পর তাঁর দেহাংশ দান করার অনুরোধ জানিয়েছেন জন্মদাত্রীকে।

রেহানের সেই মর্মস্পর্শী চিঠি গণমাধ্যমের হাতে তুলে দিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন ও শান্তিকামী গোষ্ঠীর সদস্যরা।

মাকে লেখা রেহানে জাবারির শেষ চিঠি...
প্রিয় শোলেহ,
আজ জানতে পারলাম এবার আমার কিসাস (ইরানের আইনব্যবস্থায় কর্মফলবিষয়ক বিধি)'র সম্মুখীন হওয়ার সময় হয়েছে। জীবনের শেষ পাতায় যে পৌঁছে গিয়েছি, তা তুমি নিজের মুখে আমায় জানাওনি ভেবে খারাপ লাগছে। তোমার কি মনে হয়নি যে এটা আমার আগেই জানা উচিৎ ছিল? তুমি দুঃখে ভেঙে পড়েছ জেনে ভীষণ লজ্জা পাচ্ছি। ফাঁসির আদেশ শোনার পর তোমার আর বাবার হাতে চুমু খেতে দাওনি কেন আমায়?
দুনিয়া আমায় ১৯ বছর বাঁচতে দিয়েছে। সেই অভিশপ্ত রাতে আমারই তো মরে যাওয়া উচিত ছিল, তাই না? আমার মৃতদেহ ছুড়ে ফেলার কথা ছিল শহরের কোনো অজ্ঞাত কোণে। কয়েক দিন পর মর্গে যা শনাক্ত করার কথা ছিল তোমার। সঙ্গে এটাও জানতে পারতে যে হত্যার আগে আমাকে ধর্ষণও করা হয়েছিল। হত্যাকারীরা অবশ্যই ধরা পড়তো না, কারণ আমাদের না আছে অর্থ, না ক্ষমতা। তারপর বাকি জীবনটা সীমাহীন শোক ও অসহ্য লজ্জায় কাটিয়ে কয়েক বছর পর তোমারও মৃত্যু হতো। এটাই যে হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সে রাতের আকস্মিক আঘাত সব কিছু ওলোটপালট করে দিল। শহরের কোনো গলি নয়, আমার শরীরটা প্রথমে ছুড়ে ফেলা হলো এভিন জেলের নিঃসঙ্গ কুঠুরিতে, আর সেখান থেকে কবরের মতো এই শাহর-এ রায় কারাগারের সেলে। কিন্তু এ নিয়ে অনুযোগ করোনা মা, এটাই নিয়তির বিধান। আর তুমি তো জানো যে মৃত্যুতেই সব শেষ হয়ে যায়না।
মা, তুমিই তো শিখিয়েছ অভিজ্ঞতা লাভ ও শিক্ষা পাওয়ার জন্যই আমাদের জন্ম। তুমি বলেছিলে, প্রত্যেক জন্মে আমাদের কাঁধে এক বিশেষ দায়িত্ব দেয়া থাকে। মাঝে মাঝে লড়াই করতে হয়, সে শিক্ষা তো তোমার থেকেই পেয়েছি। সেই গল্পটা মনে পড়ছে, চাবুকের ঝাপ্টা সহ্য করতে করতে একবার প্রতিবাদ জানানোর ফলে আরও নির্মমতার শিকার হয়েছিল এক ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয়। কিন্তু প্রতিবাদ তো সে করেছিল! আমি শিখেছি, সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে অধ্যবসায় প্রয়োজন। তার জন্য যদি মৃত্যুও আসে, তাকেই মেনে নিতে। স্কুলে যাওয়ার সময় তুমি শিখিয়েছিলে, নালিশ ও ঝগড়াঝাটির মাঝেও যেন নিজের নারীসত্ত্বাকে বিসর্জন না দেই। তোমার মনে আছে মা, কত যত্ন করেই না মেয়েদের খুঁটিনাটি সহবত শিখিয়েছিলে আমাদের? কিন্তু তুমি ভুল জানতে মা। এই ঘটনার সময় আমার সে সব তালিম একেবারেই কাজে লাগেনি। আদালতে আমায় এক ঠাণ্ডা মাথার খুনি হিসেবে পেশ করা হয়। কিন্তু আমি চোখের পানি ফেলিনি। ভিক্ষাও করিনি। আমি কাঁদিনি কারণ আইনের প্রতি আমার অটুট আস্থা। কিন্তু বিচারে বলা হলো, খুনের অভিযোগের মুখেও নাকি আমি নিরুত্তাপ। আচ্ছা মা, আমি তো কোনোদিন একটা মশাও মারিনি। আরশোলাদের চটিপেটা না করে শুঁড় ধরে জানলার বাইরে ফেলে দিয়েছি। সেই আমিই নাকি মাথা খাটিয়ে মানুষ খুন করেছি! উল্টো ছোটবেলার ওই কথাগুলো শুনে বিচারপতি বললেন- আমি নাকি মনে মনে পুরুষালি। তিনি একবার চেয়েও দেখলেন না, ঘটনার সময় আমার হাতের লম্বা নখের ওপর কী সুন্দর নেল পালিশের জেল্লা ছিল। হাতের তালু কত নরম তুলতুলে ছিল। সেই বিচারকের হাত থেকে সুবিচার পাওয়ার আশা অতি বড় আশাবাদীও করতে পারে কি? তাই তো নারীত্বের পুরস্কার হিসেবে মাথা মুড়িয়ে ১১ দিনের নির্জনবাসের হুকুম দেয়া হলো। দেখেছ মা, তোমার ছোট্ট রেহানে এই কয়েক দিনেই কতটা বড় হয়ে গেছে। এবার আমার অন্তিম ইচ্ছেটা বলি শোনো। কেঁদো না মা, এখন শোকের সময় নয়। ওরা আমায় ফাঁসি দেয়ার পর আমার চোখ, কিডনি, হৃদযন্ত্র, হাড় আর যা যা কিছু দরকার যেন আর কারও জীবন রক্ষা করতে কাজে লাগানো হয়। তবে যিনিই এসব পাবেন, কখনোই যেন আমার নাম না জানেন। আমি চাই না এর জন্য আমার সমাধিতে কেউ ফুলের তোড়া রেখে আসুক। এমনকি তুমিও না। আমি চাইনা আমার কবরের সামনে বসে কালো পোশাক পরে কান্নায় ভেঙে পড়ো তুমি। বরং আমার দুঃখের দিনগুলো সব হাওয়ায় ভাসিয়ে দিও। এই পৃথিবী আমাদের ভালোবাসেনি, মা। চায়নি আমি সুখী হই। এবার মৃত্যুর আলিঙ্গনে তার পরিসমাপ্তি ঘটতে চলেছে। তবে সৃষ্টিকর্তার এজলাসে সুবিচার আমি পাবই। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি অভিযোগের আঙুল তুলব সেই সমস্ত পুলিশ অফিসারের দিকে, বিচারকদের দিকে, আইনজীবীদের দিকে, আর তাদের দিকে যারা আমার অধিকার বুটের নিচে পিষে দিয়েছে, বিচারের নামে মিথ্যা ও অজ্ঞানতার কুয়াশায় সত্যকে আড়াল করেছে। একবারও বোঝার চেষ্টা করেনি, চোখের সামনে যা দেখা যায় সেটাই সর্বদা সত্যি নয়।
আমার নরম মনের শোলেহ, মনে রেখো সেই দুনিয়ায় তুমি আর আমি থাকব অভিযোগকারীর আসনে। আর ওরা দাঁড়াবে আসামির কাঠগড়ায়। দেখিই না, সৃষ্টিকর্তা কী চান! তবে একটাই আরজি, মৃত্যুর হাত ধরে দীর্ঘ যাত্রা শুরুর প্রাক মুহূর্ত পর্যন্ত তোমায় জড়িয়ে থাকতে চাই, মা! তোমায় যে খুব, খু-উ-ব ভালবাসি।

(সংগৃহীত)

তথ্যসূত্র :
1.https://www.bbc.com/news/world-middle-east-29769468
2.https://www.hrw.org/news/2014/10/25/iran-reyhaneh-jabbari-executed
3.Source: Middle East Eye https://share.google/Ydi6z5uH2duy8B6XK
4.Source: The Guardian https://share.google/THCbfSONXLvmCW6cb

02/12/2025

Good morning Chittagong !!

30/11/2025

পাক্কা আট বছর পর পিয়ালীদেবী এলেন ছেলের বাড়ি। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন কোনদিন আসবেন না। কিন্তু জেদ তার রইল না। ভঙ্গ হলোই।

সামনের মাসে ছেলে বৌমার নাকি ডিভোর্স। কি কারণে ছাড়াছাড়ি হচ্ছে তিনি জানেন না। শুধু সূত্র মারফত শুনেছিলেন ওদের ৫-৬ মাসের একটি শিশু কন্যা আছে। অনেক ডাক্তার বদ্যি করে হয়েছে।

কিন্তু কি এমন কান্ড ঘটলো! পিরিতের সখ এর মধ্যেই মিটে গেল! লুকিয়ে বিয়ে করে আবার লুকিয়ে ডিভোর্স। বলিহারি ছেলে! বলিহারি তার বুদ্ধি!

পিয়ালীদেবী ছেলের বাড়ি পা দিয়ে বুঝলেন অবস্থা অত্যন্ত গরম। শিশু কন্যাটি ত্রাহি ত্রাহী চিৎকার করছে। খাটের উপর বিছানায় তার একটি পা কাপড় ছিড়ে বাঁধা। যেন সে উল্টে গড়িয়ে না পড়তে পারে নিচে। এই ব্যবস্থা করে ওর মা গেছে ওয়াশরুমে।

আর গজেন বাইরের বারান্দায় চুপ করে বসে। যেন পুকুর ধারে বসে ছিপ ফেলেছে জলে। সামান্য ডিস্টার্ব করলে ক্ষেপে যাবে। মেয়ের চিৎকার তার কানেই যাচ্ছে না।
হঠাৎ এতো দিন পর মাকে আসতে দেখে সে তিরিং করে লাফিয়ে উঠলো। দু'পা পিছিয়ে গিয়ে একটু হাসলো। তারপর আবার গম্ভীর হলো। উল্টো দিক মুখ ঘুরিয়ে বলল, এখানে কিন্তু মাতব্বরি ফলাবে না। এটা আমার বাড়ি। ইলার পক্ষ নিয়ে কিছু বলবে না।

ইলা গজেনের স্ত্রী।
পিয়ালীদেবী আট বছর পর ছেলেকে দেখলেন। চুলে কেমন এলোমেলো পাক ধরেছে। সংসার যন্ত্রণায় যেন একেবারে বিধ্বস্ত। অনেকক্ষণ ঝগড়া করলে, রেগে থাকলে মুখের ভাব যেমনটা হয় ঠিক তেমন একটা ভাব নিয়ে গুরু গম্ভীর হয়ে বসে গজেন।

পিয়ালীদেবী ছেলের কথায় কান না দিয়ে হনহন করে ঢুকে গেলেন বেডরুমে। বাচ্চাটির পা ছাড়িয়ে কোলে নিলেন। চোখের জল মুছিয়ে দিলেন। তারপর পায়ে হাত বুলিয়ে বারবার দেখতে লাগলেন কোথাও বাঁধনের দাগ বসে গেছে কিনা।

একরাশ উদ্বেগ নিয়ে এ সময় তড়িঘড়ি ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলো ইলা। সে সামনা-সামনি কোনদিন শাশুড়িকে দেখেনি। ছবি দেখেছে একাধিকবার। ফলে তার চিনতে অসুবিধা হলো না।

ইলা কোন কথা না বলে পাশ কাটিয়ে অন্য ঘরে এলো। তড়িঘড়ি চেঞ্জ করে আবার ফিরে এলো শাশুড়ির কাছে। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে মেয়েকে নিতে চাইলে পিয়ালীদেবী বাধা দিলেন। বললেন, তোমার যা কাজ আছে কমপ্লিট করো। আমি ক'দিন থাকব। আমার ঘরটা দেখিয়ে দাও।

দু'দিন হলো পিয়ালীদেবী এসেছেন। এখনো পরিষ্কার বুঝতে পারেননি গজেন আর ইলার ঝামেলা কি নিয়ে। দু'জনাই বলছেন ডিভোর্স নেবে। এক সঙ্গে থাকা যায় না।
কেন থাকা যায় না কি প্রবলেম কেউ খোলসা করছে না। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছোট্ট মেয়েটি নিয়ে। ইলা গো ধরে বসে আছে ডিভোর্সের পর সে এ বাড়িতেই মেয়ে নিয়ে থাকবে। গজেনকে সরে যেতে হবে। কারণ বাড়িটির নাম ইলা ভবন। ইলার নামেই রেজিস্ট্রি।

আজ খুব সকালে ইলা মেয়ে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে বাধ্য হলো। খুব ঠান্ডা লেগেছে। কাশতে কাশতে দম আটকে যাচ্ছে পুঁচকেটার।

ফাঁকা বাড়িতে ছেলেকে ধরলেন পিয়ালীদেবী। বললেন, আমাদের না জানিয়ে বিয়ে করলি, আত্মীয় পরিজন বিসর্জন দিলি। আলাদা থাকছিস। নিজেদের মত সংসার গুছিয়ে নিয়েছিস। ভালো চাকরি করিস। অভাব নেই। দু'দিন দেখলাম। বউটাও ভালো। সুন্দর কথা বলে। ব্যবহার ভালো।
কথার মাঝেই ফোঁস করে উঠলো গজেন। মুখ বিকৃত করে বলল, কদিন থাকো বুঝতে পারবে। সারাদিন শুধু বকে। এক কথা ৫০ বার বলে। মাথায় ছিট আছে। এত ভালো, বাড়িতে নিয়ে যাও!

পিয়ালিদেবী ছেলের কথায় হাসলেন, একটুখানি চুপ করে রইলেন, তারপর গম্ভীর হয়ে বললেন, আমিও তো বেশি কথা বলি। বকি। পৃথিবীর সমস্ত মেয়েরাই ছেলেদের চেয়ে বেশি কথা বলে। এটা স্বাভাবিক। ছেলেরা দিনে তিন-চার হাজার কথা বলে, মেয়েরা বলে সাত-আট হাজার। প্রায় ডবল। সব কথা তো ছেলেদেরই শুনতে হবে। তোকেই শুনতে হবে। আর কে শুনবে! কেউ না শুনলে মেয়েরা পাগল হবেই। তোর জন্যই ইলা বিগড়ে গেছে। ওর সমস্ত কথা শুনলে গুরুত্ব দিলে এমন হতো না।

মায়ের কথায় গজেন আকাশ থেকে পড়লো। বকবক করবে মেয়েরা আর দোষ হবে ছেলেদের! ধৈর্য ধরে শুনতে হবে ছেলেদের! আশ্চর্য কথা! সে বিরক্ত হয়ে বলল, তুমি শোনো গিয়ে আমি পারবো না। একটু থেমে আবার বলল, আরেকটা কাজ খারাপ করেছে।

পিয়ালীদেবী এবার সতর্ক হলেন। মনোযোগ দিলেন ছেলের কথায়। আশ্চর্য হয়ে বললেন, কি খারাপ কাজ শুনি? যার জন্য তুই মেয়েটাকে পর্যন্ত কোলে নিস না! ওর কি দোষ?
গজেন ফট করে বলে ফেলল, মেয়ে কি আমার নাকি! মেয়ে তো ওর বান্ধবীর। রীতমা মারা যাবার পর এনেছে। এখন বলছে আর কাউকে দেবে না। কাগজপত্র রেডি করে ফেলেছে।

পিয়ালীদেবী চোখ বড় বড় করে বললেন, ওর বান্ধবীর মানে?

মানে আবার কি! রিতমা সিঙ্গল মাদার। কিছুদিন আগে কিডনি খারাপ হয়ে মারা গেছে। তখনই আইনি জট কাটিয়ে ইলা বাচ্চাটাকে এনেছে।

পিয়ালীদেবী অনেকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে রইলেন। ধীরে ধীরে উঠে গেলেন ছেলের পাশ থেকে। তারপর বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে রইলেন চুপ করে।

ঘন্টাখানি পর ঘেমে নেয়ে মেয়ে কোলে ইলা এলে পিয়ালীদেবী ছুটে গিয়ে ঘুমন্ত শিশুটাকে ছিনিয়ে নিয়ে বুকে চেপে কেঁদে ফেললেন। এক হাতে চোখ মুছে বললেন, তুমি ঈশ্বর মা। অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়েছো। চলো আমরা ফিরে যাই। এমন মেয়ে পেয়ে যে কোলে নিতে চায়না সে আর যাই হোক মানুষ নয়। কি করে এমন বিবেকহীন অপদার্থ তেলে জন্ম দিয়েছিলাম জানিনা। চলো বৌমা, এই বেলা যাই।

ইলা অনেকক্ষণ শাশুড়ির মুখ পানে চেয়ে রইলো অপলক। তার বিশ্বাস হচ্ছিল না। যেন সে স্বপ্ন দেখছিল। একটা সময় পর সেও বলল, চলুন। আমারও থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে না এখানে।

শাশুড়ি বৌমা যখন ছোট্ট শিশুটি নিয়ে ধীরে ধীরে অদৃশ্য হচ্ছে পথের বাঁকে ঠিক তখনই বারান্দায় এসে থাম ধরে দাঁড়ালো গজেন। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল সেই দিকে।

তারপর হঠাৎ সে মাকে ডাকল। বলল, একটু দাঁড়াও।
পিয়ালীদেবী দাঁড়ালেন। কি যেন ভাবলেন। তারপর বৌমাকে বললেন, চলো বৌমা, ওর জন্য দাঁড়ানো ঠিক হবে না। প্রয়োজন হলে ঠিক আসবে।

অচেনা পথ।
বাবুরাম মন্ডল


(সংগৃহীত)

29/11/2025

কাউন্সেলিং মানে উপদেশ দেওয়া নয়, সমালোচনামূলক মন্তব্য করাও নয়। কাউন্সেলিং একটি বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়ার ‘কাউন্সেলিং টেবিলের গল্প’ সিরিজের নতুন বই ‘সঙ+সার=সংসার’।

সংসার মানে কী? মানিয়ে চলা, আনন্দ, অশ্রু, হাসি, বেদনা, পরকীয়া, বিবাহবিচ্ছেদ, তারপরে একলা চলার গল্প। নাকি সংসার এক আজব ভুলভুলাইয়া, অনেকটা নাট্যমঞ্চের মতো। একজন মানুষকে যেখানে অভিনয় করতে হয় নানা ভূমিকায়। কত অলিগলি, কত মুখোশ, রং মেখে কত সত্য গোপন, কত চোখের পানিতে ভেজা বালিশ, কত রাগ, হাসি, আনন্দ, মান-অভিমান আসে সে জীবনে। সংসারজীবনে নানা জনের নানা সত্য ঘটনা গল্পচ্ছলে মনোজাগতিক ব্যাখ্যাসহ তুলে ধরা হয়েছে অভিনব এই বইটিতে।

প্রত্যেকটি মানুষেরই চিন্তার দক্ষতা রয়েছে। এ কারণেই মনস্তত্ত্ব কোনো জটিল বিষয় নয়। বরং আমরা যদি মনোজাগতিক সীমাবদ্ধতাকে নিজেই চিহ্নিত করতে পারি, তাহলে অন্যের দিকে আর আঙুল তোলার অবকাশ থাকে না। সম্পর্কটাও তখন হয় ভালোবাসার, সম্মানের ও আস্থার। তাহলেই সংসারটা সংসার থাকবে, না হলে কেবল সঙ সাজাই সার হবে। বইটিতে লেখক সংসারজীবনের সেসব প্রসঙ্গই তুলে ধরেছেন সরল গদ্যে, একেবারে গল্পের মতো করে।

‘সঙ+সার=সংসার’ যে-কোনো সাধারণ ও মনস্তত্ত্ব-অনুসন্ধানী পাঠকের জন্য একটি অনন্য বই।

অর্ডার লিংক:
https://kathaprokash.com/book/1415

28/11/2025

Song: Aaro aaro PrabhuSinger: Debadrito ChattopadhyayMusic arrangement: Gopal DasRecord & Mix: Gopal DasVideo: Pritam MohantaStudio: MtLD Business enquiries ...

28/11/2025

গতমাসে আমার মাননীয় শ্বাশুরি মাতা ফেসবুক একাউন্ট খুলেছেন। এরপর থেকে তিনি সারাদিন মোবাইল গুতাগুতি করেন। কিন্তু তার প্রোফাইল পিকচার নাকি কোনভাবেই যুত্সই হচ্ছে না। কিভাবে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসা যায় তা নিয়ে তিনি ভিষন উদ্বিগ্ন। আমার কাছে বুদ্ধি চাইলে আমি তাকে বলি,

: আম্মা আপনার কিন্তু বয়স.....

: খবরদার বন্যা! আমার বয়স নিয়ে কথা বলবা না; তোমার বুড়া শ্বশুর যখন দাঁত কেলিয়ে ছবি তুলে তখন তো খুব বাহবা দেও। অথচ সে আমার থেকে তের বছরের বড়!

: আম্মা!! আমি কথা শেষ করার আগেই আপনি আমাকে কতগুলো কথা শুনিয়ে দিলেন। অথচ আমি বলতে চাচ্ছিলাম, আপনার বয়স কিন্তু তেমন হয়নি।

: তাহলে?

: আম্মা বিশ্বাস করেন সমস্যাটা আপনার বয়সের না।

: তবে?

: মূলত: সাদামাটা কাপড়ের কারণে এমনটা হচ্ছে। আপনি খেয়াল করেছেন, আব্বার গতকালের প্রোফাইল পিকচারটা কত সুন্দর হইছে! কেবলমাত্র লাল শার্টের কারণে আব্বার বয়স বিশ বছর কমে গেছে।

: এটা বোধ হয় ঠিক বললা না। একটু কস্ট করে তার গলার দিকে তাকাইও।

: আমি জানতাম, আপনি আমার কথা বিশ্বাস করবেন না। আপনি রফিকের কাছে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন। তাহলে ক্রস ভেরিফিকেশনটা হয়ে যাবে।

: আর প্যাঁচাইও না বন্যা। এখন আমার কি করা উচিত তাই বলো। আমি তো অনেক পিছিয়ে গেলাম।

: আম্মা প্রচুর রঙচঙ্গা কাপড় কিনতে হবে। তারপর ঠিক সন্ধ্যার আগে আগে খোলা আকাশের নীচে বিভিন্ন এ্যাংগেলে ছবি তুলতে হবে।

: তবে আজকেই চলো না কয়েকটা রঙচঙ্গা শাড়ি কিনে আনি।

: আম্মা আমি তো এখন অনেক ব্যস্ত! অফিসের অনেকগুলো কাজ বাসায় নিয়ে এসেছি।

: বন্যা দয়া করে ভাব নিওনা। আমি যখনই শপিং এর কথা বলি তুমি তখনই প্রচুর ব্যস্ততা দেখাও। অথচ যতবার মার্কেটে গেছি তোমাকে কিছু না কিছু কিনে দিছি।

: অসম্ভব আম্মা! আমি আপনার সাথে মার্কেটে যাবো না। আমি ব্যস্ত! প্রকৃতই ব্যস্ত!

: তাই নাকি?

: হুম।

: আজকে থেকে আমি আর আপনার আশেপাশে নাই। আমার এই ভেবে বুক ফেটে কান্না আসতেছে যে, আমার প্রিয় আম্মা আমাকে কিছুক্ষন আগে খোটা দিয়েছে।

: এখন তো ব্যস্ততা দেখাবাই। অথচ আমার কাছে খবর আছে গত সপ্তাহে এই তুমিই তোমার শ্বশুরকে লাল শার্ট কিনে দিয়েছ। আমি আসলেই বোকা! আমি বিরোধীদল চিনতে পারি নাই।

: আচ্ছা ঠিক আছে আম্মা, আমি আপনার সাথে যাবো। কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে।

: কি শর্ত?

: আমাকে একটা সবুজ রঙের জামদানী শাড়ি কিনে দিতে হবে।

: এইতো লাইনে আসছেন আমাদের বন্যা ম্যাডাম!!

২.

: কই তোমার পরামর্শ তো কোন কাজে লাগলো না বন্যা!! আগের ছবিতে তেইশটা লাইক পাইছিলাম, এখনকার ছবিতে পাইলাম তিপান্নটা।

: অনেকটাই বাড়ছে তো আম্মা। এতো অস্থির হলে তো চলবে না। একটু অপেক্ষা করেন, আপনার জয় কেউ আটকিয়ে রাখতে পারবে না।

: কেন অস্থির হবো না। গত সপ্তাহে আমাকে দিয়ে কত খরচ করালে তা কি তোমার মনে আছে?

: আবার কিন্তু খোটা দিলেন আম্মা ! দেইখেন আমি আর ঐ জামদানী শাড়ি পরবো না।

: আহা এতো রাগ করো কেন? যে ভাবেই হোক আমার ছয়শ লাইক লাগবে।

: তার জন্য তো মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে আম্মা।

: আচ্ছা এই যে আমি মাথা ঠান্ডা করলাম। এখন বলো আমি কিভাবে তোমার আব্বাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবো?

: আমি কিন্তু একটু অবাকই হয়েছি আম্মা। আমি আশা করেছিলাম আপনার জয় জয়াকার দেখতে পারবো। নতুন ছবিগুলোও তো অনেক সুন্দর হয়েছে।

: তবে এমন হচ্ছে কেন ? সমস্যা কি?

: আম্মা, আমি বোধহয় সমস্যাটা ধরতে পেরেছি।

: তাই নাকি!! তাড়াতাড়ি বলোতো সোনা।

: আমার মনে হয় সমস্যাটা লোকেশনে।

: মানে ?

: আপনার বয়স, বেশভূসা সবই ঠিক আছে; এখন সঠিক জায়গায় সঠিক ছবিটা তুললেই খেল খতম?

: বন্যা; দয়া করে এতো না প্যাচিয়ে মূল কথাটা জলদি বলে ফেল তো।

: আমাদের দেশ সেরা লোকেশনে যেতে হবে। আমরা ব্যাগ ভরে প্রচুর কাপড় নিয়ে যাবো তারপর লাগাতার সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে মোবাইল ভরে ফেলবো।

: আহা! তুমি অনেক কথা বলো, কোথায় যেতে হবে সেটা পরিস্কার করে বলো।

: চলেন আমরা সবাই মিল কক্সবাজার যাই।

: ও মা, মারে! এই মেয়ে বলে কি?

: আমি আমার গবেষনার ফলাফল ঘোষনা করেছি। এখন সবকিছু আপনার উপর নির্ভর করতেছে।

: এতো অনেক টাকা-পয়সার ব্যাপার!

: সেটা তো আপনার টেনশন না আম্মা। আপনি বাবাকে ম্যানেজ করেন। আমি রফিককের বিষয়টা দেখবো।

: তারা কি টাকা-পয়সা খরচ করবে?

: কেন করবে না? আমরা সারা বছর সংসারটা সামলে রাখলাম বলেই তো আব্বা আর রফিক ব্যবসায় বেশি বেশি সময় দিতে পেরেছে।

: অনেকদিন পর একটা দামি কথা বলছ। তুমি খালি দেখতে থাকো আমি কি করি!!

৩.

: আম্মা সময়ের মতো সময় কিন্তু চলে যাচ্ছে এখনো কিন্তু তেমন ছবিই তোলা হলো না।

: তোমার আব্বার সাথে বসে সমুদ্র দেখতেছি এখন তোমার ছবি তোলার কথা মনে হলো?

: যে উদ্দেশ্য নিয়ে কক্সবাজার আসলাম সেটা তো পূরণ করতে হবে না-কি?

: অবশ্যই পূরণ করবো। আলোটা আরেকটু কমে আসুক। তবে এখন আর কেবল আমার ছবি নয়। আমি আর তোমার আব্বা একসাথে ছবি তুলবো।

: আম্মা বলেন কি? তাহলে সুন্দর প্রোফাইল পিকচারের কি হবে?

: আমার কথা বুঝতে তোমার কি কস্ট হচ্ছে ? আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে প্রোফাইলে দুই জনের ছবি দিবো।

: এ্যাঁ!!

: দয়া করে এখন তুমি এখান থেকে যাও। আমরা এখন কয়েকটা সেল্ফি তুলবো। তোমার আব্বা আবার তোমার সামনে সেল্ফি তুলতে লজ্জা পাবে। তুমি তো জানো না কতো বড় বেকুব ব্যাডা মানুষ জুটছে আমার কপালে!!

প্রোফাইল_পিকচার
জীবন চক্রবর্তী
(সংগৃহীত)

Address

Mohakhali DOHS
Dhaka
1206

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Prof. Dr. Sunjida Shahriah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Prof. Dr. Sunjida Shahriah:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category