04/10/2025
ইমাম নববী رحمه الله বলেন,
> “গীবত মূলত হারাম। তবে শরীয়তে প্রমাণিত কিছু স্থানে গীবত করা জায়েজ, এমনকি কখনো ওয়াজিব হয়।”
তিনি ৬টি (কিছু আলেম ৭টি) কারণ উল্লেখ করেছেন যেখানে গীবত করা বৈধ:
1. অত্যাচারীর বিরুদ্ধে সাহায্য চাওয়া
– কারো ওপর জুলুম হলে সে শাসক বা দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে অভিযোগ করতে পারে।
– উদাহরণ: “অমুক আমাকে কষ্ট দিয়েছে” বলার মাধ্যমে ন্যায়বিচার চাওয়া।
2. অপরাধ ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা, এবং মুসলিমদের সতর্ক করা
– কাউকে প্রতারণা থেকে বাঁচাতে বা বিপদ থেকে রক্ষা করতে কারো খারাপ দিক জানানো।
– যেমন: ব্যবসায় প্রতারণাকারীর ব্যাপারে অন্যকে সাবধান করা,
অথবা হাদিস শাস্ত্রে রাবীদের দুর্বলতা প্রকাশ করা (জরহ ও তাদীল)।
3. ফতোয়ার প্রয়োজনে
– কেউ আলেমকে প্রশ্ন করার সময় কারো নাম উল্লেখ করে বলতে পারে:
“আমার বাবা, ভাই বা স্বামী আমার প্রতি এমন অন্যায় করছে, এখন আমার করণীয় কী?”
4. গুনাহ থেকে বাঁচাতে উপদেশ দেয়া
– কোন খারাপ কাজে জড়িত ব্যক্তিকে সংশোধনের জন্য আলেম বা দায়িত্বশীলকে জানানো।
5. সনাক্ত করার জন্য
– কারো ডাকনাম বা পরিচিত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা, যদি তা ছাড়া তাকে চেনানো সম্ভব না হয়।
তবে অবজ্ঞা করার জন্য নয়।
6. প্রকাশ্যে গুনাহকারী বা বিদআতকারী
– যে ব্যক্তি প্রকাশ্যে মদ খায়, সুদ খায়, অন্যায় করে বা বিদআত প্রচার করে –
তাকে তার পরিচয়ে উল্লেখ করা জায়েজ।
(রিয়াযুস স্বা-লিহীন ১৫৩৯)
“মানুষকে ক্ষতি থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে কারো গীবত করা জায়েজ, বরং কখনও তা ওয়াজিব হয়ে যায়। যেমন প্রতারক ব্যবসায়ী, দুর্বল হাদিস বর্ণনাকারী, বা বিভ্রান্তিকারী আলেম সম্পর্কে সতর্ক করা।”
মাজমূ’ আল-ফাতাওয়া (২৮/২২১)