28/10/2025
হাসপাতালে এসেছেন, এদিকে নামাজেরও সময় হয়েছে। পুরুষদের জন্য পার্শ্ববর্তী কোনো মসজিদে সালাতের ব্যবস্থা থাকলেও দীর্ঘ সময় ধরে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা নারী রোগীর কাজা হয়ে যাচ্ছে ওয়াক্তের পর ওয়াক্ত সালাত। হাসপাতালে নেই কোনো পর্দাবৃত, গোছানো সালাতের ব্যবস্থা!
পুরুষ ডাক্তারদের কর্তৃক নারী রোগীদের উপর করা হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা, কিংবা বড়সড় সেনসিটিভ সার্জারিতে এত এত পুরুষ সার্জন, ওয়ার্ড বয় তোয়াক্কা করছে না বিপরীত লিঙ্গের রোগীর প্রাইভেসি আর পর্দার!!
বিকল্প হালাল ওষুধের ব্যবস্থা করা সম্ভব হলেও ঠিকঠাক যাচাই না করে শরয়ীভাবে হারাম উপাদানে তৈরি ওষুধের সাপ্লাই দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালের ডিসপেন্সারি থেকে!!
যেখানে চিকিৎসা দেওয়ার কথা ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, সেখানে চিকিৎসা হয়ে যাচ্ছে ব্যবসা-কেন্দ্রিক!
বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে গেলে এই দৃশ্যগুলো দেখা যায়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রচলিত ইসলামি হাসপাতালেও অনেক ক্ষেত্রে একই অবস্থা বিরাজ করছে।
অথচ পূর্ণাঙ্গভাবে শারিয়াহর মূলনীতি মানা হলে এসবের কোনোটা হয়তো দেখা যেত না। কারণ মানবজীবনে দ্বীনের সংরক্ষণ (হিফজুদ-দ্বীন) শারিয়াহর উদ্দেশ্যের গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতির একটি।
আদর্শ শারিয়াহ হাসপাতাল:
১) হাসপাতালে “শারিয়াহ মেডিকেল বোর্ড” থাকবে, যারা চিকিৎসা পদ্ধতি, ওষুধের উৎস ও নৈতিক দিক যাচাই করবে। প্রতিটি ওষুধ, টিকা বা ইনজেকশনের উপাদান হালাল ও পবিত্র কিনা তা যাচাই করে সেই অনুযায়ী সাপ্লাই দেবে।
২) লজ্জাস্থান ও পর্দা সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে—পুরুষ রোগীকে পুরুষ ডাক্তার, আর নারী রোগীকে নারী ডাক্তার দেখবে—এটা নীতিগত নিয়মে সবকিছুর ব্যবস্থা থাকবে। জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম হলে পর্দা ও প্রয়োজনের সীমা বজায় রেখে চিকিৎসা হবে।
৩) হাসপাতালের ভেতরে যথাযথ ওজুর ব্যবস্থা সহ পর্দাবৃত নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্ত হলে আজানের ব্যবস্থা থাকবে।
৪) হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার মধ্যে চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকে দ্বীনের দাওয়াহ, এবং প্রয়োজন হলে “রুকইয়াহ শরইয়াহ” এর মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
৫) বাণিজ্য বা ব্যবসায়িক লাভের চেয়ে সমগ্র হাসপাতালের ব্যবস্থাপনার মূল উদ্দেশ্য হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি।