Yashfeen Hospital

Yashfeen Hospital Ensuring Shariah in Health Management.

Yashfeen Hospital is a distinguished healthcare institution dedicated to delivering high-quality, ethically grounded medical services. It strives to integrate modern medicine with Islamic ethical principles, offering comprehensive, compassionate care across a range of specialties. The hospital houses a specialized Psychiatry and Islamic Psychology Center, where conventional psychiatric treatments are harmonized with Islamic psychological methodologies. This center addresses mental health within a faith-based framework, combining clinical excellence with spiritual sensitivity. Yashfeen Hospital upholds the values of integrity, holistic healing, and patient-centered care, aiming to set a benchmark in Shariah-compliant healthcare services.

হাসপাতালে এসেছেন, এদিকে নামাজেরও সময় হয়েছে। পুরুষদের জন্য পার্শ্ববর্তী কোনো মসজিদে সালাতের ব্যবস্থা থাকলেও দীর্ঘ সময় ধরে...
28/10/2025

হাসপাতালে এসেছেন, এদিকে নামাজেরও সময় হয়েছে। পুরুষদের জন্য পার্শ্ববর্তী কোনো মসজিদে সালাতের ব্যবস্থা থাকলেও দীর্ঘ সময় ধরে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা নারী রোগীর কাজা হয়ে যাচ্ছে ওয়াক্তের পর ওয়াক্ত সালাত। হাসপাতালে নেই কোনো পর্দাবৃত, গোছানো সালাতের ব্যবস্থা!

পুরুষ ডাক্তারদের কর্তৃক নারী রোগীদের উপর করা হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা, কিংবা বড়সড় সেনসিটিভ সার্জারিতে এত এত পুরুষ সার্জন, ওয়ার্ড বয় তোয়াক্কা করছে না বিপরীত লিঙ্গের রোগীর প্রাইভেসি আর পর্দার!!

বিকল্প হালাল ওষুধের ব্যবস্থা করা সম্ভব হলেও ঠিকঠাক যাচাই না করে শরয়ীভাবে হারাম উপাদানে তৈরি ওষুধের সাপ্লাই দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালের ডিসপেন্সারি থেকে!!

যেখানে চিকিৎসা দেওয়ার কথা ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, সেখানে চিকিৎসা হয়ে যাচ্ছে ব্যবসা-কেন্দ্রিক!

বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে গেলে এই দৃশ্যগুলো দেখা যায়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রচলিত ইসলামি হাসপাতালেও অনেক ক্ষেত্রে একই অবস্থা বিরাজ করছে।

অথচ পূর্ণাঙ্গভাবে শারিয়াহর মূলনীতি মানা হলে এসবের কোনোটা হয়তো দেখা যেত না। কারণ মানবজীবনে দ্বীনের সংরক্ষণ (হিফজুদ-দ্বীন) শারিয়াহর উদ্দেশ্যের গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতির একটি।

আদর্শ শারিয়াহ হাসপাতাল:

১) হাসপাতালে “শারিয়াহ মেডিকেল বোর্ড” থাকবে, যারা চিকিৎসা পদ্ধতি, ওষুধের উৎস ও নৈতিক দিক যাচাই করবে। প্রতিটি ওষুধ, টিকা বা ইনজেকশনের উপাদান হালাল ও পবিত্র কিনা তা যাচাই করে সেই অনুযায়ী সাপ্লাই দেবে।

২) লজ্জাস্থান ও পর্দা সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে—পুরুষ রোগীকে পুরুষ ডাক্তার, আর নারী রোগীকে নারী ডাক্তার দেখবে—এটা নীতিগত নিয়মে সবকিছুর ব্যবস্থা থাকবে। জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম হলে পর্দা ও প্রয়োজনের সীমা বজায় রেখে চিকিৎসা হবে।

৩) হাসপাতালের ভেতরে যথাযথ ওজুর ব্যবস্থা সহ পর্দাবৃত নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্ত হলে আজানের ব্যবস্থা থাকবে।

৪) হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার মধ্যে চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকে দ্বীনের দাওয়াহ, এবং প্রয়োজন হলে “রুকইয়াহ শরইয়াহ” এর মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

৫) বাণিজ্য বা ব্যবসায়িক লাভের চেয়ে সমগ্র হাসপাতালের ব্যবস্থাপনার মূল উদ্দেশ্য হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি।

আজ মারিয়ামের বিয়ে। মারিয়ামের জীবন টা বাবা ছাড়া এই সমাজে খুব একটা সহজ ছিল না। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা গ্রামের...
19/10/2025

আজ মারিয়ামের বিয়ে। মারিয়ামের জীবন টা বাবা ছাড়া এই সমাজে খুব একটা সহজ ছিল না। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা গ্রামের মহিলাদেরকে নিয়ে ছোটখাটো উদ্যোগে নকশিকাঁথা তৈরীর কাজ শুরু করেন। প্রচন্ড আত্মসম্মানসম্পন্ন তার মা সাধ্যের মধ্যে প্রয়োজনগুলো পূরণ করার চেষ্টা করেছেন। একইসাথে দিয়েছেন যেকোন পরিস্থিতিতে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার শিক্ষা। এই শিক্ষার বলেই মারিয়াম ছোট বড় সকল নেতিবাচক বিষয় কে পাশ কাটিয়ে প্রশান্ত থেকেছে প্রতিটা ক্ষেত্রে। জীবন নিয়ে ছিল কৃতজ্ঞ, ছিল না কোন অভিযোগ। রবের উপর তাওয়াক্কুল করেই জীবনের বাকি দিনগুলো পার করতে চায় সে।

আচ্ছা! আমরা কি মনে করতে পারি শেষ কবে একটা ছোট জিনিসের জন্য কৃতজ্ঞ হয়েছি? সেটা হতে পারে — এক কাপ গরম কফি, শান্তিপূর্ণ একটা সকাল কিংবা বিকেলের নরম আলো, প্রকৃতির সৌন্দর্য এমনকি নিজের এক খন্ড অবসর। এই যে ছোট থেকে বড় সকল বিষয়ে আল্লাহর নিয়ামতগুলোকে উপলব্ধি করা এবং সেগুলোর জন্য সবসময় কৃতজ্ঞ থাকা হলো Gratitude। আর এটা শুধু ভালো সময়েই নয়, কঠিন সময়েও আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি বিনীত থাকা।

যখন আমরা এসব ছোট ছোট নিয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞ হই, তখন আমাদের মন অনেক শান্ত থাকে। জীবন নিয়ে কৃতজ্ঞ থাকা আমাদের মানসিক শান্তি আর আত্মার প্রশান্তির জন্য কতটা জরুরী, সেটা আসলে অনুভবের বিষয়। আমরা যত বেশি আমাদের আশেপাশের জিনিসগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখি, তত বেশি বুঝতে পারি যে জীবনটা কেবল পাওয়া না-পাওয়ার হিসাবের চেয়ে অনেক গভীর কিছু। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই আল্লাহর পক্ষ থেকে এক উপহার।

কৃতজ্ঞ থাকা মানে অবশ্যই ভালো সময়ের জন্য আলহামদুলিল্লাহ বলে আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা। আবার কঠিন সময়েও উপলব্ধি করা যে আল্লাহ আমাদের শক্তিশালী করার জন্যই এই পরীক্ষাগুলো দিয়েছেন। যখন আমরা কৃতজ্ঞ হই, তখন আমরা হতাশা থেকে বের হয়ে আসতে পারি। কৃতজ্ঞতা আমাদের দৃষ্টি সঠিক পথে ফিরিয়ে আনে। আমরা বুঝতে পারি যে, এই দুনিয়া একটা পরীক্ষাস্থল, আর আমাদের কাজ হলো ভালোভাবে এই পরীক্ষাগুলো পাস করা। আল্লাহর পরিকল্পনায় নিজেকে সপে দিয়ে তাঁর আরও কাছাকাছি যাওয়া।

আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আমাদের নফসকেও নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক জরুরী। যখন আমরা কৃতজ্ঞ হই, তখন ঈর্ষা, হিংসা, লোভ এগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারি। কারণ আমরা বুঝতে পারি, আমাদের যা আছে তা-ই যথেষ্ট। আমাদের যা নেই, সেটা না পাওয়া মানেই সব হারানো নয়। বরং আল্লাহ আমাদের জন্য যা নির্ধারণ করেছেন, সেটাই আমাদের জন্য সঠিক। আসলে কৃতজ্ঞতার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে। যখন আমরা জীবনকে আল্লাহর দেওয়া এক আমানত হিসেবে দেখি, তখন হতাশা আর ক্ষোভের পরিবর্তে ভালোবাসা আর প্রশান্তি জায়গা করে নেয়। সম্পর্কগুলো আরও সুন্দর হয়ে ওঠে, কারণ আমরা মানুষের প্রতিও কৃতজ্ঞ হতে শিখি।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, কৃতজ্ঞতা আমাদের আল্লাহর পরিকল্পনার উপর ভরসা রাখতে শেখায়। জীবন সবসময় আমাদের ইচ্ছামতো চলবে না, কিন্তু আল্লাহ যা ঠিক করেছেন, সেটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে কল্যানকর। এই বিশ্বাসই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয়। জীবন নিয়ে হতাশা আর অস্থিরতা দূর করে। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমায়। আর অন্তরে এনে দেয় প্রশান্তি।

রবের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা আমাদের ঈমানের একটি অংশ। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'য়ালা বলেছেন,

"যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও, তবে আমি তোমাদের আরও দান করব, এবং যদি তুমি অবাধ্য হও, তবে আমার শাস্তি হবে কঠোর।" (সুরা ইব্রাহীম, ১৪:৭)

আয়েশা সদ্য দ্বীন ইসলামকে গভীরভাবে জানতে ও শিখতে শুরু করেছে। একদিন, তার কলেজ বান্ধবী নাফিসা বলল: “জানিস বেশিরভাগ তাবিজেই ...
17/10/2025

আয়েশা সদ্য দ্বীন ইসলামকে গভীরভাবে জানতে ও শিখতে শুরু করেছে। একদিন, তার কলেজ বান্ধবী নাফিসা বলল: “জানিস বেশিরভাগ তাবিজেই শিরক থাকে!”

কথাটি শুনে আয়েশার হৃদয়ে ধাক্কা লেগে যায়। বিভিন্ন টিভি সিরিজ বা মিডিয়ায় তো মুসলিম বুঝাতেই তাবিজ ঝুলিয়ে দেখানো হয়!

আয়েশার মনে প্রশ্ন জেগে ওঠে, যদি তাবিজে শিরক থাকে, তাহলে সমাধান কোথায়?

মানুষের প্যারানরমাল সমস্যাগুলো তো সত্যিই বিদ্যমান। ইসলাম তো শুধু ধর্ম নয়, এটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। নিশ্চয়ই ইসলামে কোনো না কোনো সমাধান থাকবেই, দৃঢ় বিশ্বাস আয়েশার মনে।

কলেজ থেকে ফিরে, হন্য হয়ে খুঁজতে গিয়ে আয়েশা বিভিন্ন হাদিস এবং প্রমাণসমৃদ্ধ উৎসের সন্ধান পায়। তার অনুসন্ধান তাকে রুকইয়াহ শারইয়্যাহর দিকে নিয়ে আসে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার টুকটাক পোস্ট পড়ে জ্ঞান তৃষ্ণা মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না।

বিষয়টি ছোট অথচ গভীর! যারা কবিরাজের পেছনে ছুটে যাচ্ছেন, তাদেরকে সঠিক পথ দেখাতে হলে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান থাকা জরুরি।

আয়েশা খুঁজতে খুঁজতে বিভিন্ন রুকইয়াহ কোর্সের সন্ধান পেল। কিন্তু কোন কোর্স তার জন্য সবচেয়ে উপকারী হবে, সেটা বোঝা ছিল চ্যালেঞ্জ। অবশেষে পরিচিত এক বোনের মাধ্যমে সে ফ্রি রুকইয়াহ ওয়েবিনার খুঁজে পেল।

ওয়েবিনার ও এর পরবর্তী ৪ মাসব্যাপী কোর্সের সিলেবাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বলল: "এখানে রুকইয়াহ শারইয়্যাহর মেডিকেল পার্সপেক্টিভও অন্তর্ভুক্ত।"

তবে এত দীর্ঘ কোর্সে টাকা দিয়ে ভর্তি হয়ে জ্ঞান তৃষ্ণা মিটবে কি না, তা নিয়ে আয়েশা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ল। ইস্তিখারা করার পর, সে ওয়েবিনারে জয়েন করার সিদ্ধান্ত নিল।

পরের দিন, বান্ধবী নাফিসার সঙ্গে কথায় কথায় কোর্সটির কথা জানালে নাফিসার চোখ চকচকে হয়ে উঠলো।

সে বলল, “আমার ছোট খালামনিও এই কোর্স করেছে, রিভিউ ভালো শুনেছি আলহামদুলিল্লাহ। ফ্রি ইন্টার্নশিপেও খালামনি সিলেক্ট হয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।”

নাফিসা নিজেও আগ্রহী হয়ে বলল, “তাহলে একসাথেই যুক্ত হই কী বলিস?”

আয়েশা বলল, “চল, তাহলে তিথিকেও বলি।তিনজন একসাথে রেজিষ্ট্রেশন করলে ১৭% ডিসকাউন্টও পাওয়া যাবে।"

✨ আমাদের অনেক বোনের সাধারণ প্রশ্ন থাকে:
“রুকইয়াহ শারইয়্যাহ কী? কেন এটি জানা জরুরি?”

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ সংক্রান্ত বেসিক ধারণা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বোনদের জন্য আমাদের বিশেষ আয়োজন -

Free Webinar on “Basic of Ruqyah Shariyyah & Masnoon A’maal”

যেখানে আলোচনা করা হবে—
🔹 রুকইয়াহ শারইয়্যাহ কী
🔹 কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ

📆 তারিখ: শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

⏰ সময়: সকাল ১০টা থেকে ১টা (ইনশাআল্লাহ)

📲 মাধ্যম: লাইভ ব্রডকাস্ট অন আমাতুল্লাহ'স এরা টেলিগ্রাম সিস্টার্স গ্রুপ

📩 বিস্তারিত জানতে আগ্রহীরা ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

💡 আরেকটি সাধারণ প্রশ্ন- কে রুকইয়াহ করতে পারে?

নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য যে কেউ রুকইয়াহ করতে পারে। এজন্য আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা, দুআ জানা বা কুরআনের আয়াত পড়তে পারাই যথেষ্ট।

📌 নিজে নিজে রুকইয়াহ করাকে বলা হয় Self Ruqyah।

➡️ তবে দীর্ঘমেয়াদী বা জনসাধারণের জন্য রুকইয়াহ করতে চাইলে অবশ্যই পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন জরুরি।

রাসূল ﷺ বলেছেন:

“যে চিকিৎসার জ্ঞান ছাড়াই চিকিৎসা করবে, (কোনো বিপদ ঘটলে) সে-ই দায়ী হবে।” (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস ৪৫৮৬)

🟥 এই ফ্রি ওয়েবিনার মূলত প্রি-কোর্স সেশন, যেখানে রুকইয়াহ শারইয়্যাহ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হবে।

আশা করছি, ফ্রী ওয়েবিনারটি করার পর আমাদের বোনদের লং কোর্সে রেজিষ্ট্রেশন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে ইনশাআল্লাহ।

🌿 “রুকইয়াহ শারইয়্যাহ কোর্স ৬ষ্ট ব্যাচ (২০২৫)

🎉 গতবারের মতো এবারও যৌথভাবে কোর্সটি আয়োজন করছে: Yashfeen Hospital & Amatullahs Era

‼️কোর্স শুধুমাত্র বোনদের জন্য‼️

বিস্তারিত থাকছে কমেন্টে ⬇️

যুগের পরিবর্তনে চিকিৎসাশাস্ত্রে এসেছে নানা রকম উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন। উদ্ভাবিত হয়েছে রোগ নির্ণয়ের নতুন নতুন পদ্ধতি। তবু...
13/10/2025

যুগের পরিবর্তনে চিকিৎসাশাস্ত্রে এসেছে নানা রকম উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন। উদ্ভাবিত হয়েছে রোগ নির্ণয়ের নতুন নতুন পদ্ধতি। তবুও প্রায় ১৪০০ বছর আগে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা ওহির মাধ্যমে এমন এক পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা নাজিল করেছেন, যা মানুষের প্রতিটি ইস্যু, সমস্যা বা সংকটে সর্বাধিক উপযোগী ও কল্যাণকর দিকনির্দেশনা প্রদান করে। ইসলাম সেই পূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যার মূলনীতি কিয়ামত পর্যন্ত সব যুগ, দেশ ও কালে সমানভাবে প্রযোজ্য।

প্রতিটি ক্ষেত্রের মতো চিকিৎসাশাস্ত্র সম্পর্কেও ইসলামের নিজস্ব নৈতিক, আইনগত ও শরঈ দিকনির্দেশনা রয়েছে। ইলমের এই বিশেষ শাখার নাম ‘ফিকহুত-তিব্ব’ বা ‘ফিকহ অব মেডিসিন’।

অর্থাৎ, পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট অনুসারে কোন চিকিৎসা করা যাবে বা যাবে না, কোন ওষুধ বা পদ্ধতি হালাল, হারাম, মাকরূহ বা মুবারক—রোগীর প্রতি চিকিৎসকের দায়িত্ব, মৃত্যুর পূর্ববর্তী চিকিৎসা (end-of-life care), অঙ্গ প্রতিস্থাপন, IVF, abortion, euthanasia ইত্যাদির শরঈ বিধান—এসবই ‘ফিকহুল তিব্ব’ বা ‘ফিকহ অব মেডিসিন’-এর আওতাভুক্ত।

প্রত্যেক মুসলিম চিকিৎসকের জন্য শুধু মেডিকেল একাডেমিক ও ক্লিনিক্যাল জ্ঞান নয় বরং এই ‘ফিকহ অব মেডিসিন’-এর মৌলিক জ্ঞান অর্জন করাও ফরজ।

ইবনে আবেদীন শামী (রহ.) বলেছেন—

> وَكُلُّ مَنْ اشْتَغَلَ بِشَيْءٍ يُفْرَضُ عَلَيْهِ عِلْمُهُ وَحُكْمُهُ لِيَمْتَنِعَ عَنْ الْحَرَامِ فِيهِ

“যে ব্যক্তি কোনো বিষয়ে নিযুক্ত থাকবে, তার জন্য উক্ত বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা ফরজ, যাতে সে সেই বিষয়ে হারাম থেকে বিরত থাকতে পারে।” (রদ্দুল মুহতার: ১/৪২)

বর্তমান যুগে ডাক্তারদের মধ্যে একাডেমিক ও ক্লিনিক্যাল জ্ঞান অর্জনে যথেষ্ট গুরুত্ব থাকলেও শরঈভাবে একজন চিকিৎসককে ‘সার্টিফাইড’ করার দ্বিতীয় মানদণ্ড তথা ‘ফিকহ অব মেডিসিন’-এর জ্ঞান অর্জনে তেমন মনোযোগ দেখা যায় না, কারণ এ বিষয়ে সচেতনতা এখনো খুব সীমিত।

তাছাড়া, প্র্যাকটিসের পাশাপাশি সিস্টেমেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, এবং আমাদের বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থা বেশিরভাগই পরিচালিত হচ্ছে সেকুলার মেডিকেল এথিক্সের মূলনীতির ভিত্তিতে।

এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে হলে প্রয়োজন হবে একযোগে দাওয়াহ ও সিস্টেম পরিবর্তনের প্রচেষ্টা।

এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে আমাদের টিম ‘ইয়াশফীন’।

চিকিৎসা গ্রহণ সম্পর্কে আমাদের চারপাশে না জানি কত রকমের কথা প্রচলিত আছে! একদলের ধারণা—পান থেকে চুন খসলেই চলো ডাক্তারের কা...
11/10/2025

চিকিৎসা গ্রহণ সম্পর্কে আমাদের চারপাশে না জানি কত রকমের কথা প্রচলিত আছে! একদলের ধারণা—পান থেকে চুন খসলেই চলো ডাক্তারের কাছে; আরেক দলের মতে—যতই জীবন সংকটে পড়ুক, ডাক্তার দেখাব না, ঔষধের ধার ধারি না। দুই ধরনের প্রান্তিকতাই আমাদের সমাজে পরিলক্ষিত হয়।

কিন্তু এত মতামত ও অনুমানের ঊর্ধ্বে, আদতে ইসলামি শরিয়াহ চিকিৎসা গ্রহণ সম্পর্কে কী বলে?

ইসলামে চিকিৎসা গ্রহণের ধারণা খুবই স্বতন্ত্র। সমাজে প্রচলিত নানা ধারণা এবং পাশ্চাত্য মূলনীতি—উভয়ের সঙ্গেই কিছু ক্ষেত্রে এর পার্থক্য রয়েছে। কুরআনে বলা হয়েছে—

“আর যখন আমি অসুস্থ হই, তখন তিনিই (আল্লাহ) আমাকে সুস্থ করেন।” (সূরা আশ-শুআরা: ২৬:৮০)

অর্থাৎ রোগ থেকে সুস্থ হওয়া আল্লাহর হাতে।

কিন্তু চিকিৎসা নিলে কি আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুলের (ভরসার) খেলাফ হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম একটি হাদীসের উদ্ধৃতি পেশ করেন—

> আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি বলল: “আমি কি আমার উটকে বেঁধে রেখে আল্লাহর উপর ভরসা করব, নাকি খুলে রেখে ভরসা করব?”

রাসূল ﷺ বললেন: “اعقلها وتوكل” — “বেঁধে রাখো এবং এরপর আল্লাহর উপর ভরসা করো।”

[জামে আত-তিরমিজি: ২৫১৭; মুসনাদে আহমাদ: ২০৫৯৪]

এই হাদীস থেকে ইসলামে ‘উপায় অবলম্বন করা এবং তারপর তাওয়াক্কুল করা’—এই নীতিটি সুস্পষ্ট হয়। দুনিয়ার উপায় (আসবাব) গ্রহণ ইসলামবিরোধী নয়। একই বিধান চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

[বিস্তারিত: যাদুল মা'আদ, ৪/১৫]

অন্য হাদীসে এসেছে—

“আল্লাহ কোনো রোগ নাজিল করেননি যার জন্য ওষুধ (শিফা) রাখেননি।”

(সহীহ বুখারী: ৫১৬৩)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম বলেছেন—এটির মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।

আল্লাহ আরও বলেন—

“আর আমরা কুরআন থেকে যা নাজিল করেছি, তা বিশ্বাসীদের জন্য শিফা (চিকিৎসা) ও রহমত।”

(সূরা ইসরা: ১৭:৮২)

অর্থাৎ কুরআন নিজেই একটি শিফার মাধ্যম; তবে কার্যকারিতা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।

এই মূলনীতির উপর ভিত্তি করেই রুকইয়া পদ্ধতির প্রচলন হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন রকম আত্মিক সমস্যায় আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হয় কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত ও ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে।

যদিও কোনো নির্দিষ্ট ইনভেস্টিগেশনে এর প্রমাণ পাওয়া যায় না বলে পাশ্চাত্য দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ‘সার্টিফাইড’ নয়, তবে কুরআন-সুন্নাহর অকাট্য দলিল ও সালফে-সালেহীনদের আমল অনুসারে, কোনো প্রকার শির্ক বা বিদআত ছাড়া কুরআনের মাধ্যমে চিকিৎসা তথা বিশুদ্ধ রুকইয়া একটি স্বীকৃত ও বিশেষায়িত চিকিৎসা পদ্ধতি। এমন আমল নবী ﷺ-এর যুগে অনুমোদিত হয়েছিল এবং বহু সাহাবার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।

বর্তমান আধুনিক মেডিসিনে ল্যাব টেস্ট ও প্রমাণনির্ভর চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি রাসূলুল্লাহ ﷺ ১৪০০ বছর আগেই আমাদের কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের কথা জানিয়ে গেছেন, যেগুলো সুস্থতার জন্য অত্যন্ত সহায়ক। যেমন—মধু, কালোজিরা ইত্যাদি। আধুনিক গবেষণায়ও এসবের অগণিত উপকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।

অতএব, সাধারণ ক্ষেত্রে চিকিৎসা গ্রহণ ইসলামের দৃষ্টিতে উৎসাহিত। তবে পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট অনুসারে চিকিৎসা গ্রহণ কখনো হতে পারে ওয়াজিব, কখনো সুন্নাহ, কখনো মুবাহ (জায়েজ), আবার কখনো হারামও হতে পারে!

আসলেই কি তাই? কিভাবে?

(জানব পরবর্তী পর্বে ইনশাআল্লাহ।)

রাত গভীর। মেহজাবিন একা ঘরে বসে কাঁদছে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে তার সবকিছুই আছে—ভালো চাকরি, সুন্দর পরিবার, সমাজে সম্মান।...
06/10/2025

রাত গভীর। মেহজাবিন একা ঘরে বসে কাঁদছে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে তার সবকিছুই আছে—ভালো চাকরি, সুন্দর পরিবার, সমাজে সম্মান। কিন্তু ভেতরের যন্ত্রণা কেউ দেখে না।

অকারণ ভয়, অস্থিরতা, ঘুমের অভাব আর প্রচণ্ড দুঃখ তাকে ভেতর থেকে ভেঙে দিচ্ছে। পরিবারের কেউ মনে করছে—“এ আর এমন কী! সময়ের সাথে ঠিক হয়ে যাবে।” অথচ শারীরিক জ্বরের মতোই মানসিক অসুস্থতাও চিকিৎসা ছাড়া দিন দিন জটিল হয়ে ওঠে। আর এমনই মেহজাবিন আমাদের আশেপাশেই বিদ্যামান।

আমাদের সমাজে এখনো মানসিক রোগকে অবহেলা করা হয়। অনেকেই ভাবেন, চিকিৎসা নেওয়া মানে দুর্বলতা প্রকাশ করা। অথচ গবেষণা বলছে, বিশ্বব্যাপী প্রতি চারজন মানুষের একজন জীবনের কোনো না কোনো সময়ে মানসিক রোগে ভোগেন। ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি, বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়ার মতো রোগগুলো শুধু ব্যক্তির নয়—তার পরিবার, কর্মক্ষেত্র কিংবা সমাজের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে।

সঠিক চিকিৎসা ছাড়া এর ফল ভয়াবহ হতে পারে—

• আত্মহত্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
• কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়।
• সম্পর্ক ভেঙে পড়ে।
• শিশু ও তরুণ প্রজন্ম নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যে বেড়ে ওঠে।

তাহলে সমাধান কোথায়?

চিকিৎসা ও সচেতনতা।

শারীরিক রোগের ক্ষেত্রে যেমন হয়, ঠিক তেমনই মানসিক রোগের চিকিৎসা যেমন—ডাক্তার, থেরাপি, মেডিকেশন, কাউন্সেলিং, পরিবার ও সমাজের সহযোগিতা—সবগুলো মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ সাপোর্ট সিস্টেম গড়ে ওঠে।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমাদের মানসিক রোগকে “লজ্জার বিষয়” নয়, বরং চিকিৎসাযোগ্য একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখতে হবে। যেমন আমরা স্বাভাবিকভাবে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের জন্য চিকিৎসকের কাছে যাই, তেমনভাবে আমাদের মনের রোগ নিয়েও একই গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

মানসিক সুস্থতা ছাড়া পরিপূর্ণ সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব নয়।

তাই, চলুন প্রতিজ্ঞা করি—মানসিক সমস্যা নিয়ে আমরা নিজে সচেতন হবো, অন্যদের সচেতন করবো এবং মানসিক রোগের চিকিৎসাকে প্রয়োজনীয় ও স্বাভাবিক একটি ধাপ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করবো ইনশাআল্লাহ।

Yashfeen Hospital অভিজ্ঞ সাইকিয়াট্রিস্ট এবং কাউন্সেলরগণ মানসিক রোগসমূহের জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং সার্ভিস প্রদান করছেন। বিস্তারিত জানতে আমাদের পেইজে মেসেজ দিন ইনশাআল্লাহ।

ইয়াশফীন থেকে আমরা পরিপূর্ণ ইসলামিক মেন্টাল হেলথ কেয়ার সার্ভিস দেওয়ার প্রচেষ্টায় কাজ করে চলেছি।  এখন থেকে ডা. মো: শরিফু...
05/10/2025

ইয়াশফীন থেকে আমরা পরিপূর্ণ ইসলামিক মেন্টাল হেলথ কেয়ার সার্ভিস দেওয়ার প্রচেষ্টায় কাজ করে চলেছি।

এখন থেকে ডা. মো: শরিফুল ইসলাম অনলাইনে এবং অফলাইনে নিয়মিত কাউন্সেলিং সার্ভিস প্রদান করবেন ইনশাআল্লাহ।

▪️চেম্বার অ্যাড্রেস:
২১৭/এ, আউটার সার্কুলার রোড, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা।

▪️অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে যোগাযোগ করুন:
Yashfeen Hospital ফেইসবুক পেইজে। অথবা
+8801711-924201 হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে।

সেশন শেষে আমাদের জানাতে ভুলবেন না, কেমন লাগল সার্ভিস। আপনাদের ফিডব্যাকই আমাদের দিকনির্দেশনা।

থার্ড ইয়ারে যখন প্রথমবার ওয়ার্ডে যাওয়া হয়, তখনই শেখানো হয়, রোগীর সঙ্গে কোমল আচরণ করতে, তাঁর সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তু...
04/10/2025

থার্ড ইয়ারে যখন প্রথমবার ওয়ার্ডে যাওয়া হয়, তখনই শেখানো হয়, রোগীর সঙ্গে কোমল আচরণ করতে, তাঁর সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে। কারণ, একজন মানুষ তখনই চিকিৎসকের কাছে আসে, যখন সে শারীরিকভাবে সবচেয়ে দুর্বল ও অসহায় অবস্থায় থাকে।

দুঃখজনকভাবে, বাস্তব জীবনে ডাক্তার হয়ে যাওয়ার পর ব্যক্তিগত কারণে হোক বা বাহ্যিক পরিবেশ পরিস্থিতির চাপে আমরা অনেকেই সেই শিক্ষাটা ভুলে যাই। তখন রোগীকে কেবল একটি ‘ক্লিনিক্যাল কেইস’ হিসেবে দেখা হয়।

অথচ ইসলাম রোগীকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন: “আমি অবশ্যই আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি।” (সূরা ইসরা ১৭:৭০)

যদি হাসপাতালগুলো সত্যিকার অর্থে শারিয়াহর নীতি মেনে চলতো, তাহলে আজকের চিত্রটা হতো অনেক ভিন্ন।

রোগীদের মৌলিক শারঈ অধিকারের মধ্যে রয়েছে—

▪️গোপনীয়তা ও পর্দা : নারী রোগীর জন্য নারী ডাক্তার ও নার্সের ব্যবস্থা, এবং রোগীর অনুমতি ব্যতীত ব্যক্তিগত তথ্য কোনোভাবেই প্রকাশ না করা।

▪️আমানতদারিত্ব : ডাক্তার রোগীকে “আল্লাহর অর্পিত আমানত” হিসেবে দেখতেন, আর সেই তাগিদ থেকেই যত্ন নিতেন।

▪️ন্যায্য চিকিৎসা : গরিব-ধনী নির্বিশেষে প্রত্যেকে একই মানের চিকিৎসা প্রদান।

▪️ধর্মীয় কার্যক্রম অনুশীলন : রোগীদের জন্য নামায, দুআ ও অন্যান্য আমলের সুযোগ রাখা।

▪️স্বচ্ছতা ও সততা : অযথা অতিরিক্ত টেস্ট বা খরচ না চাপিয়ে বরং আসল অবস্থা খোলাখুলি আলোচিত করা।

কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অনেক হাসপাতাও ইসলামিক নাম ব্যবহার করলেও শারিয়াহর মূল নীতিগুলো পুরোপুরি অনুসরণ করে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পর্দার ব্যবস্থা থাকে দুর্বল, গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়, আর বাণিজ্যিকীকরণের ফলে রোগীদের ওপর অপ্রয়োজনীয় খরচের বোঝা চাপানো হয়।

অন্যদিকে প্রকৃত শারিয়াহভিত্তিক হাসপাতালে সাশ্রয়ী চিকিৎসা, রোগীর মর্যাদা ও গোপনীয়তা অক্ষুণ্ণ থাকে, এবং চিকিৎসাব্যবস্থা হালাল-হারামের সীমারেখায় পরিচালিত হয়। প্রকৃত শারিয়াহভিত্তিক হাসপাতাল রোগীর শুধু দেহের নয়, বরং আত্মারও যত্ন নেয়।

এখানে মানা হয়– মাকাসিদ আশ-শারিয়াহ। যেখানে শরিয়তের মুল উদ্দেশ্যসমূহ—মানুষের জীবন, ধর্ম, বুদ্ধি, সম্পদ ও বংশধারা ইত্যাদি হিফাজত করা হয়।

▪️রোগীর জীবন বাঁচানো→হিফজ আন-নাফস (জীবন রক্ষা)।
▪️তার ইবাদতের সুযোগ তৈরি করা→হিফজ উদ-দীন (ধর্ম রক্ষা)।
▪️অযথা খরচ ও প্রতারণা থেকে বাঁচানো→হিফজ আল-মাল (সম্পদ রক্ষা)।
▪️নারীর পর্দা ও সম্মান বজায় রাখা→হিফজ আন-নাসল (বংশ/সমাজ রক্ষা)।
▪️চিকিৎসায় মাদক বা হারাম উপাদান এড়ানো→হিফজ আল-‘আকল (বুদ্ধি রক্ষা)।

এজন্য রোগীর অধিকার পরিপূর্ণভাবে রক্ষার্থে সম্পূর্ণ শারিয়াহভিত্তিক হাসপাতালের কোনো বিকল্প নেই।

• প্রচলিত ইসলামিক হাসপাতাল বনাম পূর্ণাঙ্গ শারিয়াহভিত্তিক হাসপাতাল। পর্ব: ০৪।


শারিয়াহ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় সাধারণ ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের পাশাপাশি একটি শারিয়াহ বোর্ড (ডাক্তার ও আলেমদের সমন্বিত প্যা...
02/10/2025

শারিয়াহ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় সাধারণ ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের পাশাপাশি একটি শারিয়াহ বোর্ড (ডাক্তার ও আলেমদের সমন্বিত প্যানেল) বাধ্যতামূলক থাকবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও ত্বরিত রাখতে একটি স্পষ্ট কার্যবিবরণী আইন (charter) থাকা জরুরি। কোন ক্ষেত্রে শারিয়াহ বোর্ডের সনদ আবশ্যক, কোন ক্ষেত্রে জরুরি চিকিৎসার (emergency treatment) জন্য চিকিৎসকের স্বাধীনতা বজায় থাকবে— তা পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, ট্রেনিং, এবং আপিল/ইস্কালেশন প্রক্রিয়াও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকা অপরিহার্য।

প্রচলিত ইসলামিক হাসপাতাল অনেকক্ষেত্রে ওয়াক্ফ/চ্যারিটি বা ট্রাস্ট-ফান্ড নির্ভর হয়। শারিয়াহ-কমপ্লায়েন্ট মডেলগুলোও সামাজিক অর্থায়ন (waqf, sadaqah) মেকানিজম ব্যবহার করতে চায়, কিন্তু এতে ফিন্যান্সিয়াল কমপ্লায়েন্স জটিল হয়ে পড়তে পারে। এর সঙ্গে আরও একটি বড় ঘাটতি হলো— বেশিরভাগ হাসপাতালেই কার্যকর শারিয়াহ বোর্ড অনুপস্থিত।

শারিয়াহভিত্তিক সেবার জন্য ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের মেডিকেল ফিকহ এবং পেশাদার আচরণবিধির ওপর ধাপে ধাপে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। বাংলাদেশে মহিলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি থাকলেও, দীর্ঘমেয়াদে তা পূরণ করা সম্ভব। নারী ডাক্তার ও টেকনিশিয়ানদের জন্য স্টাইপেন্ড, বিশেষ প্রশিক্ষণ বোনাস, এবং কমিউনিটি হেলথ কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যার কার্যকর সমাধান সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন সদিচ্ছা ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা।

প্রচলিত ইসলামিক হাসপাতাল বনাম পূর্ণাঙ্গ শারিয়াহভিত্তিক হাসপাতাল। পর্ব ০৩।
• ম্যানেজমেন্ট, গভর্ন্যান্স এবং প্রশিক্ষণ।


সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একই-লিঙ্গের স্বাস্থ্যকর্মী বা টেকনিশিয়ান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাস্তবে, বিশেষত বাংলাদেশ...
30/09/2025

সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একই-লিঙ্গের স্বাস্থ্যকর্মী বা টেকনিশিয়ান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাস্তবে, বিশেষত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, মহিলা সার্জন বা টেকনিশিয়ানের অভাব বিদ্যমান। এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প হিসেবে টেলিমেডিসিন, মহিলা জেনারেল প্র্যাকটিশনারদের প্রশিক্ষণ, নার্স-স্কিলিং (task-shifting) এবং সর্বোপরি জরুরত ও রুখসার নীতিমালার প্রয়োগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রচলিত ইসলামিক হাসপাতাল ব্যবস্থায় এই চাহিদাগুলো অনেকাংশেই অর্থহীন কিন্তু শারিয়াহ নীতিমালায় এর প্রয়োগ অপরিহার্য।

▪️স্পিরিচুয়াল কেয়ার: স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হলো মানসিক ও আত্মিক রেমেডি প্রদান। এ ধরনের সেবার জন্য যথাযথ স্পেস এবং সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রচলিত ইসলামিক হাসপাতাল ব্যবস্থা প্রায়ই ব্যর্থ। বিশেষত হো/মো/সে/ক্সু/য়ালিটি বা রুকইয়ারের মতো বিষয়গুলো সমাজের প্রচলিত মানদণ্ডে সহজে খাপ খায় না। ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী সঠিক পদক্ষেপ না নেয়ার ফলে অনেকেই ভিন্ন পথে পা বাড়ান। অথচ এমন ইস্যুতেও শারিয়াহভিত্তিক সেবার মাধ্যমে উপযুক্ত ইসলামিক কাউন্সেলিং প্রদানের সুযোগ রয়েছে।

▪️আর্কিটেকচার ও স্পেসিং: শারিয়াহভিত্তিক হাসপাতালে ফিজিক্যাল ডিজাইন করা হয় বিশেষভাবে ইসলামিক নীতিমালা অনুযায়ী। এর মধ্যে রয়েছে নামাজের জন্য যথাযথ স্থান, ওজুর সুবিধা, পুরুষ ও মহিলা আলাদা কনসালটেশন রুম ও ওটি রুম, স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সদের ড্রেস কোড সংরক্ষণ ইত্যাদি। এছাড়াও সার্ভিস লেয়ারে যোগ করা হয় ইবাদাহ-সহযোগী পরিষেবা— যেমন রমাদান রেমেডি ও গাইডলাইন, রোগীর খাদ্য হালাল সার্টিফায়েড, জানাযা সংক্রান্ত নির্দেশিকা, কাউন্সেলিং ও ডকুমেন্টেশনের জন্য পৃথক ডেস্ক।

প্রচলিত ইসলামিক হাসপাতাল ডিজাইনে ইসলামিক স্পেসের কিছু কাস্টমাইজেশন থাকতে পারে, তবে তা মূল নকশার অংশ নাও হতে পারে। মুসলিম প্রধান দেশগুলোর প্রায় সব হাসপাতালেই নামাজের স্থান থাকে, কিন্তু বাকি পরিষেবাগুলো প্রায়শই কর্তৃপক্ষের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো ফতোয়া বোর্ডের অধীনে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ থাকে না। অথচ মুসলিম রোগীদের জন্য ইসলামিক নীতিমালা অনুযায়ী হাসপাতালের আর্টিটেকচার তৈরি অতীব প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।

• প্রচলিত ইসলামিক হাসপাতাল বনাম পূর্ণাঙ্গ শারিয়াহভিত্তিক হাসপাতাল।
পর্ব ০২: ক্লিনিকাল প্র্যাকটিস এবং কাঠামোগত পার্থক্য।


শারিয়াহভিত্তিক হাসপাতালের মূলনীতি হলো মাকাসিদ আশ-শারিয়াহ এবং ফিকহের কাওয়াঈদ ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। যেমন: দ্বীন রক্...
28/09/2025

শারিয়াহভিত্তিক হাসপাতালের মূলনীতি হলো মাকাসিদ আশ-শারিয়াহ এবং ফিকহের কাওয়াঈদ ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। যেমন: দ্বীন রক্ষা, জীবন রক্ষা, বংশ রক্ষা, সম্পদ রক্ষা এবং সম্মান রক্ষা ইত্যাদি।

অন্যদিকে, প্রচলিত ইসলামিক হাসপাতালগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত নাম, ট্রাস্ট বা ওয়াকফের পটভূমি থেকে ইসলামিক পরিচয় পাওয়া যায়; তবে তাদের গভর্ন্যান্স ও ক্লিনিকাল সিদ্ধান্তগুলো মূলত ওয়েস্টার্ন মেডিকেল এথিক্স ও রেগুলেশনের ওপর নির্ভরশীল।

[উদাহরণস্বরূপ: Islamic Hospital (Jordan), Hospital Universiti Sains Malaysia (HUSM), Muslim community clinics (যেমন: Harlem Hospital Muslim Clinic, Muslim Community Center Medical Clinic, USA)]*

এই প্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিক মান বজায় রেখে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এক্রেডিটেশন গ্রহণ করে থাকে।

এক্ষেত্রে হাসপাতালের নীতিমালা মূলত দাঁড়িয়ে থাকে ওয়েস্টার্ন বায়োমেডিকেল এথিক্সের ওপর: অটোনোমি, বেনেফিসিয়েন্স, নন-ম্যালিফিসেন্স এবং জাস্টিস। একনজরে এসব নীতির কোনো নেতিবাচক দিক চোখে না পড়লেও বিশ্লেষণে দেখা যায় কিছু সূক্ষ্ম ফাঁক। যেমন: হালাল-হারামের বিবেচনা না করা, বা শারিয়াহর বাধ্যবাধকতা অগ্রাহ্য করা।

পক্ষান্তরে, শারিয়াহ মডেলে দ্বীনের আহকাম এবং মাকাসিদ আশ-শারিয়াহকেই মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

বেশিরভাগ ক্লিনিক্যাল সিদ্ধান্তে ওয়েস্টার্ন বায়োমেডিকেল এথিক্স ও শারিয়াহ নীতির মধ্যে সমন্বয় করা সম্ভব মনে হলেও কিছু জটিল ক্ষেত্রে (যেমন: গর্ভপাত, জীবনের হেফাজতে রুখসাহ, ইউথানাসিয়া, অর্গান ডোনেশন, প্রজনন প্রযুক্তি ইত্যাদি) ফিকহি ব্যাখ্যা ও চিকিৎসা প্রটোকলের মাঝে সংঘর্ষ তৈরি হতে পারে। এসব পরিস্থিতি আগেভাগেই সুনির্দিষ্ট ফাতওয়া বা রুলিং দাবি করে।

এছাড়াও ক্রমবর্ধমান চিকিৎসা প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব হচ্ছে, যার সমাধানের জন্য যুগোপযোগী নির্দেশনা প্রদানে শারিয়াহভিত্তিক বোর্ড থাকা অত্যন্ত জরুরি।

* উল্লেখিত হাসপাতালগুলো সম্পূর্ণ শারিয়াহ-লেবেল না হলেও মুসলিম রোগী-কেন্দ্রিক পরিষেবা (যেমন: সেইম জেন্ডার ডক্টর, রেমেডি অ্যাডজাস্টমেন্ট) প্রদান করে।

• প্রচলিত ইসলামিক হাসপাতাল বনাম পূর্ণাঙ্গ শারিয়াহভিত্তিক হাসপাতাল।
পর্ব: ০১ - Theological Basis (তাত্ত্বিক ভিত্তি)


রুকইয়াহ হলো, কুরআন এবং সহীহ দুআর মাধ্যমে আত্মিক, মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসার একটি বৈধ ইসলামিক পদ্ধতি।রসূল সাল্লাল্লাহু আলা...
27/09/2025

রুকইয়াহ হলো, কুরআন এবং সহীহ দুআর মাধ্যমে আত্মিক, মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসার একটি বৈধ ইসলামিক পদ্ধতি।

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চিকিৎসার জন্য শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি আধ্যাত্মিক চিকিৎসা তথা রুকইয়াহ করেছেন ও তাঁর উম্মাহকে নির্দেশ দিয়েছেন।

📖 আল্লাহ তাআলা বলেন,"আমি কুরআনে যা নাজিল করি, তা মুমিনদের জন্য শিফা (আরোগ্য) ও রহমত।" (সূরা আল-ইসরা: ৮২)

📖 রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "হে আল্লাহর বান্দারা! চিকিৎসা গ্রহণ করো, কেননা আল্লাহ এমন কোনো রোগ দেননি যার চিকিৎসা রাখেননি, একমাত্র বার্ধক্য ছাড়া।" (সুনান আবু দাউদ: ৩৮৫৫)

শরীরের রোগ যেমন চিকিৎসার প্রয়োজন, তেমনই আত্মিক রোগের চিকিৎসার জন্য রুকইয়াহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মেডিকেল ট্রিটমেন্ট কিংবা রুকইয়াহ শ্যারইয়াহ- এর চিকিৎসা দুটোতেই আল্লাহ তাআলার দেওয়া শিফার মাধ্যমে সার্বিকভাবে সুস্থতা নিশ্চিত হয়।

এই দুই রকম চিকিৎসা একই সাথে গ্রহণে কোন সমস্যা নেই বরং একই সাথে গ্রহণ করা অনেকক্ষেত্রে রোগীর জন্য অত্যাধিক উত্তম।

আপনি জানেন কি? Amatullahs Era এবং Yashfeen Hospital এর কোলাবোরেশনে আয়োজিত "রুকইয়্যাহ শারইয়্যাহ" কোর্সের ৬ষ্ঠ ব্যাচ ৩১শে অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে!

একইসাথে ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তি হলে পাচ্ছেন আর্লি বার্ড ডিসকাউন্ট সুবিধা!

ভর্তির বিস্তারিত দেখুন কমেন্টে -

Address

Dhaka
1207

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Yashfeen Hospital posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Yashfeen Hospital:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category