NutriCare

21/11/2025

শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫ - Nutrilearnbd থেকে আয়োজিত একটি স্কুলে হেলথ ক্যাম্পে গিয়েছিলাম। সকল বয়সী ছেলেমেয়েরা ছিলো সেখানে। স্বাস্থ্য নিয়ে, ব্রেকফাস্ট, টিফিন নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে, অভিভাবকদের সাথে কথা হলো বিস্তারিত।

এর মধ্যে একটি স্টুডেন্টের কেস হিস্ট্রি নিয়ে কথা বলি।
মেয়ে। বয়স ১০ বছর। বয়স অনুযায়ী ওজন উচ্চতা ঠিক আছে।
কিন্তু, তার ফ্যাটি লিভার‼️
হ্যাঁ! ১০ বছর বয়সী একটি শিশুর ফ্যাটিলিভার৷
এবং আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই বাচ্চা কোনো শাক সবজি খায় না। শুধু এই বাচ্চা না, এই ফ্যামিলির কেউ খায় না। বাচ্চার বাবা মা - কেউ না। বাসাতে সবজি রান্নাই হয় না। শুধুই চিকেন !

আমাদের এই পুষ্টি সচেতনতা কতটুকু দরকার বুঝতে পারছেন?
মোবাইল, ইন্টারনেট খুললেই কোথাও না কোথাও স্বাস্থ্য বিষয়ক, পুষ্টিবিষয়ক কত পরামর্শ থাকে। তবুও এই অবস্থা।

আর ফ্যাটি লিভার! এখনো ভাববেন যে ফ্যাটি লিভার হওয়ার বয়স হয়নি? কত অল্প বয়সে এই ফ্যাটিলিভার চলে গিয়েছে বুঝতে পারছেন?

খাবার নিয়ে, পুষ্টি নিয়ে, জীবনযাপন নিয়ে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে৷ এইটুকু সচেতনতায় হচ্ছে না আমাদের।
শিশুদের বিকাশের সুযোগ দিতে হবে। খেলাধুলার সুযোগ দিতে হবে। বেড়ে উঠার সুযোগ দিতে হবে৷ সুস্থ পরিবেশ দিতে হবে।

আমাদের আজকের শিশুই তো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ ❣️

রোকসানা তনু
নিউট্রিশন এন্ড ডায়েট কনসাল্টেন্ট
নিউট্রিলার্নবিডি
মিরপুর ১১, ঢাকা।

20/11/2025

❣️

একটি সুস্থ প্রজন্মের লক্ষ্যে আমরা একত্রিত!
NutrilearnBD ও সোলবিম স্কলার্স স্কুলের বিশেষ আয়োজন।

NutrilearnBD এবং সোলবিম স্কলার্স স্কুল আগামীকাল শুক্রবার আপনাদের জন্য নিয়ে আসছে একটি বিশেষ Nutrition & Wellness Camp!

আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে আমাদের বিশেষজ্ঞ টিমের সাথে যোগ দিন।

এই ক্যাম্পে অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য যা যা থাকছে:

✅ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা: প্রতিটি শিশুর উচ্চতা ও ওজন মেপে পুষ্টিগত অবস্থা নির্ণয়।
✅ বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের সাথে ব্যক্তিগত আলোচনা: সন্তানের picky eating (খাবারে অনীহা), সঠিক বৃদ্ধি এবং অন্যান্য পুষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে সরাসরি পরামর্শ।
✅ স্বাস্থ্যকর টিফিন বক্সের দারুণ সব আইডিয়া।
✅ অভিভাবকদের জন্য বিশেষ হেলদি রেসিপি আইডিয়া।

তারিখ: ২১ অক্টোবর, শুক্রবার
সময়: সকাল ৯টা - দুপুর ১টা

অ্যাড্রেস : সাঈদনগর আবাসিক এলাকা বি ব্লক, ১ নং গেইট সংলগ্ন, ভাটারা, ঢাকা-১২১২
সকলের জন্য উন্মুক্ত। আপনার পরিচিত সকল অভিভাবকদের সাথে শেয়ার করুন। দেখা হচ্ছে!

18/11/2025

মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং বন্ধ্যাত্ব।

মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং বন্ধ্যাত্ব।

মাইক্রোপ্লাস্টিক এখন নীরব ঘাতক। মাইক্রোপ্লাস্টিকের ব্যবহার খুব নীরবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনেই আছে, আমরা বুঝতেও পারি না। খালি চোখে দেখা না গেলেও পরিবেশ থেকে খাবার, পানি বা বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরছে দেহে। আর এর সবথেকে বেশি প্রভাব পরছে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যে। এবং এই মাইক্রোপ্লাস্টিক PCOS কেও প্রভাবিত করে।

মাইক্রোপ্লাস্টিকে থাকে Bisphenol A (BPA), phthalates, এবং styrene—যেগুলোকে বলা হয় endocrine-disrupting chemicals (EDCs)।

➡️ এগুলো শরীরের এস্ট্রোজেন, টেস্টোস্টেরন, প্রোজেস্টেরন ইত্যাদি হরমোনের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে ডিম্বাণু পরিপক্ব না হওয়া, অনিয়মিত মাসিক, কম স্পার্ম কাউন্ট ইত্যাদি।

মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে গেলে কোষে oxidative stress বাড়ায় এবং inflammatory response শুরু হয়।
➡️ এতে ডিম্বাশয় (o***y), জরায়ু (uterus), টেস্টিস ইত্যাদির টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে প্রাণীভিত্তিক গবেষণায় দেখা গেছে—মাইক্রোপ্লাস্টিক টেস্টিসে স্পার্মের গঠন ও গুণগত মান নষ্ট করে।

➡️ মাইক্রোপ্লাস্টিক কোষে DNA damage ও mitochondrial dysfunction ঘটায়, যা ভবিষ্যৎ ভ্রূণের গঠনকেও প্রভাবিত করতে পারে।

✅ দৈনন্দিন জীবনে কোথায় কোথায় ব্যবহার আছে ?

✔️প্লাস্টিক বোতল :
পানি, কোমল পানীয়, জুস

✔️ প্লাস্টিক ব্যাগ ও র‍্যাপার:
চিপস প্যাকেট, বিস্কুট/চকলেট র‍্যাপ, ফুড-গ্রেড প্লাস্টিক থেকেও ক্ষুদ্র কণা বের হতে পারে

✔️ সিনথেটিক কাপড় :
পলিয়েস্টার,নাইলন,অ্যাক্রিলিক, স্পোর্টসওয়্যার, সোয়েটার, লেগিংস ইত্যাদি। ধোয়ার সময় ছোট ছোট ফাইবার ভেঙে পানি ও বাতাসে যায়।

✔️ কসমেটিক প্রোডাক্ট
স্ক্রাব, ফেসওয়াশ, টুথপেস্ট, মেকাপ প্রোডাক্ট, লোশন, শ্যাম্পু।

✔️ রান্নাঘরের জিনিস
প্লাস্টিক চামচ, প্লাস্টিক কাটিং বোর্ড,প্লাস্টিক টিফিন বক্স

আমাদের জীবনে প্লাস্টিক ব্যবহারের শেষ নেই। সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয় পানির বোতল হিসেবে৷ একটি সাম্প্রতিক (২০২৪) গবেষণায় পাওয়া গেছে, প্রতি লিটার বোতলের পানিতে গড়ে প্রায় ২৪০,000 প্লাস্টিক কণিকা থাকতে পারে। সেই কণিকাগুলোর প্রায় ৯০ % ন্যানোপ্লাস্টিক (অর্থাৎ খুবই ছোট) ছিল।

✅ কী করতে পারি তবে?
✔️ Natural বা Organic প্রোডাক্ট বেছে নিতে হবে ।
✔️ প্লাস্টিক প্যাকেজিং এড়িয়ে চলুন ।
✔️ প্লাস্টিক বোতলের বদলে গ্লাস বা স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার করুন।
✔️গরম খাবার বা পানি প্লাস্টিকের পাত্রে রাখবেন না।
✔️ Canned খাবার (যেমন টুনা, ভুট্টা, বেকড বিন) কম খান
✔️ মাইক্রোওয়েভে প্লাস্টিক ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
✔️ প্রসাধন সামগ্রীর মেয়াদ যাচাই করুন ও ব্যবহারে সচেতন হোন।
✔️ অপ্রয়োজনীয় মেকআপ বা স্কিন কেয়ার এড়িয়ে চলুন।

রোকসানা তনু
নিউট্রিশন এন্ড ডায়েট কনসাল্টেন্ট
নিউট্রিলার্নবিডি
মিরপুর ১১, ঢাকা।

18/11/2025

গত সপ্তাহে আমার কাছে পরপর দুইজন তরুণী এলেন, একজনের বয়স ২০, অন্যজনের ২২। দুইজনই PCOS-এর রোগী। যে রোগটিকে আমরা একসময় মনে করতাম ত্রিশোর্ধ্ব নারীদের সমস্যা, সেটি এখন অল্প বয়সী মেয়েদের মধ্যে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। একজন পুষ্টিবিদ হিসেবে এই চিত্রটি আমাকে সত্যিই আতঙ্কিত করেছে।

তাদের দুইজনের মধ্যেই কিছু সাধারণ কিন্তু মারাত্মক উপসর্গ ছিল, যা হয়তো আপনার বা আপনার পরিচিত কারও সাথে মিলে যেতে পারে:

⏩অনিয়মিত পিরিয়ড

⏩ঘাড়ে কালো ছোপ (Acanthosis Nigricans)

⏩মুখে ও শরীরে অবাঞ্ছিত লোম (Facial Hair)

⏩পেটে অতিরিক্ত চর্বি (Belly Fat)

⏩ সারাদিন ক্লান্তি ও দুর্বলতা

⏩ঘুমের সমস্যা এবং মুড সুইং

তাদের ফুড হিস্ট্রি ঘেঁটে মূল কারণটা স্পষ্ট হয়ে উঠলো — অতিরিক্ত রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট (সাদা ভাত, পাউরুটি, নুডলস), খুব অল্প প্রোটিন এবং ভাতের প্রতি আসক্তি।

✔ তাহলে এখন করণীয় কী? সুস্থতার পথে প্রথম ধাপগুলো:

১.সঠিক ডায়াগনোসিস: শুধু আলট্রাসাউন্ড নয়, PCOS নিশ্চিত হতে LH, FSH, Testosterone, HOMA-IR-এর মতো জরুরি টেস্টগুলো করানো আবশ্যক।

২.ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন বেশি থাকলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে মনে রাখবেন, স্বাভাবিক বা কম ওজনের মেয়েদেরও PCOS হতে পারে।

৩.খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: ডায়েটে প্রোটিন (মাছ, মাংস, ডিম, ডাল) বাড়ান এবং রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট (সাদা ভাত, ময়দা) ও চিনিযুক্ত খাবার পুরোপুরি বাদ দিন।

৪.স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস: আপনার খাবারের তালিকায় বাদাম, বিভিন্ন ধরনের বীজ (কুমড়ার বীজ, চিয়া সিড), টকদই, স্যুপ যোগ করুন।

৫.লাইফস্টাইল পরিবর্তন:

✔রাতের খাবার তাড়াতাড়ি শেষ করে সময়মতো ঘুমানোর অভ্যাস করুন।

✔প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪০ মিনিট হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন।

✔স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের জন্য মেডিটেশন বা পছন্দের কোনো কাজ করুন।

৬.সাপ্লিমেন্ট: বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া কোনো সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করবেন না।

সবশেষে একটি জরুরি কথা,
PCOS একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। এর কোনো ম্যাজিক মেডিসিন নেই। এই সমস্যাটি আপনার শরীরে একদিনে তৈরি হয়নি, তাই এর থেকে মুক্তি পেতেও আপনাকে সময় এবং ধৈর্য ধরতে হবে।

গুগল বা ইউটিউব দেখে নিজের চিকিৎসা নিজে করতে যাবেন না। একজন পুষ্টিবিদই পারেন আপনার বয়স, ওজন, এবং শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ডায়েট, লাইফস্টাইল গাইডলাইন এবং প্রয়োজনীয় সাপ্লিমেন্টের পরামর্শ দিতে।

আপনার সুস্থতা আপনারই হাতে। অবহেলা না করে সঠিক পদক্ষেপ নিন।

PCOS সংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। NutriCare

#পুষ্টিবিদ #স্বাস্থ্য_সচেতনতা

18/11/2025

১৫ দিনে ২.৬ কেজি কমানো কিন্তু খারাপ না। মাশাল্লাহ। ❣️

টোটাল ৯৬ থেকে ৭৯ কেজি। 💥💥
সঠিক ডায়েট, এক্সারসাইজ, মনোবল - সবকিছুই আছে।

আমাদের কিন্তু ৪৫ দিনের ওয়েটলস চ্যালেঞ্জ চলছে।
যেখানে এই ৪৫ দিনে ৫-৭ কেজি ওজন কমানোর টার্গেট।
বিস্তারিত জানতে পেইজে যোগাযোগ করুন। ❣️

17/11/2025

Series 5

Fatty Liver Diagnosis – লিভারের যত্নে সচেতন হোন”

ফ্যাটি লিভার শুরুতে কোনো উপসর্গ না থাকায় অনেকেই বুঝতে পারেন না। তাই সঠিক সময়ে পরীক্ষা ও ফলোআপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কিছু রক্ত পরীক্ষা যেমন -

ALT (SGPT)
AST (SGOT)
Lipid profile test
Plasma blood glucose

👉 ALT/AST বাড়লে বোঝা যায় লিভারে প্রদাহ বা ক্ষতি হচ্ছে।

📌 মনে রাখবেন:
ব্লাড টেস্ট রিপোর্ট নরমাল হলেও ফ্যাটি লিভার থাকতে পারে তাই Ultrasound দরকার।

কখন ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ প্রয়োজন?
➡️ যদি Ultrasound-এ Fatty liver ধরা পড়ে
➡️ ALT/AST বারবার High থাকে
➡️ ডায়াবেটিস/পেটের মেদ/উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড থাকে
➡️ দীর্ঘদিন ক্লান্তি, হজমে সমস্যা থাকে
➡️ পরিবারে লিভার ডিজিজের ইতিহাস আছে

* এই অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসক/পুষ্টিবিদের ফলোআপ জরুরি।
* Diet & Lifestyle পরিবর্তনই এখানে মূল চিকিৎসা।

ফাহমিদা তারান্নুম
নিউট্রিশন এন্ড ডায়েট কনসালটেন্ট
নিউট্রিলার্নবিডি
মিরপুর ১১, ঢাকা

Nutritionist Fahmida Tarannum
Diet & Nutrition Consultant

📌 Chamber : Nutrilearnbd
➡️ Sunday , Monday, Tuesday
➡️ 3 PM to 6 PM

➡️ Call For Appointment & Details : 01339652056
➡️ Address : H: 75(A), 3rd Floor, Block: B, Avenue: 1, Road: 1, Section: 12, Mirpur: 11-D, Dhaka, Bangladesh
( Mirpur 11 metro station, Pillar No : 199, East side)

✨ সরাসরি পরামর্শ পেতে চলে আসুন - Nutrilearnbd
✅ অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে মেসেজ করুন - NutriCare পেইজে

14/11/2025

বাংলাদেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ থাইরয়েডজনিত রোগে আক্রান্ত। যা
দেশের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। ধীরেধীরে এর সংখ্যা আরো বাড়ছে।

নানা কারণে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে অনেক সময় কম বা বেশি হরমোন নি:সৃত হয়। এই কমবেশির জন্য শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আয়োডিনের অভাব হলে অনেক সময় গলগণ্ড হয়। এটাকে আমরা অবহেলা করি। এটাও থাইরয়েডের সমস্যা। এরও চিকিৎসা আছে। আবার জন্মগতভাবে থাইরয়েড গ্রন্থির ত্রুটিতেও থাইরয়েডে সমস্যা দেখা দেয়।

থাইরয়েডের সমস্যা প্রধানত দুধরনের হয়।
✔️ হাইপারথাইরয়েডিজম: এতে রক্তে থাইরয়েড নিঃসৃত হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়।
✔️ অন্যটি হলো হাইপোথাইরয়েডিজম: রক্তে থাইরয়েড নিঃসৃত হরমোনের পরিমাণ কমে যায়। প্রজননক্ষম নারীদের হাইপোথাইরয়েডিজমের হার পুরুষদের তুলনায় প্রায় দশ গুণ বেশি, জটিলতাও বেশি।

এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন:
- ওজন বেড়ে যেতে পারে অথবা হঠাৎ করেই দ্রুত ওজন কমে যেতে পারে
- সবসময় ক্লান্তিবোধ হবে
- অনিয়মিত মাসিক
- ইনফর্টিলিটি আবার গর্ভপাতও হতে পারে
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে
- চুল, ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে
- চোখ বড় হয়ে যেতে পারে
- অত্যধিক ঘাম, কাপুনি সহ আরো অনেক লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ইত্যাদি

থাইরয়েড লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা করতে পারেন -

✔️ নির্দিষ্ট সময় পরপর থাইরয়েড পরীক্ষা করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধের সঠিক ডোজ গ্রহণ করতে হবে।

✔️ কিছু বিশেষ খাবারকে গয়েট্রিজেনিক ফুড বলা হয়। এসব খাবারে উপস্থিত গয়েট্রিজেন আয়োডিনের শোষণকে প্রভাবিত করে ও গলগণ্ড বাড়াতে পারে। যেমন ফুলকপি, পাতাকপি, ব্রোকলি, শর্ষেশাক, মুলা, শজনে। তবে এগুলো সেদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে পরিমিত বা অল্প পরিমাণে এবং ভালো করে রান্না করে খেলে নিরাপদ।

✔️ সয়াজাতীয় খাবার থাইরয়েড হরমোন তৈরীকে প্রভাবিত করে। তাই সয়াবিন, সয়া দুধ, টফু মেপে খাওয়াই উচিত।
✔️ চিনি ও ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকতে হবে৷ অতিরিক্ত ক্যাফেইন টিএসএইচ এর মাত্রা পরিবর্তন করতে পারে।
✔️ অবশ্যই মানসিক চাপ, স্ট্রেস থেকে দূরে থাকতে হবে৷ পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
✔️ ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে।

➡️ হাইপোথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে -
✔️ সেলেনিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া সেলেনিয়াম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে রাখতে হবে৷ যেমন: কলিজা, চিজ, ব্রাজিল নাট, রসুন ইত্যাদি।

✔️ জিংকও গুরুত্বপূর্ণ। জিংকের অভাবে থাইরয়েডের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। চিংড়ি, গরু-খাসির মাংস, মুরগির মাংস, কাঁকড়া, ঝিনুক, মিষ্টিকুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ জিংকের ভালো উৎস।
প্রয়োজনে সেলেনিয়াম, জিংক সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করতে হবে৷

রোকসানা তনু
নিউট্রিশন এন্ড ডায়েট কনসাল্টেন্ট
নিউট্রিলার্নবিডি
মিরপুর ১১, ঢাকা।

13/11/2025

💥

আদর্শ ওজন থেকে অনেকটাই দূরে এই আপু। এপোয়েন্টমেন্ট নেয়ার ভরসা পাচ্ছিলেন না অনেক কারণে। আমি চেষ্টা করেছি তার কনফিউশানগুলো দূর করতে। তার ভরসার জায়গা হতে।

🌼 অল্প কয়দিনেই চোখে পরার মত পরিবর্তন। অনেকটা ওজন বেড়েছে। মাশাল্লাহ ❣️

আমি কখনোই অবাস্তব, অকল্পনীয়-আকর্ষণীয় কথা বলে এপোয়েন্টমেন্ট নেয়াই না। সবসময়ই বাস্তবতা বলি৷
অনেকেই এপোয়েন্টমেন্ট নেয়ার আগে গ্যারান্টি ওয়ারেন্টি চায়!
স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এটা কি আসলেই দেয়া যায়?

ওজন বাড়া / কমা অনেককিছুর উপর নির্ভর করে।
আপনি কতটুকু মানলেন, ঠিকমত খেলেন কিনা, গাট হেলথ ঠিক আছে কিনা, মেজর মেডিকেল হিস্ট্রি আছে কিনা ইত্যাদি সহ অনেককিছুর উপর নির্ভর করে৷ শর্টকাট বা ম্যাজিকাল কোনো খাবার নেই যে, দিলাম, আপনি খেলেন, ওজন বেড়ে গেলো / কমে গেলো।

রোকসানা তনু
নিউট্রিশন এন্ড ডায়েট কনসাল্টেন্ট
নিউট্রিলার্নবিডি
মিরপুর ১১, ঢাকা।

📩 Inbox now to start your body-mind transformation journey

12/11/2025

হাইপোথাইরয়েডিজোমে কেন ওয়েট গেইন হয়?
প্রায়ই শোনা যায়, আমার থাইরয়েড সমস্যা হওয়ার পর ওজন বেড়ে গিয়েছে বা আমার থাইরয়েডের সমস্যা আছে তো তাই ওজন কমে না।
চলুন, দেখে আসি কেনো এমন হয়।

➡️ থাইরয়েড মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। কোন কারনে হাইপোথাইরাইডিজম হলে অর্থাৎ থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে বিপাকক্রিয়া কমে যাবে। এনার্জি এক্সপেনডিচার কমে যাবে, ক্যালোরি বার্ন কম হবে, তাই ওয়েট গেইন হয়।

➡️ Glycosaminoglycan (বিশেষ করে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও কনড্রয়েটিন সালফেট) এর অতিরিক্ত জমা হয়, বিশেষ করে ত্বকের নিচে ও টিস্যুতে। এই জমার কারণেই দেখা দেয় “myxedema” — হাইপোথাইরয়েডিজমের একটি বৈশিষ্ট্য।

➡️ হাইপোথাইরয়েটিজম হলে কিডনি ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ঠিকমতো করতে পারেনা। ফলে শরীরে ওয়াটার রিটেনশন হয়,পানি জমতে থাকে তাই ওজন বেড়ে যায়।

➡️ হাইপোথাইরয়েডিজম হলে কাজ করার ক্ষমতা / এনার্জি অনেকটা কমে যায়,দুর্বল লাগে। এই কারণে এক্সারসাইজ করতে যেতে পারে না৷ ওয়েট গেইন হয়।

➡️ এদের কোল্ড ইনটলারেন্স হয়। শরীর ঠান্ডা থাকে। হিট প্রোডাকশন কমে যায়।

➡️ বডিতে হরমোনাল ইমব্যালেন্স তৈরি হয়। এপেটাইট - হাংগার ব্যালেন্স নষ্ট হয়। বেশি খেতে শুরু করে এজন্য।

➡️ রাতে ঘুমের সমস্যা হয়। ঘুম আসে না। এতে কর্টিসল বেড়ে যায়।
এই কর্টিসল রিসেপ্টর লেভেলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে। ফলে বেশি ইনসুলিন তৈরি হয়। আর ইনসুলিন এনাবোলিক হরমোন। এরজন্য ওয়েট গেইন হয়।

থাইরয়েড সমস্যা মোটেও সামান্য নয়। এটা বডির অনেক কাজ করে। তাই থাইরয়েড ডিসফাংশন হলে চিকিৎসা করতে হবে। থাইরয়েডের কারণে ওয়েট গেইন হলে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।
কারণ ওয়েট বেশি থাকলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থেকে ডায়াবেটিকস, হাই কোলেস্টেরলে,উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।

রোকসানা তনু
নিউট্রিশন এন্ড ডায়েট কনসাল্টেন্ট
নিউট্রিলার্নবিডি
মিরপুর ১১, ঢাকা।

12/11/2025

বছর শেষের পথে।

এই বছরে কে কত কেজি ওজন কমালে? বছরের শুরুতে যেটার্গেট নিয়েছিলেন, সেটা পূরণ করতে পেরেছেন?

বছরের বাকী দিনগুলোতে আর কত কেজি কমানোর টার্গেট রয়েছে?

11/11/2025

গত সপ্তাহে আমার কাছে পরপর দুইজন তরুণী এলেন, একজনের বয়স ২০, অন্যজনের ২২। দুইজনই PCOS-এর রোগী। যে রোগটিকে আমরা একসময় মনে করতাম ত্রিশোর্ধ্ব নারীদের সমস্যা, সেটি এখন অল্প বয়সী মেয়েদের মধ্যে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। একজন পুষ্টিবিদ হিসেবে এই চিত্রটি আমাকে সত্যিই আতঙ্কিত করেছে।

তাদের দুইজনের মধ্যেই কিছু সাধারণ কিন্তু মারাত্মক উপসর্গ ছিল, যা হয়তো আপনার বা আপনার পরিচিত কারও সাথে মিলে যেতে পারে:

⏩অনিয়মিত পিরিয়ড

⏩ঘাড়ে কালো ছোপ (Acanthosis Nigricans)

⏩মুখে ও শরীরে অবাঞ্ছিত লোম (Facial Hair)

⏩পেটে অতিরিক্ত চর্বি (Belly Fat)

⏩ সারাদিন ক্লান্তি ও দুর্বলতা

⏩ঘুমের সমস্যা এবং মুড সুইং

তাদের ফুড হিস্ট্রি ঘেঁটে মূল কারণটা স্পষ্ট হয়ে উঠলো — অতিরিক্ত রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট (সাদা ভাত, পাউরুটি, নুডলস), খুব অল্প প্রোটিন এবং ভাতের প্রতি আসক্তি।

✔ তাহলে এখন করণীয় কী? সুস্থতার পথে প্রথম ধাপগুলো:

১.সঠিক ডায়াগনোসিস: শুধু আলট্রাসাউন্ড নয়, PCOS নিশ্চিত হতে LH, FSH, Testosterone, HOMA-IR-এর মতো জরুরি টেস্টগুলো করানো আবশ্যক।

২.ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন বেশি থাকলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে মনে রাখবেন, স্বাভাবিক বা কম ওজনের মেয়েদেরও PCOS হতে পারে।

৩.খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: ডায়েটে প্রোটিন (মাছ, মাংস, ডিম, ডাল) বাড়ান এবং রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট (সাদা ভাত, ময়দা) ও চিনিযুক্ত খাবার পুরোপুরি বাদ দিন।

৪.স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস: আপনার খাবারের তালিকায় বাদাম, বিভিন্ন ধরনের বীজ (কুমড়ার বীজ, চিয়া সিড), টকদই, স্যুপ যোগ করুন।

৫.লাইফস্টাইল পরিবর্তন:

✔রাতের খাবার তাড়াতাড়ি শেষ করে সময়মতো ঘুমানোর অভ্যাস করুন।

✔প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪০ মিনিট হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন।

✔স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের জন্য মেডিটেশন বা পছন্দের কোনো কাজ করুন।

৬.সাপ্লিমেন্ট: বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া কোনো সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করবেন না।

সবশেষে একটি জরুরি কথা,
PCOS একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। এর কোনো ম্যাজিক মেডিসিন নেই। এই সমস্যাটি আপনার শরীরে একদিনে তৈরি হয়নি, তাই এর থেকে মুক্তি পেতেও আপনাকে সময় এবং ধৈর্য ধরতে হবে।

গুগল বা ইউটিউব দেখে নিজের চিকিৎসা নিজে করতে যাবেন না। একজন পুষ্টিবিদই পারেন আপনার বয়স, ওজন, এবং শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ডায়েট, লাইফস্টাইল গাইডলাইন এবং প্রয়োজনীয় সাপ্লিমেন্টের পরামর্শ দিতে।

আপনার সুস্থতা আপনারই হাতে। অবহেলা না করে সঠিক পদক্ষেপ নিন।

PCOS সংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

রুকসানা তনু
ডায়েট অ্যান্ড নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট
NutriLearnBD

🕓 সাক্ষাৎ সময়: রবিবার,সোমবার ও মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬:০০ টা - রাত ৯:০০ টা

📞 অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য এখনই কল করুন: +880 1339-652056

#পুষ্টিবিদ #স্বাস্থ্য_সচেতনতা

11/11/2025

আপনি যত দ্রুত দৌড়াবেন ততো দ্রুত হাঁপিয়ে যাবেন। যদি হাঁটতে শুরু করেন তবে মাইলের পর মাইল আপনি হেঁটে যেতে পারবেন।
ওয়েট লস জার্নিটাও ঠিক এমন আপনি যদি খুব দ্রুত - তাড়াতাড়ি - শর্টকাটে ওজন কমাতে চান আপনি বেশিদূর যেতে পারবেন না৷
তার থেকে ব্যালেন্স ডায়েট, লাইফস্টাইল মেইনটেইন করেন তবে আপনি অনেকদূর যেতে পারবেন এবং সুন্দর রেজাল্ট পাবেন।

যারা খুব অল্প সময়ে ওজন কমাতে চান সেটা সঠিক নিয়ম নয়। একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওজন কমানোরও একটা লিমিট থাকে, সেটা মেনে চলতে হয়।

সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের ৪৫দিনের প্ল্যান। হেলদি ভাবে ৪৫ দিনে ৫-৭ কেজি ফ্যাটলস করানো হবে ইনশাআল্লাহ। এবং ডিজিস বেইসড কাস্টমাইজড ডায়েট চার্ট দেয়া হবে।
কোনো প্রশ্ন থাকলে পেইজে মেসেজ করুন। 🌼