06/11/2025
১৮০৯ থেকে ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যখন ফরাসি যুদ্ধ হয় সেই সময় খুব বেশি ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এই উপমাংসের চিকিৎসায় কেটে ফেলা, পোড়া, লোহার সেক দেওয়া, বেঁধে রাখা, ইত্যাদি নানা রকম উগ্রপন্থা অবলম্বন করে কোন ফল না হয়ে ক্ষতিই হয়েছে বেশি। এসব উপমাংস সচরাচর জনন যন্ত্রের ওপরেই প্রথম প্রকাশ ঘটেছিল, পুরুষদের পুং জননেন্দ্রিয়ের আবরণ ত্বকে গজায় এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে স্ত্রী জননেন্দ্রিয়ের চারপাশে গজায় প্রচুর সংখ্যক গজিয়ে স্ত্রী জননেন্দ্রীয়কে ঢেকে দেয়, ফুলিয়ে তোলে। এছাড়া শরীরের নানা স্থানে এর প্রকাশ দেখা যায়। এটাকে গনোরিয়ার পরের অবস্থা ধরা হয়।
আঁচিল একটি স্থায়ী,কষ্টহীন, স্বাভাবিক রোগ হলেও এর মূল কারণ চির রোগ বীজ সাইকোটিক। এটি একটি ক্রনিক ডিজিজ বা চিররোগ। স্থানিক লক্ষণসমূহ অবজ্ঞা করে কেবলমাত্র আঁচিল গুলোকে যদি উপড়ে ফেলা হয় তবে তার পরিণতি স্বরূপ শরীরের অভ্যন্তরে এরা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরের অন্যত্র আরো ভয়াবহভাবে প্রকাশ পাবে।
সাইকোসিস যুক্ত আঁচিলের চিকিৎসা:
আঁচিল যুক্ত মায়াজোম এর উপর নির্ভরশীল গনোরিয়া ও একই সাথে সমগ্র সাইকোসিস এর চিকিৎসায় শুধুমাত্র কয়েকটি শক্তির ৫০ সহশ্রমিক পদ্ধতির হোমিওপ্যাথিক ওষুধ thuja অভ্যন্তরীণ প্রয়োগ করে আরোগ্য করা যায়। এ পদ্ধতির চিকিৎসায় মানব দেহের সক্ষমতাকে সহজতর ও শক্তিশালী করে তোলে। এ ওষুধের কার্যক্রম শেষ হলে নিম্ন শক্তির ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতির নাইট্রিক এসিড প্রয়োগ করে যেতে হবে ততদিন পর্যন্ত যতদিন গনোরিয়া ও আঁচিল বা উপমাংস দূর হয়।
যদি গনোরিয়াকে উগ্রপন্থায় চাপা দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে সোরার সাথে মিশে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়। তখন চিকিৎসা পদ্ধতি হবে নিম্নরূপ-
১. সুনির্বাচিত এন্টি সোরিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।
২. এরপর সুনির্বাচিত এন্টি সাইকোটিক ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।
৩. সবশেষে পুনরায় অ্যান্টি সোরিক ঔষধ প্রয়োজন হবে।
আর যদি গনোরিয়া সিফিলিসের সাথে যুক্ত হয়ে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয় তাহলে চিকিৎসা এভাবে করতে হবে-
১. সর্বপ্রথম সুনির্বাচিত এন্টি সোরিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।
২. এরপর প্রাধান্যতার ভিত্তিতে এন্টি সাইকোটিক বা এন্টি সিফিলিটিক ওষুধ দিতে হবে।
৩. সিফিলিস ও সাইকোসিস দুটির মধ্যে যেটা অবশিষ্ট থাকবে সেটার এন্টি মায়াজমেটিক ওষুধ দিতে হবে।
৪. সর্বশেষ পুনরায় এন্টিসরিক ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।
এভাবে যতদিন পর্যন্ত আরোগ্য সম্পন্ন না হচ্ছে ততদিন চিকিৎসা চালাতে হবে।
এরকম নির্ভরযোগ্য অভ্যন্তরীণ চিকিৎসায় আঁচিলের জন্য আলাদাভাবে কোনরকম বাহ্যিক ওষুধ প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয় না। এক্ষেত্রে হ্যানিম্যান নির্দেশ দিয়েছেন যেসব আঁচিল গুলো ভেজা ভেজা থাকে এবং বড় আকৃতির হয় তাতে থুজা টিংচার দিয়ে ভেজানো যেতে পারে। এভাবে সাইকোটিক দোষ ঘটিত আঁচিলের চিকিৎসায় সফলতা আসবে। (সূত্র - চির রগের প্রকৃতি ও প্রতিকার ও মায়াজমের স্বরূপ)
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা:
ছবিতে আমার রোগীর আঁচিল মাত্র সাত দিন ঔষধ খাওয়ার পর আরোগ্য লাভ করেছে। এরকম অসংখ্য আঁচিলের রোগী হোমিওপ্যাথি ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করেছে। বিশেষ করে Thuja,Acid nit,caust ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতির ঔষধ লক্ষণ ভিত্তিক প্রয়োগে সমাধান হয়েছে। কোনরকম বাহ্যিক প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। কোন কোন ক্ষেত্রে বড় বড় ডুমুর ও ফুলকপির আকৃতির আঁচিলে Thuja যে শক্তিতে খেতে দিয়েছি সেটা দিয়ে ভিজাতে বলেছি তাতে চমৎকার ফলাফল এসেছে।
Dr md Shihabuddin
01638-568924
শ্যামপুর হোমিও হল, শ্যামপুর বড়ইতলা,জুরাইন পোস্তগোলা, কদমতলী, ঢাকা -১২০৪