01/04/2024
⛔ আপনার বাচ্চার ক্রিমি আছে কিনা কিভাবে বুঝবেন?
১. ওজন কমে যাবে।
২. খাবারে অরুচি হবে/খেতে চাইবে না।
৩.পেট ফুলে যাবে।
৪. পেটে ব্যথার ফলে কান্নাকাটি করবে।
৫. খেলাধুলায় অনাগ্রহ হবে বা দুর্বল ভাব হবে।
৬. বমি বমি ভাব হবে বা বমি হবে।
৭. ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হবে।
৮. রাতের বেলা ঘুমের সময় মলদ্বারের আশেপাশে চুলকানি হবে।
৯. মলদ্বারের আশেপাশে ছোট ছোট সাদা সুতাকৃমির উপস্থিতি দেখা যাবে।
১০. পায়খানার সাথে রক্ত যাবে।
১১. রাতে ঘুমাতে কস্ট হবে/ছটফট করবে।
⛔ সমাধান
যখন আপনার বাচ্চা হাঁটাচলা করতে শুরু করে তখন তার শরীরে কৃমি সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এসময়ে বাচ্চাকে নিয়মিত চেক-আপ এর জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান এবং কৃমিনাশক চিকিৎসার সময়সূচী অনুসরণ করুন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনার বাচ্চাকে কৃমি সংক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন??
১.বাচ্চার ডায়পার/প্যান্ট নিয়মিত বদলান। বদলানোর পর হাত খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
২.ঘর এবং ঘরের আশপাশ পরিস্কার রাখুন। ঘর পরিস্কার করতে ভালো জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।
৩.বাচ্চা যখন হাঁটতে শেখে, তখন বাচ্চাকে তার পায়ের মাপ অনুযায়ী ভালোভাবে ফিট হয় এমন জুতো পরান। খেয়াল রাখুন যেন বাচ্চা বাইরে খেলাধুলা করার সময় ভালোভাবে পা ঢাকা জুতো পরা থাকে। খেলাশেষে বাসায় ফেরার পর বাচ্চার হাত এবং পা ভালোভাবে ধুয়ে দিন।
৩.কাদাযুক্ত খেলার জায়গা , স্যাঁতস্যাঁতে বালু, মাটি কিংবা মানুষ এবং পশুপাখির পায়খানা থাকতে পারে এমন জায়গা থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখুন।
৪.সবসময় খেয়াল রাখবেন আপনার বাচ্চা যেন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, শুকনো জায়গায় খেলে। বাচ্চাকে কোনো জলাশয় যেমন পুকুর, খাল, লেক ইত্যাদির আশেপাশে জুতা ছাড়া খেলতে দেবেন না।
৫.বাসার টয়লেট এবং বাচ্চার পটি সবসময় পরিস্কার রাখুন। বাচ্চা যতবার প্রস্রাব, পায়খানা করবে ততবার তার পায়ুপথ ভালোভাবে পরিস্কার করুন। পরিস্কার করার পর অবশ্যই সাথে সাথে আপনার হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন।
৬.বাচ্চাকে সবসময় পরিস্কার টয়লেট ব্যবহার করতে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর হাত ধুতে শেখান।
৭.বাচ্চার নখ নিয়মিত কেটে ছোট এবং পরিস্কার রাখবেন। কারণ বড় নখের নিচে কৃমির ডিম জমা হতে পারে এবং নখের মাধ্যমে পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বাচ্চাকে আঙুল চুষতে কিংবা নখ কামড়াতে নিরুৎসাহিত করুন।
৮.ফল, শাক-সবজি বিশুদ্ধ পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন। বিশেষ করে শাক ভালোভাবে ধুতে হবে কারণ শাকে মাটি, কাঁকর ইত্যাদি থেকে যেতে পারে।
৯.মাছ, মাংস রান্না করার আগে খেয়াল করুন এগুলো ফ্রেশ / তাজা আছে কিনা। মাছ-মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ করে রান্না করুন যাতে একটুও কাঁচা না থেকে যায়।
১০.পরিবারের মানুষজন এবং বাসার কাজে যারা সাহায্য করে সকলের নিয়মিত কৃমি প্রতিকারের চিকিৎসা বা ডিওয়ার্মিং এর জন্য ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।বাচ্চার ব্যবহার্য জিনিস,পোশাক পরিচ্ছদ খেলনা সবকিছু ভালোভাবে ধুয়ে বাচ্চাকে ব্যবহার করতে দিন এবং নিয়মিত পরিস্কার করুন।
Copy.